এই পর্বে সহিহ সিত্তাহ থেকে দাড়ি রাখার ব্যাপারে হাদিসগুলো পেশ করছি :


```````` বুখারী শরীফ```````


★★★ দাড়ি লম্বা করা গোফ ছোট করার আদেশ :

সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৭৩ মুহাম্মদ (রহঃ) ইবনুূু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম না বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ বেশী ছোট করবে এবং দাড়ি বড় রাখবে।


★★★ দাড়ি ছাটার নিয়ম :


সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৭২ মুহাম্মদ ইবনুূু মিনহাল (রহঃ) ইবনুূু উমর (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবে: দাড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনুূু উমর (রাঃ) যখন হাজ্জে (হজ্জ) বা উমরা করতেন, তখন তিনি তার দাঁড়ি খাট করে ধরতেন এবং মুষ্টের বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত তা কেটে ফেলতেন।


★★★ রাসুলুল্লাহ (সা) এর দাড়ি মোবারক :


★ সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৭৫ সুলায়মান ইবনুূু হারব (রহঃ) সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিযাব লাগান সম্পর্কে জিজাসা করা হলা তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিযাব লাগাবার অবস্থা পর্যন্ত পৌছেননি। আমি যদি তার সাদা দাড়িগুলো গুণতে চাইতাম, তবে সহজেই গুণতে পারতাম।

★ সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৭৯ ইসমাঈল (রহঃ) আনাস ইবনুূু মালিক (রহঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরিক্ত লম্বা ছিলেন না খাটও ছিলেন না। ধবধবে সাদা ছিলেন না, আর না ফ্যাকাশে সাদা ছিলেন। চুল অতিশয় কোকড়ানও ছিল না, আর সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাকে নবুয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় দশ বছর এবং মদিনায় দশ বছর অবস্থান করেন। ষাট বছর বয়সে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেন। এ সময় তার মাথায় ও দাড়িতে বিশটি চুলও সাদা হয়নি।

★ সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৯৯ ইসহাক ইবনুূু নাসুর (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যত উত্তম খোশবু পেতাম, তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লাগিয়ে দিতাম। এমনি কি সে খোশবুর চমক তার মাথায় ও দাড়িতে দেখতে পেতাম।


★★★ দাড়ি রঙিন করার বিধান :


সহীহ বুখারি (ইফা) এর ৬৪/ পোষাক-পরিচ্ছদ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৪৭৮ ছমায়দী (রহঃ) আবূ ছুলায়সা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহুদ ও নাসারারা (চুল ও দাড়িতে) রং লাগায় না। সুতরাং তোমরা তাদের বিপরীত করবে।



``````` সহিহ মুসলিম ```````



★★★ দাড়ি বাড়ানোর আদেশ :



সহীহ মুসলিম এর ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৯১ মুহাম্মাদ ইবনুূুল মূসান্না (রহঃ) ইবনুূু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।


সহীহ মুসলিম এর ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৯২ কুতায়বা ইবনুূু সাঈদ (রহঃ) ইবনুূু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোঁফ ছাটতে এবং দাড়ি লন্বা করতে নির্দেশ দিয়েছে।


সহীহ মুসলিম এর ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৯৩ সাহল ইবনুূু উসমান (রহঃ) ইবনুূু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সা) বলেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর- গোফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর।


সহীহ মুসলিম এর ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৯৪ আবূবকর ইবনুূু ইসহাক (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর-(এভাবেই) তোমরা অগ্নি পুজকদের বিরুদ্ধাচরণ কর।


সহীহ মুসলিম এর ২/ তাহারাত (পবিত্রতা) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৯৫ কুতায়বা ইবনুূু সাঈদ, আবূ বকর ইবনুূু আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনুূু হারব (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দশটি কাজ ফিতরাতের অন্তভুক্ত- গোঁফ খাটো করা, দাড়ি লম্বা করা, মিসওয়াক করা, নাকে পানি দেয়া, নখ কাটা, নাক কানের ছিদ্র এবং আঙ্গুলের গিরাসমুহ ধোয়া, বগলের পশম উপড়ে ফেলা, নাড়ির নিচের পশম কাটা এবং পানি দ্বারা ইসতিনজা করা। হাদীসের রাবী মুস’আব বলেন, দশম কাজটির কথা আমি ভুলে গিয়েছি। সম্ভবত সেটি হবে কুলি করা। এ হাদীসের বর্ণনায় কুতায়বা আরো একটি বাক্য বাড়ান যে, ওয়াকী বলেন, অর্থ ইসতিনজা করা।



★★★ রাসুলুল্লাহ (সা) এর দাড়ি মোবারক ও দাড়িতে খেযাব (রং) ব্যবহার :


