মিলিয়ে নিন এই খারিজী/ওহাবী/সালাফীদের নিয়ে ভবিষ্যৎবানী আর নিজে নিজে তাদের থেকে সতর্ক হয়ে যান :-
written by (MASUM BILLAH SUNNY)

★ খারিজী : ইসলামের সর্বপ্রথম ফিত্নাবাজ দলের নাম। তাদেরই উত্তরসূরী এখনও বিদ্যমান। তাদের থেকেই অধিকাংশ ভ্রান্ত দলগুলোর শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে।

★ ওহাবীদের সুত্রপাত হয় "আব্দুল ওহাব নজদী" থেকে সে নজদ (পুর্বাঞ্চল) থেকে আবির্ভুত ইসলামের এক জঘন্যতম ফিত্না। আর সেই ওহাবীদের মধ্যে আব্দুল ওহাব নজদী আর তার আকিদা অন্তরের মধ্যে একেবারে গেথে যায়। তার সেই বাতিল সিলসিলার নামই ohabism. 

সহিহ হাদিস থেকে তাদের লক্ষণ সমূহ জেনে নিনঃ

® রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মধ্যে মতানৈক্য ও ফিরকা সৃষ্টি হবে। 

- এমন এক সম্প্রদায় বের হবে যারা সুন্দর ও ভাল কথা বলবে।আর কাজ করবে মন্দ।
- তারা কোরআন পাঠ করবে-তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। 
- তারা দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম থেকে এমনিভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে তীর শিকারী থেকে বেরিয়ে যায়।
- তারা সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্টতম জীব।
ঐ ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ যে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং যুদ্ধে তাদের দ্বারা শাহাদাত বরণ করবে।
- তারা মানুষকে আল্লাহর কিতাব (কোরআন)-এর প্রতি দাওয়াত দেবে,অথচ তারা আমার কোন আর্দশের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।
- যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়বে সে অপরাপর উম্মতের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার অনেক নিকটতম হবে।
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (ﷺ) ! তাদের চিহ্ন কি? হুজুর করীম (ﷺ) উত্তরে বললেন,
- (অপ্রয়োজনে) অধিক মাথা মুন্ডন করা।

১.আবু দাউদ শরীফ,পৃষ্ঠা ৬৫৫,
২.মিশকাত শরীফ,পৃষ্ঠা ৩০৮

® আবু হুরাইরা (رضي الله عنه) থেকে বর্নিত রাসুল (ﷺ) বলেছেন আমার উম্মতের ধ্বংস কিছু অল্পবয়স্ক ছেলেদের হাতে। তখন সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলআল্লাহ (ﷺ)! তখন আমরা কী করব ?রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, জনগন যদি এদের সংশ্রব (সঙ্গ) ত্যাগ করে দিত তবে ভালই হোত। (বুখারি ৩৩৪৭) 

® হযরত আলী (رضي الله عنه) হতে বর্নিত, 
একদা রাসুল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি শেষ জামানায় এমন একদল অল্পবয়স্ক অচিন যুবকদের আবির্ভাব ঘটবে -
- যারা মুখে সৃষ্টিকুলের উত্তম বুলি আওড়াবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হবে যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর বের হয়ে যায়।
- তাদের ঈমান তাদের কন্ঠনালী পার হবে না। 
- তোমরা তাদের যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে।
- যে ব্যাক্তি তাদেরকে হত্যা করবে কেয়ামতের দিনে এ হত্যার জন্য পুরষ্কার পাবে। (হাদিস সহিহ বুখারি ৩৩৪৬) 

Note: (যেহেতু তারাই ইসলামে প্রথম ফিত্নার সূচনাকারী, তারাই হযরত উমর (رضي الله عنه), উসমান (رضي الله عنه) ও আলী (رضي الله عنه) এর হত্যাকারী, তারাই অগনিত সাহাবা ও ইমানদারদের কাফির ফতোয়াদানকারী, যুদ্ধ সূচনাকারী ও ইমানদারদের কতলকারী, শান্তি বিনষ্টকারী। 



