আল্লাহ্'র বিষয়ে মুসলমানদের বিশ্বাস কি রাখতে হবে? আসুন জেনে নিই।
🖋 Dr. Syed Irshad Ahmad Al Bukhari

আসুন আজ আমরা আমাদের পালনকর্তা রাব্বুল আলামিন এর সর্ম্পকে জানি। অত্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট অবশ্যই কপি পেস্ট , অবশ্যই শেয়ার করুন। ইন শা আল্লাহ। 

কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়

আল্লাহ সুবাহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করতেছেন,,
(সূরা আশ-শুরা আয়াত ১১) - "কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সব শুনেন, সব দেখেন।
  ؕ لَیۡسَ کَمِثۡلِہٖ  شَیۡءٌ ۚ وَ ہُوَ السَّمِیۡعُ الۡبَصِیۡرُ ﴿۱۱﴾ 

(সূরা ইখলাছ আয়াত ২)– “আল্লাহ কোনো 
কিছুর মুখাপেক্ষী নন।”
اَللّٰہُ  الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ 

(সূরা ইখলাস আয়াত ৪) - “এবং তার 
সমতুল্য কেউ নেই।”
وَ  لَمۡ  یَکُنۡ  لَّہٗ   کُفُوًا  اَحَدٌ ﴿۴﴾ 

(সূরা নাহল আয়াত ৭৪) - “অতএব, আল্লাহর কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
فَلَا تَضۡرِبُوۡا لِلّٰہِ الۡاَمۡثَالَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ یَعۡلَمُ  وَ  اَنۡتُمۡ  لَا تَعۡلَمُوۡنَ ﴿۷۴﴾ 

সমস্ত মুসলমানদের আক্বিদা হলো, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক, দোষ-ত্রুটি থেকে পবিত্র নিরাকার এক মহান সত্তা। কোন কিছু সৃষ্টি করার পূর্বে যেমন আল্লাহ তায়ালা কোন স্থানে অবস্থান ব্যতীত ছিলেন, এখনও তিনি আছেন। আসমান-জমিন ধ্বংসের পরেও আল্লাহ তায়ালা থাকবেন।'আল্লাহ তায়ালাকে কোন স্থানে বা দিকে বিশ্বাস করা গোমরাহী। আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সৃষ্টি থেকে পবিত্র। তিনি কোন সৃষ্টির মাঝে প্রবেশ করেন না, তাঁর মাঝেও কোন কিছু প্রবেশ করে না। আল্লাহ তায়ালার জন্য সৃষ্টির কোন বৈশিষ্ট্যও প্রযোজ্য নয়। সৃষ্টির অবস্থানের জন্য স্থানের প্রয়োজন হয়, সৃষ্টি কোন সুনির্দিষ্ট দিকে থাকে, দু’টি সৃষ্টির মাঝে দুরত্ব থাকে, একটি আরেকটি থেকে পৃথক বা কাছাকাছি থাকে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এসব অবস্থা থেকে পবিত্র। একইভাবে সৃষ্টির কোনটি ছোট বা বড়, কোনটি লম্বা বা খাট, কোনটি সুন্দর বা কুৎসিত, কোনটি ফর্সা বা কালো, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার জন্য এর কোনটিই প্রযোজ্য নয়। মোটকথা আল্লাহ তায়ালা কোন দিক থেকে সৃষ্টির সাথে সাদৃশ্য রাখেন না। তার সদৃশ্য কিছুই নেই। তার সত্ত্বা, গুণাবলী, কর্মাবলি কোন দিক থেকেই কেউ তার সাদৃশ্য রাখে না। 

আল্লাহ্ ক্বুরআনে (সুরা ইখলাস এ ২ নং) আয়াতে বলেন- আল্লাহুস সামাদ অর্থাৎ “আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষি নন।” আমরা বলতে জিহ্বা এর, শুনতে কান এর, দেখতে চোখ এর, ধরতে হাত এর মুখাপেক্ষি আর আল্লাহ দেখেন চোখ বাদে, তিঁনি ধরেন হাত বাদে, তিঁনি বলেন জিহ্বা বাদে, তিঁনি শুনেন কান বাদে। কেননা তাঁকে দেখতে চোখের,ধরতে হাতের প্রয়োজন হলে তো তিনি চোখ-হাতের মুখাপেক্ষী হয়ে যাবেন, নাউযুবিল্লাহ যা সুরা ইখলাস ২ নং আয়াতের বিপরীত হবে।  তাঁকে কোনো জায়গা এর মুখাপেক্ষি করা যাবে না। তিনি জায়গা ছাড়াই উপস্থিত। জায়গা সৃষ্টির জন্য প্রয়োজন, স্রস্টার জন্য নয়। কেননা এক সময় ছিল যখন আল্লাহ ব্যতিত কোনো কিছুই ছিলনা। বুখারী শরীফ-এর ষষ্ঠ খন্ড ২৮৬নং হাদিসে রাসূলে পাক (ﷺ) বলেন- “কানাল্লাহু ওয়ালাম ইয়াকুন শাইউন গাইরুহু” অর্থাৎ “আল্লাহ তখনো ছিলেন যখন আল্লাহ বেতিত কিছুই ছিলনা।” মানে আসমান-জমিন, আরশ-কুরসি, উপর-নিচু, ডান-বাম, সামনে-পিছে কিছুই ছিলনা ; তখনো আল্লাহ ছিলেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী, আজও তিনি আছেন এই সবকিছুর অমুখাপেক্ষী। আলহামদুলিল্লাহ্!

