এই বাল্বটি ১১২ বছরেরও বেশি সময় মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত হয়েছিল

<div style="text-align: justify;">এই বাল্বটি ১১২ বছরেরও বেশি সময় মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত হয়েছিল</div><div style="text-align: justify;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhs65ghVHaECLv9E56H65MJPsPnwkJJjntP-FGo5XxsVkhcR2CZLd3xFC7b6YR1nKcl4Xnb2wwj9zxgvUAsO8eOKVZ7fkD6gApxWlLu86Dx909cxLRdCEgZNSwH6cNtOKbWNKn-o_m0vQSW/s1600/FB_IMG_1609311012360.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1079" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhs65ghVHaECLv9E56H65MJPsPnwkJJjntP-FGo5XxsVkhcR2CZLd3xFC7b6YR1nKcl4Xnb2wwj9zxgvUAsO8eOKVZ7fkD6gApxWlLu86Dx909cxLRdCEgZNSwH6cNtOKbWNKn-o_m0vQSW/s1600-rw/FB_IMG_1609311012360.jpg" width="213"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1zWeo64E9JkA4u8k7Me8sut9AV0BTK7jJP74bCcAWKGsVnrxNPghgfN0uci0fVg5mr-0aI7BqYR10sEeBuNU_bMyuZ1HiIq_YLzy4kUtpe3yx3cCOjXpdoM0eLJrPT8kMVJ1LKX40Ruhb/s1600/FB_IMG_1609311020107.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="447" data-original-width="720" height="198" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj1zWeo64E9JkA4u8k7Me8sut9AV0BTK7jJP74bCcAWKGsVnrxNPghgfN0uci0fVg5mr-0aI7BqYR10sEeBuNU_bMyuZ1HiIq_YLzy4kUtpe3yx3cCOjXpdoM0eLJrPT8kMVJ1LKX40Ruhb/s1600-rw/FB_IMG_1609311020107.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhFy3c6ja-ZATjlxCw7MgvRiwPuyjCHh_uaB4QzpZ0RM3udhzDilrP5rw65M7BXqfwDIPRGHgVADJ-J2ndsbXQZGkvveBnKXKlq7vji2M6nCs-jORS7auR4z6BQzex-ZO7zmcKEfFozvqaY/s1600/FB_IMG_1609311022992.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="911" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhFy3c6ja-ZATjlxCw7MgvRiwPuyjCHh_uaB4QzpZ0RM3udhzDilrP5rw65M7BXqfwDIPRGHgVADJ-J2ndsbXQZGkvveBnKXKlq7vji2M6nCs-jORS7auR4z6BQzex-ZO7zmcKEfFozvqaY/s1600-rw/FB_IMG_1609311022992.jpg" width="252"></a></div><br></div><br></div><div style="text-align: justify;">সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ ১৩২৫ হিজরিতে যখন মদীনায় বিদ্যুৎ প্রবর্তন করলেন তিনি প্রথমে মসজিদে নববীকে সুন্দরভাবে আলোকিত করেছিলেন । </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূল ﷺ এর প্রতি তাঁর এমন আদব ছিল যে তিনি ইস্তাম্বুলের নিজস্ব প্রাসাদের আগে মদীনায় বিদ্যুৎ স্থাপন করেছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মদিনায় যখন পাকা ফল হতো,</div><div style="text-align: justify;">সাহাবা [رضي الله عنهم] সর্বদা এগুলিকে প্রথমে রাসূলুল্লাহ ﷺ'র কাছে নিয়ে আসতো।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যখন তাঁদের নবজাতক জন্মাতো , তাঁরা সর্বদা তাঁদেরকে রাসূলুল্লাহ ﷺ'র কাছে নিয়ে আসতো -কল্পনাতীত শ্রদ্ধা৷ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রথম ঝাড়বাতি এবং জেনারেটরগুলি ভারতের হায়দরাবাদের নিজাম পাঠিয়েছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি আপনি নূর নবী হযরত মুহাম্মদ ﷺ'কে তাজিম করেন ভালোবাসেন, তবে আল্লাহ তায়ালা আপনার দুনিয়া ও আখিরাত আলোকিত করবেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ তায়ালা আমাদের অন্তরে ইমামুল আম্বিয়া,দো-জাহানের বাদশা, প্রিয় নবী ﷺ'র সম্মান বাড়িয়ে দিন ৷ -আমিন।</div><div style="text-align: justify;">(Isqe Mustofa ﷺ)</div>

এই বাল্বটি ১১২ বছরেরও বেশি সময় মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত হয়েছিল

এই বাল্বটি ১১২ বছরেরও বেশি সময় মসজিদে নববীতে ব্যবহৃত হয়েছিল সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ ১৩২৫ হিজরিতে যখন মদীনায় বিদ্যুৎ প্রবর্তন করলেন তিনি...

Read more »

শাদ্দাদের বেহেশত: মরুভূমির আটলান্টিস ইরাম নগরীর কাহিনী

<div style="text-align: justify;">শাদ্দাদের বেহেশত: মরুভূমির আটলান্টিস ইরাম নগরীর কাহিনী</div><div style="text-align: justify;">©ROAR Media, আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEieD4MsVGyHCZ9uv_YhIl18I-KYd2RHuAlC8e-eWj5cSiKocnD84n11vwTGY7R6Xz0Ip0XvNFLfJBXM-ee-zWGDEfsY8nBP4mQhEEXfsKdLvdTX-6kENT2fKpcAecMEPFMU0aOE55Smo2Vb/s1600/IMG_20201230_113841.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="601" data-original-width="1080" height="178" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEieD4MsVGyHCZ9uv_YhIl18I-KYd2RHuAlC8e-eWj5cSiKocnD84n11vwTGY7R6Xz0Ip0XvNFLfJBXM-ee-zWGDEfsY8nBP4mQhEEXfsKdLvdTX-6kENT2fKpcAecMEPFMU0aOE55Smo2Vb/s1600-rw/IMG_20201230_113841.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">মরুভূমির ধুলিগর্ভে হারিয়ে যাওয়া এক অভূতপূর্ব নগরী ইরাম, যাকে ডাকা হয় মরুর আটলান্টিস। কথিত আছে, শাদ্দাদ বিন আদ নামের এক ব্যক্তি ছিল এ শহরের রাজা, তার নির্দেশেই নির্মিত হয় 'ভূস্বর্গ'। চলুন জেনেনি আজ ইরাম নগরীর যত গল্প।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অবাক করা ব্যাপার, কেবল উপকথার পাতাতেই নয়, ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কুরআনেও উল্লেখ আছে এ নগরীর, "তুমি কি ভেবে দেখনি তোমার প্রতিপালক আ'দ জাতির ইরামে কী করেছিলেন? তাদের ছিল সুউচ্চ সব স্তম্ভ, যেমনটি পৃথিবী কোনোদিন দেখেনি আগে।" (কুরআন, সুরা ফাজর, ৮৯:৬-৮)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআনের 'ভেবে দেখনি' কথা থেকে ধরে নেয়াই যায় যে, আরবরা ভালো করেই জানত ইরাম (إِرَم ) নগরীর কথা, সেটা উপকথাতেই হোক, আর ধ্বংসস্তূপ দেখেই হোক। আমরা খুঁজে বের করতে চেষ্টা করব, এ নগরী নিয়ে উপকথার ফাঁকে ফাঁকে হোক আর অন্যত্রই হোক- কী কী বলা রয়েছে। আর কী কাহিনীই বা জড়িত আছে এর সাথে?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শিল্পীর কল্পনায় ইরাম নগরী; Source: Ancient Origins</div><div style="text-align: justify;">কথিত আছে, হযরত নুহ (আঃ) এর পুত্র শামের (سام) ছেলেই আ'দ (عاد)। তার পুত্র শাদ্দাদ আ'দ জাতির প্রতাপশালী রাজা ছিল, যার স্বপ্ন ছিল দুনিয়াতে স্বর্গ নির্মাণ করা। ইসলামি বর্ণনা অনুযায়ী, এ জাতির প্রতি পাঠানো হয় আরবীয় নবী হুদ (আ)-কে (هود)। কুরআনে তার নামে আলাদা সুরাই রয়েছে। বাইবেল বিশারদগণ আবার তাকে বাইবেলের ইবার (עֵבֶר) বা আবির বলে মনে করেন, যিনি কিনা ইসমাইল (আঃ) ও ইসহাক (আঃ) এর পূর্বপুরুষ ছিলেন। মজার ব্যাপার, এই ইবারের সাথে মিল পাওয়া যায় ইরামের অপর নামের, যেটি হল 'উবার' (Ubar)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কুরআন বলছে, আ'দ জাতির ইরাম নগরীর অবস্থান ছিল 'আল-আহকাফ' (الأَحـقَـاف‎)-এ। যার মানে দাঁড়ায় 'ধুলিময় সমভূমি' কিংবা 'প্রচুর বাতাস বয়ে যাওয়া পাহাড়ের কোলের মরুঅঞ্চল'। বিশেষজ্ঞদের মতে, জায়াগাটি আরব উপদ্বীপের দক্ষিণে, ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চল বা ওমানের পশ্চিমাঞ্চলে। আরবিতে এ শহরকে ডাকা হয় 'ইরাম যাত আল ইমাদ' (إِرَم ذَات الـعِـمَـاد‎) নামে, অর্থ 'স্তম্ভের নগরী ইরাম' (Iram of the Pillars)। আসলেই আশির দশকে সেই অঞ্চলে একটি ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়, যাকে উবার নগরীই 'মনে করা হয়'।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইরাম নগরীর সম্ভাব্য অবস্থান; Source: Harun Yahya</div><div style="text-align: justify;">ইবনে কাসিরের আল বিদায়া গ্রন্থ থেকে আমরা জানতে পারি, আ'দ জাতি প্রতাপশালী ও ধনী ছিল, নির্মাণ করেছিল সুউচ্চ সব অট্টালিকা। তারা একসময় একেশ্বেরবাদ বর্জন করে এবং মূর্তিপূজা শুরু করে, যেমন সামদ, সামুদ এবং হারা ছিল তাদের তিন উপাস্য। হুদ (আঃ) অনেক দিন তাদের মাঝে একেশ্বরবাদ প্রচার করেন, আল্লাহ্‌র পথে ডাকেন। কিন্তু তারা না ফেরায় এক ঝড় তাদের ধ্বংস করে দেয়, আর সকাল বেলা জনশূন্য ইরাম পড়ে থাকে। (কুরআন, ৪৬:২৪-২৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে শাদ্দাদের উপকথা এ নগরী ধ্বংসের আগের ঘটনা। বলা হয়, শাদ্দাদ (شدّاد) আর তার ভাই শাদ্দিদ (شديد) পালা করে এক হাজার আ'দ গোত্রের ওপর রাজত্ব করত। পুরো আরব আর ইরাকের রাজা ছিল শাদ্দাদ। এমনকি, কিছু আরব লেখক বলে থাকেন যে শাদ্দাদের অভিযানের কারণে কানানের দেশান্তর হয়েছিল। শাদ্দাদের কাহিনী আলিফ লায়লা ওয়া লায়লা অর্থাৎ আরব্য রজনী গ্রন্থের ২৭৭ থেকে ২৭৯ তম রাতে বলা হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উপকথা অনুযায়ী, হুদ (আঃ) শাদ্দাদকে পরকালের বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু শাদ্দাদ বলল সে নিজে বেহেশত বানাবে দুনিয়াতেই, লাগবে না তার পরকালের বেহেশত। এরপর ইয়েমেনের আদানের কাছে এক বিশাল এলাকা জুড়ে শাদ্দাদের 'বেহেশত' নির্মাণ শুরু হয়। প্রাচীর দেয়ালগুলো ৭৫০ ফুট উঁচু ছিল, আর প্রস্থে ৩০ ফুট। চারদিকে চারটি ফটক। ভেতরে তিন লক্ষ প্রাসাদবাড়ির কথা বর্ণিত আছে, উপকথা অনুযায়ী যার নির্মাণ কাজ শেষ হয় ৫০০ বছরে। </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">আল বায়যাওয়ি থেকে আমরা আব্দুল্লাহ ইবন কিলাবাহ এর বর্ণনা করা একটা ঘটনা জানতে পারি, তিনি ইয়েমেনের আদানে এক আরবের দেখা পেয়েছিলেন, যিনি কিনা হাদ্রামুতের পশ্চিমে মরুভূমির গহীনে এক রহস্যময় শহরের দেখা পেয়েছিলেন, যা ইরাম নগরীর বর্ণনার সাথে মিলে যায়। অন্য বর্ণনায় আব্দুল্লাহ নিজেই সেই শহরে যান। সেখান থেকে জহরতও নিয়ে আসেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ অভিযানের কথা তখনকার খলিফা মুয়াবিয়ার কানে পৌঁছায়। নিজের অভিযানের সত্যতা প্রমাণের জন্য তিনি খলিফাকে ইরামের কিছু মুক্তো দেখান, যেগুলো এখন হলুদ হয়ে গেছে, হারিয়েছে তার সৌন্দর্য। খলিফা তখন সাহাবী কাব আল আহবার (রা)-কে জিজ্ঞেস করেন এ শহরের কথা, তিনি তখন কাহিনীগুলো উপকথার কাহিনীগুলো বর্ণনা করেন। তবে কুরআন বা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর কোনো কথায় শাদ্দাদের বেহেশতের কোনো কাহিনী পাওয়া যায় না, তাই এর নিশ্চয়তাও দেয়া যায় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাদিদ (বা শিদাদ) মারা যাবার পর শাদ্দাদ বেহেশতের বর্ণনা পড়ে নানা বইতে, কাহিনীর সেই সংস্করণে হুদ (আঃ) তাকে বলেননি বেহেশতের কথা। এবং সেই থেকে তার ইচ্ছে হয় বেহেশত বানাবার।