রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】</div><div style="text-align: justify;">৫২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা</div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো পেটভরে খাওয়ার মতো খেজুর থাকত না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৪</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ , يَقُولُ : أَلَسْتُمْ فِي طَعَامٍ وَشَرَابٍ مَا شِئْتُمْ ؟ " لَقَدْ رَأَيْتُ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ , مَا يَمْلأُ بَطْنَهُ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সিমাক ইবনে হারব (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি নুমান ইবনে বশীর (رضي الله عنه) কে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কি তোমাদের চাহিদামতো খাওয়া-দাওয়ায় তৃপ্ত নও? অথচ নবী (ﷺ) কে দেখেছি যে, পেটভরে খাওয়ার মতো খারাপ খেজুরও তাঁর ঘরে থাকত না।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৫০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৪০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৫৪৬৩; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৭৫; মিশকাত, হা/৪১৯৫।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">কখনো কখনো তাঁর পরিবারের চুলায় ১ মাসের অধিক সময় পর্যন্তও আগুন জ্বালানো হতো না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৫</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدَةُ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " إِنْ كُنَّا آلَ مُحَمَّدٍ نَمكُثُ شَهْرًا مَا نَسْتَوْقِدُ بِنَارٍ ، إِنْ هُوَ إِلا التَّمْرُ وَالْمَاءُ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমাদের নবীর পরিবারে কখনো এমন হতো যে, এক মাসের অধিক সময় পর্যন্ত আগুন জ্বালানো হতো না; শুধু পানি ও খেজুর খেয়ে কাটাতাম।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৪৫৮; সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৩৯; ইবনে মাজাহ, হা/৪১৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৭৮; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৬১</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও কয়েকজন সাহাবীর ক্ষুধাকালীন এক সময়ের ঘটনা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৬</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي سَاعَةٍ لا يَخْرُجُ فِيهَا , وَلا يَلْقَاهُ فِيهَا أَحَدٌ ، فَأَتَاهُ أَبُو بَكْرٍ ، فَقَالَ : " مَا جَاءَ بِكَ يَا أَبَا بَكْرٍ ؟ " ، قَالَ : خَرَجْتُ أَلْقَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنْظُرُ فِي وَجْهِهِ ، وَالتَّسْلِيمَ عَلَيْهِ ، فَلَمْ يَلْبَثْ أَنْ جَاءَ عُمَرُ , فَقَالَ : " مَا جَاءَ بِكَ يَا عُمَرُ ؟ " ، قَالَ : الْجُوعُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ، قَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " وَأَنَا قَدْ وَجَدْتُ بَعْضَ ذَلِكَ " ، فَانْطَلَقُوا إِلَى مَنْزِلِ أَبِي الْهَيْثَمِ بْنِ التَّيْهَانِ الأَنْصَارِيِّ , وَكَانَ رَجُلا كَثِيرَ النَّخْلِ وَالشَّاءِ ، وَلَمْ يَكُنْ لَهُ خَدَمٌ ، فَلَمْ يَجِدُوهُ ، فَقَالُوا لامْرَأَتِهِ : أَيْنَ صَاحِبُكِ ؟ فَقَالَتِ : انْطَلَقَ يَسْتَعْذِبُ لَنَا الْمَاءَ ، فَلَمْ يَلْبَثُوا أَنْ جَاءَ أَبُو الْهَيْثَمِ بِقِرْبَةٍ يَزْعَبُهَا ، فَوَضَعَهَا ثُمَّ جَاءَ يَلْتَزِمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيُفَدِّيهِ بِأَبِيهِ وَأُمِّهِ ، ثُمَّ انْطَلَقَ بِهِمْ إِلَى حَدِيقَتِهِ فَبَسَطَ لَهُمْ بِسَاطًا ، ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى نَخْلَةٍ فَجَاءَ بِقِنْوٍ فَوَضَعَهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَفَلا تَنَقَّيْتَ لَنَا مِنْ رُطَبِهِ ؟ " فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أَرَدْتُ أَنْ تَخْتَارُوا ، أَوْ تَخَيَّرُوا مِنْ رُطَبِهِ وَبُسْرِهِ ، فَأَكَلُوا وَشَرِبُوا مِنْ ذَلِكَ الْمَاءِ . فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هَذَا وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مِنِ النَّعِيمِ الَّذِي تُسْأَلُونَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ! ظِلٌّ بَارِدٌ ، وَرُطَبٌ طَيِّبٌ ، وَمَاءٌ بَارِدٌ " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ لِيَصْنَعَ لَهُمْ طَعَامًا . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لا تَذْبَحَنَّ ذَاتَ دَرٍّ " ، فَذَبَحَ لَهُمْ عَنَاقًا أَوْ جَدْيًا ، فَأَتَاهُمْ بِهَا فَأَكَلُوا ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " هَلْ لَكَ خَادِمٌ ؟ " ، قَالَ : لا ، قَالَ : " فَإِذَا أَتَانَا , سَبْيٌ , فَأْتِنَا " . فَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِرَأْسَيْنِ لَيْسَ مَعَهُمَا ثَالِثٌ ، فَأَتَاهُ أَبُو الْهَيْثَمِ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " اخْتَرْ مِنْهُمَا " فَقَالَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، اخْتَرْ لِي . فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ الْمُسْتَشَارَ مُؤْتَمَنٌ ، خُذْ هَذَا , فَإِنِّي رَأَيْتُهُ يُصَلِّي ، وَاسْتَوْصِ بِهِ مَعْرُوفًا " . فَانْطَلَقَ أَبُو الْهَيْثَمِ إِلَى امْرَأَتِهِ ، فَأَخْبَرَهَا بِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، فَقَالَتِ امْرَأَتُهُ : مَا أَنْتَ بِبَالِغٍ حَقَّ مَا ، قَالَ فِيهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلا بِأَنْ تَعْتِقَهُ ، قَالَ : فَهُوَ عَتِيقٌ ، فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ اللَّهَ لَمْ يَبْعَثْ نَبِيًّا وَلا خَلِيفَةً إِلا وَلَهُ بِطَانَتَانِ : بِطَانَةٌ تَأْمُرُهُ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَاهُ عَنِ الْمُنْكَرِ ، وَبِطَانَةٌ لا تَأْلُوهُ خَبَالا ، وَمَنْ يُوقَ بِطَانَةَ السُّوءِ فَقَدْ وُقِيَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, একদিন নবী (ﷺ) এমন সময় ঘর থেকে বের হলেন, যখন সচরাচর তিনি বের হন না। কেউ সাক্ষাৎ করতেও আসে না। এমন সময় আবু বকর (رضي الله عنه) তাঁর কাছে আসলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ হে আবু বকর! বললেন, আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে, তাঁর চেহারা দেখতে ও সালাম জানাতে এসেছি। কিছুক্ষণ পর উমার (رضي الله عنه) আসলেন। জিজ্ঞেস করলেন, কি জন্য এসেছ উমার? বললেন, ক্ষুধার তাড়নায় হে আল্লাহর রাসূল! রাসূলুল্লাহ বললেন, আমিও তা-ই অনুভব করছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর তারা তিনজনই আবুল হায়সাম ইবনে তায়্যিহান আল আনসারীর বাড়ি গেলেন। তাঁর অনেক খেজুর বাগান, ফল বাগান ও ছাগলের পাল। কিন্তু কোন খাদেম ছিল না। তারা তাঁর দেখা পেলেন না। ফলে তারা তাঁর স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার স্বামী কোথায় গিয়েছেন? বলল, আমাদের জন্য মিঠা পানি আনতে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরই আবুল হায়ছাম পানির পাত্র নিয়ে ফিরে আসলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখে আনন্দে জড়িয়ে ধরেন এবং তাঁর পিতামাতাকে উৎসর্গ করতে থাকেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তারপর তাদেরকে নিয়ে বাগানে গেলেন এবং তাঁদের জন্য বিছানা বিছিয়ে দিলেন। খেজুর বাগান হতে এক ছড়া খেজুর এনে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের জন্য তাজা খেজুর বেছে আনলে না কেন? (পূর্ণ একটি ছড়া আনার কি প্রয়োজন ছিল)। আবুল হায়ছাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি চাই আপনি তা হতে কাঁচা ও পাকা খেজুর বেছে নিন। অতঃপর তারা সকলেই খেজুর খেলেন এবং পানি পান করলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, যাঁর হাতে আমার প্রাণ তাঁর কসম, এসবও সেসব নিয়ামতের মধ্যে গণ্য, কিয়ামতের দিন যেগুলোর হিসাব নেয়া হবে। তা হলো, শীতল ছায়া, তরতাজা খেজুর ও ঠাণ্ডা পানি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর আবুল হায়সাম তাদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য চলে গেলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের জন্য যেন দুগ্ধবতী ছাগী যবেহ করা না হয়। অতঃপর তাদের জন্য একটি বাচ্চা ছাগল যবেহ করা হলো এবং যথাশ্ৰীঘ্র খাবার হাযির করা হলো এবং তাঁরা আহার করলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, তোমার কোন খাদেম আছে কি? তিনি বললেন, না। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাদের যখন কোন গোলাম আসবে, তখন আমাকে মনে করিয়ে দিও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে ২ জন গোলাম আসল। তাদের সঙ্গে তৃতীয় কেউ ছিল না। এমন সময় আবুল হায়সাম সেখানে উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে বললেন, এ ২ জনের মধ্য হতে একজনকে বেছে নাও। বললেন, হে আল্লাহর নবী! আপনিই বেছে দিন। নবী (ﷺ) বললেন, পরামর্শদাতা বিশ্বস্ত হয়। অতএব তুমি একে নাও। কারণ, আমি তাকে সালাত আদায় করতে দেখেছি। আর আমি তোমাকে তাঁর সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার জন্য অসিয়ত করছি।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর আবুল হায়সাম স্ত্রীর কাছে ফিরে গেলেন এবং তাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অসিয়তের কথা শুনালেন। তাঁর স্ত্রী বললেন, আপনার জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কথা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা সম্ভব নাও হতে পারে। অতএব আপনি গোলামকে আযাদ করে দিন। তাতে আবুল হায়ছম গোলামটিকে আযাদ করে দেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রত্যেক নবী ও খলীফার জন্য ২ জন গোপন পরামর্শদাতা সৃষ্টি করে দেন। একজন সৎপরামর্শ দেয় এবং অসৎ কাজ হতে বিরত রাখে। অপরজন ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে ইতস্তত করে না। যে ব্যক্তিকে তাঁর মন্দ স্বভাব থেকে নিরাপদ রাখা হয়েছে, তাকে সকল অন্যায় হতে নিরাপদ রাখা হয়েছে।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৫৪৩৪; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭১৭৮ সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/৩২৯৬ সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৫৮৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৬১২। শু’আবুল ঈমান, হা/৪২৮২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">শিয়াবে তালিবের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে গাছের চামড়া ও পাতা খেয়ে জীবনপাত করতে হয়েছিল</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৭</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ بْنِ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ بَيَانِ بْنِ بِشْرٍ ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ , يَقُولُ : " إِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ هَرَاقَ دَمًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ ، وَإِنِّي لأَوَّلُ رَجُلٍ رَمَى بِسَهْمٍ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ، لَقَدْ رَأَيْتُنِي أَغْزُو فِي الْعِصَابَةِ مِنْ أَصْحَابِ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ الصَّلاةُ وَالسَّلامِ , مَا نَأْكُلُ إِلا وَرَقَ الشَّجَرِ وَالْحُبْلَةِ , حَتَّى تَقَرَّحَتْ أَشْدَاقُنَا ، وَإِنَّ أَحَدَنَا لَيَضَعُ كَمَا تَضَعُ الشَّاةُ وَالْبَعِيرُ ، وَأَصْبَحَتْ بَنُو أَسَدٍ يَعْزُرُونِّي فِي الدِّينِ , لَقَدْ خِبْتُ وَخَسِرْتُ إِذًا وَضَلَّ عَمَلِي " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সা’দ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি ইসলামের প্রথম ব্যক্তি, যে কাফিরদের রক্ত প্রবাহিত করেছে। আমি প্রথম ব্যক্তি, যে আল্লাহর রাস্তায় তীর নিক্ষেপ করেছে। আমরা মুহাম্মাদ (ﷺ) এর সাহাবীরা এমন অবস্থায় যুদ্ধ করেছি যে, গাছের বাকল ও পাতা ছাড়া কিছুই খেতে পেতাম না। এসব খাওয়ার ফলে আমাদের মুখে ঘা হয়ে যেত। এমনকি উট ও বকরীর মলের ন্যায় চর্বিযুক্ত মল পড়ত। তা সত্ত্বেও আসাদের লোকেরা দ্বীন সম্পর্কে আমাকে অভিযুক্ত করেছে। দ্বীন সম্পর্কে যদি আমি অজ্ঞই হই, তবে তো আমার সকল আমলই বরবাদ হয়ে গেল।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৭২৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৯২৩।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৩০ রাত পর্যন্তও সামান্য আহারেই কাটিয়ে ছিলেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৮</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ أَسْلَمَ أَبُو حَاتِمٍ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتٌ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لَقَدْ أُخِفْتُ فِي اللَّهِ وَمَا يَخَافُ أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أُوذِيتُ فِي اللَّهِ وَمَا يُؤْذَى أَحَدٌ ، وَلَقَدْ أَتَتْ عَلَيَّ ثَلاثُونَ مِنْ بَيْنِ لَيْلَةٍ وَيَوْمٍ , وَمَا لِي وَلِبِلالٍ طَعَامٌ يَأْكُلُهُ ذُو كَبِدٍ , إِلا شَيْءٌ يُوَارِيهِ إِبِطُ بِلالٍ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমাকে আল্লাহর পথে এমন ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, যখন আর কাউকে ভয় প্রদর্শন করা হয়নি। আমাকে আল্লাহর পথে এমনভাবে কষ্ট দেয়া হয়েছে, যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। আমাদের ৩০টি রাত এমনভাবে অতিবাহিত হয়েছে, যখন বিলালের বগলের নিচে লুকিয়ে রাখা সামান্য খাদ্য ছাড়া আমার ও বিলালের আহারের মতো কিছুই ছিল না।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] ইবনে মাজাহ, হা/১৫১; মুসনাদে আহমদ, হা/১৪০৮৭; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৮০; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩২০৫; সহীহ ইবনে হিব্বান, হ/৬৫৬০ মুসান্নাফে ইবনে আবিশাইবা, হা/৩৭৭২১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো রুটি ও গোশত একত্রিত হতো না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৮৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا قَتَادَةُ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَمْ يَجْتَمِعْ عِنْدَهُ غَدَاءٌ وَلا عَشَاءٌ مِنْ خُبْزٍ وَلَحْمٍ , إِلا عَلَى ضَفَفٍ " ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : ، قَالَ بَعْضُهُمْ : هُوَ كَثْرَةُ الأَيْدِي .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">দিনের খাবারই হোক কিংবা রাতের খাবার, কোন সময়ই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে রুটি-গোশত একত্রিত হতো না। তবে মেহমানদারীর জন্য দস্তরখানায় তা থাকত।[১] আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) বলেন, কোন কোন বর্ণনাকারী বলেছেন, ضَفَفٍ এর অর্থ হলো অনেক হাত একত্রিত হওয়া।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমদ, হা/১৩৮৮৬; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৩১০৮ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৫৯ শারহুস সুন্নাহ, হা/১৩৮৯।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】 ৫২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জীবিকা 📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো পেটভরে খাওয়ার মতো খেজুর থাকত না ২৮৪ حَدَّثَنَا...

Read more »

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】</div><div style="text-align: justify;">৫৩    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে</div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ إِسْحَاقَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : " مَكَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ ثَلاثَ عَشْرَةَ سَنَةً يُوحَى إِلَيْهِ ، وَ بِالْمَدِينَةِ عَشْرًا ، وَتُوُفِّيَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاثٍ وَسِتِّينَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কায় ১৩ বছর অবস্থান করেন। এ সময় তাঁর উপর ওহী অবতীর্ণ হতে থাকে। আর মদিনায় ১০ বছর অবস্থান করেন এবং ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৯০৩; সহীহ মুসলিম, হা/৬২৪৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪২৯; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১২৭৭০; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/২৭৫১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">২৯১</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، عَنْ شُعْبَةَ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدٍ ، عَنْ جَرِيرٍ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَخْطُبُ ، قَالَ : " مَاتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاثٍ وَسِتِّينَ " وَأَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ ، وَأَنَا ابْنُ ثَلاثٍ وَسِتِّينَ .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জারীর (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি মুআবিয়া (رضي الله عنه) কে একবার ভাষণ দিতে শুনেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। আবু বকর (رضي الله عنه) ও উমার (رضي الله عنه) ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। এখন আমার বয়স ৬৩ বছর।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৬২৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৪৯৬৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৪৫৫০; মুজামুল কবীর লিত তাবারানী, হা/১৬০৩৭ শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৮৪১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">২৯২</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ : " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مَاتَ وَهُوَ ابْنُ ثَلاثٍ وَسِتِّينَ سَنَةً " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৬৩ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৫৩৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬২৩৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৬৬২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">২৯৩</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ ، قَالا : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عُلَيَّةَ ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا عَمَّارٌ مَوْلَى بَنِي هَاشِمٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ , يَقُولُ : " تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَهُوَ ابْنُ خَمْسٍ وَسِتِّينَ .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ৬৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছিলেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৬২৪৮; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/২৪৫২: মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/৩৪; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩৭৭০২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">২৯৪</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَعْنٌ ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، أَنَّهُ سَمِعَهُ , يَقُولُ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لَيْسَ بِالطَّوِيلِ الْبَائِنِ ، وَلا بِالْقَصِيرِ ، وَلا بِالأَبْيَضِ الأَمْهَقِ ، وَلا بِالآدَمِ ، وَلا بِالْجَعْدِ الْقَطَطِ ، وَلا بِالسَّبْطِ ، بَعَثَهُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً ، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرَ سِنِينَ ، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرَ سِنِينَ ، وَتَوَفَّاهُ اللَّهُ عَلَى رَأْسِ سِتِّينَ سَنَةً , وَلَيْسَ فِي رَأْسِهِ وَلِحْيَتِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) না দীর্ঘ অবয়ব বিশিষ্ট ছিলেন, না খর্বাকৃতির ছিলেন। না সাদা বর্ণের ছিলেন, না ছিলেন ধূসর বর্ণের। তাঁর চুল না খুব বক্র ছিল, না ছিল সোজা: বরং ঈষৎ কোঁকড়ানো ছিল। ৪০ বছরের মাথায় তাকে নবুওয়াত দান করা হয়। এরপর তিনি মক্কায় ১০ বছর, মদিনায় ১০ বছর কাটান এবং ৬০ বছরের মাথায় ইন্তেকাল করেন। তখন তাঁর দাড়ি বা মাথার ২০টি চুলও সাদা হয়নি।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] মুয়াত্তা মালেক, হা/১৬৩৯; সহীহ বুখারী, হা/৫৯০০; সহীহ মুসলিম, হা/৬২৩৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৩৫৪৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৬১৮৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৭৩৫ সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৩৮৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】 ৫৩    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে 📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বয়স সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে ২৯...

Read more »

