The Maqam of Sayyiduna Dihya al-Kalbi (رضي الله عنه)

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-QWxMcNqzDOA/YBXEibXZ83I/AAAAAAAAA_0/7UcvhsPrupsZnlDmTHromZr6Ji4ZqhbOACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1612039012835.jpg" imageanchor="1" style=" margin-right: 1em;margin-left: 1em;"><img alt="" border="0" class=" " data-original-height="960" data-original-width="672" height="388" src="https://lh3.googleusercontent.com/-QWxMcNqzDOA/YBXEibXZ83I/AAAAAAAAA_0/7UcvhsPrupsZnlDmTHromZr6Ji4ZqhbOACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1612039012835.jpg" title="" width="272"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">This is the Maqam of Sayyiduna Dihya al-Kalbi (رضي الله عنه) in Damascus. When Sayyiduna Jibril would come to the Messenger of Allah ﷺ, he would often come in the physical form of Dihya al-Kalbi because he was a man who was physically very beautiful. Allah loves His Beloved ﷺ so much that He would make His angels resemble the Companions of Rasulallah ﷺ. How unfortunate are those who try to find faults in those who gave us this deen? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">One day, the Prophet ﷺ asked his wife, Umm Salamah, 'Who is this?' She replied, 'Dihya,' and was later told that it was Sayyiduna Jibril. The rank of the Prophet's ﷺ wives was so great that Sayyiduna Jibril descended and gave Sayyidah Khadijah his salam and gave her glad-tidings of a palace in Jannah. Another occasion, he desended and gave Sayyidah A'ishah his salam. Allah said, 'O wives of the Prophet, you are like no other women!' If the Prophet's ﷺ wives are beyond every other female due to their proximity to him, their service for him, their love for him, and their devotion for him ﷺ — how can any one ever be similar to Sayyiduna Muhammad ﷺ?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">@ Central Jamia Mosque Ghamkol Sharif</div>

The Maqam of Sayyiduna Dihya al-Kalbi (رضي الله عنه)

This is the Maqam of Sayyiduna Dihya al-Kalbi (رضي الله عنه) in Damascus. When Sayyiduna Jibril would come to the Messenger of Allah ﷺ, he w...

Read more »

গাউসুল আযম বলা জায়েজ।

<div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-4mN_LI1WzlE/YBUdjK3az1I/AAAAAAAAAgU/AKrXs3caEAwCqsF8nNpIm8jlspq9GQH2ACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1576606341106.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="721" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-4mN_LI1WzlE/YBUdjK3az1I/AAAAAAAAAgU/AKrXs3caEAwCqsF8nNpIm8jlspq9GQH2ACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1576606341106.jpg" width="240" /></a></div>“গাউছ” মানে “সাহায্যকারী”, “আযম” মানে “মহান”। সুতরাং,গাউসুল আযম মানে মহান সাহায্যকারী,এটা একমাত্র আল্লাহ,তাই কাউকে গাউসুল আযম বলা শিরিক।(আউযুবিল্লাহ)।বাংলা যুক্তিতে শিরিকের ফতোয়া দাড় করিয়ে দেয়ার কাজটা ইদানিং খুব সহজেই করে যাচ্ছেন সালাফী ভাইয়েরা।(সালাফী বললাম,কারণ গাউছ শব্দ নিয়ে ওলামায়ে দেওবন্দ কে ফলোকারীরা আপত্তি তুলবেন না।)<br /></div><div><br /></div><div>কিন্তু বাস্তবিকভাবে যেটা সত্য এবং গ্রহণযোগ্য সেটা আমরা দেখার চেষ্টা করবো।অনুরোধ করবো অল্পস্বল্প আরবী বুঝেন,না বুঝলে বুঝার চেষ্টা করেন।যদি এমন হয় যে,”আরবী আমাদের কাজ না,আমরা অন্য লাইনের”। তাহলে বলব যত্রতত্র মাথা ঘামিয়ে গুনাহগার হবেন না।</div><div><br /></div><div>“গাউছুল আযম” শব্দটা “Common Noun” বা সাধারণ নামবাচক শব্দ, যা দ্বারা বিশেষ ব্যক্তিকে বুঝানো হলেও “গাউছুল আযম” যে দুটো শব্দ নিয়ে গঠিত, {غوث}/গাউছ হল Verb/Noun তবে এখানে Verb এর হিসেবে এবং {أعظم}/আজম, যা কিনা Adjective.আমরা প্রথমে শব্দদুটো ব্যাখ্যা করবো।এরপর সিদ্ধান্তের দিকে যাবো।</div><div><br /></div><div>আল্লামা রাগেব আসবাহানী ,গাউস শব্দের ক্ষেত্রে লিখেন,</div><div>{ الغَوْثُ يقال في النّصرة، والغَيْثُ في المطر، واسْتَغَثْتُهُ: طلبت الغوث أو الغيث}</div><div>মানে, গাউছ অর্থ 'সাহায্য' এবং গাইছ অর্থ বৃষ্টি। ইস্তেগাছা অর্থ হল কারো কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা অথবা আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা।[1]</div><div>তাহলে, এ অনুসারে যার কাছে সাহায্য চাওয়া হয় তিনি গাউছ,আর সাহায্য বৃষ্টি হলে, স্থূলবুদ্ধিতে সেই গাউছ হন আল্লাহ।</div><div>কিন্তু, আল্লাহর ব্যাপারে 'গাউছ' শব্দ ব্যবহারের জন্য এতটুকু যথেষ্ঠ নয়।কেননা, কোরআনে গাউছ শব্দটি সরাসরি না এলেও এর আশপাশের শব্দগুলো এসেছে।</div><div>⬛যেমনঃ আনফালের নবম আয়াতে রব্বে করীম এরশাদ করেন,</div><div>{.....اِذۡ تَسۡتَغِیۡثُوۡنَ رَبَّکُمۡ}</div><div>বা,যখন তোমরা (বদর দিবসে[2]) তোমাদের রবের নিকট (সাহায্য চেয়ে/ফাস্তাগিছু) ইস্তেগাছা/প্রার্থনা করেছিলে।</div><div>⬛ক্বাসাস এর পঞ্চদশতম আয়াতে উল্লেখ—</div><div>{...… فَاسۡتَغَاثَہُ الَّذِیۡ مِنۡ شِیۡعَتِہٖ عَلَی الَّذِیۡ مِنۡ عَدُوِّہٖ……}</div><div>বা,তখন ঐ লোক যে তাঁর দলের ছিলো,যে মুসার কাছে সাহায্য চাইলো (ফাস্তাগাছাহু) তারই বিরুদ্ধে,যে তাঁর শত্রুদের অন্তর্ভুক্ত ছিল।</div><div>⬛আবার হাদীস শরীফে আছে,</div><div>{…… فَبَيْنَا هُمْ كَذَلِكَ اسْتَغَاثُوا بِآدَمَ ثُمَّ بِمُوسَى ثُمَّ بِمُحَمَّدٍ وَزَادَ …}</div><div>মানে,(কিয়ামতের দিবসে মানুষ) যখন তারা এই অবস্থায় থাকবে, তখন তারা সাহায্য চাইবে (ইস্তাগাছু) আদম (‘আ.)-এর কাছে, অতঃপর মূসা (‘আ.)-এর কাছে, তারপর হাবিব মুহাম্মাদ ﷺ-এর কাছে।[3]</div><div>⬛আরো এসেছে,নবীজী ﷺ র চেহারা আনোয়ারের উসীলা দিয়ে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে—</div><div>{اخرج ابن عساكر في تاريخه ، عن جلهمة بن عرفطة قال : قدمت مكة وهم في قحط، فقالت قریش : يا أبا طالب اقحط الوادي وأجدب العيال، فهلم واستسق فخرج كأنه أبو طالب ومعه غلام شمس دجن تجلت عنه سحابة قتماء وحوله أغيلمة، فأخذه ابو طالب فألصق ظهره بالكعبة ولاذ بإصبعه الغلام وما في السماء قزعة فأقبل السحاب من ها هنا وها هنا، واغدق وأغدودق وانفجر له الوادي وأخصب البادي والنادي......(إلى آخر الحديث)}</div><div>অর্থঃ ইবনে আসাকির স্বীয় ইতিহাস গ্রন্থে জালহামা ইবনে আরকাতাহ থেকে রেওয়ায়েত করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি মক্কায় এলাম। তখন দুর্ভিক্ষ চলছিল। কোরায়শরা বললঃ হে আবু তালেব! উপত্যকায় ভীষণ দুর্ভিক্ষ। মানুষ ক্ষুধায় মৃত্যুবরণ করছে।আপনি ইস্তেসকা করুন বা বৃষ্টির জন্য দোয়া। আবু তালেব বের হলেন। তাঁর সঙ্গে অনুপম সৌন্দর্যমণ্ডিত এক বালক ছিল তার উপমা এমন যেন কাল মেঘ সরে গিয়ে রৌদ্র বের হয়ে এসেছে। তাঁর চারপাশে ছোট ছোট শিশুরা ছিল। আবু তালেব তাঁর হাত ধরে কাবার প্রাচীরে ঠেস দিলেন এবং আপন অঙ্গুলি দিয়ে বালক ﷺ কে স্পর্শ করলেন। তখন আকাশে এক খণ্ড মেঘও ছিল না। কিন্তু দেখতে দেখতে চতুর্দিক থেকে মেঘ এসে গেল এবং প্রবল বৃষ্টি বর্ষণ করল। উপত্যকা পানিতে ভরে গেল। নগর ও গ্রাম সবুজ ও সতেজ হয়ে গেল।[4]</div><div>এখানে তাহলে এটা স্পষ্ট যে,গাউছের আশপাশের শব্দগুলো(ইস্তিগাছা/ফাস্তাগিছু) আল্লাহ,নবী-রসুল উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়।মানে যে গুণটায় বান্দা গুণান্বিত হয় সেগুণটা রব্বে করীমের শানে প্রযোজ্য নয়।অর্থাৎ,বান্দা গাউছ হতে পারে।কিন্তু আল্লাহ মূল সাহায্যকারী হবার সত্ত্বেও উনার ক্ষেত্রে গাউছ শব্দ ব্যবহার করা হবে না।সুতরাং স্পটতই গাউছ শব্দ দ্বারা শিরিক বুঝায় না।</div><div><br /></div><div>আল্লাহর মতো কিছুই নয়,আল্লাহর সিফাত অন্য কারো মধ্যে থাকতে পারে না।তবে আল্লাহ যদি কাউকে গুণান্বিত করেন তবে ব্যক্তিকে আল্লাহর সিফাতী নামে ডাকা অবশ্যই যাবে। এতে ব্যক্তি মর্যাদাবান হয়,এই অর্থে যে,সে আল্লাহর অনুগ্রহে গুনান্বিত,এবং কখনোই আল্লাহর সমকক্ষ নয়।উদাহরণ— আল্লাহ বলেনঃ</div><div>{لَقَدۡ جَآءَکُمۡ رَسُوۡلٌ مِّنۡ اَنۡفُسِکُمۡ عَزِیۡزٌ عَلَیۡہِ مَا عَنِتُّمۡ حَرِیۡصٌ عَلَیۡکُمۡ بِالۡمُؤۡمِنِیۡنَ رَءُوۡفٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲۸﴾}</div><div>মানে, নিশ্চয়ই তোমাদের নিকট তাশরিফ এনেছেন তোমাদের মধ্য হতে ঐ রাসূল, যাঁর নিকট তোমাদের কষ্টে পড়া কষ্টদায়ক,তোমাদের কল্যাণ অতিমাত্রায় কামনাকারী, মুমিনদের প্রতি তিনি রউফ ও রহিম।(তাওবাঃ১২৮)</div><div>এখানে,আল্লাহ নবীজিকে 'রউফ' এবং 'রহিম' গুণদুটি প্রদান করেছেন।তাই সমগ্র সৃষ্ট জগতে নবীজীর মত কোনো রউফ ও রহিম নেই।আর উনাকে এটা প্রদান করেছেন যিনি স্বয়ং নবীজীরও 'রউফ-রহিম” রব্বুল আলামিন। এ আয়াত প্রমাণ করে যে,আল্লাহ চাইলেই যে কাউকে ক্ষমতা প্রদান করতে পারেন।</div><div>আল্লাহ রব্বুল আলামিন নিজেকে সাহায্যকারী হিসেবে পরিচয় দিতে যেসকল আসমা-উল-হুসনা ব্যবহার করেছেন সেগুলো হলো নাসির {نَصِيرٍ}এবং ওয়ালি { وَلِيٍّ}.</div><div>তাহলে আবারো স্থূলবুদ্ধিতে ব্যাপারটা এমন হওয়া উচিত যে,কেউ যদি “নাসির” বা “ওয়ালি” শব্দগুলা ব্যবহার করে তবে সেটা শিরক।</div><div>সরাসরি হাদিসে এসেছে,নবীজী (ﷺ), মওলা আলী আলাইহিস সালাম এর ব্যাপারে বলেন,</div><div>{وَهُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤْمِنٍ بَعْدِي……}</div><div>মানে,(নবীজী বলেন) আমার পরে সে (আলী) সমস্ত মোমিনের ওয়ালি বা বন্ধু/সাহায্যকারী/অভিভাবক।[5]</div><div>আবার যারা হিজরতের পর মুহাজের দেরকে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাদেরকে বলা হয় আনসার,{الأنصار}, (নাসির এর আশপাশের শব্দ)।</div><div><br /></div><div>আবার নড়েচড়ে বসার মত আয়াত এসেছে কোরআনে।আল্লাহ বলেন,</div><div>{....یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُوۡنُوۡۤا اَنۡصَارَ اللّٰہِ}</div><div>মানে,(আল্লাহ বলছেন),হে ঈমানদারগণ!তোমরা আল্লাহর দ্বীনের সাহায্যকারী হও।(সুরা সাফ শেষ আয়াত)</div><div>আবার ঐ একই আয়াতে, রুহুল্লাহ ঈসা আলাইহিস সালাম, একই শব্দ “নাসির” প্রয়োগে,সাহায্য চাচ্ছেন উনার অনুসারীদের কাছে—</div><div>{... قَالَ عِیۡسَی ابۡنُ مَرۡیَمَ لِلۡحَوَارِیّٖنَ مَنۡ اَنۡصَارِیۡۤ اِلَی اللّٰہِ ؕ...}</div><div>বা,, ঈসা ইবনে মরীয়ম হাওয়ারিগণকে জিজ্ঞাসা করলেন, আল্লাহর পথে কারা আমার সাহায্যকারী হবে?</div><div>এবং হাওয়ারীরা বললো—</div><div>{...… قَالَ الۡحَوَارِیُّوۡنَ نَحۡنُ اَنۡصَارُ اللّٰہِ …}</div><div>বা, হাওয়ারীরা বললেন,আমরাই আল্লাহর পথে আপনার সাহায্যকারী।</div><div>এখন প্রশ্ন কোরআন কে করুন,যদি সাহায্যচাওয়া শিরক হত,তাহলে আল্লাহর পয়গম্বর কেন হাওয়ারিদের কাছে সাহায্য চাইলেন?আর হাওয়ারীরাও কেন এটা বললো না যে,আমাদের কাছে সাহায্য চাইবেন না এটা শিরক?</div><div><br /></div><div>যে ব্যক্তি হাক্বিকাতান/প্রকৃতভাবে কাউকে আল্লাহর সমতূল্য ভেবে বা আল্লাহ হতে পৃথক ভাবে নিজ শক্তিতে অন্যকে সাহায্যকারী ভাবে সে শিরক করলো।কিন্তু,কেউ যদি আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা বলে,কোনো বান্দাকে আল্লাহর ক্ষমতা দ্বারা সাহায্যকারী মানে,তবে তা শিরক কি প্রকারে হতে পারে?</div><div>আর আওলিয়া কিরামের ব্যাপারে আল্লাহ স্পষ্ট ঘোষণা করেন—</div><div>{.... حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لأُ×عْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لأعِيذَنَّهُ.....}</div><div>অর্থঃ (আল্লাহ বলেন) এমন কি অবশেষে আমি তাকে (যে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে/আউলিয়া) আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নেই যে, আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শুনে। আমিই তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখে। আর আমিই তার হাত হয়ে যাই, যা দিয়ে সে ধরে। আমিই তার পা হয়ে যাই, যা দ্বারা সে চলে। সে যদি আমার কাছে কোন কিছু চায়, তবে আমি নিশ্চয়ই তাকে তা দান করি। আর যদি সে আমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে, তবে অবশ্যই আমি তাকে আশ্রয় দেই।[6]</div><div>সুতরাঙ আউলিয়া কেরামের কাছে সাহায্য চাওয়াকে অস্বীকার করা, তাদের উপর সন্দেহ পোষন করা, প্রকারান্তরে হাদীসে কুদসিকেই অস্বীকার করা।</div><div><br /></div><div> এতটুকু প্রমাণ হলো যে,যেখানে আল্লাহ মনে না করে “নাসির”, ”ওয়ালী”,”রউফ” এবং “রহিম” ইত্যাদী সিফাতী নামকে ডাকা শিরক না হয়,তবে সেখানে সিফাতী নামের বহির্ভুত “গাউছ” শব্দ ব্যবহার করলে শিরক হবার প্রশ্নই আসেনা।অতএব গাউছ শব্দটি আল্লাহর শানে প্রযোজ্য নয়।এটা বান্দার শান। </div><div><br /></div><div>এবার আসি 'আজম/{اعظم}' শব্দের ব্যাখ্যায়।কোরআনুল করীমে কমবেশি ৩টি স্থানে আজম শব্দটি এসেছে।</div><div>প্রথমত,সুরা তাওবা-২০</div><div>اَلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَ ہَاجَرُوۡا وَ جٰہَدُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ بِاَمۡوَالِہِمۡ وَ اَنۡفُسِہِمۡ ۙ اَعۡظَمُ دَرَجَۃً عِنۡدَ اللّٰہِ ؕ وَ اُولٰٓئِکَ ہُمُ الۡفَآئِزُوۡنَ ﴿۲۰﴾</div><div>বা, যারা ঈমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে তারা আল্লাহর কাছে মর্যাদায় শ্ৰেষ্ঠ (আ'জামু দারাজাত) । আর তারাই সফলকাম।</div><div>দ্বিতীয়ত, সুরা হাদীদ -২০</div><div>.... اُولٰٓئِکَ اَعۡظَمُ دَرَجَۃً مِّنَ الَّذِیۡنَ اَنۡفَقُوۡا مِنۡۢ بَعۡدُ وَ قٰتَلُوۡا ؕ....</div><div>বা, তারা মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ (আ'জামু দারাজাত) তাদের চেয়ে যারা পরবর্তী কালে ব্যয় করেছে ও যুদ্ধ করেছে।</div><div>সর্বশেষ, মুযযাম্মিল-২০(আয়াতাংশ)</div><div>.... وَ مَا تُقَدِّمُوۡا لِاَنۡفُسِکُمۡ مِّنۡ خَیۡرٍ تَجِدُوۡہُ عِنۡدَ اللّٰہِ ہُوَ خَیۡرًا وَّ اَعۡظَمَ اَجۡرًا ؕ....</div><div>বা,আর নিজের জন্য যে সৎকর্ম আগে প্রেরণ করবে সেটাকে আল্লাহর নিকট অধিকতর উত্তম (আ'জামা খাইরা) এবং ও মহাপুরষ্কারেরই (উপযোগী) পাবে।</div><div>সুতরাং,স্পষ্টত যে,কুরআন কেবলমাত্র বান্দার মর্যাদা বুঝাতে,আল্লাহ হতে পাওয়া বান্দার প্রতিদান সম্পর্কে আজম শব্দ ব্যবহার করেছে। এবং “আজম” শব্দ আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়নি। </div><div>সুতরাং,একেবারেই স্পষ্ট যে,আল্লাহর জন্য না গাউছ শব্দ বসে, আর না বসে আজম।</div><div>আল্লাহ তাহলে নিজের জন্য কি শব্দ ব্যবহার করেন?</div><div>উত্তর খুব সোজা,রুকুতে সবাই পড়ে,সোবাহানা রব্বিয়াল আজিম (আজম নয়)।বা,আল্লাহর বড়ত্ব, মহত্ব বুঝাতে “আজিম” শব্দ বসে,”আজম” বসে না।“সোবহান” শব্দ বসে,”নাসির” বসে,”ওয়ালী” বসে, “গাউছ” বসে না।</div><div><br /></div><div>অপ্রাসঙ্গিক দিকে যাই একটু, “আজিম” বসালেও যে শিরক হয় এমন ও না।</div><div>যেমনঃ কোরআনেই এসেছে,বড় সংবাদ কে আজিম বলা হয়েছে(নাবাইল আজিম)।কোরআনুল করিম নিজেই আজিম।</div><div>আবার সুরা মায়েদার ১৫নং আয়াতের তাফসিরে আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আলুসী বাগদাদী হানাফি রহঃ বলেন—</div><div>{.....نور عظيم وهو نور الأنوار....}</div><div>বা, নবীজী হলেন সর্বাপেক্ষা বড় ও মহান নূর(নুরুন আজিমুন) ।সকল নূরেরও নূর।</div><div>আর এসব কোরআনিক বিশ্লেষণ দ্বারা স্পষ্ট যে,গাউছুল আযম এটা আল্লাহর শান নয়।বরং আল্লাহ চাইলে যাকে ইচ্ছা “গাউছিয়ত” পদ দ্বারা সম্মানিত করতে পারেন।</div><div> এর পরও যদি কারো প্রশ্ন থাকে,তাহলে বলব,আল্লাহ বলেন—</div><div>{وَ مَنۡ اَصۡدَقُ مِنَ اللّٰہِ حَدِیۡثًا..........}</div><div>বা, আর আল্লাহ্‌র চেয়ে বেশী সত্যবাদী(সিদ্দিক/আসদাক্বু) কে?</div><div>অথচ,নবীজী হযরত আবু বকর রাঃ কে সিদ্দিক ঘোষণা করেন।[7]আর ইমাম ইবনে বাত্তাহ একটি হাদিস উল্লেখের পর এভাবে মতামত দিচ্ছেন,</div><div>{……هذا يا إخواني الصديق الأكبر يتخوف}</div><div>বা, “আমার ভাইয়েরা,এই যে,সিদ্দিকে আকবর প্রসংশিত হলেন”......... [8]</div><div>আর ইমাম আবু হানিফার জীবনী উল্লেখ করতে গিয়ে ইমাম যাহাবী শিরোনাম দেন এভাবে, “আবু হানিফা ইমাম আ'জম”।[9]</div><div>ওলামায়ে দেওবন্দের আলেমগণের দ্বারা শায়খ মুহিউদ্দীন আব্দিল ক্বাদীর রাঃ কে গাউছুল আযম বলার ঘটনা প্রমাণিত।[10]</div><div><br /></div><div>গাউছ শব্দের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা দেখান সালাফী-আহলে হাদিস স্কলার রা ।দেখেন তাহলে, আহলে হাদীস আন্দোলনের পুরোধা নওয়াব সিদ্দিক হাসান খাঁন ভূপালি কি লিখেন—</div><div>.{ أَن الْغَوْث الْأَعْظَم والقطب الأفخم الشَّيْخ عبد الْقَادِر الجيلاني رَضِي الله عَنهُ حَامِل مذْهبه وتابع أَقْوَاله وَلذَلِك ثَبت ذكره فِي الْحَنَابِلَة وَكَانَ حنبليا على الْمَشْهُور الْمُقَرّر انْتهى}</div><div>বা,নিঃসন্দেহে গাউছুল আযম ক্বুতুবুল আফখাম শায়খ আব্দিল ক্বাদির রাদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হাম্বলি মাযহাব অনুসরণ করেছিলেন……[11]</div><div><br /></div><div> যাই হোক।আক্বায়েদে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জাম'আ যুক্তি-মতবাদের জোরে প্রতিষ্ঠিত নয় বরং তাসাউফ পন্থীদের ব্যবহৃত শব্দ গাউস-কুতুব-আবদাল ইত্যাদি মর্যাদা ও কর্মকান্ড হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।</div><div><br /></div><div><br /></div><div><br /></div><div>তথ্যসূত্রঃ—</div><div>(১)আল-মুফরাদাত ,আল্লামা রাগেব আসবাহানী,৬১৭পৃষ্ঠা</div><div> <span style="white-space: pre;"> </span>(২)আল ইস্তেগাসা,ড.তাহিরুল কাদেরী। </div><div>{ইস্তেগাছা হল কারো কাছে সাহায্য চাওয়া}</div><div>তরজমায়ে কানযুল ঈমান ও তাফসিরে খাযায়িনুল ইরফানের টীকা।কৃতঃ ইমামে আহলে সুন্নত আহমদ রযা খাঁ ফাদ্বেলে বেরেলী এবং আল্লামা নঈমুদ্দীন গঞ্জে মুরাদাবাদী রহঃ</div><div>বুখারী,কিতাবুয যাকাত,{ بَاب مَنْ سَأَلَ النَّاسَ تَكَثُّرًا},৫২নং বাব,১৪৭৫ নং হাদিস।</div><div>কিফায়াতিত তালিবিল লাবিব ফি খাসায়িসিল হাবিব(মশহুরুন আল খাসায়িস আল কোবরা), { باب استسقاء ابي طالب به ﷺ},১/১৪৬,ইমাম জালালুদ্দীন সূয়ুতী।</div><div>এই এবারত টি উসীলার প্রমাণ।এটা আমরা এখানে ব্যবহার করেছি,কারণ ইস্তেগাছা বা সাহায্য প্রার্থনা এবং উসীলা মূলগতভাবে একই জিনিস।আর কোরআনে স্পষ্ট উসীলার কথা উল্লেখ আছে(মায়িদা-৩৫)</div><div>সুনানু তিরমিজী,#৩৭১২,{ كتاب المناقب}</div><div>(১)বুখারী,#৬৫০২,কিতাবুর রিক্বাক। (২)রিয়াযুস সালেহীন #৯৫,#৩৮৬, (৩)ইমাম নববী,#৩৮,হাদীসে আরবা'ইন</div><div>মুসলিম, باب مِنْ فَضَائِلِ طَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ رضى الله عنهما,২৪১৭</div><div>আল ইবানাতু আন-শারীয়াতুল ফিরকাতুন নাজিয়াহ ওয়া মুজানাবাতুল ফিরাক্বিল মাযমুমাত (মশহুরিন আল ইবানাতুল কুবরা),কিতাবুল ঈমান,১/২৪৬,#৭৭. ইমাম ইবনে আল বাত্তাহ (৩৮৭ হিজরী)।ইমাম বাত্তাহ এর ব্যাপারে ইমাম যাহাবী বলেন,</div><div>{كان إماما في السنة، إماما في الفقه، صاحب أحوال وإجابة دعوة}</div><div>বা,(ইমাম বাত্তাহ)তিনি যুগের ইমাম ছিলেন,ফকিহগণের ইমাম ছিলেন।তাঁর বিশেষত্ব ছিল,উনি মুস্তাজাবুদ দা'ওয়া বা যাঁর দোয়া কবুল হয়।[মিযানুল ই'তেদাল, ৩য় খন্ড, ১৫পৃষ্ঠা]</div><div>9.তাযকিরাতুল হুফফাজ,১/১৬৮, ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী রহঃ</div><div>10. (১)“হাদ্বরাত আশরফ আলী থানভী কা পসন্দিদা ওয়াক্বিয়াহ”,৩৬পৃষ্ঠা,ঘটনার শিরোনাম ই হল “গাউসে আযম রাঃ এর ধোপার ঘটনা”।(উর্দু বাজার,লাহোর হতে প্রকাশিত)</div><div>(২) মওলানা এহতেশাম হাসান কান্ধলভী শায়খ জিলানীর জীবনীর কিতাব লিখেছেন, যার নাম “গাউসে আযম”।(তাবলীগ কুতুবখানা,পাকিস্তান)</div><div>11.আল খিত্তাহ ফিয যিকর আস-সিহাহ আস-সিত্তাহ,২৬০পৃষ্ঠা (দারুল কুতুব ইলমিয়াহ,বৈরুত,লিবনান),নওয়াব সিদ্দিক হাসান খাঁন ভুপালি।</div><div><br /></div><div>✍️ Raffehaan, KUET</div>

