ছাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের বর্ণনা
✍ কৃতঃ আল্লামা আজিজুল হক আল কাদেরী (رحمة الله) মুনিয়াতুল মুছলেমীন [১ম খন্ড]

❏ মাসয়ালা: (১৫৫)
হযরাত ছাহাবায়ে কেরাম রাদ্বি আল্লাহু তা’আলা আলাইহিম আজমাঈনের নেক ও ভাল দিক ব্যতীত মন্দ ও দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা ফিসক্ব তথা অন্যায় ও নাফরমানী; কেননা ছাহাবায়ে কেরাম রাদ্বি আল্লাহু তা’আলা আনহুম মোস্তফা (ﷺ)-এর সংশ্রব ও সাহচর্যে ছিলেন। কাজেই তাদের জীবনালোচনা উত্তম ও নেক দিক সমূহ দ্বারা করা আবশ্যক, খারাপ ও দোষ-ত্রুটি বর্ণনা করা ফিসক্ব।

❏ মাসয়ালা: (১৫৬)
সাহাবায়ে কেরাম রিদোয়ানুল্লাহ আলাইহিমদের মধ্যকার বাক বিতন্ডা তথা বিবাদপূর্ণ যে সমস্ত কথাবার্তা হয়েছে সে সমস্ত ঘটনাবলী দেখা ও পাঠ করা সর্ব সাধারণের জন্য দুরস্ত ও জায়িজ নয়। কেবলমাত্র মুহাক্কেক আলেমগণ ব্যতীত।

❏ মাসয়ালা: (১৫৭)
আউলিয়ায়ে কেরামদের কারামত ও অলৌকিক ঘটনাবলী সত্য ও হক্ব। এর মাধ্যমে মুসলিম মিল্লাতের উপকার হয় আর পায়গাম্বর আলাইহিমুস্সালামের মোজেজাও সত্য ও বরহক এর মাধ্যমে মানুষ হেদায়ত প্রাপ্ত হয়েছে।

❏ মাসয়ালা: (১৫৮)
দ্বীনের সঠিক পদ-প্রদর্শক, পেশোয়া, তথা সম্মানিত ছাহাবায়ে কেরাম, ইমাম, মোজতাহেদ, ওলামা ও পীর মাশায়েখগণকে সৈয়্যদুনা বলা হয়। যা পূর্ববর্তী তথা আদিকাল হতে বর্তমান পর্যন্ত সকল উম্মতগণ এর উপর আমল করে আসছে।
হযরত ফারুকে আজম (رضي الله عنه) এরশাদ ফরমায়েছেন: ابوبكر سيدنا واعتق سيدنا يعنى بلال অর্থাৎ হযরত আবু বকর আমাদের ছরদার এবং আমাদের সরদারকে (বেলাল) মুক্ত করেছেন।  
➥ [মুসনাদে আহমদ ও নুজহাতুল ক্বারী]

❏ মাসয়ালা: (১৫৯)
সাহাবাদের সমালোচনা করা ফিসক।

❏ মাসয়ালা: (১৬০)
সাহাবাদের পরষ্পর যে সকল ঝগড়া হয়েছে তা দেখা পড়া সাধারণ লোকের উচিত নয়।

❏ মাসয়ালা: (১৬১)
আউলিয়াদের কারামত হক। তা দ্বারা মুসলিম জাতির ফায়দা হয় নবীদের মু’জেযার মত মানুষকে হিদায়ত করে।

❏ মাসয়ালা: (১৬২):
কোনো অলী নবীর মর্যাদায় পৌঁছতে পারবে না।
 
Top