মৃত্যু পথযাত্রীর জন্য করণীয়

সংকলকঃ মাসুম বিল্লাহ সানি



মৃত্যুর স্মরণঃ


❏ আল-কুরআনের ভাষ্য মতে, ‘জীবন মাত্রই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫)


❏ রাসুল (ﷺ) ইরশাদ করেন, ‘বুদ্ধিমান ওই ব্যক্তি, যে নিজের নফস ও খায়েশকে আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয় এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৪৫৯)


অতীত জীবনে অনেক মানুষ সম্পদশালী, ক্ষমতাশালী ছিলো- তারা আজ কবরবাসী। এক সময় আমরা ছোট ছিলাম, ধীরে ধীরে বয়স বাড়ছে। আমাদেরও এক সময় কবর জগতের বাসিন্দা হতে হবে। এরপর রয়েছে অনন্তকালের এক মহাজীবন। কবর জীবন ও আখেরাতের জীবন সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা যার মাথায় সর্বদা বিরাজমান থাকে সে সফলকাম। আর যদি মরীচিকাময় এই পৃথিবীর পেছনে পড়ে মৃত্যু ও আখেরাতের জীবনের কথা ভুলে বসে থাকে, তাহলে তার জীবন দুর্ভাগ্যে ভরা।


ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো-

মৃত্যু ও আখেরাতের স্মরণই পারে মানুষকে প্রকৃত মানুষ বানাতে এবং পশু ও তার মধ্যকার ব্যবধান ফুটিয়ে তুলতে।


❏ হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, হজরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আনন্দনাশক বস্তু অর্থাৎ মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো। –সুনানে তিরমিজি: ২৩০৬


মৃত্যুর স্মরণ এমন একটি বিষয়- যা অন্তর থেকে দুনিয়ার ভোগ-বিলাসিতার চিন্তা দূর করে দেয়, আত্মীয়-স্বজন, সন্তান-সন্ততি ও ধন-সম্পদের অযাচিত আসক্তি নষ্ট করে দেয়। সুস্থ বিবেক-বুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ মাত্রই মৃত্যুর চিন্তায় বিভোর থাকে। যারা মৃত্যুর চিন্তা করে না, দুনিয়া নিয়ে পড়ে থাকে, তাদের বুদ্ধিকে সুস্থ বলা যায় কিভাবে? বন্ধু-বান্ধব, স্ত্রী-সন্তান কেউই কবরে সওয়াল-জওয়াবের সময় পাশে থাকবে না। বিষয়টি মাথায় রেখে দুনিয়ার জীবনে পথচলা দরকার। আল্লাহ আমাদের তওফিক দান করুন। আমিন।



অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ


❏ ০১. হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, রাসুল (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি এমন কোনো রুগ্ন মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, যার এখনো মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি এবং তার নিকট সাতবার এই দোয়াটি বলবেঃ


-أَسْأَلُ اللهَ العَظيمَ، رَبَّ العَرْشِ العَظِيمِ، أَنْ يَشْفِيَكَ

উচ্চারণ : আসআলুল্লাহাল আজিমা, রাব্বাল আরশিল আজিমি, আঁইয়্যাশফিয়াক’


অর্থাৎ `আমি সুমহান আল্লাহ, মহা আরশের প্রভুর নিকট তোমার আরোগ্য (সুস্থতা) প্রার্থনা করছি` আল্লাহ তাকে সে রোগ থেকে মুক্তি দান করবেন।’ (মুসনাদে আহমাদ, তিরমজি, আবু দাউদ)


❏ ০২. হজরত ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে আরো বর্ণিত আছে যে, রাসুল (ﷺ) একজন বেদুঈনকে দেখতে গেলেন। আর তাঁর নিয়ম এই ছিল যে, যখন তিনি কোনো রোগীকে দেখতে যেতেন তখন বলতেন,


-لَا بَأْسَ طُهُوْرٌ اِنْشَاءَ اللهُ


উচ্চারণ : লা- বা’সা তুহু-রুন ইনশাআল্লাহ।অর্থ : ‘ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানীতে আরোগ্য লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত)


❏ ০৩. হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমাদের মধ্যে কেউ যখন অসুস্থ হতো তখন রাসুল (ﷺ) তাঁর ডান হাত রোগীর শরীরে বুলাতেন এবং বলতেন-


