নবীর সাথে নিসবত সবটাই হুরমত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">নবীর সাথে নিসবত সবটাই হুরমত</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">শায়েখ ড. সাইফুল আজম আযহারীর লেকচার শুনছিলাম৷ অল্প কথায় অধিক মর্মপূর্ণ দলিলনির্ভর খুবই চমৎকার একজন লেকচারার৷ উনার একটি আলোচনায় 'মোজেজা' সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেছিলেন৷ সেই আলোচনার সামান্য খন্ডচিত্রের আলোকে আমার আজকের শিরোনাম- "নবীর সাথে নিসবত সবটাই হুরমত৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">যুগে যুগে মানুষদেরকে সঠিক পথ নির্দেশিকার জন্য মহান আল্লাহ তাআলা কর্তৃক প্রেরিত অসংখ্য নবী-রাসূলগণ এই পৃথিবীতে আগমন করেছেন৷ তাঁদের মধ্য থেকে কাউকে দিয়েছেন আসমানি গ্রন্থ, কাউকে দিয়েছেন সহীফা (খন্ড অনুলিপি) আবার কাউকে দিয়েছেন শুধুমাত্র ওহী (ঐশী নির্দেশ)৷ কাউকে পাঠিয়েছেন নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলের কওমদের (জাতি) জন্য আবার কাউকে পাঠিয়েছেন পুরো বিশ্বজাতির কল্যাণের জন্য৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">এই পৃথিবীতে বিচিত্র জায়গার, বিচিত্র রকমের, বিচিত্র প্রকৃতির মানুষজন রয়েছে৷ কারো সাথে কারো মিল নেই৷ জাত, শ্রেণি, ভাষা, ধর্ম, সভ্যতা, সংস্কৃতি সবকিছুতেই রয়েছে ভিন্নতা৷ ভৌগলিক, সামাজিক, পারিবারিক, পারিপার্শ্বিক এ পার্থক্যগুলোও বিদ্যমান৷ এতদ্বসত্ত্বেও আমাদের একটা কমন পরিচয় রয়েছে যে, 'আমরা মানুষ'৷ এবার আসি নবী-রাসূলগণ কিভাবে মানুষদের উপর প্রভাব বিস্তার করেছিলেন! কিভাবে একজন মানুষ হয়ে অন্য মানুষকে সহজেই আয়ত্তে নিয়ে আসতে পেরেছিলেন, কিভাবে নিজেকে আলাদা করেছিলেন অন্য মানুষ থেকে, কিভাবে বলেছিলেন যে- "আমি স্রষ্টা কর্তৃক আদিষ্ট একজন নবী/রাসূল (সংবাদবাহক), অতএব তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আনো এবং আমাকে সত্য নবী হিসেবে স্বীকার করো৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">এই কথাটা শুনার পরই লোকজন বলতো, সে আবার কেমন নবী? সেতো আমাদের মত আহার করে, আমাদের মত বাজারে যায়, আমাদের মত ঘুমায়, সে আবার স্রষ্টা প্রদত্ত নবী হয় কিভাবে?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">এর জবাবে মহান জাল্লে জালালুহু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী/রাসূলদের কিছু 'এক্সট্রা পাওয়ার' দিয়ে দিলেন যার নাম 'মোজেজা' বা অলৌকিক ক্ষমতা৷ যার মাধ্যমে তিনি অন্য সবার থেকে আলাদা হতে পারেন, মানুষের উপর প্রভাব বিস্তার করে তাদের ঈমানকে মজবুত করতে পারেন৷ </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">প্রত্যেক নবী-রাসূলদেরকে আল্লাহ তাআলা সময় এবং স্থান (Time & place) অনুসারে মোজেজা বা অলৌকিক ক্ষমতা দিয়েছেন, যেটা দ্বারা মানুষকে এমন কিছু দেখানো হয় যা তার আকলের (sense) বিপরীত, যার প্রভাবে সে কনভিন্সড হয়ে যায়৷ আর জাদুবিদ্যা (Magic) ও মুজেজার (Miraculous) মধ্যে এটাই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ পার্থক্য৷ জাদু হচ্ছে শয়তান প্রদত্ত দৃষ্টিভ্রম, ছলনা, প্রতারণা মাত্র৷ আর মুজেজা হচ্ছে স্রষ্টা প্রদত্ত বাস্তব অলৌকিক শক্তি৷ জাদুবিদ্যা ও মুজেজার মধ্যে নিখুঁত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছিল নবী হযরত মূসা (আ.) এর লাঠি মোবারক এবং পাপীষ্ঠ ফেরাউনের সেরা যাদুকরদের সাপের ঘটনার মধ্য দিয়ে৷ যেদিন সকল জাদুকররা মূসা (আ.) এর কাছে পরাজিত হয়ে মাথানত করে ঈমান গ্রহণ করেছিল৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">যাইহোক স্রষ্টা প্রদত্ত এই বিশেষ ক্ষমতা সবার জন্য নির্ধারিত নয়, শুধুমাত্র তিনি যাকে নির্বাচিত করেন, তিনি যাকে চান তাকেই প্রদান করেন৷ সেক্ষেত্রে নবী-রাসূলগণ হলেন সেরা৷ তাই নবী-রাসূলগণ আমাদের মত কোনো সাধারন মানুষ নন, তাঁরা হচ্ছেন মহামানব৷  তাঁদের সাথে কোনোকিছুর নিসবত (সম্পৃক্ত) থাকা মানে আল্লাহর সাথে কোনোকিছুর নিসবত থাকা৷  অর্থাৎ তাঁদেরকে ভালোবাসা মানে আল্লাহকে ভালোবাসা আর তাঁদেরকে কিংবা তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত কোনোকিছুকে অবজ্ঞা করা মানে আল্লাহকে অবজ্ঞা করা৷ তাঁদের আনুগত্য করা মানে আল্লাহর আনুগত্য করা, তাঁদের বিরোধীতা করা মানে স্বয়ং আল্লাহর বিরোধীতা করা৷ আর প্রেম, ভালোবাসা, মুহাব্বত ব্যতীত কখনো আনুগত্য আসা সম্ভব নয়৷ তাই নবী-রাসূলগণের সন্মান, শান-মান, ইজ্জত স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বৃদ্ধি করে দিয়েছেন৷ তিনি তাঁদেরকে বিশেষ গুণে বিশেষায়িত করে পাঠিয়েছেন যাতে করে সৃষ্টিকুল আনুগত্য পোষণ করে৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব ও নবী হযরত আদম (আ.) কে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তাআলা সকল ফেরেশতাদেরকে সিজদা করার নির্দেশ দিলেন৷ একমাত্র ইবলিশ ব্যতীত সকল ফেরেশতাই সিজদা করলো৷ জিজ্ঞেস করা হলে ইবলিশ যদি বলতো যে, "আল্লাহ ভুল করে ফেলেছি, মাফ করে দাও" তাহলে হয়তো ক্ষমা পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকতো৷ কিন্তু ইবলিশ ক্ষমা চাওয়া কিংবা অনুতপ্ত হওয়া তো দূরের কথা বরং সে বলল, আমি কিভাবে আগুনের তৈরি হয়ে মাটির তৈরি আদমকে সিজদা করবো?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইবলিশের এই খোঁড়া যুক্তিকে কোনোভাবেই এক্সেপ্ট করলেন না৷ প্রথম কারন হল, প্রভুর নির্দেশ উপেক্ষা করা, যেটাতে কোনোপ্রকার যুক্তিতর্ক (Arguments) চলে না৷ দ্বিতীয় কারন হল, মাটি যেহেতু আদম নবীর সাথে সম্পৃক্ত তাই মাটিকে অবজ্ঞা করা মানে নবীকে অবজ্ঞা করা, আর নবীকে অবজ্ঞা করা মানে স্বয়ং আল্লাহকে অবজ্ঞা করা৷ শুধুমাত্র একজন নবীকে অবজ্ঞা করা বা নবীর সাথে নিসবত কোনো উপাদানকে অবজ্ঞা করার ফলস্বরূপ ইবলিশের সাড়ে ছয় লক্ষ বছরের ইবাদত নিমিষেই ধূলিস্যাৎ হয়ে গেল, সব পুণ্য জলাঞ্জলি করে দিল৷ মাত্র একটি অপরাধের ফলাফলে সে 'মুয়াল্লিমুল মালাইকা' (The leader of the angels) নাম মুছে দিয়ে 'চিরঅভিশপ্ত শয়তানে' (Endless cursed/The Repulsion evil) নামকরণ করা হল৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">এমনিভাবে আল্লাহর এক নবী হযরত সালেহ (আ.) এর ঘটনার দিকে যদি যাই, পাথরের ভিতর থেকে কিভাবে একটি জ্যান্ত উটনী/উষ্টী বের করে আনলেন! পবিত্র কুরআনে যার নামকরণ করলেন 'নাকাতুল্লাহ' (আল্লাহর উটনী)৷ কিন্তু এই উটনীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করার কারনে আল্লাহ তাআলা হযরত সালেহ (আ.) এর পুরো কওমকে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন৷ শুধুমাত্র একটা উটনীর কারনে গোটা কওম ধ্বংস! কেন?