'উম্মি' শব্দের অন্যরকম কিছু ব্যাখ্যা!

<div>বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। </div><div>আরিফ #আজাদকে বলছি। </div><div>পোস্টটি একটু বড় হলেও ধৈর্য্য নিয়ে মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য অনুরোধ। </div><div><br></div><div>সেলফিরা আল্লাহর রাসুলকে অক্ষরজ্ঞানহীন প্রমাণ করায় উঠে পড়ে লেগেছেন।</div><div>কুরআনের একটি আয়াত দেখেই খুব লাফাচ্ছেন। আয়াতটি কি আসুন দেখে নেই। </div><div><br></div><div>সেসমস্ত লোক, যারা আনুগত্য অবলম্বন করে এ রসূলের, যিনি উম্মী নবী, যাঁর সম্পর্কে তারা নিজেদের কাছে রক্ষিত তওরাত ও ইঞ্জিলে লেখা দেখতে পায়......” (সুরা আরাফ :১৫৭)</div><div><br></div><div>এইখানে এসেই অতিরিক্ত পন্ডিতগন উম্মি শব্দের অর্থ করেন অক্ষরজ্ঞানহীন। নবিজী লিখতে পড়তে জানতেন না। বেকুব কোথাকার। </div><div><br></div><div>Edward Lanes Lexicon অনুসারে ক্লাসিক আরবী শব্দ “উম্মী”-এর একটি অর্থ “জেন্টাইল” অথবা যে মুসা (আঃ) এর আইন (তওরাত) সম্পর্কে অবগত নয় (Those who are not familiar with the law of Moses)</div><div><br></div><div>“জেন্টাইল” শব্দটা ল্যাটিন “Gentilis” থেকে এসেছে যার দ্বারা কোন গোত্রের সাথে সম্পর্ক যুক্ত বোঝায়। এইখানে এটা দ্বারা নন- ইহুদিদের বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যারা ইহুদিদের গোত্রের অন্তর্ভুক্ত নয় তারাই জেন্টাইল। অথবা যে ইঞ্জিল যাবুর ও তাওরাত কোন কিতাব পড়েনি এমন। </div><div><br></div><div>আরেকটি অর্থ যে লিখতে এবং পড়তে জানেনা অর্থাৎ অক্ষর জ্ঞানহীন। </div><div><br></div><div>যে ইহুদী তাওরাত সম্পর্কে জ্ঞান রাখেনা তাকেও কুরআনে উম্মি বলা হয়েছে। অবগত নয় তাকেও উম্মী বলা হয়েছে। যেমন সুরাহ বাক্বারায় আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন। </div><div><br></div><div>এবং তাদের মধ্যে এমন কিছু উম্মি লোকও রয়েছে, যারা কিতাব সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, কিন্তু মৌখিকভাবে পড়তে জানে মাত্র কিংবা নিজেদের কিছু মনগড়া কথাবার্তা; আর তারা নিরেট কল্পনার মধ্যে রয়েছে ।</div><div><br></div><div>এই আয়াত থেকে কি বুঝা গেলো উম্মি লোক দ্বারা বুঝায় যিনি কিতাবের জ্ঞান রাখেন না এমন। </div><div><br></div><div>আসুন দেখি কুরআনে এই উম্মি শব্দ আর কোথায় কোথায় ব্যবহার হয়েছে। এবং উম্মি শব্দ দ্বারা অন্যান্য জায়গায় আল্লাহ পাক কি বুঝিয়েছেন। </div><div><br></div><div>“যদি তারা তোমার সাথে বিতর্কে অবতীর্ণ হয় তবে বলে দাও, "আমি এবং আমার অনুসরণকারীগণ আল্লাহর প্রতি আত্নসমর্পণ করেছি।" আর আহলে কিতাবদের এবং উম্মীয়ানাদের বলে দাও যে, তোমরাও কি আত্নসমর্পণ করেছ?............ “(আলে ইমরান :২০)</div><div><br></div><div>এই আয়াতে আল্লাহ নবীকে বলছেন পূর্ববর্তী কিতাব প্রাপ্তগনের (ইহুদী এবং খৃষ্টান) এবং “ঊম্মীয়ান” দের কাছে বার্তা পৌছে দিতে। এখন যদি এই (উম্মীয়ানা) এর অর্থ নিরক্ষর করা হয় তবে তবে এর অর্থ ঠিক থাকেনা । কারন তাহলে এই আয়াতের অর্থ দাঁড়ায় তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে যারা কিতাব প্রাপ্ত এবং নিরক্ষর। তাহলে যারা কিতাব প্রাপ্ত নয় এবং লিখতে পড়তে জানে, তাদের কে বাদ দেওয়া হল না? তাদের কাছে কি বার্তা পৌছাতে হবে না? আল্লাহ নিশ্চয় এই রকম কথা বলবে না। বরং এর অর্থ হয় যারা কিতাব প্রাপ্ত এবং যারা কিতাব প্রাপ্ত নয় তাদের কাছে বার্তা পৌঁছে দেওয়া অর্থাৎ সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া। এইখানে উম্মী শব্দের অর্থ জেন্টাইল ( মানে যার কিতাব প্রাপ্ত না) বেশি অর্থবোধক।</div><div><br></div><div>আল্লাহ বলেন </div><div><br></div><div>“তিনিই ঊম্মীয়ান দের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ” (জুমুয়া :২)</div><div><br></div><div>এখানেও উম্মী শব্দের অর্থ নিরক্ষর করলে, অর্থ বিকৃতি ঘটে। যদি এই শব্দের অর্থ নিরক্ষর করা হয়, তবে যা অর্থ দাড়য় তা হচ্ছে আল্লাহ বলতে চাচ্ছেন আল্লাহ নিরক্ষর মধ্য থেকে রাসুল প্রেরন করেছেন। আরবরা সবাই নিরক্ষর ছিলনা, এমনকি কোরাইশ বংশের সবাই নিরক্ষর ছিল না। তাহলে আল্লাহ কিভাবে সাধারন ভাবে আরবদেরকে অথবা কোরাইশদেরকে নিরক্ষর বলতে পারে? অথচ অই সময়ে আরবরা সাহিত্যে অনেক ভালো ছিল উনারা লিখতেন চুক্তি করতেন। এখানেও উম্মি দ্বারা যাদের উপর পূর্বে কিতাব নাজিল হয়নি তাদেরকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ যারা খ্রিস্টান বা ইহুদি না। </div><div><br></div><div>“কোন কোন আহলে কিতাব এমনও রয়েছে, তোমরা যদি তাদের কাছে বহু ধন-সম্পদ আমানত রাখ, তাহলেও তা তোমাদের যথারীতি পরিশোধ করবে। আর তোদের মধ্যে অনেক এমনও রয়েছে যারা একটি দীনার গচ্ছিত রাখলেও ফেরত দেবে না-যে পর্যন্ত না তুমি তার মাথার উপর দাঁড়াতে পারবে। এটা এজন্য যে, তারা বলে রেখেছে যে, উম্মীদের অধিকার বিনষ্ট করাতে আমাদের কোন পাপ নেই। আর তারা আল্লাহ সম্পর্কে জেনে শুনেই মিথ্যা বলে।“ (আল ইমরান :৭৫)</div><div><br></div><div>এইখানে স্পষ্ট ভাবে উম্মী অর্থ অ-ইহুদী/ কিতাব প্রাপ্ত নয় বোঝানো হয়েছে। এইখানে কোথাও উম্মী শব্দ দ্বারা নিরক্ষর বোঝানো হয় নাই।