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাহের সুরাটির কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থেও এ উপকথার কাহিনী উল্লেখ করা হয়েছে। সংক্ষেপে পুরো কাহিনী শুনে নেয়া যাক তবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাজা আ'দের মৃত্যুর পর তার বড় ছেলে শাদিদ রাজা হয়, ৭০০ বছর পর্যন্ত চলে তার রাজত্ব। খুবই কড়া এবং ন্যায় ছিল তার শাসন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একবার এক লোক জমি কিনল প্রতিবেশীর কাছ থেকে, পরে কৃষিকাজ করতে গিয়ে গুপ্তধন আবিষ্কার করল মাটির নিচে। সে সাথে সাথে গিয়ে প্রতিবেশীকে সে গুপ্তধন দিতে গেল, কিন্তু প্রতিবেশী নিল না। তার মতে, সে যখন বিক্রি করেছে, সবকিছু সহই করেছে। যোগ্য ফয়সালার জন্য তখন প্রথমজন বাদশাহ শাদিদের কাছে যায়। শাদিদ তখন দু'পরিবারের পুত্র আর কন্যার মাঝে বিয়ে দিয়ে দেন, এবং সে গুপ্তধন ভাগ করে দেন দু'পরিবারের মাঝে।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">হুদ (আঃ) চেষ্টা করেও অবশ্য পৌত্তলিক শাদিদকে আল্লাহর পথে আনতে পারেননি। তার মৃত্যুর পর উজির শাদ্দাদ রাজা হয়। হ্যাঁ, এ সংস্করণে তারা পালা করে শাসন করেনি, বরং ছোট ভাই উজির বা মন্ত্রী ছিল। রাজা হবার পর তার কাছেও হুদ (আঃ) গিয়ে বেহেশতের কথা বললেন। তখন শাদ্দাদ বললো, "তোমার প্রতিপালকের বেহেশতের কোনো দরকার আমার নেই। এরকম একটি বেহেশত আমি নিজেই বানিয়ে নেব।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাদ্দাদ তার ভাগ্নে জোহাক তাজীর কাছে দূত পাঠাল, জোহাক তখন পাশের এক বিশাল সাম্রাজ্যের রাজা। দূত মারফত শাদ্দাদ বললো, "ভাগ্নে! তোমার রাজ্যে যত সোনারূপা আর মূল্যবান জহরত আছে, সব সংগ্রহ করে আমার দরবারে পাঠিয়ে দেবে, যত মেশক আম্বর আর জাফরানাদি আছে সেগুলোও। আমি দুনিয়ায় এক বিশাল অনুপম বেহেশত তৈরি করতে চাই।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আশপাশের অনুগত রাজাদেরও শাদ্দাদ একই নির্দেশ দিল। আর নিজের সকল প্রজার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ ছিল, কারো কাছে কোনো জহরত পাওয়া গেলে তার ভাগ্যে আছে কঠিন শাস্তি। তল্লাশিও চলত নিয়মিত।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একে একে জহরতে ভরে যেতে লাগলো শাদ্দাদের দরবার। বেহেশতের স্থান বাছাইয়ের জন্য অনেক লোক নিয়োগ করা হলো। অবশেষে ইয়েমেনের একটি স্থানকে পছন্দ করা হলো। আয়তন ছিল একশ চল্লিশ ক্রোশ। দেশ-বিদেশ থেকে আসা তিন হাজার সুদক্ষ কারিগর কাজ শুরু করল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক দরিদ্র বিধবা বৃদ্ধার নাবালিকা মেয়ের গলায় চার আনা রূপার একটি অলংকার ছিল। এক তালাশকারীর চোখে সেটা পড়ে যায়, সে ছিনিয়ে নেয় সেটি। দুঃখী মেয়েটি ধুলোয় গড়াগড়ি দিয়ে কাঁদতে থাকে। সে দৃশ্য দেখে সে বৃদ্ধা দু'হাত তুলে ফরিয়াদ করে, "হে আমার প্রতিপালক, তুমি সবই অবগত। দুঃখিনীর প্রতি জালিম শাদ্দাদের অত্যাচারের দৃশ্য তোমার অদেখা নয়। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার কেউ নেই। তুমি শাদ্দাদকে ধ্বংস করে তোমার দুর্বল বান্দাকে রক্ষা কর।"</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">ওদিকে বেহেশত বানাবার কাজ চলছে পুরোদমে। চল্লিশ গজ নিচ থেকে মর্মর পাথর দিয়ে বেহেশতের প্রাসাদের ভিত্তি স্থাপন করা হলো। আর তার উপর সোনা-রুপানির্মিত ইট দিয়ে প্রাচীর বানানো হলো। বর্ণিত আছে, কৃত্রিম গাছও শাদ্দাদ বানায়, যার শাখা প্রশাখাগুলো ছিল ইয়াকুত পাথরের, আর পাতাগুলো নির্মিত হয়েছিল 'ছঙ্গে-জবরজদ' দিয়ে। আর ফল হিসেবে ঝুলছিল মণি মুক্তা আর হীরা জহরত। আর মেঝে ছিল চুন্নি পান্নার মতো মূল্যবান পাথরের, সাথে মেশকের ঘ্রাণ। স্থানে স্থানে ঝর্নাধারা ছিল দুধ, মদ আর মধুর। আর চেয়ার টেবিল ছিল লক্ষাধিক, সবই সোনার তৈরি। মোটকথা, এলাহি কাণ্ড, মনোহরী এক দৃশ্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কী ছিল না শাদ্দাদের বেহেশতে? </div><div style="text-align: justify;">নির্মাণকাজ শেষ হলে সে বেহেশতের ফটক দিয়ে ঢুকবার জন্য হাজার হাজার সেনা নিয়ে অগ্রসর হলো শাদ্দাদ। তিন হাজার গজ দূরে এসে তার বাহিনী অবস্থান নিল। এমন সময় অদ্ভুত এক হরিণের দিকে তার নজর পড়ল। দেখে মনে হচ্ছিল, হরিণের পাগুলো রূপার, শিং সোনার আর চোখে ইয়াকুত পাথরের। শাদ্দাদের শিকারের নেশা ছিল। বাহিনীকে থামতে বলে নিজেই রওনা দিল হরিণটি ধরবার জন্য।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু হরিণের দেখা আর মেলেনি। এক বিকট অশ্বারোহী তার পথ রোধ করে দাঁড়ালো, যেই না শাদ্দাদ তার বাহিনীর কাছ থেকে সরে এলো। অশ্বারোহী বললেন, "এই সুরম্য প্রাসাদ কি তোমাকে নিরাপদ রাখবে?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাদ্দাদ জিজ্ঞেস করল, "তুমি কে?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আমি মালাকুল মাউত। মৃত্যুর ফেরেশতা।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এখানে কী চাও?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এখনো বোঝোনি? আমি তোমার জান কবজ করতে এসেছি।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাদ্দাদ নিষ্পলক চোখে রাকিয়ে রইল, তার স্বপ্ন পূরণ না করেই চলে যেতে হবে? "আমাকে অন্তত একবার আমার পরম সাধের বেহেশত দেখতে দাও?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আযরাঈল (আঃ) বললেন, "আল্লাহর অনুমতি ছাড়া এক মুহূর্ত বাড়তি সময়ও তোমাকে দিতে পারি না। আমার উপর নির্দেশ এখুনি তোমার জান কবজ করা।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"তাহলে ঘোড়া থেকে নামি আমি।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"না, ঘোড়াতে থাকা অবস্থাতেই তোমার জান কবজ করতে হবে আমার।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">শাদ্দাদ এক পা মাটিতে পা রাখতে গেলো। কিন্তু সেটি মাটি স্পর্শ করবার আগেই আযরাঈল (আঃ) দেহপিঞ্জর থেকে আত্মা বের করে নিলেন। আর জিব্রাঈল (আঃ) এর প্রকাণ্ড এক শব্দ করলেন যাতে মারা গেল উপস্থিত সেনাবাহিনী, আর অসংখ্য ফেরেশতা এসে ধ্বংস করে দিয়ে গেল দুনিয়ার 'বেহেশত', পরে রইল ধ্বংসস্তূপ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কাসাসুল আম্বিয়া গ্রন্থে বলা হয়েছে, শাদ্দাদের বেহেশত কেয়ামতের আগে কখনোই আত্মপ্রকাশ করবে না, অর্থাৎ খুঁজে পাওয়া যাবে না- উপকথায় তা-ই বলা হয়। আরো বলা আছে, কা'ব (রা) নাকি বলেছিলেন, তিনি রাসুল (সা) থেকে শুনেছিলেন, আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি শাদ্দাদের বেহেশতের কিছু নিদর্শন দেখতে পাবে কেবল। খলিফা মুয়াবিয়ার নিকট আসা সেই ব্যক্তির নাম ছিল আব্দুল্লাহ বিন কিলাবা। তবে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাসুল (সা) এর সহিহ কোনো হাদিস এ ব্যাপারে পাওয়া যায় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ বইয়ে বলা আরেকটা গল্প এমন-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একবার আল্লাহ্‌ মৃত্যুর ফেরেশতা আযরাঈল (আ)-কে বললেন, "আযরাঈল! তুমি তো অনেক আত্মা কবজ করেছ। কারো প্রাণ নিতে গিয়ে কি তোমার মনে করুণার উদ্রেক হয়েছিল? কারো প্রতি দয়া দেখিয়েছ?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আযরাঈল (আঃ) বললেন, "জান কবজের সময় সকলের প্রতিই করুণা হয়, কিন্তু আপনার আদেশই চুড়ান্ত।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ্‌ বললেন, "তবে কোন আত্মাহরণের সময় তুমি সবচেয়ে বেশি করুণা অনুভব করেছিলে?"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তখন আযরাঈল বললেন, "একবার আদেশ হয়েছিল ধ্বংসপ্রাপ্ত নৌকার যাত্রীদের জান কবজের। নৌকা ডোবার পর সকলেই মারা গেল। কিন্তু নৌকার একটি তক্তা আপনার নির্দেশে একটি গর্ভবতী মহিলাকে বাঁচিয়েছিল। ফেরেশতারা তক্তার ওপরের সে মহিলাকে একটি দ্বীপে পৌঁছে দিল স্রোতের সাহায্যে। সেখানে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিল সে। নবজাত সন্তানকে দেখে মহিলাটি সব দুঃখ ভুলে গেল। তখনই আমি নির্দেশ পেলাম, এ নারীর জান কবজ করতে হবে। আর নবজাত শিশুটিকে তার পাশেই রেখে যেতে হবে, জীবিত। তখন আমি কেঁদেছিলাম, এ শিশুটির কী হবে? তার তো মৃত্যু ছাড়া আর গতি নেই, কোনো পশু তাকে খেয়ে ফেলবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দ্বিতীয়বার আমার দয়ার উদ্রেক হয়েছিল শাদ্দাদের প্রতি। শাদ্দাদ এত বছর চেষ্টা করে তার প্রাসাদ তৈরি করল অথচ সে তা একনজর দেখা হতে বঞ্চিত রয়ে গেল। আফসোস নিয়ে তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আল্লাহ্‌ বললেন, "আযরাঈল! সে শিশুটিই ছিল শাদ্দাদ। তার মায়ের মৃত্যুর পর আমি গ্রীষ্ম ও শীতের দ্বারা তাকে কষ্ট দেইনি। তার এক আঙুল হতে দুধ আর এক আঙুল হতে মধুর ঝর্না প্রবাহিত করেছিলাম। তার জীবন বাঁচিয়েছিলাম। এরপর তাকে বিশাল দেশের প্রতাপশালী সম্রাট করেছি। কিন্তু সে এ নিয়ামতের শুকরিয়া না করে নিজেকে ঈশ্বর দাবি করে। তাই আমার আযাব তাকে গ্রাস করে।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এ গল্পেরও কোনো প্রমাণিত ভিত্তি উল্লেখ করা নেই। তাই, ইসলামি মুফতিদের জিজ্ঞেস করলে, তারা বলে থাকেন শাদ্দাদের বেহেশতের কাহিনী স্বীকার বা অস্বীকার করবার মতো উপাত্ত হাতে নেই, তাই এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না।</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">কিন্তু প্রত্নতত্ত্ববিদগণ তো আর বসে থাকেন না। তবে এ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কখনোই খুঁজে পাওয়া যায়নি ইরাম নগরীর অস্তিত্ব। কেউ কেউ ধারণা করে থাকেন, আরব মরুভূমির রাব-আল-খালিতে (الربع الخالي) লুকিয়ে আছে ইরামের ধ্বংসস্তূপ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অন্যদিকে পপ কালচারে কিন্তু দারুণ জনপ্রিয় ইরাম নগরী। ২০০৪ সালে প্রকাশিত জেমস রোলিন্সের স্যান্ডস্টর্ম উপন্যাসের বিষয় বস্তুও ইরাম নগরীর আবিষ্কার। আর নানা গেমেও রয়েছে ইরামের কথা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আলিফ লায়লা থেকে শুরু করে থ্রিলারের পাতা, কত জায়গাতেই ইরাম নগরীর সরব উপস্থিতি, নেই কেবল ইতিহাসের পাতায়। কোনোদিন কি দেখা মিলবে শত শত বছর ধরে মানুষের কল্পনার ইরাম নগরীর?</div>