اَذْهَبِ الْبَأْسَ رَبَّ النَّاسِ - وَاشْفِ اَنْتَ الشَّافِي - لَا شِفَاءَ اِلَّا شِفَائُكَ شِفَاءً لَا يُغَادِرُ سَقْمًا


উচ্চারণ : আজহাবিল বা’সা রব্বান না-সি, ওয়াশফি আনতাশ শা-ফি-, লা শিফাআ’ ইল্লা- শিফা-উকা শিফা-আ’ লা ইউগাদিরু সুক্বমা।


অর্থ : ‘হে মানুষের প্রতিপালক! এ রোগ দূর কর এবং আরোগ্য দান কর, তুমিই আরোগ্য দানকারী। তোমার আরোগ্য ব্যতিত কোনো আরোগ্য নেই। এমন আরোগ্য, যা বাকী রাখে না কোনো রোগ।’ (বুখারি, মিশকাত)


মুমূর্ষু ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ


মানুষের মধ্যে যারা প্রচণ্ড রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী; তাদের সুস্থতার জন্য, কষ্ট দূর হওয়ার জন্য রাসূল (ﷺ) দোয়া করতেন। তাঁর উম্মতকে দোয়া করতে বলতেন।


❏ হাদিসে বর্ণিত দোয়াটি হলো

-اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاسَ وَاشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِي لاَ شِفَاءَ إِلاَّ شِفَاؤُكَ، شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا


উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা রাব্বান্নাসি আজহিবিল বাসা ওয়াশফি ওয়া আংতাশ শাফি লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা শিফাআন লা ইয়ুগাদিরু সাক্বামা।’ (বুখারি ও মুসলিম)

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! মানুষের প্রতিপালক! তুমি কষ্ট দূর কর এবং আরোগ্য দান কর। তুমিই (যেহেতু) রোগ নিরাময়কারী। তুমি ছাড়া আর কোনো নিরাময় দানকারী নেই, তুমি এমনভাবে রোগ নিরাময় দান কর, যেন তা রোগকে নির্মূল করে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)



মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়াঃ

❏ হজরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবু সালামার নিকট গেলেন। তখন তার (আত্মা বের হওয়ার পর) চোখ খোলা ছিল। নবী করিম (ﷺ) তা বন্ধ করার পর বললেন, যখন (কারও) প্রাণ নিয়ে নেওয়া হয়, তখন চোখ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। (এ কথা শুনে) তার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে কাঁদতে আর‎ম্ভ করল। নবী (ﷺ) বললেন, তোমরা নিজেদের আত্মার জন্য মঙ্গলের দোয়া করো। কেননা, ফেরেশতারা তোমাদের কথার ওপর আমিন বলেন। এর পর তিনি এই দোয়া বললেন-


উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফির লি আবি সালামা, (এখানে মৃতের নাম হবে) ওয়ারফা’ দারাজাতাহু ফিল মাহদিইয়্যিন, ওয়াখলুফহু ফি আক্বিবিহি ফিল গা-বিরিন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রাব্বাল আলামীন- ওয়াফসাহ লাহু ফি ক্বাবরিহি ওয়ানাওয়িরলাহু ফীহ।


অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি (অমুককে) মাফ করে দাও এবং হেদায়াতপ্রাপ্তদের দলে তার মর্যাদা উন্নত করো, অবশিষ্টদের মধ্যে তার পশ্চাতে উত্তরাধিকারী দাও। আমাদেরকে এবং তাকে মার্জনা করে দাও হে বিশ্বজগতের প্রতিপালক! তার কবরকে প্রশস্ত করো এবং তার জন্য কবরকে আলোকিত করো। (সহিহ মুসলিম: ৯২০)


❏ হজরত উম্মে সালামা (رضي الله عنه) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, ‘তোমরা পীড়িত অথবা মৃতের নিকট উপস্থিত হলে ভালো কথা বলো। কেননা, ফেরেশতারা আমাদের কথায় ‘আমীন’ বলেন। (উম্মে সালামা) বলেন, এর পর যখন (আমার স্বামী) আবু সালামা মারা গেলেন, তখন আমি নবী করিম (ﷺ)-এর নিকট এসে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আবু সালামা মারা গেছেন। (সুতরাং আমি এখন কী বলব?)’ তিনি বললেন, তুমি এই দোয়া বলো-

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মাগফির লি ওয়ালাহু, ওয়াআক্বিবনি মিনহু উক্ববা হাসানা। ’

অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি আমাকে ও তাকে মার্জনা করো এবং আমাকে তার চেয়ে উত্তম বিনিময় প্রদান করো।"