</div><div><br></div><div>যাই হোক কোরআনের আলোকে আমরা দেখেছি যদিও উম্মী শব্দের একটি অর্থ নিরক্ষর তারপরেও কোরআনের প্রেক্ষিতে উম্মী শব্দের অর্থ বুঝায় যারা ইহুদী ও নাছারা নয় তাদেরকে। অর্থাৎ যারা অই তাওরাত ও ইঞ্জিল পাঠ করেনি তারা। </div><div><br></div><div>আল্লাহর রাসুল যে তাওরাত ও ইঞ্জল পড়েন নি এটাই যে উম্মি শব্দের মুল অর্থ তা বুঝা যায় নিম্নের আয়াত দ্বারা। </div><div><br></div><div>“এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন” (৪২:৫২)</div><div><br></div><div>এখানে বলা হয়েছে “আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি?- এর অর্থ পরিষ্কার। অর্থাৎ এর আগে নবী জানত না কিতাব (তওরাত এবং ইঞ্জিল) কি অর্থাৎ পূর্ববর্তী কিতাব গুলোকে নবীজী পড়েন নি। এটাই হচ্ছে উম্মির নিকটবর্তী অর্থ। </div><div><br></div><div>এর কারন টা কি আল্লাহ কেন চাচ্ছেন উম্মি বলতে কারন ইহুদি নাসারা কাফিররা যাতে বলতে না পারে যে রাসুলুল্লাহ অই কিতাব গুলো পড়ে কুরআন নিজে বানিয়েছেন। কুরআন কে কাফির রা যেন মনগড়া বলতে না পারে সেজন্য আল্লাহ তার হাবীব কে উম্মি বলেছেন। অর্থাৎ তিনিতো ইঞ্জিল ও যাবুর তাওরাত পাঠ করেন নি। </div><div><br></div><div>তার মানে এইনা আল্লাহর রাসুল নিরক্ষর ছিলো নাউযুবিল্লাহ। আল্লাহর রাসুল লিখতে ও পড়তে জানতেন এ ব্যাপারে বুখারীতে একটি হাদিস রয়েছে। </div><div><br></div><div>যিলকদ মাসে নবী ﷺ উমরাহ্‌'র উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু মক্কাবাসীরা তাঁকে মক্কা প্রবেশের জন্য ছেড়ে দিতে অস্বীকার করল। অবশেষে এই শর্তে তাদের সঙ্গে ফয়সালা করলেন যে, তিনদিন সেখানে অবস্থান করবেন। সন্ধিপত্র লিখতে গিয়ে মুসলিমরা (মাওলা আলী রাঃ) লিখলেন, এ সন্ধিপত্র সম্পাদন করেছেন, ‘আল্লাহ্‌র রসূল মুহাম্মাদ' ﷺ। তারা (মুশরিকরা) বলল, ‘আমরা তাঁর রিসালাত স্বীকার করি না। আমরা যদি জানতাম যে, আপনি আল্লাহ্‌র রসূল তাহলে আপনাকে বাধা দিতাম না। তবে আপনি হলেন, ‘আবদুল্লাহ্‌র পুত্র মুহাম্মদ।’ তিনি বললেন, ‘আমি আল্লাহ্‌র রসূল এবং ‘আবদুল্লাহ্‌র পুত্র মুহাম্মদ।’ </div><div>অতঃপর তিনি আলী (রাঃ)–কে বললেন, আল্লাহ্‌র রসূল (রাসূলুল্লাহ) শব্দটি মুছে দাও। তিনি (আলী রা.) বললেন, ‘না। আল্লাহ্‌র কসম, আমি আপনাকে কখনো মুছব না।’ </div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন চুক্তিপত্রটি নিলেন (এবং নিজ হাতে তা মুছে দিলেন [১]) এবং #লিখলেন, ‘এ সন্ধিপত্র মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ সম্পন্ন করেন- খাপবদ্ধ অস্ত্র ব্যতীত আর কিছু নিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কাবাসীদের কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বের করে দিবেন না। আর তাঁর সঙ্গীদের কেউ মক্কায় থাকতে চাইলে তাঁকে বাধা দিবেন না।’[২]</div><div>[১] সহিহ বুখারী ২৬৯৮, [২] সহিহ বুখারী ২৬৯৯</div><div><br></div><div>এ ছাড়া আল্লাহর রাসুলের লিখার কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না এরও কারন আছে। আল্লাহর রাসুল লিখতে পড়তে জানলেও উনি লিখতেন না এর জবাব আল্লাহই দিয়েছেন সুরা আনকাবুতে </div><div><br></div><div>এবং এর পূর্বে আপনি কোন কিতাব পাঠ করতেন না এবং না আপন হাতে কিছু লিখতেন। যদি এমন হতো তাহলে বাতিল সম্প্রদায় অবশ্য সন্দেহ করতো। (৪৮)</div><div><br></div><div>এরপরেও আল্লাহর রাসুলকে নিরক্ষর বলা জাহালত ও মুর্খতা। যারা আল্লাহর রাসুলের সম্মানকে এইভাবে নিরক্ষর বলে প্রমাণ করতে চান তারা নিজেরাই মুর্খ। </div><div><br></div><div>অন্যান্য ব্যাখ্যাঃ</div><div><br></div><div>উম্মি শব্দটি আরবী উম্ম থেকে এসেছে এর অর্থ মা বা উৎস। রাসুলুল্লাহ কে সমস্ত সৃষ্টির উৎস হিসেবেও এর অর্থ হতে পারে। অথবা রহমতের উৎস হিসেবে। </div><div><br></div><div>উম্মির অর্থ হলো মা ওয়ালা। মানে মায়ের গর্ভে থেকে যেমন তেমন থাকা। মানে কেউ যদি মায়ের গর্ভ থেকেই নবী হন তবে তিনি উম্মি নবী। কেউ যদি মায়ের গর্ভে অলি হন তবে গর্ভে থাকা অবস্থায়ই উম্মি অলি । মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থায় কেউ যদি হাফিজ হন তাহলে উম্মি হাফিজ। আর মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই যিনি লিখতে পড়তে জানতেন তিনিই উম্মি। উম্মি শব্দের মুল অর্থও এমনি যেমন মায়ের গর্ভ থেকে কেউ শিখে আসলে তাকে আর দুনিয়াবী কোন উস্তাদ থেকে শিখতে হয় না এমন। মানে স্বয়ং আল্লাহ যার শিক্ষক৷ দুনিয়ার যার কোন শিক্ষক নেই। একদম মায়ের গর্ভ থেকে শিখে আসলে যেমন পিউর তেমন পবিত্র কারো হাত লাগেনি এমন।</div><div><br></div><div>আরিফ আজাদকে বলবো দুই তিনটা তাফসিরের রেফারেন্স যে তুমি দিছো এর চেয়ে চারগুন সংখ্যক তাফসির থেকে তোমার ব্যাখ্যা যে ভুয়া তা প্রমাণ করতে পারবো ইংশাআল্লাহ। আরে কুরআন থেকে দলিল শেষ হলে তাফসিরে যাবো। পারলে কুরআন থেকে আগে জবাব দিও। </div><div><br></div><div>বুখারীর হাদিসকে অস্বীকার করে নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে বই লিখো। আগে শিখো। এ ব্যাপারে যে কোন আলোচনা করতে চাইলে আমি অধম রাজি আছি এনিটাইম। </div><div><br></div><div>আরেকটা কথা মনে রেখো আরিফ আজাদ ক্ববরে গেলে আল্লাহর রাসুলকে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করা হবে এই ব্যক্তি সম্পর্কে তুমি কি বলতে তুমি বলবে আমি আজীবন নবিজীকে অক্ষরজ্ঞান হীন লিখতে পড়তে জানেনা প্রমাণে ব্যস্ত ছিলাম। </div><div><br></div><div>আর আমরা কি বলবো তা পোস্টেই আছে। </div><div><br></div><div>ওয়াসসালাম। </div><div><br></div><div>আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা সায়্যিদিনা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম।</div><div><br></div><div>~~~~ Rubel Habib</div>