শাদ্দাদের বেহেশত: মরুভূমির আটলান্টিস ইরাম নগরীর কাহিনী

শাদ্দাদের বেহেশত: মরুভূমির আটলান্টিস ইরাম নগরীর কাহিনী ©ROAR Media, আব্দুল্লাহ ইবনে মাহমুদ মরুভূমির ধুলিগর্ভে হারিয়ে যাওয়া এক অভূতপূর্ব নগরী...

Read more »

হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (রহঃ)

<p style="text-align: center;"> <span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; text-align: left; white-space: pre-wrap;"><b><span style="font-size: large;"> হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (রহঃ)</span></b></span></p><p style="text-align: center;"><br /></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">হিজরী চতুর্দশ শতাব্দিতে শত শত নয়; বরং আপন জ্ঞান-গরিমা-পরহেজগারী, হিদায়েত, সর্বোপরি ন্যায় পরায়ন ভিত্তিক যে কয়জন ক্ষনজন্মা ইসলামী বীর মুজাহিদ ইহধাম ত্যাগ করেছেন, এদের মধ্যে হাকীমুল উম্মাহ মুফতী আহমদ ইয়ার খান নঈমী আশরাফী বদায়ুনী (রহঃ) এর ব্যক্তিত্ব অত্যাধিক তাৎপর্যপূর্ণ। এই মহান মনীষী স্মরণযােগ্য অসংখ্য অমূল্য কিতাব মহান ইসলামের খেদমতে রেখে যান। পাক বাংলা ভারত উপমহাদেশের আলেম ও বুদ্ধিজীবি সমাজে তার জ্ঞান গভীর, বিচক্ষণতা এবং বাগ্মীতা অবাধে স্বীকৃত।</span></p><p style="text-align: center;"><span style="background-color: white;"></span></p><div class="separator" style="clear: both; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; text-align: center; white-space: pre-wrap;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiwbueZ9pPvTpqeCcaIz7GytEMaUVJ0plOEia2eh5r6EN0lV351fgRcdUi2pakDJ5e-MJvf7mzNjgLy1ZKnmpOgdCO2HEjkPhFEknSdhyphenhyphenXB0lOIZPctDbxIjy2Fr13AxdtUG7neFraxnMNO/" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" data-original-height="403" data-original-width="414" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiwbueZ9pPvTpqeCcaIz7GytEMaUVJ0plOEia2eh5r6EN0lV351fgRcdUi2pakDJ5e-MJvf7mzNjgLy1ZKnmpOgdCO2HEjkPhFEknSdhyphenhyphenXB0lOIZPctDbxIjy2Fr13AxdtUG7neFraxnMNO/rw/" width="247" /></a></div></div></div><div style="text-align: center;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505; font-size: small; white-space: pre-wrap;">  </span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505; font-size: x-small; white-space: pre-wrap;">হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আল্লামা আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (রহঃ)</span></div><p></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: medium; font-weight: bold;"><br /></span></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: medium; font-weight: bold;">জন্ম ও বংশপরিচিতি- </span></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">১৯০৬ ইংরেজী সন মােতাবেক ১৩২৪ হিজরীতে ইউ, পির বদাযুন জিলার অন্তর্গত উজানী নামক স্থানে তিনি শুভ জন্ম লাভ করেন। তাঁর বংশ ইউছুফ জী পাঠান বংশের সাথে সম্পর্কিত। তার পিতা মনােয়ার খান সাহেব ইবনে মােল্লা মুহাম্মদ ইয়ার খান সাহেব ছিলেন এলাকার একজন অতি সম্মানিত, দ্বীনদার এবং জমানার সুফি ব্যক্তি।</span></p><p style="text-align: left;"><b><span style="font-size: medium;">শিক্ষাজীবন-</span></b> </p><p style="text-align: left;"><span style="font-family: inherit;">শিক্ষার হাতেখড়ি শ্রদ্ধেয় পিতা মোল্লা মুহাম্মদ ইয়ার খানের হাতেই। ১১ বছর বয়সে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে বদায়ুনের শামসুল উলুম মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে মুফতি আযীয আহমেদ, আল্লামা কাদীর বক্স তাঁর অন্যতম শিক্ষক ছিলেন। এই মাদ্রাসায় ৩ বছর পড়ার পরে আলীগড়ের মাদ্রাসা ই ইসলামিয়ায় ৩ বছর পড়েন।</span> </p><p style="text-align: left;">এরপরে উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠতম বিদ্যাপীঠ জামেয়া নঈমীয়ায় ভর্তি হন। <span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;">ছদরুল আফাজিল সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মােরাদাবাদী (রহঃ) সহচর্য পেয়ে তিনি হয়ে উঠেন উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন। জানা যায় তিনি </span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;">ছদরুল আফাজিল সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মােরাদাবাদী (রহঃ </span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;">মীরাঠে আরো কিছুকাল পড়ার পরে ২০ বছর বয়সে একজন বিশ্ববরেণ্য আলেম হয়ে শিক্ষাজীবনের ইতি টানেন। এরপর তাঁর উস্তাদ </span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;">ছদরুল আফাজিল সৈয়দ মুহাম্মদ নঈম উদ্দিন মােরাদাবাদী (রহঃ) তাঁকে পাগড়ী পড়িয়ে দেন সাথে ইমাম ত্বাহাভীর বিখ্যাত সনদটি প্রদান করেন।</span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b><span style="font-size: medium;">কর্মজীবন-</span></b><span style="font-size: 15px;"> </span></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: 15px;">তাঁর কর্মজীবন ছিলো বহুগুণে দীপ্তিমান। ৪৬ বছরের শিক্ষকতা, পাঁচ শতাধিক পান্ডুলিপি রচনা, ফতোয়া-ফরায়েজি প্রদান, ওয়াজ-নসীহত, মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তৃতা দিয়ে মুসলিম জনগোষ্ঠির মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। অবহেলিত মুসলিমদের আলোর পথের দিশারী হওয়ায় মুসলিম উম্মাহর কাছে তিনি হাকিমুল উম্মাহ হিসেবে পরিচিতি পান। </span></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: 15px;">তাঁর শিক্ষকতা জীবন নিয়ে কিছু জানা যাক, এর আগে একটা কথা বলে রাখি আপনাদের। বর্তমানের উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমদের অনেকেই তাঁর ছাত্র। শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে জামেয়া নঈমিয়াতেই শিক্ষকতা শুরু করেন, পাশাপাশি দারুল ইফতার ফতোয়া বিভাগেও দ্বায়িত্ব নেন। এরপর সেখান থেকে চলে গিয়ে উপমহাদেশের বহু মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। সর্বশেষ পাকিস্তানে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ওফাতের আগ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। </span></span></p><p style="text-align: left;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; white-space: pre-wrap;"><b><span style="font-size: medium;">তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য ছাত্রগণ-</span></b><span style="font-size: 15px;"> </span></span></p><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">1. হাফিজুল হাদীস, আল্লামা খাদিম হোসাইন রিজভী (তেহরিকে লাব্বাইক ইয়া-রাসুলুল্লাহ পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা)</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">2. মাওলানা মুহাম্মদ নুরুদ্দীন কাশ্মীরী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">3. মুহাম্মদ ফাযিল নঈমী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">4. শেরে মিল্লাত, মুফতি ওবাইদুল হক্ব নঈমী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">5. আল্লামা জালালুদ্দীন আল-কাদেরী (জামেয়ার অধ্যক্ষ ছিলেন)</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">6. শাইখুল হাদীস গোলাম আলী উকারভী</div></div><p style="text-align: left;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">প্রমুখ। তারা প্রত্যেকেই জগৎ বিখ্যাত আলেমে দ্বীন। </span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"> </span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: 15px;"> </span><b><span style="font-size: medium;">রচনাবলি-</span></b></span></p><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখি করতেন। এজন্যই তো ১৬ বছর বয়সে ছাত্রবস্থায় 'হাশিয়া-ই সদরা' নামে দর্শনশাস্ত্রের উপর একটি ব্যাখ্যাগ্রন্থ লিখেন। ১৭ বছর বয়সে 'ইলমুল মিরাছ'(ফরায়িজ বিষয়ে) আরেকটি গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯ বছর বয়সে ফতোইয়া প্রদান করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন। জীবনের প্রায় অর্ধশতাব্দি কাল পাক-ভারতে সত্য প্রতিষ্ঠা ও বাতিল প্রতিরােধে অতিবাহিত হয়, যা তার দুর্লভ লিখনী সমূহে প্রতিভাত হয়েছে। চতুর্দশ শতাব্দির মুজাদ্দিদ আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান (রহঃ) এর পরে সংকলন ও রচনায় তিনি যে প্রশংসনীয় খেদমত আনজাম দিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত বিরল। ৫০০রও অধিক কিতাব লিখেছেন তিনি। এ পর্যন্ত তার রচিত যে সমস্ত কিতাবাদির নাম জানা যায়, তা'হল-</div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১) ইলমুল মিরাছ </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২) শানে হাবীবুর রহমান </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৩) জা আল হক ওয়া যাহাক্বাল বাতিল </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৪) সালতানাতে মােস্তফা </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৫) রহমতে খােদা বা উছিলায় আওলিয়া</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৬) রেছালায়ে নুর </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৭) আমিরে মােয়াবিয়া পর এক নজর </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৮) ইসলামী জিন্দেগী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(৯) আলম আহকাম </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১০) মওয়ায়েজে নঈমীয়া</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১১) নয়ী তাকরিরী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১২) সফর নামা (ইরান, ইরাক, হেজাজ ইত্যাদি) </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৩) সফর নামা-১ (১৪) সফর নামা -২ </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৫) আল কালামুল মাকবুল পি তাহারাতে নাহুবীর রসুল </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৬) ফতওয়ায়ে নঈমীয়া </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৭) নঈমুল বারী ফি ইনশরাহিল বােখারী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৮) নুরুল ইরফান ফি হাশীয়াতিল কোরান </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(১৯) তাফসীরে নঈমী </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২০) মিরাতুল মুনাজিহ শরহে মিশকাতিল মাছাবিহ </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২১) দরসে কুরআন </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২২) ইলমুল কুরআন</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২৩) দিওয়ান-ই-সালিক </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">(২৪) আসরারুল আহকাম </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">এছাড়া তিনি অধিকাংশ পাঠ্য বইয়ের পাদটিকা লিখে গেছেন, যা অদ্যবধি অপ্রকাশিত।বহু গ্রন্থ এখনো পান্ডুলিপি আকারে রয়ে গেছে। আরো কিছু গ্রন্থ ১৯৪৭ এর দেশ বিভাগে সময়(হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়) নষ্ঠ হয়ে গেছে। </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><b><span>কিছু কিতাবের বিবরণ-</span></b></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><br /></div></div><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>তাফসীরে নঈমী- </b>আল-কোরআনুল কারীমের তাফসীর। এটি অত্যন্ত প্রসিদ্ধ তাফসীর। এই তাফসীরের বিষয়ে একটা ঘটনাও আছে। এই কিতাব লিখার আগে তিনি মদীনা শরীফে নবীজীর রওজা জিয়ারত করতে এবং কিতাব লিখার অনুমতি নিতে, </span><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; white-space: pre-wrap;">একদিন তিনি সেখানকার একটি দোকানে গেলেন প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনাকাটার জন্য। একটা কলম তাঁর খুব পছন্দ হলো । কিন্তু দেখা গেলো তার সকল টাকা বই কেনার ফলে খরচ হয়ে যায়। তাছাড়া কলমটার দাম খুব বেশি ছিলো বলে তিনি আর কিনতে পারলেন না। ফজরের ওয়াক্তে, দোকানের মালিক তরুণ ব্যবসায়ী ব্যক্তিটি শাইখ কে মসজিদে দেখলেন, কলমটা বের করে আবেগের সাথে বললেন " আমি জানি না আপনি কে বা কি করেন! কিন্তু গতকাল রাতে আমি প্রথমবার নবীজী ﷺ কে দেখলাম এবং তিনি বললেন, "আমার খাদিম আহমাদ একটা কলমের জন্য তোমার কাছে আসলো। এটা আমার পক্ষ হতে তাকে উপহার দাও!" </span></p><p style="text-align: left;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; white-space: pre-wrap;">রাসূল ﷺ এর সান্নিধ্য কোন প্রেমিক কে কখনো হতাশ করেনি। প্রেমিক মদীনাতে এসেছে এবং অশ্রু বিন্দু পড়তে দেখেছে কিন্তু দয়ার সাগরের গভীরতম প্রবাহ তাকে ভিজিয়ে ধন্য করেছে।</span></p><p style="text-align: left;"><b>জা-আল হক্ব ওয়া যাহাক্বাল বাতিল- </b><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; white-space: pre-wrap;">ফিতনা ফ্যাসাদের এ যুগসন্ধিক্ষনে ঈমান-আকীদা নিয়ে টিকে থাকা বড়ই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের পর দিন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ভেদাভেদ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং প্রায় জায়গায় নানা মতাদর্শ জনিত বিবাদ-বিসম্বাদ লেগেই আছে। মাঝে মাঝে কোন কোন মহল থেকে এ ভেদাভেদ ভুলে একই পতাকাতলে জমায়েত হবার আহবানও জানানো হয়। কিন্তু দূর্ভাগ্য যে, কেউ এসব দল উপদলের অভ্যূদয় ও ভেদাভেদের মূল কারণসমূহ চিহ্নিত করেনি। এমন সময় তিনি কলম ধরলেন, ঈমান আকিদার উপর একটি উচ্চমানের কিতাব লিখলেন। তখনও তিনি নাম ঠিক করেন নি। তৎকালীন বিখ্যাত আলেম পীর সৈয়দ জামায়াত আলী শাহ এই কিতাবের পান্ডুলিপি দেখে অবিভুত হন, একইসাথে এর নাম </span><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; white-space: pre-wrap;">"জা'আল হক ওয়া যাহাকাল বাতিল" (সত্যের আবির্ভাবে বাতিল তিরোহিত) রাখার প্রস্তাব দেন। এই কিতাব সুন্নীদের প্রধান হাতিয়ার বললে ভুল হবেনা। </span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>নুরুল ইরফান ফি হাশীয়াতিল কোরান- </b>ইমাম আ'লা হযরতের লিখিত কানযুল ঈমান ফি তরজুমাতিল কোরআনের হাশিয়া। হাশিয়াগুলো এতই উচ্চমানের ছিলো যে একে কোরআনের তাফসীর বললে ভুল হবেনা। </span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>নঈমুল বারী ফি ইনশরাহিল বােখারী- </b>বুখারী শরীফের ব্যখ্যাগ্রন্থ</span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>মিরাতুল মুনাজিহ শরহে মিশকাতিল মাছাবিহ- </b>মিশকাত শরীফের ব্যখ্যাগ্রন্থ। কিতাবটি মোট ৮ খন্ডে রচিত। </span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>ফতওয়ায়ে নঈমীয়া- </b>এটি<b> </b>ফতোয়াগ্রন্থ। হানাফি ফিক্বহের গুরুত্বপুর্ণ কিতাব। এটি ১৭ খন্ডে রচিত।</span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b>আসরারুল আহকাম</b>- শরীয়তের বিধিবিধানের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা। যেসব প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে মানুষ নাস্তিকতা বেছে নেয় যেসব প্রশ্নের উত্তর এখানে এতই সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে যে আমার বিশ্বাস এটা সবার অন্তরকে শীতল করে দিবে। বুঝতেইতো পারছেন এটা কত গুরুত্বপুর্ণ কিতাব।</span></p><div><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b><span>ওফাত- </span></b></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;">অর্ধশতাব্দি পর্যন্ত ইসলামের খেদমতে অতিবাহিত করার পর জীবনের শেষ লগ্নে মুফতি সাহেব রােগে আক্রান্ত হয়ে লাহাের হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি ৩রা রমজানুল মােবারক ১৩৯১ হিজরী মােতাবেক ২৪ শে অক্টোবর ১৯৭১ ইংৱেৰ্তী গুজরাটে মহান প্রভুর সাক্ষাতে পরলােক গমন করেন। গুজরাটেই তিনি সমাধিস্থ হন। জীবদ্দশায় তিনি যে কামরায় দরসে কুরআন পেশ করতেন সেখানেই তার মাজার শরীফ অবস্থিত। </span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face="Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505;"><span style="background-color: white; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">উনাকে নিয়ে গবেষণা করতে গেলে শত শত পিএইডি হবে। কিন্তু উনাকে জানা শেষ হবেনা। তিনি এমন একজন ক্ষনজন্মা মহাপুরুষ ছিলেন। শেষ্মেষ এটাই বলব </span></span><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">আমরা যেন এসব মহামানবদের ভুলে না যাই। আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতের উচু মাকাম দান করুক। আমিন।</span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><p style="text-align: left;"><span face=""Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif" style="background-color: white; color: #050505; white-space: pre-wrap;"><b><span style="font-size: medium;">রেফারেন্স- </span></b></span></p><p style="text-align: left;"><span face="Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505;"><span style="background-color: white; white-space: pre-wrap;">1. আমাদের অনন্য সনদঃ ড আব্দুল হালিম (পৃঃ ২১৬)</span></span></p><p style="text-align: left;"><span face="Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505;"><span style="background-color: white; white-space: pre-wrap;">2. জা-আল হক্ব (পৃঃ১৬)</span></span></p><p style="text-align: left;"><span face="Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505;"><span style="background-color: white; white-space: pre-wrap;">3. আসরারুল আহক্বাম </span></span></p><p style="text-align: left;"><span face="Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif" style="color: #050505;"><span style="background-color: white; white-space: pre-wrap;">ইত্যাদি </span></span></p></div>

হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (রহঃ)

  হাকিমুল উম্মাহ মুফতি আহমদ ইয়ার খাঁন নঈমী (রহঃ) হিজরী চতুর্দশ শতাব্দিতে শত শত নয়; বরং আপন জ্ঞান-গরিমা-পরহেজগারী, হিদায়েত, সর্বোপরি ন্যা...

Read more »

মুহাম্মদ বিন আলী আল-সেনুসি

<p style="text-align: center;"> <span style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; white-space: pre-wrap;"><b><span style="font-size: large;">মুহাম্মদ বিন আলী আল-সেনুসিঃ কিংবদন্তী নেতা</span></b><span style="font-size: 15px;"> </span></span></p><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">পুরো নাম সিদি মুহাম্মদ ইবনে আলী আল-সেনুসি আল-মুজাহিরি আল-হাসানী আল-ইদ্রিসি। একজন আলেম সেইসাথে আরেকটা পরিচয় তিনি একজন রণাঙ্গনের বীর। তিনিই সেনুসি ত্বরিকার পথিকৃৎ। সেনুসি ত্বরিকা নামটা হয়তো কিছুটা অপরিচিত আপনাদের কাছে। কিন্তু ইতালীর সেনারা তাদের ভালো করেই চিনে-জানে। চিনবে নাইবা কেন? কতবারই যে তাদের নাকানি-চুবানি খাওয়ালো সেনুসি যোদ্ধারা! তাকি ভুলা যায়? </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">লায়ন অফ ডেজার্ট ওমর মুখতারকে তো আমরা অনেকেই চিনি তাই না? তিনি সেনুসিদের অন্যতম নেতা ছিলেন। আল-সেনুসির নাতি ইদ্রিস ১৯৫১-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত লিবিয়ার শাষক ছিলেন। </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word;"><div dir="auto" style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">এবার আল-সেনুসি রহঃ র ব্যাপারে জানা যাক,</div><div dir="auto" style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">তিনি জন্মগ্রহন করেন আলজেরিয়ার মোস্তাগানিম শহরে। একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক হিসেবে তাকে আল-সেনুসি উপাধি দেওয়া হয়। বংশগতভাবে তিনি একজন সৈয়দজাদা। মরক্কোতে তিনি পড়ালেখা করেন এরপরে মিশরের বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি, মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ আল-আজহারে পড়াশোনা করেন। তিনি বহু মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কথা হলো লিবিয়ার স্বৈরশাসক গাদ্দাফি সেসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দেয়। সাথে তাঁর পরিবারকে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়। যাইহোক আজকের স্বাধীন লিবিয়া উনারই অবদান। উনার মৃত্যুর পরে উনার ছেলে সেনুসিদের নেতা হন। এরপর উনার নাতি লিবিয়ার শাষক হন। এখানে একটা বিষয় উল্লেখযোগ্য, <span style="font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif;">তাঁকে যখন তুরস্কের বিদ্রোহী কামাল খলিফা সাজার প্রস্তাব দেয়, এই সিংহহৃদয় আধ্যাত্মিক পুরুষ বলেছিলেন,</span></div><span style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;">"আমি (তুর্কি) খলিফার বায়াত ভংগ করে নিজে খলিফা বনতে পারবো না।"</span><br style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;" /><br style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;" /><span style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;">যদিও তখন খলিফার কোন রাজক্ষমতাই নেই। এটাও তিনি জানতেন, খিলাফাত বিলুপ্ত হতে চলেছে। তবু, স্থির তো এঁরাই।</span><br style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;" /><span style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px;">আল্লাহ এই মহান সূর্যকে মদিনাতে, তাঁর মহত্তর পূর্বপুরুষের কাছেই শেষ আশ্রয় দান করেছিলেন।</span><div dir="auto" style="text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; text-align: center; white-space: pre-wrap;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; text-align: center; white-space: pre-wrap;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; text-align: center; white-space: pre-wrap;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgb91qKq1AP9N4tmXrcWvQmedR0vFONT8oeQnOAijcbDLjtp-xRYwuCQkmFhyESjWsoOZ8AYnIQbWjwOcD4PwnpcltziBC0hbYA6H6IDdGyQIQ_3y2YRJ_LSUy-YleIN-9MeoqUEt4OC5cq/" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" data-original-height="900" data-original-width="526" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgb91qKq1AP9N4tmXrcWvQmedR0vFONT8oeQnOAijcbDLjtp-xRYwuCQkmFhyESjWsoOZ8AYnIQbWjwOcD4PwnpcltziBC0hbYA6H6IDdGyQIQ_3y2YRJ_LSUy-YleIN-9MeoqUEt4OC5cq/rw/" width="140" /></a></div><br /><span style="color: #050505; font-family: Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: xx-small;"><span style="white-space: pre-wrap;">মুহাম্মদ বিন আলী আল-সেনুসি</span></span></div><div dir="auto" style="text-align: center;"><span style="color: #050505; font-family: Segoe UI Historic, Segoe UI, Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: xx-small;"><span style="white-space: pre-wrap;"><br /></span></span></div><div dir="auto" style="text-align: center;"><br /></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word;"><div><br /></div></div>

মুহাম্মদ বিন আলী আল-সেনুসি

  মুহাম্মদ বিন আলী আল-সেনুসিঃ কিংবদন্তী নেতা পুরো নাম সিদি মুহাম্মদ ইবনে আলী আল-সেনুসি আল-মুজাহিরি আল-হাসানী আল-ইদ্রিসি। একজন আলেম সেইসাথে ...

Read more »

