একটি বিকাশ ট্রানজেকশন!

<div>বিকাশ আছে? আছে। ক্যাশ ইন করা যাবে? যাবে। কিন্তু আমি একটু কমই করব। (অনেকটাই লজ্জাশীলতার সাথে) দুই'শ টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে? না ভাই, হবে না..!</div><div><br></div><div>এভাবে সচারাচরই কম এমাউন্ট ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে গ্রাহকদেরকে অধিকাংশ বিকাশ এজেন্টরা মোটেও গুরুত্ব দিতে চান না। কিন্তু হতে পারে লোকটার এই সামান্য টাকাটা ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করা খুবই জরুরি। হতে পারে তার কাছে এতটুকুই টাকা আছে। হতে পারে এই সামান্য টাকার ট্রানজেকশন তাকে অনেক পেরেশানি থেকে মুক্ত করতে পারবে। অন্তত মানুষের পেরেশানি দূর করার উদ্দেশ্যে, সাওয়াব এর নিয়্যতে আমাদের এই সকল গ্রাহকদেরও মূল্য দেয়া উচিত। শুধু মুনাফার জন্যই নয়। এটাই মানবতা। </div><div><br></div><div>রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন– 'কিয়ামতের দিন যখন আরশের ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে না, তখন তিন ধরণের লোককে আরশের নিচে ছায়া প্রদান করা হবে। তাদের মধ্যে একটি ক্যাটাগরির মানুষ হলো তারা, যারা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উম্মতের পেরেশানি দূর করবে।' [১] </div><div><br></div><div>ঠিক আজকেই আমার সাথেও একই ঘটনা ঘটল। যখনই দুই'শ টাকার ট্রানজেকশন করব শুনলো, দোকানদার ভাইয়ের চেহারা মলিন হয়ে গেল। সে অসম্মতি জানাল। ঠিক একই সময় আরেকজন দোকানদার ভাই এই সাহায্যটা করল। এবং সাহায্যটা আমার খুব দরকারও ছিল। আল্লাহ তায়ালার কতো দয়া সেই ব্যক্তির ওপর হলো। তার কাছ থেকেই পুনরায় এসে আমি কয়েকটি চিপস এর প্যাকেট নিলাম সাথে আরো পাঁচ'শ টাকার ট্রানজেকশন করলাম। আগের ব্যক্তিটি অস্বীকৃতি না জানালে হয়তো, রিযিকটা তার ভাগ্যেই থাকত!</div><div><br></div><div>তখন আমার বারবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই মহান ফরমানটি মনে হতে লাগলো– 'দয়া করো; তোমাদেরকেও দয়া করা হবে।' [২] </div><div><br></div><div>___</div><div>[১] বুস্তানুল ওয়ায়েযীন লি-ইবনি জাওযী। </div><div>[২] মুসনাদে আহমদ।<br></div><div><br></div><div>~Swadhin Ahmed Attari </div>

একটি বিকাশ ট্রানজেকশন!

বিকাশ আছে? আছে। ক্যাশ ইন করা যাবে? যাবে। কিন্তু আমি একটু কমই করব। (অনেকটাই লজ্জাশীলতার সাথে) দুই'শ টাকা ক্যাশ ইন করা যাবে? না ভাই, হবে ন...

আরও পড়ুন »