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত

<div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】</div><div style="text-align: justify;">৫৪    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত</div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের দিন আবু বকর (رضي الله عنه) লোকদের ইমামতি করেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯৫</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " آخِرُ نَظْرَةٍ نَظَرْتُهَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , كَشْفُ السِّتَارَةِ يَوْمَ الاثْنَيْنِ ، فَنَظَرْتُ إِلَى وَجْهِهِ كَأَنَّهُ وَرَقَةُ مُصْحَفٍ , وَالنَّاسُ خَلْفَ أَبِي بَكْرٍ ، فَكَادَ النَّاسُ أَنْ يَضْطَربُوا ، فَأَشَارَ إِلَى النَّاسِ أَنِ اثْبُتُوا ، وَأَبُو بَكْرٍ يَؤُمُّهُمْ وَأَلْقَى السِّجْفَ ، وَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ آخِرِ ذَلِكَ الْيَوْمِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি রাসূল (ﷺ) কে শেষবারের মতো দর্শন করলাম, যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত অবস্থায় সোমবার ফজরের নামাজের সময়; তখন তিনি পর্দা তুলে উম্মতের সালাতে অবস্থা দেখছিলেন। আমি তাঁর চেহারায় যেন আল-কুরআনের পৃষ্ঠা জ্বলজ্বল করতে দেখেছিলাম। লোকেরা আবু বকর (رضي الله عنه) এর পেছনে সালাত আদায় করছিল। (লোকেরা সরে দাঁড়াতে চাইল) কিন্তু তিনি ইঙ্গিতে সকলকে স্থির থাকার নির্দেশ দিলেন এবং আবু বকর (رضي الله عنه) ইমামতি করলেন। সেদিন শেষ বেলায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকাল করেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৮০; সহীহ মুসলিম, হা/৯৭১ ইবনে মাজাহ, হা/১৬২৪; মুসনাদে আহমদ, হা/১২০৯৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৮৭৫; বায়হাকী, হা/৪৮২৫; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৮২৪; মুসনাদে হুমাইদী, হা/১২৪১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওফাতের</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯৬</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ ، عَنِ إِبْرَاهِيمَ ، عَنِ الأَسْوَدِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " كُنْتُ مُسْنِدَةً النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِلَى صَدْرِي أَوْ قَالَتْ : إِلَى حِجْرِي فَدَعَا بِطَسْتٍ لِيَبُولَ فِيهِ ، ثُمَّ بَالَ ، فَمَاتَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের সময় তিনি আমার সিনায় বা আমার কোলে ঠেস লাগিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি প্রস্রাব করার জন্য একটি পাত্র আনতে বললেন এবং তাতে প্রস্রাব করলেন। এরপর তিনি ইন্তেকাল করেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] ইবনে খুযাইমা, হা/৬৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৬২৬; মুসনাদে আবু ‘আওয়ানা, হা/৫৭৫০।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-ও মৃত্যুর যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯৭</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَلاءِ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " لا أَغْبِطُ أَحَدًا بَهَوْنِ مَوْتٍ بَعْدَ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ شِدَّةِ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যুর কষ্ট দেখার পর অন্য কারো মৃত্যুর সময় কষ্ট হলে আমার হিংসা হয় না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর মৃত্যুর স্থানেই দাফন করা হয়</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯৮</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ الْمُلَيْكِيِّ ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : لَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , اخْتَلَفُوا فِي دَفْنِهِ ، فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , شَيْئًا مَا نَسِيتُهُ ، قَالَ : " مَا قَبَضَ اللَّهُ نَبِيًّا إِلا فِي الْمَوْضِعِ الَّذِي يُحِبُّ أَنْ يُدْفَنَ فِيهِ " , ادْفِنُوهُ فِي مَوْضِعِ فِرَاشِهِ .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ইন্তিকাল হলো তখন তাঁর দাফন নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিল। আবু বকর (رضي الله عنه) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে এ সম্পর্কে এমন কিছু শুনেছি, যা আমি আজও ভুলিনি। অতঃপর বলেন, আল্লাহ তা’আলা নবীদেরকে এমন স্থানেই মৃত্যু দেন, যেখানে দাফন করা তিনি পছন্দ করেন। অতএব রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তাঁর মৃত্যুশয্যার স্থানেই দাফন করা হোক।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৮৩২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের পর আবু বকর (رضي الله عنه) তাঁর কপালে চুম্বন করেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">২৯৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، وَعَبَّاسٌ الْعَنْبَرِيُّ ، وَسَوَّارُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ , قَالُوا : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي عَائِشَةَ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، وَعَائِشَةَ ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ ، " قَبَّلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بَعْدَ مَا مَاتَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আব্বাস ও আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের পর আবু বকর (رضي الله عنه) তাঁর কপালে চুম্বন করেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৪৪৫৫; ইবনে মাজাহ, হা/১৪৫৭; সুনানে নাসাঈ, হা/১৮৪০; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০২৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৩০২৯; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/১২১৯৫।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">৩০০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مَرْحُومُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ الْعَطَّارُ ، عَنِ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ بَابَنُوسَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ أَبَا بَكْرٍ " دَخَلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , بَعْدَ وَفَاتِهِ فَوَضَعَ فَمَهُ بَيْنَ عَيْنَيْهِ وَوَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى سَاعِدَيْهِ ، وَقَالَ : وَانَبِيَّاهُ ، وَاصَفِيَّاهُ ، وَاخَلِيلاهُ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের পর আবু বকর (رضي الله عنه) তাঁর নিকট এসে তাঁর দুই চোখের মাঝখানে মুখ লাগিয়ে চুম্বন করেন এবং তাঁর বাহুতে দু’হাত রেখে বলেন, হায় নবী! হায় অন্তরঙ্গ বন্ধু! হায় বন্ধু![১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪০৭৫; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হা/৪৮।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যুতে সাহাবীদের কাছে সবকিছু অন্ধকার মনে হচ্ছিল</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০১</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلالٍ الصَّوَّافُ الْبَصْرِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ ثَابِتٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " لَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي دَخَلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ أَضَاءَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ ، فَلَمَّا كَانَ الْيَوْمُ الَّذِي مَاتَ فِيهِ أَظْلَمَ مِنْهَا كُلُّ شَيْءٍ ، وَمَا نَفَضْنَا أَيْدِيَنَا مِنَ التُّرَابِ ، وَإِنَّا لَفِي دَفْنِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , حَتَّى أَنْكَرْنَا قُلُوبَنَا " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেদিন মদিনায় প্রবেশ করছিলেন, সেদিন সেখানকার প্রতিটি জিনিস আলোকোজ্জল হয়ে পড়েছিল। অতঃপর যেদিন তিনি ইন্তেকাল করেন, সেদিন আবার তথাকার প্রতিটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। আমরা তাঁর দাফনকার্য শেষ করে কবরের মাটি থেকে হাত ঝাড়া না দেইত আমাদের অন্তরে পরিবর্তন অনুভব করলাম।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] ইবনে মাজাহ, হা/১৬৩১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৮৫৭; মুসনাদুল বাযযার, হা/৬৮৭১; মুসনানে আবু ইয়ালা, হা/৩২৯৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩৮৩৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৬৩৪; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/১৪০৫।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোমবারের দিন ইন্তেকাল করেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০২</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ صَالِحٍ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الاثْنَيْنِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোমবারের দিন ইন্তেকাল করেন।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪৮৩৪।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">মঙ্গলবারের দিন রাতে তাঁকে দাফন করা হয়</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০৩</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : " قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ الاثْنَيْنِ فَمَكَثَ ذَلِكَ الْيَوْمَ وَلَيْلَةَ الثُّلاثَاءِ ، وَدُفِنَ مِنَ اللَّيْلِ "</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জা’ফর ইবনে মুহাম্মাদ (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সোমবারে ইন্তেকাল করেন। সোমবার ও মঙ্গলবার দাফন-কাফনের প্রস্তুতিতেই চলে যায়। অতঃপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে তাঁকে দাফন করা হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যু ও আবুবকর (رضي الله عنه) এর বাইয়াত গ্রহণ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০৪</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ نُبَيْطٍ ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ أَبِي هِنْدَ ، عَنْ نُبَيْطِ بْنِ شَرِيطٍ ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عُبَيْدٍ ، وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ ، قَالَ : أُغْمِيَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي مَرَضِهِ فَأَفَاقَ ، فَقَالَ : " حَضَرَتِ الصَّلاةُ " ؟ فَقَالُوا : نَعَمْ . فَقَالَ : " مُرُوا بِلالا فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ أَنْ يُصَلِّيَ لِلنَّاسِ " أَوْ قَالَ : بِالنَّاسِ ، قَالَ : ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ ، فَأَفَاقَ ، فَقَالَ : " حَضَرَتِ الصَّلاةُ ؟ " فَقَالُوا : نَعَمْ . فَقَالَ : " مُرُوا بِلالا فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ " ، فَقَالَتْ عَائِشَةُ : إِنَّ أَبِي رَجُلٌ أَسِيفٌ ، إِذَا قَامَ ذَلِكَ الْمَقَامَ بَكَى فَلا يَسْتَطِيعُ ، فَلَوْ أَمَرْتَ غَيْرَهُ ، قَالَ : ثُمَّ أُغْمِيَ عَلَيْهِ فَأَفَاقَ فَقَالَ : " مُرُوا بِلالا فَلْيُؤَذِّنْ ، وَمُرُوا أَبَا بَكْرٍ فَلْيُصَلِّ بِالنَّاسِ ، فَإِنَّكُنَّ صَوَاحِبُ أَوْ صَوَاحِبَاتُ يُوسُفَ " ، قَالَ : فَأُمِرَ بِلالٌ فَأَذَّنَ ، وَأُمِرَ أَبُو بَكْرٍ فَصَلَّى بِالنَّاسِ ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَجَدَ خِفَّةً ، فَقَالَ : " انْظُرُوا لِي مَنْ أَتَّكِئُ عَلَيْهِ " ، فَجَاءَتْ بَرِيرَةُ , وَرَجُلٌ آخَرُ ، فَاتَّكَأَ عَلَيْهِمَا فَلَمَّا رَآهُ أَبُو بَكْرٍ ذَهَبَ لِينْكُصَ فَأَوْمَأَ إِلَيْهِ أَنْ يَثْبُتَ مَكَانَهُ ، حَتَّى قَضَى أَبُو بَكْرٍ صَلاتَهُ ، ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ ، فَقَالَ عُمَرُ : وَاللَّهِ لا أَسْمَعُ أَحَدًا يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قُبِضَ إِلا ضَرَبْتُهُ بِسَيْفِي هَذَا ، قَالَ : وَكَانَ النَّاسُ أُمِّيِّينَ لَمْ يَكُنْ فِيهِمْ نَبِيٌّ قَبْلَهُ ، فَأَمْسَكَ النَّاسُ ، فَقَالُوا : يَا سَالِمُ ، انْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَادْعُهُ ، فَأَتَيْتُ أَبَا بَكْرٍ وَهُوَ فِي الْمَسْجِدِ فَأَتَيْتُهُ أَبْكِي دَهِشًا ، فَلَمَّا رَآنِي ، قَالَ : أَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قُلْتُ : إِنَّ عُمَرَ , يَقُولُ : لا أَسْمَعُ أَحَدًا يَذْكُرُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ إِلا ضَرَبْتُهُ بِسَيْفِي هَذَا ، فَقَالَ لِي : انْطَلِقْ ، فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ ، فَجَاءَ هُوَ وَالنَّاسُ قَدْ دَخَلُوا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ : يَا أَيُّهَا النَّاسُ ، أَفْرِجُوا لِي ، فَأَفْرَجُوا لَهُ فَجَاءَ حَتَّى أَكَبَّ عَلَيْهِ وَمَسَّهُ ، فَقَالَ : إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ سورة الزمر آية 30 , ثُمَّ قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَقُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، فَعَلِمُوا أَنْ قَدْ صَدَقَ ، قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَيُصَلَّى عَلَى رَسُولِ اللَّهِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قَالُوا : وَكَيْفَ ؟ قَالَ : يَدْخُلُ قَوْمٌ فَيُكَبِّرُونَ وَيُصَلُّونَ , وَيَدْعُونَ ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ ، ثُمَّ يَدْخُلُ قَوْمٌ فَيُكَبِّرُونَ وَيُصَلُّونَ وَيَدْعُونَ ، ثُمَّ يَخْرُجُونَ ، حَتَّى يَدْخُلَ النَّاسُ ، قَالُوا : يَا صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، أَيُدْفَنُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، قَالُوا : أَيْنَ ؟ قَالَ : فِي الْمكَانِ الَّذِي قَبَضَ اللَّهُ فِيهِ رُوحَهُ ، فَإِنَّ اللَّهَ لَمْ يَقْبِضْ رُوحَهُ إِلا فِي مَكَانٍ طَيِّبٍ . فَعَلِمُوا أَنْ قَدْ صَدَقَ ، ثُمَّ أَمَرَهُمْ أَنْ يَغْسِلَهُ بَنُو أَبِيهِ , وَاجْتَمَعَ الْمُهَاجِرُونَ يَتَشَاوَرُونَ ، فَقَالُوا : انْطَلِقْ بِنَا إِلَى إِخْوَانِنَا مِنَ الأَنْصَارِ نُدْخِلُهُمْ مَعَنَا فِي هَذَا الأَمْرِ ، فَقَالَتِ الأَنْصَارُ : مِنَّا أَمِيرٌ وَمِنْكُمْ أَمِيرٌ ، فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ : مَنْ لَهُ مثل هَذِهِ الثَّلاثِ ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا سورة التوبة آية 40 مَنْ هُمَا ؟ قَالَ : ثُمَّ بَسَطَ يَدَهُ فَبَايَعَهُ وَبَايَعَهُ النَّاسُ بَيْعَةً حَسَنَةً جَمِيلَةً .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাহাবী সালিম ইবনে উবাইদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) অসুস্থ অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সালাতের সময় হয়েছে কি? সাহাবীগণ বলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমরা বেলালকে আযান দিতে নির্দেশ দাও এবং আবু বকরকে ইমামতি করতে বলো। অতঃপর তিনি আবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফিরে এলে তিনি বলেন, সালাতের সময় হয়েছে কি? সাহাবীগণ বলেন, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমরা বেলালকে আযান দিতে বলো এবং আবু বকরকে ইমামতি করতে বলো। আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, আমার পিতা কোমল হৃদয়ের লোক। যখন আপনার স্থানে দাঁড়াবেন, তখন কেঁদে ফেলবেন এবং ইমামতি করতে সক্ষম হবেন না। আপনি যদি তাঁকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আবার জ্ঞান হারান। জ্ঞান ফিরে এ তিনি বললেন, তোমরা বেলালকে আযান দিতে বলো এবং আবু বকরকে লোকদের সালাত পড়াতে বলো। পুনরায় আয়েশা (رضي الله عنه) বলেন, আমার পিতা কোমল হৃদয়ের লোক। তিনি ঐ ইমামতের জায়গায় দাঁড়ালে কেদে ফেলবেন এবং ইমামতি করতে সক্ষম হবেন না। আপনি যদি তাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে নির্দেশ দিতেন। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তোমরা তো ইউসুফ (عليه السلام) এর ঘটনার সাথে জড়িত মহিলাদের মতো। বর্ণনাকারী বলেন, বেলাল (رضي الله عنه)-কে আযান দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলে তিনি আযান দেন এবং আবু বকর (رضي الله عنه)-কে নির্দেশ দেয়া হলে তিনি লোকদের সালাত পড়ান। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিছুটা সুস্থতাবোধ করে বলেন, দেখতো! আমার ভর নেয়ার মতো কোন লোক পাওয়া যায় কি না? তখন বর্ণনাকারী ও অপর এক লোক এলে তিনি তাদের উপর ভর করেন (এবং মসজিদে যান)। তাঁকে দেখে আবু বকর (رضي الله عنه) পেছনে সরে আসতে উদ্যোগী হলে তিনি তাকে স্বস্থানে স্থির থাকতে ইশারা করেন। এ অবস্থায় আবু বকর (رضي الله عنه) সালাত আদায় করান। অতঃপর সোমবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকাল করলে উমার (رضي الله عنه) বললেন, আল্লাহর কসম! যে ব্যক্তিকে এ কথা বলতে শুনব যে, “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকাল করেছেন” আমি আমার তরবারি দিয়ে তাকে আঘাত করব। আর লোকদের এ ব্যাপারে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। কারণ, তারা ইতোপূর্বে কোন নবীর মৃত্যু দেখেনি। তাই তারা নীরব থাকেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কতিপয় সাহাবী বলেন, হে সালেম, তুমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথীকে ডেকে আন। অতএব আমি আবু বকর (رضي الله عنه) এর নিকট এলাম। তখন তিনি মসজিদে ছিলেন। আমি দিশেহারা হয়ে কান্নারত অবস্থায় আবু বকর (رضي الله عنه) এর নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে দেখেই বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি ইন্তেকাল করেছেন? আমি বললাম উমার (رضي الله عنه) বলেছেন, যাকে এ কথা বলতে শুনবো যে, “রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তেকাল করেছেন” আমি আমার এ তরবারী দ্বারা তাকে আঘাত করব। আবু বকর (رضي الله عنه) আমাকে বললেন, চলো। অতএব আমি তাঁর সাথে চললাম এবং তিনিও আসলেন। ইতোমধ্যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দেখার জন্য লোকজন এসে সমবেত হয়েছে। তিনি বলেন, হে লোক সকল, আমার জন্য রাস্তা করে দাও। তিনি এসে তাঁর প্রতি ঝুঁকে পড়েন এবং কপালে চুম্বন করে এ আয়াত পড়েন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">إِنَّكَ مَيِّتٌ وَإِنَّهُمْ مَيِّتُونَ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ নিশ্চয় আপনি মরণশীল এবং তারাও (আপনার শক্ররা) মরণশীল।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে রাসূলের সাহাবী রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি ইন্তেকাল করেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন সবাই বিশ্বাস করলেন, তিনি সত্য কথাই বলেছেন। তারা আবার জিজ্ঞেস করেন, হে রাসূল (ﷺ) এর সাথী! আমরা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর জানাযা পড়ব? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারা জিজ্ঞেস করেন, তা কী নিয়মে? তিনি বললেন, একদল লোক প্রবেশ করবে, তারা তাকবীর বলবে, দুআ করবে এবং দরূদ পাঠ করবে। তারা বের হয়ে এলে আরেক দল প্রবেশ করে একই নিয়েম তাকবীর, দু’আ ও দরূদ পড়ে বের হয়ে আসবে। এ নিয়মে জামা'আত ছাড়া সকলে আলাদা আলাদা জানাযার সালাত আদায় করবে। তারা আবার জিজ্ঞেস করেন, হে রাসূল (ﷺ) এর সঙ্গী! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে কি দাফন করা হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তারা জিজ্ঞেস করেন, কোথায়? তিনি বললেন, যে স্থানে তাঁর ইন্তেকাল হয়েছে সেখানেই। আল্লাহ তাঁর পছন্দের স্থানেই তাঁর জান কবয করেছেন। তখন সকলের বিশ্বাস হলো, তিনি সত্য কথাই বলেছেন। তারপর তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে গোসল দেয়ার জন্য তাঁর পরিবারবর্গ ও আত্মীয়-স্বজনকে আদেশ করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতঃপর মুহাজিররা (খেলাফত প্রশ্নে) পরামর্শের জন্য মিলিত হন। মুহাজিররা আবু বকর (رضي الله عنه)-কে বললেন, আমাদেরকে নিয়ে আনসার ভাইদের কাছে চলুন এবং এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমাদের সাথে তাদেরকেও অন্তর্ভুক্ত করব। আনসারগণ বললেন, আমাদের মধ্য হতে একজন আমীর এবং আপনাদের (মুহাজিরদের) মধ্য থেকে একজন আমীর হোক। তখন উমার (رضي الله عنه) বললেন, এমন কে আছে, যে এই ঘটনার তৃতীয়জন (যে ঘটনাটির ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা বলেন)-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُولُ لِصَاحِبِهِ لا تَحْزَنْ إِنَّ اللَّهَ مَعَنَا</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“দু’জনের একজন যখন তারা ছিল গুহার মধ্যে, যখন সে তাঁর সাথীকে বলল, বিচলিত হয়ো না; নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন।[2]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কারা ছিলেন সে দু’জন? বর্ণনাকারী বলেন, তারপর উমার (رضي الله عنه) তাঁর হাত প্রসারিত করে দিয়ে আবু বকর (رضي الله عنه)-এর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন। তারপর লোকেরাও তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করেন।[3]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] সূরা যুমার- ৩০।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[2] সূরা তাওবা- ৪০৷</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[3] সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৭০৮১; সুনানুল কুবরা লিত তাবারানী, হা/৬২৪৩।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মৃত্যুতে ফাতিমা (رضي الله عنه) এর ক্ৰন্দন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০৫</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ ، شَيْخٌ بَاهِلِيٌّ قَدِيمٌ بَصْرِيٌّ قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : لَمَّا وَجَدَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مِنْ كُرَبِ الْمَوْتِ مَا وَجَدَ ، قَالَتْ فَاطِمَةُ : وَاكَرْبَاهُ ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " لا كَرْبَ عَلَى أَبِيكِ بَعْدَ الْيَوْمِ ، إِنَّهُ قَدْ حَضَرَ مِنْ أَبِيكِ مَا لَيْسَ بِتَارِكٍ مِنْهُ أَحَدًا الْمُوافَاةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মৃত্যুর কষ্ট ভোগ করছিলেন, তখন ফাতেমা (رضي الله عنه) বললেন, হায়! আমার আব্বার কতই না কষ্ট হচ্ছে! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আজকের পর তোমার পিতার আর কোন কষ্ট থাকবে না। তোমার পিতার নিকট মৃত্যু নামক এমন এক বিষয় উপস্থিত হয়েছে, যা থেকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত কেউ রেহাই পাবে না।[১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১] ইবনে মাজাহ, হা/১৬২৯।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】 ৫৪    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত 📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের দিন আবু বকর (رضي الله عنه) লোকদের ইমামতি করেন ২৯৫ حَ...

