মাস'আলাঃ ০১
জুমার দিন খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান দেয়া হয়,সে আযানের জবাব বা দু'আ কেবল অন্তরে উচ্চারণ করবে, জবান দ্বারা কোন উচ্চারণ করবে না।
☞ দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৮৩

মাস'আলাঃ ০২
জুমার দ্বিতীয় আযানের সময় আযানের মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে বৃদ্ধাঙ্গুলি চুমা দেবে না, শুধু মনে মনে দরুদ শরীফ পড়বে আর কিছু করবে না।যবানের একটি নাড়াও দিবে না।
☞ ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৫৯।

মাস'আলাঃ ০৩
খুতবার মধ্যে হুজুর আকদাস ﷺ এর পবিত্র নাম শুনে মনে মনে দরুদ পড়বে, জবানকে চুপ রাখা ফরজ।
☞দুররে মুখতার, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ৩, পৃঃ ৭০৯

মাস'আলাঃ ০৪
খতীব যদি খুতবার মাঝে মুসলমানদের জন্য দু'আ করে তাহলে শ্রোতাগণের হাত উঠানো বা আমিন বলা নিষেধ। যদি এমনটা করে তাহলে গুনহগার হবে।
☞দুররে মুখতার, বাহারে শরীয়ত।

মাস'আলাঃ ০৫
খুতবা শোনা অবস্থায় নড়াচড়া করা নিষেধ। বিনা প্রয়োজনে দাঁড়িয়ে খুতবা শোনা সুন্নাতের পরিপন্থী। জনসাধারণের মাঝে এই কাজটি পরিলক্ষিত হয় যে, ইমাম যখন দ্বিতীয় খুতবার শেষের দিকে,"........ولذ كر الله تعالي اعلي......." (ওয়ালা যিকরুল্লাহি তা'আলা আ'লা.....) শব্দসমুহে পৌঁছে, তখন তা শুনেই লোকজন নামাজের জন্য দাড়িয়ে যায়।এটা হারাম যে - এখানে সম্পুর্ণ খুতবা শেষ হয়নি, কিছু শব্দ এখনো বাকী রয়েছে এবং খুতবা চলাকালীন যে কোন ধরনের কাজ হারাম বা নিষেধ।
ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪৩।

মাস'আলাঃ ০৬
খুতবার সময় খতীবের সামনে যে আযান বলা হয় সে আযানের জবাব খতীব সাহেব জবান দ্বারা দিতে পারবে এবং দু'আ করতে পারবে।
☞তাবঈনুল হাকাইক, ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৭৪০
মাস'আলাঃ ০৭
খুতবার সময় খুতবা শ্রবণকারীর দু' উরুর ওপর দু' জানু হয়ে বসবে অর্থাৎ, নামাযের বৈঠকে যেভাবে বসে সেভাবে বসবে।
☞আলমগীরি,দুররে মুখতার,গুনিয়া।
মাস'আলাঃ ০৭
খুতবার সময় সালামের জবাব দেয়াও হারাম।

☞ফতোয়া ই রিদভিয়্যাহ, খন্ডঃ ০৩, পৃঃ ৬৯৬।
 
Top