ফিত্নাকালীন সময়ে এ থেকে বেঁচে থাকার উপায়।

🖋মাসুম বিল্লাহ সানি 

------------------------------------

আমি সর্বদাই ফিতনা থেকে দূরে থাকতে চাই। কাউকে কখনো কটাক্ষ করি না আর যেকোন ফিত্নায় নাকও গলাই না। 

আকাবেরদের মধ্যে মতানৈক্য হলে তারা মিলেই এসব ঠিক করে নিবেন। নয়ত হাজার মানুষের সহস্র মানসিকতা নিয়ে যখন এক একজন একেক রকম বক্তব্য দিবে (কেউ ভাল, কেউ মন্দ, কেউ গালি, কেউ সমাধান, কেউ প্রতিহিংসা, কেউ ফতোয়া) তখন ফিতনা হাপরের ন্যায় জ্বালিয়ে দিবে। 

তাই চলমান পরিস্থিতিতে বিবেক সম্পন্ন মানুষদের ফিত্নায় না জড়ানোর অনুরোধ। বিবেকবানদের এ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য এই পোস্টটিই যথেষ্ঠ। ইসলামের কুৎসিত রূপগুলো নয় সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলোন। তবেই মানুষ এ পথে আকৃষ্ট হবে নয়ত আধুনিক যুব সমাজের চিন্তাশীল একদিন এমন ফতোয়াবাজির দ্বীনকে ত্যাগ করবে। মনে রাখবেন পুরো বিশ্বের সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসলমান সুন্নি আর এটা এমন নয় যে সুন্নি শুধুমাত্র বাংলাদেশে কিংবা আপনার নির্দিষ্ট পছন্দীয় দল, গোষ্ঠী কিংবা দরবারই একমাত্র হক্ব সুন্নি আর বাকি সব বাতিল। আমভাবে কাউকে বাতিল/কাফির ফতোয়া দেয়া মানে লাখো-কোটির উপর সেই ফতোয়া আরোপ করা। আর আল্লাহ পাকের ৮টা জান্নাতও এত ছোট নয় যে শুধুমাত্র আপনার পছন্দের গোষ্ঠীর জন্যই জান্নাত তৈরি করা হয়েছে। আমরা এত Sub Division করেছি যে তার কোন শেষ নেই। তাছাড়া আহলুস সুন্নাহর আকিদা হল নবীগণ (আলাইহিমুস সালাম) একমাত্র মাসুম। অন্যদের দ্বারা ভুল-ত্রুটি হতে পারে (কিন্তু বুজুর্গানে দ্বীনের ক্ষেত্রে ভুল করা কিংবা তাদের ভুল বর্ণনা করা সবক্ষেত্রে জরুরি নয়)। ভুল তো যেকোন মানুষ দ্বারাই সংঘটিত হতে পারে। কিন্তু আমরা এমন মানসিকতা গড়ে নিয়েছি যে পছন্দের মানুষ কর্তৃক ভুল হতে পারে সেটা Impossible মনে করি। একজনের অপছন্দের ব্যক্তি যদি ভুল করে তবে তাকে তো এমন ভাবে সমালোচনা করা হয় যেন সমালোচনাকারী ব্যক্তি জীবনে কোন ভুল করেনি। আমাদের কট্টরপন্থী মনোভাব ত্যাগ করে হাদিসের নির্দেশ অনুযায়ী মধ্যমপন্থী হতে হবে। এভাবে চলতে থাকলে মাইনাস হতে হতে এক সময় রাস্তায় মার খেতে হবে, আর বিরোদ্ধবাদীদের নিকট তামাশার খোরাক হতে হবে। যাই হোক এসব মানসিকতার পরিবর্তন দরকার।

 
Top