১২ রবিউল আউয়াল রসুলে পাকের বেলাদত হওয়ার হাদিস

<p dir="ltr">হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এটাই সহীহ মত। <br>--------------------------------------------------------------------------</p><p dir="ltr">সহীহ হাদীস শরীফে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফের তারিখ,বার, মাস সবই বর্ণনা করা আছে। হাফিজে হাদীস হযরত আবু বকর ইবনে আবী শায়বা রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেটা বিশুদ্ধ সনদে হাদীস শরীফে বর্ননা করেন-</p><p dir="rtl">حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَفَّانُ، عَنْ سَلِيمِ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ مِينَا، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْأَنْصَارِيِّ وَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُمَا قَالَا: " وُلِدَ رَسُولُ اللَّهِ يَوْمَ الْفِيلِ، يَوْمَ الِاثْنَيْنِ، الثَّانِي عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيعٍ الْأَوَّلِ</p><p dir="ltr">অর্থ : হযরত আফফান রহমাতুল্লাহি আলাইহি হতে বর্নিত,তিনি সলিম ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি হযরত সাঈদ ইবনে মীনা রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ননা করেছেন যে, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ হস্তি বাহীনি বর্ষের ১২ই রবীউল আউয়াল সোমবার শরীফ হয়েছিল।” (দলীল-কিতাব: আস সিরাতুন নাববিয়া ১ম খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা।<br>লেখক: ইমাম আবিল ফিদা ইসমাঈল ইবনে কাছীর।)</p><p dir="ltr">হাদীছ শরীফ খানা উল্লেখ করে বলা হয়েছে,<br>وهذا هو المشهور عند الجمهو<br>অর্থ: জমহুর  উলামায়ে কিরাম উনাদের নিকট এটা মতটাই প্রসিদ্ধ।</p><p dir="ltr">সূতরাং হাদীছ শরীফ ও উলামায়ে কিরাম উনাদের মতামত থেকে প্রমাণ হলো হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তারিখ হচ্ছে ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার। আর এটাই গ্রহনযোগ্য মত। <br>এর বিরোধী যত মত রয়েছে তা হাদীছ শরীফ বিরোধী। ৯ তারিখ প্রমাণ করতে কেউ কেউ মিশরের মাহমুদ পাশা জ্যোতিষির মত উল্লেখ করে।  কোন জ্যোতিষি গনকের মত হাদীছ শরীফের মোকাবেলায় কতটা ঠুনকো আপনারা বুঝেন আশা করি।</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhynY3ooTATg3VdFKBs2FmJDkcufik5o5e9IRodufGaecqbr-YUAtImx2_kIdE1bJ1-ULnAF3VwrEWxBNan78YPI1uLN3TLmt-u_JPudXamG2DdOzRlStvpgcPfsMJgJNf94nmI_lg5Uck/s1600/FB_IMG_1510594920189.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhynY3ooTATg3VdFKBs2FmJDkcufik5o5e9IRodufGaecqbr-YUAtImx2_kIdE1bJ1-ULnAF3VwrEWxBNan78YPI1uLN3TLmt-u_JPudXamG2DdOzRlStvpgcPfsMJgJNf94nmI_lg5Uck/s640-rw/FB_IMG_1510594920189.jpg"> </a> </div>

১২ রবিউল আউয়াল রসুলে পাকের বেলাদত হওয়ার হাদিস

হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ তারিখ ১২ রবিউল আউয়াল। এটাই সহীহ মত। ----------------------------------------------...

Read more »

রুদ্দুল মোহতার কিতাবে ঈদে মিলাদুন্নবী

<p dir="ltr">হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে বর্ণিত আছে,</p><p dir="rtl">أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ لَيْلَةُ الْقَدْرِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْإِسْرَاءِ وَالْمِعْرَاجِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ عَرَفَةَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْجُمُعَةِ ، ثُمَّ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ ، ثُمَّ لَيْلَةُ الْعِيدِ<br>অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।”</p><p dir="ltr">[দলীল: রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার ৮/২৮৫ (শামেলা) , পুরাতন ছাপা ৫০৫ পৃষ্ঠা]</p><p dir="ltr">উপরোক্ত ফতোয়া থেকে যা বোঝা গেলো,<br>১) সকল রাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত।<br>২) অন্য সকল রাতের মর্যদা এই রাতে পরে।<br>৩) যারা বলে দুই ঈদা ছাড়া ঈদ নাই তাদের জ্ঞাতার্থে -ঈদের রাতের চাইতেও এ রাতের মর্যাদা বেশি। </p><p dir="ltr">সূতরাং আমাদের উচিত এ রাতের যথাযথ সম্মান দেয়া, এবং অত্যান্ত মর্যাদার সাথে পালন করা।</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEin3YteNBuyEjXB_yxneROZRT-g5SybksSSpn1qCjm3E9ubr_vuO0S6UA6lZ_ixHYH7-mZAMlFpREiEln9tb5NTIgYodgMhaYgSzK5voveafyZkOVXB2oFo5arYxXes-PO7fCZchKHeLGg/s1600/FB_IMG_1510593018547.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEin3YteNBuyEjXB_yxneROZRT-g5SybksSSpn1qCjm3E9ubr_vuO0S6UA6lZ_ixHYH7-mZAMlFpREiEln9tb5NTIgYodgMhaYgSzK5voveafyZkOVXB2oFo5arYxXes-PO7fCZchKHeLGg/s640-rw/FB_IMG_1510593018547.jpg"> </a> </div>

রুদ্দুল মোহতার কিতাবে ঈদে মিলাদুন্নবী

হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ফতোয়ার কিতাব ‘রদ্দুল মুহতার আলা দুররুল মুখতার’ কিতাবে বর্ণিত আছে, أَنَّ أَفْضَلَ اللَّيَالِي لَيْلَةُ مَوْلِدِهِ صَل...