পথভ্রষ্ট ’আলিম দাজ্জালের চেয়ে ভয়ংকরঃ



আবূ যার (রদিঃ) বলেছেন, “আমি নবী (ﷺ) -এর 
নিকটে একদিন উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি।’
তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম,
হে আল্লাহর রসূল ﷺ এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের চাইতেও অধিক ভয় করেন?’ তিনি [নবী ﷺ] বললেন, ‘পথভ্রষ্ট ’আলিম গণ।’”
[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩৩৫]

হযরত হুযায়ফা ইবন আল ইয়ামান (رضي الله عنه) বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন – বস্তুতই, আমি এক মানুষ সম্পর্কে ভয় করি যে কুর’আন অধিক পরিমাণে পড়বে। ফলে তার মুখ আলোকিত হয়ে যাবে এবং ইসলামকে ভালভাবে প্রকাশ করবে। আল্লাহ যতক্ষণ চান ততক্ষণ পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। এরপর তার তা ছিনিয়ে নিয়া হবে যখন সে প্রতিবেশী মুসলমানদের অগ্রাহ্য করবে, এবং তাদেরকে শিরকের দায়ে অভিযুক্ত করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হল, এদের মধ্যে আসলে কে শিরক করবে - দোষারপকারী নাকি অভিযুক্ত ব্যক্তি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন দোষারপকারী (যে অন্যদের শিরকের দায়ে অভিযুক্ত করেছে)

● নাসিরুদ্দিন আলবানীর তাহকীককৃত ইবন হিব্বানের সহীহ; ভলিঃ ০১, পৃঃ ২০০, হাদীসঃ ৮১ স্ক্যান কপিঃ
● ওহাবী নেতা নাসিরুদ্দিন আলবানী তার সিলসিলাত আল-হাদীস আল-সহীয়াহ তে হাদীসটিকে হাসান বলেছে; ভলিঃ ০৭-A, পৃঃ ৬০৫, হাদীসঃ ৩২০১ # ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ তে; ভলিঃ ০১, পৃঃ ২৮২
● বুখারী তাঁর তারিখুল কাবীর এ; ভলিঃ ০৪, পৃঃ ৩০১
● হায়তামী তাঁর মাযমা আয-যাবীদ এ; যেখানে তিনি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন।
● ইবন কাসীর তাঁর তাফসীর এ হাদীসের চেইনটিকে শক্তিশালী বলেছেন; সূরা আল-আ’রাফ, ভলিঃ ০২, পৃঃ ২৬৬।
● মুসনাদ আবু ইয়ালা।


এই উক্তিটি যদি calculation করেন আল্লাহর কসম সুন্নীদের ছাড়া আর কাউকে দেখবেন না কারন সুন্নীরা যাই করে তাই ওহাবীদের কাছে শিরিক মনে হয়।
● মিলাদ কিয়াম শিরিক বিদাত বলেঃ 
● ওসীলা চাওয়াকেও শিরিক বিদাত বলেঃ
● মাযারে যারা যায় তাদের মাযার পুজারী বলেঃ
● আজ-কালিমা শরীফের মধ্যে রাসুল(ﷺ) এর নাম নেয়া এটাও শিরিক ফতোয়া দিয়ে দিয়েছে অনেক মসজিদ থেকে ইতিমধ্যে কালিমা থেকে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ নামও মুছে দিয়েছে। 
● নবীজী (ﷺ) নুর মানলে নাকি শিরিকঃ
● নবীজী(ﷺ) এর আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েব মানা নাকি শিরিকঃ
● পা ধরে সালাম করা কিংবা কদম্বুচি করা শিরিকঃ
● রাসুল (ﷺ) কে হাজির নাজির মানা নাকি শিরিকঃ

(নাউযুবিল্লাহ)

আরো অগনিত কারণ রয়েছে উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।

রাসুল (ﷺ) আমাদের নিয়ে মুশরিক হয়ে যাবার আশংকা করেন না অথচ ওহাবী-সালাফীরা তাই করেঃ


® রাসুল (ﷺ) বলেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি আমার – হাওয কে এখন দেখছি। আমাকে তো যমীনের ধনাগারের চাবিসমূহ অথবা যমীনের চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। 

আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের উপর এ আশংকা করছি না যে, তোমরা আমার পরে মুশরিক হয়ে যাবে (অর্থাৎ শিরিক কারী করবে)।

 (বোখারী ৮ খণ্ড, ৭৬ অধ্যায়, ৪৩৪ নং হাদিস)


আহলে হাদিস ওরুফে সালাফীবাদ / Salafism:-

Lider : Ibn Taymiaah, Ibn Qiyum, Imam Sawkani , Nasir uddin Al-Bani,

Dr. Jakir Naik, Billal philips, Shaikh Motiur Rahman Madani , Abdullah Jahangir etc.



আহলে হাদিসরা ওহাবীদের আরেক শাখা-প্রশাখা। 

তারা আবার মাযহাব মানাকে শিরিক ফতোয়া দেয় দেখুন ইমাম গনের তাকলিদ হাদিস থেকে :-

তিনি আরও বলেন,
তুমি অবশ্যই মুসলমানদের জামায়াত ও তাঁদের ইমামের অনুসরণ করবে ।
— সহিহ বুখারী, খ ৪, পৃঃ ১৯৯, হাদিস নং ৩৬০৬; সহিহ মুসলিম, সহিহ বুখারী, খ ৩, পৃঃ ১৪৭৫, হাদিস নং ১৮৪৭


অতঃপর তোমরা মুসলামান দের বৃহৎ দলকে অনুসরণ কর । কেননা যারা বৃহৎ দল হতে বের হবে তারা দোযখে পতিত হবে ।
— আল মুসতাদরাকু লিল হাকিম, প্রথম প্রকাশ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ্‌, বৈরুত, ১৪১১ হিঃ) খ ১, পৃঃ ১৯৯, হাদিস নং ৩৯১; সুনানু ইবনি মাজাহ্‌, ইমাম ইবনু মাজাহ্‌, প্রাগুক্ত, খ ২, পৃঃ ১৩০৩, হাদিস নং ৩৯৫০

এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ্‌ হিদায়াত করেছেন । অতএব তাঁদের হিদায়াত তুমি অনুসরণ কর ।

— সূরা আন’আম ৯০

স্মরণ করো, যেদিন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাঁদের ইমামসহ ডাকব ।

— সূরা ঈশরা ৭১

যদি তোমরা না জানো, তবে যারা জানে তাঁদের জিজ্ঞেস করো ।

— সূরা নাহল ৪৩

হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যে যারা ‘উলুল আমর’ তাঁদের ।

— সূরা নিসা ৫৯

উলুল আমর বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে- এ সম্পর্কে কারো কারো মত হলো- 


® উলুল আমর মুসলমান ফকীহ্‌গন । আবার কেউ কেউ বলেছেন- উলুল আমর বলতে ফকীহগনকে বুঝানো হয়েছে । (ইবনে জারির তাবারী, তাফসীরু জামিউল বায়ান, খ ৫, পৃঃ ৮৮)

® হযরত ইমাম রাজী (রঃ) এই দ্বিতীয় মতটিকে দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা প্রাধান্য দিয়েছেন । তারপর তিনি লিখেছেন- এই আয়াতে ‘উলুল আমর’ বলতে উলামায়ে কেরামকে বুঝানো হয়েছে, এটাই সঠিক মত । (ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ ফখরুদ্দিন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, খ ৩, পৃঃ ৩৩৪) 

১২০০ বছর আগের ইমাম থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর সার্টিফিকেটঃ

মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন (রহ) [ওফাত ১১০ হিঃ] স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক হিসেবে সুপ্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস।

তিনি বলেন, প্রথম প্রথম লোকেরা হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত না কিন্তু যখন ফেতনা, বেদআত ও মন গড়া বর্ণনা প্রসার হতে লাগল তখন হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা অপরিহার্য হয়ে গেল। যদি হাদীস বর্ণনাকারী আহলুস-সুন্নাহ হত, তাহলে তা গ্রহণ করা হত আর যদি বর্ণনাকারী বিদআতপন্থি হত তাহলে তার হাদীস গ্রহণ করা হত না। (মুসলিম)
 
Top