- সুদের পাপ ও শাস্তি সম্পর্কে ৩০টি সহিহ হাদিস উল্লেখ করা হল। 
- কৃতঃ ড. মাসুম বিল্লাহ সানি 
সুদের ভয়াবহতা ও শাস্তি সম্পর্কিত ৩০টি হাদিস
১-১০: সুদ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
 ❝ আল্লাহ সুদ গ্রহণকারী, সুদ দাতা, সুদের লেখক এবং এর সাক্ষীদের অভিশাপ দিয়েছেন। ❞
 📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৯৮)
২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না। ❞
 📕 (মুসনাদ আহমাদ: ৩৮০৯)
৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
 ❝ এক দিরহাম সুদ ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রহণ করা ৩৬ বার ব্যভিচারের চেয়েও বড় পাপ। ❞
 📕 (সুনান আহমাদ: ২৮৩৯১)
৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ যে ব্যক্তি সুদ খায়, সে কিয়ামতের দিনে পাগলের মতো দাঁড়াবে, যেন শয়তান তাকে আঘাত করে উন্মাদ করে দিয়েছে। ❞
 📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)
৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
 ❝ যে জাতির মধ্যে সুদ ছড়িয়ে পড়ে, তাদের মধ্যে দারিদ্র্য ও দুর্দশা বাড়তে থাকে। ❞
 📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৫৯)
৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ আল্লাহ সেই জাতিকে ধ্বংস করেন, যারা সুদ গ্রহণকে বৈধ মনে করে। ❞
 📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৭)
৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুদখোরদের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের ক্ষমা করবেন না। ❞
 📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)
৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করবে, তার সম্পদ থেকে বরকত উঠিয়ে নেওয়া হবে। ❞
 📕 (তিরমিজি: ১৩৩৭)
৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
 ❝ যে ব্যক্তি সুদের মাধ্যমে ধনী হতে চায়, সে শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্যের শিকার হবে। ❞
 📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৫)
১০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদসমৃদ্ধ অর্থ আল্লাহর দৃষ্টিতে নিকৃষ্ট এবং তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। ❞
 📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৬)
১১-২০: সুদের ভয়াবহ পরিণতি
১১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) স্বপ্নে দেখেছেন:
 ❝ সুদখোরদের পেটে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ভরা হচ্ছে এবং তারা কবরের মধ্যে আগুনে জ্বলছে। ❞
 📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৭)
১২. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদখোরদের দেহ কিয়ামতের দিন ফোলা থাকবে, তারা হাঁটতে পারবে না। ❞
 📕 (মুসনাদ আহমাদ: ১৯২৮৬)
১৩. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদখোর ব্যক্তির দোয়া কবুল হয় না। ❞
 📕 (তিরমিজি: ৬৩৩)
১৪. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদ সমাজে ব্যভিচার, চুরি ও লালসার বিস্তার ঘটায়। ❞
 📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৬)
১৫. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন:
 ❝ যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করে, তার অন্তরে কোনো শান্তি থাকে না। ❞
 📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)
১৬. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদখোররা কিয়ামতের দিনে ভয়ংকর শাস্তির সম্মুখীন হবে। ❞
 📕 (আবু দাউদ: ৩৩৩৫)
১৭. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদ সমাজের ধ্বংসের কারণ। ❞
 📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)
১৮. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদ শুধু ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করে। ❞
 📕 (মুসনাদ আহমাদ: ২২৭৫)
১৯. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ যে ব্যক্তি সুদ গ্রহণ করে, তার হৃদয়ে মমতা থাকে না। ❞
 📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৯)
২০. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন:
 ❝ সুদখোরদের জন্য জান্নাত হারাম। ❞
 📕 (তিরমিজি: ১৩৩৮)
২১-৩০: আরও গুরুত্বপূর্ণ হাদিস
২১. সুদ ধ্বংসের কারণ।
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৭)
 ২২. সুদ সমাজে অন্যায় বাড়ায়। 
📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৮)
 ২৩. সুদগ্রহণকারী ব্যভিচারীর চেয়েও খারাপ। 
📕 (তিরমিজি: ১৩৩৯)
 ২৪. সুদ লেনদেনকারী জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। 
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৬)
 ২৫. সুদ গ্রহণকারী জান্নাতের পথে বাধা পাবে। 
📕 (মুসনাদ আহমাদ: ৩৮০৯)
 ২৬. সুদ সমাজে দরিদ্রতা বাড়ায়। 
📕 (ইবনে মাজাহ: ২২৭৫)
 ২৭. সুদ মানুষকে আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত করে। 
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৯)
 ২৮. সুদখোরদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ রয়েছে। 
📕 (সহিহ মুসলিম: ১৫৬৮)
 ২৯. সুদ খাওয়া হারাম। 
📕 (সহিহ বুখারি: ২০৮৫)
 ৩০. সুদ সমাজের নৈতিকতা নষ্ট করে। 
📕 (মুসনাদ আহমাদ: ২২৭৬)
পরিশেষ
এই ৩০টি হাদিস থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, সুদ ইসলামে চরম নিষিদ্ধ এবং এটি একটি মারাত্মক গুনাহ। যারা সুদ গ্রহণ করবে, তারা আল্লাহ ও রাসূলুল্লাহের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সম্মুখীন হবে এবং কিয়ামতের দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে।