"এক" এর পারদর্শিতা

<div style="text-align: justify;"><b>"এক" এর পারদর্শিতা</b></div><div style="text-align: justify;"><b>- সালমন সালমা</b></div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLQzqnJGSC9503CXRWiPmpeCwDzSR03_isX3gHy-cnpmpK0jDQjdrFeXkYH8du3ElZUf7CbzYdx2OfI9hKZRltUzP0ReJzdJs5c3_NqDoKeAFzVEAjeGhwZl_VVcLLP8wQpnrWG_-L-pkC/s1600/FB_IMG_1609075136973.jpg" imageanchor="1" style=" margin-right: 1em;margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="657" data-original-width="398" height="181" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhLQzqnJGSC9503CXRWiPmpeCwDzSR03_isX3gHy-cnpmpK0jDQjdrFeXkYH8du3ElZUf7CbzYdx2OfI9hKZRltUzP0ReJzdJs5c3_NqDoKeAFzVEAjeGhwZl_VVcLLP8wQpnrWG_-L-pkC/s1600-rw/FB_IMG_1609075136973.jpg" title="" width="110"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইলমুল কুরআন,</div><div style="text-align: justify;">ইলমুল হাদীস,</div><div style="text-align: justify;">উসুলে হাদীস,</div><div style="text-align: justify;">ফিকাহ (হানাফি মাযহাব) </div><div style="text-align: justify;">ফিকাহ ( অন্যান্য মাযহাব)</div><div style="text-align: justify;">উসুলে ফিকাহ,</div><div style="text-align: justify;">তর্কশাস্ত্র,</div><div style="text-align: justify;">তাফসিরুল কুরআন,</div><div style="text-align: justify;">আকাইদ, যুক্তিনির্ভর ধর্মশাস্ত্র,</div><div style="text-align: justify;">বাক্যরীতি,</div><div style="text-align: justify;">শব্দের অঙ্গসংস্থানবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">শব্দার্থবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">শব্দের প্রয়োগবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">অলঙ্কারশাস্ত্র, ভাষালঙ্কার,</div><div style="text-align: justify;">যুক্তিবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">বিতর্ক,</div><div style="text-align: justify;">আল কালাম/দর্শন,</div><div style="text-align: justify;">ভগ্নাংশবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">জ্যোতির্বিজ্ঞান,</div><div style="text-align: justify;">সংখ্যাতত্ত্ব,</div><div style="text-align: justify;">ভূগোল,</div><div style="text-align: justify;">তিলাওয়াতে কুরআন,</div><div style="text-align: justify;">কুরআনের ধ্বনিবিজ্ঞান,</div><div style="text-align: justify;">ইলমে তাসাউফ, সুফিতত্ব,</div><div style="text-align: justify;">নীতিশাস্ত্র,</div><div style="text-align: justify;">নৈতিকতা ও শিষ্টাচার,</div><div style="text-align: justify;">হাদীস বর্ণনাকারীগনের জীবনী,</div><div style="text-align: justify;">জীবনী রচনাবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">ইতিহাস,</div><div style="text-align: justify;">শব্দবিজ্ঞান ও ব্যুৎপত্তিবিদ্য,</div><div style="text-align: justify;">সাহিত্য ও সহযোগীবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">পাটীগণিত,</div><div style="text-align: justify;">বীজগণিত,</div><div style="text-align: justify;">ষাটভিত্তিক গণনারীতি,</div><div style="text-align: justify;">লগারিদম,</div><div style="text-align: justify;">কালনিরুপনবিদ্যা, ইবাদতের সময় নিরুপন,</div><div style="text-align: justify;">চক্ষুবিজ্ঞান,</div><div style="text-align: justify;">গোলক জ্যামিতি,</div><div style="text-align: justify;">নক্ষত্রবিদ্যা,</div><div style="text-align: justify;">গোলকের ত্রিকোণমিতি,</div><div style="text-align: justify;">সমতলের ত্রিকোণমিতি,</div><div style="text-align: justify;">আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান,গ্রহবিজ্ঞান, সৃষ্টিতত্ত্ব,</div><div style="text-align: justify;">দ্বিগাত সমীকরণ,</div><div style="text-align: justify;">ইলমে জাফর,</div><div style="text-align: justify;">আরবী কাব্য,</div><div style="text-align: justify;">আরবী প্রবন্ধ,</div><div style="text-align: justify;">ফার্সি কাব্য,</div><div style="text-align: justify;">ফার্সি প্রবন্ধ,</div><div style="text-align: justify;">উর্দু কাব্য,</div><div style="text-align: justify;">উর্দু প্রবন্ধ,</div><div style="text-align: justify;">ক্যালিগ্রাফি : নাসখ,</div><div style="text-align: justify;">ক্যালিগ্রাফি : নাসতালিক </div><div style="text-align: justify;">ইলমুল তাজবিদ,</div><div style="text-align: justify;">ইলমুল ফারাইয।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এতো গুলো বিষয়, এতো এতো দক্ষতা!  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মাথায় ধরে ; হু ইজ হী-? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b>তিনি সর্বোত্তম, সবার সেরা,</b></div><div style="text-align: justify;"><b>তিনি সম্মানিত, </b></div><div style="text-align: justify;"><b>তিনি সর্বোচ্চ সম্মানিত... </b></div><div style="text-align: justify;"><b><br></b></div><div style="text-align: justify;"><b>তিনি আ'লা হযরত। </b></div><div style="text-align: justify;"><b>ইমাম আহমাদ রেযা খান র. </b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">চার বছর বয়সে আমার ল আ'কার লা শিখতে ৬/৭ দিন লাগছে। </div><div style="text-align: justify;">আর তিনি মাত্র চার বছর বয়সেই সমস্ত কুরআন আয়ত্ব করলেন। পাচ বছর বয়সে এক অনুষ্ঠানের ভরা মজলিশে, তাবড় তাবড় স্কলার, পণ্ডিত, আলেমগনের সম্মুখে টানা দু ঘন্টা বক্তব্য রেখেছেন। অনুষ্ঠান টা ছিলো "ঈদে মিলাদুননবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লিম।   </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একটু আপনার শৈশবের ফ্লাশব্যাকে যান-তো; </div><div style="text-align: justify;">পাচ বছর বয়সে অপরিচিত কারোর সামনে কথা বলা দূরে থাক,  কাছে ঘেষতেও ভয়ে দুমড়ে থাকতাম। বাসায় মেহমান আসলে কথা বলার ভয়ে পর্দার আড়ালে থাকতাম। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং তিনি শৈশব থেকেই আলাদা।  তাহাকে ছোয়া আর পাওয়া নট টু ইজি। ।  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি ছিলেন সব্যসাচী।  একসাথে দু হাতে লিখতেন। ডান হাতে আমার মদীনাওয়ালার গুনগান, আর বাম হাতে সকল পবিত্র বিষয়, এবং বাতেলদের জবাব দিতেন।  </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহাকাশ এর কোটি কোটি নক্ষত্র, লক্ষ লক্ষ গ্রহ উপগ্রহ ও এসেছে উনার কলমে। হিসেব কষছেন। নোট করছেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">একটা ঘটনা ; ইমাম দ্বিতীয় বার হজ্বে গেলেন। এক লোক প্রশ্ন রাখলেন মদীনা মুনীবের এলমে গায়েব নিয়ে। </div><div style="text-align: justify;">যথাযথ কোনো প্রকার বই ছাড়াই ইমাম জবাব লেখতে শুরু করলেন। ৮ ঘন্টায় লিখলেন ১৫০ পৃষ্ঠা।  এক প্রশ্নের জবাবে একটা বই হয়ে গেলো। "অদৃশ্য জ্ঞানে মক্কার সম্পদ" </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><b>ইমাম একটি প্রতিবাদী ধ্বনি।</b> </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম ছিলেন আধুনিকমনা, বিচক্ষণ। ভাবুন তো আমাদের সন্তানরা  দিনের পর দিন অশৃঙ্খল হচ্ছে কেনো? সময় থাকতে ইমামের শিক্ষা দিন।</div><div style="text-align: justify;">শিশুদেরকে নিয়ে তিনি মোট ৫২ টি পয়েন্ট আলোচনা করেছেন। বলেছেন - একটি কচি ডালকে যেভাবে ইচ্ছে বাকানো যায়, তাই শিশুর মনকে প্রারম্ভিক অবস্থাতেই আকৃতি দিতে হবে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সময় থাকতে লালন করুন। </div>

"এক" এর পারদর্শিতা

"এক" এর পারদর্শিতা - সালমন সালমা ইলমুল কুরআন, ইলমুল হাদীস, উসুলে হাদীস, ফিকাহ (হানাফি মাযহাব) ফিকাহ ( অন্যান্য মাযহাব) উসুলে ফিকাহ...

Read more »

প্রদীপ থেকে প্রদীপ জ্বলে

<div>আমাদের দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর হার অনুপাতে বেশিরভাগ শিশু-কিশোরের মা-বাবা নিশ্চয়ই মুসলিম। তারা বিশ্বাস করেন পরকাল, প্রতিফল, জান্নাত ও জাহান্নাম। তবে কেন তাদের সন্তান আল্লাহভীরু ও রাসূলে পাকের আশেক হতে পারে না? একটি ছেলে অথবা মেয়ে যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লাকে চেনে, রাসূলে পাকের প্রতি অঘাত ভালোবাসা থাকে, ঈমান আনার অর্থ বোঝে, জান্নাত-জাহান্নামের কথা জানে, সে ছোট ছোট গুনাহ করে ফেললেও বড় বড় অপরাধ কখনোই করতে পারে না। কিশোর-কিশোরীদের আল্লাহ ও রাসূল ﷺ কে চেনার মধ্যে, দ্বীন বোঝার মধ্যে মা-বাবার কি কোনো হাত নেই? <br></div><div><br></div><div>সন্তান ঘর থেকে যা শিখছে, মা-বাবা শেখাচ্ছেন, স্কুল থেকে যা শিখছে তার দায়ও মা-বাবার। কারণ মা-বাবাই তার স্কুল নির্ধারণ করেছেন। তার আশপাশের সমাজটাও মা-বাবার নির্ধারণ করা। তবে তার অবাধ্যতার অন্ধকার থেকে বাবা-মায়ের কি মুক্তি আছে? </div><div>রাসুল ﷺ বলেন,</div><div>مَامِنْ مَوْلُوْدٍ إلاَّ يُوْلَدُ عَلَى الْفِطْرَةِ فَأَبْوَاهُ يُهَوِّدَانِهِ اَوْ يُنَصِّرَانِهِ أَوْ يُمَجِّسَانِهِ</div><div>‘প্রত্যেক মানবশিশুই ফিতরাতের উপরে জন্মগ্রহণ করে। অতঃপর তার পিতা-মাতা তাকে ইহুদি, খ্রিস্টান, অগ্নিপূজক বানায়।’</div><div>আল্লাহর রাসুল ﷺ এখানে সমাজের কথা বলছেন না, শিক্ষকের কথা বলছেন না, বলছেন পিতা-মাতার কথা। আপনার কথা, আমার কথা। সন্তান মার কথা শোনে না, অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, মাকে পিঠ দেখিয়ে চলে যায়, মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে চলে যায়। তার দায় অনেকাংশেই বাবা ও মায়ের! তবে হ্যাঁ, নুহ আলাইহিস সালাম নিশ্চয়ই উত্তম পিতা ছিলেন। তাঁর সন্তানের মতো কারো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলে ভিন্ন কথা। সন্তানের মানুষ হয়ে ওঠায় আমাদের কতটুকু হাত আর অজুহাত তা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলতে গেলে আলাদা বই রচনা করতে হবে, তাই আমরা সংক্ষিপ্তভাবে সন্তানের তারবিয়াত ও আমাদের আমল সম্পর্কে কিছু কথা আলোচনা করব, যেন এর মাধ্যমেই সন্তানের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার প্রাথমিক ধারণা হয়ে যায়। আল্লাহ তাওফিকদাতা।</div><div><br></div><div>সন্তান সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যার কারণ হলো, দ্বীন সম্পর্কে উদাসীন থাকা, আর সকল সমস্যার সমাধান হলো নবীজি ﷺ এর রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসারে সন্তানের সুষ্ঠু প্রতিপালন।</div><div>সন্তানকে সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের জন্য যে পদক্ষেপগুলো আমাদের নিতে হবে তা একটা একটা করে নিচে তুলে ধরা হলো।</div><div><br></div><div>◾সন্তান প্রতিপালনের প্রথম পদক্ষেপ হলো: রুহের খাবারের ব্যবস্থা করা</div><div><br></div><div>একটি শিশু মায়ের শরীরে অবস্থান করার সাথে সাথে প্রথমেই আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকে একটাই শিশুর সুস্থতা। শুধু শিশুকে সুস্থ রাখার জন্য প্রেগন্যান্ট হওয়ার সাথে সাথে মায়ের খাওয়া, মায়ের ঘুম, মায়ের পরিশ্রম, সবকিছুর রুটিন বদলে নেওয়া হয়। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, শিশুর শারীরিক সুস্থতার জন্য যথেষ্ট মনোযোগ ও প্রচেষ্টা থাকলেও শিশুর মানসিক সুস্থতার দিকে তেমন একটা দৃষ্টিপাত করা হয় না। অথচ প্রত্যেক মানুষের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে তার কলব বা আত্মা। কলব সুস্থ হলে শরীর সুস্থ, কলব অসুস্থ হলে শরীরও অসুস্থ। এটা হাদিসের কথা। তাই সন্তান মায়ের শরীরে অবস্থান নেওয়ার সাথে সাথে শিশুর কলবের সুস্থতার প্রতিও দৃষ্টি রাখা উচিত। কীভাবে? একদম সেভাবে, যেভাবে শিশুর শরীর সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়। পেটের যেমন খাবার প্রয়োজন, কলবেরও খাবার প্রয়োজন। প্রেগন্যান্সির সময় মা যা যা খেয়ে থাকেন সন্তানও তাই খায়। একইভাবে মা নিজের কলবকে ভালো-মন্দ যে খাবার দিয়ে থাকেন, সন্তানের আত্মাও সে খাবারই পাবে। সে হিসেবেই তার আত্মা বেড়ে উঠবে।</div><div>শিশুর শরীরের সাথে সাথে তার আত্মাকেও পঙ্কিলতামুক্ত নির্মল খাবার দিয়ে বিকশিত হতে সাহায্য করা পিতা-মাতার সর্বপ্রথম দায়িত্ব। না হলে সন্তানের আত্মা শৈশব থেকেই ধীরে ধীরে এতই অবাধ্য হতে শুরু করে যে, বড় হয়ে বিকারগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। তাই পিতা-মাতার উচিত সুন্নাহসম্মত পদ্ধতিতে তারবিয়াতের মাধ্যমে সন্তানের জীবন শুরু করা।</div><div><br></div><div>তারবিয়াত অর্থ : সন্তানের বিশ্বাস, চরিত্র, বুদ্ধি, স্বাস্থ্য এবং তার আচার ব্যবহার ও গতিবিধি তথা জীবনের প্রতিটি বাঁকে তাকে এমন একটি পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতির ওপর নিয়ে আসা যা ইসলাম অনুমোদন করে।</div><div><br></div><div>আর তারবিয়াতের সর্বপ্রথম পদক্ষেপ হলো নিজেকে সংশোধন করা। সন্তানের তারবিয়াত শুরু হয় মায়ের প্রেগন্যান্সি থেকেই। এটা আশ্চর্যজনক শোনালেও সত্যি। মেডিক্যাল সায়েন্সও বলে, মায়ের পেটে চার-পাঁচ মাস বয়স থেকেই সন্তান শুনতে পায়। তাই প্রেগন্যান্সি থেকেই মিথ্যা, পরনিন্দা, গান শোনা ইত্যাদি পরিহার করা উচিত। একবার ভাবুন, সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই মায়ের প্রথম পরিচয়টা পাবে মিথ্যাবাদী ও মন্দ মানুষ হিসেবে, আল্লাহ ও রাসূল ﷺ এর অবাধ্য হিসেবে। শুধু তাই নয়, হিন্দি সিরিয়ালের কুপ্রভাবে সমাজে একের পর এক নানা ধরনের কুপ্রথা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আর মায়েরা শো অফ করার লোভে পাপ করতে শুরু করেন পেটের সন্তানটাকে কেন্দ্র করে। এসব পাপের একটার নাম―বেবি শাওয়ার। ইসলামের সাথে যার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনলাইনে নারীদের প্রেগন্যান্সি গ্রুপগুলোতে, পরিচিত-অপরিচিত প্রচুর মুসলিম বোনকেই দেখেছি খুব উৎসাহের সাথে ‘বেবি শাওয়ারে’ অংশগ্রহণ করছেন। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, সন্তান এখনো পৃথিবীতে আসেইনি, সে পেটে আসতেই মা তাকে উপলক্ষ্য করে আল্লাহ ও রাসূল ﷺ এর অবাধ্যতা করছেন, তাহলে সে কেন পৃথিবীতে আসার পর মায়ের অবাধ্য হবে না? যে আল্লাহ মা ও সন্তানকে সৃষ্টি করেছেন, দুজনের প্রাণ দিয়েছেন, সে মহান রবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে মা যখন আল্লাহর অসন্তুষ্টিকে পরওয়া করে না, তখন সন্তান বড় হয়ে কীভাবে মায়ের পরওয়া করবে?</div><div><br></div><div>এ ব্যাপারে ফুযাইল বিন আয়ায রহ. বলেন, ‘যখনই আমি আল্লাহর কোনো হুকুম অমান্য করেছি, আমি এর প্রভাব আমার স্ত্রী, সন্তান, আমার কর্মচারী অথবা আমার গৃহপালিত প্রাণীর উপর দেখতাম যে, তারা আমার কথা অমান্য করছে।’</div><div><br></div><div>আর আমরা? সন্তানের জন্মই হয়নি, সে বিকলাঙ্গ, অন্ধ, বধির, বোবা হবে নাকি সুস্থ হবে তা নির্ভর করছে মহান আল্লাহর ওপর। অথচ মা সন্তানকে উপলক্ষ্য করে দ্বীনবিরোধী কাজ করতে শুরু করেছেন। আল্লাহ কী করে দেবেন মাকে একটি সুস্থ শরীর, সুস্থ মনের সন্তান? একজন মা কীভাবে দুনিয়ার গান্দেগিতে পরিপূর্ণ পাপ খেতে দিতে পারেন সন্তানের ছোট্ট নির্মল আত্মাটিকে?</div><div><br></div><div>মা কি চান সন্তানের শুভ্র আত্মায় জন্মের আগেই শয়তানের কালো আঁচড় পড়ুক? না চাইলে শুধু শারীরিক সুস্থতাসম্পন্ন শিশু নয় বরং একটি মানসিক সুস্থতাসম্পন্ন শিশুও যেন জন্ম নেয় সে চেষ্টাই করতে হবে। গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে, গান শুনবেন না, গীবত করবেন না। আর এর মাধ্যমে সন্তানের আত্মাকে দিন পুষ্টিকর খাবার। বেশি বেশি যিকির-তেলাওয়াত করুন। স্বামীকে তেলাওয়াত করে শোনাতে বলুন। যখন আপনি ক্লান্ত হয়ে শুয়ে থাকেন, সূরা রহমানের তেলাওয়াত ছেড়ে দিন। আপনি ঘুমিয়ে গেলেও সে হয়তো জেগে আছে। সে শুনবে―যে দুনিয়াতে সে আসছে তাকে রহমানুর রহিম কত নেয়ামত দিয়ে পূর্ণ করে রেখেছেন। আপনার নেক আমলের কল্যাণে নিজেকে আল্লাহর রহমতের ছায়ায় রাখুন, যেন ছোট্ট সোনামণিও মায়ের জরায়ুতে প্রশান্তিতে নিদ্রা যায়।</div><div><br></div><div>◾একটি ভালো সন্তানের মা হওয়ার জন্য দ্বিতীয় পদক্ষেপ হলো: দুআ করা</div><div><br></div><div>কোথাও পড়েছিলাম কোনো মাকে আল্লাহ তাআলা যে কোনো একটা জিনিস চাইতে বললে, দেখা যাবে মা বলছেন- ‘নিজের সন্তানের ভাগ্য নিজ হাতে লিখতে চাই।’</div><div>ব্যাপারটা পড়তেই প্রত্যেক মায়েরই মনে হবে, ইস, সত্যি যদি মাকে সন্তানের তাকদির লেখার সুযোগ দেওয়া হতো! অথচ অনেকেই জানেন না, আল্লাহ তাআলা মাকে সন্তানের তাকদির নিজ হাতে লেখার ক্ষমতা আগে থেকেই দিয়ে রেখেছেন। হাদিসে আছে, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘দুআ ছাড়া অন্য কিছু মানুষের তাকদিরে পরিবর্তন ঘটাতে পারে না।’ [সুনানে তিরমিযি]</div><div><br></div><div>দুআ যখন তাকদিরে প্রভাব ফেলতে পারে তখন পিতা-মাতার দুআ কি আর বৃথা যেতে পারে! বিশেষ করে মায়ের দুআ? </div><div><br></div><div>সন্তান দুষ্টুমি করে, এটা সেটা উল্টে ফেলে, কারো কথা শুনে না, পড়ে না, ইত্যাদি বিষয়ে মা সবার কাছে বলে বলে হাহাকার করতে থাকেন। কিন্তু আল্লাহর দরবারে হাহাকার করে হাত তুলে দুআ করেন কতবার? অথচ সন্তানের পরিশুদ্ধ ও প্রশান্ত একটি কলবের জন্য দুআ করলে আল্লাহ চাইলে সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু দুআ কয়জন বাবা-মা করেন! অতিষ্ঠ হয়ে বরং বলতে দেখা যায়, মরে যা, পড়ে যা, ভালো হয়েছে ইত্যাদি! তারপর এই দুআগুলোই ফলে যায় অনেক সময়।</div><div><br></div><div>আর কোনো কোনো বাবা-মা আল্লাহর কাছে সন্তানের জন্য দুআ করলেও তাতে দ্বীনের চেয়ে দুনিয়াই বেশি প্রাধান্য পায়। আমার ছেলেমেয়ে পড়ালেখায় প্রথম হোক, তাদের লম্বা হায়াত, ভালো চাকরি, সম্পদ, শান্তি, শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদির জন্য দুআ করেন। কিন্তু দুআ করেন না পরকালীন জীবনের জন্য। ‘সন্তান যেন আল্লাহর প্রকৃত দাস হয়; তার কলব যেন ঈমানে পরিপূর্ণ থাকে’ দুনিয়াবি চাওয়ার সাথে সাথে এই দুআটাই সন্তানের সুখের জন্য সবচেয়ে জরুরি। সম্পদ, সুস্থতা কিছুই সন্তানকে শান্তি দেবে না, যদি তার কলব পরিশুদ্ধ না থাকে। তাই শারীরিক সুস্থতার সাথে সাথে সন্তানের মানসিক সুস্থতার জন্যও দুআ করতে হবে। সন্তানের কলব যেন কলবে সালিমে পরিণত হয় এই দুআ করতে হবে। সে যেন পূত-পবিত্র হয় এই দুআ করতে হবে।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তাআলা যাকারিয়া আলাইহিস সালামের ঘটনা উল্লেখ করে কুরআনে আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন সন্তানের জন্মের আগে থেকেই পরিশুদ্ধ সন্তানের জন্য দুআ শুরু করতে হবে। বলতে হবে:</div><div>رَبِّ هَبْ لِیْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً ۚ اِنَّكَ سَمِیْعُ الدُّعَآءِ</div><div>‘হে আমার পালনকর্তা, আপনার নিকট থেকে আমাকে পূত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ [আলে ইমরান : ৩৮]</div><div><br></div><div>একই সূরার ৩৫ নম্বর আয়াতে আছে:</div><div>رَبِّ اِنِّیْ نَذَرْتُ لَكَ مَا فِیْ بَطْنِیْ مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّیْ ۚ اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِیْعُ الْعَلِیْمُ</div><div>‘হে আমার পালনকর্তা, আমার গর্ভে যা রয়েছে আমি তাকে আপনার নামে উৎসর্গ করলাম সবার কাছ থেকে মুক্ত রেখে। আমার পক্ষ থেকে আপনি তাকে কবুল করে নিন, নিশ্চয়ই আপনি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞাত।’</div><div><br></div><div>তারপর সূরা ফুরকানে আছে:</div><div>رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ اَزْوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعْیُنٍ وَّ اجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِیْنَ اِمَامًا</div><div>‘হে আমাদের রব, আমাদের স্ত্রী এবং সন্তানদেরকে আমাদের চক্ষুশীতলতা বানিয়ে দিন। এবং আমাদেরকে মুত্তাকিদের ইমাম বানিয়ে দিন।’</div><div><br></div><div>কত সুন্দর দুআ! দুআ করতে থাকুন। চোখের প্রশান্তি হবে সন্তান। সে রবের এত বাধ্য হবে যে তার দিকে তাকালেই চোখ জুড়িয়ে যাবে। ঠোঁটে ফুটে উঠবে প্রশান্তির হাসি। আবেগে কাঁপতে কাঁপতে চোখ শীতল করে নেমে আসবে যে আনন্দ-অশ্রু, তা নীলনদের স্বচ্ছতাকেও হার মানাবে!</div>

