শাফায়াতের বর্ণনা-


❏ প্রশ্ন-৫০ঃ শাফা‘আত ও শাফা‘আতে কুবরা কী? তা কখন এবং কিভাবে হবে?


✍ উত্তরঃ সহীহ বুখারীসহ অন্যান্য হাদিসগ্রন্থগুলোতে বর্ণিত আছে, কিয়ামত দিবসে যখন সময় খুবই দীর্ঘ হবে এবং তাপ প্রচন্ড গরম হবে এবং ইত্যাদি বিভিন্ন মুসিবত ও কষ্ট-যন্ত্রণায় মানুষ অতিষ্ট হবে, ভীতসন্ত্রস্ত হবে; ঠিক তখনই তারা পরস্পর পরামর্শ করবে। পরামর্শের বিষয় হলো, এমন কাকে সুপারিশপ্রদানকারী রূপে মহান আল্লাহর দরবারে পাঠানো যেতে পারে, যিনি সবার নাজাতের জন্য সুপারিশ করবেন, যেমন- হাদীস সমূহ দ্বারা প্রমাণিত।

অতএব, মানব সকল হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (عليه السلام) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলগণের নিকট যাবে। তারা প্রত্যেক নবীকে (ﷺ) সুপারিশের জন্য নিবেদন করবে। কিন্তু সকলই এই উত্তর দিবেনঃ ‘এটি আমার পদমর্যাদা নয়’। শেষতক হযরত ঈসা (عليه السلام)-এর ইঙ্গিতে তারা আল্লাহর প্রিয় হাবীব হযরত মুহাম্মদ (ﷺ)’র নিকট আসবে। এরপর তাঁকে সুপারিশের জন্য আবেদন করবে। নবীজি (ﷺ) উত্তর দিবেন, আমিই তো এ-কাজের জন্য উপযুক্ত। সে-সময় নবী করীম (ﷺ) আল্লাহর দরবারে সিজদাবনত হয়ে মহান রবের অভিনব ও সুউচ্চ প্রশংসা করবেন। পরক্ষণে  আল্লাহ পাকের হুকুম হবে, 


يَا مُحَمَّدُ إرْفَعْ رَأسَكَ سَلْ تُعْط وَاِشْفَعْ تُشْفَعْ  


হে মুহাম্মদ! উঠুন! যা ইচ্ছে আপনি চান, সবই দেয়া হবে। সুপারিশ করুন, আপনার সকল সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। এরপর নবী করীম (ﷺ) সিজদা থেকে উঠে বলবেন, হে রব! আমার উম্মতের ওপর রহম করুন।এ শাফা‘আতের নাম হলো শাফা‘আতে কুবরা  বা সর্বোত্তম সুপারিশ।

 
Top