সুতরাং আমি তা বললাম, ফলে মহান আল্লাহ আমাকে তার চেয়ে উত্তম বিনিময় মুহাম্মাদ (ﷺ) কে (স্বামীরূপে) প্রদান করলেন। ’ -(সহিহ মুসলিম: ৯১৯)



মুমূর্ষু রোগীর ব্যাপারে অন্যদের করণীয়


পরকালে মুক্তির জন্য পার্থিব জীবনে নিজের ঈমান-আকিদা সহি ও মজবুত করতে হবে। ফরজ-ওয়াজিবসহ সব ইবাদত সুন্নত মোতাবেক করতে হবে। হালাল পথে আয়-ব্যয় করতে হবে। মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানসহ সবার অধিকারের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। হাতে, মুখে বা অন্য কোনোভাবে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। মানসিক, আর্থিক বা অন্য কোনো পন্থায় কারো হক নষ্ট করা যাবে না।


কারণ এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। হাশরের ময়দানে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে নেকি দ্বারা। নেকি না থাকলে বা পাওনা পরিশোধ করতে গিয়ে নেকি শেষ হয়ে গেলে পাওনাদারের গুনাহর পাহাড় কাঁধে নিয়ে জাহান্নামে যেতে হবে। কবিরা গুনাহ, হারাম, মাকরুহে তাহরিমি ও সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের আত্মার রোগের চিকিৎসা ও ভালো গুণ অর্জন করার জন্য কোনো হক্কানি বুজুর্গের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে।


সুন্নত হিসেবে হালাল অর্থে সাধ্যমতো রোগীর চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। তবে ওষুধ বা অন্য কিছুর ওপর ভরসা না রেখে মহান আল্লাহর ওপরই ভরসা রাখতে হবে। রোগীর পাক-পবিত্রতা, অজু ও নামাজ ইত্যাদির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। রোগীকে দেখতে গিয়ে তাকে শুনিয়ে শুনিয়ে সাতবার এ দোয়াটি পড়া সুন্নত। ‘আসআলুল লা-হাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াক।’ রোগীর মনে সাহস দিতে হবে।


❏ রাসুল (ﷺ) মুমূর্ষু ব্যক্তিকে এভাবে সাহস দিতেন : ‘লা বা-সা ত্বহুরুন ইনশাআল্লাহ।’

অর্থ : ভয়ের কোনো কারণ নেই, ইনশাআল্লাহ আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। আর মৃত্যু আসন্ন মনে হলে তার কাছে বসে সুরা ইয়াসিন পাঠ করা ও নরম স্বরে কালিমায়ে তায়্যিবা পাঠ করতে থাকা উচিত; সম্পদের আলোচনা করা উচিত নয়।

(আদ্দুররুল মুখতার : ২/১১৯, ৬/৩৭০, বুখারি, হাদিস : ৩৬১৬, আবু দাউদ, হাদিস : ৩১২১)


সারা বছর সুযোগমতো দোয়া-দুরুদ ও বিভিন্ন নফল ইবাদত করে তার নামে দান করে দেওয়া। (মুসলিম, হাদিস : ৯১৮, তিরমিজি : ১/২০৬, ফাতাওয়া শামি : ২/১৯৩, ৩/১৫১-১৫২)


মুমূর্ষু রোগীর জন্য অন্যান্য করণীয়


নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত বা অন্য কোনো ফরজ অনাদায়ি থেকে গেলে তার জন্য ওসিয়ত করা। বান্দার কোনো হক জিম্মায় থেকে গেলে তা আদায় করা বা ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। বেশি বেশি ইস্তিগফার পড়া, কোরআন তিলাওয়াত করা, কালিমায়ে তায়্যিবা ও কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা, যথাসম্ভব সর্বদা কোনো না কোনো আমলের মধ্যে নিমগ্ন থাকার চেষ্টা করা। তার মৃত্যুর পর যেন কোনো শরিয়তবিরোধী কাজ না হয়, সে জন্য ভালোভাবে ওসিয়ত করা।


❏ মৃত্যুর আলামত প্রকাশ পেলে কিবলামুখী হয়ে ডান কাতে শুয়ে এ দোয়াটি পড়া :

‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা ফি গামারাতিল মাওতি ওয়া সাকারাতিল মাওত।’ এর ফলে মৃত্যুকষ্ট লাঘব হয়।