গাউসুল আযম বলা জায়েজ।

“গাউছ” মানে “সাহায্যকারী”, “আযম” মানে “মহান”। সুতরাং,গাউসুল আযম মানে মহান সাহায্যকারী,এটা একমাত্র আল্লাহ,তাই কাউকে গাউসুল আযম বলা শিরিক।(আউয...

Read more »

মাতৃস্নেহের উজ্জ্বল নিদর্শন পেলিকান পাখি

<div style="text-align: justify;">অভাবের সময়ে, পেলিকানরা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তাদের নিজের বুকে ক্ষত করে। রক্তের পুষ্টিগুণ শিশুদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে যতক্ষণ না আরও পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পাওয়া যায়। Mother is the best gift from Allah !!!</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তাদের মধ্যে অনেক প্রকার আছে। এদের ঠোঁটে ১১ লিটার পর্যন্ত পানি ধরে রাখতে পারে। আর তাদের উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে।</div><div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-GBxCA_QmBKg/YBOgLUYF9BI/AAAAAAAAA_I/2nTsdjlakf8-IfMhoIPyhUcBDmwNP6_BQCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611896769585.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1372" data-original-width="1080" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-GBxCA_QmBKg/YBOgLUYF9BI/AAAAAAAAA_I/2nTsdjlakf8-IfMhoIPyhUcBDmwNP6_BQCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611896769585.jpg" width="251"></a></div><br></div>

মাতৃস্নেহের উজ্জ্বল নিদর্শন পেলিকান পাখি

অভাবের সময়ে, পেলিকানরা তাদের বাচ্চাদের খাওয়ানোর জন্য তাদের নিজের বুকে ক্ষত করে। রক্তের পুষ্টিগুণ শিশুদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে যতক্ষণ না আরও...

Read more »

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র

<div>মুসলিম সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র মোবারক তুরস্কে অবস্থিত। </div><div> """সুবহানআল্লাহ """</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-oWb043ItV2I/YBOelgefL-I/AAAAAAAAA-4/Cs1A8hwaTd8-utj9wiY7mMZkT7T3UM_hwCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611898301625.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="900" data-original-width="600" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-oWb043ItV2I/YBOelgefL-I/AAAAAAAAA-4/Cs1A8hwaTd8-utj9wiY7mMZkT7T3UM_hwCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611898301625.jpg" width="213"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">শেয়ার করে অপরকে দেখার সুযোগ করে দিন।<br></div><br></div>

হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র

মুসলিম সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর যুদ্ধে ব্যবহৃত জিনিসপত্র মোবারক তুরস্কে অবস্থিত।  """সুবহানআ...

Read more »