প্রদীপ থেকে প্রদীপ জ্বলে

আমাদের দেশে মুসলিম জনগোষ্ঠীর হার অনুপাতে বেশিরভাগ শিশু-কিশোরের মা-বাবা নিশ্চয়ই মুসলিম। তারা বিশ্বাস করেন পরকাল, প্রতিফল, জান্নাত ও জাহান্নাম...

Read more »

শানে মুস্তফা ﷺ

<div>গাছপালা, পাথর, বিভিন্ন জীবজন্তু কর্তৃক রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন (নবুয়্যতের নিদর্শন)</div><div>------</div><div>হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ আমি মক্কায় একটি পাথরকে জানি, যেটি (নবীরূপে) প্রেরিত হওয়ার আগেও (নবুয়্যত প্রকাশের পূর্বেও) আমাকে সালাম করত; আমি এখনও তাকে নিশ্চিতভাবে চিনতে পারি।</div><div><br></div><div>(সহীহ মুসলিম ৫৮৩৩, সুনান আত তিরমিজি ৩৬২৪)</div><div><br></div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjgCB520SbxGo2RhS29WtXrqtBveMwcs1HpL51Amzoq3aKlBoQDYrIASjesPkYGCtukXqANBVzSfxCotCuOjLFi2nghIgtkYrywsARIYVa979T7mkRv_IguksAF2ji1mNU6dt93wy_SQYIt/s1600/FB_IMG_1608989833745.jpg" imageanchor="1" style=" margin-right: 1em;margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="741" data-original-width="552" height="319" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjgCB520SbxGo2RhS29WtXrqtBveMwcs1HpL51Amzoq3aKlBoQDYrIASjesPkYGCtukXqANBVzSfxCotCuOjLFi2nghIgtkYrywsARIYVa979T7mkRv_IguksAF2ji1mNU6dt93wy_SQYIt/s1600-rw/FB_IMG_1608989833745.jpg" title="" width="238"></a></div><br></div><div><br></div><div>হযরত আলী রাঃ বলেন, আমরা নবী ﷺ এঁর সাথে মক্কায় ছিলাম। একদা তাঁর সাথে মক্কার পার্শ্ববর্তী কোন এক অঞ্চলের দিকে বের হয়েছিলাম। তখন আমরা পাহাড় ও গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। আমরা যে গাছ কিংবা যে পাহাড়কেই অতিক্রম করতাম, সে গাছই কিংবা পাহাড়ই বলে উঠত: আসসালামু আলাইকা, ইয়া রাসূলাল্লাহ।</div><div><br></div><div>(সুনান আত তিরমিযী ৩৬২৬, সুনান আদ-দারেমী ২১</div><div>ইমাম তাবারানীঃ মুজামুল আওসাত ৬/২০৬ হা/ ৫৪২৮, ইমাম বাইহাকীঃ দালাইলুন নব্যুয়ত ২/১৫৩-১৫৪)</div><div><br></div><div>হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ বলেন, আমরা একদিন রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাথে হাঁটতে হাঁটতে বনী নাজ্জারের এলাকায় একটি বাগানের নিকট পৌঁছলাম। তখন সেই বাগানে একটি উট ছিল। যে ব্যক্তিই সেই বাগানে প্রবেশ করত, তার উপরই সেটি চড়াও হত। নবী ﷺ কে লোকেরা এ কথা জানালো। তিনি সেখানে গেলেন এবং উটটিকে ডাকলেন। উটটি নিচু হয়ে ঠোঁট মাটির উপর লাগিয়ে তাঁর সামনে এসে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল। তখন তিনি বললেন: ‘তোমরা এর লাগাম আনো।’ তারপর তিনি একে লাগাম পরালেন এবং তার মালিককে ফিরিয়ে দিলেন। পরে আমাদেরকে লক্ষ্য করে তিনি বললেন: “আসমান হতে জমিন পর্যন্ত যা কিছু আছে, সকলেই জানে যে, আমি আল্লাহর রাসূল। কেবলমাত্র জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে অবাধ্যরা ব্যতীত।</div><div><br></div><div>(মুসনাদে আহমাদ ৩/৩১০; ইবনে আবী শাইবা হা/নং ১১১৬৮, সুনান আদ-দারেমী ১৮)</div><div><br></div><div>ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ-এঁর নিকট এক বেদুঈন এসে বলল, আমি কিভাবে অবগত হব যে, আপনি নবী? তিনি বললেনঃ ঐ খেজুর গাছের একটি কাদিকে আমি ডাকলে (তা যদি নেমে আসে) তাহলে তুমি কি সাক্ষ্য দিবে যে, আমি আল্লাহ তা'আলার রাসূল? রাসূলুল্লাহ ﷺ উহাকে ডাকলেন, সে সময় কাদি খেজুর গাছ থেকে নেমে নাবী ﷺ এঁর সম্মুখে এসে গেল। তারপর তিনি বললেনঃ এবার প্রত্যাবর্তন কর এবং তা স্বস্থানে ফিরে গেল। সে সময় বেদুঈনটি ইসলাম গ্রহণ করলো।</div><div><br></div><div>(সূনান আত তিরমিজী ৩৬২৮)</div><div><br></div><div>হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাঃ বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর সাথে কোন এক সফরে ছিলাম। তখন একজন বেদুইন এসে উপস্থিত হল। যখন সে তাঁর নিকটবর্তী হল, তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ তাকে বললেন: ‘তুমি কোথায় যেতে চাচ্ছ? সে বলল, আমার পরিবারের নিকট যেতে চাচ্ছি। তিনি তাকে বললেন: তোমার কি কল্যাণের কোন প্রয়োজন আছে? সে বলল, তা (সে কল্যাণ) আবার কি? তিনি বললেন: ‘তুমি এ কথার সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক ও অদ্বিতীয়, তাঁর কোন অংশীদার নেই এবং মুহাম্মাদ ﷺ তাঁর বান্দা ও রাসূল। সে জিজ্ঞেস করল, আপনার এ কথার সত্যায়ন করবে কে? তিনি বললেন: এই বাবলাগাছ সাক্ষ্য দেবে। তাই রাসূলুল্লাহ ﷺ উপত্যকার কিনারায় অবস্থিত বাবলা গাছটিকে ডাকলেন এবং সে মাটিতে দাগ কাটতে কাটতে এসে তাঁর সামনে দাঁড়াল। আর তিনি সেই গাছের নিকট তিনবার এর সাক্ষ্য চাইলেন, আর সেটি তিনবারই সেভাবে সাক্ষ্য দিল যেভাবে তিনি বলেছিলেন। তারপর সেই গাছটি আপন স্থানে ফিরে গেল। তখন বেদুইন লোকটিও তার গোত্রের নিকট ফিরে গেল। আর বলে গেল, যদি আমার সম্প্রদায় আমার অনুসরণ করে, তবে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমি আপনার কাছে উপস্থিত হবে, নাহলে আমি একাই ফিরে আসব এবং আপনার নিকট অবস্থান করব।”</div><div><br></div><div>(সুনান আদ-দারেমী ১৬, মাজমাউয যাওয়াইদ ৮/২৯২, আবী ইয়ালাঃ আল মুসনাদ ৫৬৬৪; সহীহ ইবনে হিব্বান ২১১০)</div><div><br></div><div>হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, বনী আমির হতে এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এঁর নিকট এলে তিনি লোকটিকে বললেন: ‘আমি কি তোমাকে কোন নিদর্শন দেখাব না?’ লোকটি বলল, অবশ্যই দেখাবেন। তখন তিনি বললেন: ‘যাও, ঐ খেজুর গাছটিকে ডেকে নিয়ে এসো।’ তখন সে গাছটিকে ডাকলো এবং গাছটি লাফিয়ে তার সামনে চলে এলো। লোকটি তাঁকে বললো, আপনি একে ফিরে যেতে বলুন। তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ এটিকে বললেন: ‘ফিরে যাও।’ তখন সেটি ফিরে তার আপন স্থানে চলে গেল। এই ঘটনা দেখার পর সেই লোকটি তার সম্প্রদায় বনী আমিরকে উদ্দেশ্যে করে বললো, হে বনী আমির, আজকের মতো এই লোকটির চেয়ে বড় যাদুকর আমি আর কাউকে দেখিনি।</div><div><br></div><div>(মুসতাদরেক হাকিম ২/৬২০; মুসনাদে আহমাদ ১/২২৩; সুনান আদ-দারেমী ২৪, মুজামুল কাবীর ১২/১১০, হা/নং ১২৬২২)</div><div><br></div><div>গাছপালা, পাথর, বিভিন্ন জীবজন্তু কর্তৃক রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন একমাত্র আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছাতেই হয়েছে। যেহেতু নবী করীম ﷺ আল্লাহ'র-ই প্রেরিত রাসূল তাই এগুলো তাঁর প্রতিও অনুগত হয়েছে এবং আল্লাহ তায়ালার হুকুমে তাঁকে সম্মান করেছে। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিবকেও সম্মানিত করেছেন এবং চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শন স্থাপন করেছেন। যেমনটি তাঁর হাবিবের আঙুলের ইশারায় চাঁদকেও দ্বিখণ্ডিত করিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, </div><div><br></div><div>"তারা কি লক্ষ্য করে না আল্লাহ্‌র সৃষ্ট বস্তুর প্রতি, যার ছায়া ডানে ও বামে ঢলে পড়ে আল্লাহ্‌র প্রতি সিজদাবনত হয়? আল্লাহ্‌কে সিজ্‌দা (আনুগত্য প্রকাশ) করে যা কিছু আছে আসমানসমূহে ও যমীনে, যত জীবজন্তু আছে সেসব এবং ফিরিশ্‌তাগণও, তারা অহংকার করে না। নিজেদের উপর আপন রবের ভয় রাখে এবং তা-ই করে, যা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। [সূরা নাহলঃ ৪৮-৫০]</div><div><br></div><div>"এরা কি আল্লাহর দ্বীন ছাড়া অন্য দ্বীনের সন্ধান করছে? অথচ আসমানসমূহ ও যমীনে যা আছে তা তাঁরই আনুগত্য করে ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় এবং তাদেরকে তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করা হবে।" [সূরা আলে ইমরান ৮৩]</div>

শানে মুস্তফা ﷺ

গাছপালা, পাথর, বিভিন্ন জীবজন্তু কর্তৃক রাসুলুল্লাহ ﷺ এঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শন (নবুয়্যতের নিদর্শন) ------ হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রাঃ) বলেন ...