❏ আর মৃত্যুর আলামত পুরোপুরি প্রকাশ পেলে এ দোয়াটি পড়া : ‘আল্লাহুম্মাগলি ওয়ার হামনি ওয়াল হিকনি বির রাফিকিল আ’লা। (বুখারি, হাদিস : ১২৯৪, তিরমিজি : ১/১৯২, ২/১৮৭, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ২২০৯৫)




তালকীনের উদ্দেশ্য ও ফজীলতঃ

═══════════════

কালেমা পাঠঃ


❏ হজরত আবু সাঈদ খুদরি (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" (পুরো কালেমা) স্মরণ করিয়ে দাও। -সহিহ মুসলিম: ৯১৬


❏ মুয়ায বিন জাবাল (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেছেন:


« مَنْ كَانَ آخِرُ كَلاَمِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ »


“যার শেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ, পুরো কালেমা পড়তে পড়তে যার মৃত্যু হবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

● সুনানে আবু দাঊদ: ৩১১৬, অনুচ্ছেদ: তালকীন। [মানঃ সহীহ]


❏ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্নিত, হযরত (ﷺ) বলেছেনঃ "তোমরা তোমাদের মৃত্যু পথযাত্রীকে (মৃত্যুর পুর্ব মূহুর্তে) কালিমার তালকীন দান কর৷ কেননা মৃত্যুর সময় যার শেষ কথা হবে [লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ (পুরো কালেমা)] সে জান্নাতে প্রবেশ করবে৷

● মুসলিম ২১৬২ : অধ্যায়ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া। [হাদিসের মানঃ সহিহ]


তালকীন সম্পর্কে বিস্তারিতঃ

═══════════════


❏ আবূ সা‘ঈদ খুরদী (رضي الله عنه) ও আবূ হুরায়রাহ্ (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত। তারা বলেন,


بَابُ مَا يُقَالُ عِنْدَ مَنْ حَضَرَهُ الْمَوْتُ


عَنْ أَبِىْ سَعِيْدٍ وَأَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ


পরিচ্ছদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়


রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে যায় (মুমূর্ষু অবস্থায়) তাকে কালিমা ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই) তালকীন দিও।


তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]

১.সহীহ মুসলিম ৯১৬, ৯১৭,

অনুচ্ছেদ: মৃত্যু শয্যায় শায়িত ব্যক্তিকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এর তালকীন প্রদান।

২.আত্ তিরমিযী ৯৭৬,

৩.নাসায়ী ১৮২৬,

৪.ইবনু মাজাহ্ ১৪৪৪, ১৪৪৫,

৫.ইবনু আবী শায়বাহ্ ১০৮৬৪,

৬.সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬৫৯৮,

৭.শারহুস্ সুন্নাহ্ ১৪৬৫,

৮.ইরওয়া ৬৮৬,

৯.সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৫১৪৮।

১০.মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নম্বরঃ [1616], অধ্যায়ঃ জানাযা (كتاب الجنائز),

পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি, পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট যা বলতে হয়।


❏ আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ


حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ يَزِيدَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ


রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের “লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দাও।


তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]

১. মুসলিম ৯১৭

২. ইরওয়াহ ৩/১৪৯।

৩. সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ

৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিস ১৪৪৪।

৪. সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)

হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৭ | 1997 | ۱۹۹۷

পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা।

উসমান, আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়রা ও আমরুন নাকিদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।

৫. সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)

হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৬ | 1996 | ۱۹۹٦

পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা। মানঃ সহিহ (Sahih)

কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বিলাল (রহঃ) সবাই ঐ সনদে বর্ণনা করেছেন।


❏ আনাস বিন মালেক (رضي الله عنه) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন,

একদা রাসূল (ﷺ) এক আনছারী ছাহাবীকে দেখতে গিয়ে বললেন, হে মামা! আপনি ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করুন। তখন সে বলল, মামা, না চাচা? তিনি বললেন, না বরং মামা। সে বলল, আমার জন্য কালেমা ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহ’ পাঠ করা উত্তম হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ’।

১.আহমাদ হা/১২৫৮৫;

২.আবু ইয়া‘লা হা/৩৫১২;

৩.মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৩৯২২, সনদ ছহীহ।


❏ আবূ সাঈদ আল-খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ


রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু”-এর তালকীন দাও।


তথ্যসূত্রঃ [হাদিসের মানঃ সহিহ]