Read more »

ইমাম তাহাবীর মতে ঈদে মিলাদুন্নবীর রাত সকল রাতের সেরা

<p dir="ltr">হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন পবিত্র  মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের মর্যাদা সকল রাতের চাইতে বেশি।<br>-----------------------------------------------------------------------</p><p dir="ltr">হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি (২২৯- ৩২১ হিজরী) তিনি বলেছেন, <br>ونقل الطحاوي عليه الرحمة في حواشي المختار عن بعض الشافعية أن أفضل الليالي ليلة مولده عليه الصلاة والسلام ثم ليلة القدر ثم ليلة الإسراء والمعراج ثم ليلة عرفة ثم ليلة الجمعة ثم ليلة النصف من شعبان ثم ليلة العيد<br>অর্থ: রাত সমূহের মধ্যে উত্তম রাত হচ্ছে পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাত, অতপর লাইলাতুল কদরের রাত, অতপর মিরাজ শরীফের রাত, অতপর আরাফার রাত, অতপর জুমুয়ার রাত, অতপর ১৫ শাবানের রাত, অতপর ঈদের রাত।” </p><p dir="ltr">(দলীল: স্ক্যান ক্যাপশন - তাফসীরে রুহুল মায়ানী ১৯/ ১৯৪, সূরা ক্বদরের তাফসীরে)</p><p dir="ltr">লক্ষ্যনীয় যে ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি ১২০০ বছর আগের একজন জগৎবিখ্যাত ইমাম। সেই ইমাম তাহাবী রহতুল্লাহি আলাইহি তিনিও পবিত্র মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ফযিলত সকল রাতের চাইতে বেশি সেটা বলে গেছেন। উক্ত কওল হানাফী মাযহাবের অন্যতম কিতাব “রদ্দুল মুহতার” কিতাবেও আছে। এতে যা বোঝা গেলো,</p><p dir="ltr">প্রথমত, হযরত ইমাম তাহাবী একজন মুজতাহিদ শ্রেনীর আলেম।<br>দ্বিতীয়ত, এটা একটা মাযহাবের মুস্তাহিদের বক্তব্য।<br>তৃতীয়ত, এটা ফিকাহের কিতাবেও আছে।</p><p dir="ltr">সূতরাং পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের গুরুত্ব কতবেশি সেটা এখান থেকেই স্পষ্ট হলো। এরপরও যারা বিরোধীতা করবে আল্লাহ পাকের কাছে তাদের জন্য হিদায়েত কামনা করা ছাড়া আর কিছু করার নাই।</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhStO_xGv0f7n26O2tP8q32qpxLo-2ZqsTI8KnaqzDjdiQLOpcaP9-shiJNNN_QZk8pzVpprxqCVuvUMLmROyZsabXrjU12XKPqTjFahgFm4x3rUU1Tiv0KIQ4Ep_byAOJfNACWKlE5ahw/s1600/FB_IMG_15105929591473868.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhStO_xGv0f7n26O2tP8q32qpxLo-2ZqsTI8KnaqzDjdiQLOpcaP9-shiJNNN_QZk8pzVpprxqCVuvUMLmROyZsabXrjU12XKPqTjFahgFm4x3rUU1Tiv0KIQ4Ep_byAOJfNACWKlE5ahw/s640-rw/FB_IMG_15105929591473868.jpg"> </a> </div>

ইমাম তাহাবীর মতে ঈদে মিলাদুন্নবীর রাত সকল রাতের সেরা

হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত ইমাম হযরত ইমাম তাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন পবিত্র  মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের মর্যাদা সকল...

Read more »

সাহাবাকেরাম নবীজীকে কেমন মহব্বত করতেন

<p dir="ltr">জেনে রাখা দরকার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কতটা ভালোবাসতেন। </p><p dir="rtl">حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، قَالَ قُلْتُ لِعَبِيدَةَ عِنْدَنَا مِنْ شَعَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَصَبْنَاهُ مِنْ قِبَلِ أَنَسٍ، أَوْ مِنْ قِبَلِ أَهْلِ أَنَسٍ فَقَالَ لأَنْ تَكُونَ عِنْدِي شَعَرَةٌ مِنْهُ أَحَبُّ إِلَىَّ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا‏.</p><p dir="ltr">হযরত  ইবনু সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হযরত আবীদা রহমতুল্লাহি আলাইহি কে বললাম, আমাদের কাছে হযরত রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কেশ মুবারক রয়েছে যা আমরা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কাছ থেকে কিংবা হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর পরিবারের কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি বললেন, উনার একটি কেশ মুবরাক আমার কাছে থাকাটা গোটা দুনিয়া এবং দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তা পাওয়ার চাইতে বেশী পছন্দনীয়।” (সহীহ বুখারী ১ম খন্ড ৫৫ পৃষ্ঠা: হাদীছ শরীফ নং ১৭০)</p><p dir="ltr">কেশ বা চুল মুবারককে গোটা দুনিয়ার চাইতে বেশি ভালোবাসতেন। তাহলে স্বয়ং হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কতটা ভালোবাসতেন সেটা ফিকিরের বিষয়।<br>আর আজকে এক শ্রেনীর লোক তারা হযরত নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতই মনে করে। নাউযুবিল্লাহ।</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgY2bRqOd0IfPnIFRaWx-rchOe6IMtcEl_U0j60GnavNIKyq-_CHJ4p5durl04FnBh0wU6qBSVwikl3q7GeVqDKv7V9K_jgjm688RoNDKUNzZ7sCNEgzb95LiySoyAxmLBmFPX6-eAjRxc/s1600/FB_IMG_1510378536430.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgY2bRqOd0IfPnIFRaWx-rchOe6IMtcEl_U0j60GnavNIKyq-_CHJ4p5durl04FnBh0wU6qBSVwikl3q7GeVqDKv7V9K_jgjm688RoNDKUNzZ7sCNEgzb95LiySoyAxmLBmFPX6-eAjRxc/s640-rw/FB_IMG_1510378536430.jpg"> </a> </div>

সাহাবাকেরাম নবীজীকে কেমন মহব্বত করতেন

জেনে রাখা দরকার হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনারা হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কতটা ভালোবাসতেন। حَد...

Read more »

