বারটি সময়ে নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ

<div>মাসআলা নং--১০: </div><div>বারটি সময়ে নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ তন্মধ্যে ৬, ১২ নম্বর ওয়াক্তে ফরয, ওয়াজিব, জানাযার নামায, সিজদায়ে তিলাওয়াত নিষিদ্ধ৷ </div><div><br></div><div>★১: ফজর উদয় থেকে সূর্য উদয় পর্যন্ত মধ্যবর্তী সময়ে ফজরের দু'রাক'আত সুন্নাত ব্যতিত অন্য কোনো নফল নামায পড়া জায়িয নেই।</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-১১: ফজর উদয়ের পূর্বে কোনো ব্যক্তি নফল নামায পড়ছিলো এক রাক'আত পড়তেই ফজর উদয় হল, তখন দ্বিতীয় রাক'আত পড়ে পূর্ণ করে নিবে। এই দু'রাক'আত ফজরের সুন্নাতের স্থলাভিষিক্ত হবে না, যদি চার রাক'আতের নিয়্যত করে থাকে এক রাক'আতের পর ফজর উদয় হল, তখন চার রাক'আত পূর্ণ করে নেবে, তখন পরের দুই রাক'আত ফজরের সুন্নাতের স্থলাভিষিক্ত হবে ।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-১২: ফযরের নামাযের পর হতে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত যদি প্রচুর সময় বাকি থাকে যদিও ফযরের সুন্নাত ফরযের পূর্বে পড়েনি এখন পড়তে চাইলে জায়িয হবে না।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div><br></div><div><br></div><div>মাসআলা নং-১৩: ফরযের পূর্বে ফযরের সুন্নাত আরম্ভ করার পর ভঙ্গ হয়ে গেলো, এখন ফরযের পর তা কাযা পড়তে চাইলে তাও জায়িয হবে না । </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div><br></div><div>(২) নিজ মাযহাবের জামা'আতের একামত শুরু হলো, একামত হতে জামায়াত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নফল, সুন্নাত পড়া মাকরূহে তাহরিমি। অবশ্য ফযরের নামায কায়িম হলো, ধারণা হচ্ছে সুন্নাত পড়ে নিয়ে তখনও জামায়াত পাওয়া যাবে, যদিও শেষ দিকে শরিক হয়। তখন জামায়াত থেকে একটু দূরে সরে সুন্নাত পড়ার পর জামা'আতে শরিক হবে, সুন্নাত পড়তে গিয়ে জামা'আত চলে যাওয়ার উপক্রম হলে তখন সুন্নাতের খেয়াল জামা'আত বর্জন করা নাজায়িয ও গুনাহ।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div><br></div><div>(৩) আসরের নামাযের পর হতে সূর্য নীল বর্ণ হওয়া পর্যন্ত নফল নামায নিষিদ্ধ, নফল নামায শুরু করার পর ভেঙে গেলে তা এ সময়ে কাযা পড়াও নিষিদ্ধ, যদি পড়ে তা যথেষ্ট হবে না কাযা দায়িত্ব থেকে রহিত হবে না। </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৮ পৃ, </div><div>(৪) সূর্য অস্ত যাওয়ার পর থেকে মাগরিবের ফরয পর্যন্ত সর্ব প্রকার নফল নিষিদ্ধ ।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৬ পৃ, </div><div> তবে ইমাম ইবনুল হুমামের মতে কেবল ২ রাক'আত জায়িয।</div><div>→ইমাম ইবনুল হুমাম, ফতহুল কাদীর, কিতাবুস সালাত, বাবুল নাওয়াফেল, ১/৩৮৯ পৃ,</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-oxFLbE89mQs/YrmFmX14tDI/AAAAAAAAPDs/oqHVj55iw5MnVhPk6oBKf-7XQhZhEYI_gCNcBGAsYHQ/s1600/20220627_161552.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-oxFLbE89mQs/YrmFmX14tDI/AAAAAAAAPDs/oqHVj55iw5MnVhPk6oBKf-7XQhZhEYI_gCNcBGAsYHQ/s1600/20220627_161552.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>(৫) যে সময় ইমাম স্বীয় স্থান থেকে জুম'আর খোতবার জন্য দন্ডায়মান হবে সে সময় হতে জুম'আর ফরয শেষ হওয়া পর্যন্ত নফল ও সুন্নাত সমূহ মাকরূহ।</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৭ পৃ, </div><div><br></div><div>(৬) খোতবার সময় ১ম খোতবাহ হোক, বৃষ্টি প্রার্থনার খোতবাহ হোক, হজ্জ বা বিবাহের খোতবাহ হোক, খোতবাহ পাঠকালে সর্বপ্রকার নফল, এমনকি কাযা  নামাযও নাজায়িয।</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৭ পৃ, </div><div> মাসআলা নং-১৪: জুম'আর সুন্নাত শুরু করলো এমতাবসস্থায় খতিব সাহেব খোতবাহ পাঠের জন্য দাঁড়ালেন, তখন চার রাক'আত পূর্ণ করে নিবে। </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div><br></div><div>(৭) দুই ঈদের নামাযের পূর্বে নফল মাকরূহ, ঘর, ঈদগাহ বা মসজিদে যেখানেই হোক।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৭ পৃ, </div><div><br></div><div><br></div><div>(৮) দুই ঈদের নামাযের পর নফল মাকরূহ, যদি ঈদগাহে বা মসজিদে হয়, তবে ঘরের মধ্যে পড়া মাকরূহ নয়। </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৫০ পৃ,</div><div><br></div><div>(৯) আরাফাতের যেখানে জোহর আসর একত্রে পড়া হয় তার মধ্যে বা তারপর সর্ব প্রকার সুন্নাত নফল মাকরূহ। </div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৫০ পৃ,</div><div><br></div><div>(১০) মুযদালিফা যেখানে মাগরিব এশা একত্রে পড়া হয় তার মাঝখানে সুন্নাত ও নফল পড়া মাকরূহ, পরে পড়া মাকরূহ নয় । </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৫০ পৃ,</div><div><br></div><div>(১১) ফরজের সময় যদি নিতান্ত সংকীর্ণ হয় সর্ব প্রকার নামায এমনকি ফযরের সুন্নাত, যোহরের সুন্নাতও মাকরূহ। </div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৫০ পৃ,</div><div><br></div><div>(১২) মানবিক প্রয়োজন দূর না করে নামায পড়া মাকরূহ। যেমন- পায়খানা প্রশ্রাবের হাযত বা বায়ু নির্গত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেলে তা সেরে নেবে। তবে সময় চলে গেলে নামায পড়ে নিবে। </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div>  অনুরূপভাবে খাবার সামনে আসল, তার আসক্তিও রয়েছে অথবা এমন কাজ উপস্থিত হল যা না করলে নামাযে একাগ্রতা থাকবেনা এমতাবস্থায় নামায পড়া মাকরূহ।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫৩ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফি, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৫১ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-১৫: ফজর এবং যোহর এর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো সময়ই মাকরুহ মুক্ত । অর্থাৎ, এ দু'ওয়াক্তের যেকোনো সময় নির্ধারিত নামায পড়লে মাকরুহ হবে না ।</div><div>→ইমাম ইবনে নুজাইম মিশরী, বাহরুর রায়েক, কিতাবুস সালাত,  ১/৪৩২ পৃ,</div>