Read more »

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীরাস

<p dir="ltr"><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】</div><div style="text-align: justify;">৫৫    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীরাস</div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুর সময় সবকিছু সাদাকা করে যান</div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">৩০৬</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ ، أَخِي جُوَيْرِيَةَ لَهُ صُحْبَةٌ ، قَالَ : " مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلا سِلاحَهُ , وَبَغْلَتَهُ , وَأَرْضًا جَعَلَهَا صَدَقَةً " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আমর ইবনে হারিস, যিনি উম্মুল মু’মিনীন জুয়াইরিয়া (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইন্তিকালের সময় হাতিয়ার, একটি খচ্চর এবং কিছু জমি ছাড়া আর কিছু রেখে যাননি। সেগুলোও সাদাকা করে যান।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/২৯১২; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৮৪৮১; সুনানে দার কুতনী, হা/৪৩৯৮; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১২২৪১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন ওয়ারিস রেখে যাননি</div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">৩০৭</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ إِلَى أَبِي بَكْرٍ ، فَقَالَتْ : مَنْ يَرِثُكَ ؟ فَقَالَ : أَهْلِي وَوَلَدِي ، فَقَالَتْ : مَا لِي لا أَرِثُ أَبِي ؟ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَقُولُ : " لا نُورَثُ " ، وَلَكِنِّي أَعُولُ مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَعُولُهُ ، وَأُنْفِقُ عَلَى مَنْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ عَلَيْهِ .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, একদা ফাতিমা (رضي الله عنه) আবু বকর (رضي الله عنه) এর নিকট এসে বললেন, আপনার (ত্যাজ্য সম্পত্তির) ওয়ারিস কে হবে? তিনি বললেন, আমার পরিবার-পরিজন ও সন্তান-সন্ততি। ফাতিমা (رضي الله عنه) বললেন, তবে আমি কেন আমার পিতার ওয়ারিস হব না? আবু বকর (رضي الله عنه) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আমরা কাউকে ওয়ারিস করি না। তবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যাদের ভরণ-পোষণ করতেন, আমি তা বহাল রাখব এবং যাদের জন্য খরচ করে গিয়েছেন, আমিও তাদের জন্য খরচ করব।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩১১৯; মুসনাদে আহমদ, হা/৬০; শারহুল মা’আনী, হা/৫৪৩৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০৮</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ كَثِيرٍ الْعَنْبَرِيُّ أَبُو غَسَّانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ ، أَنَّ الْعَبَّاسَ ، وَعَلِيًّا ، جَاءَا إِلَى عُمَرَ يَخْتَصِمَانِ , يَقُولُ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا لِصَاحِبِهِ : أَنْتَ كَذَا ، أَنْتَ كَذَا ، فَقَالَ عُمَرُ ، لِطَلْحَةَ ، وَالزُّبَيْرِ ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ ، وَسَعْدٍ : أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ أَسَمِعْتُمْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَقُولُ : " كُلُّ مَالِ نَبِيٍّ صَدَقَةٌ ، إِلا مَا أَطْعَمَهُ ، إِنَّا لا نُورَثُ ؟ " وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবুল বুখতারী (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">উমার (رضي الله عنه)-এর খিলাফতকালে আব্বাস ও আলী (رضي الله عنه) একে অপরের বিরূদ্ধে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। একে অপরকে বলতে থাকেন, (তুমি এরূপ, তুমি এরূপ) তুমি এ করেছ, তুমি এ করেছ। উমার (رضي الله عنه) তালহা, যুবায়ের, আবদুর রহমান ইবনে আওফ ও সা’দ (رضي الله عنه)-কে বললেন, আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞেস করছি, তোমরা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বলতে শুনোনি যে, নবীদের সকল সম্পদ সাদাকা হয়? অবশ্য যা পরিবারের আহার বাবদ খরচ হবে, তা এর অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ উক্তি, “আমরা কাউকে উত্তরাধিকারী করি না”। এ হাদীসে একটি দীর্ঘ ঘটনা আছে।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] আবু দাউদ, হা/২৯৭৭; মুসনাদুল তায়ালুসী, হা/৬১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩০৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى ، عَنِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " لا نُورَثُ مَا تَرَكْنَا فَهُوَ صَدَقَةٌ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমরা নবীরা কাউকে ওয়ারিস করি না। আমাদের পরিত্যক্ত সকল সম্পদ সাদাকারূপে গণ্য।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৭৮: আবু দাউদ, হা/২৯৭৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৩৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫১৬৮ সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/২৩৫৩; জামেউস সগীর, হা/১৩৫১৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ ، عَنِ الأَعْرَجِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " لا يَقْسِمُ وَرَثَتِي دِينَارًا وَلا دِرْهَمًا ، مَا تَرَكْتُ بَعْدَ نَفَقَةِ نِسَائِي وَمُؤْنَةِ عَامِلِي فَهُوَ صَدَقَةٌ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমার উত্তরাধিকারী যেন আমার পরিত্যক্ত দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা) বণ্টন না করে। আমার পরিবার-পরিজন ও আমার কর্মচারীর খরচ দেয়ার পর যা কিছু থাকবে, তা সাদাকা।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] মুয়াত্তা মালেক, হা/১৮০৩; সহীহ বুখারী, হা/২৭৭৬; সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৮২; আবু দাউদ, হা/২৯৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৩০১; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩১১৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১১</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلالُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ عُمَرَ ، قَالَ : سَمِعْتُ مَالِكَ بْنَ أَنَسٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ ، قَالَ : دَخَلْتُ عَلَى عُمَرَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ ، وَطَلْحَةُ ، وَسَعْدٌ ، وَجَاءَ عَلِيٌّ ، وَالْعَبَّاسُ ، يَخْتَصِمَانِ ، فَقَالَ لَهُمْ عُمَرُ : أَنْشُدُكُمْ بِالَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ ، أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " لا نُورَثُ ، مَا تَرَكْنَاهُ صَدَقَةٌ " ، فَقَالُوا : اللَّهُمَّ نَعَمْ . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ طَوِيلَةٌ .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">মালিক ইবনে আওস ইবনে হাদাসান (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি উমার (رضي الله عنه) এর নিকট গেলাম। তখন আবদুর রহমান ইবনে আউফ, তালহা এবং সা’দ (رضي الله عنه) তাঁর নিকট উপস্থিত হন। কিছুক্ষণ পর আলী ও আব্বাস (رضي الله عنه) বাদানুবাদ করতে করতে উপস্থিত হন। উমার (رضي الله عنه) তাদের বলেন, আমি আপনাদেরকে সে সত্বার কসম দিয়ে জিজ্ঞেষ করছি, যাঁর ইচ্ছায় আসমান-জমিন কায়েম আছে, আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমরা নবীদের কোন ওয়ারিস নেই। আমরা যা কিছু রেখে যাই, তা সাদাকা। তারা সকলে বললেন, হ্যাঁ- নিশ্চয় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বলেছেন। এ হাদীসে একটি দীর্ঘ ঘটনা রয়েছে।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/৪৬৭৬; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭২; বায়হাকী, হা/১৩১৪৭ ৷</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১২</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَاصِمِ ابْنِ بَهْدَلَةَ ، عَنْ زِرِّ بْنِ حُبَيْشٍ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " مَا تَرَكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِينَارًا وَلا دِرْهَمًا وَلا شَاةً وَلا بَعِيرًا " ، قَالَ : " وَأَشُكُّ فِي الْعَبْدِ وَالأَمَةِ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দিনার, দিরহাম, বকরী ও উট কিছুই রেখে যাননি। বর্ণনাকারী বলেন, আয়েশা (رضي الله عنه) দাস-দাসীর কথা উল্লেখ করেছেন কি না তা আমার মনে পড়ছে না।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৪৪৬১; সহীহ মুসলিম, হা/৪৩১৬; আবু দাউদ, হা/২৮৬৫; সুনানে নাসাঈ, হা/৩৬২১; ইবনে মাজাহ, হা/২৬৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৫৫৭৯; বায়হাকী, হা/১২৩৩৩।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div></p>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীরাস

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】 ৫৫    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর মীরাস 📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মৃত্যুর সময় সবকিছু সাদাকা করে যান ৩০৬ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ب...

Read more »

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন

<p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】</div><div style="text-align: justify;">৫৬    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন</div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন</div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">৩১৩</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، عَنْ أَبِي الأَحْوَصِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَمَثَّلُ بِي " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৫৬; ইবনে মাজাহ, হা/৩৯০১; মুসনাদে আহমাদ, হা/৪১৯৩; দারেমী, হা/২১৮৫; জামেউস সগীর, হা/১১২০২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">শয়তান রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রূপ ধারণ করতে পারে না</div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">৩১৪</div><div style="text-align: justify;">دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالا : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ أَبِي حُصَينٍ ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي , فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَصَوَّرُ " أَوْ قَالَ : " لا يَتَشَبَّهُ بِي " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ, শয়তান আমার স্বরূপ ধারণ করতে পারে না।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৯৩০৫।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১৫</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ , يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي , فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَمَثَّلُنِي " ، قَالَ أَبِي : فَحَدَّثْتُ بِهِ ابْنَ عَبَّاسٍ ، فَقُلْتُ : قَدْ رَأَيْتُهُ ، فَذَكَرْتُ الْحَسَنَ بْنَ عَلِيٍّ , فَقُلْتُ : شَبَّهْتُهُ بِهِ ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : " إِنَّهُ كَانَ يُشْبِهُهُ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখল, সে যেন আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না।</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">(আসিম বর্ণনা করেন) আমার পিতা কুলায়ব বলেন, আমি এ হাদীস ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-এর নিকট বর্ণনা করলাম এবং বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে স্বপ্নে দেখেছি। তখন হাসান ইবনে আলী (رضي الله عنه) এর কথা আমার স্মরণ হলে আমি বললাম, স্বপ্নের আকৃতিকে হাসানের আকৃতির সাথে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ পেলাম। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাদৃশই ছিলেন।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৮৪৮৯; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮১৮৬; মুসনাদে ইসহাক ইবনে রাহওয়াই, হা/২৬১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১৬</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالا : حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ ، عَنْ يَزِيدَ الْفَارِسِيِّ وَكَانَ يَكْتُبُ الْمَصَاحِفَ ، قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَنَامِ زَمَنَ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : فَقُلْتُ لابْنِ عَبَّاسٍ : إِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي النَّوْمِ ، فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ كَانَ , يَقُولُ : " إِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَتَشَبَّهَ بِي ، فَمَنْ رَآنِي فِي النَّوْمِ فَقَدْ رَآنِي " ، هَلْ تَسْتَطِيعُ أَنْ تَنْعَتَ هَذَا الرَّجُلَ الَّذِي رَأَيْتَهُ فِي النَّوْمِ ؟ قَالَ : نَعَمْ ، أَنْعَتُ لَكَ رَجُلا بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ ، جِسْمُهُ وَلَحْمُهُ أَسْمَرُ إِلَى الْبَيَاضِ ، أَكْحَلُ الْعَيْنَيْنِ ، حَسَنُ الضَّحِكِ ، جَمِيلُ دَوَائِرِ الْوَجْهِ ، مَلأَتْ لِحْيَتُهُ مَا بَيْنَ هَذِهِ إِلَى هَذِهِ ، قَدْ مَلأَتْ نَحْرَهُ ، قَالَ عَوْفٌ : وَلا أَدْرِي مَا كَانَ مَعَ هَذَا النَّعْتِ , فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ : لَوْ رَأَيْتَهُ فِي الْيَقَظَةِ مَا اسْتَطَعْتَ أَنْ تَنْعَتَهُ فَوْقَ هَذَا</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">ইয়াযীদ আল ফারিসী থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখলাম। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) তখনও জীবিত ছিলেন। আমি ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه)-কে বললাম, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নে দেখেছি। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলতেন, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে সক্ষম নয়। যে আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে প্রকৃতপক্ষেই আমাকেই দেখে। [ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন], তুমি যাকে স্বপ্নে দেখছ তাঁর কিছু বিবরণ দিতে পার ? আমি বললা, হ্যাঁ। তাঁর দেহাকৃতি মধ্যম আকারের, গায়ের রং গৌর, তাতে সাদা অংশ বেশী। সুরমা মাখা চোখ, প্রফুল্ল মুখ, হাস্যোজ্জল চেহারা, মুখভর্তি দাড়ি যা বুক পর্যন্ত পরিপূর্ণ ছিল। ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) বললেন, তুমি যদি জাগ্রত অবস্থায় তাঁকে দেখতে, তাহলেও এর চেয়ে বেশী বলতে সক্ষম হতে না।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/৩৪১০; মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হা/৩২৪৬৯।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১৭</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ ، عَنْ عَمِّهِ ، قَالَ : قَالَ أَبُو سَلَمَةَ : قَالَ أَبُو قَتَادَةَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ رَآنِي , يَعْنِي فِي النَّوْمِ , فَقَدْ رَأَى الْحَقَّ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আবু কাতাদা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে আমাকে দেখল, সে সত্যকেই দেখল। অর্থ্যাৎ সে আমাকেই দেখল।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৬; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৫৮; মুসনাদে আহমাদ, হা/৭৫৪৪; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬০৫১; দারেমী, হা/২১৪০; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩২৮৭; জামেউস সগীর, হা/১১১৯৮।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">মুমিনের সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতের ৪৬ ভাগের ১ ভাগ</div></p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">৩১৮</div><div style="text-align: justify;">عَنْ أَنَسٍ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَقَدْ رَآنِي ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لا يَتَخَيَّلُ بِي " . </div><div style="text-align: justify;">وَقَالَ : " وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যে ব্যক্তি ঘুমের অবস্থায় আমাকে দেখল, সে আমাকেই দেখল। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, মুমিনের সত্য স্বপ্ন নবুওয়াতে ৪৬ ভাগের এক ভাগ।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/১৭১৩; সহীহ বুখারী, হা/৬৯৯৪; সহীহ মুসলিম, হা/৬০৪৬; আবু দাউদ, হা/৫০২০; ইবনে মাজাহ, হা/৩৮৯৩; মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৭৭৪; জামেউস সগীর হা/৫৮৩৯।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩১৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبِي ، يَقُولُ : قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ : " إِذَا ابْتُلِيتَ بِالْقَضَاءِ فَعَلَيْكَ بِالأَثَرِ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">মুহাম্মদ ইবনে আলী থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">আমার আব্বাকে বলতে শুনেছি, তোমাকে যখন বিচারকের পদে অভিষিক্ত করা হয়, তখন রিওয়ায়াতের অনুসরণ করার চেষ্টা করো।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] আল মাজালিসাতু ওয়া জাওয়াহিরুল ইলম, হা/৩২৬</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div> <div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৩২০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، قَالَ : أَنْبَأَنَا ابْنُ عَوْنٍ ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ ، قَالَ : " هَذَا الْحَدِيثُ دِينٌ ، فَانْظُرُوا عَمَّنْ تَأَخُذُونَ دِينَكُمْ " .</div></p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">ইবনে সীরীন (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</p> <p dir="ltr" style="text-align: justify;">তিনি বলেন, হাদীস শিক্ষা করা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত। অতএব তা শিক্ষার আগে একটি বিচার্য বিষয় হলো, তুমি দেখে নাও যে, কার কাছ থেকে এ দ্বীন শিক্ষা করছ।[১]</p> <p dir="ltr"><div style="text-align: justify;">[১] সহীহ মুসলিম, হা/২৬; দারেমী, হা/৪২৪।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div></p>

