এ  প্রসঙ্গে ইমাম কুরতুবি  ‘গায়লানিয়াত’ গ্রন্থের বরাতে হযরত  আনাস রাদিয়াল্লাহু   আনহু কর্তৃক  বর্ণিত  একটি মরফু হাদিস এভাবে বর্ণনা করেছেন-

وقد  رفع   صاحب  الغيلانيات من حديث  حميد  عن انس  رضى الله تعالى  عنه  قال قال   رسول  الله صلى  الله  عليه وسلم ان على حوضى اربعة  اركان  فاول ركن منها فى  يد ابى  بكر-  الركن  الثانى  فى   يد  عمر-   والركن  الثالث  فى  يد عثمان-  والركن    الرابع  فى   يد  على   رضى   الله   تعالى   عنهم اجمعين- فمن   احب ابا بكر وابغض عمر لم يسقه ابو بكر- ومن احب عمر وابغض ابا بكر-  لم  يسقه  عمر- ومن احب عثمان   وابغض   عليا-   لم   يسقه  عثمان-   ومن   احب  عليا  وابغض عثمان- لم يسقه على- (الغيلانيات والتذكره)

অর্থ: ‘হোমায়েদ- এর সনদে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে  গায়লানিয়াত  এর  গ্রন্থকার  একটি  মরফু  হাদিস     বর্ণনা    করেছেন।    হযরত   আনাস   রাদিয়াল্লাহু আনহু       বলেন-       নবী       করিম       সাল্লাল্লাহু       আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-

‘আমার  হাউজে  কাউছারের  চারটি  কর্ণার  হবে।  প্রথম  কর্ণার   থাকবে    হযরত  আবু   বকরের   দায়িত্বে,  দ্বিতীয় কর্ণার  থাকবে  হযরত  ওমরের  দায়িত্বে,  তৃতীয়  কর্ণার  থাকবে হযরত উসমানের দায়িত্বে, চতুর্থ কর্ণার থাকবে হযরত   আলীর দায়িত্বে। যে ব্যক্তি  আবু বকরের   প্রতি  ভালবাসা  পোষণ    করবে-  কিন্তু   ওমরের   প্রতি  শত্রুতা ভাব   রাখবে,   তাকে    হযরত    আবু     বকর    রাদিয়াল্লাহু আনহু    পানি    পান    করাবেন    না।    যে    ব্যক্তি    হযরত  ওমরের প্রতি মহব্বত পোষণ    করে, কিন্তু  হযরত   আবু বকরের প্রতি বিদ্বেষভাব   পোষণ করবে, তাকে  হযরত ওমর  রাদিয়াল্লাহু  আনহু   পানি   পান  করাবেন  না।   যে ব্যক্তি হযরত ওসমানের প্রতি মহ্বত পোষণ করে,  কিন্তু হযরত  আলীর   প্রতি  বিদ্বেষভাব     রাখে,  তাকে  হযরত ওসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু পানি পান করাবেন না। আর যে  ব্যক্তি  হযরত    আলীর  প্রতি  মহব্বত  পোষণ  করে,  কিন্তু   হযরত   ওসমানের   প্রতি   বিদ্বেষ   পোষণ   করবে,  তাকেও   হযরত   আলী   রাদিয়াল্লাহু     আনহু   পানি   পান করাবেন না। (তাযকিরাহ- ৩৩২ পৃষ্ঠা)

ব্যাখ্যা:    বুঝা    গেল-      চার    খলিফা    পরস্পরের     প্রতি শ্রদ্ধাশীল।  যে  কোন  একজনের     প্রতি    বিদ্বেষ   পোষণ করলে  অন্যরা   তাকে    হাউজে  কাউছারের   পানি   পান করাবেন    না।    সুতরাং  চার  আসহাবের  সকলের  প্রতি মহাব্বত না রাখলে পরকালে তাদের  কোনই সহনুভুতি পাওয়া  যাবে  না।  ইহা  নবীজির   বাণী।  এক্ষেত্রে   শিয়া সুন্নীর   প্রশ্ন   নেই।     প্রশ্ন   হলো-   নবীজির   সুপারিশ     ও হাউজে         কাউছার        নিয়ে।         আল্লাহ         আমাদেরকে  খোলাফায়ে     রাশেদীনের     প্রতি    সুবিচার     ও     যথাযথ মহব্বত     করার    তৌফিক   দিন।    (শিয়াদের    জন্য   এ  হাদিসখানা   চরম   আঘাত  স্বরূপ।  কেননা   তারা  প্রথম তিন    সাহাবিকে   বাতিল   বলে)   (হায়াত    মউত     কবর  হাশর)

 
Top