'উম্মি' শব্দের অন্যরকম কিছু ব্যাখ্যা!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আরিফ #আজাদকে বলছি। পোস্টটি একটু বড় হলেও ধৈর্য্য নিয়ে মনোযোগের সাথে পড়ার জন্য অনুরোধ। সেলফিরা আল্লাহর রাসুলকে অক...

Read more »

'এটি যেন আত্নিক রোগে পরিণত হয়েছে!'

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggCkGz0wvCzXDPnU6-eRQTLBj_GV7XIVyFghwkM6kWAtg3urCl2tMNRmGetKCenAXI7nAskP8cTiPyUU5B0L95jCFTno4NcINwiKm27LaRf4Ctvoy1zTrDYkRLfzjdK45HqqZ5sVkZphQ/s1600/InShot_20210424_142958305.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEggCkGz0wvCzXDPnU6-eRQTLBj_GV7XIVyFghwkM6kWAtg3urCl2tMNRmGetKCenAXI7nAskP8cTiPyUU5B0L95jCFTno4NcINwiKm27LaRf4Ctvoy1zTrDYkRLfzjdK45HqqZ5sVkZphQ/s1600-rw/InShot_20210424_142958305.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>কোনো মুমিনের ইসলামের সৌন্দর্য এটা যে, সে অনর্থক কাজ পরিহার করে। আল্লাহ তায়ালাও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, 'আর যারা অনর্থক কথা-কর্ম পরিত্যাগ করে।' [১]</div><div><br></div><div>আমাদের প্রত্যেকটা কাজ, কথা শুরুর আগে ভাবা উচিত যে দুনিয়া বা আখিরাতে এর কোনো ফায়দা আছে কি না। আজকে যে বিষয়টি আমার আমার মাথায় ঘুরছে সেটা হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার।</div><div><br></div><div>আমাদের অধিকাংশের এটা আত্নিক রোগে পরিণত হয়েছে। সারাদিনে কয়েকটা ছবি নিজের টাইমলাইনে পোস্ট না করলে যেন ভাত হজম হয় না। হ্যা প্রয়োজনের কথা ভিন্ন। প্রোফাইল, কভার বা কোনো দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে গিয়ে ছবি তুলে স্মৃতি হিসেবে অনেকেই ফেসবুক টাইমলাইনে রাখি। এটা ভিন্ন। </div><div><br></div><div>তবে আমি বলতে চাচ্ছি কিছু মানুষ আমরা এমন যে অপ্রয়োজনে সারাদিন নিজের ছবি পোস্ট করতে থাকি। বিনিয়মে কিছু লাইক, কমেন্ট। অবশ্য এটা ব্যক্তি স্বাধীনতা। তবে একজন মুমিনকে অবগত করাও জরুরি মনে করছি। প্রথমে উদ্দেশ্য নিশ্চিত করুন কেন আপনি ছবি আপলোড দিচ্ছেন। ভাবছেন মানুষ বসে থাকে আপনাকে দেখার জন্য? কি করছেন, কি খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন এগুলো দেখার জন্য? নাকি কিছু লাইক, কমেন্ট?</div><div><br></div><div>উত্তর এগুলোর মধ্যেই কোনো একটা হবে। ভুল ভাবছেন। বরং মানুষ বিরক্ত হয়। তবে প্রিয় ভাই ছবি আপলোড এর ফলে আপনার কেনো ফায়দা হবে বা আপনার আমল নামায় একটিও সওয়াব লিখা হবে বলে মনে হয় না। তার মানে এটা সম্পূর্ণ অনর্থক একটা কাজ। আর অনর্থক কাজ পরিহার করাই মুমিনের ব্যক্তিত্ব।</div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ</div><div>[১] সূরা মু'মিনুন, আয়াত- ০৩।</div>

'এটি যেন আত্নিক রোগে পরিণত হয়েছে!'

কোনো মুমিনের ইসলামের সৌন্দর্য এটা যে, সে অনর্থক কাজ পরিহার করে। আল্লাহ তায়ালাও মুমিনদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, 'আর যারা অনর্থক...

Read more »

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নিরক্ষর ছিলেন?

