দেহবন্দী আলেমদের মতে পীর ওলিঃ


আমার কথা হচ্ছে যে পীর মাশায়েখ গণ যদি কোনো উপকারে না আসে তা হলে তোমার দেওবন্দ এর সকল আলেম কেন নিজেদের কে (চিশতিয়া ) বুজুর্গ বলে দাবি করেন ? আর হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মক্কী (রহ) এর হাতে কেন বায়েত হলেন ? কে কতদিন হাজী সাহেবের খেদমত করেছেন তা এখন বলতে চাচ্ছি না , আজকের পোস্ট হচ্ছে পীর মাশায়েখ গনের প্রয়জন আছে কি না তা দেওবন্দী দের কিতাব থেকে প্রমান করাঃ


দেওবন্দী আলেম কুতুবুল ইরশাদ মাওলানা রশিদ আহমাদ গাংগুহীঃ-

(মহমুদুস সুলুক) কিতাবের ৫২ পৃষ্টায় লিখেছেন যে -

যার পীর নাই তার পীর শয়তান।

(মহমুদুস সুলুক) এর পৃষ্টা নং ৫৯ তে লিখেছেন যেঃ-


একথা খুব ভালো করে জানা প্রয়োজন যে , মুরিদের জন্য একজন কামিল পীরের খুবই দরকার। তিনি তার ইসলাহের জন্য শরীয়াত ও তরিকতের পথের সহায়ক হবেন,ও আল্লাহর নৈকট্ব পাওয়ার পথে উচা,নিচা,সুবিধা,অসুবিধা,ভালো-মন্দের সম্পর্কে তাকে সতর্ক করবেন। যেমন আল্লাহ বলেন ;- হে ঈমানদারগণ , আল্লাহকে ভয় কর ,ও তাকে পাওয়ার জন্য নির্ভরশীল সহায়ক(অসিলা) তালাশ কর(সুরা মায়েদা) আয়াত ৩৫

নবী পাক এরশাদ ফরমান যে ;- আমার সাহাবাগণ তারকা সমতুল্য ,তোমরা যে কারো অনুসরণ করবে হেদায়াত পেয়ে যাবে।
এতে প্রমানিত হয় যে হেদায়াত পাওয়ার জন্য কোনো না কোনো আল্লাহ ওয়ালা বুজুর্গের অনুসরণ করা প্রয়োজন কেননা তার অনুসরণ মাধমেই আল্লাহকে পাওয়া যাবে। 


(মহমুদুস সুলুক) এর পৃষ্টা নং ৬০ এ লিখেছেন যেঃ-


ইমাম গাজ্জালি (রহ) এর কিতাব (এহইয়া-উলুমুদ্দীন ) কিতাবে বর্ণিত হাদিস তুলে ধরে লিখেছেন যে ;- আল্লাহ তায়ালা উম্মতের হেদায়েত যেমন নবীগনের দিয়ে করিয়ে থাকেন ঠিক তেমন মুরিদ গনের হেদায়াত আপন কামিল বুজুর্গের দিয়ে করিয়ে থাকেন। 

এই হাদিসের বেক্ষা করতে গিয়ে রশিদ আহমাদ গান্গুহী সাহেব লিখেছেন যে ;- শায়খে কামিল নবীর নায়েব হিসেবে নবুয়াতের খেদমত আনজাম দিয়ে আপন মুরিদ গনকে সত্পথ দেখান এবং তাদেরকে গোমরাহী থেকে সতর্ক করেন , এ হিসেবে তারা মানুষের জন্য আম্বিয়া কেরামের মত নবীর তরিকায় হিদায়েত ও নাজাতের ওসিলা হন
। 