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">জবাব একটাই তা হল, এই উটনী ছিল নবীর মুজিজা, নবীর সাথে সম্পৃক্ত, যার নামকরণ স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন করেছেন৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">আবার বিপরীত দিক লক্ষ্য করা যায় সর্বশ্রেষ্ঠ ও শেষনবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (দ.) এর ঘটনাপ্রবাহের মাধ্যমে৷ একদা উম্মে আয়মান (রা.) আল্লাহর রাসূল (দ.) এর পেশাব মোবারক পান করে ফেলেছিলেন, এটা জানতে পেরে রাসূল (দ.) বললেন, তোমার আর পেটের পীড়া হবেনা এবং তুমি কখনো তৃষার্ত হবেনা৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">এরকম অসংখ্য ঘটনাপ্রবাহ দ্বারা এটা সাব্যস্থ হয়েছে যে, নবীদের সাথে নিসবত যে কোনোকিছুকে সন্মান করলে সে সন্মানিত হয় আর যে কোনোকিছুকে অসম্মান করলে সে অপদস্থ হয়, ধ্বংস হয়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে সমগ্র সৃষ্টি জগতের নবী হুজুরে আকরাম (দ.) হলেন সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাত্র, আমরা তাঁরই উম্মত (জাতি)৷ তাই আল্লাহর রাসূল (দ.) এর সাথে সম্পৃক্ত উনার পোশাক-পরিচ্ছদ থেকে শুরু করে উনার ঘর, স্ত্রী, আত্নীয়-স্বজন, সাহাবায়ে কেরাম, আহলে বাইত সকলেই নবীর সাথে নিসবত৷ তাঁদেরকে সন্মান করা মানে আল্লাহর রাসূল (দ.) কে সন্মান করা আর তাঁদের বিরোধীতা করা মানে আল্লাহর রাসূলের বিরোধীতা করা, আর রাসূলের বিরোধীতা করা মানে স্বয়ং আল্লাহর বিরোধীতা করা৷ তাই নবীদের সাথে নিসবত যেকোনো কিছুই হুরমত (সন্মানিত)৷ অর্থাৎ একজন নবীর শুভাগমন (মিলাদ/জন্ম) থেকে শুরু করে ইনতেকাল (ইহকাল ত্যাগ) করা পর্যন্ত যা যা নিসবত বা সম্পৃক্ততা রয়েছে সবগুলোই হুরমত, পবিত্র, সন্মানিত৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">উদাহরণস্বরূপ- পবিত্র কুরআন শরীফ যেমনিভাবে সন্মানিত তেমনিভাবে তার কভার, কাপড়, রেহালটাও কিন্তু সন্মানিত৷ কারন এগুলো পবিত্র কুরআনের সাথে নিসবত বা সম্পৃক্ত৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">তেমনিভাবে যারা আল্লাহর অতিপ্রিয় বান্দা যেমন ওলী-আউলিয়াগণ, আলেম-তাপসগণ৷ উনারা যেহেতু আল্লাহর রাসূলের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ওয়ারীস (উত্তরসূরি) প্রাপ্ত তাই তাঁদেরকে যেমন সন্মান করতে হবে তেমনি তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত সকল বিষয়কেও সন্মান ও মর্যাদা দিতে হবে, আর নচেৎ আমরা নিজেরাই কঠিন অপদস্থের স্বীকার কিংবা সরল পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যাবো৷ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুক৷ আমিন...</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">   "রাসূল প্রেমে অন্ধ আমি, খুঁজি তাঁহার চরণধূলি</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">     তাঁরি সুবাস শুঁকে নিয়ে প্রেমপুষ্প আনি তুলি৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">       আহলে বাইতে রাসূল যাঁহারা মম শিরতাজ,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">          পূত-পবিত্র অতি, নন দলিল মুহতাজ৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

নবীর সাথে নিসবত সবটাই হুরমত

নবীর সাথে নিসবত সবটাই হুরমত ✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন শায়েখ ড. সাইফুল আজম আযহারীর লেকচার শুনছিলাম৷ অল্প কথায় অধিক মর্মপূর্ণ দলিল...