জুমার দিনও ঈদের দিন

<p dir="ltr">পবিত্র জুমুয়ার দিনও ঈদের দিন। যারা বলে দুই ঈদ ছাড়া ঈদ নাই তারা এর জবাবে কি বলবে? <br>عبد الرزاق عن معمر عن الزهري قال أخبرني من لا أتهم عن أصحاب النبي صلى الله عليه و سلم أنهم سمعوا رسول الله صلى الله عليه و سلم في يوم جمعة من الجمع وهو على المنبر يقول يا معشر المسلمين إن هذا يوم جعله الله عيدا للمسلمين<br>এক জুমুয়ার দিন হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে মিম্বার শরীফে দাড়িয়ে বললেন, হে মুসলমানগন! নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক জুমুয়ার দিনকে মুসলমানদের ঈদের দিন নির্ধারন করেছেন। (মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৩য় খন্ড ১৯৭ পৃষ্ঠা: হাদীছ নং ৫৩০১)</p><p dir="ltr">সূতরাং যারা বলবে দুই ঈদ ছাড়া ঈদ নাই তারা হাদীছ শরীফ বিরোধীতাকরী।</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0JpT-fYH-SgvjEyfdmvYCtA3VXUtLRgyhYtuwRqoKHzcEb0jUD5t3tK_iEUWAoTJNJ42GF2XklO9TxZj4rarUOkRwo6_1RzNwcXYQ4Qj0gWYd5JkTskDqzHNR4LxWALECsikdfajx4KE/s1600/FB_IMG_1510216028011.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh0JpT-fYH-SgvjEyfdmvYCtA3VXUtLRgyhYtuwRqoKHzcEb0jUD5t3tK_iEUWAoTJNJ42GF2XklO9TxZj4rarUOkRwo6_1RzNwcXYQ4Qj0gWYd5JkTskDqzHNR4LxWALECsikdfajx4KE/s640-rw/FB_IMG_1510216028011.jpg"> </a> </div>

জুমার দিনও ঈদের দিন

পবিত্র জুমুয়ার দিনও ঈদের দিন। যারা বলে দুই ঈদ ছাড়া ঈদ নাই তারা এর জবাবে কি বলবে? عبد الرزاق عن معمر عن الزهري قال أخبرني من لا أتهم عن أصحاب...

Read more »

শয়তান চারবার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল

<p dir="ltr">হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান । সে এতোটাই কষ্ট পেয়েছিল যে, কষ্টে সে রীতিমত কান্না করছে।</p><p dir="rtl">حكى السهيلي عن تفسير بقي بن مخلد الحافظ : أن إبليس رن أربع رنات; حين لعن ، وحين أهبط ، وحين ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم ، وحين أنزلت الفاتحة</p><p dir="ltr">“শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল ,প্রথম বার যখন আল্লাহ তায়ালা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বের করে দেয়া হয়। তৃতীয়বার, যখন হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বেলাদত শরীফ হয়। এবং চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা নাযেল হয়।”</p><p dir="ltr">(দলীল: আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া-২য় খণ্ড ২৬৬, ২৬৭,পৃষ্ঠা<br>লেখক: আবুল ফিদা হাফিজ ইবনে কাছির আদ দামেষ্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি।<br>প্রকাশনা: মাকতাবাতুল মা’রেফা, বয়রুত লেবানন।)</p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipiYrhZLafi00HQUALaqBMY8mzUwHu2wRIwtAgs_TbZSzeDOpcmRP_Gm3dS0nj0ipRkjSFQeaVger9CGMBR4s602OZbvaICXn0NR_iFbmgOGOIzGAxSEXiUREYB8KlkkZS87QGNVW7jCc/s1600/FB_IMG_1510052315278.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEipiYrhZLafi00HQUALaqBMY8mzUwHu2wRIwtAgs_TbZSzeDOpcmRP_Gm3dS0nj0ipRkjSFQeaVger9CGMBR4s602OZbvaICXn0NR_iFbmgOGOIzGAxSEXiUREYB8KlkkZS87QGNVW7jCc/s640-rw/FB_IMG_1510052315278.jpg"> </a> </div>

শয়তান চারবার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল

হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফে সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো কে জানেন? সব চাইতে বেশি কষ্ট পেয়েছিলো ইবলিশ শয়তান...

Read more »

মৃতুবার্ষিকী পালন ও তারিখ নির্ধারণ

<p dir="ltr">নবী  করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  প্রতি    বছর শহীদদের কবরের পাশে যেতেন এবং দোয়া করতেন। এই    আমল  নবী  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি  ওয়াসাল্লাম   এর প্রাণপ্রিয়  সাহাবীদের  মধ্যেও   ছিল।   মুসান্নেফে  আব্দুর রাজ্জাকের মধ্যে একটি বর্ণনা আছে- <br> <br>عن محمد بن ابراهيم التيمى قال كان النبى صلى الله عليه وسلم يأتى قبور الشهداء عند  رأس الحول فيقول السلام عليكم بما  صبرتم   فنعم  عقبى الدار  قال  وكان ابو  بكر وعمر وعثمان يفعلون ذلك- <br> <br>অর্থাৎ   হযরত   মুহাম্মদ   বিন   ইবরাহীম   তাইমী   বর্ণনা  করেন     যে,    হুজুর     নবী    করিম     সাল্লাল্লাহু    আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এর  আমল  ছিল  যে, নবী   করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  প্রতি   বছরের  শুরুতে   শহীদদের  কবরের  পাশে  তাশরীফ  আনতেন। অতঃপর বলতেন, তোমাদের   উপর   শান্তি   নাজিল   হোক।    ঐ   জিনিসের  বিনিময়ে,     যে     জিনিসের     উপর     তোমরা     ধৈর্যধারণ  করেছ।     অতএব     তোমাদের    জন্য     পরকালে     উত্তম ঠিকানা  আছে  রাবী   বর্ণনা  করেছেন  যে,   হযরত    আবু বকর    রাদিয়াল্লাহু    আনহু,    হযরত    ওমর    রাদিয়াল্লাহু  আনহু এবং উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এর এই আমলই ছিল। <br> <br>ফতোয়ায়ে    শামী-     কবর      জিয়ারত      অধ্যায়ে    বর্ণিত হয়েছে- <br> <br>روى  عن  ابن  ابى شيبة  ان  النبى   صلى الله عليه  وسلم  كان يأتى قبور الشهداء باحد على رأس كل حول <br> <br>অর্থ:    হযরত   ইবনে   আবি    শায়বা   রাদিয়াল্লাহু   আনহু থেকে বর্ণিত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি    বৎসর     ওহুদ    যুদ্ধে     শাহাদতপ্রাপ্ত    সাহাবীদের  কবরে তাশরীফ নিতেন। (জাআল হক্ব) <br> <br>এ    ব্যাপারে    তাফসিরে    কবির    ও    তাফসিরে    দুররে  মনসুর কিতাবদ্বয়ে বর্ণিত হয়েছে- <br> <br>عن رسول  الله  عليه السلام  انه كان  يأتى قبور الشهداء  على رأس كل حول فيقول سلام  عليكم بماصبرتم فنعم   عقبى الدار <br> <br>অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম   থেকে বর্ণিত  তিনি প্রতি বৎসর  শহীদানদের কবরে  তাশরিফ নিতেন    এবং    বলতেন-    ‘তোমাদের   সবরের    কারণে  তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর তোমাদের এ পরিণাম গৃহ কতই না চমৎকার। (জা-আল হক্ব)। <br> <br>উপরোক্ত  হাদিসশরীফ  দ্বারা   প্রমাণিত  হলো    যে,  মৃত ব্যক্তির ঈসালে  সওয়াবের উদ্দেশ্যে  প্রতি  বছর  দোয়া  দরূদ কোরআন  তিলাওয়াত,   কবর জিয়ারত ইত্যাদির মাধ্যমে  মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা  নবীজী   ও   সাহাবায়ে কেরামের অনুসৃত আমল। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-hJl2D_xV6qw/Wa7ErwLW5EI/AAAAAAAAA44/BUZKMxd6U5AZrUcEEgTgQLXJzHwBUbXVACHMYCw/s1600/Islamic-Wallpapers.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-hJl2D_xV6qw/Wa7ErwLW5EI/AAAAAAAAA44/BUZKMxd6U5AZrUcEEgTgQLXJzHwBUbXVACHMYCw/s640-rw/Islamic-Wallpapers.jpg"> </a> </div>