আল্লাহর পরিচয়ে সংক্ষেপে রাসূল (ﷺ) বলেছেন- ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺄَﻭَّﻝُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻗَﺒْﻠَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺂﺧِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺑَﻌْﺪَﻙَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﻈَّﺎﻫِﺮُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﻓَﻮْﻗَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ، ﻭَﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟْﺒَﺎﻃِﻦُ ﻓَﻠَﻴْﺲَ ﺩُﻭﻧَﻚَ ﺷَﻲْﺀٌ ”  অর্থাৎ “আপনিই প্রথম, আপনার পূর্বে কিছু নেই। আপনিই শেষ, আপনার পরে কিছু নেই। আপনিই প্রকাশ্য, আপনার উপরে কিছু নেই। আপনিই গোপন, আপনার নিচে কিছু নেই” 

মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ২৭১৩। 

আল্লাহর জন্য সৃষ্টির সঙ্গে সামান্যতম সাদৃশ্যও বা তুলনা দেয়াও কুফরী। কেননা তিনি ইরশাদ করেছেন, তার সদৃশ কিছু নেই। তিনি মহা বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, আরশ-কুরশী সৃষ্টির পূর্বে যেমন ছিলেন, এখনও আছেন। মহাবিশ্ব ধ্বংসের পরও থাকবেন। সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে যেমন সময় ও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় ছিলেন, এখনও তিনি সব ধরনের স্থান ও সময় থেকে পবিত্র। সৃষ্টি পরিবর্তনশীল, স্রস্টা নন। কেননা পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তক প্রয়োজন, আর আল্লাহর ক্ষেত্রে পরিবর্তন মানলে, এখানে প্রশ্ন আসবে কে তাঁর পরিবর্তক? (নাউযুবিল্লাহ্)। 

ইমামে আযাম আবু হানিফা (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) তার জগত বিখ্যাত কিতাব আল ফিকহুল আবসাত এ বলেন- “ওয়ামান ওয়াসাফাল্লাহা বিমা’নান মিন মা’য়ানিল বাশার ফাক্বাদ কাফার” অর্থাৎ যে আল্লাহর জন্য এমন দোষ বা গুন মানল যা সৃস্টির মাঝে বিরাজমান তাহলে সে কুফরি করল। সৃস্টি উঠে, নামে, বসে, দাড়ায়, ঘুমায়, নড়াচড়া করে কিন্তু আল্লাহ এসব হতে পাক। তিনি আরোও বলেনঃ যে বস্তু কোনোও বস্তুর উপরে বা নিচে বা মধ্যে থাকে তা সৃষ্টি, একমাত্র আল্লাহ যিনি কারোও উপরে বা নিচে বা মধ্যে নন।


স্থান ও সময় দু’টোই আল্লাহ পাকের সৃষ্টি


তিনি সৃষ্টি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নন, বরং সকল সৃষ্টি তার নিয়ন্ত্রণে। অনেক নির্বোধ একথা মনে করে থাকে, আল্লাহ তায়ালাকে স্থান ও দিক থেকে পবিত্র বিশ্বাস করলে তো আল্লাহ কোথাও নেই এটা বলা হয়। এর দ্বারা আল্লাহ তায়ালার অস্তিত্বই না কি অস্বীকার করা হয়। এই নির্বোধকে জিজ্ঞাসা করা হবে, যখন কোন স্থান বা দিকই ছিলো না, তখন আল্লাহ কোথায় ছিলেন ? সে যদি এটা বিশ্বাস না করে যে, আল্লাহ তায়ালা স্থান ও দিক সৃষ্টির পূর্বে ছিলেন, তাহলে সে নিশ্চিত কাফের হয়ে যাবে। কোন সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে আল্লাহর অবস্থানের জন্য যখন কোন স্থানের প্রয়োজন হয়নি, তাহলে এখন কেন আল্লাহ তায়ালাকে স্থানের অনুগামী বানানো হবে ? 