Read more »

ও মদিনাওয়ালা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBasRMBtvt2dYacWIAEEVPIptavKXQ22bimLraU5jbY6Hwgf6iUIleRy8-GIuANa-IrlDuEhGg4JZv6nvMrnpiAKHEEdAxHf0bKqgQaHeKDc-uHkFfPfnqbfH7jPUuIM_T6oJTQs9NVPQ/s1600/FB_IMG_1589581147978.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="720" data-original-width="445" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjBasRMBtvt2dYacWIAEEVPIptavKXQ22bimLraU5jbY6Hwgf6iUIleRy8-GIuANa-IrlDuEhGg4JZv6nvMrnpiAKHEEdAxHf0bKqgQaHeKDc-uHkFfPfnqbfH7jPUuIM_T6oJTQs9NVPQ/s400-rw/FB_IMG_1589581147978.jpg" width="246" /></a></div> <br /> <br /> <br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">মদিনাওয়ালা</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">🎙কথা ও সুরঃ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">ও মদিনাওয়ালা তুমি কামলিওয়ালা (৪)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">যখন এসেছিলে ভবে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">মুক্তির প্রাণ পেল সবে (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">আসমানি বাণী দিয়ে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">আসমানি বাণী দিয়ে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সাজালে ভুবন (ঐ)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সত্যের বাণী নিয়ে হাতে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">ছড়িয়ে দিলে ধরাতে (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">পথভুলা সব যালিমের</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">পথভুলা সব যালিমের</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">করিলে আসান (ঐ)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সমাজ বিনির্মাণে তুমি</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">করেছো আবাদ মরুভূমি (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">খুন ঝরালে তায়েফে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">খুন ঝরালে তায়েফে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">উম্মতের লাগি (ঐ)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সবার সুখে তুমি সুখী</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সবার দুঃখেও তুমি দুঃখী (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">অনাহারীর আহারে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">অনাহারীর আহারে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">বিলিয়েছো সবি (ঐ)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">ইশক নিদর্শনে তুমি</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">মাশুক পদতলে চুমি (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">হৃদ মাঝারে বাঁধিবো</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">হৃদ মাঝারে বাঁধিবো</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">সব থেকে দামি (ঐ)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">রওজায়ে আত্বহারে তুমি</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">বিষাদ মননে পড়ে আমি (২)</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">দাও সাড়া দাও হে প্রণয়ী</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">দাও সাড়া দাও হে প্রণয়ী</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Trebuchet MS, sans-serif; font-size: large;">দীদার আলোক জ্বেলে (ঐ)</span></div>

ও মদিনাওয়ালা

মদিনাওয়ালা 🎙কথা ও সুরঃ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন ও মদিনাওয়ালা তুমি কামলিওয়ালা (৪) যখন এসেছিলে ভবে মুক্তির প্রাণ পেল সবে (২...

Read more »

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী রাঃ

