★ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

اجْتَنِبُوا السَّبْعَ المُوبِقَاتِ قَالُوْا وَمَاهِيَ؟ قَالَ الإشْرَاكُ بِاللهِ وَالسِّحْرِ

‘সাতটি ধ্বংসাত্মক বস্তু থেকে বেঁচে থাক, সাহাবারা জিজ্ঞাসা করলেন সে গুলো কি? তিনি বললেন: আল্লাহর সাথে শরীক করা এবং যাদু…..’ [বুখারী, মুসলিম]

★ যাদু-টোনা কুফর :-

আল্লাহ সুবহানু তা’লা পবিত্র কুর’আন শরিফে ইরশাদ করেন:

وَلَكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ ﴿১০২﴾ سورة البقرة

‘বরং শয়তানরাই কুফুরী করেছিল, তারা মানুষকে যাদু-বিদ্যা শিক্ষা দিত’[সুরা বাকরাঃ ১০২]

এতে গায়েবী এলেম ও তাতে আল্লাহর সাথে শরীক হবার দাবী করা হয়, যা মূলত: কুফুরী ও ভ্রষ্টতা।

★ আল্লাহ তাআলা বলেন:

وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآَخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ﴿১০২﴾ سورة البقرة ‘

এবং তারা অবশ্যই জানে যে, যে কেউ তা খরিদ করে (অর্থাৎ যাদুর আশ্রয় নেয়) তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই’ [সুরা বাকরাঃ ১০২]


ভাগ্য গণনা ও দৈব কর্ম: এ উভয় ক্ষেত্রে গায়েবী এলেম ও অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানার দাবী করা হয়। যেমন ভবিষ্যতে পৃথিবীতে কি হবে এবং কি ফলাফল অর্জিত হবে, হারানো বস’র প্রাপ্তিস্থান কোথায় প্রভৃতি সম্পর্কে খবর দেয়া, যা তারা শয়তানদের মাধ্যমে জেনে থাকে। আর শয়তানরা চুরি করে শোনার মাধ্যমে আসমান থেকে এসব সংবাদ সংগ্রহ করে থাকে।

★ আল্লাহ সুভহানাহু তা’লা পবিত্র কুর’আন শরিফে ইরশাদ করেন:

هَلْ أُنَبِّئُكُمْ عَلَى مَنْ تَنَزَّلُ الشَّيَاطِينُ ﴿২২১﴾ تَنَزَّلُ عَلَى كُلِّ أَفَّاكٍ أَثِيمٍ ﴿২২২﴾ يُلْقُونَ السَّمْعَ وَأَكْثَرُهُمْ كَاذِبُونَ ﴿২২৩﴾ سورة الشعراء

‘আমি আপনিকে বলব কি, কার নিকট শয়তানরা অবতরণ করে? তারা অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক মিথ্যাবাদী, গুনাহ্‌গারের উপর। তারা শ্রুত কথা এনে দেয় এবং তাদের অধিকাংশই মিথ্যাবাদী. [’সুরা আশ-শু’আরাঃ ২২১-২২৩]

★ আবু হোরায়রা রাদি আল্লাহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:

مَنْ أتَى كَاهِناً فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُوْلُ فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أنْرِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيهِ وَسَلَّمَ ‘

যে ব্যক্তি কোন দৈবজ্ঞ ও ভাগ্য গণনাকারীর কাছে আসে এবং সে যা বলে তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি অবতীর্ণ সত্যের প্রতি কুফুরী করল’ [আবু দাউদ]

 
Top