রসায়নশাস্ত্রে জাবের ইবন হাইয়ান (রহ.) এর অবদান

<div style="text-align: justify;"><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-LbdIKhuc6mU/YBOgQVxik7I/AAAAAAAAA_Q/zrq7X5BmdGs52KcOghbMrD9Idvwxqf8wQCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611897043828.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="270" data-original-width="220" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-LbdIKhuc6mU/YBOgQVxik7I/AAAAAAAAA_Q/zrq7X5BmdGs52KcOghbMrD9Idvwxqf8wQCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611897043828.jpg" width="260"></a></div><br></div><div style="text-align: justify;">আবু মুসা জাবির ইবন হাইয়ান (আল-বারিজি / আল-আযদি / আল-কুফি / আল-তুসি / আল-সুফি, আরবি: جابر بن حیان‎‎, ফার্সি: جابرحیان) (জন্ম:৭২১ - মৃত্যু:৮১৫ খ্রিষ্টাব্দ)[৩] বিখ্যাত শিয়া মুসলিম বহুশাস্ত্রজ্ঞ। পাশ্চাত্য বিশ্বে তিনি জেবার নামে পরিচিত যা তার নামের লাতিন সংস্করণ। তিনি ছিলেন একাধারে রসায়নবিদ ও আলকেমিবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও জ্যোতিষী, প্রকৌশলী, দার্শনিক, পদার্থবিজ্ঞানী এবং ঔষধ বিশারদ ও চিকিৎসক। তার প্রকৃত জাতীয়তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। অনেকে বলেন তিনি আরব, অনেকে আবার বলেন তিনি পারস্যের নাগরিক ছিলেন। তাকে "রসায়নের জনক" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জাবির ইবন হাইয়ান আলকেমিতে পরীক্ষণমূলক পদ্ধতির গোড়াপত্তন করেছিলেন।[৪]</div><div style="text-align: justify;">১০ম শতাব্দীর প্রাথমিক দিকে, জাবিরের কাজের পরিচয় এবং সঠিক রচনাসমূহের সংগ্রহ ইসলামী চক্রের মধ্যে বিতর্ক ছিল।[৫] তিনি ১৩শ শতাব্দীতে ইউরোপে একজন বেনামী লেখক ছিলেন এবং পাশ্চাত্যের খ্রিস্টানরা লাতিন অনুযায়ী তার নাম "জেবার" দেন। সাধারণত তাকে ছদ্ম-জেবার হিসাবে উল্লেখ করে। তিনি কলম-নাম জেবার অধীনে আল-কেমি ও ধাতুবিদ লিখেন।[৬]</div><div style="text-align: justify;">তিনি রসায়নের অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া আবিষ্কার করেছিলেন যার অনেকগুলো এখনও ব্যবহৃত হয়। যেমন: হাইড্রোক্লোরিক ও নাইট্রিক এসিড সংশ্লেষণ, পাতন এবং কেলাসীকরণ। তার অধিকাংশ রচনায় দুর্বোধ্য এবং বিভিন্নভাবে সংকেতায়িত। বিশেষজ্ঞ ছাড়া তার রচনা কেউ খুব একটা বোঝেন না, বিশেষজ্ঞদের মধ্যেও কেউ জানেন না ঠিক কি সংকেতের মাধ্যমে লিখেছিলেন তিনি। তাক্বিনের ধারণা এবং সে সময় আরবে প্রচলিত বিভিন্ন পদার্থের নামের মাধ্যমে তিনি বিস্তৃত রাসায়নিক সংখ্যায়ন পদ্ধতি তৈরি করেছিলেন। তার আলকেমি ক্যারিয়ার এই পদ্ধতিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়েছে। তাক্বিন বলতে আলকেমি গবেষণাগারে কৃত্রিমভাবে জীবন সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বোঝায়। বর্তমানে প্রমাণিত হয়েছে যে, জাবিরের প্রাথমিক গবেষণামূলক রচনাগুলো পারস্যের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৈজ্ঞানিক সংস্কৃতির পটভূমিতে রচিত হয়েছে। কৌশলগত শব্দভাণ্ডারে ব্যবহৃত ফার্সি ভাষা এবং মধ্য পারস্য দেশীয় শব্দের মাধ্যমে তার অভিসন্দর্ভগুলো পড়া যায়।তিনি লোহার মরিচা রোধক বার্নিস আবিষ্কার করেছিলেন।এছাড়া ধাতুর শোধন,তরলীকরন, বাষ্পীকরন ও তার আবিষ্কার। তিনিই সর্বপ্রথম ইস্পাত তৈরী করার পদ্ধতি বের করেছেন।চুলের কলব,কাচ,লেখার কালি তৈরীর প্রক্রিয়া ও ব্যবহার বিধি সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আজদ বংশীয় জাবির কূফায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি রসায়নশস্ত্র শিক্ষার পরে "ইমাম জাফর সাদিকের" নিকট গমন করেন, পরে বারমাকীদের সাথে যোগদান করেন। এসময় তিনি অনেক পরীক্ষাকার্য চালায়। বারমাকী মন্ত্রী জাফরের সহায়তায় খলিফা হারুন অর রশীদের অনুগ্রহভাজন হন। তিনি খলিফার জন্য "কিতাবুন নুহাস" (The Book of Copper) প্রনয়ণ করেন।</div><div style="text-align: justify;">ইবনে নাদিম, জাবির ইবনে হাইয়ানের রচিত গ্রন্থ সংখ্যা উল্লেখ করেছেন দুই হাজারেরও বেশী। অতিশয়োক্তি মনে হলেও এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কেননা তার প্রাপ্ত গ্রন্থ গুলোর অনেকটার গড় পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮/১০ এর মতো। এমনকি অনেক গুলোর পৃষ্টা সংখ্যা মাত্র ১টি।</div><div style="text-align: justify;">জাবির ইবনে হাইয়ান, রসায়ন বিষয়ে ২৬৭টি, কিতাবুত্ তাকদীর ধরনের গ্রন্থ ৩০০টি, দর্শন বিষয়ে ৩০০টি, যুদ্ধাস্ত্র বিষয়ে ৩০০টি, চিকিৎসা সম্বন্ধীয় ৫০০টি, দার্শনিক যুক্তি খন্ডন বিষয়ক ৫০০টি ও জ্যোর্তিবিজ্ঞান, জ্যামিতি বিষয়ে ৫টি গ্রন্থ রচনা করেন।</div><div style="text-align: justify;">রসায়ন বিষয়ে রচনা জাবির ইবনে হাইয়ানকে চির অমর করে রেখেছে। এবিষয়ে কয়েকটি শ্রেষ্টতম রচনা হল "কিতাবুর রহমত", " কিতাবুত তাজমী" এবং "জিবাক-উশ্-শরকি"। বিশ্বের বিভিন্ন মিউজিয়ামে রক্ষিত তার রসায়ন বিষয়ক কিছু গ্রন্থ হলো—</div><div style="text-align: justify;">1️⃣ উস তুকিসিল উসিল আউয়াল ইলাল বারামেক, (The Book of Foundation to Barmaccides) ১৮৯৯ সালে ভারতে ছাপা হয়।</div><div style="text-align: justify;">2️⃣ তাফসিরুল উসতুকিস, (An Explanation of Istuqus)</div><div style="text-align: justify;">3️⃣ সুন্দুকূল হিকমা, (The Basket of Wisdom) কায়রো, রাজকীয় লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত।</div><div style="text-align: justify;">4️⃣ কিতাবুল হুদুদ, (The Book of Definations) কায়রো, রাজকীয় লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত।</div><div style="text-align: justify;">5️⃣ কাশফুল আসরার ওযা হাক্কুল আসতার, (The unveiling of Screitsand the Resiling of veils) ব্রিটিশ, মিউজিয়ামে বর্তমান।</div><div style="text-align: justify;">6️⃣ রিসালা ফিল কিমিয়া, (Letter on Chemistry) কায়রো।</div><div style="text-align: justify;">7️⃣ খাওয়াসুল ইকসিরুজ জাহাব, (The progerties of Elinir of gold) প্যারিসে, পান্ডুলিপি বর্তমান।</div><div style="text-align: justify;">8️⃣ কিতাবুল মুকাবিলা ওয়াল মুমসিলা, (The Book of Comparison and Similituoles) বার্লিন, মিউজিয়ামে পান্ডুলিপি বর্তমান।</div><div style="text-align: justify;">9️⃣ কিতাবুল রহমত, (The Book of Mercy) লিডিনে, সংরক্ষিত আছে।</div><div style="text-align: justify;">🔟 কিতাবুর রহমাস সগীর, (The Little Book of Mercy) প্যারিস।</div><div style="text-align: justify;">রসায়ন শাস্ত্রের সংজ্ঞা প্রসঙ্গে জাবির, "কিতাব ইলমেস সানতিল ইয়াহিয়া ওয়াল ইকমাতিল ফালাসিফা" (The book of knowledge of the Divine art and Philosophical wisdom) উল্লেখ করেছেন "রসায়ন প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের একটি শাখা। এতে দ্রবণীয় বস্তু বা ধাকু সমূহের গঠন প্রণালি সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয় এবং খনিতে কিভাবে আগুনের সাহায্যে ধাতু উৎপন্ন হয় সে সম্পর্কে অনুসন্ধান চালানো হয়। কেননা কৃত্রিম উপায়ে এ সমস্ত তৈরি করতে মানুষকে প্রাকৃতিক নিয়মই অনুসরন করতে হবে। যারা প্রাকৃতিক বিজ্ঞান সম্পর্কে অভিজ্ঞ তারা জানেন, যে রসায়ন বিজ্ঞান প্রকৃতিরই অনুসরন ও সেই অনুসারেই গড়ে ওঠে"।</div><div style="text-align: justify;">বিভিন্ন গ্রন্থে গন্ধক ও পারদ সম্পর্কে জাবির যে মতবাত প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তা উনবিংশ শতাব্দী অবদি বিজ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত ছিল। তার ওই থিওরির শেষ পরিণতি Phlogiston Theory। যদিও জাবির এর থিওরি ও Phlogiston theory মধ্যে ব্যবধান খুব সামান্য। তবুও সামান্য ওই ব্যবধান অতিক্রম করতেই বিজ্ঞানের লেগে যায় ৮০০ বছর।</div><div style="text-align: justify;">জাবিরের রাসায়নিক কার্যাবলি আলোচনা করতে গিয়ে তার জীবনীকার "এম আকবর আলী" লিখেন— "রসায়ন শাস্ত্রকে কাজে লাগাতে গিয়ে যে সমস্ত প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হয় জাবির তার প্রায় সবগুলোর সঙ্গেই বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। পূর্বেকার পরিচিতি গুলোকে সংস্কার ও সুশৃঙ্খলিত করে তুলেন। পাতন (Distillation), ঊর্ধ্বপাতন (Sublimation), পরিস্রাবন (Filtration), দ্রবন (Solution), কেলোসন (Crystallistion), ভস্মিকরন (Calcination), গলন (Melting), বাষ্পীকরন (Evaporation) প্রভৃতি সম্পর্কিত রসায়নের মূল্যবান বিষয়াদি। </div>

রসায়নশাস্ত্রে জাবের ইবন হাইয়ান (রহ.) এর অবদান

আবু মুসা জাবির ইবন হাইয়ান (আল-বারিজি / আল-আযদি / আল-কুফি / আল-তুসি / আল-সুফি, আরবি: جابر بن حیان‎‎, ফার্সি: جابرحیان) (জন্ম:৭২১ - মৃত্যু:৮১...

Read more »

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর পুরোধাঃ কেফায়েতুল্লাহ কাফি (রহঃ)

<p><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবজ্জল ইতিহাস ও তাদের বীরদের আমরা কতটুকু জানি? বেশিরভাগই আমাদের অজানা। অথচ আমাদের উচিৎ ছিল এসব মহাবীরদের স্মরণে রাখা। আজকে এমন একজনের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিব, যাকে আমরা অনেকেই চিনিনা। তাঁর নাম </span><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">সৈয়দ কিফায়াতুল্লাহ কাফি। </span></p><p style="text-align: center;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"></span></p><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHGM7JwJnj9GKUGMhOrTMe6CSNMQDL_vpslqqag9fKiM1DVpFQZP9Rx41ETIGiW43lBOSGxUN_R0bwn7rQuCym2wpOCZhhA8WIt70-Hl88RFP8R1ToADnrrPTSiOBg2ehvkMWVTrmkqSYr/" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" data-original-height="225" data-original-width="224" height="240" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHGM7JwJnj9GKUGMhOrTMe6CSNMQDL_vpslqqag9fKiM1DVpFQZP9Rx41ETIGiW43lBOSGxUN_R0bwn7rQuCym2wpOCZhhA8WIt70-Hl88RFP8R1ToADnrrPTSiOBg2ehvkMWVTrmkqSYr/" width="239" /></a></div><br /><div style="text-align: center;"><span style="text-align: start;">কেফায়েতুল্লাহ কাফি রহঃ</span></div><p></p><p style="text-align: center;"><span style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; text-align: start; white-space: pre-wrap;"><br /></span></p><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">এই মহামানবের জন্মসাল জানা সম্ভব হয়নি। তিনি মুরাদাবাদে (ইউপি) জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম, আলেম, সুফি এবং মহান কবি। তাঁর কোন সামরিক পারদর্শিতা ছিলোনা, তা সত্ত্বেও তিনি স্বাচ্ছন্দ্য ত্যাগ করে ইংরেজদের শোষন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামেন। তাঁর এই সাহসিকতা পাকিস্তানের জাতীয় কবী আল্লামা ইকবালকে এমন একটি মাত্রায় মুগ্ধ করেছিল যে তিনি তার চিন্তাগুলি কাব্যে প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিল এবং বলেছিল: </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">নিকল কর খান খানহোনে সে আদর কর রসম</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">-ই-শব্বিরী ফকর</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">-ই খানকাহী হ'ল</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">ফকাত ও ওহ-ও-দিলজিরি</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">অর্থ-</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">মাঠ থেকে বেরিয়ে এসে শব্বিরের ভূমিকায় অভিনয় করুন; </div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">মঠের ফকিরের জন্য (দারিদ্র্য) কেবল দুঃখ ও দুর্দশা</div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">১৮৫৭ সালের বিদ্রোহের সময়, যখন ব্রিটিশরা যখন জনগণের উপর অত্যাচার চালাচ্ছিলো, বর্বরতার সমস্ত সীমা যখন তারা পেরিয়ে গিয়েছিল<span style="font-family: inherit;">, তখন 'কাফি' স্ভাববতই তার নীরবতা বজায় রাখতে পারেননি। ফলে তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে 'জিহাদ ঘোষনা দেন। এর মাধ্যমে, তিনি লোকদের নিদ্রা থেকে জাগিয়ে তোলে এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সাহসী অবস্থান নিতে তাদের অনুপ্রাণিত করেন। </span>ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে<span style="font-family: inherit;"> ফতোয়া লেখার পরিণতি সম্পর্কে তিনি যথেষ্ট সচেতন ছিলেন, তবুও তিনি বিরত হন নি। ব্রিটিশরা ইতিমধ্যে গোর অধ্যায় রচনা করেছিল। তাঁর আগে, কিছু আলেম কথা বলার জন্য ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হয়েছিল। যেই মুসলিমদের প্রতিরোধ করতে আসবে তার সাথেই সবচেয়ে খারাপ আচরণ করা হবে। কিন্তু এই বর্বরতা উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার পক্ষে 'কাফির' সাহসকে নিভিয়ে দিতে পারল না - এটি এমন একটি ফতোয়া যার কারণে তাকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। হুকুম জারি করার পরপরই ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক 'কাফিকে' জনগণকে উস্কানী দেবার কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হল এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল। সমস্ত কার্যক্রম দুই দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়েছিল। মামলাটি ১৮৫৮ সালের ৪ মে মামলা করা হয়েছিল, রায় ঘোষণা করা হয়েছিল ৬ই মে, এবং 'কাফিকে' প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। </span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;">একজন দক্ষ পন্ডিত এবং একজন উজ্জ্বল কবি হিসাবে তিনি আরও কিছু উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন বিশেষত <span style="color: #333333; font-family: Tahoma, Helvetica, Arial, sans-serif; white-space: normal;">রাসুলুল্লাহর (ﷺ) প্রতি তাঁর এই</span><span style="font-family: inherit;"> ভালবাসার জন্য।</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit; font-size: 15px;"><br /></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><span style="border: 0px; color: #333333; font-family: Tahoma, Helvetica, Arial, sans-serif; font-stretch: inherit; font-variant-east-asian: inherit; font-variant-numeric: inherit; line-height: inherit; margin: 0px; overflow-wrap: break-word; padding: 0px; position: relative; vertical-align: baseline; white-space: normal;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ)</span><span style="font-size: 15px;"> - এর প্রতি কেফায়েতু্ললাহ কাফির ভালবাসা গভীরভাবে বসে ছিল, যা তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সময় প্রদর্শন করেছিলেন। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবার এক মুহুর্ত আগে, তিনি এই ঐতিহাসিক কবিতা আবৃত্তি করেছিলেন:</span></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="background-color: white; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word;"><div dir="auto" style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">কোই গুল বকী রহেগা না চমন রে জায়েগা</div><div dir="auto" style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">পার রসুল্লাহ কা দীন'স হাসান রে জায়েগা</div><div dir="auto" style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">অর্থঃ</div><div dir="auto"><span style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;">কোন ফুল থাকবে না বা কোন বাগান থাকবে না; তবে </span><span style="color: #333333; font-family: Tahoma, Helvetica, Arial, sans-serif;">রাসুলুল্লাহ (ﷺ)র</span><span style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"> দ্বীন চিরকাল থাকবে</span></div><div dir="auto"><span style="color: #050505; font-family: inherit; font-size: 15px; white-space: pre-wrap;"><br /></span></div><div dir="auto"><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">নাম 'শাহানায় জাহান মিত জায়েঙ্গা</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">লাইকিন ইহাহান</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">হাশর তাক নাম'ও নিশানয় পাঞ্জাতান</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">রে জায়েগা </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">অর্থঃ</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">পার্থিব রাজাদের নাম হাশরের দিন পর্যন্ত মুছে ফেলা হবে; তবে পাক-পাঞ্জাতনের নাম ও চিহ্ন [নবীজী, ফাতেমা, আলী, হাসান, হুসেন] থাকবে</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><br /></div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">উপরের কাব্যিক পদাবলী থেকে, কেউ তাঁর কাব্যিক দক্ষতা এবং তার দৃষ্টি সহজেই অনুমান করতে পারে। চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ <b>আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রাজা খান</b> রহ; - কাফির কবিতার ভুয়সী প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'আমি কেবল দুইজন কবির কবিতা শুনি – আমার ভাই হাসান রাজা খান এবং মওলানা কাফি'। তদুপরি, তিনি তাকে নাতিয়া কবিদের সুলতান হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন এবং বলেছেন: </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;">মেহকা হ্যায় মেরে বু'এ দেহান বলে</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">আলম ইয়ান নাগমা'র শিরেইন নাই তৌচি বল বাহাম</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">কাফি 'সুলতান'ই নাত গোয়ায় হ্যায় রাজা</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">ইনশাআল্লাহ, আমার ওয়াজির'আজাম</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">অর্থঃ</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">আমার মুখের সুবাসের কারণে পৃথিবী মিষ্টি গন্ধ পাচ্ছে </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">এখানে, মিষ্টি গানগুলি তিক্ত গানগুলির সাথে মিশে না</div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">কাফি 'নাতিয়া কবিদের রাজা হলে, <span style="font-family: inherit;">আমি তাঁর উজির</span></div><div dir="auto" style="font-family: inherit;"> </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">কাফী ছিলেন একজন বহুল প্রতিভাদর লেখক এবং বেশ কয়েকটি কিতাব রচনা করেছিলেন। তারজুমাহ শুমাইল তিরমিযী (কবিতায় হাদিস গ্রন্থের অনুবাদ) তাঁর মজাদার মতামত হিসাবে বিবেচিত হয়। অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে মাজমুয়া-ছহিল হাদীস (৪০ হাদিসের সংকলন এবং তাদের কাব্যিক অনুবাদ), বাহারি খুলদ ইত্যাদি । </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">'কাফি' শাহ আবু সাঈদ মুজাদ্দেদী রামপুরীর রহঃ ছাত্র হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, তাছাড়াও তিনি শাহ আবদুল আজিজ মুহাদিস দেহলভীর বিশিষ্ট আলেম ও ছাত্র ছিলেন। তিনি ইলমিটিব (মেডিসিনের জ্ঞান )ও জানতেন এবং এই বিষয়ে তিনি হাকিম শের আলী কাদরির কাছ থেকে দিকনির্দেশনা লাভ করেছিলেন। </div><div dir="auto" style="font-family: inherit;">তাঁর জন্ম তারিখ সম্পর্কে কোনও উপলব্ধিযোগ্য তথ্য পাওয়া যায় না; তবে সন্দেহের বাইরে যে তিনি ৬ মে ১৫৫৮ খ্রিঃ (২২ রমজান ১২২৪ হিজরী) শহীদ হয়েছিলেন। তাকে মুরাদাবাদের কারাগারে মৃত্যদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং রাতের নিহত অবস্থায় তাকে নিকটস্থ কবর দেওয়া হয়েছিল। </div></div><div class="o9v6fnle cxmmr5t8 oygrvhab hcukyx3x c1et5uql ii04i59q" style="color: #050505; font-family: "Segoe UI Historic", "Segoe UI", Helvetica, Arial, sans-serif; font-size: 15px; margin: 0.5em 0px 0px; overflow-wrap: break-word; white-space: pre-wrap;"><div dir="auto" style="font-family: inherit;"><br /></div></div></div></div>

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের বীর পুরোধাঃ কেফায়েতুল্লাহ কাফি (রহঃ)

উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবজ্জল ইতিহাস ও তাদের বীরদের আমরা কতটুকু জানি? বেশিরভাগই আমাদের অজানা। অথচ আমাদের উচিৎ ছিল এসব মহাবীরদের স্...