<div><br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigYflQ4_pYX9_BEKHQDSbJD-ZUNiSQwnEaUiHW7b8mfi-UlP2xkvWqjEYcYwqj9x6lroEVe-O48oCIuqVuubrmkSb9d6kjiQ5jz4_-pzsuy-OaomnmDsKLG-atu0Y2Z2OBbp9y0AeDWiY/s1600/InShot_20210423_223738476.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="1920" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigYflQ4_pYX9_BEKHQDSbJD-ZUNiSQwnEaUiHW7b8mfi-UlP2xkvWqjEYcYwqj9x6lroEVe-O48oCIuqVuubrmkSb9d6kjiQ5jz4_-pzsuy-OaomnmDsKLG-atu0Y2Z2OBbp9y0AeDWiY/s1600-rw/InShot_20210423_223738476.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigCUk335uEa5_W16ZALmqdGsUIkiFhNoGVveD-AVH_KPY3oE4dYrqNpwbK0vyy18ySdHEhWHnPDJbNmx-O6i_nOzApubeuv8oNSOzJjxXHvr2_MCXaIkR2htTZSIGElHwmHc9s2CwAF5k/s1600/InShot_20210423_223814285.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="1920" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEigCUk335uEa5_W16ZALmqdGsUIkiFhNoGVveD-AVH_KPY3oE4dYrqNpwbK0vyy18ySdHEhWHnPDJbNmx-O6i_nOzApubeuv8oNSOzJjxXHvr2_MCXaIkR2htTZSIGElHwmHc9s2CwAF5k/s1600-rw/InShot_20210423_223814285.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>আরিফ আজাদ তার লেখা 'নবী জীবনের গল্প' বইয়ে কত সুক্ষ্মভাবে লিখে দিলেন রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরক্ষর ছিলেন। আফসোস তাদের এই নবি বিদ্বেষ সাধারণ মুসলমান টেরও পাবে না। </div><div><br></div><div><br></div><div>প্রিয় নবীজীর ইলম:</div><div>আবু হুরায়রা রা. নিজের এক আর্জি নিয়ে আসলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে। মনে নিশ্চিত বিশ্বাস যে সমস্যার সমাধান হবেই। আরয করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ আমি আপনার নিকট থেকে পবিত্র বাণীসমূহ শুনি। কিন্তু পরবর্তীতে ভুলে যাই, মনে রাখতে পারি না।</div><div><br></div><div>মালিকে জান্নাহ, কাসিমে নিয়ামাহ ﷺ তখন ইরশাদ করলেন, আবু হুরায়রা(রা.)! তোমার চাদর বিছাও। তিনি কথামতো আপন চাদর বিছিয়ে দিলেন। তখন প্রিয় নবী ﷺ অদৃশ্য কিছু একটা চাদরে ঢেলে দিলেন এবং বললেন, এবার চাদরটি বুকে জড়িয়ে নাও। তিনি তাই করলেন। সুবহানাল্লাহ! আবু হুরায়রা রা. বলেন, আমার জ্ঞান এরপর থেকে এতটাই তীক্ষ্ণ হয়ে গেল যে আমি আর কোনো কিছুই ভুলি নি। [১]</div><div><br></div><div>এ কেমন মু'জেজা! আল্লাহু আকবার। স্মৃতিশক্তির মতো অদৃশ্য শক্তি দান করার ক্ষমতাও তিনি রাখেন। যিনি তাঁর সাহাবিকে জ্ঞানের ভান্ডার দান করে দিতে পারেন স্বয়ং তাঁর জ্ঞানের স্তর কি হবে! আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন। </div><div><br></div><div>অত্যন্ত আফসোস ও পরিতাপ! কত মানুষ শয়তানের কুমন্ত্রণায় পরে সেই রাসূলে পাকের ﷺ ইলম নিয়ে সমালোচনা করার মতে দুঃসাহস করে। তিনি "আলিফ, বা, তা" জানতেন না, "নিরক্ষর" বলে মন্তব্য করে। নাউজুবিল্লাহ। যুগে যুগে ইসলামের লেবাস লাগিয়ে এমন মুনাফেকি অনেকেই করেছে। এবং তারা রব তায়ালার আযাবে নিপতিত হয়েছে। </div><div><br></div><div>প্রিয় নবীর ﷺ জ্ঞান নিয়ে সমালোচনা মানেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনা। আপনার বন্ধুকে কেউ গালি দিলে আপনি সহ্য করেন না। তাহলে স্বয়ং রব তায়ালার মাহবুবকে নিয়ে কেউ যদি বেয়াদবিমূলক মন্তব্য করে তাহলে তিনি কি তাকে ছেড়ে দিবেন? </div><div><br></div><div>হযরত সায়্যিদুনা আনাস রা. বলেন, একদা এক খ্রীষ্টান মুসলমান হয়ে সূরা বাকারা ও সূরা আল ইমরান মুখস্থ করেছিল। সে হযরত মুহাম্মদ ﷺ এর অন্যতম কাতেব নিযুক্ত হল। কিছু দিন পর সে আবার মুরতাদ হয়ে খ্রীষ্টান ধর্মে ফিরে গেল। খ্রীষ্টান ধর্মে ফিরে যাওয়ার পর সে গলাবাজি করে বলতে লাগল আমি মুহাম্মদ ﷺ কে যা লিখে দিতাম তিনি শুধু তাই জানতেন। বেশি দিন গড়ায় নি।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা তার প্রান কেড়ে নিলেন এবং অস্বাভাবিক ভাবে তাকে মৃত্যু দান করলেন। তার গােত্রের লােকেরা একটি কবর খনন করে তাকে তাতে সমাহিত করল। কিন্তু রাতে জমিন তাকে কবর থেকে বাইরে নিক্ষেপ করে দিল। তার গােত্রের লােকেরা বলল, এটা হযরত মুহাম্মদ ﷺ এবং তাঁর অনুসারীদেরই কাজ। কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে চলে এসেছিল। তাই তারা আমাদের সঙ্গীকে কবর থেকে বের করে ফেলেছে। </div><div><br></div><div>অতঃপর তারা আরেকটি কবর খনন করে তাতে তাকে পুনরায় সমাহিত করল। কিন্তু সকালে তাকে আবারাে কবরের বাইরে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গেল। এবারও তারা বলাবলি করল, এটা হযরত মুহাম্মদ ﷺ তাঁর অনুসারীদেরই কাজ। কেননা সে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে চলে এসেছিল। </div><div><br></div><div>তাই তারা তার কবর খনন করে তাকে বাইরে ফেলে দিয়েছে । তৃতীয় দিন তারা তার জন্য যত গভীরে খনন করা যায় তত গভীরে একটি কবর খনন করে তাতে তাকে সমাহিত করল। কিন্তু সকালে তাকে আবারাে জমিনের ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া গেল। এবার তারা নিশ্চিত হল, তার সাথে এ আচরণ মানুষের পক্ষ থেকে নয়। অতঃপর তাকে তারা আর সমাহিত না করে মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় ফেলে রেখে চলে আসল। [২]</div><div><br></div><div>আল্লাহু আকবার! বেয়াদবকে জমিন পর্যন্ত গ্রহণ করে নি! আল্লাহ আমাদেরকে এমন বেয়াদব থেকে হিফাজত রাখুন এবং বেশি বেশি মোস্তফার শান বর্ণনার তৌফিক দিন।</div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ</div><div>[১] সহিহ বুখারী, খন্ড- ১ম, ২য়; পৃষ্ঠা: ৬২, ৯৪; হাদিস নং- ১১৯, ২৩৫। </div><div><br></div><div>[২] সহিহ বুখারী, খন্ড- ২য়, পৃষ্ঠা: ৫০৬, হাদীস নং- ৩৬১৭। সহিহ মুসলিম, পৃষ্ঠা: ১৪৯৭, হাদীস নং- ২৭৮১।</div><div><br></div><div>"না ওঠ ছাকেগা কিয়ামাত তলক খোদা কি কাসম, কে জিসকো তুনে নাজারসে গিরা কে ছুড দিয়া।"</div>

প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি নিরক্ষর ছিলেন?

আরিফ আজাদ তার লেখা 'নবী জীবনের গল্প' বইয়ে কত সুক্ষ্মভাবে লিখে দিলেন রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিরক্ষর ছিলেন। আফসোস...

Read more »

আরিফ আজাদ এর ভ্রষ্টতা!