ফরজ গোসলের বিধি বিধান

<div>গোসলের তিনটি অংশ, তার একটিও কম হলে গোসল হবে না।এরুপও বলা যায় যে, গোসলের ফরজ তিনটি। </div><div><br></div><div>১. কুলি করাঃ</div><div>মুখের প্রত্যেক অংশের কোণা, ঠোঁট থেকে কন্ঠনালির গোড়া পর্যন্ত প্রত্যেক জায়গায় যেন পানি পৌঁছে। অধিকাংশ লোক মনে করে যে, সামান্য পানি মুখে নিয়ে নিক্ষেপ করলেই কুলি হয়ে যায়।যদিও মুখের গোড়া এবং কণ্ঠনালীর গোসল করার পর নামাজও জায়িজ হবে না। বরং মাড়ি, দাঁত, দাঁতের ফাঁক জিহবার উভয় পার্শে গলার কিনারা পর্যন্ত পানি প্রবাহিত করা ফরজ।</div><div>☞ইমাম আহমদ রেজা, ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ, ১/৪৩৯-৪৪০ পৃঃ</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০১</div><div>দাঁতের গোঁড়া, বা মাড়িতে এমন কোন বস্তু আটকে থাকলে যা পানি প্রবাহিত করতে বাঁধা সৃষ্টি করে, তা ছুড়িয়ে ফেলা জরুরি। যদি ছুটাতে ক্ষতি বা অসুবিধা না হয়।যেমনঃ চাউলের দানা বা মাংসের টুকরা। আর যদি ছুটাতে ক্ষতি বা অসুবিধা হয়। যেমনঃ অনেক বেশী বেশী পান খাওয়ার ফলে দাঁতের গোড়ার ফাঁকে চুন জমে যায় বা মহিলাদের দাঁতে, মাজনের উপকরণ, যা ঘষে দাঁতের বা মাড়ির ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তা মাফ।</div><div>☞ ইমাম আহমদ রেজা, ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ, ১/৪৪০-৪৪১পৃঃ</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-GydjK1NNZW4/YfLUf0qs-FI/AAAAAAAAO50/GcilmnFUc-UQBK9NOF4yNSuHzxjjg5jEgCNcBGAsYHQ/s1600/20220127_211651.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-GydjK1NNZW4/YfLUf0qs-FI/AAAAAAAAO50/GcilmnFUc-UQBK9NOF4yNSuHzxjjg5jEgCNcBGAsYHQ/s1600/20220127_211651.jpg" width="320"></a></div><br></div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০২</div><div>সংযুক্ত দাঁত তার দ্বারা বা উপড়ে ফেলা দাঁত কোন উপকরণ দিয়ে বাধায়ে নিল এবং পানি তার বা উপকরণের নিচ দিয়ে পৌঁছে না, তখন মাফ। খাদ্য বা পান এর চিলকা দাঁতে আটকে আছে, যা বের করে পৃথক করা এবং মুখ ধুয়ে নেয়া জরুরি, যদি পানি পৌঁছাতে অন্তরায় না হয়।</div><div>☞ইমাম আহমদ রেজা, ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ, ১/৪৫২-৪৫৩ পৃঃ</div><div><br></div><div>২. নাকে পানি দেওয়াঃ</div><div>নাকের উভয় ছিদ্রে যতদূর নরম জায়গা আছে ওই পর্যন্ত ধৌত করা। পানি নাক দ্বারা টেনে উপরে নিয়ে যাওয়া,যেন চুল বরাবর কোন অংশ বাকি না থাকে। অন্যথায় গোসল হবে না।নাকের ভিতর শেষ্মা শুকিয়ে থাকলে তা পরিষ্কার করাও ফরজ।নাকের পশম ধৌত করাও ফরজ। </div><div>☞ ইমাম ইবনে আবেদীন শামী, ফতোয়ায়ে শামী, কিতাবুত তাহারাত, পরিচ্ছেদ: গোসল, ১/৩১২ পৃঃ</div><div><br></div><div>মাস'আলাঃ ০৩</div><div>নাকের অগ্রভাগে ব্যবহৃত অলংকার বিশেষের ছিদ্র যদি বন্ধ না থাকে,তার মধ্যে পানি পৌঁছানো জরুরী, সংকীর্ণ হলে নাড়া দেয়া জরুরী ; অন্যথায় নয়।</div><div>☞ইমাম আহমদ রেজা, ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ, ১/৪৪৫ পৃঃ</div><div><br></div><div>৩. সমস্ত শরীরে পানি প্রবাহিত করাঃ</div><div>মাথার চুল থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত শরীরের প্রত্যেক শুকনো স্থানে পানি প্রবাহিত করা, অনেক সাধারণ মানুষ এমনকি কতেক শিক্ষিত লোকেরা পর্যন্ত মাথার উপর পানি ঢেলে শরীরের উপর হাত ফিরিয়ে নেয়। আর মনে করে, গোসল হয়ে গেছে।অথচ এমন অনেক অঙ্গ রয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত বিশেষভাবে তা ধৌত করা হবে না, গোসলই হবে না।</div><div>☞ইমাম আহমদ রেজা, ফতোয়ায়ে রযভিয়্যাহ, ১/৪৪৩ পৃঃ</div>

ফরজ গোসলের বিধি বিধান

গোসলের তিনটি অংশ, তার একটিও কম হলে গোসল হবে না।এরুপও বলা যায় যে, গোসলের ফরজ তিনটি। ১. কুলি করাঃ মুখের প্রত্যেক অংশের কোণা, ঠোঁট থেকে কন্ঠনাল...

আরও পড়ুন »

পজিটিভিটি ছড়াতে!

