বিস্ময়কর মানুষ
মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর 


অন্ধকার সময়ে একমুঠো অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী মানুষ ছিলেন। তাদের সবার ছিল অপার্থিব গুণাবলি। কেউ কবিতা লিখতেন, গান বাঁধতেন, সুর তুলতেন, গান গাইতেন, সংবাদ কুড়াতেন, চিকিৎসা করতেন, শিক্ষা বিলাতেন, ঘর বানাতেন, নাটক লিখতেন, চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন, সবুজ ভালোবাসতেন, রাজনীতি করতেন।


সেই সময়ে এরা সবাই একটা বিষয়ে দৃঢ় ঐক্যবদ্ধ ছিলেন- দেশকে ভালোবেসে দেশ স্বাধীন করার সংকল্পের। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছিল তাদের আনাগোনা। ষাটের দশকের আন্দোলন ও যুদ্ধ চলাকালীন তারা এক হয়ে শত্রুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য অদৃশ্য শক্তিশালী ঢাল সৃষ্টি করেছিলেন। 


যে যার পথে থেকেই তারা এক ধারায় প্রবাহিত হয়েছিলেন, দেশকে স্বাধীন করার প্রত্যয় জলের নদীতে। যে যার মতো দায়িত্ব পালন করে, এক দৃঢ় লক্ষ্যে সফল হওয়ার পরই আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ।


বীরের বেশে তারা অদৃশ্য ঢালের আড়ালে আমাদের বাঁচিয়ে রেখে, চলে গিয়েছিলেন। বেদনার ঘন কুয়াশায় ভর করে তারা নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশের জন্য, আমাদের জন্য।


সেই অন্ধকার সময়ে আলো ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন যারা, তাদের মাঝে কয়েকজনের কথা আজ বলতে এসেছি।


আনোয়ার পাশা-

কবি, ভাষাবিদ, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তার সাহিত্যকর্মে ফুটে উঠেছিল দেশাত্মবোধ, মননশীলতা এবং প্রগতিশীল। আনোয়ার পাশার সাহিত্যজীবনের সূচনা ছাত্রাবস্থায়। রাজশাহী কলেজে বিএ পড়ার সময় তিনি ‘হাসনাহেনা’ শিরোনামে একটি রম্যরচনা প্রকাশ করতেন।


বাংলাদেশের স্বাধিকার নিয়ে রচিত প্রথম উপন্যাস ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ রচনা করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অস্থায়ী প্রভাষক ছিলেন তিনি। পুরো নয় মাস নিজের অবস্থান থেকে একটুও নড়েননি, ভীত হননি।


১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাহায্যকারী আলবদরের একটি দল তাকে তার নিজ বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন থেকে চোখ বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর তুলে দেয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে। বর্তমান মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় শহীদ অধ্যাপক আনোয়ার পাশাকে।


শহীদুল্লাহ কায়সার-

লেখক, সাংবাদিক, কমিউনিস্ট নেতা। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সরাসরি যোগ দেন এবং ভাষা আন্দোলনে তার রাজনৈতিক ভূমিকার কারণে ১৯৫২ সালের ৩ জুন তিনি গ্রেফতার হন। এ সময় তাকে সাড়ে তিন বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।


১৯৫৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পরপরই পুনরায় গ্রেফতার হন। পরবর্তী সময়ে ছাড়া পেলেও ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর জেনারেল আইয়ুব খান কর্তৃক সামরিক আইন জারি হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪ অক্টোবর তাকে গ্রেফতার করা হয়।


জননিরাপত্তা আইনে তাকে এ পর্যায়ে ১৯৬২ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আটক রাখা হয়। শহীদুল্লাহ কায়সার সমসাময়িক রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন ও ১৯৫১ সালে পার্টির সদস্য হন।


পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ‘দেশপ্রেমিক’ ছদ্মনামে ‘রাজনৈতিক পরিক্রমা’ ও ‘বিশ্বকর্মা’ ছদ্মনামে ‘বিচিত্রা কথা’ শীর্ষক উপসম্পাদকীয় লিখতেন। সংসপ্তক, সারেং বউসহ অনেক উপন্যাস, গল্প-কবিতা লিখে রেখে গেছেন তিনি।


১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আলবদর বাহিনীর কজন সদস্য তাকে তার বাসা ২৯, বিকে গাঙ্গুলী লেন থেকে ধরে নিয়ে যায়। তারপর তিনি আর আমাদের মাঝে ফিরে আসেননি।