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="/data/user/0/com.bloggerpro.android/cache/PendingUploads/FB_IMG_1619101992846.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><br></a><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="/data/user/0/com.bloggerpro.android/cache/PendingUploads/FB_IMG_1619101992846.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"></a><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPis8_jXNGAYnBHC5_LzIG0IaxBIxd1-mSarFvOqi6f64rKMDLDvl4JMS8ii_5vusJTKqTDSVHJg2y7WU1Y8wOimMPA3zAOYj_UsQV4t5MTcKniBbo4aQiDwzA-bpE1CK4i8amgDVm0JM/s1600/FB_IMG_1619101990865.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1021" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiPis8_jXNGAYnBHC5_LzIG0IaxBIxd1-mSarFvOqi6f64rKMDLDvl4JMS8ii_5vusJTKqTDSVHJg2y7WU1Y8wOimMPA3zAOYj_UsQV4t5MTcKniBbo4aQiDwzA-bpE1CK4i8amgDVm0JM/s1600-rw/FB_IMG_1619101990865.jpg" width="225"></a></div><img border="0" data-original-height="761" data-original-width="462" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiLJe8xOzQj6_v5FSWmPq0f1n3zNr280u5mgVw55xIjwf82wARZYL5kGZ9Pbph0MQxEx1ZfMBH_ZjqWAvQHnHBpJlBwUJpM_1G0Ne489qM0RHiEcYkO6wbxYduGP5oUAuWYA1sbIGu47CI/s1600-rw/FB_IMG_1619101992846.jpg" width="194"></div><br></div><div>রোজা রমজানের মাসে এসব নিয়ে লেখার কথা না, কিন্তু কিছু করার নেই, মেসেঞ্জারে এক ভাইয়ের দেয়া আরিফ আজাদ সাহেবের বইয়ের এমন লেখা দেখে, ঈমানের দাবিতে, প্রেমাস্পদের প্রতি ভালবাসার খাতিরে, সরলপ্রাণ মুসলমানদেরকে এই বিষয়ে অবগত করতে লিখতেই হল। </div><div><br></div><div>আরিফ আজাদ সাহেব "নবি-জীবনের গল্প" বইয়ের ২৫ পৃষ্ঠায় লিখল, আলি রাযিয়াল্লাহু আনহুর ভালােবাসা আর বিশ্বাসের শক্তিটুকু অনুধাবন করতে পারলেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (নবীজি আদেশ দেয়া সত্ত্বেও হযরত আলী রাঃ আদব রক্ষার্থে চুক্তিপত্র থেকে নবীজির নাম মুছে দিতে অস্বীকৃতি জানালে)। তিনি মৃদু হেসে বললেন, "এই শব্দগুলো কোথায় লেখা আছে আমাকে একটু দেখাও। আমি নিজ হাতে তা মুছে দিচ্ছি।" যেহেতু মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লেখা পড়তে জানতেন না, সুতরাং সন্ধিনামা থেকে নিজের নাম মুছতে হলে কেউ একজনকে তা দেখিয়ে দিতে হবে। আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে শব্দদ্বয় দেখিয়ে দিলে তিনি নিজ হাতে তা মুছে দেন।</div><div><br></div><div>কোথায় পেলেন এমন রেওয়ায়েত!! সহিহ বুখারীতে বর্ণিত উক্ত ঘটনার কোন অংশেই তো এমন কোন লেখা পেলাম না, বরং "তিনি লিখলেন" বলা আছে, তাহলে কি তিনি পড়তে পারতেন না, কিন্তু লিখতে পারতেন, বিষয়টা কি এমন!! কোন হৃদয়বান ব্যক্তি যদি পেয়ে থাকেন, জানায়েন। হায়! এরা কি জানে না যে, সালামাহ ইবনু আক্ওয়া‘ (রাঃ) বলেনঃ আমি নবী ﷺ কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর এমন কথা আরোপ করে যা আমি বলিনি, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়।’ (সহীহ বুখারী ১০৯)!!</div><div><br></div><div>উক্ত ঘটনা প্রসঙ্গে সহিহ বুখারীর রেওয়ায়েত,</div><div><br></div><div>যিলকদ মাসে নবী ﷺ উমরাহ্‌'র উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু মক্কাবাসীরা তাঁকে মক্কা প্রবেশের জন্য ছেড়ে দিতে অস্বীকার করল। অবশেষে এই শর্তে তাদের সঙ্গে ফয়সালা করলেন যে, তিনদিন সেখানে অবস্থান করবেন। সন্ধিপত্র লিখতে গিয়ে মুসলিমরা (মাওলা আলী রাঃ) লিখলেন, এ সন্ধিপত্র সম্পাদন করেছেন, ‘আল্লাহ্‌র রসূল মুহাম্মাদ' ﷺ। তারা (মুশরিকরা) বলল, ‘আমরা তাঁর রিসালাত স্বীকার করি না। আমরা যদি জানতাম যে, আপনি আল্লাহ্‌র রসূল তাহলে আপনাকে বাধা দিতাম না। তবে আপনি হলেন, ‘আবদুল্লাহ্‌র পুত্র মুহাম্মদ।’ তিনি বললেন, ‘আমি আল্লাহ্‌র রসূল এবং ‘আবদুল্লাহ্‌র পুত্র মুহাম্মদ।’ </div><div><br></div><div>অতঃপর তিনি আলী (রাঃ)–কে বললেন, আল্লাহ্‌র রসূল (রাসূলুল্লাহ) শব্দটি মুছে দাও। তিনি (আলী রা.) বললেন, ‘না। আল্লাহ্‌র কসম, আমি আপনাকে কখনো মুছব না।’ </div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ ﷺ তখন চুক্তিপত্রটি নিলেন (এবং নিজ হাতে তা মুছে দিলেন [১]) এবং #লিখলেন, ‘এ সন্ধিপত্র মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুল্লাহ্‌ সম্পন্ন করেন- খাপবদ্ধ অস্ত্র ব্যতীত আর কিছু নিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কাবাসীদের কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বের করে দিবেন না। আর তাঁর সঙ্গীদের কেউ মক্কায় থাকতে চাইলে তাঁকে বাধা দিবেন না।’[২]</div><div><br></div><div>[১] সহিহ বুখারী ২৬৯৮, [২] সহিহ বুখারী ২৬৯৯</div><div><br></div><div>আহ! সাহাবায়ে কেরামের আদব কেমন ছিল দয়াল নবীজির প্রতি...! কিন্তু বড়ই আফসোসের বিষয়, ঐ নবীর এমন উম্মতও আছে যারা তাঁকে নিরক্ষর, লিখতে পড়তে জানেন না- প্রমাণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এমনকি বছরখানেক আগে এক জনপ্রিয় বেয়াদব তো বলে ফেলল, লিখিত কোন জিনিস নাকি প্রিয় নবী ﷺ এঁর কাছে রহস্যের মত ছিল (নাউজুবিল্লাহ)। হায়! ওরা যদি বুখারীটা হলেও ভাল করে পড়ত। জনৈক কবির ভাষায় বলবো,</div><div><br></div><div>"Bina ishq e nabi jo padte hai bukhaari</div><div>Aata hai bukhaar unko aati nahi bukhaari"</div><div><br></div><div>অর্থঃ নবীজির ভালবাসা ছাড়া যারা বুখারী পড়ে,তারা জ্বরে (বুখার) আক্রান্ত হয়ে যায় আর বুখারী বুঝতে পারে না।</div><div><br></div><div>আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা হুজরাতে প্রিয় নবীজির শানে বেয়াদবী করলে তার শাস্তি কেমন হবে তা উল্লেখ করে সতর্ক করে দিয়েছেন। শাস্তিটা এমন যে, শানে রিসালাতে যারা বেয়াদবী করে তাদের সকল আমল যে বরবাদ (নষ্ট) হয়ে যাবে তারা টেরও পাবে না (কুফরের কারণে সমস্ত আমল নষ্ট হয়)। আল্লাহ তায়ালা আমাদের ঈমান ও আমলকে ঐসব বেয়াদবদের কাছ থেকে হেফাজত করুক। </div><div><br></div><div>ইমাম আহমদ রেজা খান রহঃ লিখেন, (অনুবাদ)</div><div><br></div><div>শূন্য জঙ্গল রাত অন্ধকার মেঘ কালিতে ভরা</div><div>ঘুমন্তরা দাও পাহারা চোর করে ঘোরাফেরা।</div><div><br></div><div>চোখেরও কাজল করে চুরি চোর এমন হতচ্ছাড়া</div><div>তোর সম্পদ নয় নিরাপদ আর তুই ঘুমে হুশহারা।</div><div><br></div><div>যে তোকে আদরে ডাকে সে তো ডাকাত-লুটেরা </div><div>সুকৌশলে বাঁধবে শিকলে, হোস না পথিক পথহারা।</div><div><br></div><div>মুকাশাফাতুল কুলুবে রয়েছে যে, মাওলা আলী রাঃ বলেন, যে ব্যক্তির মাঝে ৬টি অভ্যাস পাওয়া যায় সে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত ও জান্নাতের অধিকারী। </div><div><br></div><div>১. যে আল্লাহকে চিনে তাঁর ইবাদত করলাে। </div><div><br></div><div>২. যে শয়তানকে চিনে তাঁর বিরােধিতা করলাে। (মানুষরুপী শয়তানও কিন্তু থাকে)</div><div><br></div><div>৩. যে বাতিল (ভ্রান্ত) কে চিনে তা বর্জন করলাে। </div><div><br></div><div>৪. যে হক্ব (সত্য) কে চিনে তার অনুসরণ করলাে। </div><div><br></div><div>৫. যে আখিরাতকে চিনে তার কামনায় ছিলাে। </div><div><br></div><div>৬. যে দুনিয়াকে চিনে একে পরিহার করলাে।</div><div>-</div><div><br></div><div>©Muhammad Rakib Attari </div>