<div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-I14DHkNwnbU/YfAF1qRw_CI/AAAAAAAACLI/DxJqs2JlNSEJaEyGbeP8ft7YlluhvykxQCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1643120021248.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="417" data-original-width="720" height="185" src="https://lh3.googleusercontent.com/-I14DHkNwnbU/YfAF1qRw_CI/AAAAAAAACLI/DxJqs2JlNSEJaEyGbeP8ft7YlluhvykxQCNcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1643120021248.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>মানুষ সামাজিক জীব। একটি সমাজকে সাজাতে সবার থেকেই ইতিবাচক কাজ করতে হবে এবং নেতিবাচক কাজ পরিহার করতে হবে। আর সমাজ সাজানোর এই কার্যক্রমের সূচনা হতে হবে পরিবার থেকে। মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেন, </div><div><br></div><div>یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ اَهۡلِیۡکُمۡ نَارًا وَّقُوۡدُهَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ </div><div>হে ঈমানদারগণ! নিজেদেরকে ও নিজেদের পরিবারবর্গকে ওই আগুন থেকে রক্ষা করো যার ইন্ধন হচ্ছে মানুষ ও পাথর। (সুরা তাহরিম, ৬৬:৬)।</div><div><br></div><div>উক্ত আয়াতে রাব্বে কারিম আমাদের নিজেদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে বাঁচার তাগিদ দেওয়ার পাশাপাশি নির্দেশ দিয়েছেন নিজের পরিবারকেও বাঁচাতে। তাই একজন আদর্শ মুসলিম শুধু নিজের সংশোধনে থেমে থাকেনা, বরং পদক্ষেপ নেই পরিবার ও সমাজকে বাঁচাতেও। অপর ভাইকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে জান্নাতের পথ দেখাতে দাওয়াতের কাজ করে যায় আমৃত্যু। দাওয়াতের কণ্টকাকীর্ণ পথে তার সইতে হয় নানা লাঞ্চনা, অপমান ও কষ্ট। অবুঝ ভাইয়েরা সত্যের দাওয়াত পেয়ে সত্যকে গ্রহণের পরিবর্তে দা‘ঈর সাথে বাজে আচরণ করে। শয়তানের ধোকায় পড়ে নিজের নফসের তাড়নায় নানা অন্যায় অনাচারে ডুবে থাকা মানুষ খুব সহজে দ্বীন আঁকড়ে ধরতে পারেনা। অনেকসময় সে চাইলেও পরিবেশ তাকে বাঁধা দেয় সত্যকে আঁকড়ে ধরতে। আর তখন একজন দা‘ঈ-র কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। দিনের পর দিন সময় দিতে হয় আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে। যার প্রতিদান ঘোষণায় আল্লাহ বলেন,</div><div><br></div><div>مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً حَسَنَۃً یَّکُنۡ لَّهٗ نَصِیۡبٌ مِّنۡهَا ۚ وَ مَنۡ یَّشۡفَعۡ شَفَاعَۃً سَیِّئَۃً یَّکُنۡ لَّهٗ کِفۡلٌ مِّنۡهَا ؕ وَ کَانَ اللّٰهُ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ مُّقِیۡتًا </div><div>যে ব্যক্তি ভালো সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্যে অংশ রয়েছে এবং যে মন্দ সুপারিশ করে তার জন্য সেটার মধ্যে অংশ রয়েছে আর আল্লাহ প্রত্যেক কিছুর উপর শক্তিমান। (সুরা নিসা, ৪:৮৫)।</div><div><br></div><div>অর্থাৎ, আমরা যখন কাউকে ভালোর জন্য আহ্বান করি সেই ব্যক্তি যদি আমার দাওয়াত কবুল করে ভালো কাজে অংশ নেয় তবে সেই ব্যক্তি ভালো কাজ করে যে পরিমাণ সাওয়াব পাবে আমি দাওয়াত করার কারণে একই পরিমাণ সাওয়াব পাবো। কাউকেই কম দেওয়া হবে না। বিপরীতে, আমি যদি কাউকে মন্দ কাজের দিকে ডেকে নিয়ে যায় কিংবা সহযোগিতা করি, আমি সেই মন্দ কাজ সম্পাদনকারীর সমান গুণাহের ভাগীদার হবো। </div><div><br></div><div>রাসুলে পাক এরশাদ করেন,</div><div> ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ‏‏‏‏‏‏أَنّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:‏‏‏‏ مَنْ دَعَا إِلَى هُدًى كَانَ لَهُ مِنَ الْأَجْرِ مِثْلُ أُجُورِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا، ‏‏‏‏‏‏وَمَنْ دَعَا إِلَى ضَلَالَةٍ كَانَ عَلَيْهِ مِنَ الْإِثْمِ مِثْلُ آثَامِ مَنْ تَبِعَهُ لَا يَنْقُصُ ذَلِكَ مِنْ آثَامِهِمْ شَيْئًا .</div><div>আবু হুরাইরা (রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে, সে তার অনুসারীর সমান সাওয়াব পাবে, অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হবে না। অপরদিকে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে ডাকবে সে তার অনুসারীর সমান পাপে জর্জরিত হবে, তার অনুসারীর পাপ মোটেও কমানো হবে না। (সহিহ, সুনান আবু দাউদ, ৪৬০৯)।</div><div><br></div><div>ভালো কাজ করলেও সাওয়াব, ভালো কাজের আহ্বান করলেও সাওয়াব। মন্দ কাজ করলেও গুণাহ, মন্দ কাজের আহ্বান করাও গুণাহ। যারা নিয়মিত নামাজ আদায় করি, কোরআনের দরসে বসার সুযোগ যাদের হয়; তারা যদি আরো দুই-চারজন অন্তত সাথিকে নিয়ে যায়, তবে সাওয়াব কতইনা বেড়ে যাবে। আর যারা পাপাচারে লিপ্ত, বিভিন্ন দিবসে গাড়ি ভাড়া করে বন্ধুদের নিয়ে নাচের আসর জমাচ্ছি আমাদের গুণাহের পাল্লাটা কতইনা ভারী হচ্ছে। ভাবুন একবার!</div><div><br></div><div>সমাজে ইতিবাচক কর্ম ছড়িয়ে দিতে ও নেতিবাচকতা দূর করতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কী সুন্দর বিধান। রাসুলে আরবির কত সুন্দর শিক্ষা আমাদের জন্য। তাই আসুন, মানুষকে ভালো কাজের আহ্বান করি। নিজের সংশোধনের পাশাপাশি আশেপাশে থাকা প্রত্যেকের সংশোধনের জন্য দাওয়াতি কাজ অব্যাহত রাখি। ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় হয়ে যাওয়া পাপ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখি। আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা দ্বীন বিমুখ মানুষদেরকেও দ্বীনের দাওয়াত দিতে থাকি। আমাদের কাজ দাওয়াত দেওয়া, হিদায়ত প্রদান করবেন আল্লাহ। আসুন, সমাজকে ইতিবাচকতা দিয়ে সাজিয়ে তুলি, নেতিবাচকতা মুক্ত রাখি।</div><div><br></div><div>-আবু মুহাম্মদ মুশফিক ইলাহী</div>

পজিটিভিটি ছড়াতে!

মানুষ সামাজিক জীব। একটি সমাজকে সাজাতে সবার থেকেই ইতিবাচক কাজ করতে হবে এবং নেতিবাচক কাজ পরিহার করতে হবে। আর সমাজ সাজানোর এই কার্যক্রমের সূচনা...

