দরসে হাদিস-কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

১. হযরত আয়েশা রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা  থেকে বর্ণিত, নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক রাতে যখন আপন বিছানায় তাশরীফ নিয়ে যেতেন, তখন আপন দু'হাত একত্রিত করে তাতে ফুঁক দিতেন। যেগুলোতে 'ক্বুল হুয়াল্লা-হু আহাদ', 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিল ফালাক্ব' এবং 'ক্বুল আ'ঊ-যু বিরাব্বিন না-স' পড়তেন। তারপর শরীর মোবারকের যতটুকু অংশ পর্যন্ত সম্ভব হতো ওই হাত দু'টি বুলাতেন। আপন শির মোবারক ও পবিত্র চেহারার সম্মুখস্ত অংশ থেকে (মাসেহ) আরম্ভ করতেন। এটা তিনবার করতেন। 

সূত্র- বোখারি ও মুসলিম শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০২৭।

২. হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি নবি করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি এরশাদ করেছেন- ক্বিয়ামতের দিন তিনটি জিনিষ আরশের নিচে থাকবেঃ (১) কোরআনে করিম যা বান্দাদের পক্ষে বাদানুবাদ করবে, কোরআনের একটি প্রকাশ্য দিক আছে, আরেকটি অপ্রকাশ্য দিক রয়েছে।  (২) আমানত এবং (৩) রক্তের বন্ধন, যা ডেকে ডেকে বলবে, যে ব্যক্তি আমাকে জুড়েছে, আল্লাহ তাকে নিজের সাথে মিলিয়ে নেবেন, আর যে ব্যক্তি আমাকে ছিন্ন করেছে, আল্লাহ তাকে নিজের নিকট থেকে দূরে ছুড়ে মারবেন। 

সূত্র- শরহে সুন্নাহ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং-২০২৮।

৩.  হযরত ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুমা  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যার বক্ষে ক্বোরআন নেই, সে ধ্বংসপ্রাপ্ত ঘরের মতো।

সূত্র- তিরমিযী ও দারেমী  শরিফ। মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদিস নং- ২০৩০।
 
Top