❏ প্রশ্ন-৯৩ঃ জামার আস্তিন বা হাতা কনুইর উপরে উঠিয়ে নামায পড়ার হুকুম কী? এতে নামায মাকরূহ হবে কি না?


✍ উত্তরঃ وبالله التوفيق উভয় হাতের কনুইয়ের উপরে আস্তিন উত্তোলন করে নামায পড়া মাকরূহ। যেমন,


 ولو صلّى رافعًا كميه الى المرافقين كره- 


‘কেউ হাতের কনুইয়ের উপরে আস্তিন তুলে নামায পড়লে মাকরূহ হবে।’ 

129. ফতওয়ায়ে কাজী খান, আল-হিন্দীয়া, দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ- নামাযে যেসব কাজ মাকরূহ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৬; আল-বাহরুর রায়েক্ব, অধ্যায়- যে সব কাজসমূহ করলে নামায ভঙ্গ ও মাকরূহ হয়, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৪; রদ্দুল মুহতার, অধ্যায়- নামাযের মাকরূহসমূহ, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৪।


❏ প্রশ্ন-৯৪ঃ হজ্ব মৌসুমে আরাফাতের ময়দানে হানাফী মাযহাবের অনুসারী হাজীদের, মুকীম বা স্থায়ী বাসিন্দা ইমামের পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে কি না?


✍ উত্তরঃ وبه نستعين হানাফী মাযহাব মতে, মুসাফিরের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বের কম হলে নামায কসর পড়া জায়েয নেই। অতএব যে ইমাম মুকীম হওয়া সত্ত্বেও কসর নামায পড়াবে, হানাফি মাযহাব অনুসারী মুকতাদির নামায উক্ত ইমামের পিছনে জায়েয হবে না। 


যেমন, আল্লামা শামী (رحمه الله تعالي ) বলেন,


لو كان مقيمًا كامام مكة صلى بهم صلواة المقيمين لايجوزله القصرو لا للحجاج الاقتداء به . 


আল্লামা শামী বলেন, হজ্ব মৌসুমে মক্কা শরীফের ইমামের মত ইমাম যদি মুকীম হয় তিনি মুক্তাদীদের নিয়ে মুকীমের নামাযই পড়বেন। কছর করা জায়েয হবে না। হাজীদেরও উক্ত ইমামের পিছনে একতেদা সহীহ নহে।’ 

130. রদ্দুল মুহতার, কিতাবুল হজ্ব, খন্ড-২, পৃষ্ঠা- ৫০৫; আল-কবীর, অধ্যায়- মুসাফিরের নামায, পৃষ্ঠা-৫৯১।


ফাত্ওয়ায়ে রহিমিয়ায় আবদুর রহীম লাজপুরী (رحمه الله تعالي ) বলেন, আরাফাত ময়দানে হানাফি ইমাম মুকীম হওয়া সত্ত্বেও যদি নামায কসর পড়ে, তাহলে হানাফি মুকতাদির নামায উক্ত ইমামের পিছনে জায়েয হবে না; মুকতাদি মুসাফির হোক বা মুকীম। 

131. ফতওয়া রহিমীয়া, খন্ড-১, অধ্যায়- মুসাফিরের নামায, পৃষ্ঠা- ১৫৯।


❏ প্রশ্ন-৯৫ঃ ওমরা পালনের উদ্দেশ্যে সাউদি আরবে পনের দিনের ভিসা নিয়ে যারা পবিত্র মক্কা ও মদিনা মুনাওয়ারা গমন করেন, তারা নামায পুরো পড়বেন না কসর পড়বেন?


✍ উত্তরঃ ইকামতের নিয়তের জন্য একই স্থানে পনের দিনের নিয়ত করা জরুরি। প্রশ্নোলি­খিত বিবরণ মোতাবেক তারা বিভিন্ন স্থানে পনের দিন অবস্থান করবেন, তাই তাদের ইকামতের নিয়ত গ্রহণযোগ্য ও শুদ্ধ হবে না। বরং তারা কসর নামাযই আদায় করবে।

দুররুল মুহতারে উল্লেখ আছে,


لودخل الحاج مكة لايام العشر لم تصح نيته لانه يخرج الى منٰى وعرفة فصار كنية الاقامة فى غير موضعها . 


‘যিলহজ্ব মাসের ১ম দশ দিনে কোন হাজী মক্কায় প্রবেশ করলে মুকিমের নিয়ত করা সহীহ হবে না। কেননা সে তো ওইদিনগুলোতেই মিনা আরাফাতে যাবে। সুতরাং সে মুসাফির থাকবে। 

132. ফতওয়ায়ে শামী, কিতাবুল মুসাফির, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১২৬।


হিদায়া গ্রন্থে উল্লেখ আছে,


واذا نوى المسافر ان يقيم بمكة ومنىٰ خمسة عشر يومًا، لم يتم الصلواة لان اعتبار النية فى موضعين يقتضىٰ اعتبارها فى مواضع وهو متمنع ، ومثله فى الهندىة . 


‘কোন মুসাফির যদি মক্কা ও মিনায় পনের দিন অবস্থান করার নিয়ত করে, সে নামায পুরা পড়বে না। কেননা দুই জায়গায় নিয়ত করা মানে বিভিন্ন জায়গার নিয়ত করা যা মুকিম হওয়াকে বাধা সৃষ্টি করে। অর্থাৎ মুকীম হবে না। অনুরূপ ফাতওয়া হিন্দিয়াতে রয়েছে।’ 

133. হিদায়া, কিতাবুল মুসাফির, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১৪৭।

 
Top