মেহেরুন্নেসা-

বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির জন্য তিনি ভাষা আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তার কবিতার মধ্য দিয়ে এর পক্ষে মতামত ব্যক্ত করতেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে তিনি জড়িত হয়ে পড়েন এবং মিরপুরের অ্যাকশন কমিটির সদস্য হন।


বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ কবির হৃদয়ে তুলেছিল প্রতিবাদের ঝড়। তাই জয় বাংলা স্লোগান দিতে দিতে ২৩ মার্চ ’৭১ নিজ বাড়িতে তিনি এবং তার দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছিলেন।


২৭ মার্চ ঢাকার মিরপুরে তার বাড়িতে বিহারিদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্থানীয় সহযোগীরা আক্রমণ করে। কবি মেহেরুন্নেসা, তার দুই ভাই এবং মাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কবি মেহেরুন্নেসার খণ্ডিত মাথাটি দিয়ে ওরা ফুটবল খেলেছিল।


খেলা শেষে দীর্ঘ কালো কেশগুলো দিয়ে কাপড় শুকানো তারে তার মাথাটি ঝুলিয়ে রেখে গিয়েছিল তারা। সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকায় তার মৃত্যুর ঠিক ৪ দিন আগে, ২৩ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল তার লেখা কবিতা, ‘জনতা জেগেছে’।


সিরাজুদ্দীন হোসেন-

তিনি ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী ও বার্তা সম্পাদক। এ দেশে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জনক তিনি। ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে দেশের বঞ্চিত মানুষের কথা সংবাদপত্রের পাতায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, ছয় দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন ও একাত্তরে অবরুদ্ধ নগরী ঢাকায় তার ক্ষুরধার লেখনী তাকে বিশিষ্ট করেছে।


মুক্তিযুদ্ধের সময় ইত্তেফাকের পাতায় তার সাহসিকতাপূর্ণ সম্পাদকীয় ও রিপোর্টের কারণে জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম তাকে হুমকিও দিয়েছিল। ‘ঠগ বাছিতে গা উজাড়’, ‘অধুনা রাজনীতির কয়েকটি অধ্যায়’, ‘এতদিনে’ ইত্যাদি তার প্রকাশিত প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎহীনতার ইঙ্গিত দেয়।


১৯৪৭ সালের দেশভাগ নিয়ে লেখা তার বই ‘ইতিহাস কথা কও’ বা ‘লুক ইন টু দ্য মিরর’ আমাদের ইতিহাসের এক উল্লেখযোগ্য সংযোজন। ‘চিনিল কেমনে’ কিংবা ‘সুকুইজ্জ্যা কডে’ ধরনের অসংখ্য শিরোনাম তিনি করেছেন, যেগুলো এখনও আলোচনার বিষয় হয়ে আছে।


১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর ও রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা সিরাজুদ্দীন হোসেনকে রাজধানীর চামেলীবাগের বাড়ি থেকে অপহরণ করে। তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি ছিলেন একাত্তরের ডিসেম্বরে শত্রুর তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবী নিধনযজ্ঞের প্রথম শিকার।


ফজলে রাব্বী-

তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জয়েন্ট প্রফেসর কার্ডিওলজিস্ট এবং মেডিকেল রিসার্চার ছিলেন। তিনি প্রগতিশীল চিন্তা এবং আধুনিক বাংলা জাতিতে বিশ্বাস করতেন। ২৭ মার্চ ’৭১ ঢাকা মেডিকেলে পাকিস্তানিদের বর্বর অত্যাচারে শত শত নিপীড়িত সাধারণ মানুষ তাকে এবং তার স্ত্রীকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে।


পুরো নয় মাস তারা দুজন অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার, ধর্ষিতা নারীদের আশ্রয়, চিকিৎসা, সাহায্য করেছেন। তারা ধর্মনিরপেক্ষ ছিলেন, সে কারণে বন্ধুদের মাঝে যারা মুসলিম ছিলেন না, তাদের নিজের মতো করে শত্রু থেকে বাঁচার জন্য ঘিরে রাখতেন। ডাক্তার রাব্বী স্বপ্ন দেখতেন এক স্বাধীন বাংলাদেশের, যেখানে ধর্মনিরপেক্ষতায়, সহ্যসীমায়, সম্মানে, মর্যাদায়, শ্রেণি সমতায়, লিঙ্গ সমতায় মানুষ বসবাস করবে।