Read more »

আহমেদ নাদিম এফেন্দিঃ জনপ্রিয় ওসমানী কবি

<p>                                                         </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div>  <p></p><p><b><span style="font-size: large;">আহমেদ নাদিম এফেন্দিঃ জনপ্রিয় ওসমানী কবি</span></b></p><p><br /></p><p>              </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFWiuPfVlut2n3fG7rRvcFa3k8NjO6o5XylZwRHaTyioMQGg7C4z_96kS05GkV2K1O3MUGu52rtJvkuuuPuzZSei1ga7I8lp0sQY1NQOeme3Fev63jGfcCSD-LPYKukkM-k51fuPvNV1ll/s631/image.png" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="631" data-original-width="490" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgFWiuPfVlut2n3fG7rRvcFa3k8NjO6o5XylZwRHaTyioMQGg7C4z_96kS05GkV2K1O3MUGu52rtJvkuuuPuzZSei1ga7I8lp0sQY1NQOeme3Fev63jGfcCSD-LPYKukkM-k51fuPvNV1ll/s320-rw/image.png" /></a></div><p></p><p><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">ছদ্মনাম (ﻡﺨﻠﺺ) বা মুহাল্লিস। যার অর্থ আন্তরিক। জন্মগ্রহন করেন ১৬৮১ সালে ইস্তানবুল শহরে। জন্মের পর তাঁর নাম দেওয়া হয় আহমেদ। পিতা মেহমেদ এফেন্দী ছিলেন সুলতান ১ম ইব্রাহীমের প্রধান সামরিক বিচারক। তিনিও শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে বাবার মত বিচারক হবার জন্য মনঃস্থির করলেন। যাইহোক ক্যারিয়ারের বাইরেও তাঁর কাব্যের প্রতি যথেষ্ঠ ঝোঁক ছিল। তাই প্রায় সময়ই কবিতা লিখতেন, মনের কথা আনন্দ-অনুভুতি নিয়ে। তাঁর কবিতার শ্লোকগুলো ছিল খুবই চমৎকার। তাঁর সমসাময়িক যুগে ফুজুলি ও বাকি নামে আরো দুজন প্রসিদ্ধ ওসমানী কবি ছিলো। কিন্তু খ্যতির দিক থেকে নাদিম তাদের ছাড়িয়ে যান, তার সর্বশ্রেষ্ঠ কীর্তি হলো "দেওয়ানে-নাদিম"। কিতাবটি এতটাই প্রসিদ্ধ হয় যে, যার কারনে সুলতান ৩য় আহমেদ কর্তৃক তাকে "রইসুশ শাইরান" (رئيس شاعران) অর্থাৎ "কবিদের রাজা" উপাধি দেয়।</span></p><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">তাঁর জন্মভুমি ইস্তানবুলকে পারস্যের রাজা দখল করার ঘোষনা দিলে তিনি দেশপ্রেম এভাবেই ফুটিয়ে তোলেন, </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">بو شهر ستنبول كه بىمثل و بهادر</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">بر سنگکه يكپاره عجم ملکی فداءدر</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">অর্থঃ তুমি অমুল্য সম্পদ হে ইস্তানবুল, আমার প্রিয় নগরী</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"> যার একটি পাথর রক্ষায় আমি পুরো পারস্য ধ্বসাতে পারি </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">আরও বলেছেন, </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">سرملى گوزلی گوزل يوزلی غزالان آگده</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">زر کمرلى بلى خنجرلى جوانان آگده</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">باخصوص آرادغم سرو خرامان آگده</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">نيجه آقميا گوﯖل صو گبى سعدآباده</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">অর্থঃ আছে কাজল দেয়া হরিণি চোখের রমনির কোলাহল</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"> কোমরে খঞ্জর বাধা কত সাহসী যুবকের চলাচল </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"> তাদের নিয়েই আমার ভালোবাসার পরিবার </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"> কেন হৃদয় পানির মতো সাদ-ওবাদের দিকে যাবে না?</div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">যাইহোক ১৭৩০ সালে জেনিসারি বিদ্রোহের সময় তিনি নিহত হন।</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaCBFQ0fixJymG9rdDUwZO-gLE9F9J4UXWp4PCmO-cYirFlGHCC1xooLC8X8YVZgUtNruP3zXE8c2Zgb5Qh-7IprSx8NYLlSnHANvttZfTBSIqJG4qXEPpwrJecOyrtT446bGW1yuyen8K/s467/image.png" style="font-family: inherit; margin-left: 1em; margin-right: 1em; text-align: center;"><img border="0" data-original-height="467" data-original-width="170" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhaCBFQ0fixJymG9rdDUwZO-gLE9F9J4UXWp4PCmO-cYirFlGHCC1xooLC8X8YVZgUtNruP3zXE8c2Zgb5Qh-7IprSx8NYLlSnHANvttZfTBSIqJG4qXEPpwrJecOyrtT446bGW1yuyen8K/w145-h400-rw/image.png" width="145" /></a></div><div style="text-align: justify;"></div></div><span style="font-size: x-small;"><div style="text-align: center;"> দেওয়ানে নাদীমের একটি পাতা </div></span><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px; text-align: left;"><br /></div></div><p></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>  <span>    </span><span>    </span></span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    <span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>    </span><span>   <span>    </span><span>    </span></span></span><p></p>

আহমেদ নাদিম এফেন্দিঃ জনপ্রিয় ওসমানী কবি

                                                             আহমেদ নাদিম এফেন্দিঃ জনপ্রিয় ওসমানী কবি                ছদ্মনাম (ﻡﺨﻠﺺ) বা মুহাল্...

Read more »

খোদার প্রেম

<h2 style="text-align: center;"> <b><span style="font-family: times; font-size: medium;">খোদার প্রেম</span></b></h2><p style="text-align: center;">- <a href="https://www.facebook.com/asiful.alamshoykat"><b><span style="font-size: x-small;">আসিফ উল আলম সৈকত</span></b></a></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">পৃথিবীর যতকিছু এবং পৃথিবীতে যা কিছু, সবকিছুই ধ্বংসশীল। এই নশ্বর পৃথিবীর খাতিরে যা করা হয়, তা পৃথিবীর মতই নশ্বর। যেমন ধরুন, আমি মানুষকে দেখানোর জন্য নামায আদায় করতে করতে কপাল দাগ করে ফেললাম। মানুষের মুখে ‘নামাযি’ ট্যাগেও ভূষিত হলাম। কিন্তু দিন শেষে, এই দাগ বা এই নামায আমার কোন কাজেই আসবেনা। যেহেতু, আমি নামাযটা আদায় করেছিলাম, মানুষকে দেখানোর জন্য। মানুষ দেখেছে, সুনামও করেছে। মানুষ শেষ নামাযও শেষ। এই পৃথিবীতে সুখ-শান্তি অর্জনের খাতিরে যা কিছু করা হয়, সবকিছুই পৃথিবীর সাথে শেষ হয়ে যায়। ভালবাসাটাও ঠিক এমনই। </p><p style="text-align: justify;">পার্থিব ভালবাসাগুলো ঠিক বাকি সবকিছুর মতই ধ্বংসশীল, ভঙ্গুর, অনেক ক্ষেত্রে পঁচনশীলও। কিন্তু, কিছু ভালবাসা আছে, যেগুলো পৃথিবীতেই করা হয়, তবে উদ্দেশ্যে থাকে সেই অবিনশ্বর সত্তা, মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি। আর ঠিক এই ভালবাসাগুলোই হয়ে যায় অবিনশ্বর। সহজ কথায়, সৃষ্টির জন্য ভালবাসাগুলো সৃষ্টির মতই নশ্বর,ভঙ্গুর। এবং আল্লাহ রব্বুল ইজ্জতের জন্য যে ভালবাসা, সেটা তাঁরই মত অবিনশ্বর, অভঙ্গুর। এই ভালবাসা মানুষকে নিয়ে যায় চিরস্থায়ী স্বর্গের পথে। তাই, একমাত্র এই প্রেমই চিরস্থায়ী। এই প্রেমই স্বর্গীয়।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আবার, এই স্বর্গীয় প্রেমও সবার ভাগ্যে থাকেনা। এই প্রেম আছে একমাত্র ইমানদারদের হৃদয়ে। কেননা, “ইমানদারদের হৃদয়ে অন্যকারো জন্য আল্লাহ’র ন্যায় ভালবাসা নেই”।</p><p style="text-align: justify;">(সুরা বাকারাঃ১৬৫) </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">অর্থাৎ, ইমানদারগণ আল্লাহ তায়ালা’কেই সবচেয়ে বেশি ভালবাসে। আর এইকারণেই, ইমানদার মধ্যে সৎকর্পরায়ন, ন্যায় বিচারক, খোদাভীরুদেরকেও আল্লাহ তায়ালা ভালবাসেন (৮৯-৯,০২-১৯৫, ০৩-৭৬)। এইসব ইমানদারগণ পৃথিবীর সবকিছুকে আল্লাহ তায়ালার খাতিরে ভালবাসে বলেই, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়া’লা তাদেরকে আহ্বান করে বলবেন, “আমার মহত্বের জন্য(মহিমার খাতিরা) একে অপরকে মহব্বতকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে ছায়া দান করব, যখন আমি ব্যতীত আর কেউ ছায়া দিবেনা।</p><p style="text-align: justify;">(মুসলিম শরিফঃ ২৫৬৬)। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এতটুকু পর্যন্ত সবই ঠিক আছে। ঝামেলাটা বাঁধে যখন ‘ভালবাসা’ শব্দটির অর্থের দিকে চোখ যায়। এর অর্থ হল- কোন প্রিয় বস্তু/ব্যক্তিকে পাওয়ার জন্য উতলা হয়ে যাওয়া, সর্বশ্য ত্যাগ করে হলেও প্রেমাষ্পদকে নিজের করে নেওয়া। অতএব, ভালবাসা শব্দের অর্থ যদি এই হয়, তাহলে আল্লাহ তায়ালা কাউকে ভালবাসেন এই কথাটা বলা যাবে কি? ভেবে দেখা প্রয়োজন। সর্বশ্য ত্যাগ করে কাউকে অর্জন করার কোন প্রয়োজনতো আল্লাহ সুবাহানুহু ওয়াতাআলার নেই। কারণ, আমরা সবাইতো তারই দাস।  আবার, বান্দা হিশেবে আল্লাহ তায়ালা’কে ভালবাসার দাবি করা যাবে কিনা, এটা নিয়ে শায়েখ ফুজায়েল ইবনে ইয়াজ রাহিমাহুমুল্লাহ’র একটি উক্তি আমার কাছে চমৎকার লাগে। তিনি বলেন- কেউ যদি তোমাকে জিজ্ঞাস করে, তুমি আল্লাহ তায়ালাকে ভালবাসো কিনা? তখন তুমি চুপ হয়ে যাবে। কেননা, যদি তুমি উত্তরে ‘না’ বলে ফেলো, তখন এটা কুফরি হয়ে যাবে। আর যদি ‘হ্যাঁ’ বলে ফেলো তাহলে এটা মিথ্যা হয়ে যাবে। কেননা, তুমি জানো তোমার মধ্যে ভালবাসার(শব্দের অর্থের দিক থেকে) কোন গুণাবলীই বিদ্যমান নেই। বাস, চুপ থাকার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টি থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখো। </p><p style="text-align: justify;">(মুকাশিফাতুল ক্বুলুব, অধ্যায় ১১, ইমাম আল-গাজ্জালি রাহিমাহুমুল্লাহ)</p><p style="text-align: justify;"> </p><p style="text-align: justify;">ইমাম আল-গাজ্জালি রাহিমাহুমুল্লাহ’র মতে, আল্লাহর তায়ালা’র জন্য  ভালবাসা শব্দটা ব্যক্তি বিশেষে পরিবর্তন হয়। তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা তাঁর সকল সৃষ্টিকেই ভালবাসেন বললে, আল্লাহ তায়ালা তাদের দয়া করেন। ইমানদারদের জন্য ভালবাসা শব্দ আসলে হবে, স্নেহ করেন, পছন্দ করেন। আর যখন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্য ভালবাসা শব্দটা আসবে, তখন এর অর্থ হবে, সবচেয়ে বেশি নিকট রাখেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আল্লাহ সুবাহানু ওয়া তায়ালা’কে ভালবাসার দাবি না হয় নাই করলাম। তাঁকে ভালবাসতে তো কোন বাঁধা নাই। বরং আল্লাহ তায়ালা নিজেই একটা বিশেষ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছেন। বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত হাসান আল বাসরী রহিমাহুমুল্লাহ ইরশাদ করেন- একবার, কিছু লোক রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সামনে এসে উপস্থিত হল। এবং বলল, হে মুহাম্মদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আল্লাহ্‌র কসম, আমরা আপনার প্রিতপালককে মুহাব্বত করি। তাদের এই দাবির ভিত্তিতে আল্লাহ তায়ালা একটি আয়াত নাযিল করল। যেখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, “হে মাহবুব, আপনি বলে দিন,  হে মানুবকুল যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবেসে থাকো, তবে আমার অনুসারী হয়ে যাও, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন। </p><p style="text-align: justify;">(সুরা আলে ইমরানঃ৩১, তাফসিরে তাবারি, মুহাম্মদ বিন জারি আত তাবারি ৮৩৮-৯২৩)</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">হয়তো এই তাফসিরের অংশকেই পঙক্তিতে সাজিয়ে বিখ্যাত জাওয়াবে শেকওয়ার ইতি টেনে আল্লামা ইকবাল  বলেছেন-</p><p style="text-align: center;"><span style="color: #4c1130;"><b></b></span></p><blockquote><p style="text-align: center;"><span style="color: #4c1130;"><b>"কি মুহাম্মদ সে ওয়াফা তুনে তো হাম তেরে হে</b></span></p><p style="text-align: center;"><span style="color: #4c1130;"><b>ইয়ে জাহাঁ চিয হে কেয়া লওহ কালাম তেরে হে।"</b></span></p></blockquote><p style="text-align: center;"><span style="color: #4c1130;"><b></b></span></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আর এই কথাটাইতো বাংলা ভাষায় নজরুল আমাদের বলেছেন-</p><p style="text-align: center;"><b><span style="color: #274e13;"></span></b></p><blockquote><p style="text-align: center;"><b><span style="color: #274e13;">"আল্লাহকে যে পাইতে চায়, হযরতকে ভালবেসে</span></b></p><p style="text-align: center;"><b><span style="color: #274e13;">আরশ কুর্সী লাওহে কলম না চাইতেই পেয়েছে সে।"</span></b></p></blockquote><p style="text-align: center;"><b><span style="color: #274e13;"></span></b></p>

খোদার প্রেম

  খোদার প্রেম - আসিফ উল আলম সৈকত পৃথিবীর যতকিছু এবং পৃথিবীতে যা কিছু, সবকিছুই ধ্বংসশীল। এই নশ্বর পৃথিবীর খাতিরে যা করা হয়, তা পৃথিবীর মতই নশ...

Read more »