Read more »

আলা হযরত (রহ.) এর বিরোদ্ধে অপবাদের জবাব-১

<div style="text-align: justify;">"মিথ্যাবাদী আইনুল কাজ্জাব এর ৪৪ নং আ'লা হযরত সমাচারে ইমামে আহলে সুন্নত আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান মুহাদ্দিসে বেরেলভী রহ.উনার উপর আরোপিত একটি মিথ্যাচারের খন্ডনমূলক জবাব "</div><div style="text-align: justify;"><b><i><br></i></b></div><div style="text-align: justify;"><b><i>- শায়খ মহিউদ্দিন ফারুকী।</i></b></div><div style="text-align: justify;">🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻🔻</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আইনুদ দালালাহ সাহেব উর্দূ পড়তে জানেন ঠিকই,কিন্তু আফসোসের বিষয় হল তিনি সহীহভাবে উর্দূ তরজমা করতে জানেন না। গত কিছুদিন পূর্বে ৪৪ নং আ'লা হযরত সমাচারের ভিডিওতে আ'লা হযরত রাহিমাহুল্লাহর উপর তিনি একটি চরম মিথ্যাচার আরোপ করার পাশাপাশি তিনি ইবারতের ভুল অপব্যাখ্যা করে চরম ইলমী খেয়ানত করেছেন। তার ৪৪ নং সমাচারের ভিডিওটিতে উত্থাপিত উর্দূতে</div><div style="text-align: justify;"> " সিনে মে হাত মার কার " এই ইবারতটির বাংলাতে সহীহ তরজমা হবে এরূপ " বুকে হাত দিয়ে চাপড় মেরে "। আর এটিকে আইনুদ দালালাহ সাহেব বাংলা তরজমাতে অপব্যাখ্যা করেছেন এভাবে," বুকে হাত দিয়ে ! "</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> (নাঊযুবিল্লাহি মিন যালিক ! আস্তাগফিরুল্লাহ ! )</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">যদি সেই ইবারতের মধ্যে "সিনে মে হাত রাখ কার " নামক এরূপ শব্দ লিখা থাকতো ! কেবলমাত্র তখন এর তরজমা হত এরূপ " বুকে হাত রেখে "। কিন্তু ৪৪ নং সমাচারের ভিডিওটিতে মিস্টার আইনুদ দালালাহ সাহেব যেই ইবারতটিকে কেন্দ্র করে ইমামে আহলে সুন্নত আ'লা হযরত রাহিমাহুল্লাহর উপর যে মিথ্যা তোহমত দিয়েছেন,মূলত ওরকম আপত্তিকর কোন শব্দই ওই ইবারতটির মধ্যে নেই। "সিনে মে হাত মার কার" আর "সিনে মে হাত রাখ কার" এই দুটি শব্দের তারতম্য ও সহীহ তরজমা যেই লোক বুঝার ক্ষমতা রাখেন না। তাকে " আল্লামা " লক্ববে ভূষিত করলে গোটা মিল্লাতের মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামগণদেরকে অপমান হবে। এরূপ লোক জাহেলে মুরাক্কাব ব্যতীত আর কিছুই নয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">জনাব Muhammad Muhammad Ainul Huda বিন যুলখুয়াইসার সাহেব ! আমরা খুব ভাল করেই জানি ! আপনি আ'লা হযরত রাহিমাহুল্লাহর ঘোর বিরোধী। কিন্তু আ'লা হযরতের মাত্রাতিরিক্ত বিরোধীতা করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত আপনি নূর নবীজীর শান-মানে তথা ইজ্জতে আঘাত করে ফেললেন ! যা হল স্পষ্ট কুফুরী। বুড়ো বয়সে কুফুরী করে অটো তালাক খেয়ে নিজ স্ত্রীকে হারিয়ে এখন আপনি ভাদ্র মাসের পাগলা কুকুরের মত পাগলামী শুরু করেছেন। তাই বলছি ! এখনও সময় আছে ! আল্লাহর কাছে খাস দিলে তওবাহ করে আপনার এসব পাগলামী বন্ধ করুন ! আর আপনার রূহানী ছেলেদেরকে যথাক্রমে- মনোয়ার হুসাইন ওরফে শাহ সুরাদ,রিপন মিয়া,মোহাম্মদ জাবেদ গংদেরকেও থামান। মান-ইজ্জত যা হারাবার তা আপনি বহু আগেই হারিয়েছেন। এবার যতটুকু বাকী আছে ! অন্তত সেইটুকু ধরে রাখুন। আরও ভাল করে লিখাপড়া করুন। আপনার এখনও অনেক বিষয়ে দারস রপ্ত করা বাকী আছে। বিশেষ করে আপনার উর্দূ তরজমার ধরণ আপনার ইলমী যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"প্রিয় নবীজী সা.উনি দেয়ালের ওপাশে কি হয় ! তাও দেখার ক্ষমতা রাখেন না " আপনার এই বক্তব্যের স্বরূপ উন্মোচন নিয়ে খুব শীঘ্রই লাইভে আসছি ইনশাআল্লাহ। আশা করি ইতরামী ছেড়ে ইলমি জবাব দিয়ে আমাকে ধন্য করিবেন।</div>

আলা হযরত (রহ.) এর বিরোদ্ধে অপবাদের জবাব-১

"মিথ্যাবাদী আইনুল কাজ্জাব এর ৪৪ নং আ'লা হযরত সমাচারে ইমামে আহলে সুন্নত আ'লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খান মুহাদ্দিসে বেরেলভী রহ.উনার ...

Read more »

দরসে হাদিস: ঈমানের সত্তর শাখা, ঈমানের স্বাদ, ঈমানের মূল ও ঈমানের অটলতা

<div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফের মধূর বাণীঃ ঈমানের সত্তর শাখা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঈমানের শাখা সত্তরটিরও কিছু বেশি। এর সর্বোত্তম শাখা হচ্ছে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, আর এর সর্বনিম্ন শাখা হচ্ছে-রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা। আর লজ্জা ঈমানের বিশিষ্ট একটি শাখা। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">(সহীহ মুসলিম, ১/ কিতাবুল ঈমান, হাদিস:৬০) সহীহুল বুখারী ৯, মুসলিম ৩৫, তিরমিযী ২৬১৪, নাসায়ী ৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৬, আবূ দাউদ ৪৬৭৬, ইবনু মাজাহ ৫৭, আহমাদ ৯০৯৭, ৯৪১৭, ৯৪৫৫, ১০১৩৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফের মধূর বাণীঃ ঈমানের স্বাদ।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💖 أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ 💖</div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিতঃ- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হুজুর নাবীয়ে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে, সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১। আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছুর থেকে প্রিয় হওয়া; ২। কাউকে খালিস ভাবে আল্লাহ্‌র কারণেই মুহব্বত করা; ৩। কুফ্‌রীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সহীহ বুখারী শরীফঃ কিতাবুল ঈমাণ, হাদীস নং ১৬..</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Narrated by Hazrat Anas (Rd):</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">The Prophet (ﷺ) said, "Whoever possesses the following three qualities will have the sweetness (delight) of faith:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">1. The one to whom Allah and His Apostle becomes dearer than anything else.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">2. Who loves a person and he loves him only for Allah's sake.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">3. Who hates to revert to Atheism (disbelief) as he hates to be thrown into the fire."</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#বিঃদ্রঃ অত্র হাদীস শরীফটির পঠনসহ পূর্ণ ব্যাখ্যা হাদীসের ওস্তাদ থেকে শুনতে ইচ্ছুকরা কমেন্টে অথবা পেইজের মেসেজ ইনবক্সে নিজ নিজ হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দিন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফের মধুর বাণীঃ ঈমানের মূল- মুহাব্বতে রাসুল ﷺ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস রাযিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। হুজুর নাবীয়ে আকরাম ﷺ ইরশাদ করেছেনঃ কোনো বান্দা (রাবী আবদুল ওয়ারিসের বর্ণনায় কোনো ব্যক্তি) ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ আমি (নাবীয়ে করীম ﷺ) তার নিকট তার পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ ও অন্যান্য লোকদের চাইতে অধিকতর প্রিয় না হব।'</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">★সহীহ_মুসলিম_শরীফঃ ১ম খন্ড, কিতাবুল ঈমাণ, বাবে ওজুবে মুহাব্বাতে রাসুলুল্লাহ ﷺ- আকছারু মিনাল আহলি ওয়াল ওয়ালিদ ওয়াল ওয়ালাদি ওয়ান নাসি আজমাঈন... হাদীস নং ৪৪,</div><div style="text-align: justify;">★মুসনাদ_ই_আহমদ_ইবনে_হান্বল ৫ম খন্ড, ১৬২ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২১৪৮, </div><div style="text-align: justify;">★মুসনাদ_ই_আবু_ইয়ালা ৭ম খন্ড, ৬ষ্ঠ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৩৮৯৫,</div><div style="text-align: justify;">★বায়হাক্বী_ফি_শুআবুল_ঈমান ২য় খন্ড, ১২৯ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ১৩৭৫</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">সুতরাং বুঝা গেলো, হুজুর নাবীয়ে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম -কে স্ত্রী, পুত্র, পরিবার পরিজন ও পিতামাতা তথা সকলের চাইতে অধিক ভালোবাসা ওয়াজিব এবং যে ব্যক্তি এরূপ ভালোবাসবে না তার ঈমান নেই বলা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফের মধূর বাণীঃ ঈমানের অটলতা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💖 أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ 💖</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত সুফিয়ান ইবনে আবদুল্লাহ সাকাফি রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু হতে বর্ণিতঃ- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি বলেন, একদা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামার নিকটে আবেদন করলাম হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে এমন একটি কথা বলে দিন, যা আপনার পরে অন্য কাউকে জিজ্ঞেসা করব না। অন্য বর্ণনায় আছে, আপনি ব্যাতীত আর কাউকে আমি জিজ্ঞেস করব না। অতঃপর রাসূলে কারীম ﷺ ইরশাদ করলেন- তুমি এ কথা বলো আমি আল্লাহর ওপর ইমান এনেছি অতঃপর এর ওপর অটুট থাকো। -হাদিসটি ইমাম মুসলিম (র) তাঁর জামে সহীহতে বর্ণনা করেছেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> * সহীহ মুসলিম শরীফ ১ম খন্ড, ৬৫ পৃঃ, কিতাবুল ঈমাণ, বাবে জামেউ আওসাফে ইসলাম এর মধ্যে ৩৮ নং হাদীস শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে।</div><div style="text-align: justify;">.</div><div style="text-align: justify;">হাদিসের ব্যাখ্যা : হাদিসে অল্প কথায় সমুদ্রতুল্য ভাব নিহিত। কেননা, দুটি শব্দ "আমানতু বিল্লাহী" এখানে আমানতু থেকে ইমান আর ছুম্মা ইশতাকিম , এখানে ইশতাকিম থেকে ইশতিকামাত শব্দ অর্থাৎ "ঈমান ও ইশতিকামাত।" দ্বারা মুমিনের পুরো জীবন ও কর্ম উদ্দেশ্য। শব্দ দুটির অর্থ ঈমান আর অটল থাকা। এতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ভাব বিদ্যমান। ইতিবাচক তথা পালনীয় বিধান বাস্তাবায়ন ও নেতিবাচক তথা বর্জনীয় বিধান পরিহার করাই ইশতিকামাত এর উদ্দেশ্য। মোটকথা রাসূলে কারীম ﷺ চেয়েছেন ঈমানের স্বীকৃতি দিয়ে এ পথে অটল থাকলেই সাফল্য অবশ্যম্ভাবী।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হাদীস শরীফের মধুর বাণীঃ ঈমানের মূল- হুব্বে রাসুল ﷺ</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💖 أَعُوذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيمِ 💖</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عن أنس بن مالك (رضي الله تعالى عنه) أنه قال قال رسول الله (صلى الله عليه وسلم) لا يؤمن احدكم حتى اكون أحب إليه من والده وولده والناس أجمعين-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#উচ্চারণঃ আন আনাস ইবনে মালিক (রদি আল্লাহু তায়ালা আনহু) আন্নাহু ক্বালা, ক্বালা রাসূলুল্লাহি (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম): লা ইউ্ মিনু আহাদুকুম হাত্তা আকুনা আহাব্বা ইলাইহি মিওঁ ওয়ালিদিহি,ওয়া ওয়ালাদিহি ওয়ান্নাসি আজমাঈন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">#অর্থঃ</div><div style="text-align: justify;">হযরত আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু তাআলা আনহু থেকে বর্ণিতঃ- </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হই।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বিঃদ্রঃ- ইমাম বুখারী রহ অন্য হাদীসের রাবী হিসেবে হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুর নাম উল্লেখ করে বলেন, এখানে হুজুর নবীয়ে আকরাম ﷺ সংযোজন করেছেন- "যে স্বত্বার মহান কুদরতের হাতে আমার জান, তাঁর শপথ করে বলছি- তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মু’মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা-মাতা, সন্তান ও সব মানুষের চেয়ে অধিক প্রিয় হই।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">* ইমাম বুখারী রহ তাঁর কৃত জামে সহীহ-তে ১ম খন্ড, কিতাবুল ঈমাণ, এর বাবে হুব্বু রাসুলিল্লাহ ﷺ ইলাল ঈমানে ১৪ ও ১৫ নং হাদীস শরীফ হিসেবে উৎকীর্ণ করেছেন।</div><div style="text-align: justify;">* ইমাম মুসলিম রাঃ তাঁর জামে সহীহ -তে ১ম খন্ড কিতাবুল ঈমান, বাবে ওজুবে মুহাব্বাতে রাসুল ﷺ-তে ৪৪ নং হিসেবে অত্র হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই হাদীসটির ব্যাখ্যায় অনেকেই আল কুরআনের এই আয়াতে করীমা দ্রষ্টব্য করেছেনঃ</div><div style="text-align: justify;">النبي أولي بالمؤمنين من أنفسهم-</div><div style="text-align: justify;">#উচ্চারণ:আন্নাবিয়্যু আওলা বিল মু'মিনীনা মিন আনফুসিহিম।</div><div style="text-align: justify;">#অর্থ: (মহান আল্লাহ বলেন) নিশ্চয়ই রসূলে কারীম (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হলেন মুমিনদের নিকট তাঁদের জানের চেয়েও অধিক প্রিয়।(সূরা আল আহযাব, আয়াত:০৬)।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অতএব, প্রমাণিত হলো,</div><div style="text-align: justify;">#উপরোক্ত আয়াতে কারীমা ও হাদীস শরীফের আলোকে বুঝা যায়, রসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লাম) কে পরিপূর্ণ ভালোবাসার নাম-ই হলো ঈমান। অর্থাৎ ঈমানের পরিপূর্ণতা ও পরিপক্কতা নির্ভর করে রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ভালোবাসার গভীরতার উপর।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কৃতঃ আল মিনহাজ উস সাবীহ, শাইখুল ইসলাম ডক্টর আল্লামা মুহাম্মদ তাহির উল ক্বাদরী (মাঃজিঃআঃ)</div>

দরসে হাদিস: ঈমানের সত্তর শাখা, ঈমানের স্বাদ, ঈমানের মূল ও ঈমানের অটলতা

হাদীস শরীফের মধূর বাণীঃ ঈমানের সত্তর শাখা। হযরত আবূ হুরায়রা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়...

