ইমাম হফেজ সূয়ূতী(রহঃ) তার বিখ্যাত হাদিস সংকলিত কিতাব “জামেউস সগীর” গ্রন্থে একটি হাদিস বর্ণনা করেন।”খাদেমুর রসুল হযরত আনাস বিন মালিক(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত, রাসুল( সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন, জ্ঞান অর্জনের জন্য সূদুর চীন দেশে হলেও যাও, কেননা জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর নারীর উপর ফরয।নিশ্চয় যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তলাবারা ইলমের জন্য বের হন তখন ফেরেশতারা তাদের নূরানী পাখা বিছিয়ে দেন”।

★কঃ ইমাম ইবনুল বারঃ”কিতাবু বায়ানুল ইলম” ১/২৮পৃঃ,হাদিসঃ২০,২১ সহীহ সূত্রে।

★খঃইমাম সূয়ূতীঃজামেউস সগীরঃ১/১৬৮পৃঃ, হাদিসঃ১১১১।
ইমাম সূয়ূতী উক্ত হাদিস বর্ণনা করে সহীহ,হাসান,দ্বঈফ কিছু বলেন নাই,তাই বুঝা গেল হাদিসটি নিশ্চয় সহীহ পর্যায়ের, যা হল মুহাদ্দিসগণের নিরবতা নীতিমালা।
আল্লামা ইবনে হাজে হাইতামী(রহঃ) এ প্রসঙ্গে একটি হাদিস অন্য আরেক সনদে বর্ননা করেন- তা হলঃ

” হযরত সাফওয়ান(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্নিত, রাসুল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেন,যখন কেউ ইলম অন্বেষণের জন্য ঘর থেকে বের হয়, তখন ফেরেশতারা ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য তাদের পাখা বিছিয়ে দেন।”
ইমাম তাবরানি মু’জামুল কবির এ হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।তবে ইমাম তিরমিযি আলেম শব্দ ব্যতীত বর্ননা করেছেন।ইমাম তিরমিযির সনদে আবদুল করীম বিন আবি মাখরুক একজন দুর্বল রাবীও রয়েছে।

★আল্লামা ইবনে হাজর হায়তামীঃ মাযমাউদ যাওয়াইদঃ১/১২৩


 
Top