আরও পড়ুন »

কথার আঘাত!

<div>জীবনে চলার পথে নানামুখী কষ্টের সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে। তন্মধ্যে একটি হলো মানুষের দেয়া 'কথার আঘাত'। যা আপনার হৃদয়কে সর্বদা অস্থির করে রাখে। কষ্ট আসবেই– এই মানসিকতা আগে থেকে তৈরী থাকলে, আপনি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে পারবেন। আর সহজে মোকাবিলাও করতে পারবেন।</div><div><br></div><div>আসুন এই সুযোগটাকে আমরাও কাজে লাগাই। যাতে আমরাও এর থেকে সুবিধা গ্রহণ করতে পারি আর আমার অন্তরও মুতমাইন হয়ে যায়। মানুষ নানাবিধ কথা-বার্তা দিয়ে আপনাকে কষ্ট দিবেই। হয়তো কেউ গীবত করে, হয়তো অপবাদ দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে হতাশ হয়ে নিজেকে ক্লান্ত করবেন না। বরং সুযোগটাকে কাজে লাগান। প্রথমত, তাদের করা গীবতের কারণে আপনি তাদের নেকীগুলো পেয়ে যাবেন, আর আপনার গুণাহের মাগফিরাত হতে থাকবে। এটা একটা সুযোগ। </div><div><br></div><div>দ্বিতীয়ত, আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন। মুসনাদে আহমদ এর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলে আরাবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন– 'ক্ষমা করো, তোমাদেরকেও ক্ষমা করা হবে।' তার মানে কেউ যখন আপনাকে নানানভাবে কষ্ট দেয় আর আপনি তখন নিজের মাগফিরাত করানোর একটা সুযোগ হাতে পেয়ে যান। এমনিতেই গুণাহের সাগরের কতো গভীরে আমরা ডুবে আছি। গুণাহ আমাদের ওপর জেঁকে বসেছে। তাই মাগফিরাতের কোনো সুযোগই হাতছাড়া করা উচিত নয়। কারণ গীবত, অপবাদ এসব আপনি চাইলেও ঠেকাতে পারবেন না। তাই অন্যভাবে ফায়দা নিতে শিখুন।</div><div><br></div><div>ক্ষমা করে দিলে আপনার অন্তরও প্রশান্ত হবে। আর এটা নিয়ে সারাক্ষণ চিন্তা করতে থাকলে, আপনি নিজেকেই নিজে কষ্ট দিতে থাকবেন। অন্য কাজে ব্যস্ত থাকুন। যাদের লক্ষ্য, চিন্তা-চেতনা বড়, তাদের এসব ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ভাবার সময় কই..?</div><div><br></div><div>এমন পরিস্থিতি নিজের সামনে আসলে, এভাবে দোয়া করতে পারেন– 'হে আল্লাহ! আমার ব্যাপারে তারা যা বলে তা যদি সত্য হয়, তবে তুমি আমাকে ক্ষমা করো এবং সংশোধন করে দাও। আর যদি এগুলো মিথ্যা হয়, তবে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং সংশোধন করে দাও।'</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা বলেন–</div><div>'এবং ভালো ও মন্দ সমান হবে না। হে শ্রোতা! মন্দকে ভালো দ্বারা প্রতিহত করো! তখন ওই ব্যক্তি যে তোমার মধ্যে আর তার মধ্যে শত্রুতা ছিল, এমন হয়ে যাবে যেমন অন্তরঙ্গ বন্ধু।' -সূরা হা-মীম-সাজদাহ : ৩৪</div>

কথার আঘাত!

জীবনে চলার পথে নানামুখী কষ্টের সম্মুখীন আপনাকে হতে হবে। তন্মধ্যে একটি হলো মানুষের দেয়া 'কথার আঘাত'। যা আপনার হৃদয়কে সর্বদা অস্থির কর...

আরও পড়ুন »