আরিফ আজাদ এর ভ্রষ্টতা!

রোজা রমজানের মাসে এসব নিয়ে লেখার কথা না, কিন্তু কিছু করার নেই, মেসেঞ্জারে এক ভাইয়ের দেয়া আরিফ আজাদ সাহেবের বইয়ের এমন লেখা দেখে, ঈমানের দাবিত...

Read more »

প্রিয় ভাই ও বোন এখনো কি সময় হয় নি ফিরে আসার?

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhuokRSP8WWGgrjXPZgMRGXsxJ8WKTfy4Tn4-gPrXd_qhWgHfs-w2FWsQ0_hedRW3vF0ZaJorJ3sloaDDuwVKb5VsRfkLc5jpwnzg2jpPmhTuJorM4blvAJEykwyHcty28EWesSmp4rhvk/s1600/InShot_20210422_185836905.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhuokRSP8WWGgrjXPZgMRGXsxJ8WKTfy4Tn4-gPrXd_qhWgHfs-w2FWsQ0_hedRW3vF0ZaJorJ3sloaDDuwVKb5VsRfkLc5jpwnzg2jpPmhTuJorM4blvAJEykwyHcty28EWesSmp4rhvk/s1600-rw/InShot_20210422_185836905.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>আপনার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাকে বিপদে-আপদে, নানান সমস্যায় সাহায্য করেছেন অনেক। কিন্তু সেই বন্ধু যার ওপর আপনার এত এহসান সে আপনাকে কোনোভাবে খুব কষ্ট দিল। ব্যস আপনার অন্তর তার থেকে ওঠে গেল তার প্রতি সেই টান।</div><div><br></div><div>এখন সে যদি পুনরায় ক্ষমা চায় হয়তো আপনি তাকে মাফ করে দিবেন। কিন্তু তার প্রতি আগের মতো কোনো ফিলিংস আর বাকি থাকবে না। যদি সে পুনরায় একই কাজ করে? যদি সে আরো কয়েক দফা একই কাজ করে আপনাকে নারাজ করে?</div><div><br></div><div>মাফ করবেন তাকে? যদি খুব মহৎ অন্তরের অধিকারী হোন হয়তো মাফ করে দিবেন। কিন্তু সেই আগের সম্পর্কটা নিশ্চয়ই আর বাকি থাকবে না।</div><div><br></div><div>এবার আসুন আমার সাথে আমার রবের সম্পর্কটা নিয়ে একটু ভাবি। দুনিয়াবি সামান্য এহসান ছিল একটা মানুষের ওপর তারপরও আমাকে নারাজ করায় সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। আর আমার সারাটাজীবনই আমার রবের এহসান।</div><div><br></div><div>তাকে যে দিনের পর দিন নারাজ করছি, আবার গুনাহে ভরা কালো মুখ নিয়ে তার কাছে যাচ্ছি, তিনি কি কখনো ফিরিয়ে দিয়েছেন? কখনো বলেছেন, 'তুই শয়তানের পথে ছিলি তার সাথেই থাক। দুনিয়ার পিছনে পরে গেলি আমাকে ভুলে থাক তোর দুনিয়া নিয়ে?' না ভাই না। আমার রব এত বেশি দয়ালু, আমাকে এত বেশি ভালোবাসেন যখন বার বার নারাজ করার পরও তার কাছে ফিরে আসি তিনি খুশি হয়ে যান।</div><div><br></div><div>আমাকে মাফ করে দেন। বলেন, 'বান্দা আমি রবের রহমত তোমার গুনাহ থেকেও বেশি। আমার রহমত হতে নিরাশ হয়ো না।' আল্লাহু আকবার। আমাদেরকে শুধু মাফই করেন না বরং গুনাহগুলোকে নেক এ রুপান্তরিত করে দেন।</div><div><br></div><div>প্রিয় ভাই ও বোন, এখনো কি সময় হয় নি সেই কারীম রবের কাছে ফিরে আসার...?</div>