মৃতুবার্ষিকী পালন ও তারিখ নির্ধারণ

নবী  করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  প্রতি    বছর শহীদদের কবরের পাশে যেতেন এবং দোয়া করতেন। এই    আমল  নবী  সাল্লাল্লাহু   আলাইহি  ওয়াস...

Read more »

১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী

<p dir="ltr"> আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম      ৫৭০   খ্রিস্টাব্দে   ১২ই   রবিউল    আউয়াল  রোজ সোমবার  সোবহে    সাদিকের  সময় এ পৃথিবীতে আগমন     করেছেন।     ইহাই     প্রসিদ্ধ       ও       গ্রহণযোগ্য  অভিমত।   অথচ   হামিদী  সাহেব  ইহা  মানতে  নারাজ। তিনি        বলেছেন        রাসূলেপাক       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর  শুভাগমন  ১২ই  রবিউল আউয়াল ছিল না।   বরং   ৮ই   রবিউল   আউয়াল     ছিল।   যেমন    তিনি লিখেছেন- <br> <br>‘চন্দ্র  বছরের   ক্যালেন্ডার অনুযায়ী  হিসাব করে  দেখুন  আজ    থেকে    ১৪৩১    হি:    সন    পূর্বের    ১২ই    রবিউল  আউয়াল  কখনো  সোমবার  হয়  না  বরং  শুক্রবার  হয়।  তাই    বিশুদ্ধ    ঐতিহাসিকগণের     সিদ্ধান্ত    ৮ই     রবিউল আউয়াল   ছিল   রাসূল  সাল্লাল্লাহু    আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এর জন্ম তারিখ। ’ <br> <br>অন্য জায়গায় লিখেছেন- <br> <br>‘মিলাদুন্নবীর আলোচনার জন্য ১২ই  রবিউল   আউয়াল তারিখ  নির্দিষ্ট  করা  এবং  রাস্তায়  রাস্তায়  মিছিল  বাহির  করা   বিদআত।   কারণ  ইহার  কোন    প্রমাণ   কোরআন হাদিসে নেই। ’ <br> <br>আমি    বলব,   ইহা   একটি   ঐতিহাসিক   ব্যাপার।   তাই  তারিখ  নিয়ে ঐতিহাসিকদের  মধ্যে  মতানৈক্য থাকাটা স্বাভাবিক।      তবে      অধিকাংশ      ঐতিহাসিকদের      মত  অনুযায়ী  রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়াসাল্লাম এর বেলাদতশরীফ ১২ই রবিউল আউয়ালেই হয়েছিল। কিন্তু  হামিদী  সাহেব   যে  ভাবে  চ্যালেঞ্জ  করে   বললেন হিসেব করে দেখার জন্য ইহা তার গলাবাজি বৈ কিছুই নয়। <br> <br>এবার আসুন ঐতিহাসিকদের সীরাত   গ্রন্থ  থেকে দেখা যাক  নবী   করিম   সাল্লাল্লাহু  আলাইহি   ওয়াসাল্লাম  এর বেলাদত শরীফ কোন তারিখে হয়েছিল। <br> <br>ইবনে    হিশাম  কর্তৃক  রচিত  জগৎবিখ্যাত  সীরাত   গ্রন্থ السيرة النبوية কিতাবে বর্ণিত হয়েছে- <br> <br>قال  ابن اسحاق ولد  رسول الله  صلى الله عليه وسلم  يوم الاثنين لاثنتى عشرة ليلة خلت من شهر ربيع الاول عام الفيل- <br> <br>ইবনে ইসহাক   বলেছেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হস্তি   বর্ষে  রবিউল   আউয়াল  মাসের    ১২ই তারিখ  সোমবার  দিনে  জন্মগ্রহণ  করেছেন।  (সীরাতে  ইবনে হিশাম) <br> <br>আল্লামা  ইবনে  কাছির     তাঁর   বেদায়া  ও   নেহায়া  গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন- <br> <br>عن  عفان   عن  سعيد  بن   مينا   عن  جابر   وابن  عباس انهما قالا ولد رسول الله صلى الله عليه وسلم عام الفيل يوم   الاثنين الثانى  عشر  من شهر ربيع الاول وفيه  بعث  وفيه     هاجر   وفيه   مات    وهذا   هو    المشهور-   (البداية  والنهاية) <br> <br>অর্থ:   হযরত    আফফান    থেকে    বর্ণিত-   তিনি    হযরত  সায়ীদ ইবনে মীনা থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি হযরত জাবের   রাদিয়াল্লাহু   আনহু   ও   হযরত   ইবনে   আব্বাস  রাদিয়াল্লাহু   আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন। তাঁরা উভয়ে বলেন-     নবী   করিম   সাল্লাল্লাহু     আলাইহি    ওয়াসাল্লাম হস্তিবাহিনী বর্ষে  সোমবার দিনে ১২ই রবিউল আউয়াল তারিখে      জন্মগ্রহণ      করেছেন।      এই      দিনেই      তিনি  নবুয়তের দায়িত্ব পেয়েছেন, এই দিনেই  তিনি হিজরত করেছেন   এবং    এই  দিনেই  তিনি   ওফাত  পেয়েছেন। ইবনে কাছির বলেন- ইহাই প্রসিদ্ধ ও মশহুর অভিমত। (নূরনবী) <br> <br>অতএব এ ব্যাপারে ঐকমত্য  হয়েছে   যে, রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম ১২ই রবিউল আউয়াল  রোজ  সোমবার এই ধরনীতে আগমন করেছেন। অথচ হামিদী     সাহেব     বললেন-     মিলাদুন্নবীর     জন্য     ১২ই  রবিউল আউয়াল তারিখ নির্দিষ্ট করা বিদআত। <br> <br>আমি বলতে চাই    ১২ই রবিউল  আউয়াল তারিখ নিয়ে যদি   আপনাদের   এ  সমস্যা   তাহলে  আপনাদের  কথা অনুযায়ী ৮ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করুন। তাহলে তো আর কোন সমস্যা থাকে না। <br> <br>আসল কথা হলো  ৮ তারিখ বা ১২ তারিখ কোন বিষয় নয়।   বিষয়  হচ্ছে   মিলাদশরীফ     পড়া  বা   মিলাদুন্নবী পালন  করা  নিয়ে।   তারিখ  সংক্রান্ত   গোলকধাধাঁ  দিয়ে শুধুমাত্র সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়া হচ্ছে। তাইতো    হামিদী   সাহেব   মিলাদশরীফ    পাঠ    করাকে   জোর     গলায়     হিন্দু     ব্রা‏হ্মণের     মন্ত্র     পড়ার     সাদৃশ্য  বলেছেন। </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Bmr3l3s-z-k/WadWnkZfcmI/AAAAAAAAAuY/ho35OcgeSBAxENwkr4etXbXmH1jx56kPACHMYCw/s1600/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Bmr3l3s-z-k/WadWnkZfcmI/AAAAAAAAAuY/ho35OcgeSBAxENwkr4etXbXmH1jx56kPACHMYCw/s640-rw/Kuba-Masjid-Muhammad-1024x768.jpg"> </a> </div>