আরো ইমাম গাজ্জালি সাহেবের বক্তব্য তুলে ধরে লিখেছেন যে ;- পীরের এত সম্মান তার মোটা তাজা সরির ও দৈহিক সক্তি ও পার্থিব সম্পদের কারণে নয় , বরং আল্লাহর মারিফাতের জ্ঞান ও আল্লাহকে পাওয়ার পথের অভিজ্ঞতা ও আখিরাতে নাজাত পাওয়ার যোগ্যতার কারণে। তাই তো দেখা যায় ভালো বংশীয় নয় বরং নিস্য ,গরিব, দরিদ্র , ও ছোট পেশার অনেকেই শায়েখ ও সম্মানী পীর হয়েছেন ও দ্বীনি খিদমত আনজাম দিয়ে মানুষের ইসলাহের জিম্মাদারী পালন করে যাচ্ছেন
। 



[ মাহমুদুস সুলুক - পৃষ্টা ৫৯- ৬০ ]


ওহাবীদের 
নেতা 
শায়েখুল ইসলাম মাওলানা জাকারিয়া এর কিতাব -


(আকাবির কা
সুলুক ও এহসান) কিতাবের ২০ নং পৃঃ 



হজরত মাওলানা ইলিয়াছ (রহ) তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর ও জিকির আজকার এর যে মেহনত চালু করেছেন এবং তা করতে সকল কে আদেশ করেছেন ও আমলি নমুনা পেশ করেছেন তাও জেনে এই বেপারে আমার মনস্থির হল যে ;- তাবলীগের নামে পীর মুরিদীর প্রচার করা। 
[আকাবির কা সুলুক পৃষ্টা ২০]


তাবলিগীদের আজিম শায়খুল হাদিস জাকারিয়া -
(শরীয়াত ক তরিকত কা তালাজুম) কিতাবের ১০-১১ নং পেজ এঃ-


হজরত জাবের (রা;) এর একটা হাদিস বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সা; ইরশাদ করেছেন যে গাছের নিচে যে মুমিন সাহাবা গণ মুরিদ হয়েছেন তাদের কেউ জাহান্নামে যাবে না ৷ তিরমিজি সরিফ ২ য় খন্ডের ২২৫ নং পৃষ্টা
আহ!!পীর মুরিদি নবী সা; এর সর্ণ তরিকা কতই না মূল্যবান ৷ হে আল্লাহ যারা মুরিদ হউয়ার ভেদ বোঝেনি তাদের কে আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ 

মুরিদ না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয়ঃ

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বলেন রাসুল্লুল্লাহ (সা;) বলেন যে বেক্তি আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ থেকে হাত সরিয়ে নিবে কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোনো দলিল থাকবে না ৷ আর যে বেক্তি মুরিদ হওয়া ছাড়া মরবে তার মিত্তু জাহেলি যুগের বেইমান লোকদের মত হবে ( মুসলিম শরিফ ২ খ ১২৮ প্রিষ্ট) বর্ণিত হাদিসের বেক্ষাতে জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে ;- রাসুলুল্লাহ বলেছেন আল্লাহ ও তার রাসুলের অনুকরণ না করলে ক্ষমার কোনো দলিল থাকবে না তার পক্ষে কিয়ামতের দিন , আর ও বলেন মুরিদ না হয়ে মরলে জাহেলিদের মত মিত্তু হবে ৷যেহেতু নবী পাক দাওয়াত ও তাবলিগ দ্বারা সকলকে মুরিদ করে ঈমানী শিখা দিতেন ৷ তাই তার ও আল্লাহ পাকের অনুকরণে মুরিদ না হলে জাহান্নামী হতে হবে ৷সুরা ফাতাহ এর ১০ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সকল সাহাবীকে মুরিদ করার ঘোসনা দিয়েছেন ৷ তাই মুরিদ করা ও মুরিদ হওয়া আল্লাহ ও নবীর সর্ণ তরিকা হিসেবে মর্যাদার স্থান পেয়েছে ৷ আর কোরান ও হাদিস দ্বারা ও তা প্রমানিত ৷ এভাবে মুরিদ না হলে আল্লাহ ও তার রাসুলের বিরোধী বলা হয়েছে ও তাদের কে অশিক্ষিত কাফেরদের মত জাহান্নামী বলা হয়েছে ৷ আর মুজতাহিদ ইমামগণ ও মুরিদ হওয়ার বিসয় কটর মনোভাব বেকত করেছেন ৷ 

[শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা নং ১০-১১]

তো এখান থেকে প্রমান হচ্ছে যে সুধু সুপারিশ না বরং নাজাত এর ওয়াসিলা ও বটে

হজরত ইমাম হাম্বল (রহ ) এর মতে ইমান হলো নবীর নবীর তরিকায় মুরিদ হওয়া ও নবীর আদেস নিশেদ পরিপূর্ণ ভাবে পালন করা ৷ মুরিদ হওয়া একটা বিসয় হলে ও ইমান ,ইসলাম , শরীয়াতের সকল বিসয় এর ভিতর আছে ৷ সুতরাং যে বেক্তি সরিয়াত মানবে না আর গোনাহ করবে সে তার মুরিদ হওয়ার সকল অঙ্ঘিকার ভঙ্গ করবে ৷ অবশ্যই তার ইমান ও কমতে থাকবে ৷ 
( ফয়জুল বারী , সরহে বুখারী ১ খ ৪৮ নং পৃষ্টা )
জাকারিয়া সাহেব তার কিতাব (শরীয়ত ও তরিকত কা তালাজুম ) এর ১২-১৩ নং পৃষ্টা তে -

উপরের বর্ণিত ইমাম হাম্বল (রহ) এর কথা উল্লেখ করে তার বেক্ষাতে লিখেছেন যে ;- মুজতাহিদ ইমামগণ মুরিদ হওয়াকে ঈমানী বিসয় বলে আখ্যায়িত করলেন ৷ কারণ তাদের কাছে বায়েত ও মুরিদ হয়ায়াই ছিল ঈমানী বিসয়৷ আজকাল যদিও আলেমগণ বায়াত হওয়ার বিসয় গুরত্ব দেন না৷ কেন না হতে পারে বায়েত হওয়া ছাড়াই তারা ইমান হাসিল করেছেন ৷তাদের কবরে তারা জবাব দিবে এবং আমাদের কবরে আমরা জবাব দিব ৷ তাই আমাদের উচিত কোরান ,হাদিস ও মুজতাহিদ ইমামগণের অনুসরণ করা৷ ইমাম গনের মতের বিরোধিতা না করা৷ কেননা কোরান বলে বায়েত হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায় ৷ আর হাদিস বলে বায়েত না হলে বেইমান হয়ে মরতে হয় ৷

(শরীয়াত ও তরিকত) কিতাবের ২০ পৃষ্টায়-

জাকারিয়া সাহেব লিখেছেন যে
হজরত আবু ইয়াজিদ (রহ) বলেন অধাতিক লাইনে যার উস্তাদ নেই তার উস্তাদ শয়তান। 
(তাজ্কিরাতুল এহসান ১৬ নং পৃষ্টা)

ইহ্য়ায়ে উলুমুদ্দীন কিতাবে ইমাম গাজালী সাহেব একটা হাদিস বর্ণনা করেছেন যে :-
নবী পাক বলেছেন যে উম্মতের ইসলাহের জন্য নবীর দায়িত্ব যেমন তদ্রুপ মুরিদের ইসলাগের জন্য পীরের দায়িত্ব তেমন। 
(
উক্ত কিতাবে 
তাজ্কিরাতুল এহসান 
এর 
১৯ নং পৃষ্টা 
থেকে 
নিয়েছে)

পীর মুরিদীর লাভঃ
শায়েখ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দেস এ দেহলবী সাহেব ব
লেনঃ

হক্কানী বুজুর্গ গণ ও পীর মাশায়েখ গণ নবী (স) এর মৃত সুন্নাত পীর মুরিদী জিন্দা করার কারণে অনেক সওয়াব পাবেন এবং জারা মুরিদ হয়ে মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করবেন তারা ও অনেক সয়াব পাবেন। একটা মৃত সুন্নাত কে জিন্দা করলে ১০০ শহিদের সয়াব পাওয়া যায়।

(শরীয়াত ও তরিকত কা তালাজুম পৃষ্টা ২২)













 
Top