আম্বিয়া কেরামের তুলানামূলক মর্যাদার আলোচনা


কিছু কিছু ফযীলত বা মর্যাদা নবী করীম (ﷺ) এবং অন্যান্য আম্বিয়ায়ে কেরামের মধ্যে সাধারণভাবে বিদ্যমান ছিলো। আবার কিছু কিছু মর্যাদা ও কামালাত আল্লাহ্তায়ালা কেবল নবী করীম (ﷺ) এর জন্যই নির্ধারণ করেছেন। এসমস্ত ফযীলত ও কামালাতের ক্ষেত্রে কোনো নবীই দুনিয়া ও আখেরাতে নবী করীম (ﷺ) এর সমকক্ষ হতে পারবেন না। হকতায়ালা মানুষের অস্তিত্বের মৌলিকতায়  বিভিন্নতা দিয়েছেন। তন্মধ্যে কোনো কোনো নফসকে আল্লাহ্তায়ালা চূড়ান্ত পর্যায়ের পবিত্রতা দান করেছেন। কোনো কোনো নফস মধ্যম স্তরের মর্যাদা লাভ করেছে। কোনো কোনো নফস আবার পংকিলতা ও আবিলতার চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। 


কাজেই এদের সকলের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদা সাব্যস্ত হয়েছে। তবে আম্বিয়ায়ে কেরামের সকলের নফসই অন্যান্যদের তুলনায় সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন ও অতুলনীয়। তাঁদের দেহ মোবারকও অন্যান্য মানবদেহের তুলনায় অধিকতর পাক এবং সর্বপ্রকারের ত্রুটি ও ক্ষতি থেকে পূর্ণ সুরক্ষিত, পবিত্র। আম্বিয়ায়ে কেরাম অন্যান্যদের তুলনায় পূর্ণ ও উত্তম এবং কামালিয়াতের বৃত্তের অন্তর্গত হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের পরস্পরের মধ্যে মর্যাদার তারতম্য অবশ্যই ছিলো। সাইয়্যেদে আলম মোহাম্মাদুর রসুলুল্লাহ্ (ﷺ) অন্যান্য নবীগণের তুলনায় স্বভাবের দিক দিয়ে অধিকতর বিশুদ্ধ, বিবেচক ও সমর্পিত ছিলেন। দৈহিক দিক দিয়ে অধিকতর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন তো ছিলেনই। রূহানিয়াতের দিক দিয়েও ছিলেন অন্যের তুলনায় অধিকতর পূর্ণাঙ্গ। চারিত্রিক দিক দিয়েও ছিলেন অধিকতর পবিত্র ও সম্মানিত। মানব জাতির মধ্যে সর্বোত্তম। তিনিই মানব জাতির নেতা, এ ব্যাপারে মতপার্থক্য নেই। 


আম্বিয়া কেরামকে যে বিভিন্ন প্রকারের কামালত ও কারামত প্রদান করা হয়েছে, তার সবগুলোই অথবা তার অনুরূপ বিশেষ ফযীলত ও কামালত  রসুলেপাক (ﷺ)কে বিশেষভাবে দেয়া হয়েছে। এগুলোতে অন্য নবীগণ অংশীদার নন।


➥[কিতাবঃ মাদারেজুন নবুওয়াত। মূলঃ ইমাম আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (رحمة الله)] 




© | সেনানী এপ্স |

 
Top