১২ রবিউল আউয়াল ঈদে মিলাদুন্নবী

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম      ৫৭০   খ্রিস্টাব্দে   ১২ই   রবিউল    আউয়াল  রোজ সোমবার  সোবহে    সাদিকের...

Read more »

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল

<p dir="ltr">ঈদে       মিলাদুন্নবী       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি      ওয়াসাল্লাম উদযাপন ও  মিলাদ   শরীফের মাহফিল  সম্বন্ধে  হামিদী সাহেব  যে  বক্তব্য  প্রদান করেছেন তা  এত জঘন্য যে, একজন   নাস্তিককেও     হার    মানায়।   তিনি   মিলাদুন্নবী  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি   ওয়াসাল্লামকে  নাজায়েজ   ও  মন্দ  বিদআত প্রমাণ করার ব্যর্থ চেষ্টা করতে গিয়ে অশালীন কটুক্তি    করেছেন।   এমনকি     মিথ্যাচার   ও    প্রতারণার মাধ্যমে সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। <br> <br>এবার    তার  বিকৃত    মস্তকপ্রসূত  দুর্গন্ধময়  উক্তিটি    ল্য করুন; তিনি লিখেছেন- <br> <br>‘যে   মজলিসে    ৯৯%    বাংগালীদের   উপস্থিতি,   যাদের ৯৫% আরবী ভাষা জানে না তাদের সামনে আরবী  বা ফারসী    ভাষায়   ‘ওয়ালাম্মা   তাম্মা   মিন    হামলিহী’বলে রাসূলের   মিলাদ  পাঠ  করা  হিন্দু  বাবনের  মন্ত্র  পড়ার  সাদৃশ্য। ’ (নাউজুবিল্লাহ) <br> <br>(এখানে বাবন  শব্দটি অভিধান  বহির্ভুত।  প্রকৃত শব্দটি ব্রা‏‏‏হ্মণ হওয়া উচিত ছিল। ) <br> <br>পর্যালোচনা <br> <br>আরবি  ভাষা  না   বুঝার   কারণে  যদি   রাসুল    সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিলাদ শরীফ পাঠ করা হিন্দু ব্রা‏‏হ্মণের  মন্ত্র পড়ার   সাদৃশ্য হয়ে যায়, তাহলে  আমি   বলব    আমাদের    ইবাদত    বন্দেগি    যেগুলো    অবশ্যই   আরবীতে        পড়তে        হয়,           হামিদী         সাহেব        কি সেগুলোকেও    ব্রা‏‏হ্মণের      মন্ত্র     পড়ার      সাথে      তুলনা   করবেন?   যেমন  নামাযের               কিরাত,               কোরআন               তিলাওয়াত,            আযান-ইকামত,            দরূদশরীফ,  জুমুয়ার      খুৎবাহ     ইত্যাদি।     কারণ        এগুলোর       অর্থ   অধিকাংশ    লোক    বুঝতে    অম।   আসলে    ইহা    তার      মিলাদশরীফের     প্রতি   বিদ্বেষেরই  বহি:প্রকাশ। <br> <br>অথচ    ولما       تم     من     حمله    সংক্রান্ত    মিলাদশরীফের রেওয়ায়েত       বর্ণনা       যিনি      করেছেন       তিনি      হলেন   জগৎবিখ্যাত আলিম সৈয়দ জাফর ইবনে হাসান ইবনে আব্দুল  করীম  আল  বরযিঞ্জি।   ওফাত  ১১৮৪  হিজরি।  তিনি  মদিনাশরীফে শাফেয়ী মাযহাবের  মুফতি ছিলেন  এবং   মসজিদে   নববীতে   দরস   দিতেন।   তাঁর     রচিত ‘আল ইকদুল জাওহার ফি মাওলিদি নাবিয়্যিল আযহার’ সংেেপ        মওলুদে       বরযিঞ্জি         নামে       সারা       বিশ্বে সুপরিচিত। <br> <br>উক্ত  কিতাবে   তিনি   মিলাদ  শরীফের  কিয়াম   সম্পর্কে হাদিস ও ফিকাহ বিশারদগণের ফতোয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে এভাবে উল্লেখ করেছেন- <br> <br>واستحسن القيام عند  ذكر    مولده الشريف   ائمة ذو رواية ودراية فطوبى لمن كان تعظيمه صلى الله عليه وسلم غاية مرامه ومرماه- <br> <br>অর্থ:  নবী  করিম  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি   ওয়াসাল্লাম   এর বেলাদত  শরীফ    বর্ণনাকালে  দাঁড়িয়ে   সম্মান   প্রদর্শন করাকে হাদিস ও ফিকাহ বিশারদ   ইমামগণ মুস্তাহসান বা  উত্তম বলেছেন। অতএব  তাদের  জন্য  শুভ  সংবাদ নবীজীর   প্রতি  তা’জিম   প্রদর্শন  যাদের  চূড়ান্ত    ল্য  ও উদ্দেশ্য। (সুন্নী বার্তা- ৫৬ সংখ্যা) <br> <br>তাছাড়া হামিদী সাহেবের পূর্বসূরী দেওবন্দীদের নেতা মাওলানা   রশিদ   আহমদ    গাঙুহী   তদীয়    ‘ফতোয়ায়ে   মিলাদ  শরীফ  ওয়া  গায়রা’   নামক  পুস্তকেও    এ  রকম বেআদবিমূলক উক্তি করে গেছেন- তিনি লিখেছেন- <br> <br>پس یہ  ہر روز اعادہ ولادت مثل ھنود کے سانکہ  کنھیا کی ولادت کا ہر سال کرتے ہیں- <br> <br>অর্থ: প্রতি বৎসর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর    মিলাদশরীফের     আয়োজন    করা     হিন্দুদের    ছাং কানাইয়ার          জন্মানুষ্ঠানের          মতো।            নাউজুবিল্লাহ (হাকিকতে মিলাদ) </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-FWeBk7xeldA/WadV_FpRzLI/AAAAAAAAAuQ/VmDlvq-ADSQEZ19-htHI_ZKeMyMcn9d9gCHMYCw/s1600/images-11.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-FWeBk7xeldA/WadV_FpRzLI/AAAAAAAAAuQ/VmDlvq-ADSQEZ19-htHI_ZKeMyMcn9d9gCHMYCw/s640-rw/images-11.jpg"> </a> </div>

