পবিত্র    কোরআন      মজিদের      ১১৪     টি    সুরার     মধ্যে সবচেয়ে ছোট সূরা হল সূরা কাউছার।  সূরাটি নবীজির শান-মান       ও       মর্যাদায়          ভরপুর।       এই       সূরাতেই আল্লাহপাক      নবীজিকে      কাউছার      প্রদানের     ঘোষণা দিয়েছেন-

انا   اعطينك  الكوثر-   فصل  لربك   وانحر-    ان  شانك  هو الابتر-

অর্থ: হে হাবিব! নিশ্চয়ই আমি আপানাকে কাউছার দান করেছি।    অতএব    আপনি    আপনার    প্রভূর    উদ্দেশ্যে  নামায      পড়–ন।    এবং    কোরবানি    করুন।    নিশ্চয়ই   আপনার শত্রুই নির্বংশ।

সূরা কাউছারের শানে নুযুল
============
সূরা   কাউছার কুখ্যাত আস ইবনে ওয়াইলের  ব্যাপারে নাজিল  হয়েছে।   সে   রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু    আলাইহি ওয়াসাল্লামকে     আবতার       বা     নির্বংশ     বলে      কটুক্তি  করেছিল।    এর     পরিপ্রেক্ষিতে     আল্লাহতায়ালা    সূরাটি অবতীর্ণ করে  তার জবাব   প্রদান    করেন। সাথে সাথে  রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লামকে   শান্ত্বনা প্রদান করেন।

মুহাম্মদ    ইবনে   আলী   ইবনে    হোসাইন    থেকে   বর্ণিত আছে- যে ব্যক্তির পুত্র সন্তান মারা যায় আরবিতে তাকে আবতার   বা   নির্বংশ  বলা   হয়।  রাসূলেপাক   সাল্লাল্লাহু আলাইহি   ওয়াসাল্লাম এর   পুত্র   হযরত কাসেম অথবা ইব্রাহিম    যখন       শৈশবেই    ইন্তেকাল     করলেন,    তখন কাফেরগণ     তাকে     আবতার     বলে     উপহাস      করতে  লাগল। তাদের মধ্যে আস   ইবনে ওয়াইল  জঘণ্যতম। তার সামনে রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন  আলোচনা হলে সে  বলত, আরে উনার কথা বাদ দাও, উনি তো আবতার।  উনার  মৃত্যুর পর উনার নাম   উচ্চারণ   করার    মতো    কেউ   থাকবে   না।   তখন আল্লাহ তায়ালা সূরা কাউছার অবতীর্ণ করেন।

তাফসিরে সাভীতে বর্ণিত হয়েছে এভাবে-
ان العاص بن وائل السهمى تلا قى مع رسول الله صلى الله عليه  وسلم فى المسجد عند باب بنى  سهم- فتحدثا  وناس من صناديد قريش جلوس فى المسجد- فلما دخل قالوا له من الذى تحدث معه؟ فقال ذلك الابتر يعنى به النبى وكان قد   توفى ولده القاسم فلما قال  تلك  المقالة نزلت السورة تسلية وتبشيراله-

অর্থ: একবার আস বিন ওয়াইল কাবা ঘরের বনী সাহম দরজার       নিকট       রাসূলেপাক         সাল্লাল্লাহু       আলাইহি ওয়াসাল্লাম    এর    সাথে    সাাত    করে    কিছু    বাক্যলাপ  করল।      তখন      কুরাইশদের        নেতৃস্থানীয়       লোকজন মসজিদের    ভিতরে    বসা    ছিল।    অতঃপর      যখন    সে ভিতরে প্রবেশ   করল   তখন তারা  জিজ্ঞাসা করল তুমি  কার   সাথে    কথা   বললে?     সে   বলল    ঐ   আবতারের সাথে।       অর্থাৎ       নবী       করিম       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি  ওয়াসাল্লাম  এর সাথে।  সে সময় নবী  করিম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি     ওয়াসাল্লাম      এর     পুত্র     কাসেম     ইন্তেকাল  করেছিলেন। আসের এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালা    তাঁর  হাবিবকে   শান্ত্বনা  ও   সুসংবাদ  প্রদানের  জন্য সূরা কাউছার অবতীর্ণ করেন।

 
Top