হাউজে    কাউছারের     দৈর্ঘ্য-প্রস্থ    সম্পর্কে     নবী    করিম সাল্লাল্লাহু    আলাইহি    ওয়াসাল্লাম    বিভিন্নজনের      কাছে বিভিন্ন  জায়গার নাম উল্লেখ   করেছেন। যেমন-  হযরত সাওবান  রাদিয়াল্লাহু  আনহু  বর্ণিত    হাদিসে    বলেছেন- ‘মদিনা হতে আম্মান’ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য-প্রস্থ। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসে বলেছেন ‘আমার  হাউজ  একমাসের  রাস্তার  মত  দৈর্ঘ্য।’  হযরত  আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসে  বলেছেন- ‘হাউজের দৈর্ঘ্য  হবে  সিরিয়ার  জারবা    হতে আযরোহ’  শহরদ্বয়ের  মধ্যবর্তী  স্থানের  সমান।  হযরত  আবু       হুরায়রা      রাদিয়াল্লাহু       আনহু      বর্ণিত      হাদিসে বলেছেন- ‘আয়লা ও এডেনের মধ্যবর্তী স্থানের সমান’। হযরত   আবু    সায়িদ   খুদরী    রাদিয়াল্লাহু   আনহু   বর্ণিত হাদিসে  বলেছেন-  কা’বা  ও  বাইতুল  মোকাদ্দাস-  এর  মধ্যবর্তী  স্থানের  সমান।  সব  বর্ণনার  মূল  কথা  হলো-  হাউজে   কাউছার   খুব  বড়  আকারের  হবে-   যার   যার পরিচিত স্থানের দূরত্বের সমান।

এই  ৬টি বর্ণনায় বিভিন্ন  স্থানের সাথে তুলনা দিয়েছেন  এজন্য যে, যে জায়গার দূরত্ব সম্পর্কে যে সাহাবি বেশি অবহিত-  তাঁর  কাছে  সে    স্থানের   উদাহরণ  দিয়েছেন। এতে হাউজে কাউছারের দৈর্ঘ্য-প্রস্থের  একটি পরিস্কার  ধারণা পাওয়া  যাচ্ছে। নবী  করিম   সাল্লাল্লাহু   আলাইহি ওয়াসাল্লাম   তো   মি’রাজ   গিয়ে   নিজ   চোখে   কাউছার  দেখে     এসেছেন।      সুতরাং,      হুজুরের      নিকট      কোন  অস্পষ্টতা ছিল না।

যারা  হাদিসবিদ্যায়  পারদর্শী  নয়-   এমন  কিছু   লোকই বলেছে  যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর    বর্ণনার   মধ্যে   সঠিক     বর্ণনা   প্রতিফলিত    হয়নি। ইমাম  মাহদির  আগমন  সম্পর্কে  নবী  করিম  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লাম  বিভিন্ন  সাহাবিদের কাছে তাঁদের বিবেক অনুযায়ী বর্ণনা দিয়েছেন। মওদুদী সাহেব তার ‘তাজদিদ’ গ্রন্থে বলেছেন-  ‘দাজ্জালের আগমন সম্পর্কে নবীজি নিজেই সন্দেহের মধ্যে ছিলেন।’ (নাউজুবিল্লাহ) দেখুন, মওদুদী জামায়াতের স্বরূপ ২১৩ পৃষ্ঠা। (হায়াত মউত কবর হাশর)

 
Top