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী মাহফিল

ঈদে       মিলাদুন্নবী       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি      ওয়াসাল্লাম উদযাপন ও  মিলাদ   শরীফের মাহফিল  সম্বন্ধে  হামিদী সাহেব  যে  বক্তব্য ...

Read more »

মিলাদুন্নবী যুগে যুগে

<p dir="ltr"> নবম অধ্যায়ঃ মিলাদুন্নাবী যুগে যুগে<br>মিলাদুন্নবী উৎসব যুগে যুগেঃ<br>===========<br>নবী করিম [ﷺ] নবুয়ত পরবর্তীকালে নিজেই সাহাবীদেরকে নিয়ে নিজের মিলাদ পড়েছেন এবং নিজ জীবনী আলোচনা করেছেন। যেমন- হযরত ইরবায ইবনে ছারিয়া (رضي الله عنه) একদিন নবী করিম [ﷺ]-কে তাঁর আদি বৃত্তান্ত বর্ণনা করার জন্য আরয করলে নবী করিম [ﷺ]-এঁরশাদ করেন- “আমি তখনই নবী ছিলাম- যখন আদম (عليه السلام)-এঁর দেহের উপাদান - মাটি ও পানি পৃথক পৃথক অবস্থায় ছিল। অর্থাৎ আদম সৃষ্টির পূর্বেই আমি নবী হিসেবে মনোনীত ছিলাম। আমাকে হযরত ইবরাহীম (عليه السلام) দোয়া করে তাঁর বংশে এনেছেন- সুতরাং আমি তাঁর দোয়ার ফসল। হযরত ঈছা (عليه السلام) তাঁর উম্মতের নিকট আমার আগমনের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। তাঁরা উভয়েই আমার সম্পর্কে পূর্ণ অবহিত ছিলেন। আমার আম্মা বিবি আমেনা আমার প্রসবকালীন সময়ে যে নূর তাঁর গর্ভ হতে প্রকাশ পেয়ে সুদূর সিরিয়ার প্রাসাদসমূহ আলোকিত করতে দেখেছিলেন, আমিই সেই নূর” (মিশকাত)।</p><p dir="ltr">এভাবে হযরত আবু বকর (رضي الله عنه), হযরত ওমর (رضي الله عنه), হযরত ওসমান (رضي الله عنه), হযরত আলী (رضي الله عنه) খলিফা চতুষ্টয় নিজ নিজ খেলাফতযুগেও পবিত্র বেলাদত শরীফ উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল করতেন এবং মিলাদের ফযিলত বর্ণনা করতেন বলে মক্কা শরীফের তৎকালীন (৯৭৪) বিজ্ঞ মুজতাহিদ আলেম আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী (رحمة الله عليه) স্বীয় রচিত “আন-নি’মাতুল কোবরা আলাল আলম” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।</p><p dir="ltr">এছাড়াও অন্যান্য সাহাবীগণ নবীজীর জীবদ্দশায় মিলাদুন্নী মাহফিল করতেন। উদাহরণ স্বরূপ -<br>১) হযরত আবু আমের আনসারীর মিলাদ মাহফিলঃ<br>হযরত আবু দারদা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত আছে- তিনি বলেন, আমি একদিন নবী করিম [ﷺ]-এঁর সাথে মদিনাবাসী আবু আমেরের (رضي الله عنه) গৃহে গমন করে দেখতে পেলাম- তিনি তাঁর সন্তানাদি ও আত্মীয়স্বজনকে একত্রিত করে নবী করিম [ﷺ]-এঁর পবিত্র বেলাদত সম্পর্কীত জন্ম বিবরণী শিক্ষা দিচ্ছেন এবং বলছেন যে, “আজই সেই পবিত্র জন্ম তারিখ।” এই মাহফিল দেখে নবী-করিম [ﷺ] খুশী হয়ে তাঁকে সুসংবাদ দিলেন- “নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমার জন্য (মিলাদের কারণে) রহমতের অসংখ্য দরজা খুলে দিয়েছেন এবং ফেরেশতাগণ তোমাদের সকলের জন্য মাগফিরাত কামনা করছেন” (আল্লামা জালালুদ্দীন সায়ুতির সাবিলূল হুদা ও আল্লামা ইবনে দাহ্ইয়ার আত-তানভীর-৬০৪ হিঃ)। আরবী হাদীসখানা প্রমাণ স্বরূপ হুবহু নিম্নে পেশ করা হলো-<br>عن أبى الدرداء قال مررت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم الى بيت عامر الانصارى وهو يعلم وقائع ولادته لأبنائه وعشيرته ويقول هذا اليوم فقال النبي صلى الله عليه وسلم أن الله فتح عليك أبواب الرحمة وملائكته يستغفرون لكم (سبيل الهدى لجلال الدين سيوطى _ التنوير) <br>(মীলাদের উপর প্রথম গ্রন্থ রচনাকারী আল্লামা আবুল খাত্তাব ইবনে দেহিয়া (৬৩৩ হি:) ঈদে মীলাদুন্নবীর উপর লিখিত ‘‘আত-তানবীর ফী মাওলিদিল বাশির আন নাযীর’’ গ্রন্থে এই মতটিকেই গ্রহণ করেছেন। কিতাবুত তানবীর ফী মাওলিদিল বাশীর ওয়ান নাযীর, সুবুলুল হুদা ফী মাওলিদে মুস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, হাক্বীক্বতে মুহম্মদী ও মীলাদে আহমদী পৃষ্ঠা- ৩৫৫)<br> <br>২। হযরত ইবনে আব্বাছ (رضي الله عنه) কর্তৃক মিলাদ মাহফিলঃ<br>একদিন হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) নিজগৃহে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি উপস্থিত সাহাবীগণের নিকট নবী করিম [ﷺ]-এঁর পবিত্র বেলাদত সম্পর্কিত