জানের উপর আসলে মালের উপর যাই

<div>এক ব্যক্তি মুসা আলাইহিস সালাম এর দরবারে এসে হাজির হয়ে বলল, হুজুর, আমাকে পশু পাখির ভাষা শিখিয়ে দিন।এই বিষয়ে আমার খুবই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।তিনি ফরমালেন তোমার এই আগ্রহ ভালো নয়,তুমি এটা বাদ দিয়ে দাও।সে বললো হুজুর! এতো তো আপনার কোন ক্ষতি নেই।আমার একটি বাসনা মাত্র।আপনি এটি পূর্ণ করে দিন। </div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-AMVc9tA2VN4/YdhTP5ItzcI/AAAAAAAAO4Q/r94ZoYnbHr09xZiHfiW7sOuOjSdKmSLYQCNcBGAsYHQ/s1600/20220107_171012.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-AMVc9tA2VN4/YdhTP5ItzcI/AAAAAAAAO4Q/r94ZoYnbHr09xZiHfiW7sOuOjSdKmSLYQCNcBGAsYHQ/s1600/20220107_171012.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>মূসা আলাইহিস সালাম আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন, মাওলা! এই লোকটি এই বিষয়ে বার বার বিরক্ত করছে।আমি কি করতে পারি নির্দেশ দিন! আল্লাহ তা'আলা নির্দেশ দিলেন, লোকটি যখন বিরত হচ্ছে না, ওকে পশু পাখির ভাষা শিখিয়ে দাও।অতএব মূসা আলাইহিস সালাম ওকে পশু পাখির ভাষা শিখিয়ে দিলেন।</div><div>লোকটির একটি মোরগ ও একটি কুকুর ছিল।একদিন খাবার খাওয়ার পর লোকটির চাকরানী যখন দস্তরখানা ঝেড়ে ফেললো, তখন সেখান থেকে এক টুকরো রুটি পড়ল।লোকটার কুকুর ও মোরগ উভয়ই দৌড়ে আসল সেই টুকরাটা খাবার জন্য।কিন্তু টুকরাটি মোরগই পেয়ে গেল।তখন কুকুর মোরগকে বলল, আরে জালিম! আমি ক্ষুধার্ত, এই টুকরাটি আমাকে দিয়ে দিতে পারতে। তোমার খাদ্য তো শস্য দানা, কিন্তু তুমি এই টুকরাটিও ছাড়লে না।মোরগ বলল নিরাশ হয়ো না।কাল আমাদের মালিকের ষাড়টি মারা যাবে। তখন তুমি ওইটার মাংস, যা খুশি তা খেয়ে নিও।লোকটি এই কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ষাড়টি বিক্রি করে দিল।পরদিন ঠিকই ষাড়টি মারা গেল।কিন্তু ক্ষতি হল ক্রেতার এবং লোকটি বেঁচে গেল।দ্বিতীয় দিন কুকুর মোরগকে বললো, তুমি বড় মিথ্যুক, আমাকে অনর্থক আশা দিয়ে রেখেছ।কই তোমার সেই ষাড়,যার মাংস খাওয়ার কথা বলেছিলে? মোরগ বললো, আমি মিথ্যুক নই, আমাদের মনিব ক্ষতি থেকে বাঁচার জন্য ষাড়টি বিক্রি করে ফেলেছে এবং নিজের মসিবত অন্যের কাঁধের উপর চড়ায়ে দিয়েছে। তবে শুন, কাল আমাদের মুনিবের ঘোড়া মারা যাবে। তখন তুমি তৃপ্তি সহকারে এর মাংস খাইও।লোকটি একথা শুনে ঘোড়াটিও বিক্রি করে দিল। দ্বিতীয় দিন কুকুর অভিযোগ করলে মোরগ বললো, ভাই কি বলবো, আমাদের মুনিব বড় বেঅকুপ। নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে এনেছে।সে ঘোড়াটিও বিক্রি করে দিয়েছে এবং সেটা ক্রেতার ঘরে মারা গেছে। যদি ষাড় ও ঘোড়াটি নিজের ঘরে মারা যেত,তাহলে আমাদের মুনিবের জানের কাফফারা হতো।কিন্তু এগুলো বিক্রি করে নিজের জানের উপর বড় বিপদ ডেকে আনল।শুন, নিশ্চিত জেনে নাও কাল আমাদের মুনিব নিজেই মারা যাবে। ওর কুলকানী উপলক্ষে যে খানাপিনার আয়োজন হবে ওখান থেকে তোমার ভাগ্যেও অনেক কিছু জুটবে।</div><div>একথা শুনে লোকটির আক্কেল গুরুম।এখন কি করবে কিছুই বুঝে আসতেছে না। দৌড়ে হযরত মুসা আলাইহিস সালাম এর কাছে গেল এবং বললো, হুজুর! আমার ভুল ক্ষমা করুন। মৃত্যু থেকে আমাকে বাচান। মুসা আলাইহিস সালাম বললেন, বেঅকুপ।এটা এখন অসম্ভব। যা অবধারিত হয়ে গেছে, তা এখন আর হটানো যাবে না। আজ যে বিষয়টি তুমি জানতে পেরেছ,সেটা আমি ঐদিনই অবলোকন করেছি, যেদিন পশুপাখির ভাষা শিক্ষার জন্য বিরক্ত করেছিলে। এখন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাক। ঠিকই পরদিন লোকটি মারা গেল।</div><div>☞মুসলিম শরীফ</div><div><br></div><div>শিক্ষনীয় বিষয়ঃ কারো ধন সম্পদের বেলায় যদি কোন বিপদ আসে এবং কোন প্রকার ক্ষতি হয়, তাহলে দুঃখ বা হা-হুতাস করা অনুচিত।বরং নিজের জানের সদকা মনে করে আল্লাহর শোকর আদায় করা উচিৎ। এটা মনে করা উচিৎ যে, যা হয়েছে ভালোই হয়েছে। যদি মালের উপর বিপদ না আসতো, তাহলে হয়তো জানের উপর আঘাত আসতো।</div>

জানের উপর আসলে মালের উপর যাই

এক ব্যক্তি মুসা আলাইহিস সালাম এর দরবারে এসে হাজির হয়ে বলল, হুজুর, আমাকে পশু পাখির ভাষা শিখিয়ে দিন।এই বিষয়ে আমার খুবই আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।তিনি...

আরও পড়ুন »

কেন আমার সাথেই এমন হচ্ছে?