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】 ৫৬    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন 📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে স্বপ্নযোগে দর্শন ৩১৩ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা

<div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div style="text-align: justify;">২১    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা    </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৯৬</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ ، وَغَيْرُ وَاحِدٍ , قَالُوا : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ تَمِيمٍ ، عَنْ عَمِّهِ ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " مُسْتَلْقِيًا فِي الْمَسْجِدِ وَاضِعًا إِحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আব্বাদ ইবনে তামীম (رحمة الله) তাঁর চাচা হতে থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি নবী (ﷺ) কে মসজিদে উর্ধ্বমুখী হয়ে এক পায়ের উপর অপর পা রেখে (শোয়া অবস্থায়) আরাম করতে দেখেছেন। [৯৭] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসের আলোকে বুঝা যায় যে, পায়ের উপর পা রেখে চিত হয়ে শুয়ে থাকাতে কোন দোষ নেই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[৯৭]মুয়াত্তা মালেক, হা/৪১৬; সহীহ বুখারী, হা/৪৭৫; সহীহ মুসলিম, হা/৫৬২৬; নাসাঈ, হা/৭২১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৬৪৯১।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">৯৭</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْمَدَنِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيُّ ، عَنْ رُبَيْحِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِذَا جَلَسَ فِي الْمَسْجِدِ , احْتَبَى بِيَدَيْهِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু সাঈদ খুদরী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইহতিবা অর্থাৎ নিতম্বের উপর ভর করে উরুর উপর হাত রেখে মসজিদে বসতেন। [৯৮]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ব্যাখ্যা : উরুদ্বয়কে পেটের, সাথে লাগিয়ে নিতম্বের উপর ভর দিয়ে বসে দু’হাত দিয়ে উভয় পায়ের নলা পেঁচিয়ে ধরে বসাকে ইহতিবা বলে। এ ধরনের বসা বিনয়ের পরিচায়ক।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[৯৮]আবু দাউদ</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২১    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর উঠা-বসা ৯৬ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْم...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div style="text-align: justify;">২২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ    </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৯৮</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ الْبَغْدَادِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ ، عَنِ إِسْرَائِيلَ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ عَلَى يَسَارِهِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জাবির ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বাম কাধে (হেলান দেয়া অবস্থায়) দেখেছি। [৯৯]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[৯৯] আবু দাউদ, হা/৪১৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০১৩; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৮৯; মুসনাদে বাযযার, হা/৪২৭২; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১২৬; মিশকাত, হা/৪৭১২।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">হাদীস বর্ণনার সময়ও বালিশে হেলান দিতেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">৯৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَلا أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ؟ " قَالُوا : بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ : " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ " . قَالَ : وَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَكَانَ مُتَّكِئًا ، قَالَ : " وَشَهَادَةُ الزُّورِ ، " أَوْ " قَوْلُ الزُّورِ " ، قَالَ : فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا : لَيْتَهُ سَكَتَ .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু বাকরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি কি তোমাদেরকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে বলব না? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হ্যাঁ- হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন, আল্লাহর সাথে শরীক স্থাপন করা ও পিতামাতার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, হাদীস বর্ণনার সময় তিনি বালিশে হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন। এরপর তিনি সোজা হয়ে বসলেন এবং বললেন, আর মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান করা অথবা মিথ্যা বলা (-ও কবীরা গুনাহ)। রাবী বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ কথা বারবার বলতে থাকেন। এমনকি আমরা মনে মনে বলতে লাগলাম যে, আহ! যদি তিনি চুপ করতেন। [১০০]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔴ব্যাখ্যা : আলোচ্য হাদীসে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ তিনটির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এর তালিকা এ তিনটির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং বিভিন্ন হাদীসে আরো কতিপয় কাজকে 'কবীরা গুনাহ' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন- খাবারে শরীক হওয়ার ভয়ে বা ভরণ পোষণের ভয়ে নিজ সন্তানকে হত্যা করা, প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা প্রভৃতি। </div><div style="text-align: justify;">কবীরা গুনাহের সংজ্ঞা : </div><div style="text-align: justify;">গুনাহ দু'প্রকার। ১. কবীরা, ২. সগীরা। শরীয়তে যে পাপ কাজের জন্য কোন শাস্তির বিধান রয়েছে, তা করা কবীরা বা বড় গুনাহ। কেউ কেউ বলেন, কুরআন হাদীসে যে গুনাহ সম্পর্কে কঠোর ধমকি দেয়া হয়েছে যদিও শাস্তির কথা বলা হয়নি, সেটি কবীরা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১০০] সহীহ বুখারী, হা/২৬৫৪; সহীহ মুসলিম, হা/২৬৯; মুসনাদে আহমাদ, হা/২০৪১০; আদাবুল মুফরাদ, হা/১৫; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২২৯৯।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">তিনি কখনো ঠেস দেয়া অবস্থায় খেতেন না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১০০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شَرِيكٌ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَمَّا أَنَا , فَلا آكُلُ مُتَّكِئًا " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু জুহায়ফা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আমি হেলান দিয়ে আহার করি না। [১০১] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ব্যাখ্যা : ‘আমি হেলান দিয়ে আহার করি না’ এ উক্তিটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ জন্য বলেছেন, মানুষ যেন তার অনুসরণ করে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১০১]মুসনাদুল বাযযার, হা/৪২১৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৭০৯; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৭০৬; মুজামুল কাবীর, হা/১৭৮০২; ইবনে হিব্বান, হা/৫২৪০</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">১০১</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ سَمُرَةَ ، قَالَ : " رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُتَّكِئًا عَلَى وِسَادَةٍ "</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জাবির ইবনে সামুরা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, আমি নবী (ﷺ)জ-কে বালিশের উপর হেলান দেয়া অবস্থায় দেখেছি. [১০২]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ - এ হাদীস থেকে বুঝা যায়, আহার ছাড়া অন্য সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হেলান দিয়ে বসতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১০২]আবু দাউদ, হা/৪১৪৫; মুসনাদে আহমাদ, হা/২১০১৩; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩১২৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৫৮৯</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২২    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বালিশে হেলান দেয়ার বিবরণ     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বাম কাঁধে বালিশের উপর হেলান দিতেন ৯...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে) ঠেস দেয়া

<div>ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div>২৩    রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে) ঠেস দেয়া    </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে) ঠেস দেয়া</div><div><br></div><div>১০২</div><div>حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ : أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " كَانَ شَاكِيًا , فَخَرَجَ يَتَوَكَّأُ عَلَى أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ وَعَلَيْهِ ثَوْبٌ قِطْرِيٌّ , قَدْ تَوَشَّحَ بِهِ فَصَلَّى بِهِمْ " .</div><div><br></div><div>আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ও একবার রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েন। তখন তিনি উসামা (رضي الله عنه) এর কাধে ভর করে বাইরে আসেন। সে সময় তার দেহে একটা ইয়ামানী কাপড় জড়ানো ছিল। তারপর তিনি লোকদের ইমামতি করেন [১০৩]</div><div><br></div><div>[১০৩]মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৭৮৭; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/২২৫৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/৩০৯২</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে) ঠেস দেয়া

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২৩    রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে) ঠেস দেয়া     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর (বালিশ ছাড়া অন্য কিছুতে)...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি

<div><br></div><div>ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div>২৪    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি    </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহার শেষে তিন আঙ্গুলি চুষে নিতেন</div><div><br></div><div>১০৩</div><div>حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلالُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَفَّانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ ، عَنْ ثَابِتٍ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " إِذَا أَكَلَ طَعَامًا لَعِقَ أَصَابِعَهُ الثَّلاثَ " .</div><div><br></div><div>আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>নবী (ﷺ) যখন আহার করতেন তখন তিনি তাঁর তিনটি আঙ্গুলি চুষে নিতেন। [১০৪]</div><div><br></div><div>[১০৪]সহীহ মুসলিম, হা/৫৪১৬; আবু দাউদ, হা/৩৮৪৭; ইবনে হিব্বান, হা/৫২৫২; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭১২১; বায়হাকী, হা/১৪৩৯৫; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪৯৩৭; জামেউস সগীর, হা/৮৮১১</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১০৪</div><div>حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ يَزِيدَ الصُّدَائِيُّ الْبَغْدَادِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِسْحَاقَ يَعْنِي الْحَضْرَمِيَّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الأَقْمَرِ ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ ، قَالَ : قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " أَمَّا أَنَا فَلا آكُلُ مُتَّكِئًا " .</div><div><br></div><div>আবু জুহায়ফা থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আমি ঠেসরত অবস্থায় আহার করি না। [১০৫]</div><div><br></div><div>[১০৫]মুসনাদুল বাযযার, হা/৪২১৪; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হা/৬৭০৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হা/১৩৭০৬; মুজামুল কাবীর, হা/১৭৮০২; ইবনে হিব্বান, হা/৫২৪০</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>তিনি তিন আঙ্গুলি দিয়ে আহার করতেন</div><div><br></div><div>১০৫</div><div>حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنِ ابْنٍ لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " يَأْكُلُ بِأَصَابِعِهِ , الثَّلاثِ وَيَلْعَقُهُنَّ " .</div><div><br></div><div>কা’ব ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিন অঙ্গুলি দিয়ে আহার করতেন এবং তা চুষে নিতেন। [১০৬]</div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ সাধারণত আহারের সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তিনটি আঙ্গুল ব্যবহার করতেন এবং খাওয়ার পর সেগুলো চেটে খেতেন। আঙ্গুল তিনটি হলো বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যম। </div><div>কাব ইবনে উজরা (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে বৃদ্ধা, তর্জনী ও মধ্যমা এ আঙ্গুলত্রয় দ্বারা পানাহার করতে দেখেছি। আরো দেখেছি যে, তিনি হাত ধৌত করার আগে তিন আঙ্গুল চেটে খেয়েছেন। প্রথমে মধ্যমা অতঃপর তর্জনী অতঃপর বৃদ্ধাঙ্গুল চেটেছেন।</div><div><br></div><div>উল্লেখ্য যে, নবী (ﷺ) এর সময় খেজুর, রুটি, গোশত অথবা তরকারীই ছিল প্রধান খাদ্য। এসব খাদ্য গ্রহণের সময় সব আঙ্গুল ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। বিধায় নবী (ﷺ) তিন আঙ্গুল দ্বারা খেতেন। কিন্তু ভাত খাওয়ার সময় পাঁচ আঙ্গুলই ব্যবহার করতে হয়। বিধায় সৰ আঙ্গুলই চেটে খাওয়া উচিত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, যখন তোমাদের মধ্যে কেউ আহার কর, তখন যেন আহার শেষে আঙ্গুলগুলো চেটে খায়। কারণ সে জানে না খাবারের কোন অংশে বরকত রয়েছে। [১০৭]</div><div><br></div><div>[১০৬]মুসন্নাফে ইবনে আবু শায়বা, হা/২৪৯৫৫; মুসনাদুল বাযযার, হা/৩৮২০।</div><div>[১০৭]সহীহ ইবনে হিব্বান,হা/৫২৫৩; সিলসিলা সহীহাহ, হা/১৪০৪; সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হা/২১৬১।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>অতি ক্ষুধার কারণ তিনি একবার বাঁকা হয়ে ঠেস দিয়ে খেয়েছিলেন</div><div><br></div><div>১০৬</div><div>حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُصْعَبُ بْنُ سُلَيْمٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ , يَقُولُ : " أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِتَمْرٍ فَرَأَيْتُهُ يَأْكُلُ وَهُوَ مُقْعٍ مِنَ الْجُوعِ " .</div><div><br></div><div>আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে খুরমা আনা হলো। তখন আমি তাকে তীব্র ক্ষুধার কারণে বাঁকা হয়ে ঠেস দিয়ে খেতে দেখেছি। [১০৮] </div><div><br></div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ সাধারণত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন জিনিসের সাথে ঠেস দিয়ে বসে আহার করতেন না। এখানে সমস্যার কারণে হেলান দিয়েছিলেন।</div><div><br></div><div>[১০৮]শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৪২</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২৪    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পানাহারের নিয়ম পদ্ধতি     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহার শেষে তিন আঙ্গুলি চুষে নিতেন ১০৩ ح...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রুটির বিবরণ