ঘটনাবলী বয়ান করছিলেন। শ্রোতামন্ডলী শুনতে শুনতে মিলাদুন্নবীর আনন্দ উপভোগ করছিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসা ও নবীজীর দরূদ পড়ছিলেন। এমন সময় নবী করিম [ﷺ] সেখানে উপস্থিত হয়ে এরশাদ করলেন, “তোমাদের সকলের প্রতি আমার সুপারিশ ও শাফাআত অবধারিত হয়ে গেল।” (আদ দোররুল মুনাযযাম) সোবহানাল্লাহ! হাদীস শরীফখানা নিম্নে দেওয়া হলো। <br>عن ابن عباس رضي الله عنهما كان يحدث ذات يوم فى بيته وقائع ولادته صلى الله عليه وسلم فيبشرون ويحمدون ويصلون إذا جاء النبى صلى الله عليه وسلم وقال حلت لكم شفاعتى (الدر المنظم)<br>{আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়ুতী (রাহ) এর বিখ্যাত কিতাব "সুবলুল হুদা ফি মাওলেদে মুস্তাফা (ﷺ)“ এ শেষের হাদিস দুটি উল্লেখিত হয়েছে। # দুররুল মুনাযযাম - সপ্তম অধ্যায় - প্রথম পরিচ্ছেদ # ইশবাউল কালাম # হাক্বীকতে মুহম্মদী মীলাদে আহমদী ৩৫৫ পৃষ্ঠা}</p><p dir="ltr">৩। হযরত হাসসান (رضي الله عنه) -এঁর কিয়ামসহ মিলাদঃ<br>সাহাবী কবি হযরত হাসসান বিন সাবিত (رضي الله عنه) দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নবী করিম [ﷺ]-এঁর উপস্থিতিতে তাঁর গৌরবগাঁথা পেশ করতেন এবং অন্যান্য সাহাবীগণ সমবেত হয়ে তা শ্রবন করতেন। (সপ্তম অধ্যায়ে দেখুন)। </p><p dir="ltr">কিয়াম করে মিলাদ মাহফিলে নবী করিম [ﷺ]-এঁর প্রশংসামূলক কবিতা ও না’ত পাঠ করা এবং সালাম পেশ করার এটাই বড় দলীল। এরূপ করা সুন্নাত এবং উত্তম বলে মক্কা-মদিনার ৯০ জন উলামাগণ ১২৮৬ হিজরীতে নিম্নোক্ত ফতোয়া দিয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে প্রেরণ করেছেন।<br> أعلم أن ذكر مولد النبى صلى الله عليه وسلم وجميع مناقبه وحضور سماعه سنة روى أن حسانا يفاخر قياما من رسول الله صلى الله عليه وسلم بحضرته والناس يجتمعون لسماعه - <br>অর্থ- “হে মুসলমানগণ! আপনারা জেনে রাখুন যে, মিলাদুন্নবী [ﷺ]-এঁর আলোচনা ও তাঁর সমস্ত শান মান বর্ণনা করা এবং ঐ মাহফিলে উপস্থিত হওয়া সবই সুন্নাত। বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসসান বিন সাবিত (رضي الله عنه) কিয়াম অবস্থায় রাসুলুল্লাহ [ﷺ]-এঁর পক্ষে হুযুরের উপস্থিতিতে হুযুর [ﷺ]-এঁর গৌরবগাথা পেশ করতেন, আর সাহাবীগণ তা শুনার জন্য একত্রিত হতেন।” (ফতোয়ায়ে হারামাঈন) একজনের কিয়ামই সকলের জন্য দলীল স্বরূপ।</p><p dir="ltr">হযরত হাসসান বিন সাবিত (رضي الله عنه)-এঁর কিয়ামের কাছিদার অংশবিশেষ ইতিপূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। ঐ কাছিদায় তিনি রাসূল করীম [ﷺ]-এঁর আজন্ম নির্দোষ ও নিষ্পাপ হওয়া এবং হুযুরের ইচ্ছানুযায়ী তাঁর আকৃতি বা সুরতে মোহাম্মাদী সৃষ্টির তত্ত্ব পেশ করেছেন। নবী করিম [ﷺ] তাঁর এই কাছিদা শুনে দোয়া করতেন- “হে আল্লাহ! তুমি জিব্রাইলের মাধ্যমে হাসসানকে সাহায্য কর।” অর্থাৎ আমার পক্ষে আমার প্রশংসা বাক্য সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার তৌফিক দাও। এতে আমার দুশমনগণ ভালভাবে জব্দ হবে। </p><p dir="ltr">৪। সুদূর অতীতে মিলাদুন্নবীর চিত্রঃ মাওয়াহিবের বর্ণনা</p><p dir="ltr">সুদূর অতীতকালে কিভাবে মুসলমানগণ ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করতেন- তাঁর একটি বিস্তারিত বর্ণনা আল্লামা শাহাবুদ্দীন কাস্তুলানী (رحمة الله عليه) মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া কিতাবে বিধৃত করেছেন। মিলাদুন্নবী [ﷺ] সমর্থক বিজ্ঞ মোহাক্বেক ওলামায়ে কেরাম এবং ফকিহগণ নিজ নিজ গ্রন্থে দলীল স্বরূপ আল্লামা কাস্তুলানীর (رحمة الله عليه) এই দুর্লভ প্রমানাদি লিপিবদ্ধ করেছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী [ﷺ] পালনকারী এবং সমর্থক ওলামা ও নবীপ্রেমিক মুসলমানদের অবগতির জন্য উক্ত মন্তব্য কোটেশন আকারে অনুবাদসহ নিম্নে পেশ করা হলো।