নারীর কর্ম

<div>ঘরের কাজকর্ম করা আসলে খুবই ছোট্ট একটা বিষয়। এটা নিয়ে কথা বললে মনে হয় পৃথিবীতে কথা বলার মতো কত বিষয়ই তো ছিল! এমন বিষয় নিয়েও কেন আলাপ করতে হবে! কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যাপারটা খুবই বড় বিষয়। বছরের পর বছর ধরে নারীদের যে বঞ্চনা সেটা অনেক ক্ষেত্রে জুলুমের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। নারী-পুরুষের ইবাদাত, আল্লাহ তায়া’লা ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে পর্যন্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় এই বিষয়কে কেন্দ্র করে। পুরুষের আচরণে ফুটে ওঠে জাহেলি যুগের আচরণ। আর নারী হয়ে ওঠে একগুয়ে অবাধ্য। এখন এই জাহালতের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই ফেমিনিস্ট হয়ে যাওয়া নয়। নারীর প্রতি জুলুমের বিরুদ্ধাচরণ করা মানেই স্বামীর হক আদায়ে অনুৎসাহিত করা নয়। স্ত্রী স্বামীর হক আদায় করবে, আবার স্বামীকেও স্ত্রীর হক আদায় করতে হবে। আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ত্রীর হক আদায় তো দূর, স্ত্রীকে মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন করা হয় না।</div><div><br></div><div>একশ্রেণির মানুষ বলে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)-কে দাসী দেননি। দুআ শিখিয়েছেন। কিন্তু আমি এই হাদিসে একদিকে দেখি নবীজি পিতা হিসেবে কন্যাকে সহনশীলতার শিক্ষা দেওয়া, অন্যদিকে স্ত্রী হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)'র জন্য স্বামী হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র ভালোবাসা। হযরত আলী দরিদ্র ছিলেন। হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)'র জন্য দাসীর ব্যবস্থা করতে পারেননি। স্ত্রীকে তিনি বুদ্ধি দেন, তোমার আব্বুর কাছে কিছু দাসী এসেছে। চলো, চেয়ে নিয়ে আসি।'</div><div>না, হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) হযরত আলীর পুরো বংশের জন্য রান্না করতেন না। দেবর-ননদের জন্য খাবার বেড়ে দিতেন না। শ্বশুরশাশুড়ির ফজরের পরের নাস্তার যোগান দিতে গিয়ে নিজের ফরজ নামাজ কাযা করতেন না। হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) নিজের ছোট্ট সংসারের জন্য কাজ করতেন। অনেক কাজ করতেন। অনেক কষ্ট করতেন। সেই কষ্টের বিনিময়ে হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) কখনো বলেননি, 'সারাদিন ঘরে কী করো?' </div><div>বরং হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)'র কষ্ট হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র চোখে লাগছিল। স্ত্রীকে ভালোবাসতেন যে! হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)'র পিঠে হাতে দাগ পড়ে যেত, হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) সেটা দেখেছেন। খুব খুব ভালো না বাসলে পিঠের দাগ কি দেখা যায়?</div><div>কয়জন স্বামী দেখে তাদের স্ত্রীর হাতটা হাতে নিয়ে দেখে? কয়জন স্বামী দেখে তাদের স্ত্রী একসময় আর কোমর ব্যথায় সোজা হতে পারে না?</div><div>তারা হযরত ফাতিমা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)'র মতো স্ত্রী চায়, কিন্তু তারা হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)'র মতো স্বামী হতে চায় না।</div><div><br></div><div>তারা স্ত্রীর রান্নার দায়িত্ব নিয়ে কথা বলে, অথচ দেখে না, ফকিহদের আলোচনাটা স্ত্রীর নিজের খাবারের রান্নার আলোচনা; যে স্ত্রী যদি বলে রান্না করতে পারব না, তখন সে (যদিও স্ত্রী লোকটি দ্বীনি সৌন্দর্য ও দায়িত্বের বাইরে চলে যাবে) বাধ্য নয়। স্বামীকে খাবারটা যোগাড় করে দিতে হবে। </div><div><br></div><div>তারা দেখে না, মেয়েরা যে প্রতিবাদ করছে তা তার নিজের রান্নার ব্যাপারে নয়, বরং স্বামীর বংশশুদ্ধ লোকজনের জন্য রান্নার ব্যাপারে। অনেক স্ত্রী পুরো পরিবারের জন্যও রান্না করতে রাজি। কিন্তু তারা ভালোবাসা চায়। সম্মান চায়। এই স্ত্রী লোকটিই একদিন মা হয়। তখনও তারা সংসারের ঘানি টানতে থাকে। বিনিময়ে না সম্মান, আর না কোনো সহযোগিতা। বাবা-দাদার দেখে দেখে সন্তানটাও হয় এমন। এটা খাব না, ওটা খাব না, কত বায়না! আর মা কোনো কাজের কথা বললেই আসমান ভেঙে পড়ে মাথায়!</div><div><br></div><div>তারা হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)'র উদাহরণ এমনভাবে দিবে যেন শুধু ঘরের কাজ করার নামই দ্বীন! কথাটা বর্তমানের ঘরোয়া কাজের ব্যাপারে মিলানোটা ভীষণ হাস্যকর। বর্তমানে একেককটি ঘরে যতটা আইটেম রান্না করা হয়, যতরকমের খাবার তৈরি করা হয়, তা কি হযরত খাদিজা ও হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)'র ঘরে হতো? সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার, বিকেলের নাস্তা, রাতের খাবার! খাওয়াটাই যারা জীন্দেগী বানিয়ে নিয়েছে, তারা ভাবে স্ত্রীর এইসব হরেক রকম আইটেম তৈরি করার নাম বুঝি দ্বীন!</div><div><br></div><div>কিছু কিছু মেয়েও যখন দ্বীনের নামে সারাদিন রান্নাঘরে পড়ে থাকাকে প্রমোট করে তখন সত্যিই আফসোস হয়! যদি এই হতো নারীদের জীবন তবে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)-কে বিয়ে করার প্রয়োজন ছিল না বয়স্ক নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ।</div><div><br></div><div>আমি ঘরের কাজ বাদ দিতে বলছি না। কমাতে বলছি। যৌথ ফ্যামিলিতে থাকলে আপনি আপনার বাবা মা কে দ্বীন বুঝান। অহেতুক কাজ যতটুকু কমানো সম্ভব কমান। স্ত্রীর কাজের চাপ কমিয়ে তাকে ইলম শেখার আমল করারও সুযোগ দিন। আপনি চান, সে সারাদিনরাত কাজ করবে, রাত হলে ওই ক্লান্ত শরীর নিয়ে হাসিমুখে আপনার আহবানে সাড়া দিবে, আর আপনি ইচ্ছেমতো বাধ্যবাধকতার সবক শুনিয়ে জুলুম করে যাবেন! অনেকে তো আরো বহুদূর এগিয়ে। স্বামীকে তুমি করে বললেও নাকি বেয়াদবি হয়ে যায়! এটা কেমন সম্পর্ক! কেমন প্রেম! কেমন জীবন! আপনি তুমি যার যেমন ইচ্ছে বলবে, এতে দোষ হবে কেন?</div><div><br></div><div>নবীজির সংসারেও তো মনোমালিন্য হতো। আমরা দেখি শ্রেষ্ঠ নারী হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)'র সাথেও রাগ করে তার স্বামী হযরত আলী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) ঘর থেকে বেরিয়ে গেছেন। অভিমান করে মাটিতে শুয়ে আছেন, আর শ্বশুর গিয়ে বলছেন, হে মাটির বাবা! ওঠো ওঠো! </div><div><br></div><div>ইসলাম দেখাচ্ছে সহযোগিতার সম্পর্ক, একে অন্যের দরদ বুঝার সম্পর্ক, মিষ্টি ঝগড়ার সম্পর্ক। এই সম্পর্ক অন্যরকম। অন্য সব সম্পর্কের চেয়ে আলাদা। এখানে কে কাজ করবে, আর কে কাজ করবে না এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা তো উচিত নয়। বরং যেভাবে প্রত্যেকের দ্বীনি দায়িত্ব আদায় হয় সেভাবেই চলা উচিত।</div><div><br></div><div>স্ত্রী সন্তান লালন পালন করবে, স্বামীও সহযোগিতা করবে। যৌথ ফ্যামিলি হলে স্ত্রী শ্বশুর-শাশুড়িকে আল্লাহ ও রাসূলের জন্য ভালোবাসবে, এর নামই দ্বীন। আবার স্বামী নিজের মা-বাবার খেদমতের ফরজ দায়িত্ব আদায় করবে, এর নামই দ্বীন। স্ত্রীকে বাবা-মার দাসি বানিয়ে দিলে নিজের দায়িত্ব আদায় হলো কীভাবে? অথচ নিজে এই কাজ করলে স্ত্রীর ওপর থেকে কাজের চাপ কমবে এবং খুশিমনে অন্য কাজ করে নিবে। এভাবে একে অন্যকে ভালোবাসা, একে অন্যকে সহযোগিতা করাই আমাদের ধর্মের শিক্ষা। আল্লাহ বলছেন, 'একে অন্যের পোশাক স্বরুপ।' পোশাক একদিকে প্রয়োজন, অন্যদিকে পোশাক থেকে মানুষ উষ্ণতা অনুভব করে। কিন্তু এই সমাজ শিখিয়েছে শুধু পুরুষের পোশাক প্রয়োজন, উষ্ণতার প্রয়োজন। নারীর পোশাকের প্রয়োজন নেই। নারী শুধু পুরুষের পোশাক। ব্যস এই নারীর পরিচয়। এই ধ্যান ধারণা নিয়ে যারা বেঁচে আছে তাদের কথার প্রতিবাদ করার নাম যদি হয় ফেমিনিজম তবে তাই সই। কিন্তু সমাজের এই মানসিকতা দেখেও চুপ থাকা অন্যায় হয় এবং অন্যায়কে বাড়তে দেয়া হয়।</div><div><br></div><div>এই জাহালত এই সমাজ থেকে দূর করতে হবে। ইসলাম নারীকে পিতার সম্পত্তি থেকে ভাগ দিয়েছে, ভাইরা বঞ্চিত করছে। ইসলাম নারীকে মোহরানার সম্মান দিয়েছে, স্বামী প্রথম রাতের সুযোগেই মাফ চেয়ে সেই অধিকার মেরে দিয়েছে। ইসলাম নারীকে শিক্ষার অধিকার দিয়েছে, এমনকি দাসীকেও শিক্ষার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছে, পুরুষরা নারীর প্রয়োজন নেই বলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে।</div><div>ইসলাম নারীকে জিহাদের মতো কঠিন আমল থেকে বাঁচিয়ে দিলেও সওয়াবের ক্ষেত্রে ঠিকই সমান রেখেছে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'হজ্জই তোমাদের জিহাদ।' এভাবে ইসলাম নানাভাবে নারীদেরকে সম্মান দিলেও এই সমাজের পুরুষরা জাহেলি যুগের মতো নারীকে ফেলনা বানিয়ে রেখেছে। হযরত উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, 'আমরা জাহেলি যুগে নারীদেরকে কোনো মূল্যই দিতাম না। তারপর আল্লাহ তাদের সম্পর্কে আয়াত নাযিল করেন।'</div><div><br></div><div>বর্তমানেও এই অবস্থা। একশ্রেণির মানুষের চোখে নারীর কোনো সম্মানই নেই। আরেকশ্রেণী অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করে নারীকে নিয়ে যাচ্ছে আঁধারে। বর্তমানের নারীরাও পড়ে আছে গোলকধাঁধায়। বোনরা, সংসার আপনার। সংসার সামলান। সন্তান আপনার, সন্তানের প্রতিপালন করুন। স্বামীর খেদমত করুন। জান্নাতে যাওয়ার জন্য ফরজ ইবাদতের সাথে সাথে এর বেশি কিছু লাগে না। কিন্তু যখন দেখবেন, কোথাও জুলুম হচ্ছে তখন প্রতিবাদ করুন। ভাইরা সম্পত্তি মেরে দিলে, স্বামী মোহরানা না দিলে কথা বলুন। এটা ইসলাম প্রদত্ত অধিকার। সময় বের করে দ্বীনের ইলমও অর্জন করুন। অনেক বোন আছেন, ফরজ ইবাদতের মাসআলাগুলোও জানেন না। এমনকি নামাজের সঠিক মাসআলাগুলোও জানেন না। সংসারের ঘোরপ্যাঁচে পড়ে এ ব্যাপারে জ্ঞান অর্জনের কথা ভাবেনও নি। </div><div><br></div><div>আমার নিজের দেখা প্রচুর মহিলা এমন আছেন, যাদের সারাদিন কাজ কাজ আর কাজ। কাজ শেষ হচ্ছে না। এদিকে নামাজ কাযা হয়ে যাচ্ছে সে খবরই নেই। এইরকম অবস্থা হলে শুধু ঘরের কাজ করে কিছুতেই হযরত ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা)'র আদর্শে আদর্শিত হওয়া যায় না।</div><div><br></div><div>বোনরা, সংসারকে দ্বীনের ক্ষেত্র মনে করুন, দ্বীন নয়। দ্বীনকে প্রায়োরিটি দিন, সংসারকে নয়। তাহলেই মনে যেমন প্রশান্তি থাকবে, সংসারেও থাকবে শান্তি। </div><div><br></div><div>আর ভাইরা, নারীকে সম্মান দিন, নারীকে ভালোবাসুন। নারী আপনারই সংসারের সবুজ বৃক্ষ। তাতে পানি দিন। তাকে আপনার উত্তাপে বিবর্ণ করবেন না। কাপুরুষের মতো তার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত না হয়ে আপনার সংসার ভালোবাসা দিয়ে সহমর্মিতা দিয়ে সামলানোর গুণ অর্জন করুন। আপনার স্ত্রীকে আপনার খেদমত করাতে বাধ্য করবেন না, বরং আপনাকে ভালোবাসতে বাধ্য করুন। দেখবেন, খেদমত এমনিতেই করবে। আপনার সংসার, আপনারই হয়ে উঠবে। আপনার সংসারের বৃক্ষ সবুজ থাকলে আপনারই শ্বাস প্রশ্বাসে প্রশান্তি থাকবে।</div>

নারীর কর্ম

ঘরের কাজকর্ম করা আসলে খুবই ছোট্ট একটা বিষয়। এটা নিয়ে কথা বললে মনে হয় পৃথিবীতে কথা বলার মতো কত বিষয়ই তো ছিল! এমন বিষয় নিয়েও কেন আলাপ করতে হবে...

Read more »

একটা বাবার বাড়ি, একটা স্বামীর বাড়ি। মেয়েদের নিজের বাড়ি কোনটা?

<div style="text-align: left;">একটা বাবার বাড়ি, একটা স্বামীর বাড়ি। মেয়েদের নিজের বাড়ি কোনটা? যদিও নারী পুরুষ সবার বাড়িই অস্থায়ী, আসল বাড়ি ওপারে। তবু মনে একটা কষ্টকর ভাব- 'আমার কোনো বাড়ি নেই।'</div><div><br></div><div>আসলেই কি তাই?</div><div>আসলে কিন্তু তা নয়। </div><div>প্রথমত: বাবা যে বাড়িটা তিলতিল করে গড়ে তুলেছেন ওই বাড়িতে দুইভাগের এক অংশ আমার আছে উত্তরাধিকার সুত্রে। অথচ না আমি ওখানে থাকছি আর না আমার প্রয়োজন আছে।</div><div><br></div><div>দ্বিতীয়ত: স্বামীর বাড়ি। স্বামী শুধু নামেই মালিক। ঘরটা কিন্তু আমার। একটা ঘর ততক্ষণ পর্যন্ত ঘর হয় না যতক্ষণ না একজন নারীর ছায়া পড়ে। এ তো গেল সাধারণ দৃষ্টিপাত। এবার দেখুন কুরআনের দৃ‌ষ্টিপাত।</div><div><br></div><div>কুরআনে যেখানেই আল্লাহ স্ত্রী আর ঘরের কথা বলেছেন, আল্লাহ বলেছেন স্ত্রীর ঘর।</div><div><br></div><div>ইউসুফ আলাইহিস সালামের ব্যাপারে যখন আল্লাহ তাআলা আলোচনা করেছেন, তখন বলেছেন,</div><div>وَرَاوَدَتْهُ الَّتِي هُوَ فِي بَيْتِهَا عَن نَّفْسِهِ</div><div style="text-align: left;">যে নারীর ঘরে তিনি থাকতেন, সে তাকে ফুসলানোর চেষ্টা করলো। [ইউসুফ: ২৩]</div><div>আল্লাহ বলেননি যে শাসকের ঘরে তিনি থাকতেন তার স্ত্রী আসলে তো ইউসুফ আলাইহিস সালাম থাকতেন আযীযে মিশরের ঘরেই।</div><div><br></div><div>আবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের আল্লাহ বলছেন,</div><div>وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَىٰ ۖ</div><div>তোমরা নিজ গৃহে অবস্থান করো। সাজসজ্জা প্রদর্শন করে বেড়িও না, যেমন প্রাচীন জাহেলি যুগে প্রদর্শন করা হতো। [আহযাব : ৩৩] </div><div>বলা হয়নি স্বামীর গৃহে অথবা বাবার গৃহে অবস্থান করো।</div><div><br></div><div>আবার যখন স্বামী স্ত্রীর ঝগড়াঝাটি মান অভিমান হয়, এমনকি ব্যাপারটা তালাক পর্যন্ত গড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; তখনও আল্লাহ বলছেন স্ত্রীর ঘর। </div><div>يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِذَا طَلَّقْتُمُ النِّسَاءَ فَطَلِّقُوهُنَّ لِعِدَّتِهِنَّ وَأَحْصُوا الْعِدَّةَ ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ رَبَّكُمْ ۖ لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِن بُيُوتِهِنَّ</div><div>হে নবী, আপনারা যখন নারীদেরকে তালাক দেন, তখন তাদেরকে তাদের ইদ্দতের সময়ে তালাক দিবেন এবং ভালোভাবে ইদ্দতের হিশেব রাখবেন এবং আল্লাহকে ভয় করবেন, যিনি আপনাদের প্রতিপালক। তাদেরকে 'তাদের ঘর' থেকে বের করে দিবেন না। [তালাক: ১]</div><div><br></div><div>এমনকি যখন স্ত্রী পরকিয়া ব্যভিচারের মতো অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয়, তখনও আল্লাহ স্বামীকে বলছেন না, তোমার ঘরে তাকে আবদ্ধ রাখো।  বরং কারো সাথেই সম্পৃক্ত না করে ঘরের কথা উল্লেখ করেছেন। এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো  স্ত্রীর কাছ থেকেও 'ঘরটা স্ত্রীর' এই সম্মান কেড়ে নিয়েছেন। অশ্লীল কাজ করে ফেলার নিয়তের পরও আযিযে মিশরের স্ত্রীর ব্যাপারে 'স্ত্রীর ঘর' বলেছেন। যেহেতু সেই মহিলা কাজটা করেনি। কিন্তু যখন কেউ অশ্লীল কাজ করে ফেলে তখন আল্লাহর দেয়া ওই সম্মান হারিয়ে ফেলে। </div><div><br></div><div>আল্লাহ তখন ঘরকে কারো সাথেই সম্পৃক্ত না করে বলছেন, </div><div>وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِن نِّسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِّنكُمْ ۖ فَإِن شَهِدُوا فَأَمْسِكُوهُنَّ فِي الْبُيُوتِ حَتَّىٰ يَتَوَفَّاهُنَّ الْمَوْتُ أَوْ يَجْعَلَ اللَّهُ لَهُنَّ سَبِيلًا</div><div>তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা অশ্লীল কাজ করবে, তাদের সম্পর্কে তোমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী রাখো। তারা যদি [অশ্লীল কাজ সম্পর্কে] সাক্ষ্য দেয়, তবে তাদেরকে ঘরের ভেতর আবদ্ধ রাখ, যাবত না মৃত্যু তাদের তুলে নিয়ে যায় কিংবা আল্লাহ তাদের জন্যে কোনও পথ সৃষ্টি করে দেন।[নিসা : ১৫]</div><div><br></div><div>কিন্তু যতক্ষণ না স্ত্রী কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেলে এবং চারজন সাক্ষী পাওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ ঘরকে স্ত্রীর ঘর বলেছেন। আর এমন ঘটনা ঘটলে তো স্বাভাবিক যে, নারী-পুরুষ কারো ক্ষেত্রে ঘটলেই সম্মান দেয়া সম্ভব হয় না।</div><div><br></div><div>এই ব্যাপার ছাড়া দেখা যাচ্ছে ঘরের মালিকানা স্বামীর থাকলেও আল্লাহ বলছেন ঘরটা স্ত্রীর ঘর। আল্লাহ প্রদত্ত এই সম্মানের পরও মনে হীনমন্যতা রাখা উচিত নয় যে, আমাদের কোনো ঘর নেই। আর কোনো পুরুষেরও উচিত নয়, ঝগড়া হলে সামান্য দোষে কথায় কথায় স্ত্রীকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলা, বাপের বাড়ি চলে যেতে বলা, ইত্যাদি। আল্লাহ তাআলা সূরা তালাকের আয়াতে তালাকের সময়ও অমনটা করতে সরাসরি নিষেধ করে দিচ্ছেন এবং বলছেন আল্লাহকে ভয় করুন।</div><div><br></div><div>সুতরাং স্ত্রীর ঘরটা স্ত্রীর জন্য প্রশান্তিময় করে তুলুন। ঝগড়া হলে রাগ হলে হযরত আলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর মতো আপনি বনবাসী হোন কিন্তু স্ত্রীকে সুকুনের সাথে তার ঘরে থাকতে দিন। তখন দেখবেন ব্যাপারটা হবে আলি হযরত ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার মতোই মিষ্টি! ওই যে হযরত আলি রাগ করে মসজিদে গিয়ে শুয়ে পড়লেন, আবার নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও গিয়ে ঘটনা শুনে মেয়েকে বললেন না, কাপড় গোছাও আর চলে আসো। বরং জামাইকে খুঁজতে বের হলেন এবং দেখলেন জামাই বাবাজি মাটিতে শুয়ে আছেন। আদর করে বললেন, 'ওহে আবু তুরাব! হে মাটির পিতা, উঠো উঠো!' পরবর্তীতে এই উপাধিই হযরত আলি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সবচেয়ে প্রিয় ছিল। 'আবু তুরাব -মাটির পিতা।'</div><div><br></div><div>কিন্তু যদি হযরত আলি রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাগ করে হযরত ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতেন, বাপের বাড়ি চলে যাও। ঘর থেকে বের করে দিতেন, নবীজি কত কষ্ট পেতেন, ব্যাপারটা কত বিশ্রী হয়ে যেত!</div><div><br></div><div>ঘরের রানীকে ঘরেই রাখুন। ঘরটা তারই এটাই বরং জানিয়ে রাখুন। আবার বোনরাও জানবেন, স্বামী বলুক আর না বলুক, আল্লাহ তো বলছেন আপনার ঘর। অস্থায়ী এ ঘর নিয়ে মন খারাপ তবে কেনই বা হবে!</div><div><br></div><div>তারপরও কারো কথায় কষ্ট হলে বলবেন ফেরআউনের স্ত্রীর সেই দুআ : رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ</div><div>"হে আমার পালনকর্তা! আপনার কাছে জান্নাতে আমার জন্য একটি ঘর তৈরি করুন।'' </div><div><br></div><div>ব্যস কষ্টের সিন্ধু তো দূর বিন্দুও থাকবে না আর।</div>

একটা বাবার বাড়ি, একটা স্বামীর বাড়ি। মেয়েদের নিজের বাড়ি কোনটা?