<div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div style="text-align: justify;">২৫    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রুটির বিবরণ    </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পরিবারবর্গ কখনো একাধারে ২দিন পেট ভরে যবের রুটি আহার করেননি</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১০৭</div><div style="text-align: justify;">دَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالا : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ ، يُحَدِّثُ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّهَا قَالَتْ : " مَا شَبِعَ آلُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাত পর্যন্ত মুহাম্মাদ (ﷺ) এর পরিবারবর্গ একাধারে ২দিন পেট ভরে যবের রুটি আহার করেননি। [১০৯]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ বদান্যতা ও দানশীলতায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছিলেন অতুলনীয়। স্বেচ্ছায় এ অবস্থাকে গ্রহণ করে নেয়ার কারণেই তাকে এরূপ সাদাসিধা জীবন-যাপন করতে হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;">তিনি চাইলে সীমাহীন স্বাচ্ছন্দের সাথে জীবন কাটাতে পারতেন। কিন্তু তা তার পছন্দনীয় ছিল না।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১০৯]ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৪৬; তাহযীবুল আসার, হা/৬০৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭৩</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে কখনো যবের রুটি উদ্ধৃত থাকত না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১০৮</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَرِيزُ بْنُ عُثْمَانَ ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ عَامِرٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ أَبَا أُمَامَةَ الْبَاهِلِيَّ , يَقُولُ : " مَا كَانَ يَفْضُلُ عَنِ أَهْلِ بَيْتِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُبْزُ الشَّعِيرِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবু উমামা বাহিলী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর গৃহে কখনো যবের রুটি উদ্ধৃত থাকত না। [১১০]</div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ অন্যদের দান করার দরুন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ঘরে অতিরিক্ত পাকানোর মতো খাদ্য থাকত না। তাছাড়া আহলুস সুফফা এবং অন্যান্য মেহমান তো থাকতই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১১০]মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৩৫০; মুজামুল কাবীর, হা/৭৫৭৮; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭৫</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">মাঝে মাঝে তিনি আহারের জন্য কিছুই পেতেন না</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১০৯</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ ، عَنْ هِلَالِ بْنِ خَبَّابٍ ، عَنْ عِكْرِمَةَ ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَبِيتُ اللَّيَالِيَ الْمُتَتَابِعَةَ طَاوِيًا هُوَ وَأَهْلُهُ , لا يَجِدُونَ عِشَاءً وَكَانَ أَكْثَرُ خُبْزِهِمْ , خُبْزَ الشَّعِيرِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ছত্র এবং তার পরিবারবর্গ একাধারে কয়েক রাত অনাহারে এমনভাবে কাটাতেন যে, তারা আহার্য বস্তুর কোন কিছুই পেতেন না। আর অধিকাংশ সময় তাদের খাবার হতো যবের রুটি (অর্থাৎ ধারাবাহিক যবের রুটিও পেতেন না)[১১১]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১১১]ইবনে মাজাহ, হা/৩৩৪৭; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৩০৩; মুসনাদুল বাযযার, হা/৪৮০৫; মুজামুল কাবীর, হা/১১৭৩৩।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">১১০</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ الْحَنَفِيُّ ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ ، أَنَّهُ قِيلَ لَهُ : أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّقِيَّ ؟ يَعْنِي الْحُوَّارَى فَقَالَ سَهْلٌ : " مَا رَأَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّقِيَّ حَتَّى لَقِيَ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَعَالَى " ، فَقِيلَ لَهُ : هَلْ كَانَتْ لَكُمْ مَنَاخِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : " مَا كَانَتْ لَنَا مَنَاخِلُ " . قِيلَ : كَيْفَ كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ بِالشَّعِيرِ ؟ قَالَ : " كُنَّا نَنْفُخُهُ فَيَطِيرُ مِنْهُ مَا طَارَ , ثُمَّ نَعْجِنُهُ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সাহল ইবনে সা’দ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কি ময়দার রুটি আহার করতেন? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর ওফাত পর্যন্ত ময়দা দেখেননি। তারপর তাঁকে বলা হলো, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সময় আপনাদের কি চালনি ছিল? তিনি বললেন, আমাদের কোন চালনি ছিল না। তখন তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তবে আপনারা যবের রুটি ভাবে ব্যবহার করতেন? তিনি বললেন, আমরা তাতে ফু দিতাম, যাতে অখাদ্য কিছু থাকলে তা উড়ে যায়। এরপর আমরা খামির করে নিতাম। [১১২]</div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ সাহল (رضي الله عنه) বলেছেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ময়দা দেখেননি এবং চালনি ব্যবহার করেননি। এ কথা তিনি তার জানা অনুসারে বলেছেন। কেননা তখন মক্কা ও মদিনায় চালনির প্রচলন ছিল না। অন্যথায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে সিরিয়া সফরের সময় ময়দা দেখে থাকতে পারেন। কেননা সিরিয়ায় চালনি দিয়ে ময়দা চালার রেওয়াজ আগে থেকেই ছিল।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১১২]মুসনাদে আহমাদ, হা/২২৮৬৫; তাহযীবুল আছার, হা/২৫১৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">📌পরিচ্ছদঃ</div><div style="text-align: justify;">তিনি আহারের জন্য টেবিল এবং ছোট প্লেট ব্যবহার করতেন</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১১১</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ ، قَالَ : حَدَّثَنِي أَبِي ، عَنْ يُونُسَ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " مَا أَكَلَ نَبِيُّ اللَّهِ عَلَى خِوَانٍ , وَلا فِي سُكُرَّجَةٍ ، وَلا خُبِزَ لَهُ مُرَقَّقٌ " قَالَ : فَقُلْتُ لِقَتَادَةَ : فَعَلامَ كَانُوا يَأْكُلُونَ ؟ قَالَ : " عَلَى هَذِهِ السُّفَرِ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, নবী (ﷺ) টেবিলে আহার করতেন না, ছোট প্লেটে খাবার নিতেন না এবং তার জন্য চাপাতিও তৈরি করা হতো না। </div><div style="text-align: justify;">(বর্ণনাকারী) ইউনুস বলেন, আমি কাতাদা (رحمة الله) কে জিজ্ঞেস করে বললাম, তাহলে কোন ধরণের প্লেটে তারা আহার করতেন? তিনি বলেন, দস্তরখানের উপর রেখে আহার করতেন। [১১৩] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🔴 ব্যাখ্যাঃ ‘সুকুররুজাহ’ শব্দটি ফারসী শব্দ। ক্ষুধা এবং হজমকারক রুচিবর্ধক বিভিন্ন উপকরণ রাখার ছোট ছোট পাত্র। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যেহেতু নিজে পেটভরে আহার করতেন না, কাজেই পরিতৃপ্ত ভোজনের উপকরণও ব্যবহার করতেন না। তাছাড়া এভাবে আহার করা যেহেতু বিলাসী, তাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)তে এসব পদ্ধতি পরিহার করতেন। এটা অতিভোজনকারী লোভী লোকদের অভ্যাস।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১১৩] সহীহ বুখারী, হা/৫৬১৫, মুসনাদে আহমদ, হা/১২৩৪৭।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">১১২</div><div style="text-align: justify;">حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ ، قَالَ : سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ يَزِيدَ يُحَدِّثُ ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : " مَا شَبِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ يَوْمَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ حَتَّى قُبِضَ " .</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ই মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর জীবদ্দশায় একাধারে ২দিন যবের রুটি আহার করেননি। [১১৪]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[১১৪]তাহযীবুল আছার, হা/৬০৯; শারহুস সুন্নাহ, হা/৪০৭৩।</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রুটির বিবরণ

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২৫    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর রুটির বিবরণ     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর পরিবারবর্গ কখনো একাধারে ২দিন পেট ভরে যবের রুটি...

Read more »