Read more »

হযরত আবূ আইয়্যুব আল আনসারী (রাঃ) এঁর মাযার

<div style="text-align: justify;">কনস্টান্টিনোপোল বিজেতার শায়খ এবং আবূ আইয়্যুব আল আনসারী রাঃ এঁর কবর মুবারক খুঁজে বের করা আধ্যত্মিক কারিগর আকশামসউদ্দিন রহঃ</div><div style="text-align: justify;">----</div><div style="text-align: justify;">আবূ আইয়্যুব আল আনসারি রাঃ কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য প্রেরিত অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। এসময় তিনি বার্ধক্যে উপনীত হলেও জিহাদের প্রতি তাঁর তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং রাসূলুল্লাহ ﷺ কর্তৃক ভবিষ্যদ্বাণীকৃত সেই উত্তম বাহিনীর মধ্যে শামিল হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষার কারণে অভিযানে যান। যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি তার সঙ্গীদের বলেন যাতে তাকে শত্রু সীমানার যত ভেতরে পারা যায় তত ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কনস্টান্টিপোলের দেয়ালের কাছে তাকে দাফন করা হয়। তার মৃত্যুর পর মুসলিম সৈনিকরা তার ইচ্ছাপূরণ করে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">১৪৫৩ সালে কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের পর সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ (আল ফাতিহ) এর উপদেষ্টা সুফি আলেম আকশামসউদ্দিন (মুহাম্মদ শামসউদ্দিন বিন হামজা) রহঃ আধ্যাত্মিক শক্তিবলে তাঁর কবর খুজে বের করেন এবং উসমানীয়রা তাঁর কবরের উপর মাজার নির্মাণ করে। তাঁর সম্মানে কবরের পাশে মসজিদও নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকে স্থানটি তার নামে পরিচিতি পায়। পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত হওয়ার অনেক উসমানীয় কর্তাব্যক্তি সেখানে দাফন হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আকশামসউদ্দিন (মুহাম্মদ শামসউদ্দিন বিন হামজা) রহঃ ছিলেন একজন উসমানীয় আলেম, কবি, সুফি এবং সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের শিক্ষক ও উপদেষ্টা। সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদকে কনস্টান্টিনোপল জয়ের জন্য তিনি উৎসাহিত করেন। তাকে কনস্টান্টিনোপলের প্রকৃত বা আধ্যাত্মিক বিজয়ী (الفاتح المعنوي-আল ফাতিহ আল মানাভী) বলে অভিহিত করা হয়। তার শিক্ষক শাইখ হাজি বাইরাম ওয়ালির সাথে নিজের রচনা সমাপ্ত করার পর তিনি শামসিয়া-বাইরামিয়া সুফি তরিকা প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মীয় বিষয়াদির পাশাপাশি তিনি চিকিৎসাবিজ্ঞান ও ফার্মাকোলজির জ্ঞানের জন্য খ্যাত ছিলেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ আইয়্যুব আল আনসারী রাঃ এঁর কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের অভিযানে অংশগ্রহণের কথা এবং জিহাদের প্রতি তাঁর তীব্র আকাঙ্ক্ষার কথা সূনানে আবূ দাউদেও বর্ণিত হয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আবূ ইমরান আসলাম (রাঃ) বলেন, ‘আমরা মদীনা থেকে কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান ইস্তাম্বুল) অভিমুখে বের হলাম। আমাদের সেনাপতি ছিলেন ‘আব্দুর রাহমান ইবনু খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ (রাঃ)। রোমের সৈন্যবাহিনী শহরের প্রাচীর-বেষ্টনীর বহির্ভাগ থেকে প্রতিরক্ষায় নিয়োজিত ছিলো। জনৈক মুসলিম সৈনিক শত্রুবাহিনীর উপর হামলা করে বসলো। লোকেরা বললো, হায়, থামো! লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ। সে নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবূ আইয়্যুব আল-আনসারী (রাঃ) বললেন, এ আয়াত (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৯৫) আমাদের আনসার সম্প্রদায় সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়েছিলো। আল্লাহ যখন তাঁর নবী ﷺ কে সাহায্য করলেন এবং দ্বীন ইসলামকে বিজয়ী করলেন, ‘আমরা মনে মনে বললাম, এসো! এবার ‘আমরা নিজেদের ধন-সম্পদ দেখাশুনা ও ঠিকঠাকে মনোযোগ দেই। মহান আল্লাহ তখন এ আয়াত অবতীর্ণ করলেনঃ ‘‘তোমরা আল্লাহর পথে ব্যয় করো এবং নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না।’’[সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত ১৯৫] </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমাদের নিজের হাতকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করা এর অর্থ হচ্ছে, ধন-সম্পদ নিয়েই ব্যস্ত থাকা, এর পরিবৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা এবং জিহাদ ছেড়ে দেয়া। আবূ ‘ইমরান (রাঃ) বলেন, এরপর থেকে আবূ আইয়্যুব আল-আনসারী (রাঃ) সর্বদা মহান আল্লাহর পথে জিহাদে শরীক হতেন, অবশেষে তিনি জিহাদ করতে করতে কুসতুনতুনিয়াতে (ইস্তাম্বুল) সমাহিত হন। (সূনান আবূ দাউদ ২৫১২)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের ভবিষ্যদ্বাণীকৃত হাদিসে মুবারকাটা হল,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">প্রিয় নবী ﷺ বলেন, 'মুসলমানরা অবশ্যই কনস্টান্টিনোপল বিজয় করবে। কতই না উত্তম হবে সে বাহিনীর আমির/সেনাপতি। কতই না উত্তম সেই বাহিনী। (মুসনাদে আহমদ ১৮৯৫৭, আল মুসতাদরাক ৮৩৪৯)</div><div style="text-align: justify;"><br><br><br><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-szI4vCD-5cs/YAxGTtHk2OI/AAAAAAAAA98/SSZr2R1TvwA3SntyzdgPEFgd05Kznhh-gCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416926733.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1440" data-original-width="1080" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-szI4vCD-5cs/YAxGTtHk2OI/AAAAAAAAA98/SSZr2R1TvwA3SntyzdgPEFgd05Kznhh-gCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416926733.jpg" width="240"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-J28ywDtA2a0/YAxGUX9IWvI/AAAAAAAAA-E/JTqv_A1V96gMbzcPJDDZw_uNjDJd-0x9QCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416961064.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="505" data-original-width="720" height="224" src="https://lh3.googleusercontent.com/-J28ywDtA2a0/YAxGUX9IWvI/AAAAAAAAA-E/JTqv_A1V96gMbzcPJDDZw_uNjDJd-0x9QCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416961064.jpg" width="320"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Bu1MPtr1u_Y/YAxGVI_vkqI/AAAAAAAAA-M/ZIKc9Q3OKisPOePrjh3Das_s-0svdooaACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416963763.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1365" data-original-width="1080" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Bu1MPtr1u_Y/YAxGVI_vkqI/AAAAAAAAA-M/ZIKc9Q3OKisPOePrjh3Das_s-0svdooaACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416963763.jpg" width="253"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-CcEXno9Odas/YAxGV6agSkI/AAAAAAAAA-U/M0UHXofuEu8Tn4O2mUSfy6OC-Uy3Y-ACACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416966616.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1330" data-original-width="1080" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-CcEXno9Odas/YAxGV6agSkI/AAAAAAAAA-U/M0UHXofuEu8Tn4O2mUSfy6OC-Uy3Y-ACACLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1611416966616.jpg" width="259"></a></div><br></div>

হযরত আবূ আইয়্যুব আল আনসারী (রাঃ) এঁর মাযার

কনস্টান্টিনোপোল বিজেতার শায়খ এবং আবূ আইয়্যুব আল আনসারী রাঃ এঁর কবর মুবারক খুঁজে বের করা আধ্যত্মিক কারিগর আকশামসউদ্দিন রহঃ ---- আবূ আইয়্যুব ...

Read more »

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়ার জন্য কি কি গুণাবলী প্রয়ােজন?

<div>প্রশ্নঃ-০১ মসজিদের ইমাম হওয়ার জন্য কি কি গুণাবলী প্রয়ােজন ? কি কি কারণে একজন মাওলানা ইমাম হওয়ার অযােগ্য হয় ?</div><div><div>👉উত্তর দিয়েছেনঃ উস্তাজুল ওলামা, ফকীহে মিল্লাত, মুফতিয়ে আহলে সুন্নাত মুফতি আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আল-কাদেরী [দাঃবাঃ]</div><div>অধ্যক্ষ, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়া কামিল মাদ্রাসা, ষোলশহর, চট্টগ্রাম।</div></div><div><br></div><div><div>উত্তরঃ-</div><div><br></div><div>একজন ইমামের জন্য ছয়টি শর্ত অপরিহার্য। </div><div>১. মুসলমান হওয়া, </div><div>২. প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া, </div><div>৩. সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া, </div><div>৪. পুরুষ হওয়া, </div><div>৫. বিশুদ্ধভাবে ক্বিরআত পঠনে সক্ষম হওয়া ও নামাযের বিধি-বিধান সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিফহাল হওয়া এবং </div><div>৬. মাযূর (প্রতিবন্ধি) বা ওজরসম্পন্ন না হওয়া।</div><div><br></div><div>তদুপরি বদ-মাযহাব তথা বাতিল মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং ফাসিক-ই মুলিন বা প্রকাশ্যে গুনাহকারী যেমন মদ্যপায়ী, জুয়াড়ি, ব্যাভিচারি, সুদখাের, ঘুষখাের, চুগলখাের প্রমুখ।</div><div><br></div><div>প্রকাশ্যে গুনাহে কবীরাহ সম্পন্নকারীকে ইমাম নিয়ােগ করা মাকরূহে তাহরীমা বা মারাত্মক গুনাহ। এ ধরনের ইমামের পেছনে নামায আদায় করা মাকরূহে তাহরীমা। ভুলে ইক্বতিদা করে থাকলে জানার পর ওই নামায পুনরায় পড়ে নিতে হবে।</div><div><br></div><div>[সূত্রঃ নূরুল ইযা, আদদুররুল মুখতার ও রদ্দুল মুহতার ইমামত' অধ্যায় ইত্যাদি।]</div><div><br></div><div>সুতরাং উপরােক্ত শর্তসমূহ পাওয়া না গেলে সে ইমামের অযােগ্য বলে বিবেচিত হবে। এমন অযােগ্য ইমাম নিয়ােগ করা বা নিয়ােগ দেওয়া গুনাহের কারণ। তাই ইমাম ও খতীব নিয়ােগ দেওয়ার ব্যাপারে শরীয়ত সম্পর্কে অভিজ্ঞ, যােগ্য আলিম ও মুফতীগণের মাধ্যমে ইমামের যােগ্যতা যাচাইয়ের পর তাঁদের পরামর্শ মত ইমাম নিয়ােগ দেওয়া মসজিদ কমিটি বা মুতাওয়াল্লির জন্য অপরিহার্য।</div></div><div><br></div><div>প্রশ্নঃ-০২ মসজিদ এর খতীব হতে হলে কি কি যােগ্যতা প্রয়ােজন? ইচ্ছাকৃত নামায কাজা কারী খতীব হতে পারবে কিনা এবং তাদের পিছনে নামায হবে কিনা? জানালে খুশী হবাে।</div><div><br></div><div>উত্তরঃ-</div><div><br></div><div>জুমার খতীব বা ইমামতির জন্য যে সমস্ত যােগ্যতা থাকা শর্ত, তা'হল- ঐ ব্যক্তির বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত, নামাযের মৌলিক মাসআলা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা, শরীয়তের পূর্ণ অনুসারী হওয়া আর বিশুদ্ধ আকীদার অনুসরণ ইত্যাদি।</div><div><br></div><div>একজন খতীবের জন্য এগুলাে ন্যুনতম যোগ্যতা। এরপর বাড়তি যোগ্যতা থাকলে উত্তম।</div><div><br></div><div>যে ব্যাক্তি প্রকাশ্যে নামায তরক করে, তাকে শরীয়তের পরিভাষায় ফাসিকে মু'লিন বা প্রকাশ্য ফাসিক বলা হয়। এই জাতীয় প্রকাশ্য ফাসিক যত বড়ই জ্ঞানী-গুণী হেকনা কেন তার পেছনে ইকৃতিদা করা মাকরূহে তাহরীমা।</div><div><br></div><div>[সূত্রঃ ফতােয়ায়ে খানিয়া, হিন্দিয়া- ইমামত অধ্যায়]</div><div><br></div><div>#সংগ্রহঃ যুগ জিজ্ঞাসা, পৃষ্টা-২৪৮, ৩২৩।</div>

মসজিদের ইমাম ও খতিব হওয়ার জন্য কি কি গুণাবলী প্রয়ােজন?

প্রশ্নঃ-০১ মসজিদের ইমাম হওয়ার জন্য কি কি গুণাবলী প্রয়ােজন ? কি কি কারণে একজন মাওলানা ইমাম হওয়ার অযােগ্য হয় ? 👉উত্তর দিয়েছেনঃ উস্তাজুল ও...

Read more »

মহিলা (আওরাত) এর শাব্দিক অর্থ কি?

<div style="text-align: justify;">(তথা মহিলা) এর শাব্দিক অর্থ</div><div style="text-align: justify;">____________________</div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">প্রশ্ন:- عورت (তথা মহিলা) এর শাব্দিক অর্থ কি?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উত্তর:- عورت (তথা মহিলা) শব্দের শাব্দিক অর্থ হলো; “গোপন করার বস্তু”। আল্লাহ্ তাআলার মাহবুব, হুযুর পুরনূর রাসূলুল্লাহ্ صَلَّی اللّٰہُ تَعَالٰی عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন:</div><div style="text-align: justify;">عورت ( তথা মহিলা), “মহিলা’ই” (অর্থাৎ গোপন করার বস্তু)। যখন সে বের হয় তখন তাকে শয়তান উঁকি মেরে দেখে।” (অর্থাৎ তাকে দেখা শয়তানের কাজ) </div><div style="text-align: justify;"><b>(সুনানে তিরমিযী, ২য় খন্ড, ৩৯২ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১১৭৬)</b></div>

মহিলা (আওরাত) এর শাব্দিক অর্থ কি?

(তথা মহিলা) এর শাব্দিক অর্থ ____________________ প্রশ্ন:- عورت (তথা মহিলা) এর শাব্দিক অর্থ কি? উত্তর:- عورت (তথা মহিলা) শব্দের শাব্দিক অর্থ...

Read more »

Is Taweez ( AMULET) allowed in Islam?