প্রিয় ভাই ও বোন এখনো কি সময় হয় নি ফিরে আসার?

আপনার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাকে বিপদে-আপদে, নানান সমস্যায় সাহায্য করেছেন অনেক। কিন্তু সেই বন্ধু যার ওপর আপনার এত এহসান সে আপনাকে কোনোভাবে খুব ক...

Read more »

'হোসনে মোস্তফাﷺ- ০৮'

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjFxuzRzdEHDKcHgBme9lDhCKwTl0Qilhyphenhyphen0qChH9ZkkEbFCnHHCaBb0eO0Ed1K2u6ooR8Dci3w6CSihLPYxRSMnRmQt32WWRpgiC5tKd6LsvuCXymDIy5Ti0DvW9_Hhskb5jpt5OVcfg2U/s1600/InShot_20210422_151841694.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1920" data-original-width="3413" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjFxuzRzdEHDKcHgBme9lDhCKwTl0Qilhyphenhyphen0qChH9ZkkEbFCnHHCaBb0eO0Ed1K2u6ooR8Dci3w6CSihLPYxRSMnRmQt32WWRpgiC5tKd6LsvuCXymDIy5Ti0DvW9_Hhskb5jpt5OVcfg2U/s1600-rw/InShot_20210422_151841694.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>কে আছে এমন এই পৃথিবীতে যার চোখের সৌন্দর্য আলাদা করে বর্ণনা করা হয়। যার থুথুর, যার নাকের, যার ভ্রুর, যার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্যের বর্ণনা আলদা আলাদা ভাবে করা হয়। নিশ্চয়ই রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যতীত এমন আর কেউ নেই।</div><div><br></div><div>তাঁর মোবারক চোখদ্বয় বড় ছিল এবং কুদরতিভাবে সুরমা লাগানো আর পলকগুলো বিস্তৃত ছিল।[১]  তাঁর মোবারক চোখ এতই সুন্দর ছিল এতই প্রভাবময় ছিল যে যার দিকে রহমতের দৃষ্টি দিতেন তার ভাগ্য জেগে ওঠত। </div><div><br></div><div>হযরত শায়বা বিন ওসমান রা. তাঁর ঈমান গ্রহণের ঘটনা এভাবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, 'নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন হুনাইনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেন তখন আমার স্মরণে এলো আমার পিতা ও চাচাকে আলী রা. এবং হামযা রা. শহীদ করে দিয়েছিল। তবে আমি কেন তার প্রতিশোধ নিব না?</div><div><br></div><div>আমি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে শহীদ করার উদ্দেশ্য তাঁর নিকটবর্তী হলাম এবং যখনই হত্যা করতে উদ্ধত হলাম তখনই একটি আগুনের শিখা বিদ্যুতের ন্যায় আমার দিকে আসতে লাগল। যার কারণে আমি পিছনের দিকে পালিয়ে যেতে লাগলাম। এমন সময় রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মোবারক দৃষ্টি আমার দিকে পরল এবং ইরশাদ করলেন, হে শায়বা! তারপর তাঁর হাত মোবারক আমার বুকের ওপর রাখলেন। </div><div><br></div><div>তখন আল্লাহ তায়ালা শয়তানকে আমার অন্তর থেকে বের করে দিলেন। আমি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারার দিকে তাকালাম। তখন হুযুরকে আমার নিজের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি থেকেও বেশি প্রিয় লাগতে লাগল।'[২]</div><div><br></div><div>হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভ্রুদ্বয় বিস্তৃত ও চিকন ছিল। এমনভাবে সম্পৃক্ত ছিল দূর থেকে দেখলে মিলিত মনে হতো। হযরত হিন্দা আবী হা'লা রা. বলেন, উভয় ভ্রুর মাঝখানে একটি শিরা ছিল। যা জালালী অবস্থায় ফুলে যেত।[৩]</div><div><br></div><div>রেফারেন্সঃ</div><div>[১] সীরাতে রাসূলে আরাবী, ২৫১ পৃষ্ঠা। </div><div>[২] দালাইলুন নবুয়াত লীআবী নাঈম, ১/১১২, নং-১৪৪।</div><div>[৩] আশ শামায়েলে মুহাম্মদীয়া লিত তিরমিজি, ২২ পৃষ্ঠা, হাদিস- ৭।</div><div><br></div><div>'হোসনে মোস্তফাﷺ- ০৮'</div>

'হোসনে মোস্তফাﷺ- ০৮'

কে আছে এমন এই পৃথিবীতে যার চোখের সৌন্দর্য আলাদা করে বর্ণনা করা হয়। যার থুথুর, যার নাকের, যার ভ্রুর, যার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সৌন্দর্যের ...

Read more »