আল্লাহ পাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন:

وَلَا تَقُولُواْ لِمَن يُقۡتَلُ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتُۢ‌ۚ بَلۡ أَحۡيَآءٞ وَلَٰكِن لَّا تَشۡعُرُونَ
অর্থাৎ– “আর যারা আল্লাহর পথে শহীদ হয়, তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা অনুধাবন করতে পার না।” [সূরা আল-বাকারা, আয়াত ১৫৪]

কোনো ব্যক্তি যদি রাসূলে পাক ﷺ এর আনিত কালেমা ও দ্বীনের ওপর ঈমান না আনে, তবে সে ইসলামের জন্য নিহত হয়ে গেলেও– তাকে শহীদ হিসেবে গণ্য করা হবে না; আর না এর জন্য সে কোনো ফযিলতের উপযুক্ত হবে। কিন্তু ঠিক একই জায়গায় কেউ যদি সারাজীবন মুশরিক থেকেও– নবীয়ে পাক ﷺ এর ওপর ঈমান আনার কিছুক্ষণ পরই ইসলামের জন্য নিহত হয়ে যায়, তবে সে সারাজীবন মুশরিক থাকা স্বত্বেও, কোনো ইবাদতের সুযোগ না পাওয়া স্বত্বেও, রাসূলের পাক ﷺ এর ওপর ঈমান আনার কারণে সে শহীদের মর্যাদা পাবে। 

আর শহীদের মর্যাদা কেমন? উপরোল্লিখিত আয়াতে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন: 'তাদেরকে মৃত বলা তো দূর, মৃত বলে ধারণাও করিও না।' তার মানে কেউ যদি শাহাদাতের মর্যাদা পায়, সেটাও নবীয়ে পাক ﷺ এর সাদক্বায়। এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়– যার সদক্বায় শাহাদাত পেলে একজন সাধারণ মুসলমানকেও মৃত বলে ধারণা করতে নিষেধ করা হয়েছে, সেখানে স্বয়ং সেই নবীয়ে পাক ﷺ মৃত হন কিভাবে? 

বরং তিনি হায়াতুন্নবী। তিনি জীবিত। এটাই আহলুস সুন্নাহর আক্বীদা। 

হাদীসে পাকে এসেছে: 
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা জমিনের উপর আম্বিয়াদের দেহ ভক্ষণ হারাম করে দিয়েছেন।” - [সুনান আবু দাউদ: ১০৪৭, সহীহ ইবনে খুযাইমা: ১৭৩৩, মুসনাদ আহমদ: ৪/৮, ইবনে মাজাহ: ১৬৩৬ — হাদীস সহীহ]

❑ যেহেতু তিনি মৃত নন, তাই আমরা ১২ ই রবিউল আওয়াল শোক পালন করি না।

প্রশ্ন থাকবে: সাহাবারা তো নবীয়ে পাক ﷺ এর দুনিয়া থেকে বিদায়ের পর বিরহে অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন। আকাশ-বাতাস কান্না করেছিল সেদিন। তাহলে সেটা? 

উত্তর হলো: জ্বী, সাহাবারা নবীয়ে পাক ﷺ এর বিরহে অস্থির ছিলেন। প্রাণের চেয়েও প্রিয় যিনি, তাঁর বিন্দুমাত্র দূরত্বও আশিক কিভাবে সহ্য করবে? কিন্তু সেই নবীয়ে পাক ﷺ এর শরীয়ত আমাদেরকে শিখিয়েছে, মৃত ব্যক্তির জন্য ৩ দিনের বেশি শোক পালন করা নিষিদ্ধ। আর তিনি তো জিন্দা নবী ﷺ।

এ বিষয়ে স্পষ্ট হাদীস এসেছে:

عَنْ أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا أَنَّهَا سَمِعَتْ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ يَقُولُ
«لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ، أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثٍ، إِلَّا عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا

উম্মে হাবীবা رضي الله عنها হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছেন:

“আল্লাহ এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান রাখে যে মহিলা, তার জন্য বৈধ নয় যে, সে কোনো মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করবে; তবে স্বামীর মৃত্যু হলে সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।” - [সহীহ বুখারী, হাদীস ১২৮০; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১৪৮৬]

▌ইয়ে নাজদি মুনাফিকো গান্দা হে ওয়াল্লাহ,
▌গালাজাত কা বা-লকে পালান্দা হে ওয়াল্লাহ!

▌যো মুর্দা কাহে তুঝকো, ও মুর্দা হে ওয়াল্লাহ 

▌তু জিন্দা হে ওয়াল্লাহ, তু জিন্দা হে ওয়াল্লাহ, 
▌মেরে চাশমে আলাম সে ছুপ যানে ওয়ালে!

وَاللہُ اَعْلَمُ عَزَّوَجَلَّ وَرَسُوْلُہ اَعْلَم صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم
আল্লাহই ভালো জানেন এবং তাঁর রাসূল ﷺ-ই সর্বাধিক জানেন।

—Swadhin Ahmed

#swadhinahmed #1500salajashnewiladat

Next
This is the most recent post.
Previous
Older Post
Top