লাইলাতুলকদর রাতটি চেনার কিছু আলামত।
🖋ইমরান বিন বদরী
➖ ➖🔳➖ ➖
নাহমাদুহু  ওয়ানূসাল্লি  আলা  রাসুলীহিল  কারীম  আম্মা  বাদ।  আমরা  জানি  রমজানের  শেষ  ১০ দিনের  বেজোড়  রাতগুলোতে  মহিমান্বিত  রজনীটি  তালাশ  করতে  হয়। যেটি  হাজার  মাসের  চেয়েও উত্তম  রাত। আর  এ  মাসগুলোকে  একত্রে  করলে প্রায়  ৮৩  বছরেরও  অধিক  সময়  হয়।  জীবনে একবার  সঠিকভাবে  রাতটি  পেয়ে  গেলে আজীবনের  সাওয়াব  যেন  পেয়েই  গেলেন। বান্দার  জন্য স্রষ্টাকর্তৃক  এরচেয়ে  বড়  অফার  আর  কী  থাকতে পারে !?  হাদীস  শরীফ  এ  লাইলাতুলকদর  রাতের কিছু  আলামত  বর্ণিত  হয়েছে। আসুন  সেগুলো  দেখে রাতটি  মিলিয়ে  নেই।

(১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। 

(২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না। 

(৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।

(৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে। 

(৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।

(৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণও হতে পারে। 

(৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।  (মুত্তাফাকুন আলাইহ)

🔳 আর  যদি  রাতটি  পেয়েই  যান  তো  সে  রাতের একটি  বিশেষ  দোয়াও  রয়েছে  যেটা  উম্মুল  মু'মিনীন হজরত  মা  আয়িশা  সিদ্দিকা  রাদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা আনহা  লাইলাতুলক্বদর  সম্বন্ধে  জিজ্ঞাসা  করেছিলেন,  হে রাসুলুল্লাহ! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমি  যদি  লাইলাতুলকদর  পাই  তখন কী  করব ?  তখন  রাসূল  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম  মত  দেন, তুমি বলবে,

“اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي”
উচ্চারণঃ
 ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন কারীম তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফু আন্নী।

 অনুবাদঃ
 ’হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন।  (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ ২/১২৬৫)

🤲 আল্লাহ সবাইকে যথাযথভাবে রাতটি তালাশ করার তাওফিক দান করুক।  আর অধমের জন্য দোয়ার আর্জি রইলো। ✍ ইমরান বিন বদরী।
 
Top