সহীহ মুসলিম এর ৪৪/ ফযীলত অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৮৬৫। মুহাম্মাদ ইবনুূু বাককার ইবনুূু রায়য়্যান (রহঃ) ইবনুূু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আনাস ইবনুূু মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞাস করলাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি খেযাব ব্যবহার করেছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন (তিনি) রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেযাব ব্যবহারের সময়ে পৌছোনি। অতঃপর তিনি বললেন, তাঁর দাড়িতে কিছু লে সাদা ছিল। রাবী বললেন, আমি তাকে আনাস(রাঃ)-কে,-বললাম, আবূ বকর (রাঃ) কি খেযাব ব্যবহার করেছিলেন? উত্তরে তিনি বললেন, হ্যা, মেহদী ও নীলের দ্বারা।



সহীহ মুসলিম এর ৪৪/ ফযীলত অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৮৭৯। ইয়াহইয়া ইবনুূু ইয়াহইয়া (রহঃ) আনাস ইবনুূু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি লম্বাও ছিলেন না বা বেশি খাটোও ছিলেন না। একেবারে সাদাও ছিলেন না এবং অতিরিক্ত ফর্সাও ছিলেন না। তার চুল অতিরিক্ত কোকড়ানোও ছিলো না এবং একেবারে সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাআলা তাঁকে নুবুওয়াত দান করেন। এরপর তিনি মক্কায় দশ বছর অবস্হান করেন এবং মদিনায় দশ বছর। ষাট বছরের মাথায় আল্লাহ তা আলা তাঁকে ওফাত দান করেন। এ সময় তার মাথায় ও দাড়িতে বিশটি চুলও সাদা ছিল না।




`````` সুনানে নাসাঈ ```````


★★★ দাড়ি লম্ব রাখা :



সুনানে নাসাঈ এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৫। উবায়দুল্লাহ ইবনুূু সাঈদ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনুূু উমর (রাঃ) সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন : তোমরা গোঁফ খাট কর এবং দাড়ি বর্ধিত কর।
সহিহ, ইবনুূু মাজাহ হাঃ ২৯৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৫০৬


★★★ দাড়ি উপরে না ফেলা :


সুনানে নাসাঈ এর ১৬/ জানাযা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৮৬৪। আমর ইবনুূ আলী (রহঃ) সাফওয়ান ইবনুূ মুহরিয (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ মুসা (রাঃ) বেহুশ হয়ে গেলে তার জন্য সবাই ক্রন্দন করতে লাগলেন। তখন তিনি বললেন- আমি তোমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলছি, যেরুপ ভাবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের কাছে থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করে ফেলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঐ ব্যক্তি আমার উষ্মতের অন্তভুক্ত নয়, যে বিপদে দাড়ি উপড়ে ফেলে, আচল ছিড়ে ফেলে এবং সজোরে ক্রন্দন করতে থাকে।


সুনানে নাসাঈ এর ১৬/ জানাযা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৮৬৬। আহমাদ ইবনুূ উসমান (রহঃ) আব্দুর রহমান ইবনুূ ইয়াযীদ এবং আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তারা বলেন, যখন আবূ মুসা (রাঃ)-এর অসুখ বেড়ে গেল এবং তিনি বেহুশ হয়ে পড়লেন। তার স্ত্রী সজোরে চিৎকার করতে করতে আসলেন। তারা বলেন, তার চেতনা ফিরে আসলে তিনি বললেনঃ আমি কি -তোমাকেও সংবাদ দেইনি যে, আমি ঐ নারীর সাথে সম্পর্ক ছেদ করব, যার সাখে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কছেদ করেছেন। তারা বলেন, তিনি তার স্ত্রীর সামনে বর্ণনা করলেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন যে, আমি ঐ ব্যক্তি সাথে সস্পর্কছেদ করছি যে, দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলে, আচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সজোরে চিৎকার করে।



সুনানে নাসাঈ এর ১৬/ জানাযা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৮৬৮। মুহাম্মাদ ইবনুূ মুসান্না (রহঃ) আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার বেহুশ হয়ে গেলে তার এক বাঁদী ক্রন্দন করলেন। যখন তার চেতনা ফিরে আসল তখন তিনি তাকে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা বলেছেন তার সংবাদ কি তোমার কাছে পৌছেনি? আমরা তার কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে সজোরে চিৎকার করে, দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলে এবং আচল ছিড়ে ফেলে।


সুনানে নাসাঈ এর ১৬/ জানাযা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৮৬৯। আবদাহ ইবনুূ আব্দুল্লাহ (রহঃ) আবূ মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তভুক্ত নয়, যে মাথার চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে সজোরে চিৎকার করে এবং আচল ছিড়ে ফেলে।

সুনানে নাসাঈ এর ১৬/ জানাযা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৮৭০। হান্নাদ (রহঃ) কারছা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আবূ মুসা (রাঃ)-এর অসুখ বেড়ে গেল, তার স্ত্রী সজোরে চিৎকার করতে লাগলেন। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যা বলেছেন, কি তোমার জানা নেই? তিনি বললেন, হ্যাঁ জানা কাছে। অতঃপর চুপ হয়ে গেলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হল, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কি বলেছিলেন, তিনি বললেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অভিশাপ দিয়েছেন ঐ ব্যক্তিকে যে মাথার চুল বা দাড়ি উপড়ে ফেলে, সজোরে চিৎকার অথবা আচল ছিড়ে ফেলে।