বিখ্যাত সূফী ইমাম জুন-নুন মিসরী (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [ইন্তেকাল: ২৪৫ হি:] বলেন- “মাহমা তাসাউয়ারতা বিবালিক ফাল্লাহু বিখিলাফি যালিক”। অর্থাৎ “তুমি যখন যখন তোমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আল্লাহকে চিন্তা করবে তখনই আল্লাহকে তোমার চিন্তার উর্ধ্বে পাবে।” সুবহানআল্লাহ। কেননা আল্লাহ আমাদের মস্তিস্ক বানিয়েছেন সসীম বস্তুকে চিন্তা করার জন্য, কিন্তু আল্লাহ তো অসীম তাই অসীম আল্লাহকে সসীম মস্তিস্কে পরিবেষ্টন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। 

তিনি আরোও বলেন যেঃ 
“ﺭﺑﻲ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻓﻼ ﺷﻰﺀ ﻳﺤﻴﻂ ﺑﻪ * ﻭﻫْﻮ ﺍﻟﻤﺤﻴﻂ ﺑﻨﺎ ﻓﻲ ﻛﻞ ﻣﺮﺗﺼﺪ ﻻ ﺍﻷﻳﻦ ﻭﺍﻟﺤﻴﺚ ﻭﺍﻟﺘﻜﻴﻴﻒ ﻳﺪﺭﻛﻪ * ﻭﻻ ﻳﺤﺪ ﺑﻤﻘﺪﺍﺭ ﻭﻻ ﺃﻣﺪ ﻭﻛﻴﻒ ﻳﺪﺭﻛﻪ ﺣﺪ ﻭﻟﻢ ﺗﺮﻩ * ﻋﻴﻦ ﻭﻟﻴﺲ ﻟﻪ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﺜﻞ ﻣﻦ ﺃﺣﺪ ﺃﻡ ﻛﻴﻒ ﻳﺒﻠﻐﻪ ﻭﻫﻢ ﺑﻼ ﺷﺒﻪ * ﻭﻗﺪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻋﻦ ﺍﻷﺷﺒﺎﻩ ﻭﺍﻟﻮﻟﺪ” 
অর্থাৎ“ মহান আল্লাহ তায়ালাকে কোন কিছু পরিবেষ্টন করে না। তিনি সর্বাবস্থায় আমাদেরকে পরিবেষ্টন ও নিয়ন্ত্রণ করছেন। কোথায়, কেমন, কীভাবে, কী অবস্থা.. এগুলো থেকে আল্লাহ পবিত্র। কোন পরিমাপ-পরিমিতি দ্বারা তিনি সীমাবদ্ধও নন। আল্লাহ তায়ালার সীমা কীভাবে নির্ধারণ করবে? অথচ তাকে চক্ষু দেখেনি এবং তার তুলনীয় কিছুই নেই? কোন সাদৃশ্য ছাড়া কেউ আল্লাহ তায়ালাকে কীভাবে কল্পনা করবে? অথচ আল্লাহ তায়ালা সব ধরনের সাদৃশ্য ও সন্তান থেকে পবিত্র।” [হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.৯, পৃ.৩৮৮]

হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) বলেন- 
“ ﻣﻦ ﺯﻋﻢ ﺃﻥ ﺇﻟﻬﻨﺎ ﻣﺤﺪﻭﺩ ﻓﻘﺪ ﺟﻬﻞ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ ﺍﻟﻤﻌﺒﻮﺩ” 
অর্থ: “যে বিশ্বাস করলো যে আল্লাহ তায়ালা সসীম, সে আমাদের মা’বুদ আল্লাহ সম্পর্কে অজ্ঞ” [ হিলয়াতুল আউলিয়া, খ.১, পৃ.৭৩]। 

হযরত আলী (রাদ্বীআল্লাহু আনহু) বলেন- 
“ﻛﺎﻥ ـ ﺍﻟﻠﻪ ـ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ، ﻭﻫﻮ ﺍﻵﻥ ﻋﻠﻰ ﻣﺎ ـ ﻋﻠﻴﻪ ـ ﻛﺎﻥ” 
অর্থ: “যখন কোন স্থান ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনি এখনও স্থান থেকে পবিত্র অবস্থায় আছেন।” [আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]।  

