২০ মিনিটে ২০ খতম আল-কুরআন এর ছাওয়াব!
Share কেন করবেন?
⛔ রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-আমার পক্ষ থেকে একটি বাণী হলেও [মানুষের কাছে] পৌঁছে দাও।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩২৭৪,সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৬২৫৬, সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৬৯)
আর Share/ পোস্ট করে মানুষকে জানালে কি লাভ?
⛔ "যে ব্যক্তি কল্যাণ ও সৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকে অংশ পাবে এবং যে ব্যক্তি অকল্যাণ ও অসৎকাজের সুপারিশ করবে, সে তা থেকেও অংশ পাবে। ‘আল্লাহ সব জিনিসের প্রতি নজর রাখেন।"
(আল-কুর'আন, সুরা নিসা : ৮৫)।
⛔ রাসুল (ﷺ) বলেন, “যে ব্যক্তি ইসলাম ধর্মে কোনো সুন্নাতুন্ হাসানা তথা উত্তম প্রথা/রীতি প্রবর্তন করে, সে তার সওয়াব পাবে এবং যারা তার পরে এতে আমল করবে, তাদের সওয়াবও সে পেতে থাকবে, আর তাদের (পরবর্তী আমলকারীদের) সওয়াবেরও এতে কোন কমতি হবে না। অনুরূপ ভাবে কেউ যদি ধর্মে খারাপ কিছু সংযোজন করে আর কেউ তা অনুসরণ করে, সে ওই মন্দের জন্য দায়ী থাকবে।” [সহীহ মুসলিম : ৬৪৬৬] (সুবাহান্নাল্লাহ, আল্লাহু আকবার)
10 - 700 গুণ সওয়াবঃ
⛔ রাসুল (ﷺ) বলেন ‘আল্লাহ তাআলা বলেন, আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার নিজের জন্য; তাতে তার সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু রোযা নয়। রোযা হল আমার জন্য। আর আমি নিজে তার প্রতিদান দেব।’’ (বুখারী ও মুসলিম)
⛔ Calculation :
তাহলে বুঝা গেল, রোজা ছাড়া প্রতিটা ভাল কাজের সওয়াব ৭০ থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত বর্ধিত হয়ে থাকে সেখানে রমজানে আরো বেশি সওয়াব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। দেখুন আল্লাহ যদি চান (ইনশাআল্লাহ)
→ (২০ খতম (গুণ) ৭০০ গুন সওয়াব) = ১৪০০০ খতমের সওয়াব পেতে পারেন মাত্র ২০ মিনিটে। (সুবহানআল্লাহ)
⛔ আমলের সওয়াব কি বর্ধিত হয়?
"কাজেই কুরআন হতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি করো। আল্লাহ দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের আত্মার জন্য যা কিছু অগ্রে (মৃত্যুর পূর্বে) পাঠাবে তা আল্লাহর নিকট উৎকৃষ্টরূপে এবং পুরষ্কার হিসেবে বর্ধিতরূপে পাবে। (সূরা মুজাম্মিল ২০)
20 মিনিটে 20 খতম আল-কুরআনের সওয়াবঃ
⛔ সুরা ফাতিহা ৩ বার পড়লে আল-কুরআন ২ বার খতমের সওয়াব হয়।
[ইমাম কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী (রহঃ) : তফসীরে মাযহারী ১ম, পৃ ১৫]
⛔ আয়তুল কুরসী ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।
(তফসীরে মাযহারী ২য় খন্ড, পৃ ৩১)
সূরা আল-বাকারা আয়াত ২৫৫ (আয়তুল কুরছী)
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ (255)
উচ্চারণঃ
[আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লাহু ওয়া আল হাইয়্যুল কাইয়ূমু ★ লা-তা’খুযুহূ ছিনাতুওঁ ওয়ালা-নাওমুন ★ লাহূ মা ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা-ফিল আরদি ★ মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহী ★ ইয়া‘লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খালফাহুম ★ ওয়ালা-ইউহীতূনা বিশাইইম মিন ‘ইলমিহীইল্লা-বিমা-শা---'আ ★ ওয়াছি‘আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদা ★ ওয়ালা-ইয়াঊদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়ূল ‘আজীম।]