বারটি সময়ে নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ

মাসআলা নং--১০:  বারটি সময়ে নফল নামায পড়া নিষিদ্ধ তন্মধ্যে ৬, ১২ নম্বর ওয়াক্তে ফরয, ওয়াজিব, জানাযার নামায, সিজদায়ে তিলাওয়াত নিষিদ্ধ৷  ★...

আরও পড়ুন »

নামাজের মাকরুহ ওয়াক্তের মা'সআলা পর্ব-০১

<div>মা'সআলাঃ ০১</div><div>সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও দ্বিপ্রহর এ তিন সময়ে কোনো প্রকার নামায পড়া জায়িয নেই, ফরয, ওয়াজিব, নফল, কাযা, তিলাওয়াতে সিজদা, সিজদায়ে সাহু কোনটিই এ সময়ে জায়িয নেই, অবশ্য যদি সে দিনের আসরের নামায না পড়ে থাকে তহলে সূর্যাস্তের সময় পড়বে নিবে, কিন্তু এতটুকু বিলম্ব করা হারাম। হাদিস শরিফে এ সময়ের নামাযকে মুনাফিকের নামায বলা হয়েছে। সূর্যোদয় বলতে সূর্যের কোণা দেখা যাওয়ার থেকে শুরু করে পূর্ণ বের হয়ে আসার পর ঐ সময় পর্যন্ত, যখন এটার উপর চোখ ঝলসে যায়। এ সময়টার পরিমাণ বিশ মিনিট । দ্বিপ্রহর বলতে শরয়ী অর্ধ দিবস থেকে শুরু করে হাকিকি অর্ধ-দিবস অর্থাৎ সূর্য ঝুকে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়টাকে বুঝায় । </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div>→ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, রুদ্দুল মুখতার,কিতাবুস সালাত, ২/৩৭ পৃ,</div><div>→ইমাম আহমদ রেজা খান, ফতোয়া ই রযভিয়্যাহ, কিতাবুস সালাত, ৫/১৩৮ পৃ,</div><div> </div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০২: সাধারণ জ্ঞানহীন ব্যক্তি যদি সূর্য ওঠার সময় ফযরের নামায পড়ে, তাহলে তাকে বাঁধা দেবে না; তবে নামায শেষ হলে তাকে বলতে হবে-“আপনার নামায হয় নি; সূর্য ভালোভাবে উঠে গেলে কাযা করবেন"</div><div>→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত, ২/৫৮ পৃ,</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-pWWY7_AWHYQ/YrlUWrz-G-I/AAAAAAAAPDg/xyNx2eNEgUo-4b6ryXat7R2MlJ6akCOHgCNcBGAsYHQ/s1600/20220627_125229.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-pWWY7_AWHYQ/YrlUWrz-G-I/AAAAAAAAPDg/xyNx2eNEgUo-4b6ryXat7R2MlJ6akCOHgCNcBGAsYHQ/s1600/20220627_125229.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>মা'সআলা নং- ০৩:</div><div>জানাযা যদি নিষিদ্ধ ওয়াক্ত সমূহে নিয়ে আসা হয়, পড়ে নিলে মাকরূহ হবে না । মাকরূহ সে সময় হবে, যদি পূর্ব থেকে প্রস্তুত ছিল কিন্তু দেরী করলো যার কারণে মাকরূহ ওয়াক্ত এসে গেল, তাতে মাকরূহ হবে। "</div><div>→ইমাম আবেদীন শামী, রুদ্দুল মুখতার, কিতাবুস সালাত, ২/৪৩ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৪: নিষিদ্ধ ওয়াক্ত সমূহে আয়াতে সিজদা পাঠ করলে উত্তম হবে। সিজদাকে বিলম্ব করা যেন মাকরূহ ওয়াক্ত চলে না যায় এবং যদি মাকরূহ ওয়াক্তেও করে নেয় তবুও জায়েয হবে। মাকরূহ বিহীন ওয়াক্তে তিলাওয়াত করে মাকরূহ ওয়াক্তে সিজদা করলে মাকরূহে তাহরীমি হবে।</div><div>→আল্লামা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৫: নিষিদ্ধ ওয়াক্তে ক্বাযা নামায পড়া জায়িয হবে না। কার্যা নামায শুরু করে দিলে ভেঙ্গে ফেলা ওয়াজিব এবং মাকরূহ বিহীন ওয়াক্তে পড়ে নিবে। যদি না ভেঙ্গে পড়ে নিল, তখন ফরয রহিত হয়ে যাবে এবং গুনাহগার হবে ।</div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div>→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত, ২/৪৩ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৬: </div><div>কোনো ব্যক্তি নির্দিষ্টভাবে এ সময়ে নামায পড়ার মান্নত করলো অথবা সাধারণ নামায পড়ার মান্নত করলো, উভয় অবস্থায় মান্নত পূর্ণ করা জায়েয হবে না বরং পূর্ণ ওয়াক্তের মান্নত আদায় করবে। </div><div>→আল্লামা মোল্লা নিযামুদ্দীন বলখী, ফতোয়া ই হিন্দিয়া, কিতাবুস সালাত, ১/৫২ পৃ,</div><div>→→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত, ২/৪৩ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৭:</div><div> নিষিদ্ধ ওয়াক্তে নফল নামায শুরু করলো, ঐ নামায ওয়াজিব হয়ে গেল, কিন্তু সে সময়ে পড়া জায়িয হবে না। নামায ভেঙ্গে ফেলবে এবং পূর্ণ ওয়াক্তে ক্বাযা করবে, যদি পূর্ণ করে ফেলে গুনাহগার হবে, তখন কাযা করা ওয়াজিব হবে না। </div><div>→→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৩ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৮: </div><div>যেসব নামায মুবাহ বা মাকরূহ ওয়াক্তে শুরু করে ভেঙে দিলো, সে সকল নামাযও ঐ সময়ে পড়া জায়িয হবে না।</div><div>→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৫ পৃ,</div><div><br></div><div>মাসআলা নং-০৯: </div><div>উপরোক্ত সময়ে কুর'আন শরিফ তিলাওয়াত করা উত্তম নয়, তবে যিকির ও দরুদ শরিফে নিয়োজিত থাকাই উত্তম।</div><div>→আল্লামা হাসকাফী, দুররুল মুখতার, কিতাবুস সালাত,  ২/৪৪ পৃ,</div><div><br></div>