১.মুসলিম ৯১৬, 

২.তিরমিযী ৯৭৬ 

৩.নাসায়ী ১৮২৬, 

৪.আবূ দাউদ ৩১১৭, 

৫.আহমাদ ১০৬১০, 

৬.ইরওয়াহ ৬৮৬, 

৭.সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ

৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিসঃ ১৪৪৫

৮.সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) / অধ্যায়ঃ ১২/ জানাযা সম্পর্কিত (كتاب الجنائز)

হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৫ | 1995 | ۱۹۹۵

পরিচ্ছদঃ ১. মুমূর্ষকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু এর তালকীন করা।

মানঃ  সহিহ (Sahih)

আবূ কামিল জাহদারী ফূযয়াল ইবনু হুসায়ন ও উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) সূত্রে বর্ণিত।


❏ হযরত আবূ উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: 


“যখন তোমাদের কোন মুসলমান ভাই মৃত্যুবরণ করে, তাকে কবরে সমাহিত করার পর তোমাদের মধ্যে একজন তার কবরের শিয়রে দাঁড়িয়ে বলবে: 

- হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে তা শুনতে পাবে, কিন্তু উত্তর দিবে না। 

- অতঃপর যখন আবারো বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন মৃত ব্যক্তি সোজা হয়ে বসে পড়বে। 

- আবার যখন বলবে: হে অমুকের ছেলে অমুক! তখন সে বলবে: আল্লাহ্ তাআলা তোমার উপর দয়া করুক। তুমি আমাকে শিখিয়ে দাও। কিন্তু মৃত ব্যক্তির একথা তোমরা শুনতে পাবে না। অতঃপর সে (তালকীনকারী) বলবে:


اُذْكُرْ مَاخَرَجْتَ عَلَيْهِ مِنَ الدُّنْيَا: شَهَادَةَ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) وَاَنَّكَ رَضِيْتَ بِاللهِ رَبًّا وَّبِالْاِسْلَامِ دِيْنًا وَّ بِمُحَمَّدٍ (صَلَّی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم) نَبِيًّا وَّ بِالْقُرْاٰنِ اِمَامًا ـ


অনুবাদ: “তুমি তা স্মরণ করো, যা বলে তুমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছ অর্থাৎ,

- একথা সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। 

এবং এটাও বলো যে, 

- তুমি আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে, 

- ইসলামকে আল্লাহর মনোনীত ধর্ম হিসেবে, 

- হযরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হিসেবে এবং 

- কুরআন মজীদকে ইমাম হিসেবে মনে-প্রাণে স্বীকৃতি দিয়েছ এবং এর উপর সন্তুষ্ট ছিলে।” 

তালকীনকারী এ কথা বলার পর মুনকার-নকীর ফিরিশতাদ্বয় একে অপরের হাত ধরে বলবেন: চলো আমরা চলে যাই। তার পাশে বসে থেকে আমাদের কোন লাভ নেই যাকে লোক দলীল শিখিয়ে দিয়েছে। এক ব্যক্তি রহমতে আলম (ﷺ) এর নিকট আরয করল, যদি তার মায়ের নাম জানা না থাকে, তখন কিভাবে তালকীন করবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেন: “হাওয়া رَضِیَ اللہُ تَعَالٰی عَنۡہَا এর দিকে সম্পর্কিত করবে।” 


তথ্যসূত্রঃ

১. ইমাম তাবারানীঃ আল মু’জামুল কাবীরঃ ৮ম খন্ড, ২৫০ পৃষ্ঠা, হাদীস-৭৯৭৯

২. ইমাম তাবারানীঃ আল মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৩৯১৮।

৩. ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-১৩/৭৫-৭৬, 

৪. কিতাবুন নাওয়াজেল-৬/২২৬

৫. ইবনে কাইয়্যেমঃ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা, বাংলা সংস্করণ