১৫ ডিসেম্বর তাকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনীর সদস্যরা। প্রথমে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে রাখা হয়েছিল তাকে। পরবর্তী সময়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মম অত্যাচারে শহীদ হওয়া তার লাশ পাওয়া যায়।


ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত-

বাঙালি আইনজীবী, সমাজকর্মী, ভাষাসৈনিক। তার পরিচিতি মূলত একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে। দেশ বিভাগের আগে ভারতীয় উপমহাদেশের ভারত অংশে এবং পরে পূর্ব পাকিস্তানে তিনি রাজনীতিবিদ হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।


১৯৪৭ সালের পর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতিক হিসেবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে তিনি সর্বপ্রথম অধিবেশনের সব কার্যবিবরণী ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাতেও রাখার দাবি উত্থাপন করেন।


পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যাই বেশি এবং তারা বাঙালি, সেহেতু অবশ্যই বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের সব কার‌্যাবলির জন্য ব্যবহার করা উচিত এবং পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে দাবি তোলেন। কিন্তু লিয়াকত আলী খান সাম্প্রদায়িক বক্তব্যের ভিত্তিতে এ দাবি নাকচ করে দেন।


পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর ১৯৬০ সালে ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ওপর ‘এবডো’ প্রয়োগ করা হয়। ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয় এবং তখন থেকে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন।


এতৎসত্ত্বেও বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত গুরুত্বপূর্ণ বাঙালি নেতাদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখতেন। ১৯৭১ সালের ২৯ মার্চ রাতে কুমিল্লার কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী অ্যাডভোকেট আবদুল করিমের তত্ত্বাবধানে ছোট ছেলে দিলীপকুমার দত্তসহ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের ময়নামতী সেনানিবাসে নিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়।


জহির রায়হান-

প্রখ্যাত বাংলাদেশি চলচ্চিত্র পরিচালক, ঔপন্যাসিক এবং গল্পকার। জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ঐতিহাসিক আমতলা সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।


ভাষা আন্দোলন তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’তে। তার রচিত প্রথম উপন্যাস শেষ বিকেলের মেয়ে ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হয়।


অন্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস হল হাজার বছর ধরে ও আরেক ফাল্গুন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হল কাচের দেয়াল, বেহুলা, সঙ্গম, আনোয়ারা ও জীবন থেকে নেয়া। তিনি ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।


জহির রায়হানের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ‘স্টপ জেনোসাইড’ প্রামাণ্যচিত্রটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে পৃথিবীর সব দেশে। তার নির্মিত চলচ্চিত্র ‘জীবন থেকে নেয়া’র বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয় এবং চলচ্চিত্রটি দেখে সত্যজিত রায়, মৃণাল সেন, তপন সিনহা এবং ঋত্বিক ঘটক প্রমুখ ভূয়সী প্রশংসা করেন। সেসময়ে তিনি চরম অর্থনৈতিক দৈন্যের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও তার চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হতে প্রাপ্ত সমুদয় অর্থ মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে দান করে দেন।


জহির রায়হান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭১-এর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন এবং তার নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লা কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন, যিনি স্বাধীনতার ঠিক আগ মুহূর্তে পাকিস্তানি আর্মির এ দেশীয় দোসর আলবদর বাহিনী কর্তৃক অপহৃত হয়েছিলেন।


১৯৭২-এর ৩০ জানুয়ারি জহির রায়হান মিরপুরে গিয়েছিলেন, তার ভাই এবং আলতাফ মাহমুদকে খুঁজতে। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।


আরো কত শত অদ্ভুত ক্ষমতার অধিকারী মানুষের কথা বলা বাকি রয়ে গেল। সবার কথা বলতে গেলে এক মহাকাব্য রচনা হয়ে যাবে জানি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঝাপসা হলেও তাদের অপার্থিব কাজগুলো বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতা ঝলমলে আলোয় আলোকিত করে রেখেছে।


আপনাদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভালোবাসাময় ঝুড়ি নিয়ে অপেক্ষায় থাকি, আপনাদের সঙ্গে দেখা হলে সব সঞ্চিত ভালোবাসাগুলো তুলে দেব সবার হাতে। আপনাদের দ্বারা আলোকিত হই সদা, আপনাদের প্রতি অপার্থিব ভালোবাসা। 

 
Top