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারীর বর্ণনা

<div style="text-align: justify;"><div>ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】  </div><div>২৬    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারীর বর্ণনা    </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারী</div><div><br></div><div>১১৩</div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ بْنِ عَسْكَرٍ ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالا : حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ بِلالٍ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " نِعْمَ الإِدَامُ الْخَلُّ " ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، فِي حَدِيثِهِ : " نِعْمَ الإِدَامُ أَوِ الأُدْمُ الْخَلُّ " .</div><div><br></div><div>আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, সিরকা কতই না চমৎকার তরকারী।</div><div>আব্দুল্লাহ ইবনে আবদূর রাহমান (رحمة الله) তাঁর বর্ণিত হাদীসে বলেন, সিরকা কতই না চমৎকার উদুম অথবা ইদাম তথা তরকারী। [১১৫]</div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ এ হাদীসে সিরকার প্রশংসা করা উদ্দেশ্য। সিরকা উত্তম তরকারী হওয়ার কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন সহজে তৈরি করা যায়, এর সাহায্যার্থে অনায়াসে রুটি ভক্ষণ করা যায় এবং সবসময় পাওয়া যায়। </div><div>এছাড়া সিরকার মাঝে কিছু উপকারিতাও রয়েছে। যেমন কফ ও পিত্ত দূর করে। হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।</div><div><br></div><div>[১১৫]ইবনে মাজাহ, হা/৩৩১৬।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১১৪</div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ ، يَقُولُ : " أَلَسْتُمْ فِي طَعَامٍ وَشَرَابٍ مَا شِئْتُمْ ؟ لَقَدْ رَأَيْتُ نَبِيَّكُمْ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَا يَجِدُ مِنَ الدَّقَلِ مَا يَمْلأُ بَطْنَهُ " .</div><div><br></div><div>সিমাক ইবনে হারব (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমি নু’মান ইবনে বাশীর (رضي الله عنه)-কে বলতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, তোমরা কি পানাহারের ব্যাপারে যা ইচ্ছা তা গ্রহণ কর না? (অর্থাৎ নিশ্চয় গ্রহণ করছ)। অথচ আমি দেখেছি তোমাদের নবী তৃপ্তি সহকারে পেট ভরে সাধারণ খেজুরও খেতে পাননি। [১১৬]</div><div><br></div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর ওফাতের পর সাহাবী ও তাবিয়ীগণ যখন প্রচুর খাদ্যের অধিকারী হন, তখন তাদেরকে সম্বোধন করে নু’মান ইবনে বাশীর (رضي الله عنه) একথা বলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর অনুসরণের প্রতি এবং দুনিয়ার উপকরণ সংক্ষিপ্ত রাখার প্রতি উৎসাহিত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল।</div><div><br></div><div>[১১৬] সহীহ মুসলিম, হা/৭৬৫০ ইবনে হিকান, হা/৬৩৪০</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১১৫</div><div>حَدَّثَنَا هَنَّادٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنْ أَبِي قِلابَةَ ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ ، قَالَ : كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ ، فَأُتِيَ بِلَحْمِ دَجَاجٍ فَتَنَحَّى رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ , فَقَالَ : مَا لَكَ ؟ فَقَالَ : إِنِّي رَأَيْتُهَا تَأْكُلُ شَيْئًا فَحَلَفْتُ أَنْ لا آكُلَهَا ، قَالَ : " ادْنُ , فَإِنِّي رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , يَأْكُلُ لَحْمَ دَجَاجٍ " .</div><div><br></div><div>যাহদাম জারমী (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমরা একবার আবু মুসা আশ'আরী (رضي الله عنه)-এর কাছে গেলাম। তখন তার কাছে ভুনা মুরগীর গোশত আনা হলো। ফলে উপস্থিত লোকদের একজন চলে যেতে উদ্যত হলো। তিনি [আবু মুসা আশ'আরী (رضي الله عنه)] তাঁকে যাওয়ার কারন জিজ্ঞেস করলেন। সে বলল, আমি এক (মুরগীকে) নাপাক খেতে দেখে এ মর্মে কসম করেছি যে, আমি আর কখনো মুরগীর গোশত খাব না। তিনি বলল, কাছে এসো, ( এবং নির্দ্বিধায় খাও)। কারণ আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমি মুরগী খেতে দেখেছি। ১১৭</div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ উক্ত কথার দ্বারা আবু মুসা আশ'আরী (رضي الله عنه) এটা বুঝাতে চেয়েছেন যে, কোন হালাল বস্তুকে হারাম করা অনুচিত।</div><div><br></div><div>[১] সহীহ মুসলিম, হা/৪৩৫৪; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/১৫৮৪; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮০৭।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১১৬</div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنِ الْقَاسِمِ التَّمِيمِيِّ ، عَنْ زَهْدَمٍ الْجَرْمِيِّ ، قَالَ : كُنَّا عِنْدَ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ ، قَالَ : فَقَدَّمَ طَعَامَهُ وَقَدَّمَ فِي طَعَامِهِ لَحْمَ دَجَاجٍ وَفِي الْقَوْمِ رَجُلٌ مِنْ بَنِي تَيْمِ اللَّهِ أَحْمَرُ كَأَنَّهُ مَوْلًى ، قَالَ : فَلَمْ يَدْنُ فَقَالَ لَهُ أَبُو مُوسَى : " ادْنُ ، فَإِنِّي قَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَلَ مِنْهُ " ، فَقَالَ : إِنِّي رَأَيْتُهُ يَأْكُلُ شَيْئًا , فَقَذِرْتُهُ فَحَلَفْتُ أَنْ لا أَطْعَمَهُ أَبَدًا .</div><div><br></div><div>যাহদাম জারমী (رحمة الله) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমরা আবু মূসা (رضي الله عنه) এর নিকট ছিলাম। তিনি বলেন, তার নিকট খাবার পরিবেশন করা হলো এবং সে খাবারে মুরগীর গোশত ছিল । সেখানে তায়ামুল্লাহ গোত্রের লাল বর্ণের এক ব্যাক্তি ছিল। তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল , সে যেন একজন গোলাম। বর্ণনাকারী বলেন, সে লোকটি খেতে আসলো না। তখন আবু মুসা (رضي الله عنه) তাঁকে বললেন, খেতে এসো – কারণ আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে আমি মুরগীঢ় গোশত খেতে দেখেছি । সে বলল, একে ময়লা কিছু খেতে দেখেছি। সে কারণে আমার ঘৃণা জন্মেছে। তাই আমি কসম করেছি যে, আমি এটা কখনো খাব না।</div><div><br></div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১১৭</div><div>حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ الزُّبَيْرِيُّ ، وَأَبُو نُعَيْمٍ ، قَالا : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عِيسَى ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الشَّامِ , يُقَالُ : لَهُ عَطَاءٌ ، عَنْ أَبِي أَسِيدٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " كُلُوا الزَّيْتَ , وَادَّهِنُوا بِهِ , فَإِنَّهُ مِنْ شَجَرَةٍ مُبَارَكَةٍ " .</div><div><br></div><div>আবু আসীদ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, তোমরা যায়তুন [১১৮] তৈল খাও এবং তা মালিশ করো। কারণ, তা বরকতময় বৃক্ষ হতে উৎপন্ন। [১১৯]</div><div><br></div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> ব্যাখ্যা   </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) লাউ পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১১৮</div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ ، قَالا : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " يُعْجِبُهُ الدُّبَّاءُ فَأُتِيَ بِطَعَامٍ ، أَوْ دُعِيَ لَهُ فَجَعَلْتُ أَتَتَبَّعُهُ , فَأَضَعُهُ بَيْنَ يَدَيْهِ لِمَا أَعْلَمُ أَنَّهُ يُحِبُّهُ " .</div><div><br></div><div>আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, নবী (ﷺ) লাউ খুবই পছন্দ করতেন। একবার তাঁর সম্মুখে খানা পরিবেশন করা হলো অথবা তিনি কোন দাওয়াতে গিয়েছিলেন (রাবীর সন্দেহ)। আমার যেহেতু জানা ছিল যে, তিনি লাউ খুব পছন্দ করেন, তাই (তরকারীর মধ্য হতে) বেছে বেছে তাঁর সামনে লাউ পেশ করলাম।[১]</div><div><br></div><div>[১] শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৬১।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১১৯</div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنُ أَبِي خَالِدٍ ، عَنْ حَكِيمِ بْنِ جَابِرٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، قَالَ : دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَرَأَيْتُ عِنْدَهُ دُبَّاءً يُقَطَّعُ , فَقُلْتُ : مَا هَذَا ؟ قَالَ : " نُكَثِّرُ بِهِ طَعَامَنَا " .</div><div><br></div><div>জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার আমি নবী এর কাছে গিয়ে দেখলাম যে, লাউ কেটে টুকরো টুকরো করা হচ্ছে। আমি বললাম, এর দ্বারা কী হবে? তিনি বললেন, এর দ্বারা আমরা আমাদের খানা বৃদ্ধি করব।[১]</div><div><br></div><div>[১] শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৬২৷</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১২০</div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ ، عَنِ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ , يَقُولُ : إِنَّ خَيَّاطًا دَعَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِطَعَامٍ صَنَعَهُ ، قَالَ أَنَسٌ : فَذَهَبْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , إِلَى ذَلِكَ الطَّعَامِ , فَقَرَّبَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُبْزًا مِنْ شَعِيرٍ ، وَمَرَقًا فِيهِ دُبَّاءٌ وَقَدِيدٌ ، قَالَ أَنَسُ : " فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَتَبَّعُ الدُّبَّاءَ حَوَالَيِ الْقَصْعَةِ " فَلَمْ أَزَلْ أُحِبُّ الدُّبَّاءَ مِنْ يَوْمِئِذٍ .</div><div><br></div><div>আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার এক দর্জি খানা তৈরি করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে দাওয়াত দেয়। আনাস (رضي الله عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে আমিও ঐ দাওয়াতে গিয়েছিলাম। দর্জি লোকটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে যবের রুটি ও ঝোল পরিবেশন করল। সে ঝোলের মধ্যে লাউ ও শুকনা গোশত ছিল। আনাস (رضي الله عنه) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কে তরকারীর বাটির বিভিন্ন দিক থেকে লাউয়ের টুকরো খোঁজ করতে দেখেছি। আর সে দিন হতে আমি লাউ খুব পছন্দ করে আসছি।[১]</div><div><br></div><div>[১] সহীহ বুখারী, হা/২০৯২ সহীহ মুসলিম, হা/৪৫৫৬ আবু দাউদ, হা/৩৭৮৪।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মিষ্টি দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১২১</div><div>حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدَّوْرَقِيُّ ، وَسَلَمَةُ بْنُ شَبِيبٍ ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ , قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " يُحِبُّ الْحَلْوَاءَ وَالْعَسَلَ " .</div><div><br></div><div>আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও মিষ্টি দ্রব্য ও মধু অধিক পছন্দ করতেন। [১২৩]</div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ হালওয়া মিষ্ট বস্তু, মিষ্টি জাতীয় জিনিস, মিষ্টান্ন। সাধারণ মানুষ যেসব মিষ্টি খাবার তৈরি করে তাকেই মূলত হালওয়া বলে। আর মূল অর্থের দিকে লক্ষ্য করলে এর আওতায় মিষ্টি ফলমূলও পড়ে, তথাপিও প্রচলিত পরিভাষা হিসাবে এটা হালওয়ার অন্তর্ভুক্ত নয়। ‘হালওয়া’ বলতে গুড়, চিনি, মধুকেও বুঝায় এবং এর দ্বারা প্রস্তুত মিষ্ট খাদ্যসমূহকেও বুঝিয়ে থাকে।</div><div><br></div><div>[১২৩] সহীহ বুখারী, হা/৫৪৩১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩২৩; ইবনে হিব্বান, হা/৫২৫৪।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বকরীর পাঁজরের ভূনা গোশত পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১২২</div><div>حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ ، أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ أَخْبَرَتْهُ ، أَنَّهَا " قَرَّبَتْ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , جَنْبًا مَشْوِيًّا , فَأَكَلَ مِنْهُ ، ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلاةِ , وَمَا تَوَضَّأَ " .</div><div><br></div><div>উম্মে সালামা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>একদা তিনি বকরীর পাঁজরের ভূনা গোশত রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সামনে পরিবেশন করেন। তিনি তা হতে খেলেন এবং ওযু না করেই সালাতে দাড়িয়ে যান। [১২৪]</div><div><br></div><div>🔴 ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, আগুনে তৈরি খাবার খেলেও ওযু ভঙ্গ হয় না। তবে অন্য হাদীস দ্বারা আগুনে পাক করা খাদ্য খেলে ওযু নষ্ট হয়ে যায় বলেও প্রমাণিত রয়েছে। কিছু সংখ্যক সাহাবী ও তাবিয়ীর মতামতও এটাই। তবে চার খলীফা এবং অধিকাংশ মুহাদিসগণের মতে আগুনে তৈরি খাবার খেলেও ওযু ভঙ্গ হয় না। তারা বলেন, যে সকল হাদীস থেকে ওযু ওয়াজিব হওয়ার কথা উল্লেখও হয়েছে, সেগুলো রহিত হয়ে গেছে।</div><div><br></div><div>[১২৪] নাসাঈ, হা/১৮৩ মুসনাদে আহমাদ, হা/২৬৮৬৩৷</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১২৩</div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ زِيَادٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ ، قَالَ : " أَكَلْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِوَاءً فِي الْمَسْجِدِ " .</div><div><br></div><div>আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও এর সাথে মসজিদে ভূনা গোশত খেয়েছি। </div><div><br></div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১২৪</div><div>حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا وَكِيعٌ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ ، عَنْ أَبِي صَخْرَةَ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ ، قَالَ : ضِفْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ لَيْلَةٍ , فَأُتِيَ بِجَنْبٍ مَشْوِيٍّ ، ثُمَّ أَخَذَ الشَّفْرَةَ فَجَعَلَ يَحُزُّ ، فَحَزَّ لِي بِهَا مِنْهُ ، قَالَ : فَجَاءَ بِلالٌ يُؤْذِنُهُ بِالصَّلاةِ فَأَلْقَى الشَّفْرَةَ , فَقَالَ : " مَا لَهُ تَرِبَتْ يَدَاهُ ؟ " ، قَالَ : وَكَانَ شَارِبُهُ قَدْ وَفَى ، فَقَالَ لَهُ : " أَقُصُّهُ لَكَ عَلَى سِوَاكٍ " أَوْ " قُصُّهُ عَلَى سِوَاكٍ " .</div><div><br></div><div>মুগীরা ইবনে শু’বা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমি একবার রাতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাথে মেহমান হলাম। তখন (আমার সামনে) ছাগলের পাঁজরের ভুনা গোশত পরিবেশন করা হলো।তারপর তিনি ছুরি দ্বারা তা কাটলেন এবং আমাকে দিলেন। এমন সময় বিলাল (رضي الله عنه) তাঁকে সালাতের আহ্বান জানালেন। তিনি ছুরিটি ছুঁড়ে ফেললেন এবং বললেন, তাঁর কী তাঁর উভয় হাত ধূলোয় ধূসরিত হোক। বর্ণনাকারী বলেন, তাঁর গোঁফ লম্বা হয়ে গিয়েছিল। তাই তিনি তাঁকে বললেন, তোমার গোঁফ আমি মিসওয়াকের উপরে রেখে কেটে দেব।</div><div><br></div><div>[১২৫] শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৪৮ মিশকাত, হা/৪২৩৬।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) উরুর গোশত পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১২৫</div><div>حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ ، عَنْ أَبِي حَيَّانَ التَّيْمِيِّ ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : " أُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَحْمٍ , فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ , وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ , فَنَهَسَ مِنْهَا " .