<div style="text-align: justify;">Is Taweez ( AMULET) allowed in Islam?</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><div>Urwa ibn al-Zubayr (ra) narrated the Messenger of Allah (saw) entered the house of Umm Salama, the wife of the Prophet (saw). There was a child weeping in the house, and they told him that it was from the evil eye. Urwa said, "The Messenger of Allah (saw) said, 'Why do you not find someone to make a talisman to protect it from the evil eye?'" (Muwatta)</div><div><br></div><div>Abdullah ibn Amr used to hang a protective invocation taught by the Prophet (saw) around the necks of his young children. (Abu Dawud and Tirmidhi - Hasan)</div><div><br></div><div>The scholars of the Standing Committee said: </div><div><br></div><div>The scholars are agreed that it is haraam to wear amulets if they are made with anything other than Qur’aan, but they differed concerning those that are made with Qur’aan. Some said that it is permissible to wear them and some said that that is not permissible. </div><div><br></div><div>Fataawa al-Lajnah al-Daa’imah, 1/212</div></div><div style="text-align: justify;"><b><u><br></u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u>Taweez ( AMULETS)</u></b></div><div style="text-align: justify;"><b><u><br></u></b></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">The defenition of a ta'wiz is simply a written du'a from the Qur'an or ahadith, and is for the one who cannot read or has not memorized that particular du'a. It is written on a piece of paper and is worn around the neck.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">We, the Ahl as-Sunna, believe that to wear a ta'wiz around the neck is permissible if the du'a' contained in it is written from the Qur'an or ahadith. Prophet Muhammad (may Allah bless him and grant him peace) used to recite du'a' and then blow onto the sick person. The Companions of the Prophet (may Allah bless him and grant him peace) also did this and they wrote the du'a' on a piece of paper and placed it around the neck of a person if they could not read it. Of course, the du'a's from the Qur'an and ahadith have the power to heal the sick. Some people say that if you wear the ta'wiz you are commiting shirk, but we shall prove, with the help of Allah, that it is permissible to wear a ta'wiz.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">The Qur'an Has the Power of Healing</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Allah Most High says in the Qur'an:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"...We send down in Qur'an that which is a healing and a mercy to the believers..."</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Sura Banu Isra'il, verse 82]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Qadi Shawkani writes, "If the Qur'an's du'a's are recited and blown on the sick, they will be cured. When the non-believers recite the Qur'an, their blasphemic disease will be cured" [Tafsir Fath al-Qadir, under Sura Bani Isra'il, verse 82]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Proof of Wearing the ta'wiz</div><div style="text-align: justify;">Hafiz Ibn Kathir and Qadi Shawkani write:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"Amr ibn Shu'aib (may Allah be pleased with him) said that 'Rasulu'llah(may Allah bless him and grant him peace) taught my father and grandfather a du'a which we would read before going to sleep, to protect us from fear and anguish.We told our elder children to recite this du'a before going to sleep as well.But for those children who were not yet literate, we would write it and then put it around their necks"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Musnad Ahmad ibn Hanbal vol.2; Abu Dawud, in 'Chapter of Medicine'; Tafsir Ibn Kathir, under Sura al-Mu'minun, verse 97; and Qadi Shawkani, Fath al-Qadir, under the same verse]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">It is Permissible to Read Du'a and Blow Upon the Sick</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam al-Bukhari and Imam Muslim write:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"When a person who was sick or in some distress they would go to the Prophet (may Allah bless him and grant him peace) who would then place his hand on the area of pain and recite a du'a' and then blow onto him"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Bukhari; Muslim, Chapter of Tibb]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Muslim writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"When the Prophet (may Allah bless him and grant him peace) was ill for the last time, Angel Jibril (peace be upon him) came and recited du'a' and blew on to the Prophet (may Allah bless him and grant him peace)"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Muslim, Chapter of Tibb]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Muslim writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">" 'A'isha (may Allah be pleased with her) relates that when the Prophet (may Allah bless him and grant him peace) was ill for the last time, she recited Sura al-Falaq and Sura an-Nas and then blew on to the Prophet's (may Allah bless him and grant him peace) hands. The Prophet then blew this onto his own face and body because his hands had more blessing then 'A'isha's (may Allah be pleased with her)"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Muslim, Chapter of Tibb]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">From the above narrations, it proves that to blow after reciting du'a's onto the sick is Sunna and the more pious the person is, the more healing power he has because he is blessed more than the less pious.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Hafiz Ibn Taymiyya writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"It is permissible to [to recite du'a's and then] blow upon the sick in Islam, but the words must be from the Qur'an or ahadith. If the words are not, then it is not permissible"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Ibn Taymiyya, At-Tawassul, Chapter on Blowing onto the Sick]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Questions</div><div style="text-align: justify;">Q) Some people ask, 'How is it allowed to blow dua's onto the sick when some ahadith say this is forbidden?'</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">A) Allama Sa'idi has written the answer to this question in great detail; he has also included the opinion of all the other great scholars, and we will present this here.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Allama Sa'idi writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"Imam an-Nawawi in Sharh Muslim states: 'There are two types of ahadith concerning blowing. [reciting a du'a and then blowing onto a person]. One of the types is transmitted in Bukhari: 'There will be people who will enter Paradise without any questioning, who have never been blown upon.' Imam Muslim has also recorded a hadith in support of those who do not ask to be blown upon. Imam Bukhari in the chapter on Tibb [Medicine] has written du'as that our Prophet (may Allah bless him and grant him peace) recited when doing damm [reciting a du'a and then blowing onto a person]. Imam Muslim states in 'The Chapter on Virtues of the Prophet (may Allah bless him and grant him peace)' that: "When our Prophet (may Allah bless him and grant him peace) was ill, the Angel Jibril came to him and performed the blowing." The above types of ahadith apparently seem to contradict each other but in reality there is no contradiction.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"The former type of hadith refers to the prohibition of having read something that is not from the Qur'an and Sunna [i.e.something that has pictures, diagrams or words not from the Qur'an or Sunna] and then blow upon someone. The latter types of ahadith which permit damm refer to those kalimat [words or verses] which have been taught by the Prophet (may Allah bless him and grant him peace)"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Allama Sa'idi, Sharh Sahih Muslim, Chapter of Tibb]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">In the same way as above there are two types of ahadith concerning ta'wiz. There are many narrations that forbid the use of ta'wiz and also many permitting their use.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam al-Qurtubi wrote in detail about both types of ahadith concerning ta'wiz:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"The ta'wiz that are forbidden are those ta'wiz from the Time of Ignorance - those which are satanic and contain an element of shirk [mantar, voodoo and magic, etc.]. The ta'wiz, which are permitted are those written with du'as evidently from Qur'an and ahadith only"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[al-Qurtubi, at-Tadhkirat, chapter on 'Ta'wiz']</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Here are the narrations which show the permission for one to wear a ta'wiz around one's neck:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Allama Alusi al-Hanafi, in his Tafsir of the Qur'an, writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"According to Imam Malik 'It is permitted to put around the neck the ta'wiz written with the name of Allah.' Imam Baqir also stated that it is permitted to put such a ta'wiz around the neck of a child"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Ruh al-Mani, chapter 15, under Sura al-Mu'minun, verse 97]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Allama Shami al-Hanafi writes:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"It is permitted to write a ta'wiz and put it around the neck... It would be better if a person recites the du'as taught by the Prophet (may Allah bless him and grant him peace). But if a person cannot read or is too young to recite then it is permitted for that person to put it around the neck"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">[Rad al-Mukhtar, chapter on 'Qira'at'; Sa'idi, Sharh Sahih Muslim, Chapter on Tibb]</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">To conclude, it can be said that those verses that oppose the Qur'an, Shari'a, or the Sunna are forbidden to read and also forbidden to put around the neck.But as for the du'as and verses from the Qur'an and Sunna it is permitted to be written and put around the neck of a small child, illiterate or a sick person.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Ibn Taymiyya writes in his Fatawa: (ta'wizes).</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">In the name of Allah, Most Compassionate, Most Merciful,</div><div style="text-align: justify;">Hanging or wearing of amulets (ta’wiz) is normally permissible for protection or healing provided certain conditions are met:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">1) That they consist of the names of Allah Almighty or his attributes;</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">2) That they are in Arabic;</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">3) That they do not consist of anything that is disbelief (kufr);</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">4) The user does not believe the words have any affect in themselves, but are empowered to do so by Allah Most High.</div><div style="text-align: justify;">It is narrated from Amr ibn Shu’ayb, from his father, from his grandfather (Abdullah ibn Amr ibn al-Aas (Allah be pleased with them all), that the Messenger of Allah (Allah bless him & give him peace) used to teach them (the Sahabas) for fearful situations the following words:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“I seek refuge in Allah’s perfect words from His wrath, the evil of his servants, the whispered insinuations of devils, and that they come to me”</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Abd Allah ibn Amr used to teach these words to those of his sons who had reached the age of reason, and used to write them and hang them upon those who had not reached the age of reason (narrated by Abu Dawud & Tirmidhi, and Tirmidhi classed it as an authentic narration).</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">In the Musannaf of Imam Abu Bakr ibn Abi Shayba, the permissibility of hanging Ta’wizes is reported from many of the Companions and early Muslims (Salaf), including: Sa’id ibn al-Musayyab, Ata', Mujahid, Abd Allah ibn Amr, Ibn Sirin, Ubaydullah ibn Abd Allah ibn Umar, and others (Allah be well pleased with them all). [See: al-Musannaf, 5.439]. Due to the above, most of the scholars have declared the using of amulets (ta’wiz) permissible as long as the above conditions are met. It is similar to using medication which is permissible and not against the concept of reliance in Allah (tawakkul) or monotheism Tawhid. However, it is not permissible to regard the Ta’wiz to be effective in it self, just as it is not permissible to regard medicines to be effective in them selves.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">As for that which is reported from some, including Ibn Mas’ud (Allah be pleased with him), that hanging Ta’wizes is shirk, this is understood to mean those Ta’wizes that resemble the one’s used in the days of ignorance (jahiliyya), or if used thinking that it is the ta’wiz itself that cures or protects, not Allah, or if it contains impermissible invocations or one’s whose meaning is not known.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Ibn Taymiyya writes in his Fatawa:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“It is permissible for an ill or troubled person, that certain verses from the Qur’an are written with pure ink, then it is washed and given to the ill to drink. Ibn Abbas (Allah be pleased with him) is reported to have mentioned a certain Dua that should be written and placed close to the woman who is experiencing hard labour at the time of giving birth.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Sayyiduna Ali (Allah be pleased with him) says: This Dua should be written and tied to the arm of the woman. We have experienced that there is nothing more amazing than this” (Fatawa Ibn Taymiyya, 19/65). </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Imam Ibn Taymiyya’s student Imam Ibn al-Qayyim also narrates the permissibility of using Ta’wizes from a number of salafs including the great Imam Ahmad ibn Hanbal (Allah have mercy on him). Thereafter Ibn al-Qayyim himself quotes various Ta’wizes (Zad al-Ma’ad, 3/180).</div><div style="text-align: justify;">In view of the foregoing, it becomes clear that generally using of Ta’wizes is not something that is impermissible or Shirk. However, it is necessary that the above mentioned conditions are met.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Today we have people who are victims of immoderation. There are some people who declare all types of Ta’wizes to be Shirk and Kufr. Others, on the other hand, think Ta’wizes to be everything. Both these types of understandings are incorrect.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Using of Ta’wizes is permissible, but with moderation. Normally it is better to recite the Duas which are prescribed for every problem and illness, and along with that resort to medical treatment. However, if Ta’wizes are used sometimes, then it is permissible.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">If there is a fear that a person will begin to think the Ta’wiz to be effective in it self, then he should not be given the Ta’wiz. This will be the decision of the person who is giving the Ta’wiz, and not for us to decide for him.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">There are many people who never make Dua and are neglectful of the Shariah injunctions, but always depend on Ta’wizes. For such people, it is better not to give them Ta’wizes, rather to direct them to the straight path.</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Once, a sister asked me to mention to her a Dua or write something for her in order to get married to someone she desired, and she also mentioned that her Duas were not being answered. I asked: “Do you cover your self when you emerge out of your home?” no, was the reply. I said: “Do you perform your Salat (Prayers)?” Again, “no” was the reply. I said: “From tomorrow, you make this special Dua after the Fajr Salat, and you carry on performing this for 6 months, and Insha Allah your Dua will be accepted. Also a very Important Ta’wiz is that you recite a certain Dua and blow on your scarf and wear that scarf when emerging out of your home”!</div><div style="text-align: justify;"><br></div>

Is Taweez ( AMULET) allowed in Islam?

Is Taweez ( AMULET) allowed in Islam? Urwa ibn al-Zubayr (ra) narrated the Messenger of Allah (saw) entered the house of Umm Salama, the wif...

Read more »

প্রশ্নঃ কোন আলেমের নামের পাশে "আল্লামা" অথবা "মাওলানা" শব্দ ব্যবহার করা যাবে কিনা?

<div>জনৈক আযহারী এক বক্তব্যে বলেছিলো, "আল্লামা তো আল্লাহ। তাই মানুষকে আল্লামা বলা যাবে না।" অথচ সেই ব্যক্তিই আবার তথাকথিত এক মুফাসসিরের ব্যাপারে বলেছিলো, "ঘরে ঘরে আল্লামা অমুক চাই।" তার এই বক্তব্যের জবাবে প্রথমত আমি বলবো, আল্লামা যদি আল্লাহই হন, তাহলে সে আরেকজন মানুষকে আল্লামা বললো কী করে? আর দ্বিতীয়ত বলবো যে আল্লামা নিয়ে তার বিশ্লেষণটাই ভুল। মূলত সে علامة এবং علام এর তফাতই জানে না। </div><div><br></div><div>মানুষকে যে আল্লামা বলা হয় তার আরবী বানান হলো علامة এটি اسم فاعل مبالغة এর ছিগা। এর অর্থ অধিক জ্ঞাত। শেষের ة টি مبالغة এর জন্য। সুতরাং শব্দটি مذكر বা পুরুষ বাচক। আর এই আল্লামা গাইরুল্লাহর ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয়। শেষের ة টি تاء تأنيث এর সাথে সাদৃশ্যের কারণে আল্লাহ তা'আলার ক্ষেত্রে ة বিহীন علام ব্যবহৃত হয়। </div><div><br></div><div>একই ভাবে তারা বলে আল্লাহ ছাড়া কাউকে মাওলানা বলা যাবে না। এখানেও তাদের অজ্ঞতার পরিচয় আমরা পাই। 'মাওলা’ শব্দের অর্থ হচ্ছে প্রভু, মনিব, বন্ধু, সাহায্যকারী, অভিভাবক, মিত্র ইত্যাদি। ইমাম নববী (রহ.) বলেন, "মাওলা শব্দের ১৬টি অর্থ আছে।" মাওলা শব্দকে কোন অর্থে ব্যবহার করা হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে মানুষের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যাবে কিনা। যদি ‘মাওলা’ শব্দ দ্বারা রুবুবিয়াতের অর্থ গ্রহণ করা হয় এবং তাকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী উদ্দেশ্য করা হয়, তবে তা মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার নিষেধ। কিন্তু যদি সাধারণভাবে দায়িত্বশীল বা অভিভাবক বা অন্য কোনও অর্থ উদ্দেশ্যে করা হয় তবে ব্যবহার করা নিষেধ নয়। </div><div><br></div><div>মূলত তাওহীদের মূল বক্তব্যই তারা বুঝে না। ফলে সর্বত্র তারা শিরকের গন্ধ পায়। এমনকি আমাদের ঈমানী কালেমার মধ্যেও নাকি তারা শিরক খুঁজে পেয়েছে। এই কালেমা যেভাবে আছে সেভাবে নাকি কুরআন হাদিসে কোথাও নেই। তাদের এই বক্তব্যের জবাবে আমি দুইটি হাদিস এখানে উল্লেখ করছি যেখানে কালিমাটি হুবহু এভাবেই আছে- </div><div style="text-align: right;"><br></div><div style="text-align: right;">عَنْ أَبِي الْحَمْرَاءِ خَادِمِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «‌لَمَّا ‌أُسْرِيَ ‌بِي ‌إِلَى ‌السَّمَاءِ ‌دَخَلْتُ الْجَنَّةَ فَرَأَيْتُ فِي سَاقِ الْعَرْشِ مَكْتُوبًا لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللهِ</div><div style="text-align: right;"><br></div><div style="text-align: right;">المعجم الكبير للطبراني</div><div style="text-align: right;"><br></div><div style="text-align: right;">عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَمَّا اقْتَرَفَ آدَمُ الْخَطِيئَةَ قَالَ: يَا رَبِّ أَسْأَلُكَ بِحَقِّ مُحَمَّدٍ لَمَا غَفَرْتَ لِي، فَقَالَ اللَّهُ: يَا آدَمُ، وَكَيْفَ عَرَفْتَ مُحَمَّدًا وَلَمْ أَخْلُقْهُ؟ قَالَ: يَا رَبِّ، لِأَنَّكَ لَمَّا خَلَقْتَنِي بِيَدِكَ وَنَفَخْتَ فِيَّ مِنْ رُوحِكَ رَفَعْتُ رَأْسِي فَرَأَيْتُ عَلَىَ قَوَائِمِ الْعَرْشِ مَكْتُوبًا لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ فَعَلِمْتُ أَنَّكَ لَمْ تُضِفْ إِلَى اسْمِكَ إِلَّا أَحَبَّ الْخَلْقِ إِلَيْكَ، فَقَالَ اللَّهُ: صَدَقْتَ يَا آدَمُ، إِنَّهُ لَأُحِبُّ الْخَلْقِ إِلَيَّ ادْعُنِي بِحَقِّهِ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكَ وَلَوْلَا مُحَمَّدٌ مَا خَلَقْتُكَ</div><div style="text-align: right;"><br></div><div style="text-align: right;">المستدرك علي الصحيحين - 4228, دلائل النبوة, الخصائص الكبري</div><div style="text-align: right;"><br></div><div>এছাড়াও আরো অনেক বর্ণনা আছে যা উল্লেখ করলে লেখার কলেবর বেড়ে যাবে। আল্লাহ তা'আলা তাদের অপব্যাখ্যা থেকে মুসলমানদেরকে হেফাজত করুন।</div><div><br></div><div>উত্তর প্রদান করেছেন</div><div>মাওলানা আরিফুল ইসলাম আশরাফী</div>

প্রশ্নঃ কোন আলেমের নামের পাশে "আল্লামা" অথবা "মাওলানা" শব্দ ব্যবহার করা যাবে কিনা?

জনৈক আযহারী এক বক্তব্যে বলেছিলো, "আল্লামা তো আল্লাহ। তাই মানুষকে আল্লামা বলা যাবে না।" অথচ সেই ব্যক্তিই আবার তথাকথিত এক মুফাসসিরের...

Read more »