Note : অমুকের ছেলে অমুকের স্থলে মৃত ব্যক্তি ও তার মায়ের নাম নিবে।


❏ ইমাম আহমদ হাম্বল (রহঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এই অভিমত ব্যক্ত করেন যে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে তালকীন করা একটি নেক কাজ; মানুষের আ’মল থেকে তা প্রমাণিত হয়। তালকীন সম্পর্কে মু’জাম তাবরানী গ্রন্থের মধ্যে হযরত আবূ উমামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসও রয়েছে। হাদীসটি হলো, নূরনবী (ﷺ) এরশাদ ফরমান: ‘কোনো ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কবরে মাটি দেয়ার পর তোমাদের একজন তাঁর শিয়রের দিকে দাঁড়িয়ে তাঁর নাম ও তাঁর মায়ের নাম ধরে ডাক দেবে। কেননা, ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তি তা শুনতে পান, কিন্তু উত্তর দিতে পারেন না। দ্বিতীয়বার তাঁর নাম ধরে ডাক দিলে তিনি উঠে বসেন। আর তৃতীয়বার ডাক দিলে তিনি উত্তর দেন, কিন্তু তোমরা তা শুনতে পাও না। তোমরা তালকীনের মাধ্যমে বলবে, আল্লাহ পাক আপনার প্রতি রহম করুন, আমাদের তালকীনের দ্বারা আপনি উপকৃত হোন। তারপর বলবে, আপনি তাওহীদ ও রেসালাতের যে স্বীকৃতি দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, তা স্মরণ করুন। অর্থাৎ, 

- লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ বাক্যটি পাঠ করুন ও তা স্মরণ রাখুন। 

- আল্লাহ্কে প্রতিপালক হিসেবে,

- দ্বীন ইসলাম, 

- হযরত মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ  ﷺ এর নবুয়্যত এবং 

- কুরআন মজীদ যে আমাদের পথপ্রদর্শনকারী, 

এ সব বিষয়ে যে আপনি রাজি ছিলেন, তাও স্মরণ করুন।’ 

এই তালকীন শুনে মুনকার-নকীর ফেরেশতা দু’জন সেখান থেকে সরে যান এবং বলেন, চলো আমরা ফিরে যাই। এর কাছে থাকার আমাদের আর কোনো প্রয়োজন নেই। এ ব্যক্তিকে তাঁর ঈমান ও আকীদা-বিশ্বাস সম্পর্কে সব কিছুই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই তিনি তালকীনের মাধ্যমে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (ﷺ) সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন।”

● [ইবনে কাইয়্যেম কৃত ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা, বাংলা সংস্করণ]


❏ হযরত মায়াকিল ইবনে ইয়াসার (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত, 

তিনি বলেনঃ হযরত নবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ 

তোমরা তোমাদের মৃতদের উপর সূরা ইয়াসিন পাঠ করো!এতে তার মৃতের যন্ত্রনা হ্রাস পাবে৷ (আবু দাউদ ৩১২৩)


❏ আবদুল্লাহ বিন জা‘ফার (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ إِسْحَقَ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ الْحَلِيمُ الْكَرِيمُ سُبْحَانَ اللهِ رَبِّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَيْفَ لِلْأَحْيَاءِ قَالَ أَجْوَدُ وَأَجْوَدُ


রসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষ ব্যক্তিদের,

-“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালীমুল কারীম, সুবহানাল্লাহি রব্বিল আরশিল আযীম, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামীন”

এর তালকীন দাও। তারা বলেন, হে আল্লাহ্‌র রসূল! জীবিত (সুস্থ) ব্যক্তিদের বেলায় এ দুআ কেমন হবে? তিনি বললেনঃ অধিক উত্তম, অধিক উত্তম।


তথ্যসূত্রঃ

১.সুনানে ইবনে মাজাহঃ অধ্যায় জানাযাহ

৬/৩ : পরিচ্ছদঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-এর তালকীন দেয়া, হাদিসঃ ১৪৪৫

২.মিশকাত ১৬২৬, 

৩.যঈফাহ ৪৩১৭, কিন্তু মুমূর্ষু ব্যক্তিদেরকে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু তালকীন দাও এ বাক্য সহীহ। 

[উক্ত হাদিসের রাবী ইসহাক বিন আবদুল্লাহ বিন জা'ফার সম্পর্কে মুহাদ্দিসগন বলেন, তিনি অপরিচিত]


❏ ইবনে কাইয়্যেম বলেনঃ

”অতীতকাল থেকে ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিদেরকে কবরে তালকীন করার নিয়ম চলে আসছে। অর্থাৎ,কলেমা-এ-তাইয়্যেবাহ তাঁদেরকে পড়ে শোনানো হয়ে থাকে। ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ যে ইন্তেকালের পরে শুনতে পান, তালকীনের মাধ্যমেও তা প্রমাণিত হয়। এছাড়া তালকীনের দ্বারা ইন্তেকালপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উপকৃত হন; তা না হলে তালকীন করার কোনো অর্থ-ই হয় না।

● [ইবনে কাইয়্যেম কৃত ’কিতাবুর রূহ’, ২০ পৃষ্ঠা]

 
Top