নামাজের মাকরুহ ওয়াক্তের মা'সআলা পর্ব-০১

মা'সআলাঃ ০১ সূর্যোদয়, সূর্যাস্ত ও দ্বিপ্রহর এ তিন সময়ে কোনো প্রকার নামায পড়া জায়িয নেই, ফরয, ওয়াজিব, নফল, কাযা, তিলাওয়াতে সিজদা, স...

আরও পড়ুন »

তালক্বীন কি? এর ফজিলত?

<div style="text-align: justify;"><b><u>🕍তালক্বীনঃ</u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u><br></u></b></div><div style="text-align: justify;">🕹️মাইয়্যাত দাফনের পর কবরের পাশে বসে/দাঁড়িয়ে মাইয়্যাতকে নাম ও মাতার নাম ধরে ৩বার ডাক দিয়ে কালেমা শাহাদাত বলে দেয়া এবং মাইয়্যাতকে অভয় দেয়া দেয়াকে তালক্বীন বলে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#এটা সুন্নত। রাসুলে খোদা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা কিভাবে করতে হবে অক্ষরে অক্ষরে হজরত আবু উমামা কে শিখিয়ে দিয়েছেন।[تفسير روح البيان ٥:١٨٧]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><u><i>ইমাম আহমদ বিন হান্বল রাঃর মতে</i></u></b></div><div style="text-align: justify;"> وقدسئل عنه الامام احمد رح.فاستحسنه واحتج عليه بالعمل.</div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ তালক্বীন বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এটাকে মুস্তাহসান বলেছেন। এবং এটার উপর আমল চলমান আছে বলে মন্তব্য করেছেন। [عون المعبود شرح سنن ابي داؤد١٣:١٩٩]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><i style=""><b><u>#ইবনে কাইয়ুমও ইমাম আহমদের</u></b> এই কথাকে সমর্থন করেছেন।</i></div><div style="text-align: justify;"><u><i><b>#ইমাম ইবনে হাজর আসকালানী রহ</b></i></u><i>, "তোহফা" কিতাবে </i><b style=""><i><u>ইমাম রমল্লী, ইমাম তাবরানী, ইমাম নববীর</u></i></b><i> বরাত দিয়ে তালক্বীনকে মুস্তাহাব বলেছেন।[تفسير روح البيان]</i></div><div style="text-align: justify;"><b style=""><u><i>#শওকানী </i></u></b><i>বলেছেন সাহাবায়ে কেরাম থেকে তালক্বীন করার প্রমান আছে।</i></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[سبل السلام للكحلاوي.١/٥٠١]</div><div style="text-align: justify;">فاتصال العمل به في سائر الامصار والاعصار من غير انكار كاف في العمل به</div><div style="text-align: justify;">সুতরাং সাহাবায়ে কেরামের জমানা থেকে অদ্যাবধি তালক্বীনের উপর আমল চালু আছে। কোন সময়ে এর বিরোধিতা ছিলোনা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#فقه العبادات علي المذاهب الحنبلي</div><div style="text-align: justify;">কিতাবে এসেছে يسن تلقين الميت بعد الدفن لماروي سعيد بن عبدالله الأزدي</div><div style="text-align: justify;">মানে দাফনের পরে তালক্বীন করা সুন্নাত।[جمع الفوائد من جامع الاصول ومجمع الزوائد]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#فقه العبادات علي المذهب الحنفي </div><div style="text-align: justify;">কিতাবে এসেছে أما التلقين فمشروع في القبر ايضا</div><div style="text-align: justify;">মঅনে দাফনের পর তালক্বীন করা শরীয়ত সম্মত। [فتح الغفار الجامع لاحكام سنة نبينا المختار.٢:٧٦٢]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div><b><i><u>🕍কবর তালক্বীনে আযান দেয়াঃ শরীয়ী দৃষ্টিকোন থেকে। </u></i></b></div><div><b><i><u><br></u></i></b></div><div>এটা নিঃসন্দেহে জায়েজ ও পুন্য কাজ।শরীয়তে এটা নিষেধাজ্ঞার কোন দলিল নেই। </div><div>কোন কাজ নিষেধাজ্ঞার দলিল না থাকাটা ঐ কাজ জায়েজ হবার একটা দলিলও বটে।