নবী করী (ﷺ) রোগের চিকিৎসা করা ।
-------------------------------------
🖋কৃতঃ Mohammad Shahadat Hossain

🕋 হযরত কাতাদা ইবনে নু‘মান (ﷺ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধে তলোয়ারের আঘাতে আমার এক চোখ আঘাত প্রাপ্ত হই। এমন কি চোখের মণি বের হয়ে গন্ডদেশে চলে আসে। এমতাবস্থায় আমি প্রিয় নবী (ﷺ) এর সকাশে দৌড়ে এসে আরয করি, হে আল্লাহ রাসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। যিনি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। আমি এ অসুস্থ ও অপছন্দনীয় চোখ নিয়ে তার কাছে যাওয়াকে ভাল মনে করি না। তখন হুযুর (ﷺ) আমার আহত চোখকে তাঁর নিজ হাতে যথা স্থানে লাগিয়ে দেন এবং বললেন, হে আল্লাহ! তাঁর চোখ খুব সুস্থ করে দিন। এ ঘটনার পর হতে তাঁর এ চোখের দৃষ্টিশক্তি অপর সুস্থ চোখ হতে বেড়ে যায় এবং অন্য চোখে দরদ ব্যথা হলেও প্রিয় রাসূলের মোবারক হাত স্পর্শে ধন্য চোখ যাবতীয় রোগ-ব্যাধি হতে নিরাপদ থাকে। 

(ক) ইমাম বায়হাকীঃ দালায়িলুন নবুয়্যাত, পৃষ্ঠা:৪৩৯, 
(খ) ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভীঃ মাদারিজুন নবুয়্যাত (১ম খন্ড), পৃষ্ঠ: ৩৫৭)

🕋 ইমাম ইবনে মাজা তাঁর ‘সুনানে ইবনে মাজা‘য় ‘সালাতুল হাজত’ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, হযরত উসমান ইবনে হানীফ নামক এক সাহাবী বলেন, এক অন্ধ সাহাবী নবী করিম (ﷺ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার খিদমতের জন্য কোন লোক নেই, এ কারণে আমার বড় কষ্ট হচ্ছে।এতে হুযুর (ﷺ)বললেন যাও গিয়ে ওযূ করে আস, পরে দু’রাকাত নামায পড়, তারপর এ দোয়া 
পড়ে দোয়া কর-اللهم انلي اسئلك و اتو جه اليك بنبيك محمد نبي الر حمـة يا محمج اني وجهت بك الي ربي في حا جتي حذه لتفضي لي حجتي    

“উসমান ইবনে হানীফ (رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ) বলেন, আমরা মজলিসে হতে উঠে চলে যাবার আগেই এবং বেশ কিছু কথা বলার পূর্বেই সেই অন্ধত্ব সম্পূর্ণরূপে দূর হয়ে গেছে এবং এমন মনে হলো, যেন তিনি কখনই অন্ধ ছিলেন না। 

(ক) ইমাম ইবনে মাজা: সুনান-ই ইবনে মাজা, অধ্যায়- সালাতুল হাজত, 
(খ) মতিউর রহমান মালনানা: মু’জিযাতুন নবী, ১৯৯৪, পৃষ্ঠ:৫৯৬।

🕋 উহুদ যুদ্ধে হযরত কুলসুম ইবনে হাসীন (رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ) বক্ষে একটি তীর এসে বিন্ধ হলে তিনি দৌড়ে হুযুর (ﷺ) এর দরবারে গিয়ে উপস্থিত হন। তখন হুযুর (ﷺ) তার জখমের উপর থু থু মোবারক দিলে তিনি তখনই সুস্থ হয়ে যান।
[ইমাম কাযী আ‘য়ায: শিফা শরীফ (১ম খন্ড) পৃষ্ঠ: ২১২]
 
Top