<div><br></div><div>চারদিক যখন হতাশার চাদরে ছেঁয়ে গেছে। চারদিকে নজরে আসছে শুধুই বিপর্যয়, শুধুই নিজের অবনতি। কেন রিযিকে বরকত নেই? কেন কোনো কাজেরই, কিনারা করতে পারছি না? জীবনটা শুধুই এলোমেলো মনে হয়। সারাক্ষণ মন অস্থির। কেন জানি মুড অফ। সবাই আমার সামনে উৎফুল্ল মেজাজ নিয়ে চলাফেরা করলেও আমি কেন পারছি না তাদের সাথে চলতে? সবকিছু মিলিয়ে কি যে হচ্ছে সেটাই তো এখনো বুঝে ওঠতে পারলাম না। এ কোন আযাব ওপর অবতীর্ণ হলো?</div><div><br></div><div>আপনার অন্তর যখনই এমন অবস্থার মধ্য দিয়ে অতিক্রম করবে– তখনই নিজের পূর্ববর্তী সব আমল নিয়ে ভাবতে বসা উচিত। ভাবা উচিত নিজের জীবন পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে। কোথাও আবার এগুলো নিজেরই কামাই করা ফসল নয় তো? জ্বী হ্যা। আমাদের ওপর এসব আজাব হয়তো আমাদেরই কামাইয়ের ফসল।</div><div><br></div><div>আল্লাহ তায়ালা বলেন– 'এটা হচ্ছে বদলা সেটারই, যা তোমাদের হাতগুলো আগে প্রেরণ করেছে এবং আল্লাহ বান্দাদের ওপর জুলুম করেন না' -সূরা আনফাল, আয়াত ৫১, কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ। </div><div><br></div><div>আসুন রাতে শোয়ার পূর্বে একটা বার নিজের সারাদিনের অর্জন করা আমল গুলোর একটু পর্যালোচনা করি। নেক কাজগুলো আঁকড়ে ধরি যদি আসলেই আমরা সুখের তালাশি হই। অন্তত নামাজটাকে। অন্যথায় গুণাহ তো আমাদেরকে ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যাবে।</div>

কেন আমার সাথেই এমন হচ্ছে?

চারদিক যখন হতাশার চাদরে ছেঁয়ে গেছে। চারদিকে নজরে আসছে শুধুই বিপর্যয়, শুধুই নিজের অবনতি। কেন রিযিকে বরকত নেই? কেন কোনো কাজেরই, কিনারা করতে পা...

আরও পড়ুন »