</div><div>এরপরও কবরে আযান দেয়া বৈধতার পক্ষে অসংখ্য দলিল আছে। </div><div><br></div><div><b><u>#দলিল-১ঃ</u></b></div><div><br></div><div>কবরে দাফনের পরপর মুনকার-নকীর من ربك সাওয়াল করার সাথে সাথে শয়তান এসে তার নিজের দিকে ইশারা করে মাইয়্যাতকে বলে اناربك আমি তোমার খোদা বলো!(নাওয়াদেরুল উসুল,হাকেম মুহাম্মদ বিন আলী তিরমিজি, পৃ,৩২৩)</div><div><br></div><div>আর বোখারী মুসলিমে আবু হোরায়রা রাঃ থেকে হাদিস বর্ণিত اذا اذن المؤذن ادبر الشيان وله حصاص/ضراط</div><div>যখন মুয়াজ্জিন আযান দেয় শয়তান দ্রুত পালায়।(মুসলিম,আযান অধ্যায়১/১৬৭পৃ,)</div><div><br></div><div>বুঝা গেলো দাফনের পরপর আযান দিলে শয়তান মাইয়াতকে কুমন্ত্রণা দিতে পারবেনা।সাওয়ালের সঠিক জবাব দিতে পারবে।তাই তালক্বীন করতে আযান দেয়াটা সুন্নত ও হাদিসসম্মত।</div><div><br></div><div><b><u>#দলিল-২ঃ</u></b> </div><div><br></div><div><b><i>মুসনাদে আহমদ, বায়হাকী, তাবরানীতে হজরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিস এসেছে,</i></b></div><div>সা'দ বিন মায়াজ রাঃ কে দাফনের পর রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দীর্ঘক্ষণ তাসবীহ ও তাকবীর পড়লেন সাহাবাদেরকেও পড়তে বললেন। পরে সাহাবাগন জিজ্ঞেস করলেন--এয়া রাসুলুল্লাহ এত দীর্ঘক্ষণ ধরে আপনি তাকবীর-তাসবীহ কেন পড়লেন? রাসুলে পাক উত্তর দিলেন -</div><div>لقد تضايق علي هذا الرجل الصالح قبره حتي فرج الله تعالي عنه</div><div>এই নেককার ব্যক্তিটার কবর তাকে চাপ দিয়ে সংকীর্ণ করে ফেলছিল; আমাদের তাকবীর তাসবীহের বরকতে আল্লাহ পাক তা থেকে উনাকে নিষ্কৃতি দান করলেন।(মুসনাদে আহমদ৩/৩৬০-৩৭৭)</div><div><br></div><div>এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা ত্বীবী রহ, বলেছেন আমার ও তোমাদের অনবরত তাকবীর ও তাসবীহের কারনে আল্লাহ পাক কবরের সংকীর্ণতা দুর করে দিয়েছেন। (মিরকাত,১/২১১পৃ)</div><div><br></div><div><div><b><u>#দলিল-৩ঃ</u></b></div><div><br></div><div> মুসনাদে আহমদ, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ী, ইবনে মাযাহ (রহ.) - আবু সাইদ খুদুরী রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিস নকল করেছেন, রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, </div><div>لقنوا موتاكم لا اله الا الله</div><div>তোমরা তোমাদের মাইয়াতদের কে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালক্বীন করো।</div><div><br></div><div>আর আযানের মধ্যে এই কালেমা তাইয়েবা পুরোটাই আছে। তাই আযান দিলে এই হাদিসের উপর পরিপুর্ণ আমল হয়ে যায়।</div><div><br></div><div><b><u>#দলিল-৪ঃ </u></b></div><div><br></div><div>মুসনাদে আবি ইয়ালা, তাবরানী তে হজরত আবু হোরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত হাদিস এসেছে, রাসুলে আকরাম সরকারে দোআলম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, </div><div>اذا رأيتم الحريق فكبروا فانه يطفئ النار.</div><div>তোমরা যদি অগ্নিকাণ্ড দেখো তখন তাকবীর পড়ো (আযান দাও) কারন এর দ্বারা আগুন নিভে যাবে।(মু'জামে আওসাত, ৯/৩৫৯ পৃষ্টা হা নং৮৫৬৪)</div><div><br></div><div>তাইসীর শরহে জামেউস সাগীরে আল্লামা আবদুর রউফ মনাভী রহ,এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন,</div><div>فكبروا وقولوا الله اكبر الله اكبر وكرروه كثيرا</div><div>অর্থাৎ তোমরা আল্লাহু আকবার কে বারবার পড়তে থাকো।</div><div>মানে তাকবীর পড়লে তথা আযান দিলে আগুন নিভে যায়।</div><div>মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী বলেছেন, </div><div>التكبير علي هذا لاطفاء الغضب الالهي ولهذا ورد استحباب التكبير عند رؤية الحريق</div><div>অর্থাৎ তাকবীর বললে আল্লাহর গজব ঠান্ডা হয়ে যায়।