⛔ সুরা ইখলাস ৩ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।
(সহিহ বুখারী ২য়, পৃ ৬৫০) যত বেশি পড়বেন তত বেশি সওয়াব।
⛔ সুরা ইয়াসিন ১ বার পড়লে ১০ খতম এর সওয়াব হয়।
(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৬)
⛔ সুরা কাফিরুন ৪ বার পড়লে খতমের সওয়াব হয়।
(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
সূরা কাফিরূনঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম 
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ (1) لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ (2) وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (3) وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ (4) وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ (5) لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ (6)
উচ্চারণঃ
1. ক্বুল ইয়া আইয়্যুহাল কাফিরুন।
2. লা আ'বুদু মা তা'বুদ।
3. ওয়ালা আনতুম আ'বিদুনা মা আ'বূদ।
4. ওয়ালা আনা আ'বিদুম্মা আবাত্তুম।
5. ওয়ালা আনতুম আ'বিদুনা মা আ'বুদ।
6. লাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়াদ্বীন।
⛔ সুরা যিলযাল ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
সূরা জিলযালঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
إِذَا زُلْزِلَتِ الْأَرْضُ زِلْزَالَهَا (1) وَأَخْرَجَتِ الْأَرْضُ أَثْقَالَهَا (2) وَقَالَ الْإِنسَانُ مَا لَهَا (3) يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا (4) بِأَنَّ رَبَّكَ أَوْحَىٰ لَهَا (5) يَوْمَئِذٍ يَصْدُرُ النَّاسُ أَشْتَاتًا لِّيُرَوْا أَعْمَالَهُمْ (6) فَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ خَيْرًا يَرَهُ (7) وَمَن يَعْمَلْ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ شَرًّا يَرَهُ (8)
উচ্চারণঃ
1. ইযা-ঝুলঝিলাতিল আরদুঝিলঝা-লাহা-।
2. ওয়া আখরাজাতিল আরদুআছকা-লাহা-।
3. ওয়া কা-লাল ইনছা-নুমা-লাহা-।
4. ইয়াওমাইযিন তুহাদ্দিছু আখবা-রাহা-।
5. বিআন্না রাব্বাকা আওহা-লাহা-।
6. ইয়াওমাইযিইঁ ইয়াসদুরুন্না-ছুআশতা-তাল লিউউরাও আ‘মা-লাহুম।
7. ফামাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন খাইরাইঁ ইয়ারাহ।
8. ওয়া মাইঁ ইয়া‘মাল মিছকা-লা যাররাতিন শাররাইঁ ইয়ারাহ।
⛔ সুরা ক্বদর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।
[হাফিজুল হাদিস ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) : তফসীরে দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৮০]
সূরা ক্বদরঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ (1) وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ (2) لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ (3) تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ (4) سَلَامٌ هِيَ حَتَّىٰ مَطْلَعِ الْفَجْرِ (5)
উচ্চারণঃ
1. ইন্নাআনঝালনা-হু ফী লাইলাতিল কাদর।
2. ওয়ামাআদরা-কা-মা-লাইলাতুল কাদর।
3. লাইলাতুল কাদরি খাইরুম মিন আলফি শাহর।
4. তানাঝঝালুল মালাইকাতু ওয়াররুহু ফীহা-বিইযনি রাব্বিহিম মিন কুল্লি আমর।