সময়কে গালি দিবেন না, বিপদে ধৈর্য হারাবেন না

<div style="text-align: justify;">সময়কে গালি দিবেন না, বিপদে ধৈর্য হারাবেন না</div><div style="text-align: justify;">----</div><div style="text-align: justify;">করোনাকালীন এই সময়ে অনেকে ধৈর্য হারা হয়ে যাচ্ছেন এমনকি কেউ কেউ সময় তথা এই বছরকে মন্দ বলছেন, গালি দিচ্ছেন। কিন্তু আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী ﷺ বলেনঃ মহীয়ান গরীয়ান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তান আমাকে কষ্ট দেয়, সে সময়কে গালি দেয়, অথচ আমিই সময় (নিয়ন্ত্রণ করি), রাত ও দিন আমিই পরিবর্তন করে থাকি। (সহিহ মুসলিম ৫৭৫৬, সুনান আবূ দাউদ ৫২৭৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">আমাদের উপর যে বিপদ আপদ আপতিত হয় সেগুলো আমাদের উপর পরীক্ষাস্বরূপ কিংবা আমাদের কৃতকর্মেরই ফল। আবার এই বিপদ দ্বারাই (বিপদে ধৈর্যধারণ করলে) আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের গুনাহ ক্ষমা করেন অন্যদিকে অকৃতজ্ঞ আর কাফেরদেরকে তাঁর পথে ফিরে আসার সুযোগ দেন কিংবা তাদের আযাবের ব্যবস্থা করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও জলে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এর পরিণামে তিনি কর্মের (শাস্তির) স্বাদ তাদের ভোগ করাবেন, যাতে তারা (সঠিক পথে) ফিরে আসে।" (সূরা আর রুম, আয়াত ৪১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আর তোমাদের কৃতকর্মের কারণেই তোমাদের ওপর বিপদ নেমে আসে আর তিনি অনেক কিছুই ক্ষমা করে থাকেন।" (সূরা আশ শুরা, আয়াত ৩০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের সীমালঙ্ঘনের জন্য পাকড়াও করতেন, তাহলে যমীনের উপর কোন প্রাণীকেই তিনি রেহাই দিতেন না। কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেন। তাদের সময় এসে গেলে এক মুহূর্তও অগ্র-পশ্চাৎ করা হয় না।" (সূরা নাহল, আয়াত ৬১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শাস্তি দিয়ে কি করবেন, যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো ও ঈমান আনো ? এবং আল্লাহ্‌ পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ।" (সূরা আন নিসা, আয়াত ১৪৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"মানুষ কি মনে করেছে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এ কথা বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা? আমিতো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী।" (সূরা আল আনকাবুতঃ আয়াত ২, ৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"আমি কোন জনপদে এমন কোন নবীই পাঠাইনি যেখানকার অধিবাসীদেরকে অভাব-অনটন আর দুঃখ-কষ্ট দ্বারা পীড়িত করিনি যাতে তারা (আল্লাহর পথে ফিরে এসে) নম্রতা ও কাতরতা প্রকাশ করে। তারপর আমি মন্দ অবস্থাকে ভাল অবস্থা দ্বারা বদলে দিয়েছি। অবশেষে তারা প্রাচুর্য লাভ করেছে এবং (অকৃতজ্ঞ স্বরে) বলেছে, ‘আমাদের বাপ-দাদাদেরকেও দুর্দশা ও আনন্দ স্পর্শ করেছে।’ অতঃপর আমি তাদেরকে হঠাৎ পাকড়াও করেছি এমনভাবে যে, তারা উপলব্ধিও করতে পারেনি।" (সূরা আরাফ, আয়াত ৯৪-৯৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"এবং অবশ্যই আমি তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও ধৈর্যধারণকারীদের। যারা তাদের উপরে কোনো আপদ-বিপদ ঘটলে বলে -নিঃসন্দেহে আমরা আল্লাহ্‌র জন্যে, আর অবশ্যই আমরা তাঁরই কাছে প্রত্যাবর্তনকারী। এদের প্রতি রয়েছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে অনুগ্রহ ও করুণা আর এরাই হিদায়াতপ্রাপ্ত। (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত ১৫৫-১৫৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">হযরত আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ ﷺ-কে প্লেগ/ মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে উত্তরে তিনি বললেন, তা একটি আযাব। আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাদের প্রতি ইচ্ছা করেন তাদের উপর তা প্রেরণ করেন। আর আল্লাহ্ তা‘আলা তাঁর মুমিন বান্দাগণের উপর তা রহমত করে দিয়েছেন। কোন ব্যক্তি যখন প্লেগে আক্রান্ত জায়গায় সাওয়াবের আশায় ধৈর্য ধরে অবস্থান করে এবং তার অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে, আল্লাহ্ তাকদীরে যা লিখে রেখেছেন তাই হবে তাহলে সে একজন শহীদের সমান সওয়াব পাবে। (সহীহ বুখারী ৩৪৭৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেনঃ মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মু’মিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকর-গুজার করে আর অস্বচ্ছলতা বা দুঃখ-মুসীবাতে আক্রান্ত হলে সবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর। (সহীহ মুসলিম ৭৩৯০)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তিনি ﷺ আরো বলেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে কষ্ট ক্লেশ, রোগ-ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আসে, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে ফুটে, এ সবের মাধ্যমে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন। (সহীহ বুখারী ৫৬৪১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এক সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ﷺ! মানুষের মধ্যে সর্বাপেক্ষা বেশি মুসিবতের সম্মুখীন হয় কে? তিনি ﷺ বললেনঃ নবীগণ, এরপর যারা উত্তম মানুষ তারা, এরপর যারা উত্তম তারা। একজন তার দ্বীনদারীর অনুপাতে পরীক্ষায় নিপতিত হয়। যদি সে তার দ্বীনে মজবুত হয় তবে তার পরীক্ষাও তুলনামূলকভাবে কঠোরতর হয়; আর সে যদি দ্বীনের ক্ষেত্রে দুর্বল ও হালকা হয় তবে সে তার দ্বীনদারীর অনুপাতেই পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। এভাবে বান্দা বিপদ-আপদে পড়তে থাকে শেষ পর্যন্ত সে পৃথিবীতে এমন মুক্তভাবে বিচরণ করতে থাকে যে তার উপর আর কোন গুনাহর দায় থাকে না। (সূনান আত তিরমিজী ২৩৯৮, সুনান ইবনে মাজাহ ৪০২৩)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">বলুন, আমাদের জন্য আল্লাহ যা লিখেছেন তা ছাড়া আমাদের অন্য কিছু ঘটবে না; তিনি আমাদের অভিভাবক। আর আল্লাহর উপরই মুমিনদের নির্ভর করা উচিত।" (সূরা আত-তাওবাহ, আয়াত ৫১)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">কিন্তু আমরা অকৃতজ্ঞদের অভিযোগের কোন শেষ নেই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলছেন, </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"মানুষ এরূপ যে, যখন তার পালনকর্তা তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর সম্মান ও অনুগ্রহ দান করেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে সম্মানিত করেছেন। আর যখন তাকে পরীক্ষা করেন, অতঃপর রিযিক সংকুচিত করে দেন, তখন বলে, আমার পালনকর্তা আমাকে হেয় /অপমানিত করেছেন। না, কখনোই না (রিযক কখনো মান-সম্মানের মানদন্ড নয়) বরং তোমরা ইয়াতীমের প্রতি সম্মানজনক আচরণ কর না। এবং মিসকীন বা অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে পরস্পরকে উৎসাহিত কর না। আর তোমরা উত্তরাধিকারীদের (প্রাপ্য) সব ধন-সম্পদ খেয়ে ফেলো। এবং তোমরা ধন-সম্পদকে অতিরিক্ত ভালবাস। এটা অনুচিত। পৃথিবীকে যখন টুকরো টুকরো করে চূর্ণবিচূর্ণ করে দেয়া হবে এবং তোমার রব এর নির্দেশ আসবে আর ফিরিশতাগণ আসবে কাতার কাতার (সারিবদ্ধ) হয়ে, আর সেদিন জাহান্নামকে আনা হবে, সেদিন মানুষ উপলব্ধি করবে, কিন্তু এই উপলব্ধি কি তার কাজে আসবে? সে বলবে, হায়! এ জীবনের জন্যে আমি যদি কিছু আগে পাঠাতাম! অতঃপর সেদিন তাঁর আযাবের মত আযাব কেউ দিতে পারবে না। (সূরা আল ফজর, আয়াত ১৫-২৫)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"যে সকল বস্তু তোমরা চেয়েছ, তার প্রত্যেকটি থেকেই তিনি তোমাদেরকে দিয়েছেন। যদি আল্লাহর নেয়ামত গণনা কর, তবে গুণে শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় মানুষ অত্যন্ত অন্যায়কারী, অকৃতজ্ঞ।" </div><div style="text-align: justify;">(সূরা ইব্রাহিম, আয়াত ৩৪)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">"অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?" (সূরা আর-রহমান)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">“আর (স্মরণ করুন) যখন তোমাদের রব ঘোষণা দিলেন, ‘যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের বাড়িয়ে দেবো, আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয় আমার আযাব বড় কঠিন।” (সূরা ইব্রাহীম, আয়াত ৭)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদেরকে সকল বিপদ আপদে ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুক, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করার তাওফিক দান করুক।</div><div style="text-align: justify;">© Mohammad Rakib Attari</div>

সময়কে গালি দিবেন না, বিপদে ধৈর্য হারাবেন না

সময়কে গালি দিবেন না, বিপদে ধৈর্য হারাবেন না ---- করোনাকালীন এই সময়ে অনেকে ধৈর্য হারা হয়ে যাচ্ছেন এমনকি কেউ কেউ সময় তথা এই বছরকে মন্দ বলছেন, ...

Read more »

আগন্তুক শেষ পর্ব

<p style="text-align: justify;"> <b>আগন্তুক (শেষ পর্ব)</b></p><p style="text-align: justify;"><b>- মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর </b></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: center;"><b><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/01/aguntuk_83.html?m=1">৬ষ্ঠ পর্ব</a></b></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এরপর আমরা হামযা ইউসুফের লেখার অংশ দেখব। উনি ছয় বছর মৌরিতানিয়ায় থেকে দ্বীন শিক্ষা করেছেন। উনি কিন্তু সাদা চামড়ার মানুষ – দ্বীন শিক্ষা করার জন্য মরুভূমিতে অত্যন্ত কষ্ট করেছেন। তিনি এই বইতে গসম্যান নামে একজন লেফটেন্যান্ট এর কিছু গবেষণালব্ধ ফলাফল দিয়েছেন যা আমরা দেখব:-</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">১) টিভির ৪০% সহিংসতা করছে এমন চরিত্র, যাদের মানুষ আদর্শ মনে করে – যেমন, শাহরুখ খান।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">২) এই সহিংসতাগুলো যারা করে, তাদের তিন ভাগের এক ভাগ খারাপ চরিত্রের কোন শাস্তি হয় না। এতে বাচ্চারা কী শিখে? আপনি খারাপ কাজ করে বেঁচে যেতে পারবেন। আর আমরা যখন বড় হচ্ছি তখন তো খারাপ কাজ করা হিরোই ছিল – টেলিভিশনে রবিনহুড দেখাত তখন, সে তো ডাকাত ছিল!</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৩) টিভিতে যেসব সহিংসতা দেখান হয় তার অর্ধেকের বেশিতে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে – যদি আসলেই কেউ এগুলো বাস্তবে করতে যায়, তবে সে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে। পড়েন নাই পেপারে, এসব করতে গিয়ে বাচ্চারা নিজে মরে গেছে বা অন্যকে মেরে ফেলেছে?</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৪) ৪০% সহিংসতার ভেতর আবার হাস্যরস থাকে। অর্থাৎ একজন আরেকজনকে মেরে ফেলছে কিন্তু আপনি হাসছেন।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">৫) টিভিতে যা দেখান হয় তার মাঝে ৬০% সহিংসতা থাকে এবং ৬০%র বেশি অংশে আক্রমণাত্মক আচরণ থাকে – তবে এটা কিন্তু ১৯৯৯এর কথা। এখন আরও বেশি হবে। বাচ্চারা যদি দিনে দুই ঘন্টা করে কার্টুন দেখে তাহলে বছরে তারা ৫০০ সহিংস আচরণ দেখবে, যা তাদের ভেতর আক্রমণাত্মক ব্যবহারের জন্ম দেবে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এখানে হামযা ইউসুফ নিজে আরও কিছু ডাটা দিচ্ছেন। আমেরিকায় ১৫-২০ বছর বয়সী যে সব বাচ্চারা মারা যায় তাদের মৃত্যুর কারণের দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ‘খুন’। আর আফ্রিকান-আমেরিকানদের মাঝে এটা প্রথম কারণ। আমেরিকায় প্রতি পাঁচ মিনিটে সহিংসতা ঘটানোর জন্য একটা বাচ্চাকে অ্যারেস্ট করা হয় এবং বন্দুকের ব্যবহার থেকে প্রতি তিন ঘণ্টায় একটা বাচ্চা মারা যায়। আমেরিকায় ৪৮৮১টা সন্ত্রাসী দল আছে যাদের সদস্যের সংখ্যা হচ্ছে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডে বড় হওয়া একটা বাচ্চার চেয়ে ওয়াশিংটন ডিসি বা শিকাগোতে বড় হওয়া একটা বাচ্চার খুন হওয়ার সম্ভাবনা ১৫গুণ বেশি। নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের কথা কেন বলছেন উনি? কারণ সেখানে সন্ত্রাসবাদী সংস্থা আই.আর.এ. আছে কিন্তু তাদের আক্রমণে বাচ্চারা মরে না, অথচ আমেরিকায় বাচ্চারা মরছে। ১৯৬০ সাল থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে কিশোর বয়সীদের আত্মহত্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন? ৬০এর দশক থেকেই কিন্তু টিভি এসেছে! এরপর হামযা ইউসুফ বলছেন, দুই লক্ষ সত্তুর হাজার বাচ্চা প্রতিদিন স্কুলে বন্দুক নিয়ে আসে। আমাদের দেশে এরকম হয় না, কিন্তু আমাদের দেশেও কিশোর কিশোরকে মোবাইল ফোনের জন্য হত্যা করেছে। এটা পেপারে উঠেছে। “ওর আছে, আমার নাই!” – এ জন্য মেরে ফেলেছে! আমেরিকায় প্রতি ১৫টা বাচ্চার মাঝে একজনের বাবা অথবা মা কেউ একজন জেলে আছে। এই সব কিছুর পেছনে টিভি বিষয়ক ব্যপারকে দায়ী করা হচ্ছে।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এখন হামযা ইউসুফ যেখানে পড়াশোনা করেছেন, মৌরিতানিয়া, সেখানকার কথা বলছেন। আর সব ইসলামী সমাজের মতো এখানেও মৌখিক সংষ্কৃতি বিরাজ করত, অর্থাৎ শোনার মাধ্যমে মুখে মুখে প্রচারের প্রক্রিয়া ছিল; আমাদের কুরআন মুখস্ত করা, হাদীসের বিস্তার এ সবই মৌখিক সংষ্কৃতির মাধ্যমেই হয়েছে। আর মুরব্বীদের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। আমরা এখন একটা মুরব্বীহীন সমাজে পরিণত হয়েছি। আগে পাড়ার সবচেয়ে অথর্ব বৃদ্ধকে দেখলেও ছেলেরা সিগারেট ফেলে দিত! আর এখন মুরুব্বীর মুখের ওপর ধোঁয়া ছাড়ছে কিশোরেরা। এরপর উনি বলছেন যে, তার পড়াশোনার সময়কালে সেখানে টিভি ছিল না। </p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">দশ বছর পর উনি যখন সেখানে আবার গেলেন, তখন আগের দেশটা আর নেই! সেটা অন্যরকম হয়ে গেছে! কেন? যে আতিথেয়তা, মানুষের সাথে কথা বলা – উনি আগে পেয়েছিলেন – সেটা এখন আর নেই। এখন টিভির কারণে মানুষের আর সময় নেই তো, তাই! সেখানে মানুষের সাথে মেলামেশা, কথা বলা নাটকীয়ভাবে কমে গেছে এবং সবার মাঝে কিভাবে আমেরিকায় যাওয়া যায়, বড়লোক হওয়া যায় ও সেখানে গিয়ে টিভিতে যা কিছু দেখায় সব কিনে ফেলা যায় এই তাড়না প্রবল হয়েছে। আমাদের দেশে একই অবস্থা না এখন? একদম একই অবস্থা! আর একটা বিশাল পার্থক্য তিনি দেখেছেন যা হোল টিভির আবির্ভাবের বদৌলতে মানুষের মাঝে “পশ্চিমা আচরণ” বিরাজ করছে – অন্যের জন্য তাদের কাছে সময় কমে গেছে। বাবা, মা, স্ত্রী, ছেলেমেয়ের জন্য মানুষের কাছে এখন আর সময় নেই।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আমরা আজ এখানেই শেষ করছি। আমরা যেন এখান থেকে বোঝার চেষ্টা করি, চিন্তা করি আমরা কী হারিয়ে ফেলছি এবং আমরা অন্যরকম হয়ে যাচ্ছি। নিঃসন্দেহে টিভি আমাদের মাঝে যা এনে দিচ্ছে তা ইসলাম বিরোধী ও অনৈসলামিক জীবনযাত্রা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

আগন্তুক শেষ পর্ব

  আগন্তুক (শেষ পর্ব) - মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর  ৬ষ্ঠ পর্ব এরপর আমরা হামযা ইউসুফের লেখার অংশ দেখব। উনি ছয় বছর মৌরিতানিয়ায় থেকে দ্বীন শি...

Read more »