এজন্য আগ্নিকান্ড দেখলে আযান দেয়া মুস্তাহাব। (মেরকাত ১/২১১পৃ)</div><div><br></div><div>➡️কবরের আযাবের মধ্যে আগুন একটি মারাত্মক আযাব।তাই দাফনের পর আযান দিলে কবর আযাব আগুন দুর হয়।তাই আযান দিলে মাইয়াতের সবচেয়ে বেশী উপকার হয়।আর হাদিসে এসেছে خيرالناس من ينفع الناس সেই শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি যে মানুষের উপকার করে।</div><div><b><i><u><br></u></i></b></div><div><b><i><u>#দলিল-৫ঃ</u></i></b></div><div><br></div><div>আবুদাউদ, মুস্তাদরাক, ইবনে হাব্বানে হজরত সাহাল বিন সা'দ থেকে বর্ণিত হাদিস এসেছে, রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-</div><div> ثنتان لا ترد الدعاء عند النداء وعند البأس <br></div><div>দুই সময়ে দোয়া ফেরত হয়না,কবুল হয়ে যায়, এক,আযানের সময়। দুই,যুদ্ধের সময়।</div><div>(মুস্তাদরাকে হাকেম,১ঃ১৯৮)</div><div><br></div><div>মুসনাদে আহমদের আরেক বর্ণনায় এসেছে হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন মুয়াজ্জিনেন আযান যতদূর শোনা যায় অতটুকু পর্যন্ত সকলকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।</div><div>(মুসনাদে আহমাদ,২ঃ১৩৬পৃ)</div><div><br></div><div>অতএব কবরে আযান দিলে মাইয়াতের গোনাহ মাফ হয়,দোয়াও কবুল হয়।তাই কবরে আযান দেয়া মুস্তাহাব প্রমানিত। </div><div><br></div><div><b><u>#দলিল-৬ঃ</u></b></div><div><br></div><div>তবরানী তিন মুজামের মধ্যেই হজরত আনাস রাঃ থেকে হাদিস নকল করেছেন -</div><div>اذا اذن في قرية امنها الله من عذابه في ذالك اليوم</div><div>কোন গ্রামে যদি আযান দেয়া হয় গোটা গ্রামবাসীকে আল্লাহ পাক ঐ দিন আযাব থেকে নিরাপত্তা দান করেন।(মু'জামে কাবীর১ঃ২৫৭,হা,নং৭৪৬)</div><div><br></div><div>অতএব কবরে আযান দিলে মাইয়াতের নিরাপত্তা লাভ হবে নিঃসন্দেহে। </div><div><br></div><div><b><u>#দলিল-৭ঃ</u></b></div><div><br></div><div>ইবনে আসাকির হজরত আবুহোরায়রা রাঃ থেকে হাদিস এনেছেন, </div><div>نزل ادم بالهند فاستوحش فنزل جبريل فناد بالاذان</div><div>হজরত আদম আঃ কে আল্লাহ পাক ভারতবর্ষে পাঠান।তিনি এখানে ভয় পাচ্ছিলেন। পরে হজরত জিবরাইল এসে আযান দেয়,এতে উনার ভয় দুরীভূত হয়।(হুলিয়াতুল আউলিয়া২ঃ১০৭)</div><div><br></div><div><br></div><div>বুঝা গেল আযান দিলে ভয়ংকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।</div><div>মাইয়াতকে কবরে রাখামাত্র খুব আতঙ্কিত হয়ে যায়। তখন যদও আযান দেয়া হয় তার ভয় ও আতঙ্ক কেটে যায়, তাই আযান দেয়া মুস্তাহাব প্রমানিত। </div><div><br></div><div><b>#দলিল-৮ঃ</b></div><div><br></div><div>মুসনাদে ফিরদাউসে হজরত আলী রাঃ থেকে রেওয়ায়ত এনেছেন </div><div>راني النبي صلي الله عليه وسلم حزينا فقال يتابن ابي طالب اني اراك حزينا فمر بعض اهلك يوذن في اذنك فانه درء الهم فجربته فوجدته كذالك</div><div>আমাকে একদিন হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেরেশান দেখলেন।তখন আমাকে ডেকে বললেন হে আলী তোমার পরিবারে কাুকে বলো তোমার কানে আযান দিতে।কারন আযান দিনে পেরোশানী দুর হয়।আমি তাই করলাম ঠিকই আমার দুঃশ্চিন্তা দুর হয়ে গেছে।(মিরকাত২ঃ১৪৯)</div><div><br></div><div>আর মাইয়াত কে দাফনের পর সবচেয়ে বড় দুঃশ্চিন্তা হলো সাওয়াল জওয়াব এবং আযাবে কবর।তাই তখন আযান দিলে সে দুঃশ্চিন্তা দুর হবে হাদিস দ্বারা প্রমানিত। সুতরাং কবরের তালক্বীন হিসেবে আযান দেয়া মুস্তাহাব প্রমানে এ দলিলগুলো একজন ঈমানদারের জন্য যথেষ্ট। আর অস্বীকার কারীকে কেউ ফেরাতে পারবেনা।তর্ক ছাড়া সে আর কিছু বুঝতে চায়না। আল্লাহ পাক আমাদের কে সঠিক মাসয়ালাটা বুঝার তৌফিক দান করুন। আমিন।</div></div></div>

