রাসুল (স) বলেছেন যে ব্যক্তি দৈনিক একশত বার
বলে "সুবহানআল্লাহ হি ওয়াবিহামদিহি"তা
হলে তার পাপ সমুহ মুছে ফেলা হয় যদিও তা
সাগরের ফেনা রাশির মত হয়। (বুখারি)

রাসুল (স) বলেন, যে ব্যক্তি "লা ইলাহা
ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারিকালাহু লাহুল
মুলকু ওয়ালাহুল হামদ ওয়াহুয়া আলা কুল্লি
শাইইন ক্বাদির" প্রতিদিন ১০ বার করে পাঠ
করবে তাহলে এটি তার জন্য এমন হবে যে
সে ইসমাইলের সন্তানদের চারজন কে
দাসত্ব থেকে মুক্ত করল। (বুখারি)

রাসুল (স) বলেছেন,দুটি বাক্য এমন আছে যা
জবানে সহজ মিজানের পাল্লায় ভারি
এবং তা দয়াময় আল্লাহর নিকটে অতি
প্রিয়, তা হচ্ছে "সুবহানাল্লাহি
ওয়াবিহামদি, সুবহানাল্লাহিল আযিম "।
(বুখারি ও মুসলিম)

রাসুল (স) বলেন,
"সুবহানআল্লাহ,
আলহামদুলিল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,
আল্লাহু আকবার এই চারটি বাক্য সুর্য যার
উপর উদিত হয় তাদের সবকিছুর চেয়ে
এগুলো বলা প্রিয় আমার কাছে। (মুসলিম)

রাসুল (স) বললেন,এই তোমাদের কেউ
একহাজার সাওয়াব প্রতিদিন কে অর্জন
করতে সক্ষম?
সাহাবারা বলল কেউ কি এটা পারে?
রাসুল (স) বললেন,যে ব্যক্তি ১০০ বার
"সুবহানআল্লাহ" বলবে তার জন্য এক হাজার
নেকি লেখা হবে অথবা
এক হাজার পাপ মোচন করা হবে। (মুসলিম)
রাসুল (স) বলেন,যে ব্যক্তি
বলবে,"সুবহানআল্লাহিল আযিম
ওয়াবিহামদিহি "তার জন্য জান্নাতে একটি
গাছ রোপন করা হবে। (তিরমিযি)

রাসুল (স) একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে কায়েস
(রা) কে বললেন আমি কি তোমাকে
জান্নাতের একটি রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে
অবহিত করবনা? তা হচ্ছে
"লা হাওলা
ওয়া লা কুওয়াতা।" (বুখারি)

এ ছাড়াও আয়াতুল কুরসি পাঠ করতে
পারেন নামাজ এর পর তাহলে আপনার আর
জান্নাতের
মধ্যে অন্তরাল শুধু মরন অর্থাৎ মরলেই
জান্নাতি।

সকাল সন্ধায় তিনবার করে ইখলাছ ফালাক
নাস পড়তে পারেন।

★ রাতে আয়াতুল কুরসি
পাঠ করে নিন তাহলে একজন ফেরেশতা
আপনার রক্ষক হিসেবে কাজ করবে। শয়তান
তখন ক্ষতি
করতে পারবেনা আপনার। এ ছাড়াও কোন
জায়গা বা স্থান বা বাড়িতে গিয়ে ভয়
লাগলে বলুন-
" আউজু বি কালিমাতিল্লাহিত
তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাকা "
বললে আপনি ওই স্থান যতক্ষন পর্যন্ত ত্যাগ করবেন
না ততক্ষন শয়তান/জিন আপনার ক্ষতি করতে
পারবেনা।
কোন অস্বস্তিকর স্বপ্ন বা
ভয়ের স্বপ্ন দেখলে-
" আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রাজিম "
বলুন ও বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করুন এবং
পাশ পরিবর্ত্ন করে ঘুমান

 
Top