একটা বাবার বাড়ি, একটা স্বামীর বাড়ি। মেয়েদের নিজের বাড়ি কোনটা? যদিও নারী পুরুষ সবার বাড়িই অস্থায়ী, আসল বাড়ি ওপারে। তবু মনে একটা কষ্টকর ভাব- ...

Read more »

৫০০ বছর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত মুবারকে চুম্বনের সৌভাগ্য অর্জনকারী ইমাম রেফায়ি (র.)

<div style="text-align: justify;">ইমাম রেফায়ি (র.)</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEilL-aWRPW30PAq-NOtqFgxLCmzrvrTIou1f8py6ERyIycHHySE-j77DPpBdNMaVthYzayGG9SuhgB1BLb5dBN_D-d46drfdr0P7GeXw8gJ7BmcdHMe4g_LixnJS13kqPdAq2sEEQWvsYtI/s1600/FB_IMG_1608485261017.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="355" data-original-width="628" height="180" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEilL-aWRPW30PAq-NOtqFgxLCmzrvrTIou1f8py6ERyIycHHySE-j77DPpBdNMaVthYzayGG9SuhgB1BLb5dBN_D-d46drfdr0P7GeXw8gJ7BmcdHMe4g_LixnJS13kqPdAq2sEEQWvsYtI/s1600-rw/FB_IMG_1608485261017.jpg" width="320"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">ইমামুল আরেফিন, গাউসুল কবীর, হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রা.)’র প্রিয় নবী (দ.)’র হস্ত মুবারক চুম্বনের বিখ্যাত কারামত<br></div><div style="text-align: justify;">------------------------------</div><div style="text-align: justify;">ড. এ. এস. এম. ইউসুফ জিলানী</div><div style="text-align: justify;">-----------------------------</div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবীর হস্তচুম্বনকারী মহান ওলী, ইমামুল আউলিয়া, কুতুবুল আকতাব, গাউসুল কবীর হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রা.) সেই মহান আউলিয়ায়ে কেরামের অন্যতম, যাদের থেকে অসংখ্য ও কারামত প্রকাশ পেয়েছে। তার অসংখ্য কারামতের মধ্যে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ কারামত তাঁর জীবদ্দশায় প্রিয়নবীর পবিত্র হস্ত মুবারক চুম্বন করা। তার এ মহা কারামতটি উপস্থাপন করা হলো।</div><div style="text-align: justify;">সৈয়দুল আউলিয়া হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রাঃ) ৫৫৫ হিজরীতে বায়তুল্লাহ শরীফে হজ্জ্বব্রত পালন করার সৌভাগ্য লাভ করেন। তিনি যখন মদীনা মুনাওয়ারায় পৌঁছলেন, তখন সরকারে দু’আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নূরানী রওযা মোবারকের সমীপে হাযির হয়ে বিনীতভাবে আরয করলেন- اَلسَّلَامُ عَلَيْكَ يَا جَدِّيْ তৎক্ষণাৎ রওযায়ে মোবারক থেকে তার সালামের উত্তর আসে- وَعَلَيْكَ السَّلَامُ يَا وَلَدِيْ রওযা মোবারকের থেকে সালামের জবাবের প্রতিধ্বনী শুনতে পেয়ে তিনি গভীর ভাবাবেগ ও তম্ময়তায় নিবিষ্ট হয়ে যান। তখন যত লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি সহ সকলেই এ আওয়াজ শুনতে পান। অল্পক্ষণের পর তিনি কান্নাবিজড়িত কণ্ঠে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বিলাপের সূরে নিবেদন করেন-</div><div style="text-align: justify;">في حالة البعد روحي كنت ارسلها تقبل الارض عني وهي نائبتي</div><div style="text-align: justify;">وهذه دولة الاشباح قد حضرت فامدد يمينك كي تحظي بها شفتي</div><div style="text-align: justify;">অর্থ দূরে থাকাকালীন সময়ে নিজের রূহকে রওযা মোবারকের পবিত্র খেদমতে পাঠিয়ে দিতাম যেন আমার রূহ আমার প্রতিনিধি হিসেবে আপনার মুকাদ্দাস দরবারের কদমবুছি করার সৌভাগ্য লাভ করে। এবার তো আমি সশরীরে আপনার দরবারে হাযির। কাজেই আপনার পবিত্র হাত মোবারক উত্তোলন করুন, যাতে আমার এ ওষ্ঠ আপনার দস্ত মোবারক চুম্বন করার সৌভাগ্য লাভে ধন্য হয়। [আল-বুনিয়ানুল মুশায়্যাদ, পৃ. ৮।]</div><div style="text-align: justify;">হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রাঃ) এর এ নিবেদনের পর সরকারে আকদাস সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নূরানী রওযা মোবারক থেকে স্বীয় পবিত্র হাত মোবারক বাড়াইয়ে দেন। আর হযরত রেফায়ি তার পবিত্র হাত মুবারক চুম্বন লাভে ধন্য হন। রওযা শরীফে কয়েক হাজার যিরাতকারী লোক উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সকলেই তার এ দস্ত মোবারক অবলোকন করেন ও যিয়ারত লাভে ধন্য হন। তখন উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী যিয়ারতকারীগণের মধ্যে গাউসুল আযম দস্তগীর হযরত হযরত শায়খ আবদুল কাদের জিলানী (রাঃ), হযরত শায়খ আদ্দি বিন মুসাফির আলউমবি (রাঃ) ও হযরত শায়খ আবদুর রাজ্জাক ওয়াসেতী (র.) প্রমুখ শীর্ষ বুজুর্গানে দ্বীন অন্যতম।</div><div style="text-align: justify;">হযরত শায়খ হায়াত বিন কায়েস হারবুনি, শায়খ আদি বিন মুসাফির, শায়খ আকিল, শায়খ আহমাদুল কবির যাফরানি, শায়খ আহমদ যাহিদ আনসারি, শায়খ শরফুদ্দিন হাশেমি আব্বাসি প্রমুখ বিশিষ্ট ওলিগণও তখন উপস্থিত ছিলেন। বরকতের আশায় তারা সকলে তখনই ইমাম রেফায়ির হাতে বায়আত করেন। আর শায়খ আলী বিন খামিছ, শায়খ আলী তাবারি, শায়খ আহমদ বিন মাহমুদ রিবযি, আমির আসাদুদ্দিন বিন সাদি, শায়খ হাসান বিন মুহাম্মদ হুসাইনি এবং শায়খ আবদুর রাজ্জাক ওয়াসেতিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারাও রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামের হস্ত মুবারকের যিয়ারত লাভে ধন্য হন। [আল-বুনিয়ানুল মুশায়্যাদ, পৃ. 9]</div><div style="text-align: justify;">...............................</div><div style="text-align: justify;">বিস্তারিত দেখুন, অধমের রচিত, কুতুবুল আওলিয়া, গাউসুল কবীর, হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রা.) কারামত গ্রন্থটি।</div><div style="text-align: justify;">তারিখ: 20/12/2020 ইং</div><div style="text-align: justify;">...............................</div>

৫০০ বছর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাত মুবারকে চুম্বনের সৌভাগ্য অর্জনকারী ইমাম রেফায়ি (র.)

ইমাম রেফায়ি (র.) ইমামুল আরেফিন, গাউসুল কবীর, হযরত সৈয়দ আহমদ কবীর রেফায়ী (রা.)’র প্রিয় নবী (দ.)’র হস্ত মুবারক চুম্বনের বিখ্যাত কারামত -------...

Read more »

সূফী কারা?

<div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><b><i>সূফী কারা?</i></b></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">হযরত বায়েজীদ বোস্তামী رحمة الله عليه</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">কে কেউ একজন  জিজ্ঞেস করলেন— সূফী কারা?</div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">তিঁনি উত্তর দিলেন— সূফী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যিনি তার দক্ষিণ পার্শ্বে আল্লাহ'র কিতাব এবং উত্তর পার্শ্বে  রাসুলের সুন্নত আঁকড়ে ধরে।  এক চোখ দিয়ে জান্নাত দেখে আর অপর চোখ দিয়ে দেখে জাহান্নাম।  দুনিয়াকে রাখে পিছনে আর আখিরাতকে জড়িয়ে ধরে ; আর এ দুইয়ের মাঝে  মাওলার কাছে এভাবে হাজিরা দিয়ে থাকে— লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক  (আমি হাজির। হে আল্লাহ, আমি হাজির)। </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">[শাতহাতে সূফিয়া-৯৬ পৃষ্ঠা,  আল্লামা আব্দুর রহমান আল-বাদাভী]    </div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">হে আল্লাহ ! আমাদেরকে সত্যিকার সূফী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।</div></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">আধ্যাত্মিক জগতের হিরন্ময় তাজ যার মুবারক মস্তকে শোভিত, সেই ক্ষণজন্মা, যুগশ্রেষ্ঠ, মহান মরমী কবি আল্লামা রুমী রহিমাহুল্লহুর আল্লহ ও রসূল ﷺ প্রেমে সুরভিত অমর, কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ 'মসনবী শরীফ' থেকে শাশ্বত, চিরন্তন দু'টি চরণঃ </div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">"এক জামানা সোহবতে বা আউলিয়া </div><div style="text-align: justify;">বেহতর আজ ছদ সালে বেরিয়া।"</div><div style="text-align: justify;"><br /></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ আল্লাহর অলীর সঙ্গে এক মুহূর্তের সুহবত, রিয়াবিহীন হাজার বছর নফল ইবাদত অপেক্ষাও উত্তম। (সুবহানআল্লাহ)</div><div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCHXSwwXBa8UYBrhEQ75-bNkXJI_IZXhmBoq9IMYsnYtKvajs0tyDGuWRZzc4kjQJoVt6uAZDVAdJLD9PCnBWEsIL6OQ8Q3lbv3PiG7Ss8_51ZFG18rqpsy9SeJAGnu-gubXpWnBlECeUz/s1600/FB_IMG_1608485293944.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="533" data-original-width="1080" height="157" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhCHXSwwXBa8UYBrhEQ75-bNkXJI_IZXhmBoq9IMYsnYtKvajs0tyDGuWRZzc4kjQJoVt6uAZDVAdJLD9PCnBWEsIL6OQ8Q3lbv3PiG7Ss8_51ZFG18rqpsy9SeJAGnu-gubXpWnBlECeUz/s1600-rw/FB_IMG_1608485293944.jpg" title="" width="320" /></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"><br /></div></div><div style="text-align: justify;"><br /></div></div>

সূফী কারা?

সূফী কারা? হযরত বায়েজীদ বোস্তামী رحمة الله عليه কে কেউ একজন  জিজ্ঞেস করলেন— সূফী কারা? তিঁনি উত্তর দিলেন— সূফী হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যিনি তার দক্ষ...

Read more »

আগন্তুক পর্ব-১

<p> </p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiZHQ7BNhcm1WYRUo0r-aIeyyJ1_0dlDdp0Bzo1At0IaAaLXExRaaEDkxv0FXvTbR_NKD2u__69dGdvHXlzVD3QhQRYZT1ettSorqDrmWz5ga06QuLX7fjBWTOZ4KzM1740tNTKuRGDjaw/s640/FB_IMG_1608388370834.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="480" data-original-width="640" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEiZHQ7BNhcm1WYRUo0r-aIeyyJ1_0dlDdp0Bzo1At0IaAaLXExRaaEDkxv0FXvTbR_NKD2u__69dGdvHXlzVD3QhQRYZT1ettSorqDrmWz5ga06QuLX7fjBWTOZ4KzM1740tNTKuRGDjaw/s320-rw/FB_IMG_1608388370834.jpg" width="320" /></a></div><br /><p></p><p>আগন্তুক (১) </p><p>-মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির </p><p><br /></p><p>আজ আমি আপনাদের প্রথমে এক পৃষ্ঠার একটা ছোট লেখা পড়ে শোনাব। লেখাটা নাম না জানা কোন বিদেশী লেখকের। অনুবাদ আমার। এই প্রবন্ধটার নাম হচ্ছে ‘আগন্তুক’। এটা থেকেই আমরা আজকের মূল আলোচনায় যাব। </p><p>এখানে লেখক বলছেন: “আমার জন্মের কয়েক মাস আগে, আমার বাবার সাথে একজন আগন্তুকের দেখা হয়েছিল – যে আমাদের ছোট্ট শহরে তখন নতুন এসেছিল। শুরু থেকেই আমাদের বাবা ওই মুখর আগন্তুকের প্রতি অত্যন্ত আকৃষ্ট বোধ করেন এবং শীঘ্রই তাকে আমাদের সাথে এসে বসবাস করতে আমন্ত্রণ জানান। তার চেহারা বাহির থেকে দেখতে খুব আকর্ষণীয় মনে না হলেও সবাই তাকে খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নিল এবং কয়েক মাস পর যখন পৃথিবীতে আমার আগমন ঘটল (অর্থাৎ ঐ লেখকের জন্ম হলো) তখন আর সবার সাথে, সেও আমাকে স্বাগত জানাল। আমি যখন বড় হচ্ছিলাম তখন বাড়িতে এই আগন্তুকের অবস্থান নিয়ে মনে কোন প্রশ্ন আসেনি। আমার কচি মনে পরিবারের সকল সদস্যের জন্য একেকটা আসন ছিল। আমার পাঁচ বছরের ছোট ভাই ইউসুফ ছিল আমার জন্য অনুসরণীয় উদাহরণ।” ..</p><p><br /></p><p>এখানে একটা মুসলিম পরিবারের কথা বলা হচ্ছে। .. “আমার ছোট বোন সাদিয়া আমার খেলার সাথী ছিল। সে আমাকে, নিজেকে বড় ভাই ভাবার যোগ্যতা দান করে ও মানুষকে ক্ষ্যাপানোর বিদ্যা অর্জনে সহায়তা করে। আমার বাবা-মা ছিলেন সম্পূরক, পরিপূরক শিক্ষক। মা আমাকে আল্লাহকে ভালোবাসতে শেখান আর বাবা শেখান কী করে আল্লাহর আনুগত্য করতে হয়। কিন্তু ওই আগন্তুক আমাদের গল্প শোনাত। সে অদ্ভুত সুন্দর সব হৃদয়গ্রাহী গল্প বানাতে ও শোনাতে পারত – অ্যাডভেঞ্চার, রহস্য, কমেডি আরও কত কী! এসবই ছিল তার দৈনন্দিন সংলাপ। প্রতিদিন বিকালে সে আমাদের গোটা পরিবারকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার শ্রোতা হিসাবে ধরে রাখতে পারতো – আর সপ্তাহান্তে আমাদের জেগে থাকা সময়টুকুর প্রায় সবটুকু সে-ই নিয়ে নিতো। আমি যদি রাজনীতি, ইতিহাস বা বিজ্ঞান সম্পর্কে কিছু জানতে চাইতাম, সে তা জানাত। সে অতীত সম্পর্কে জানাত এবং মনে হতো বর্তমান সম্পর্কেও তার সম্যক জ্ঞান রয়েছে। সে এমন সব জীবন্ত ছবি আঁকতে পারত যে আমি প্রায়ই সেগুলো দেখে কাঁদতাম অথবা হাসতাম। সে আমাদের গোটা পরিবারের একজন বন্ধুর মতো ছিল। </p><p>সে আমাকে, আমার বাবাকে ও ইউসুফকে আমাদের জীবনে দেখা প্রথম আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট ম্যাচে নিয়ে যায়। সে আমাদের সবসময় সিনেমা দেখতে উৎসাহ দিত। এমনকি বহু নামী-দামী মানুষের সাথে আমরা যেন পরিচিত হতে পারি, সে তারও ব্যবস্থা করে দিত। সে অনর্গল কথা বলতে পারত। আমার বাবা মনে হয় তাতে কিছু মনে করতেন না বা বিরক্ত হতেন না। কিন্তু আমরা বাকিরা যখন হাঁ করে তার বলা কোন প্রত্যন্ত অঞ্চলের কথা শুনতাম, মা তখন মাঝে মাঝেই তার সভা থেকে উঠে যেতেন। নিজের ঘরে গিয়ে তিনি কুরআন পড়তেন। কখনো তিনি সন্তর্পণে আমাদের বলতেন, নবী ﷺ বলেছেন: ‘ঈমানের সুন্দর দিক হচ্ছে সকল নিষ্ফল কাজ-কর্ম এড়িয়ে চলা’।”</p>

আগন্তুক পর্ব-১

  আগন্তুক (১)  -মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির  আজ আমি আপনাদের প্রথমে এক পৃষ্ঠার একটা ছোট লেখা পড়ে শোনাব। লেখাটা নাম না জানা কোন বিদেশী লেখকের। অনুব...

Read more »