তিনি আরও বলেন- 
“ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺧﻠﻖ ﺍﻟﻌﺮﺵ ﺇﻇﻬﺎﺭًﺍ ﻟﻘﺪﺭﺗﻪ ﻻ ﻣﻜﺎﻧًﺎ ﻟﺬﺍﺗﻪ ” 
অর্থ: “আল্লাহ তায়ালা নিজের কুদরত প্রকাশের জন্য আরশ সৃষ্টি করেছেন, নিজ সত্ত্বার স্থান হিসেবে নয়।” [আল-ফারকু বাইনাল ফিরাক, আবু মনসুর বাগদাদী, পৃ.৩৩৩]। একই কথা ইমাম শাফেয়ী রাঃ [ইন্তেকাল: ২০৪ হি:] ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.২, পৃ.২৪ বলেন । একই কথা ইমাম ত্বহাবীও তার আক্বিদাতুত ত্বাহাবীতেও লিখেছেন।

বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম যাইনুল আবেদীন (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) [ইন্তেকাল: ৯৪ হি:] বলেন- 
“ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳَﺤﻮﻳﻚ ﻣﻜﺎﻥ” 
অর্থ: “ হে আল্লাহ, আপনি সেই সত্ত্বা, কোন স্থান যাকে পরিবেষ্টন করতে পারে না।” [ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, আল্লামা মোর্তজা জাবিদী, খ.৪, পৃ.৩৮০]। 

তিনি আরও বলেন- 
“ﺃﻧﺖ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﺗُﺤَﺪُّ ﻓﺘﻜﻮﻥَ ﻣﺤﺪﻭﺩًﺍ” 
অর্থ: “আপনি সেই সত্ত্বা যার কোন হদ বা সীমা নেই। সীমা থাকলে তো আপনি সসীম হয়ে যাবেন।” [ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকিন, খ.৪, পৃ.৩৮০]

ইমাম আবু হানিফা রহ. তার আল-ফিকহুল আবসাতে বলেছেন-“:
 ﻗﻠﺖُ : ﺃﺭﺃﻳﺖَ ﻟﻮ ﻗﻴﻞ ﺃﻳﻦ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ؟ ﻓﻘﺎﻝ ـ ﺃﻱ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ـ : ﻳﻘﺎﻝ ﻟﻪ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻻ ﻣﻜﺎﻥ ﻗﺒﻞ ﺃﻥ ﻳﺨﻠﻖ ﺍﻟﺨﻠﻖ، ﻭﻛﺎﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﻟﻢ ﻳﻜﻦ ﺃﻳﻦ ﻭﻻ ﺧَﻠْﻖ ﻭﻻ ﺷﻰﺀ، ﻭﻫﻮ ﺧﺎﻟﻖ ﻛﻞ ﺷﻰﺀ ” 
অর্থ- “যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় আল্লাহ তায়ালা কোথায়? এর উত্তরে তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, সৃষ্টির অস্তিত্বের পূর্বে, যখন কোন স্থানই ছিলো না, তখনও আল্লাহ তায়া’লা ছিলেন। আল্লাহ তায়া’লা তখনও ছিলেন যখন কোন সৃষ্টি ছিলো না, এমনকি ‘কোথায়’ বলার মতো স্থানও ছিলো না। সৃষ্টির একটি পরমাণুও যখন ছিলো না তখনও আল্লাহ তায়ালা ছিলেন। তিনিই সব কিছুর স্রষ্টা” [আল-ফিকহুল আবসাত, পৃ.২০]। 

সৈয়দ ফাখার উদ্দীন ইবনে আসাকীর (রহমাতুল্লাহি আ’লাই) বলেনঃ “অবশ্যই আল্লাহর জন্য কখন, কোথায়, কিভাবে এই প্রশ্নগুলি করা উচিত নয়। কেননা, “কখন শব্দটি সময় নির্দেশ করে, সময় সীমাবদ্ধতা নির্দেশ করে, সীমাবদ্ধতা প্রয়োজন নির্দেশ করে, প্রয়োজন অক্ষমতা নির্দেশ করে এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হওয়ার কোনই যোগ্যতা নেই।” আবার, “কোথায় শব্দটি জায়গা নির্দেশ করে, জায়গা আয়তন নির্দেশ করে, আয়তন সীমানা নির্দেশ করে, সীমানা প্রয়োজন নির্দেশ করে, এবং প্রয়োজন অক্ষমতা নির্দেশ করে” এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হওয়ার কোনই যোগ্যতা নেই। অবশেষে, “কিভাবে শব্দটি রীতি নির্দেশ করে, হয় স্নায়ুবিক অথবা পাশবিক রীতি নির্দেশ করে এবং রীতি নির্দিষ্টতা নির্দেশ করে এবং নির্দিষ্টতা অন্যের উপর নির্ভরতা নির্দেশ করে, এবং নির্ভরতা অক্ষমতা নির্দেশ করে” এবং যে অক্ষম তার প্রভূ হবার কোনোই যোগ্যতা নেই।
আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন।  আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক'টা বুঝার তৌফিক দান করুক। আমিন। 


 
Top