আগন্তুক ৬ষ্ঠ পর্ব

<p> <b>আগন্তুক (৬)</b></p><p><b>- মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর </b></p><p><br /></p><p style="text-align: center;"><b><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/01/aguntuk_10.html?m=1">৫ম পর্ব</a></b></p><p><br /></p><p>এরপর আমরা লেখা শেষের প্রশ্নোত্তর পর্বটা একটু দেখবো। টিভি দেখার ফলে মনের উপর কি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে? টিভি দেখার কারণে যখন আপনি মনকে একখানে আটকে ফেলেন, তখন আপনি অন্য অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হন – যা মস্তিষ্কের বেড়ে ওঠাকে বাধাগ্রস্ত করবে। একটা বাচ্চার সাথে যদি কথা বলা না হয়, খেলা না হয়, তাকে স্পর্শ করা না হয় তাহলে তার মস্তিষ্কের আকার ২০-৩০% ছোট হয়ে যায়। ছোঁবেন কখন, আপনি তো অফিসে! আপনার স্ত্রীও অফিসে।</p><p><br /></p><p>কথা বলারও সময় নেই। টেলিভিশনের কথা না, আপনার নিজের কথা বলার কথা বলছি আমরা। প্রাণীর ওপর গবেষণায় দেখা গেছে, একটা প্রাণীকে আটকে রেখে যদি অন্য প্রাণীদের খেলা দেখতে দেয়া হয় – টিভির মতো যেখানে আপনার নিজের নড়াচড়া নাই কিন্তু আপনি নড়াচড়া দেখছেন – তাহলে দেখা গেছে, প্রাণীটা যত বেশি দেখেছে, তত বেশি তার মস্তিষ্কের আকার কমে যাচ্ছে। এরপর ব্যাপারটা টিভির ক্ষেত্রে প্রয়োগ করলে দেখা যাবে, টিভি শুধু দুইটা ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপ্ত করে – দেখা আর শোনা। </p><p><br /></p><p>এতে করে আপনার চিন্তাশক্তি কমে যাচ্ছে, মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে যাচ্ছে, কল্পনাশক্তি কমে যাচ্ছে – আপনি লিখতে-পড়তে পারবেন না, আপনার কোন মনোযোগ থাকবে না!</p><p><br /></p><p>এখানে একজন জিজ্ঞেস করলেন, তাহলে আমরা কী করতে পারি? শিশুচিকিৎসক সুজান পরামর্শ দিলেন,</p><p><br /></p><p>১) যতটা সম্ভব টিভি বন্ধ করে রাখুন।</p><p><br /></p><p>এটা খুবই সাধারণ কথা। আমাদের বাসায় বারো বছর টিভি চলে না। বাসায় দুইটা বাচ্চা আছে, একজন এগার বছর অন্যজন আট, জীবনে কোনদিন টিভি দেখেনি তারা। তাদের মস্তিষ্কের গ্রহণক্ষমতা আপনি কল্পনা করতে পারবেন না – বড়টা নিজে নিজে কুরআন দেখতে দেখতে পড়তে শিখেছে। আসহাবে রাসূলের কাহিনী, ইবন কাসীর তার পড়া শেষ। কেন? তার তো “ইনপুট” দরকার! তার মস্তিষ্ক কিন্তু খালি! এবং তার কত প্রশ্ন – জীবন নিয়ে, প্রকৃতি নিয়ে, বিজ্ঞান নিয়ে! টেলিভিশন দেখা বাচ্চারা কিন্তু কোন প্রশ্ন করবে না। তার প্রশ্ন করার কিছু নাই, ওখানেই সে সব দেখছে।</p><p><br /></p><p>২) বাচ্চাদের বই পড়ে শোনাবেন – যেটা আমাদের মায়েরা, খালারা বা বড় ভাই-বোনেরা করেছে – বিশেষ করে ছবি ছাড়া বই।</p><p><br /></p><p>আজকাল দেখবেন পুরো বইজুড়ে শুধু ছবি, এক লাইন লেখা। উনি কিন্তু উল্টা বলছেন, পুরোটা লেখা, একটু হয়ত ছবি থাকতে পারে। এতে কী হবে? সে কল্পনা করতে শিখবে। মুসলিম পরিবারে ছবি ছাড়া গল্প বলা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। আমরা যখন নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের) গল্প বলি আমরা কি ছবি দেখাই? আর প্রচুর গল্প বলবেন।  ইনশাল্লাহ আমরা যারা মুসলিম আমরা নবী-রাসূলের গল্প, সাহাবীদের গল্প, কুরআন-হাদীসের গল্প বলব। আজকাল অনেক সাহিত্য আছে যেখান থেকে আমরা পড়তে পারি।</p><p><br /></p><p>৩) প্রকৃতি! প্রকৃতি! প্রকৃতি!</p><p><br /></p><p>যার যতটুকু সময় ও সুযোগ আল্লাহ দিয়েছেন, প্রকৃতির কাছে বাচ্চাদের নিয়ে যাবেন। যতবার সম্ভব। প্রতিটি সম্ভাব্য ছুটিতে। এমনকি প্রতি সপ্তাহ শেষে যদি পারেন – ঘাস, মাটি, পোকা, বালু, কাদার ভেতর নিয়ে যাবেন। ধৈর্যের সবচেয়ে বড় শিক্ষক হচ্ছে প্রকৃতি। একটা গাছ পুঁতল, পানি দিল কিন্তু গাছটা মরে গেল। গাছ মরতেই পারে। শিক্ষা না এটা? আমার একটা ছোট ভাই ছিল, আব্বা-আম্মার অনেক আদরের কিন্তু মারা গেছে। মরতে পারে না? প্রকৃতি আপনাকে ধৈর্য শিখাবে। আপনি ধাক্কা খাবেন না। বুঝবেন যে সবকিছু ধীরে ধীরে হয়। “ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশনের” উল্টা জিনিস হচ্ছে “ডিলেইড গ্রাটিফিকেশন” (বিলম্বে তৃপ্তি)। এর উদাহরণ কী? রোজা! সারাদিন অপেক্ষার শেষে পানি খেতে পারবেন। প্রকৃতি আপনাকে এই শিক্ষা দিবে। মানুষের চরিত্রে এটা গড়ে তোলা দরকার। “নগদ যা পাও হাত পেতে নাও বাকির খাতায় শূন্য থাক” – এটা কাফেরের দর্শন। আর ইসলামের মূল শিক্ষায় রয়েছে পরীক্ষা শেষের ফলাফল – কষ্ট করে ক্ষেতে বীজ বুনে, ফসলের জন্য যেমন আপেক্ষা করতে হয়। নগদ তেমন কিছুই পাবার নেই যেন, যতটুকু দরকার সেটুকু গ্রহণ করে আল্লাহ-নির্ধারিত নিয়মে ও আল্লাহর আনুগত্যে জীবন কাটাতে পারলে, আপনার জন্য রয়েছে জান্নাত। আল্লাহর রাসূলের ওই হাদীস, সমুদ্রের পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে নিয়ে আসলে যা আঙ্গুলে লেগে থাকে সেটুকু দুনিয়ার জীবন। আর সমুদ্রে যেটুকু পানি রয়ে গেল, তা হোল আখিরাতের অনন্ত জীবন। তাহলে একজন মুসলিম কোন অবস্থায় এই দুনিয়ার জন্য আখিরাতকে নষ্ট করবে না। বরং, আখিরাতে প্রাপ্তির জন্য সে এখানে ধৈর্যধারণ করবে। সে এখানে ত্যাগ করবে, কষ্ট করবে, চোখমুখ বুঁজে থাকবে, সহ্য করে যাবে অনেক কিছু।</p><p><br /></p><p>এরপর লেখিকা সুজান বলছেন, প্রকৃতি হচ্ছে পর্যবেক্ষণের বড় শিক্ষক। এর রঙগুলো দেখার মতো – আর তা সবগুলো ইন্দ্রিয়কে উজ্জীবিত করে তোলে। একটা ফুল-ফোটা সর্ষেক্ষেত আর কিছু দিয়ে বর্ণনা করা যায়? এরপর উনি বলছেন, আজ অনেক বাচ্চা আছে যারা প্রকৃতির কাছে যেতে আগ্রহ পায় না, বলে ‘তোমরা যাও আমি এখানে বসে কার্টুন দেখি বা গেম খেলি।’ আছে না এমন? নড়তে চায় না। মুরগী (ফ্রাইড চিকেন) খেতে খেতে এরা মোটা হয়ে গেছে। ফাস্টফুড কিন্তু “ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশন”, মানে রান্নার জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই – সেই ধৈর্যও নেই। এক্ষুণি দরকার আমার – সুতরাং পয়সা দিয়ে ফাস্টফুডের দোকান থেকে মুহূর্তে কিনে নিয়ে আসতে চাই!</p><p><br /></p><p>যাহোক, উনি বলছেন অনেকসময় যারা টিভি দেখে, প্রকৃতিকে তাদের বোরিং মনে হয় কারণ তারা টিভির দ্রুতলয়ের অ্যাকশনে খুবই অভ্যস্ত হয়ে যায়। ‘টুং-টুং’, ‘ব্যাঙ’, ‘দুম-দুম’ গুলি ইত্যাদি শব্দ আছে না? এর বিপরীতে প্রকৃতিকে তাদের নীরব, অ্যাকশনবিহীন মনে হয়। প্রকৃতিতে যে কোন জিনিস কিন্তু ধীর, শান্ত, শান্তিপূর্ণ। সেখানে একটার পর একটা ঘটনা ধীরে ধীরে ঘটে, প্রকৃতির কর্মকান্ডের প্রত্যাশায় ধৈর্যের ব্যপার রয়েছে।</p><p><br /></p><p>৪) আপনার নিজের ও বাচ্চার ইন্দ্রিয়ের প্রতি মনোযোগ দিন।</p><p><br /></p><p>মাঝে মাঝে বাচ্চাদের এক চোখ বন্ধ করে অন্য চোখে দেখতে পায় কি না জিজ্ঞেস করবেন। এমন কিন্তু হয় যে একটা বাচ্চা এক চোখে দেখে না অনেকদিন – অথচ বাবা-মা জানেই না, কারণ সে অ্যাডজাস্ট করে নেয়। তাকে জিজ্ঞেস করবেন কোনটা কী রঙ বোঝার জন্য যে সে “কালার ব্লাইন্ড” কি না। সে সবরকম স্বাদ, গন্ধ চিনতে পারে কি না – অনেক মানুষ আছে সব ধরনের স্বাদ, গন্ধ পায় না। এগুলো নিজেরটা ও বাচ্চারটা পরীক্ষা করে দেখবেন।</p><p><br /></p><p>৫) শিশুদের হাত, পা ও পুরো শরীর ব্যবহার করে অর্থবহ কাজ করতে দিন।</p><p><br /></p><p>খেয়াল করবেন সে হাত, পা, সম্পূর্ণ শরীর ব্যবহার করছে কি না। তাকে মাঠে ঘাটে ছেড়ে দিন, ও দৌড়াক, আছাড় খাক, হাত-পা ছিলুক – এগুলো সব প্রয়োজনীয়!</p><p><br /></p><p>এই ছিল শিশু বিশেষজ্ঞ সুজানের ৫টি পরামর্শ।</p><p><br /></p><p><br /></p>

আগন্তুক ৬ষ্ঠ পর্ব

  আগন্তুক (৬) - মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর  ৫ম পর্ব এরপর আমরা লেখা শেষের প্রশ্নোত্তর পর্বটা একটু দেখবো। টিভি দেখার ফলে মনের উপর কি ক্ষত...

Read more »

আগন্তুক ৫ম পর্ব

<p style="text-align: justify;"> <b>আগন্তুক (৫)</b></p><p style="text-align: justify;"><b>- মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর </b></p><p style="text-align: center;"><b><a href="https://www.sunni-encyclopedia.com/2021/01/blog-post_3.html?m=1">৪র্থ পর্ব</a></b></p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">যাই হোক, তার গবেষণার বাচ্চাদের ব্যপারে উনি বলছেন, কোন শব্দ বা অক্ষর বলা হলে তারা সেটার মানসিক আকৃতি দিতে পারত না। এই জিনিসটা ব্যখ্যা করি, কল্পনার ভেতর কোন জিনিস দেখা। যেমন, যারা গাড়ি চালায়, যদি একটা ম্যাপ উল্টা থাকে আপনি মনে মনে ম্যাপটাকে সোজা করে পথটা বুঝে নিবেন। একে বলে স্প্যাশিয়াল অ্যাবিলিটি (SPATIAL ABILITY)। এটা মস্তিষ্কে গড়ে তুলতে হয়। মনের এই কল্পনাশক্তিটা জন্ম না নিলে এই দক্ষতাটা আসবে না। আর এটা আসবে না, যদি কেউ হাঁ করে বসে থেকে সারাদিন টিভি দেখে। যার এই দক্ষতা যত বেশি সে তত ভালো ইঞ্জিনিয়ার, ম্যাথমেটিশিয়ান হতে পারবে। এরপর উনি বলছেন, যদি তিনি তাদের কয়েকটা অক্ষর দেখিয়ে একটা বের করতে বলতেন, তাহলে তারা সেটা পারত; কিন্তু না দেখালে তারা আর পারছে না। এই সকল বাচ্চারাই অনেক টিভি, ভিডিও দেখত আর কম্পিউটার গেম খেলত – কেন পারেনি তার মূল কারণ হচ্ছে এসব।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">আপনি মনে করবেন না কম্পিউটার গেম নিরাপদ, তা না কিন্তু! অনেক ‘ঢিসুম-ঢাসুম’ আছে। তখন উনি চিন্তা করতে শুরু করলেন টিভির সামনে বাচ্চাদের রাখলে কী সমস্যা হয় তাদের? সমস্যাটা হচ্ছে, মস্তিষ্কের জন্য আর করার কিছু থাকে না, এর চিন্তা-ভাবনা করার, কাজ করার কিছু নাই। জানেন তো, মানুষের বাচ্চাকে দশ-বিশ বছর কোন কাজ করতে না দিলে, চেয়ারে বেঁধে রেখে দিলে সে কিন্তু আর দাঁড়াতেও পারবে না, হাঁটতে পারবে না – আল্লাহ মানুষকে এভাবেই বানিয়েছেন। গরু-ছাগলের বাচ্চা জন্মগতভাবেই ডাক দিতে, হাঁটতে, দৌড়াতে পারে কিন্তু মানুষের বাচ্চাকে শেখাতে হয়। এই কারণে বলছেন, মানুষের বাচ্চা যখন টিভি দেখে, তখন সবকিছু তার মাথার ভেতরে ঢুকছে, সে নিজে চিন্তা করে কিছু বের করে না।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এরপর উনি বলছেন, শিশুদের দেখা, শোনা, স্বাদ নেয়া, গন্ধ নেয়া, স্পর্শ করা এই পঞ্চন্দ্রিয়ের প্রত্যেকটা কাজে লাগে এমন ব্যপারে নিয়োজিত করতে হবে। এখানে আমি আমার নিজের জীবনের একটা গল্প বলি: আমার মেয়ে যখন ছোট ছিল, তখন শীতকালে একবার সে আম খেতে চাইল। তার মা বলল এখন তো আম পাওয়া যাবে না। সে বলে উঠল, দোকানে গেলে পাওয়া যাবে না? এখন, এই বিষয়টা আসলে কী? তার মাথায় আছে পয়সা দিলে দোকানে সব পাওয়া যায়। একে আমরা বলি “ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশন”, অর্থাৎ আমার এক্ষুণি দরকার, এক্ষুণি চাই, তুমি যেখান থেকে পার এনে দাও। এটা কিন্তু চরিত্রটাকে নষ্ট করে দেয়। সে সবকিছু রেডিমেড পেতে, দেখতে ও কিনতে শেখে। অপরদিকে, সে যদি প্রকৃতির মাঝে থাকত তাহলে কী দেখত? প্রথমে দেখত আমের মুকুল আসছে, তারপর দেখত কিছু ঝরে গেছে আর কিছু রইল, তারপর আমের গুটি আসছে, সেখান থেকেও কিছু ঝরে গেল, এরপর কিছু কাঁচা আম এলো, তারপর বৈশাখের ঝড়ে কিছু ঝরে গেল কিছু রইল, যা টিকল সেটা পাকল, পাকার পর সেটা পাড়া হোল ও সবাই ভাগ করে খেলো। এর মাঝে কী নিহিত আছে? ইসলামের সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয় জিনিসটা – সবর বা ধৈর্য! আজকাল দেখবেন আমাদের সবর নাই কারণ আমরা মনে করি পয়সা দিলেই তো সব পাওয়া যায়। আমরা একটা ধৈর্যহীন প্রজন্ম হয়ে যাচ্ছি।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">পড়াশোনা করব তারপর ভালো রেজাল্ট হবে, তার চেয়ে নকল করলেই তো হয়ে যায়! এসবই কিন্তু “ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশনের” বা “তৎক্ষনাৎ তৃপ্তি” লাভের প্রবণতার ফল। আগে টিভিতে একটা বিজ্ঞাপন ছিল, “কোকোলা লজেন্স এক্ষুনি আনো”! এই কথাটা কিন্তু খুবই ইসলাম বিরোধী! কেন? আমাদের আল্লাহ কী বলেছেন? এই দুনিয়ায় সবকিছু পাবে না, দুনিয়া থেকে আমরা ততটুকু নিব, যতটুকু বাঁচার জন্য দরকার। সমস্ত প্রতিজ্ঞা আখিরাতের জন্য। এখন ধৈর্য ধরবেন, পরবর্তীতে পাবেন – এটা হচ্ছে ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহ আপনাকে যা এখানে নিষেধ করছেন, সেটা কিন্তু বলছেন জান্নাতে পাওয়া যাবে। দুনিয়া হচ্ছে ধৈর্যের ব্যপার, অপেক্ষা করার ব্যপার, “ইনস্ট্যান্ট গ্রাটিফিকেশনের” উল্টা জিনিস এটা।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;">এরপর লেখিকা বলছেন, বাচ্চাদের ইন্দ্রিয়গুলো স্পঞ্জের মতো হয়; যা দেখবে তাই শুষে নেয় এবং তাদের কোন একটা ইন্দ্রিয়কে বেশি উত্তেজিত করলে, অন্যগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। যদি শুধু চোখ আর কান এক জায়গায় আটকে দেয়া হয় তাহলে বাকিগুলো ব্যবহৃত না হয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। সবকয়টা ইন্দ্রিয়ের দরকার আছে; সে প্রকৃতির কাছে যাবে, একটা কিছু ধরবে, একটা পিঁপড়া কামড় দেবে – এর দরকার আছে। একটা ফুলের ঘ্রাণ সুন্দর আরেকটার বাজে, এর দরকার আছে; একটা জিনিসের স্বাদ ভালো আর একটার স্বাদ কষটা, এর দরকার আছে। প্রত্যেকটা অভিজ্ঞতার দরকার আছে। বাচ্চা বড় হবে ও সেই সাথে তার সব ইন্দ্রিয়গুলো গড়ে উঠবে – এটাই বলছেন তিনি। এরপর লেখিকা বলছেন, ছোটবেলায় সবকিছুই সে গ্রহণ করবে, এর মাঝে বাছবিচার করতে শিখবে না সে। শব্দের ব্যপারটাই ধরুন, প্রচন্ড সশব্দ মিউজিকে আপনি পাশের বাসায় বসে টিকতে পারছেন না, কিন্তু একটা বাচ্চা তার মাঝেই বসে আছে! এর মানে কী? সে এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে, এখন আর স্বাভাবিক শব্দের মাত্রা তার ভালো লাগবে না। আর, স্পর্শের ইন্দ্রিয়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মা ও মাটি এই দুটা ছাড়া কোন বাচ্চা প্রাকৃতিকভাবে বড় হতেই পারে না। এই মহিলা বিধর্মী তাও বলছেন, মানুষ হওয়ার জন্য মায়ের স্পর্শে থাকতে হবে। মাটি ধরবে, মলিন হবে এবং মায়ের কাছে থাকবে – এসবকিছুই খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার।</p><p style="text-align: justify;"><br /></p><p style="text-align: justify;"><br /></p>

আগন্তুক ৫ম পর্ব

  আগন্তুক (৫) - মুহাম্মদ সিরাজুম মুনির তানভীর  ৪র্থ পর্ব যাই হোক, তার গবেষণার বাচ্চাদের ব্যপারে উনি বলছেন, কোন শব্দ বা অক্ষর বলা হলে তারা সে...

Read more »