`````` সুনানে ইবনে মাজাহ `````


★★★ দাড়ি বাড়ানো :



সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ২৯৩। আয়িশাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: দশটি জিনিস ফিতরাত বা স্বভাবজাত। মোচ কাটা, দাড়ি বাড়ানো, মিসওয়াক করা, নাকের ছিদ্র পানি দিয়ে পরিষ্কার করা, নখ কাটা, আঙ্গুলের সংযোগ স্থলের ময়লা ধুয়ে ফেলা, বগলের লোম উপড়ে ফেলা, নাভিড় নিচের লোম পরিষ্কার করা ও পানি দিয়ে শৌচ করা। যাকারিয়া (রহঃ) বলেন, মুসআব (রহঃ) বলেছেন, আমি দশম জিনিসের কথা ভুলে গেছি, সেটি হয়তো কুলি করা। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ২৭৫৭, নাসায়ী ৫০৪০, আবূ দাঊদ ৫৩, আহমাদ ২৪৫৩৯।


★★★ দাড়ি খিলাল করা :


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪২৯। আম্মার ইবনুূু ইয়াসির থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তাঁর দাড়ি খিলাল করতে দেখেছি। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ২৯, সহীহ।


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৩০। উসমান থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর দাড়ি খিলাল করলেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: তিরমিযী ৩১, দারিমী ৭০৪। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৯৮।


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৩১। আনাস ইবনুূু মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন, তখন তাঁর দাড়ি খিলাল করতেন এবং তাঁর আঙ্গুলের ফাঁকসমূহও দুবার খিলাল করতেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আবূ দাঊদ ১৪৫ তাহক্বীক্ব আলবানী: দুবার শব্দ ছাড়া সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ ইরওয়া ৯২, সহীহ আবূ দাউদ ১৩৩।


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৩২। ইবনুূু উমার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন, তখন তাঁর কপালের দুপাশ আস্তে আস্তে মলতেন। অতঃপর তিনি তাঁর আঙ্গুল দিয়ে নিচের দিক থেকে তাঁর দাড়ি খিলাল করতেন। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ। তাখরীজ আলবানী:


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ২/ পবিত্রতা ও তার সুন্নাতসমূহ অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৪৩৩। আইয়ূব আল-আনসারী থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করার সময় তাঁর দাড়ি খিলাল করতে দেখেছি। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: নাই তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: জামি সগীর ৪৩৬৩ যঈফ।