</div><div><br></div><div>আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও এর সামনে বকরীর সামনের উরু পরিবেশন করা হলো। তিনি তা খুবই পছন্দ করতেন। অতঃপর তিনি তা থেকে দাঁত দিয়ে কেটে খেলেন। [১২৬] </div><div><br></div><div>[১] সহীহ বুখারী, হা/৪৭১২; সহীহ মুসলিম, হা/৫০১; ইবনে মাজাহ, হা/৩৩০৭।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১২৬</div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبَانُ بْنُ يَزِيدَ ، عَنْ قَتَادَةَ ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ ، قَالَ : طَبَخْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , قِدْرًا , وَقَدْ كَانَ يُعْجِبُهُ الذِّرَاعُ , فَنَاوَلْتُهُ الذِّرَاعَ , ثُمَّ قَالَ : " نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ " ، فَنَاوَلْتُهُ , ثُمَّ قَالَ : " نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ " , فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، وَكَمْ لِلشَّاةِ مِنْ ذِرَاعٍ , فَقَالَ : " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ سَكَتَّ لَنَاوَلْتَنِي الذِّرَاعَ مَا دَعَوْتُ " .</div><div><br></div><div>আবু উবায়দ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, আমি একবার নবী (ﷺ) এর জন্য এক ডেগ গোশত রান্না করলাম। তিনি বকরীর সামনের উরুর গোশত অধিক পছন্দ করতেন। তাই আমি তাঁকে সামনের একটি পা দিলাম। তারপর তিনি বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি তাঁকে সামনের আরেকটি পা দিলাম। তারপর তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে সামনের আরেকটি পা দাও। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! বকরীর সামনের পা কয়টি থাকে? তিনি বললেন, সে মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন! যদি তুমি চুপ থাকতে তাহলে আমি যতক্ষন সামনের পা চাইতাম, ততক্ষন তুমি দিতে পারতে। ১২৭</div><div><br></div><div>[১২৭] মুজামুল কাবীর, হা/১৮২৮৬; মুসনাদে বাযযার, হা/৮৩৪৫।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) শুকনা রুটি এবং সিরকা পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১২৭</div><div>حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاءِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ ، عَنْ ثَابِتٍ أَبِي حَمْزَةَ الثُّمَالِيِّ ، عَنِ الشَّعْبِيِّ ، عَنْ أُمِّ هَانِئِ ، قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فَقَالَ : " أَعِنْدَكِ شَيْءٌ ؟ " فَقُلْتُ : لا , إِلا خُبْزٌ يَابِسٌ , وَخَلٌّ . فَقَالَ : " هَاتِي ، مَا أَقْفَرَ بَيْتٌ مِنْ أُدُمٍ فِيهِ خَلٌّ " .</div><div><br></div><div>উম্মু হানী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ) আমার ঘরে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নিকট খাবার কিছু আছে কি ? আমি বললাম, না। আমার নিকট শুকনো রুটি এবং সিরকা ছাড়া কোন কিছুই নেই। তিনি বললেন, নিয়ে এসো। তখন তিনি বলেন, যে ঘরে সিরকা আছে সে ঘর তরকারীশূন্য নয়।[১]</div><div><br></div><div>[১] শারহে সুন্নাহ, হা/২৮৬৯, সিলসিলা সহীহাহ, হা/২২২০; মিশকাত, হা/৪২২২।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১২৮</div><div>حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، قَالَ : حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ ، عَنْ مُرَّةَ الْهَمْدَانِيِّ ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : " فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ " .</div><div><br></div><div>আবু মূসা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রমণীদের মধ্যে আয়েশা (رضي الله عنه) মর্যাদা সেরূপ, যেরূপ মর্যাদা যাবতীয় খাদ্যের মধ্যে সারীদের।[১]</div><div><br></div><div>[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৪১১; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪২৫; সুনানে নাসাঈ, হা/৩৯৪৭; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৮০; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৯৫৪১; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৭১১৪; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৫৩৫।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>সর্বশ্রেষ্ঠ মহিলা কে ?</div><div><br></div><div>১২৯</div><div>حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ الأَنْصَارِيُّ أَبُو طُوَالَةَ ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ , يَقُولُ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " فَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ " .</div><div><br></div><div>আনাস (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, রমণীকুলের মধ্যে আয়েশা (رضي الله عنه) মধ্যমণী ও মর্যাদার অধিকারিনী, যেমন সারীদ যাবতীয় খাদ্যের মধ্যমণী।[১]</div><div><br></div><div>[১] সহীহ বুখারী, হা/৩৪৩৩; সহীহ মুসলিম, হা/৬৪৫২; ইবনে মাজাহ, হা/৩২৮১; মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৮১১; দারেমী, হা/২১১৩; জামেউস সগীর, হা/৩৮৮০; সিলসিলা সহীহাহ, হা/৩৫৩৫।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বকরীর কাঁধের গোশতও খেতেন</div><div><br></div><div>১৩০</div><div>حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ ، عَنِ أَبِيهِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، أَنَّهُ " رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , تَوَضَّأَ مِنْ أَكْلِ ثَوْرِ أَقِطٍ ، ثُمَّ رَآهُ أَكَلَ مِنْ كَتِفِ شَاةٍ ، ثُمَّ صَلَّى , وَلَمْ يَتَوَضَّأْ " .</div><div><br></div><div>আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে পনির খাওয়ার শেষে ওযূ করতে দেখেছেন। তিনি এও দেখেছেন যে, তিনি একবার বকরীর কাঁধের গোশত আহার করলেন। অথচ ওযূ না করেই সালাত আদায় করলেন।[১]</div><div><br></div><div>[১] সহীহ ইবনে খুযাইমা, হা/৪২; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/১১৫১; বায়হাকী, হা/৭০১; জামেউল সগীর, হা/১৩১১১; সুনানে কুবরা লিল বায়হাকী, হা/৭৫২।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেজুর ও ছাতু দ্বারা ওলীমা করেছিলেন</div><div><br></div><div>১৩১</div><div>حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ ، عَنْ وَائِلِ بْنِ دَاوُدَ ، عَنِ ابْنِهِ ، وَهُوَ بَكْرُ بْنُ وَائِلٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : " أَوْلَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى صَفِيَّةَ بِتَمْرٍ وَسَوِيقٍ " .</div><div><br></div><div>আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাফিয়্যা (رضي الله عنه) এর বিয়েতে খেজুর ও ছাতু দ্বারা ওলীমা সম্পন্ন করেন।[১]</div><div><br></div><div>[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/১২০৯৯; মুসনাদে বাযযার, হা/৬২৯৪; মুসনাদে আবু ই’আলা, হা/৩৫৫৯।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১৩২</div><div>حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ ، عَنْ نُبَيْحٍ الْعَنَزِيِّ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : أَتَانَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , فِي مَنْزِلِنَا , فَذَبَحْنَا لَهُ شَاةً ، فَقَالَ : " كَأَنَّهُمْ عَلِمُوا أَنَّا نُحِبُّ اللَّحْمَ " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ .</div><div><br></div><div>জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার নবী (ﷺ) আমাদের বাড়িতে আসলেন। আমরা তাঁকে (আপ্যায়নের জন্য) একটি বকরী যবেহ করি। তারপর তিনি বললেন, মনে হচ্ছে তারা যেন জানে যে, আমি গোশত পছন্দ করি। এ হাদীসের সাথে দীর্ঘ ঘটনা সম্পৃক্ত রয়েছে।</div><div><br></div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>১৩৩</div><div>حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سُفْيَانُ ، قَالَ : حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ ، أَنَّهُ سمعَ جَابِرًا . ح قَالَ سُفْيَانُ : وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرٍ ، قَالَ : " خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَأَنَا مَعَهُ فَدَخَلَ عَلَى امْرَأَةٍ مِنَ الأَنْصَارِ ، فذَبَحَتْ لَهُ شَاةً , فَأَكَلَ مِنْهَا ، وَأَتَتْهُ بِقِنَاعٍ مِنْ رُطَبٍ ، فَأَكَلَ مِنْهُ ، ثُمَّ تَوَضَّأَ لِلظُّهْرِ , وَصَلَّى , صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، ثُمَّ انْصَرَفَ ، فَأَتَتْهُ بِعُلالَةٍ مِنْ عُلالَةِ الشَّاةِ ، فَأَكَلَ ثُمَّ صَلَّى الْعَصْرَ , وَلَمْ يَتَوَضَّأْ " .</div><div><br></div><div>জাবির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এক আনসারী মহিলার ঘরে আসলেন। আমি তখন তাঁর সাথে ছিলাম। তখন ঐ মহিলাটি তাঁর জন্য একটি বকরী যবাই করলেন। তিনি তা হতে কিছু গোশত আহার করলেন। এরপর ঐ মহিলাটি তাঁর সামনে এক থোকা তাজা খেজুর পেশ করলেন। তিনি তা হতেও কিছু খেয়ে নিলেন। এরপর তিনি ওযু করে যোহরের সালাত আদায় করলেন। তারপর তিনি ঐ মহিলাটির নিকটে ফিরে আসলেন। মহিলাটি অবশিষ্ট গোশতের কিছু অংশ তাঁর সামনে পরিবেশন করলেন এবং তিনি তা খেলেন। এরপর ওযু না করেই আসরের সালাত আদায় করলেন।[১]</div><div><br></div><div>[১] শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৫০; মুসনাদুত তায়ালুসী, হা/১৭৭৫।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ ও চর্বিযুক্ত খাবারও আহার করতেন</div><div><br></div><div>১৩৪</div><div>حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ الدُّورِيُّ ، قَالَ : حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : حَدَّثَنَا فُلَيْحُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ ، عَنْ أُمِّ الْمُنْذِرِ ، قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , وَمَعَهُ عَلِيٌّ ، وَلَنَا دَوَالٍ مُعَلَّقَةٌ ، قَالَتْ : فَجَعَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ وَعَلِيٌّ مَعَهُ يَأْكُلُ ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ , لِعَلِيٍّ : " مَهْ يَا عَلِيُّ ، فَإِنَّكَ نَاقَةٌ " ، قَالَتْ : فَجَلَسَ عَلِيٌّ , وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ ، قَالَتْ : فَجَعَلْتُ لَهُمْ سِلْقًا وَشَعِيرًا ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَلِيٍّ : " مِنْ هَذَا فَأَصِبْ فَإِنَّ هَذَا أَوْفَقُ لَكَ " .</div><div><br></div><div>উম্মুল মুনযির (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের বাড়িতে আসলেন। তাঁর সঙ্গে আলী (رضي الله عنه)ও ছিলেন। আমাদের ঘরে কয়েক ছড়া (কাঁদি) খেজুর ঝুলন্ত ছিল। তিনি বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ কাঁদিগুলো হতে খেজুর খেতে থাকলেন এবং তাঁর সঙ্গে আলী (رضي الله عنه)ও খেতে থাকলেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আলী! থাম তুমি খেজুর খেয়ো না। কারণ, তুমি সবে মাত্র রোগ মুক্ত হয়েছ। তিনি বললেন, এতে আলী (رضي الله عنه) খাওয়া বন্ধ করলেন। আর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) খেতে থাকলেন। বর্ণনাকারী আরো বলেন, আমি তাঁদের জন্য চর্বি দিয়ে যব রান্না করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আলী। তুমি এ থেকে খাও। কারণ, তা তোমার স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপযোগী।[১]</div><div><br></div><div>[১] ইবনে মাজাহ, হা/৩৪৪২: মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৮২৪৪; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হা/২০২১১; শারহুস সুন্নাহ, হা/২৮৬৩; মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হা/২৪১৩৩; মিশকাত, হা/৪২১৬।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘হায়স’ নামক খাবারও খেতেন</div><div><br></div><div>১৩৫</div><div>حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلانَ ، قَالَ : حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ السَّرِيِّ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنْ طَلْحَةَ بْنِ يَحْيَى ، عَنْ عَائِشَةَ بِنْتِ طَلْحَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ، أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ , قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِينِي فَيَقُولُ : " أَعِنْدَكِ غَدَاءٌ ؟ " فَأَقُولُ : لا . قَالَتْ : فَيَقُولُ : " إِنِّي صَائِمٌ " . قَالَتْ : فَأَتَانِي يَوْمًا ، فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنَّهُ أُهْدِيَتْ لَنَا هَدِيَّةٌ ، قَالَ : " وَمَا هِيَ ؟ " قُلْتُ : حَيْسٌ ، قَالَ : " أَمَا إِنِّي أَصْبَحْتُ صَائِمًا " ، قَالَتْ : ثُمَّ أَكَلَ .</div><div><br></div><div>উম্মুল মু’মিনীন আয়েশা (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>তিনি বলেন, নবী (ﷺ) ভোরে আমার কাছে এসে বলতেন, তোমার নিকট নাশতা করার কিছু আছে কি? আমি কখনো কখনো বলতাম, না, কোন খাবার নেই। তখন তিনি বলতেন, আমি রোযার নিয়ত করলাম। একবার তিনি আমাদের নিকট আসলেন। তখন আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের জন্য কিছু হাদিয়া এসেছে। তিনি বললেন, তা কোন ধরণের খাবার? আমি বললাম, হাইস (খেজুরের তৈরি মিষ্টান্ন বিশেষ)। তিনি বললেন, আমি তো রোযাদার অবস্থায় সকাল কাটিয়েছি। আয়েশা (رضي الله عنه) বললেন, এরপর তিনি খেয়ে নিলেন।[১]</div><div><br></div><div>[১] সহীহ মুসলিম, হা/২৭৭০; আবু দাউদ, হা/২৪৫৭; নাসাঈ, হা/২৩২২; মুসনাদে আহমাদ, হা/২৪২৬৬; সহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৩৬২৮; দারা কুতনী, হা/২২৩৬; শারহুস সুন্নাহ, হা/১৭৪৫; মিশকাত, হা/২০৭৬।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div><div>📌পরিচ্ছদঃ</div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘সুফল’ পছন্দ করতেন</div><div><br></div><div>১৩৬</div><div>حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، قَالَ : حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ الْعَوَّامِ ، عَنْ حُمَيْدٍ ، عَنْ أَنَسٍ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " كَانَ يُعْجِبُهُ الثُّفْلُ " ، قَالَ عَبْدُ اللَّهِ : " يَعْنِي مَا بَقِيَ مِنَ الطَّعَامِ " .</div><div><br></div><div>আনাস ইবনে মালিক (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিতঃ</div><div><br></div><div>রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘সুফল’ পছন্দ করতেন। আবদুল্লাহ [ইমাম তিরমিয়ী (رحمة الله) এর উস্তাদ] বলেন, ‘সুফল’ হচ্ছে সে জিনিস, যা লোকেরা খাদ্য গ্রহণের পর হাড়ি-পাতিলের তলায় লেগে থাকে।[১]</div><div><br></div><div>[১] মুসনাদে আহমাদ, হা/১৩৩২৩; মুস্তাদরাকে হাকেম, হা/৭১১৬; জামেউস সগীর, হা/৯১১০; মিশকাত, হা/৪২১৭।</div><div>হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস</div><div> </div></div>

【শামায়েলে তিরমিযি】 রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারীর বর্ণনা

ⓞ➤【শামায়েলে তিরমিযি】   ২৬    রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারীর বর্ণনা     📌পরিচ্ছদঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর তরকারী ১১৩ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَهْلِ...

Read more »