তালক্বীন কি? এর ফজিলত?

🕍তালক্বীনঃ 🕹️মাইয়্যাত দাফনের পর কবরের পাশে বসে/দাঁড়িয়ে মাইয়্যাতকে নাম ও মাতার নাম ধরে ৩বার ডাক দিয়ে কালেমা শাহাদাত বলে দেয়া এবং মাইয়্যাতকে...

আরও পড়ুন »

কবরে আযানের ১৫টি উপকারিতাঃ

<div style="text-align: justify;"><b><i>কবরে আযানের ১৫টি উপকারিতাঃ</i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i>📝আব্দুল আজিজ আনোয়ারী</i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i><br></i></b></div><div style="text-align: justify;">১.আল্লাহর মেহেরবানীতে শয়তান থেকে মুক্তি। </div><div style="text-align: justify;">২.আযানের তাকবীর গুলোর উসিলায় আগুনের(জাহান্নামের) আযাব থেকে মুক্তি। </div><div style="text-align: justify;">৩.সাওয়াল জবাব স্মরণ হয় ও আসান হয়।</div><div style="text-align: justify;">৪.যেহেতু আযানের আরেক নাম জিকর,এর কারনে আযাবে কবর থেকে নাজাত লাভ করে। </div><div style="text-align: justify;">৫.যেহেতু আযানে জিকরে মুস্তফা আছে, এটা রহমত নাযিলের অন্যতম উসিলা।</div><div style="text-align: justify;">৬.আযানের বদৌলতে ভীতিকর পরিস্থিতি وحشتদুর হয়।</div><div style="text-align: justify;">৭.দুশ্চিন্তা দুর হয়,আনন্দ লাভ হয়।</div><div style="text-align: justify;">(এ সাতটি স্পেশাল মাইয়াতের জন্য খাস)</div><div style="text-align: justify;">বাকী আটটি জীবিত সকল মুসলমানদের জন্য। </div><div style="text-align: justify;">৮.আযান দিলে মাইয়াতের পক্ষে এবং শয়তানের বিপক্ষে তদবীর করার মাধ্যমে সুন্নতের অনুসরণ হয়।</div><div style="text-align: justify;">৯.মুনকার-নাকীরের সাওয়াল জবাব জানিয়ে দেয়ার মাধ্যমে এবং মাইয়াতের উপকার করার মাধ্যমে কোরানের আয়াত(وذكر فان الذكري تنفع المؤمنين)র উপর আমল হয়।</div><div style="text-align: justify;">১০."কবরের পাশে তাকবীর পড়ো" এই হাদিসের উপর আমল হয়।</div><div style="text-align: justify;">১১.জিকিরের ফজিলতের উপর অসংখ্য কোরানের আয়াত ও হাদিসের উপর আমল হয়। </div><div style="text-align: justify;">১২.আযান একটা দোয়া। "মাইয়াতের জন্য দোয়া করো"রাসুলে পাকের এই নির্দেশও বাস্তবায়িত হয়।</div><div style="text-align: justify;">১৩.আযানে নবীর জিকির থাকার কারনে রহমত নাযিলের কারন হয়।</div><div style="text-align: justify;">১৪.আযান একটা দোয়া,আর দোয়া এবাদতের মগজ তথা মুল।হেতু কবরে আযান দিলে সে মগজ ইবাদত করার সৌভাগ্য অর্জিত হয়।</div><div style="text-align: justify;">১৫.আযান দেয়ার আলাদা ফজিলত আছে। আর তা হলো আযান যতদূর শোনা যায় ততদুর পর্যন্ত সব বস্তু মুয়াজ্জিনের পক্ষে ক্ষমা চায়,তার পক্ষে ঈমানের সাক্ষ্য দেয়।কবরে আযান দিলে সে ফজিলতটাও অর্জিত হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো আজানের মুল বাক্য ৭টি আর মোট বাক্য ১৫টি। আজকের আলোচনায় কবরের আযানে মাইয়াতের ফায়দা ৭টি আর মোট ফায়দা ১৫টি। সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আকবার। </div><div style="text-align: justify;">আর সবতথ্য ফতোয়া রজভীয়া থেকে সংগৃহীত।</div>

কবরে আযানের ১৫টি উপকারিতাঃ

কবরে আযানের ১৫টি উপকারিতাঃ 📝আব্দুল আজিজ আনোয়ারী ১.আল্লাহর মেহেরবানীতে শয়তান থেকে মুক্তি।  ২.আযানের তাকবীর গুলোর উসিলায় আগুনের(জাহান্নামের) ...