সুনানে ইবনে মাজাহ এর ৬/ সলাত কায়িম করা ও নিয়ম-কানুন অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৮২৬। আবূ মামার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি খাববাব -কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যোহর ও আসর সালাতের কিরাআত কিসের মাধ্যমে বুঝতেন? তিনি বলেন, তাঁর দাড়ি নড়াচড়ার মাধ্যমে। তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: বুখারী ৭৪৬, ৭৬০-৬১, ৭৭৭; আবূ দাঊদ ৮০১, আহমাদ ২০৫৫২, ২০৫৭৩, ২৬৬৭৩। তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ৭৬৪।




`````` আবু দাঊদ শরীফ``````



সুনানে আবু দাউদ এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৫৩। ইয়াহ্ইয়া ইবনুূু মুঈন-- আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেছেন, রাসুলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ দশটি কাজ স্বভাবজাত; ১। গোঁফ ছোট করা, ২। দাড়ি লম্বা করা, ৩। মেস্ওয়াক করা! ৪। নাকের ছিদ্রে পানি প্রবেশ করান, ৫। নখ কাটা, ৬। উযূ (ওজু/অজু/অযু)-গোসলের সময় আংগুলের গিরা ও জোড়সমূহ ধৌত করা, ৭। বগলের পশম পরিষ্কার করা, ৮। নাভিড় নীচের লোম পরিস্কার করা, ৯। পানির দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা। রাবী যাকারিয়া বলেন, হযরত মূসআব বলেছেন, আমি দশম নম্বরটি ভুলে গিয়েছি; তবে সম্ভবত তা হল কুলকুচা করা।


★★★ অন্যান্য হাদিস যেখানে রাসুল (সা) ও সাহাবীগনের দাড়ি শব্দটির উল্লেখ আছে :


সুনানে আবু দাউদ এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৩৯। হুমায়েদ ইবনুূু মাসআদা তাল্হা (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা এবং পিতামহের সূত্রে বর্ণিত,
.......... তাঁর (রাসুলের) চেহারা ও দাড়ি দিয়ে গড়িয়ে সিনার (বুকের) উপর পড়ছিল।



সুনানে আবু দাউদ এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ১৪৫। আবূ তাওবা রুবাই ইবনুূু নাফে আনাস ইবনুূু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন, তখন তিনি এক কোশ পানি হাতে নিয়ে থুতনির নীচে দিয়ে তা দ্বারা দাড়ি খেলাল করতেন। তিনি আরো বলেনঃ আমার প্রতিপালক আমাকে এরূপ করার নির্দেশ দিয়েছেন।


সুনানে আবু দাউদ এর ২/ সালাত (নামায) অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৮০১। মূসা’দ্দাদ আবূ মামার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা খাব্বাব (রাঃ) -কে জিজ্ঞেস করি যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুহর ও আসরের নামাযে কিরাআত পাঠ করতেন কি? তিনি বলেন- হাঁ, পাঠ করতেন। আমরা তাকে পুনরায় জিজ্ঞেস করি- আপনারা কিরূপে তা অবগত হতেন? তিনি বলেন, আমরা তাঁর দাড়ি মোবারক আন্দোলিত হতে দেখতাম- (বুখারী, নাসাঈ ইবনুূু মাজাহ)।



`````` জামে তিরমিজি ``````


★★★ দাড়ি খিলাল করা :



জামে তিরমিজী এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ২৯ ইবনুূু আবী উমর (রহঃ) হাসসান ইবনুূু মালিক (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, আম্মার ইবনুূু ইয়াসির রাদিয়াল্লাহু আনহ কে দেখলাম তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করছেন। সে সময় তিনি দাড়ি খিলাল করলেন। আমি তাঁকে বললাম (বর্ণনান্তরে তাঁকে বলা হল), আপনি দাড়ি খিলাল করছেন? তিনি বললেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি দাড়ি খিলাল করতে দেখেছি। সূতরাং আমি তা থেকে বিরত থাকব কেন? (মাকতাবাতুশ শামেলায় এই হাদীসে নাম্বার দেয়া নাই)


জামে তিরমিজী এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৩০ ইবনুূু আবী ওমর (রহঃ) সুফইয়ান সাঈদ ইবনুূু আবী আরুবা কাতাদা হাসসান ইবনুূু বিলাল (রহঃ) সূত্রেও হাদিসটির অনূরূপ রিওয়াত করেছেন। (وقال محمد بن اسماعيل عامدا عاد (>>এবারতটুকু শামেলায় নাই তবে তিরমিযীতে আছে) আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই বিষয়ে উছমান, আয়িশা, উম্মু ছালাম, আনাস ইবনুূু আবী আওফা ও আবূ আয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন ইসহাক ইবনুূু মানসুর (রহঃ) ইবনুূু উয়ায়না রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন হাসসান ইবনুূু বিলাল থেকে আবদুল করীম (রহঃ) খিলাল সম্পর্কিত হাদিসটি শুনেননি। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনুূু ইসমাঈ বুখারী রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন,এই বিষয়ে বর্ণিত হাদিস সমূহের মধ্যে আমির ইবনুূু শাকীক-আব্রূয়াইল-উছমান রাদিয়াল্লাহু আনহ সূত্রে বর্ণিত হাদিসটিসবচেয়ে সহীহ। ইমাম আবী ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, সাহাবী ও পরবর্তীযুগের অধিকাংশ আলিম দাড়ি খিলালের বিধান দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈও এই অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। ইমাম আহমদ বলেন কেউ যদি দাড়ি খিলাল ভুলে যায় তবে তাতে অসুবিধা নেই, তা যায়েয। ইমাম ইসহাক বলেন, কেউ যদি ভুলে বা কোন ব্যাখার প্রেক্ষেতে তা ছেড়ে দেয় তবে তাতে উযূ (ওজু/অজু/অযু) হয়ে যাবে। কিন্তু স্বেচ্ছায় যদি তা পরিত্যাগ করে তবে পুনারায় উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে হবে।


জামে তিরমিজী এর ১/ পবিত্রতা অধ্যায় হতে হাদিসের মানঃ - ৩১ ইয়হইয়া ইবনুূু মূসা (রহঃ) উছামাম উব্ন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দাড়ি খিলাল করতেন।

 
Top