আল্লাহকে ষড়যন্ত্রকারী বলা

<div>সূরা আলে ইমরান শরিফে,আল্লাহ বলেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ</b></blockquote><div style="text-align: center;"><br /></div><div>এই আয়াতের সর্বশ্রেষ্ঠ তরজুমা করেছেন হিজরী চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আলা হযরত মুফতি আহমদ রিযা আলি খান মুহাদ্দিসে বেরেলভি قدس الله سره এভাবে—</div><div><b><i>❝এবং কাফিররা ষড়যন্ত্র(মাক্কার) করেছে এবং আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করার গোপন সমাধান (খুফিয়া তাদবির) বলে দিয়েছেন।এবং আল্লাহই সর্বাপেক্ষা উত্তম গোপন সমাধান প্রদানকারী!❞</i></b></div><div><br /></div><blockquote>সদরুল আফাজিল আল্লামা সৈয়্যদ নঈমউদ্দিন গনযে মুরাদাবাদি قدس سره 'হাশিয়ায়ে কানযুল ঈমান' এ লিখেন,<b>❝'মাকার' শব্দটা আরবী অভিধানে গোপনীয়তার অর্থে ব্যবহৃত হয়।এ জন্য গোপন তদবীরকে/বা সমাধানকেও 'মাকার' বলা হয়।আর সেই তদবীর যদি সদুদ্দেশ্যে হয়ে থাকে তবে তা প্রশংসনীয় এবং কোন মন্দ উদ্দেশ্যে হলে নিন্দনীয় হয়।<span style="color: #38761d;"><u>কিন্তু উর্দু ভাষায় এ শব্দটা فريب বা, 'ধোঁকা' অর্থে ব্যবহৃত হয়।<i>এ কারণে কোনো অবস্থাতেই এটা আল্লাহর শানে বলা যাবে না। </i>এবং এখন যেহেতু আরবী ভাষায়ও এটা خدع বা প্রতারণা অর্থে প্রসিদ্ধ হয়ে গেছে সেহেতু আরবীতেও আল্লাহর শানে এটার ব্যবহার জায়েয নেই।আয়াতে যেখানেই (আল্লাহর ব্যাপারে) এটার ব্যবহার এসেছে সেখানেই সেটার অর্থ হবে ‘গোপন কৌশল অবলম্বন করা'।</u></span>❞</b></blockquote><div><br /></div><div>এখানে এসে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছেন অনেক তরজমাকারি।যেমন</div><div><br /></div><div><b>☞'তফসিরে উসমানি' তে দেওবন্দিদের শায়খুল হিন্দ মুফতি মাহমুদুল হাসান দেওবন্দি সাহেব লিখেন—❝আর ষড়যন্ত্র করেছে (মাক্কার) এই কাফিরেরা,আর ষড়যন্ত্র করেছেন(মাক্কার) আল্লাহ!❞</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-CiwulRUpxMU/YdMyN01P29I/AAAAAAAADnI/DWuQXJcUiiE7WXq0pvIem-_o2rjmYxqDACNcBGAsYHQ/s1600/Screenshot_2022-01-03-13-54-04-44.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1392" data-original-width="978" height="494" src="https://lh3.googleusercontent.com/-CiwulRUpxMU/YdMyN01P29I/AAAAAAAADnI/DWuQXJcUiiE7WXq0pvIem-_o2rjmYxqDACNcBGAsYHQ/s1600/Screenshot_2022-01-03-13-54-04-44.jpg" title="" width="347" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-SPRc-goNrcY/YdMyPJ9D5WI/AAAAAAAADnQ/NDiFQDfNDaQFJIWYTfwpeBhanMsCGk0GwCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_135835.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2248" data-original-width="720" height="718" src="https://lh3.googleusercontent.com/-SPRc-goNrcY/YdMyPJ9D5WI/AAAAAAAADnQ/NDiFQDfNDaQFJIWYTfwpeBhanMsCGk0GwCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_135835.jpg" title="" width="230" /></a></div><br /></b></div><div><br /></div><div><br /></div><div><b>☞মৌলভি আশরাফ আলি থানভি সাহেব আবার কাফেরদেরকে সম্মানের শব্দ দিয়ে তরজুমা করেছেন।উনি লিখেন—</b></div><div><b>❝আর এই লোকগুলো গোপন কৌশল(খুফিয়া তদবির) করেছে,আল্লাহও গোপন কৌশল(খুফিয়া তদবির) করেছে।❞</b></div><div><b><br /></b></div><div><b><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-Erc1vspVzX8/YdMyQ8I0vNI/AAAAAAAADnY/29DuPqEEGh8PvvOg0mQhch2daKYlZXhsQCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_123128.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="1416" data-original-width="1056" height="618" src="https://lh3.googleusercontent.com/-Erc1vspVzX8/YdMyQ8I0vNI/AAAAAAAADnY/29DuPqEEGh8PvvOg0mQhch2daKYlZXhsQCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_123128.jpg" title="" width="461" /></a></div><br /><div style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-cuTMcpvS0PQ/YdMyS2wMkeI/AAAAAAAADng/Zvp-ozQGeYExtOrJES0XlzPIAfkuVcJEwCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_123028.jpg" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img alt="" border="0" data-original-height="2230" data-original-width="1012" height="667" src="https://lh3.googleusercontent.com/-cuTMcpvS0PQ/YdMyS2wMkeI/AAAAAAAADng/Zvp-ozQGeYExtOrJES0XlzPIAfkuVcJEwCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20220103_123028.jpg" title="" width="303" /></a></div><br /></b></div><div><br /></div><div><b>➤এখন কথা হলো আল্লাহ ﷻ কাউকে 'ঠকান' বা 'ঠকাতে পারেন কি না' — এসম্পর্কে আহলুস সুন্নাহ কি বলে?</b></div><div><br /></div><div>তরজমা যে যেমনই করুক না কেনো,সবাই এব্যাপারে একমত যে আল্লাহর ক্ষেত্রে 'মাক্কার' বা 'ষড়যন্ত্রকারি' শব্দগুলো প্রযোজ্য নয়।ঠকানো মানে বলতে বুঝায় 'প্রতারণা', 'যেমন কথা ছিল তদানুযায়ি কাজ না হওয়া','ওয়াদা খেলাফ করা'!যা মোটেও আল্লাহর শানে প্রযোজ্য নয়।</div><div><br /></div><div>এক্ষেত্রে অকাট্য নস হল,একই সূরার ৯নং আয়াত</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>اِنَّ اللّٰہَ لَا یُخۡلِفُ الۡمِیۡعَادَ</b><b><br /></b><b>—❝নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদা খেলাফ করেন না!❞</b></blockquote><div><br /></div><div>আবার আল্লাহ আরো বলেন,সূরা হাজ্জ আয়াত ৪৭</div><blockquote><div style="text-align: center;"><b><br /></b></div><b><div style="text-align: center;"><b style="font-size: 1.25em;">وَ لَنۡ یُّخۡلِفَ اللّٰهُ وَعۡدَهٗ ؕ</b></div><div style="text-align: center;"><b style="font-size: 1.25em;">—❝অথচ আল্লাহ কখনো তার ওয়াদা খেলাফ করেন না।❞</b></div></b></blockquote><div style="text-align: center;"><br /></div><div>কেউ যদি কাউকে ঠকায় সে গুনাহ করলো!গুনাহকারি তার কর্মফল ভোগ করবে কিয়ামতের মাঠে,সে যত আমলই করুক না কেন,বান্দার হক্ব নষ্ট করার প্রতারণার গুনাহ আল্লাহ তো ক্ষমা করবেন না।</div><div><br /></div><div>মহাবিখ্যাত তফসিরে কবিরে (৮ম খন্ড ৭৩পৃ.,দারুল ফিকর,বৈরুত) ইমামুল মুফাসসিরীন ফখরুল মিল্লাতে ওয়াদ্দীন মুজাদ্দিদ ফখরুদ্দিন রাযি কুদ্দিসাস সিররুহ বলেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>المكر عبارة عن الإحتيال في إيصال الشر، والاحتيال على الله تعالى محال فصار لفظ المكر في حقه من المتشابهات </b></blockquote><div style="text-align: center;"><br /></div><div><b>—এই আয়াতাংশে 'মাকার' বা ষড়যন্ত্র দ্বারা প্রতারণা বুঝায়,যা মূলত একটা খারাপ গুণেরই প্রকাশক।আর আল্লাহর ﷻ বেলায় <span style="color: #cc0000;"><u>'প্রতারণা' হল 'মুহাল' বা Absolutely Impossible,</u></span>এবং এই আয়াতাংশে 'মাকার' শব্দ মূলতঃ মুতাশাবিহাত নির্দেশক!</b></div><div><br /></div><div>তফসিরে কবিরে আরো আছে (৩/১৫৩,প্রাগুক্ত),</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b> (فلن يخلف الله عهده)<br /></b><b> يدل على أنه سبحانه وتعالى منزه عن الكذب وعده ووعيده.قال أصحابنا: لأن الكذب صفة نقص والنقص على الله محال<br /></b><b> </b></blockquote><div> —❝'আল্লাহ ওয়াদা খিলাফ করেন না'— এ আয়াতটা এই বক্তব্যের পক্ষে দলিল যে,আল্লাহ ﷻ স্বীয় ওয়াদাসমূহ এবং শাস্তির প্রতিশ্রুতিসমূহে মিথ্যা হতে পবিত্র।কেননা,'মিথ্যা' হল একটা 'নক্বস' বা ত্রুটি।আর আল্লাহর 'যাত' ও 'সিফাত' এ 'ত্রুটি' থাকাটা 'মুহাল' বা Absolutely Impossible</div><div><br /></div><div>আমাদের আক্বিদার ইমাম শায়খুল ইসলাম আবুল মনসুর আল-মাতুরিদি বলেন,</div><div><br /></div><blockquote style="text-align: center;"><b>حرفُ المكر مذموم عند الخلق فلا يجوز ان يسمىّ الله به الا في موضعِ الجزاء على ما ذكره</b></blockquote><div><br /></div><div>—'মাকার' বা ষড়যন্ত্রকারি শব্দটা সৃষ্টির মধ্যে পাওয়া যায় এমন নিন্দনীয় কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত!একে আল্লাহর সাথে সম্পর্কযুক্ত করা নাজায়েয,কেবল ঐসব ক্ষেত্রেই একে উল্লেখ করতে হবে যেখানে উনি উল্লেখ করেছেন (যেমন এ আয়াতের তিলাওয়াতকালে)!</div><div>[সূরা আলে ইমরানের তফসির]</div><div><br /></div><div>ধোঁকাবাজ/প্রতারক সম্পর্কে অনেক কড়া কথা বলা হয়েছে।যেমন একটা মশহুর হাদিস হল</div><div><br /></div><div>مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا</div><div><br /></div><div>— যে ধোঁকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়।</div><div>(মুসলিম শরিফ,কিতাবুল ঈমান)</div><div><br /></div><div>সেখানে,'আপনি যদি ধোকা দেন,আল্লাহও আপনাকে ধোকা দিবে'— টাইপের স্টেটমেন্ট দ্বারা আল্লাহর জন্য ধোঁকা কে 'মুমকিন'/'সম্ভব' হবার Concept দাঁড় করানো যায় যা সম্পূর্ণ ভাবে অসম্ভব এবং কোরআন বিরোধী।</div><div><br /></div>