5. ছালা-মুন হিয়া হাত্তা-মাতলা‘ইল ফাজর।
⛔ সুরা নাসর ৪ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়।
(সহিহ তিরমিযি ২য়, পৃ ১১৭)
সূরা আন-নাসরঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
إِذَا جَآءَ نَصْرُ ٱللَّهِ وَٱلْفَتْح ُ(1)
وَرَأَيْتَ ٱلنَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفْوَاجًا (2)
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَٱسْتَغْفِرْهُ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابًۢا (3)
উচ্চারণঃ
1. ইযা-জাআ নাসরুল্লা-হি ওয়াল ফাতহ।
2. ওয়ারাআইতান্না-ছা ইয়াদখুলূনা ফী দীনিল্লা-হি আফওয়া-জা-।
3. ফাছাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াছতাগফিরহু ইন্নাহূকা-না তাওওয়া-বা-।
⛔ সুরা আদিয়াত ২ বার পড়লে ১ খতমের সওয়াব হয়। (দুররে মনসুর ৬ষ্ট, পৃ ৬৯৫)
সূরা আল-আদিয়াতঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
وَٱلْعَٰدِيَٰتِ ضَبْحًا
فَٱلْمُورِيَٰتِ قَدْحًا
فَٱلْمُغِيرَٰتِ صُبْحًا
فَأَثَرْنَ بِهِۦ نَقْعًا
فَوَسَطْنَ بِهِۦ جَمْعًا
إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ لِرَبِّهِۦ لَكَنُودٌ
وَإِنَّهُۥ عَلَىٰ ذَٰلِكَ لَشَهِيدٌ
وَإِنَّهُۥ لِحُبِّ ٱلْخَيْرِ لَشَدِيدٌ
أَفَلَا يَعْلَمُ إِذَا بُعْثِرَ مَا فِى ٱلْقُبُورِ
وَحُصِّلَ مَا فِى ٱلصُّدُورِ
إِنَّ رَبَّهُم بِهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّخَبِيرٌۢ
উচ্চারণঃ
1. ওয়াল ‘আ-দিয়া-তি দাবহা-।
2. ফাল মূরিয়া-তি কাদহা-।
3. ফাল মুগীরা-তি সুবহা-।
4. ফাআছারনা বিহী নাক‘আ-।
5. ফাওয়াছাতানা বিহী জাম‘আ-।
6. ইন্নাল ইনছা-না লিরাব্বিহী লাকানূদ।
7. ওয়া ইন্নাহূ‘আলা-যা-লিকা লাশাহীদ।
8. ওয়া ইন্নাহূলিহুব্বিল খাইরি লাশাদীদ।
9. আফালা-ইয়া‘লামুইযা-বু‘ছিরা মা-ফিল কুবূর।
10. ওয়া হুসসিলা মা-ফিসসুদূর,
11. ইন্না রাব্বাহুম বিহিম ইয়াওমাইযিল্লাখাবীর।
⛔ সুরা তাকাসুর ১ বার পাঠ করলে ১০০০ আয়াত পাঠের সমান সওয়াব হয়। (বায়হাকী, মিশকাত ১ম, পৃ ১৯০)
সূরা আত-তাকাছুরঃ বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
أَلْهَىٰكُمُ ٱلتَّكَاثُرُ
حَتَّىٰ زُرْتُمُ ٱلْمَقَابِرَ
كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
ثُمَّ كَلَّا سَوْفَ تَعْلَمُونَ
كَلَّا لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ ٱلْيَقِينِ
لَتَرَوُنَّ ٱلْجَحِيمَ
ثُمَّ لَتَرَوُنَّهَا عَيْنَ ٱلْيَقِينِ
ثُمَّ لَتُسْـَٔلُنَّ يَوْمَئِذٍ عَنِ ٱلنَّعِيمِ
1. আলহা-কুমুত্তাকা-ছু র।
2. হাত্তা-ঝুরতুমুল মাকা-বির।
3. কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
4. ছু ম্মা কাল্লা-ছাওফা তা‘লামূন।
5. কাল্লা-লাও তা‘লামূনা ‘ইলমাল ইয়াকীন।
6. লাতারাউন্নাল জাহীমা
7. ছু ম্মা লাতারাউন্নাহা-‘আইনাল ইয়াকীন।
8. ছু ম্মা লাতুছআলুন্না ইয়াওমাইযিন ‘আনিন্না‘ঈম।
⛔ দুরুদে লাকী ১ বার পড়লে ১ লক্ষ বার দুরুদ পাঠের সমান সওয়াব হয়।
⛔ ২০ লক্ষ নেকীর দোয়া :
" লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকা'লাহু আহাদান সামাদান লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউ লাদ ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুয়ান আহাদ "
পরিশেষে,
প্লিজ শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন।
 
Top