আরও পড়ুন »

নামাজ ছাড়াও ১১ স্থানে আযানের বিধান

<div style="text-align: justify;">🖊️আব্দুল আজিজ আনোয়ারী<br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-jSK5V9SZmXw/YrNguVzZzYI/AAAAAAAANqU/OZevJQvQmqASKdiAMLmwyt-manKhr2Z3gCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922567872.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="480" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-jSK5V9SZmXw/YrNguVzZzYI/AAAAAAAANqU/OZevJQvQmqASKdiAMLmwyt-manKhr2Z3gCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922567872.jpg" width="240"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-gjwxPoJ3qbU/YrNgvfJvjlI/AAAAAAAANqc/NbKv5cO3KpYOwCloCwMYUL2UA3KUH2xnACNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922570899.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="480" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-gjwxPoJ3qbU/YrNgvfJvjlI/AAAAAAAANqc/NbKv5cO3KpYOwCloCwMYUL2UA3KUH2xnACNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922570899.jpg" width="240"></a></div></div><div style="text-align: justify;">সাধারণ মানুষ মনে করে শুধু নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। এটা ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><i>পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ ছাড়াও আরো ১১স্থানে আযান দেয়ার কথা হাদিস-ফিকহ্'র কিতাবে এসেছে।</i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i><br></i></b></div><div style="text-align: justify;">১.নবজাতক সন্তান জন্মগ্রহণের পরপর কানে আযান দিতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">২.অগ্নিকাণ্ড দেখলে হাদিস শরীফে আযানের নির্দেশ আছে।</div><div style="text-align: justify;">৩.যুদ্ধ যখন তুমুল ও চরম আকার ধারণ করে তখনো আযান দেয়ার বিধান আছে। </div><div style="text-align: justify;">৪.কোন ব্যক্তির উপর জিনের আছর হলে কিংবা কোন ঘরে দুষ্ট জিনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তখনো আযান দিয়ে এদেরকে তাড়াতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">৫.কবর তালক্বীনে আযান দেয়ার কথা হাদিসেই রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">৬.কারো রাগ প্রশমনে,কিংবা দুঃশ্চিন্তা দুরীকরনে আযান খুব উপকারী।</div><div style="text-align: justify;">৭.মৃগী রোগীর হুশ আনতে এবং মূর্ছা যাওয়া/অজ্ঞান হওয়া ব্যাক্তির হুশ-জ্ঞান ফিরিয়ে আনতেও আযান একটি কার্যকর ও পরীক্ষিত তদবীর।</div><div style="text-align: justify;">৯.মুসাফির পথ হারিয়ে ফেললে আযান দিলে আল্লাহ পাক রিজালুল গায়েব দ্বারা তাকে পথ দেখান।</div><div style="text-align: justify;">১০.মহামারীর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলেও আযান দিতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">১১.ভুমিকম্প হলে একমাত্র কাজ আযান দেয়া।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><i>(সুত্রঃ মেরাত শরহে মিশকাত, দুররে মোখতার ও রদ্দুল মোহতারের বরাতে, ১ম খন্ড কিতাবুল আযান)</i></b></div>

নামাজ ছাড়াও ১১ স্থানে আযানের বিধান

🖊️আব্দুল আজিজ আনোয়ারী সাধারণ মানুষ মনে করে শুধু নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। এটা ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ ছাড়...

আরও পড়ুন »

নামাজ ছাড়াও ১১ স্থানে আজানের বিধান

<div style="text-align: justify;">🖊️আব্দুল আজিজ আনোয়ারী<br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-o-jU5Rnym34/YrNgaYgqrHI/AAAAAAAANp0/2i5s_jpSJ2YuFtVpycqy1eSasJuKQJEmwCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922567872.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="480" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-o-jU5Rnym34/YrNgaYgqrHI/AAAAAAAANp0/2i5s_jpSJ2YuFtVpycqy1eSasJuKQJEmwCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922567872.jpg" width="240"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-ipY8ZG67OM4/YrNgbrK47EI/AAAAAAAANp8/EfuYFCzgeH8PMLhvHBiVPqaNqkWDAS3ugCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922570899.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="640" data-original-width="480" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-ipY8ZG67OM4/YrNgbrK47EI/AAAAAAAANp8/EfuYFCzgeH8PMLhvHBiVPqaNqkWDAS3ugCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1655922570899.jpg" width="240"></a></div></div><div style="text-align: justify;">সাধারণ মানুষ মনে করে শুধু নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। এটা ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><i>পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ ছাড়াও আরো ১১স্থানে আযান দেয়ার কথা হাদিস-ফিকহ্'র কিতাবে এসেছে।</i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i><br></i></b></div><div style="text-align: justify;">১.নবজাতক সন্তান জন্মগ্রহণের পরপর কানে আযান দিতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">২.অগ্নিকাণ্ড দেখলে হাদিস শরীফে আযানের নির্দেশ আছে।</div><div style="text-align: justify;">৩.যুদ্ধ যখন তুমুল ও চরম আকার ধারণ করে তখনো আযান দেয়ার বিধান আছে। </div><div style="text-align: justify;">৪.কোন ব্যক্তির উপর জিনের আছর হলে কিংবা কোন ঘরে দুষ্ট জিনের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তখনো আযান দিয়ে এদেরকে তাড়াতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">৫.কবর তালক্বীনে আযান দেয়ার কথা হাদিসেই রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">৬.কারো রাগ প্রশমনে,কিংবা দুঃশ্চিন্তা দুরীকরনে আযান খুব উপকারী।</div><div style="text-align: justify;">৭.মৃগী রোগীর হুশ আনতে এবং মূর্ছা যাওয়া/অজ্ঞান হওয়া ব্যাক্তির হুশ-জ্ঞান ফিরিয়ে আনতেও আযান একটি কার্যকর ও পরীক্ষিত তদবীর।</div><div style="text-align: justify;">৯.মুসাফির পথ হারিয়ে ফেললে আযান দিলে আল্লাহ পাক রিজালুল গায়েব দ্বারা তাকে পথ দেখান।</div><div style="text-align: justify;">১০.মহামারীর ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেলেও আযান দিতে হয়।</div><div style="text-align: justify;">১১.ভুমিকম্প হলে একমাত্র কাজ আযান দেয়া।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b><i>(সুত্রঃ মেরাত শরহে মিশকাত, দুররে মোখতার ও রদ্দুল মোহতারের বরাতে, ১ম খন্ড কিতাবুল আযান)</i></b></div>