<br>ولا زال أهل الإسلام يحتفلون بشهر مولده عليه السّلام، ويعملون الولائم، ويتصدقون في لياليه بأنواع الصدقات، ويظهرون السرور، ويزيدون في المبرات، ويعتنون بقراءة مولده الكريم، ويظهر عليهم من بركاته كل فضل عميم ومما جرب من جواصه أنه امان فى ذلك العام وبشرى عاجلة بنيل البغية والمرام فرحم الله امرأ اتخذ ليالى شهر مولده المباركة اعيادا (المواهب اللدنية والأنوار المحمدية صفحة ١٩). <br>অর্থঃ “সমগ্র মুসলিম উম্মাহ সুদূর অতীতকাল থেকে নবী করিম [ﷺ]-এঁর পবিত্র বেলাদত উপলক্ষে মাসব্যাপী সর্বদা মিলাদ-মাহফিল উদযাপন করতেন। যিয়াফত প্রস্তুত করে তারা লোকদের খাওয়াতেন। মাসব্যাপী দিনগুলোতে বিভিন্ন রকমের সদকা-খয়রাত করতেন এবং শরীয়তসম্মত আনন্দ উৎসব করতেন। উত্তম কাজ প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি করতেন। তাঁরা পূর্ণমাস শান শওকতের সাথে বিশেষ আয়োজনের মাধ্যমে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত করতেন- যার বরকতে বরাবরই তাদের উপর আল্লাহর অপার অনুগ্রহ প্রকাশ পেতো। মিলাদ মাহফিলের বৈশিষ্ট সমূহের মধ্যে এটা পরীক্ষিত বিষয় যে, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের বরকতে ঐ বৎসর আল্লাহর পক্ষ হতে নিরাপত্তা কায়েম থাকে এবং তড়িৎগতিতে তা মনোবাঞ্ছা পূরনের শুভ সংবাদ বহন করে নিয়ে আসে। অতএব- যিনি বা যারা মিলাদুন্নবী মাসের প্রতিটি রাত্রকে ঈদের রাত্রে পরিণত করে রাখবে- তাঁদের উপর আল্লাহর খাস রহমত বর্ষিত হবে।” <br>(মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়া, মা ছাবাতা বিছছুন্নাহ্)</p><p dir="ltr">মিলাদ ও কিয়ামের বিস্তারিত আলোচনা এবং দলীল সমূহ সংশ্লিষ্ট প্রামানিক কিতাবসমূহে অনুসন্ধান করে নিবেন। এছাড়াও মিলাদ কিয়ামের ১৮টি দলীল আরবী এবারতা সহ “মাসিক সুন্নীবার্তা-৯৩” সংখ্যায় প্রকাশ করা হয়েছে মার্চ ’০৭-এ। বিজ্ঞ আলেমগণ সুন্নীবার্তাটি সংগ্রহ করে দলীলগুলো সংরক্ষণ করতে পারেন।</p><p dir="ltr">বিঃ দ্রঃ উপরের আলোচনায় প্রমানিত হলো যে, যুগে যুগে মিলাদুন্নবীর চর্চা চলে আসছে- সীরাতুন্নবীর চর্চা কেহই করেননি। কারণ, সীরাত শব্দের আভিধানিক অর্থ- ভালমন্দ চরিত্র। আর শরিয়তে সীরাতুন্নবীর অর্থ- কাফির ও মুশরিকদের বিরূদ্ধে নবীজীর ৮ বছরের যুদ্ধজীবন। সুতরাং সীরাতুন্নবীতে শাব্দিক ও পারিভাষিক উভয় অর্থেই নবীজীর পুতঃপবিত্র চরিত্র ও সার্বিক জীবনী আলোচনা প্রমাণিত হয় না। ঈদে মিলাদুন্নবীতে নূরে মুহাম্মদী তথা সৃষ্টির আদি থেকে ৬৩ বৎসর পর্যন্ত নবীজীর সার্বিক জীবনের আলোচনা স্থান পায়। সেজন্যই নবী, ওলী, গাউস-কুতুব - সবাই মিলাদুন্নবীর চর্চা করতেন, করছেন এবং করতে থাকবেন। মিলাদের মধ্যেই সীরাত অংশ আছে। যারা শুধু সীরাতুন্নবীর চর্চা করেন, তারা খন্ডিত ৮ বছরের যুদ্ধ জীবন ও নবীজীর ভালমন্দ জীবন আলোচনা করে থাকেন মাত্র। শুধু যুদ্ধ জীবন আলোচনা করতে করতে তারা বর্তমানে জেএমবি হয়ে গেছেন অথবা হরকাতুল জেহাদ করে মুফতী হান্নানের মত বোমাবাজ হয়ে গেছেন। মিলাদুন্নবী পালনকারীরা শান্তিকামী। মিলাদুন্নবী ও সীরাতুন্নবীর পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমার লিখিত ঈদে মিলাদুন্নবী ও না’ত লহরী এবং মিলাদ-কিয়ামের বিধান গ্রন্থদ্বয়ে। </p><p dir="ltr">(মুফতী আমিমুল ইহছান লিখিত কাওয়া-ঈদুল ফিক্হ ৩৩১ পৃষ্ঠায় সীরাতুন্নবীর সংজ্ঞা দেখুন। তাতে বিভিন্ন গ্রন্থের হাওয়ালা দিয়ে লিখা হয়েছে – সীরাতুন্নবী বলতে নবীজীর ৮ বৎসরের যুদ্ধজীবন বুঝায় এবং ভাল ও মন্দ উভয় চরিত্র বুঝায়। হাবীবে খোদার মধ্যে মন্দ চরিত্র থাকতে পারে না। তাই সীরাতুন্নবী শব্দ ব্যবহার করা উচিৎ নয়। তদুপরি সীরাতুন্নবী মাহফিল নামে কোন অনুষ্ঠান অতীত যুগে ছিল না। তাই এটা নতুন বিদ’আত।<br></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Ic7mtj3_IgQ/WaNs396xGJI/AAAAAAAAAZw/VEKh3GWghmoOeAbcd0ryGGWDlxzs4mjUQCHMYCw/s1600/images-2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"> <img border="0" loading="lazy" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Ic7mtj3_IgQ/WaNs396xGJI/AAAAAAAAAZw/VEKh3GWghmoOeAbcd0ryGGWDlxzs4mjUQCHMYCw/s640-rw/images-2.jpg"> </a> </div>

মিলাদুন্নবী যুগে যুগে

নবম অধ্যায়ঃ মিলাদুন্নাবী যুগে যুগে মিলাদুন্নবী উৎসব যুগে যুগেঃ =========== নবী করিম [ﷺ] নবুয়ত পরবর্তীকালে নিজেই সাহাবীদেরকে নিয়ে নিজের মিলা...

Read more »