আল্লাহকে ষড়যন্ত্রকারী বলা

সূরা আলে ইমরান শরিফে,আল্লাহ বলেন, وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ এই আয়াতের সর্বশ্রেষ্ঠ তরজুমা করেছেন হিজরী চতু...

আরও পড়ুন »

অভাব দুর করার জন্য রাসুল কারীম ﷺ হাদিস

<div> عن سهل بن سعد الساعدي قال: شكا رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الفقر وضيق المعيشة، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا دخلت البيت فسلم إن كان فيه أحد، وإن لم يكن فيه أحد فسلم علي، واقرأ قل هو الله أحد مرة واحدة، ففعل الرجل فأدر الله عليه الرزق، حتى أفاض على جيرانه ـ وقد وجدت الحديث بألفاظ متعددة، ففيها ذكر السلام على الرسول صلى الله عليه وسلم، وآخر سلم على نفسك فقط، فهلا تكرمتم بذكر الأحاديث بكافة ألفاظها مع درجاتها من حيث الصحة والضعف، وجزاكم الله خيرا.</div><div>الجامع لأحكام القرآن للقرطبي: 22 ـ566</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-2yHX40pqHl8/Yc_q7Pba9YI/AAAAAAAAO3M/w9OkuH4RJ9c4-3z3MTFXDV4BQYgLZo46gCNcBGAsYHQ/s1600/20220101_113632.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1280" data-original-width="1280" height="320" src="https://lh3.googleusercontent.com/-2yHX40pqHl8/Yc_q7Pba9YI/AAAAAAAAO3M/w9OkuH4RJ9c4-3z3MTFXDV4BQYgLZo46gCNcBGAsYHQ/s1600/20220101_113632.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>হযরত সাহাল বিন সা'দ(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন একজন লোক(সাহাবা) দরবারে রেসালতে এসে মুহাম্মদ ﷺ এর কাছে তার অভাব- অভিযোগ করেন। তখন রাসুল ﷺ তাকে বললেন - যখন তুমি তোমার ঘরে প্রবেশ করবে তখন আস সালামু আলাইকুম  বলে প্রবেশ কর।ঘরে কেউ থাকুক বা না-ই  থাকুক। আমি রসুলের উপর সালাম পেশ করবে  এরপর قل هو الله أحد  পড়বে একবার।এইরকম যে ব্যক্তি পালন করবে, তার উপর আল্লাহ রিজিকের দরজা খুলে দেবেন। আল্লাহ শুধু তার রিজিক প্রশস্ত করবেন না এবং তার সাথে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের রিজিকও খুলে দিবেন।</div><div>☞ইমাম কুরতুবীঃ  তাফসীরে কুরতুবী, ২২/৫৬৬ পৃঃ।</div><div>☞ইমাম সাখাবীঃ আল কওলুল বদী, পৃঃ ১২৪।</div><div><br></div><div><br></div><div><br></div>

অভাব দুর করার জন্য রাসুল কারীম ﷺ হাদিস

 عن سهل بن سعد الساعدي قال: شكا رجل إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم الفقر وضيق المعيشة، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا دخلت البي...

আরও পড়ুন »