নামাজ ছাড়াও ১১ স্থানে আজানের বিধান

🖊️আব্দুল আজিজ আনোয়ারী সাধারণ মানুষ মনে করে শুধু নামাযের জন্য আযান দেয়া হয়। এটা ধর্মীয় জ্ঞানের স্বল্পতা। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও জুমার নামাজ ছাড়...

আরও পড়ুন »

মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (ﷺ) সম্পূর্ণ.pdf

<div>মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পূর্ণ.pdf</div><div><br></div><div><a href="https://drive.google.com/drive/folders/1sEtgq5FjbDtO556nX08eQlHGkppEsreA?usp=sharing" target="_blank" style="font-size: 1.25em;">Download All part</a> (click here)</div>

মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (ﷺ) সম্পূর্ণ.pdf

মজমুয়ায়ে সালাওয়াতে রাসূল (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পূর্ণ.pdf Download All part (click here)

আরও পড়ুন »

আল্লাহ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং পাশাপাশি ইমামদের অনুসরণ করার নির্দেশ

<div>আল্লাহ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং পাশাপাশি ইমামদের অনুসরণ করার নির্দেশ!! </div><div><br></div><div>আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনুগত্য কর রাসুলের এবং তোমাদের মধ্যে হতে "উলিল আমর"দের"। (সূরা নিসা, আয়াতঃ ৫৯)</div><div><br></div><div>উলিল আমর কারা? </div><div><br></div><div>➤ ইমাম আবু আ'লীয়া বলেন, "নিশ্চয়ই আলেমগণ, যারা আহকামে শরীয়তের মাসায়ালা বের করতে পারেন অর্থাৎ মুজতাহিদ"। (তাফসিরে রুহুল মা'য়ানী ৬/১০৫)</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-0SNjXQVQCOo/Ypb2fReJylI/AAAAAAAAPCQ/ORsIDosy0-04HJlNb8I17s-2mbP5agJqQCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1654060574533.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="585" data-original-width="1080" height="173" src="https://lh3.googleusercontent.com/-0SNjXQVQCOo/Ypb2fReJylI/AAAAAAAAPCQ/ORsIDosy0-04HJlNb8I17s-2mbP5agJqQCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1654060574533.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>➤➤ হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, "দ্বীনের (মুজতাহিদ) ফুকাহাগণ"। [১]</div><div><br></div><div>➤➤ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাবির (রাঃ) বলেন, "ফুকাহাগণ"। [২]</div><div><br></div><div>➤➤ তাবেয়ী ইমাম মুজাহিদ (রহঃ) বলেন "তারা হলেন, ফকিহ এবং আলেমগণ"। [৩]</div><div><br></div><div>➤➤ ইমাম আ'তা (রহঃ) বলেন, "ইলম এবং ফিকাহ বিশেষজ্ঞগণ"। (সুনানে দারেমী হাঃ ২২৫)</div><div><br></div><div>উক্ত আয়াত ও তাফসিরের আলোকে সুস্পষ্ট যারা মাযহাব অনুসরণ করেন মূলত সঠিক পথে রয়েছে। </div><div><br></div><div>[১][২][৩] তথ্যসূত্রঃ ইমাম হাকেম "মুস্তাদরাক" ১/১২৩, মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা ১২/২১৩, তাফসিরে তাবারী ৭/১৮০, তাফসিরে ইবনে আবি হাতেম হাঃ ৫৫৩৩, ৫৫৩৫, তাফসিরে ইবনে কাসীর ২/৩৪৫, তাফসিরে আদ দুররে মানছুর ৪/৫০৫, তাফসিরে কুরতুবি ৬/৪৩০।</div>

আল্লাহ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং পাশাপাশি ইমামদের অনুসরণ করার নির্দেশ

আল্লাহ, তাঁর রাসুল ﷺ এবং পাশাপাশি ইমামদের অনুসরণ করার নির্দেশ!!  আল্লাহ তা'য়ালা বলেন, "হে ঈমানদারগণ, তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর ও আনু...

আরও পড়ুন »