===========================
[আল-আজহার, মিশর থেকে সায়ীদ মুহাম্মদ হাসান]



আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান
বেরলভী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এমন একটি নাম
যাঁকে নিয়ে গবেষণায় রত বিশ্বের নামীদামী অসংখ্য
বিশ্ববিদ্যালয়। তারই ধারাবাহিকতায় মিশরের
দুনিয়াখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য
আলেমগণও এ মহান ব্যক্তিকে নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। মিশরের
আলেম ওলামাদের মধ্যে ডক্টর খালিদ সাবেত অন্যতম।
তিনি ৫০ টিরও বেশী গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেছেন।
অনেক কিতাব আবার কয়েক খন্ডে বিভক্ত।
মজার কাহিনী হলো ডক্টর খালিদ সাবেত তাবলীগ করতেন।
আর সেই কারণে তিনি ভারতে গিয়েছিলেন তাবলীগের
চিল্লায় অংশগ্রহণ করতে। সেখানে গিয়েই জানতে পারলেন
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বেদাতীর (!) নাম হলো আহমদ রেযা।
যিনি কথায় কথায় কাফের ফাতওয়া দিতেন।
তিনি তাবলিগি জামাতের মতে (দেওবন্দি ওলামাদের মতে)
মুশরিক, এবং আরো কত কী! তাঁর মাজার ভারতে বিদ্যমান।
ডক্টর মহোদয় এই কথাগুলো শুনে আলা হযরত (রহঃ) কে খুব
খারাপ মনে করতে লাগলেন এবং ধিক্কার দিলেন। আর
ভাবতে লাগলেন কীভাবে একটু কাছ থেকে ওই আহমদ রেযার
(র) এর হাকিকাত জানা যায়! তাই তিনি গোপনে ইমাম
আলা হযরত (র) এর মাজার দেখতে গেলেন। আর আলা হযরতের
লিখিত বই পড়তে লাগলেন। দেখেই হতভম্ব হলেন ভিবিন্ন
ভাষায় লিখিত ১৫০০ এরও উপরে কিতাব যা সম্পূর্ণ কোরআন-
সুন্নাহর আলোকে। উনি উনার ভুল বুঝতে পেরে কাঁন্নায়
ভেঙ্গে পড়লেন। তাবলীগ জামাত ত্যাগ করে ফেললেন।
পরে মিশরে এসে আলা হযরতের হাকিকাত প্রকাশ করার
উদ্দেশ্যে, আলা হযরত বিরোধীদের দাঁতভাঙ্গা উত্তর
দিয়ে “ইনসাফুল ইমাম” নামে একটি বই লিখে ফেললেন। এই
বইটি ব্যাপক ভাবে পরিচিতি পেয়েছে গোটা আরব বিশ্বে।
বালাকোটি-রাজারবাগী-দেওবন্দি গংদের উদ্দেশ্যেঃ
—————————————————-
আপানারা এই মহান আশেকে রাসুল (দঃ) এবং মুজাদ্দিদের
অন্ধ সমালোচনা না করে তাঁর লিখিত কিতাবাদি পড়ুন।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনারাও ডঃ খালিদ
সাবিতের মতো কান্নায় ভেংগে পড়বেন
এবং আহাজারি করে মহান গাফুরুর রাহীমের কাছে এবং এই
মুজাদ্দিদের কাছে ক্ষমা চাইবেন। কারণ আপনারা যা করছেন
তা কেবল শুনে এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞতা থেকে। আপনাদের কেউই
তাঁর একটি কিতাবও পড়েন নি। আল্লাহ
আপনাদেরকে সুমতি দান করুণ। আমীন!
[বি:দ্র: বইটি কারো প্রয়োজন হলে সায়ীদ হাসান ( https://
http://www.facebook.com/md.hasansaha?fref=photo ) এর
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।



আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা (রহঃ) অসংখ্য বিষয়ের উপর
১৫০০ এরও অধিক কিতাব রচনা করেছেন।
তম্মধ্যে উলুমে হাদিসের একটি অধ্যায় “দায়ীফ হাদিসের
হুকুমের” উপর একটি কিতাব লিখেছেন। বইটির নাম দিয়েছেন
“আল হাদিল কাফ ফি হুকমুত দিয়াফ”। এই বইটি মিশর
থেকে ছাপানো হয়।
আর এই গুরুত্বপূর্ণ কিতাবটি হাদিস শাস্ত্রে গবেষণারত
ছাত্রদের মধ্যে খুব জনপ্রিয় এবং পরিচিত। ইন্ডিয়ান
ছাত্রদের পক্ষ থেকে এই বইটি উপহার দেওয়া হয় ডক্টর মুহাম্মদ
ইমারাহ কে।
ডক্টর মুহাম্মদ ইমারাহ হলেন আল-আজহার ইউনিভার্সিটির
একমাত্র মাসিক পত্রিকা “আল-আজহার” ম্যাগাজিনের
সম্পাদক এবং আল-আজহারের কিবারুল উলামাদের
মধ্যে হাদিস শাস্ত্রের একজন পন্ডিত হিসেবে প্রসিদ্ধ।
তিনি আলা হযরতের বইটি পড়ে মন্তব্য করেনঃ
“আরব বিশ্বে হাদিস শাস্ত্রের শ্রেষ্ঠ আলেম হলেন
আল্লামা জালাল উদ্দিন সুয়ুতী (রহঃ)। যদি তাঁর
সাথে কারো তুলনা হয় তিনি হলেন ইমাম আহমদ রেযা খান
বেরেলভী (রহঃ)। আরব বিশ্বে জালাল উদ্দিন সুয়ুতী( র) আর
আরব বিশ্বের বাইরে ইমাম আহমদ রেযা (র) সঠিক ইসলামের
খিদমতে করে গেছেন।”
বালাকোটি-রাজারবাগী-দেওবন্দি গংদের উদ্দেশ্যেঃ
—————————————————-
আপানারা এই মহান আশেকে রাসুল (দঃ) এবং মুজাদ্দিদের
অন্ধ সমালোচনা না করে তাঁর লিখিত কিতাবাদি পড়ুন।
আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, আপনারাও ডঃ খালিদ
সাবিতের মতো কান্নায় ভেংগে পড়বেন
এবং আহাজারি করে মহান গাফুরুর রাহীমের কাছে এবং এই
মুজাদ্দিদের কাছে ক্ষমা চাইবেন। কারণ আপনারা যা করছেন
তা কেবল শুনে এবং সম্পূর্ণ অজ্ঞতা থেকে। আপনাদের কেউই
তাঁর একটি কিতাবও পড়েন নি। আল্লাহ
আপনাদেরকে সুমতি দান করুণ। আমীন!
[বি:দ্র: বইটি কারো প্রয়োজন হলে সায়ীদ মুহাম্মদ হাসান
( https://www.facebook.com/md.hasansaha?fref=photo ) এর
সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।



আপনারা যে 2 টি বইয়ের ছবি দেখতে পাচ্ছেন তা হল
আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান বেরলভী (র)এর লিখিত
বই.একটি হল রাসুলুল্লাহ (দ) এর ইলমে গায়েবের উপর,
আরেকটি হল রাসুলুল্লাহ (দ) এর মা বাবার বিষয় এ
আহলে সুন্নাতের আকিদা. এই দুইটি বই মিশর থেকেই
ছাপানো হয়েছে. এইভাবে আলা হযরতের লিখিত আকিদা,
তাওহিদসহ বিভিন্ন বিষয় এ 30 টির উপরে বই মিশরের
বিখ্যাত লাইব্রেরী গুলো থেকে বের করা হয়েছে, আরো বই
বের হওয়ার পথে.
যেসব লাইব্রেরী থেকে আলা হযরতের বই বের
হয়েছে তম্মধ্যে “মাকতাবাতুত তাওফীকিয়াহ, মাকতাবাতু
উম্মুল কোরা,মাজাল্লাদুল আরাবিয়াহ,দারু জাওামীউল
কালিম,দারুল বায়ান আল আরাবি, আল মুকাত্তাম” এইসব
লাইব্রেরী এর নাম অন্যতম. এ ছাড়াও
আরো কয়েকটি লাইব্রেরী থেকে আলা হযরতের বই
ছাপানো হয়েছে.
আরো মজার বিষয় হলো, মিশরে তাসাউফ প্রচারের জন্য
একটি ইউনিভার্সিটি আছে যার নাম হল তাসাউফ
ইউনিভার্সিটি. এটার প্রতিস্ঠাতা হল ইমাম সায়ীদ মুহাম্মদ
যাকী ইব্রাহীম (র).যার চিন্তাধারা, সকল কার্যক্রম কে আল
আযহার সমর্থন দিয়েছেন এবং অনুসরণ করে যাচ্ছেন . ঐ
তাসাউফ ইউনিভার্সিটি থেকে আলা হযরত ইমাম আহমদ
রেযা খান বেরলভী (র) এর চিন্তাধারার উপর একটি বই বের
করা হয়েছে. বইটি তাসাউফ ইউনিভার্সিটির নিচ তলায়
তাদের নিজস্ব লাইব্রেরিতে পাওয়া যায়.


 
Top