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmUfgMF2Zg3FyRYp1tjehkryFOTUyZo4uBnGNLk5H_8y2a6aA_i49UQyRnfvWf92abvwcB6FqUAF3WfpbMGIlk-8LtICdJEJp3Zn9ptDO48kd8jrIHXopdyZoDrr15zJyvDCaq6tDiKMk/s1600/FB_IMG_1589450670530.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="741" data-original-width="720" height="400" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgmUfgMF2Zg3FyRYp1tjehkryFOTUyZo4uBnGNLk5H_8y2a6aA_i49UQyRnfvWf92abvwcB6FqUAF3WfpbMGIlk-8LtICdJEJp3Zn9ptDO48kd8jrIHXopdyZoDrr15zJyvDCaq6tDiKMk/s400-rw/FB_IMG_1589450670530.jpg" width="387" /></a></div> <br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br id="docs-internal-guid-9bf94273-7fff-3074-4120-79aab1cfc638" /> <br /> <span style="font-family: "times" , "times new roman" , serif;"><br /></span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <br id="docs-internal-guid-b359ab26-7fff-c6d7-8141-9fce691072b2" /><br /><span style="font-size: large;"><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী : একটি সংক্ষিপ্ত সংকলন</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">🖋 আবু সাঈদ নয়ন</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কবি, সাহিত্যিকদের একটি চিরজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজ-নিজ গোত্র, জাতি বা সম্প্রদায়ের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা তাদের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর তাদের একটি চিরজাত উদ্দেশ্যে হচ্ছে, কবিতা বা সাহিত্যের মাধ্যমে স্ব-সম্প্রদায়, জাতিকে জাগিয়ে তোলা, অনুপ্রাণিত করা। ইসলামের চতুর্থ খলিফা মাওলা আলী যখন বাংলা কবিতায় স্বতন্ত্র বিষয় হয়ে উঠলেন তখন বাঙালি-মুসলমান জীর্ণশীর্ণ কাঁথা গায়ে জড়িয়ে কালঘুমে ডুবন্ত। আর সেজন্যই আমরা দেখতে পাই, বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের পূর্বে যত কবি, সাহিত্যিক মাওলা আলীকে বিষয় হিসেবে নিয়েছেন প্রত্যেকেই মাওলা আলীর খায়বার বিজয়, জুলফিকার ইত্যাদিকেই একমাত্র প্রকরণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। খায়বার বিজয়ে শেরে খোদার অসাধারণ শক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং জুলফিকার তরবারির ঐতিহাসিকতা কাব্যের রঙে রঞ্জিত করে বাঙালি-মুসলমান সাহিত্যিকবৃন্দ স্ব-সম্প্রদায়কে কালঘুম থেকে উদ্ধার করতে চেষ্টা করেছিলেন। আর এ চেষ্টার ফাঁকে যে, মাওলা আলীর সমগ্রজীবনের মহত্ত্ব, প্রজ্ঞাপ্রণালী এবং মানবিক জীবনবোধ তাঁদের কাব্যের বিষয় হয়ে উঠেনি তা ভেবে আফসোস না করে উপায় নেই। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বাংলা গদ্যে মাওলা আলীর চর্চা কতটুকু হয়েছে তা সুস্পষ্টভাবে বলা যায় না। ‘সংস্কৃত কথা’ গ্রন্থের লেখক কাজী মোতাহার হোসেন হযরত আলীর ব্যাপারে একটি খসড়া তৈরি করছিলেন। কিন্তু কবি কায়কোবাদ যেভাবে গাউসে পাকের জীবনী রচনায় হাত দেবার পূর্বে তাঁর পীর সাহেবের সাথে হায়াতের মেয়াদ অকালে ফুরিয়ে না-যাবার ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন সেভাবে কারো সাথে চুক্তিবদ্ধ না থাকায় খসড়া সম্পূর্ণ করার পূর্বেই ইন্তেকাল করলেন। তবে, যতটুকু লিখেছেন ততটুকু তাঁর রচনাবলীতে সংযুক্ত আছে। কেন্দ্রীয় বাঙলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশনায় ১৯৬৮ সালে সাহিত্যিক আবুল ফজল “হযরত আলী” শিরোনামে যে গ্রন্থটি রচনা করেছেন সেটিই এখনো পর্যন্ত বাংলা গদ্যে লিখিত মাওলা আলীকে নিয়ে শ্রেষ্ঠতম কাজ। এ গ্রন্থে মাওলা আলীর জীবনের বিভিন্ন অংশকে খণ্ড-খণ্ড  করে যেভাবে পাঠকসমীপে হাজির করা হয়েছে তা খুবই গুরুত্ববহ। আহমদ পাবলিশিং হাউসের প্রকাশনায় গ্রন্থটি এখনো পাওয়া যায়। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আলাওল থেকে শুরু করে আব্দুল মান্নান সৈয়দ পর্যন্ত প্রায় সকল বাঘা-বাঘা বাঙালি-মুসলিম সাহিত্যিকের রচনাসমগ্রে মাওলা আলীর উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। তবে স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে বাংলা কাব্যে তাঁর পদচারণা উনিশ শতকের পূর্বে ঘটেনি। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম বাঙালি-মুসলমান কবি হিসেবে ধর্তব্য দাদ আলীর কবিতা থেকে আরম্ভ করে সর্বশেষ আল-মাহমুদ তক প্রায়-প্রতিজন প্রভাবশালী বাঙালি-মুসলমান কবির রচনায় স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবেই হাজির হয়েছেন তিনি। তবে, পরিস্থিতি অনুকূলে না-থাকায় এখানে আমরা মাত্র চারজন কবির কাব্য হাজির করার সুযোগ পাবো। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">১. কাজী নজরুল ইসলাম: নজরুল ইসলাম ব্যক্তিকে বিষয় হিসেবে নিয়ে যত কবিতা, পদ্য লিখেছেন প্রতিটিতেই তাঁর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিলো, তাঁদের জীবনের বিভিন্ন উপকথা পদ্যে অলঙ্করণের মধ্য দিয়ে বাঙালি-মুসলমানদের জীবনবোধ জাগিয়ে তোলা। মাওলা আলীকে নিয়ে কাজী নজরুল যে একমাত্র সঙ্গীতখানা রচনা করেছেন তাতেও উক্ত উদ্দেশ্যের ব্যত্যয় ঘটেনি। “খয়বর জয়ী আলী হাইদার”কে কতটা প্রাণোচ্ছলতায় সঙ্গীতে প্রকাশ করতে পেরেছেন নজরুল তা-ই আমরা দেখবো। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"খয়বর-জয়ী আলী হাইদার, জাগো জাগো আরবার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দাও দুশমন দুর্গ-বিদারী দুধারী জুলফিকার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">এস শেরে খোদা ফিরিয়া আরবে </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ডাকে মুসলিম ‘ইয়া আলী’ রবে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হায়দারী হাঁকে তন্দ্রা-মগনে কর কর হুঁশিয়ার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল-বোর্জের চূড়া গুড়া-করা গোর্জ আবার হানো,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বেহেশতী সাকী, এ মৃত-জাতিরে আবে কওসর দানো,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আজি বিশ্ব-বিজয়ী জাতি যে বেহোঁশ্, </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দাও তারে নব কুয়ত ও জোশ্,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #7f6000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">এস নিরাশার মরুধূলি উড়ায়ে দুল্ দুল্ আস্ওয়ার।" </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">২. ফররুখ আহমদ: হযরত আলীকে নিয়ে বাংলা ভাষায় দীর্ঘতম কবিতাটি লিখেছেন কবি ফররুখ আহমদ। বাংলা একাডেমি কর্তৃক প্রকাশিত ফররুখ রচনাবলীতে সাত পৃষ্ঠা জুড়ে বিস্তৃত এ কবিতাও ‘খায়বার-জয়ী আলী হায়দর’র শক্তিমত্তা, প্রাণাবেগের বিবরণে উচ্ছলিত। তবে আশার বাণী হলো, মাওলা আলীর জীবনের মহত্ত্ব ও মানবিকবোধেরও বিচ্ছুরণ কিছু ঘটেছে এখানে। আর এজন্যই, হযরত আলীকে নিয়ে রচিত এ কবিতাটি পড়ে যে কোনো শ্রেণির পাঠকের তৃপ্তির পূর্ণতা জেগে উঠতে বাধ্য। আমরা আ-নখ-শির পুরো কবিতাটি চয়নের দুঃসাহস দেখাতে পারছি না, কেবল দু’টি অংশ তুলে ধরছি। ফররুখ আহমদ কি জানতেন যে, তিনি নিজেই অবচেতনে দু’টি অংশে পুরো কবিতার মর্মশাঁস পুঞ্জীভূত করে রেখেছেন? </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"সে কী তূরন্ত দুরন্ত-গতি মরুতে ঝড়ের বেগে!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জড়পিণ্ড এ বিয়াবানে বুঝি আগুন উঠেছে জেগে  </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হাজার ঘোড়ার খুরের আঘাতে লক্ষ উলকা জ্বলে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দিগকাওসের বাঁকা রেখা উড়ে চলে,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তীরের মতন বেগে  স‘রে যায় পদতলে মরুভূমি,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শহীদের খুনে মরণ তূফান জীবনের মৌসুমী …</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তারি সাথে ঘন চমকায় হাতে দুধারী জুলফিকার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">নিমেষে সূর্য ছিঁড়ছে শাণিত অস্ত্রে আঁধি-প্রাকার</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চমকে জুলফিকার</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জেহাদের মাঠ চাষ ক’রে তার মেঘে উঠে হুংকার …</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে মহামানব! তুমি শুধু নও বীর তলওয়ারধারী</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">অসংযমের উপর হেনেছ সত্যের তরবারী,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কোন মলিনতা করেনি তোমার চিত্ত কলুষ কভু</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লাকে ছাড়া আর কারু তুমি মানো নাই তব প্রভু</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাঁর নির্দেশ মাথা পেতে নিয়ে তব অলঙ্ঘ শির,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">সবার উপরে র’য়েছে ঊর্ধ্বে সব পাপ-গোলামীর। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লার পথে জানি তুমি শুধু ধরিয়াছো তরবারি,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চির-সংযমী ভুলেও কখনো হওনি অত্যাচারী,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কাফেরের থুথু সারা মুখে নিয়ে নাও নাই প্রতিশোধ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লার দাস দমন ক’রেছে সব অন্যায় ক্রোধ। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ফেরেশতাদের ঊর্ধ্বে তুলেছে তোমারি সে মানবতা</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে সুফী সাধক ! তাই জিনিয়াছ নভঃ দুর্লংঘতা! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্রজ্ঞাপূর্ণ মহানগরের হে বিরাট শাহীদ্বার!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাছাওফের যে নূরানী ঈলমে তনুমন একাকার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তার নিভৃত ইংগিত পেয়ে নলবনে উঠে সুর</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শামাদানে জ্বলে প্রেমের শিখায় বেদনা যে অবগাহী</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">কোটি মুসলিম পেয়েছে ফিরিয়া চিত্তের বাদশাহী! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">মহানগরের হে শাহী দরজা ! তোমার আকাশ খোলা! </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">সম্মুখ দিয়ে পার হ’য়ে যায় হূরের চতুর্দোলা</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">হে নূর পিয়াসী! কে রাখে তার খবর?</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্-আহাদের সন্ধানে তার নাই তিল অবসর!</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আল্লা’র কাছে ক’রেছে সে তার পূর্ণ সমর্থন,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাই সে মানে না অত্যাচারীর, জালিমের বন্ধন,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">তাই মরুপাটে রুদ্ধ কপাট ডাকে যবে খায়বার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #b45f06; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">অমনি সূর্য ঝলসে তোমার দু’ধারী জুলফিকার।" </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">৩. বে-নজীর আহমদ: মাওলা আলীর বিষয়ে সর্বাধিক, ৩টি কবিতা লিখেছেন কবি বে-নজীর আহমদ। দুইটি ‘জুলফিকার’ শিরোনামে, আরেকটি ‘শেরে খোদা’ নামে। বে-নজীরের কাছে খায়বার-জয়ী আলী হায়দারই একমাত্র কাব্যাঙ্কিত হয়েছে; মাওলা আলীর জ্ঞান-প্রজ্ঞা, জীবনের মহত্ত্ব নিয়ে তিনি একেবারেই নীরব। কারণ কি? তিনি সন্ত্রাস ছিলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ধরা পড়ে বৃটিশ কারাগারে জেলও খেঁটেছেন। এমন একজন কবির কাছে ‘খায়বার-জয়ী’ আলীই যে প্রাধান্য পাবে তা সহজেই অনুমেয়। ‘শেরে খোদা’ কবিতার শেষাংশ তুলে দিচ্ছি:  </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"শেরে খোদা আজ তোমারে জানাই আমাদের ফরিয়াদ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শেরের বাচ্চা ফেরু বনে গেছে ভুলে গেছে লহু স্বাদ।</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ভুলে গেছে তার জোয়ানী জাদিদ শহীদের সুধা সাধ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ভুলে গেছে তার জঙ্গী জাহান তশবীর জয়-নাদ,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">ঝাণ্ডার নয়া স্বাদ। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">জিন্দারা আজ বান্দারে সেবে জিন্দেগী বরবাদ।</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #cc0000; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">শেরে খোদা আজ তোমারে জানাই আমাদের ফরিয়াদ।"</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">৪. আব্দুল মান্নান সৈয়দ: বাঙালি-মুসলমানের মধ্যে আব্দুল মান্নান সৈয়দকে একমাত্র কবি মনে করি, যিনি মাওলা আলীর জীবনের মহত্ত্ব এবং মানবিকবোধকে তাঁর শক্তিমত্তা, হায়দারী হাঁকের উপর প্রাধান্য দিয়েছেন। এবং এজন্যই বাংলা ভাষায় মাওলা আলীর চর্চায় আব্দুল মান্নান সৈয়দকে আমি বিশেষ মনে করি এবং তাঁর কবিতাটিকে মাওলা আলীর ব্যাপারে ‘সম্পূর্ণ’ বলে বিবেচিত করি। কবিতাটির আপাদমস্তক তুলে দিচ্ছি। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">"যোদ্ধা-কবি একইসঙ্গে, একই সঙ্গে রৌদ্রে-জোৎস্নায়</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্লাবিত তোমার আত্মা। ভাতৃরক্তে রাঙা পৃথিবীতে</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">চেষ্টা করেছিলে তুমি অফুরান শান্তি এনে দিতে</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">যে-ব্যর্থতা ভরে আছে লাবণ্য ও মহৎ আভায়। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আবুজরের সঙ্গেও গিয়েছিলে রাবজায় তুমি ;</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">উসমানকে বাঁচাতেও পাঠিয়েছিলে নিজেরেই পুত্রকে ;-</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">দরদী সেবক তুমি। অবিচল সুখে, শোকে। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বহু বিপরীতে গড়া তোমার আশ্চর্য মনোভূমি। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">প্রজ্ঞার শহরে যিনি প্রদীপিত এক সিংহদ্বার,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">মৃত্যু তাঁকে কি করবে? - তাঁকে আরো করেছে অবার। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">খায়বরের যুদ্ধজয়ী, আসাদুল্লাহ, জ্ঞানেরও সম্রাট,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">একই সঙ্গে যোদ্ধা-কবি : কালোত্তর, মহান, বিরাট। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">রসুলের চারিত্রের রঙে রঞ্জিত বিশাল দিল্ –</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #85200c; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">আজ তাঁর প্রশংসায় ভরপুর সমস্ত নিখিল।"</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /><br /></span><br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">বিশেষত: নজরুলের সঙ্গীতে ব্যবহৃত ‘দুধারী জুলফিকার’ শব্দগুচ্ছটি যে ফররুখ ঋণ নিয়ে তাঁর কাব্যের শ্রী বৃদ্ধির জন্যে বারংবার ব্যবহার করেছেন তা সচেতন পাঠকের দৃষ্টি এড়ানো সম্ভব নয়। আমার বিশ্বাস, নজরুলই বাংলা সাহিত্যে জুলফিকারের পূর্বে ‘দুধারী’ বিশেষণটির জন্মদাতা, এবং এক্ষেত্রে আমার বিশ্বাস যে অবিনাশী নয় সেটাও আমি বলছি না। মাওলা আলীর জ্ঞান নিয়ে একটি অতিখ্যাত হাদিসের ‘আলিয়্যুন বাবু-হা’ অংশটির অত্যন্ত চমকপ্রদ অনুবাদ করেছেন ফররুখ আহমদ : “প্রজ্ঞাপূর্ণ মহানগরের হে বিরাট শাহীদ্বার”। আব্দুল মান্নান সৈয়দ ফররুখের হুবহু অনুকরণ থেকে বাঁচতেই সম্ভবত কিঞ্চিৎ মার্জনা করে অনুবাদ করেছেন এভাবে : “প্রজ্ঞার শহরে যিনি প্রদীপিত এক সিংহদ্বার”। উভয়ের অনুবাদে ‘প্রজ্ঞা’ শব্দটি অত্যন্ত লক্ষ্যণীয়; আমরা কিন্তু হরহামেশা এ হাদিসের অনুবাদে ‘জ্ঞান’ শব্দটি ব্যবহার করি, এটি যথাযথ নয়। ‘প্রজ্ঞা’ও যে একেবারে পূর্ণাঙ্গ অর্থ বহন করে তা আমি বলছি না, কিন্তু তা অর্থ এবং ভাবের তুলনায় ‘জ্ঞান’ থেকে অনেক-অনেক নিকটবর্তী। সবশেষে নজরুল, ফররুখ সব ছাপিয়ে আব্দুল মান্নান সৈয়দের দু’টি পঙক্তিই আমার হৃদয়ে কামড় দ্যায়:</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <br /></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #073763; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">খায়বরের যুদ্ধজয়ী, আসাদুল্লাহ, জ্ঞানেরও সম্রাট,</span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt;"> <span style="color: #073763; font-family: Arial; font-variant-east-asian: normal; font-variant-numeric: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"><span style="font-size: large;">একই সঙ্গে যোদ্ধা-কবি : কালোত্তর, মহান, বিরাট। </span></span></div> <span style="font-size: large;"><br /></span></div>

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী রাঃ

বাংলা সাহিত্যে মাওলা আলী : একটি সংক্ষিপ্ত সংকলন 🖋 আবু সাঈদ নয়ন কবি, সাহিত্যিকদের একটি চিরজাত বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, নিজ-নিজ গোত্...

Read more »

নশ্বর পৃথিবী

<div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">নশ্বর পৃথিবী</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এশার নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছি৷ সূরা ফাতিহার পর মনের অজান্তেই একটি সূরা মিলালাম, যার নাম সূরাতুল যিলযাল৷ আট আয়াত বিশিষ্ট ছোট্ট একটি মাদানী সূরা৷ যখন তিলাওয়াত শুরু করলাম তখন শরীরে হঠাৎ ই একটা অজানা ভীতির শিহরণ জাগরিত হল৷ প্রান্তসীমায় ক্ষান্তকর্মের ডাক অনুভূত হল৷ কঠিন হৃদয় যেন মোমের ন্যায় বিগলিত, অন্ধকারে পূর্ণ আত্মা যেন পুরোটাই শূন্য, লোভাতুর চাহনী যেন আজ দৃষ্টিকটুর পাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অপূর্ব সুন্দর এই পৃথিবীতে চিরদিন বেঁচে থাকার পূর্ণ স্বাদ, বাসনা, আকাংখা আমার হৃদয়পটে অঙ্কিত হয়ে আছে৷ চাইলেও আমি তা দূর করতে পারছি না৷ সময়ের গতিপথে, স্রোতের অনুকূলে, প্রতিযোগীতার অন্তরালে কতই না স্বপ্নবীজ বুনে পরকালের কথা বেমালুম হয়ে গিয়েছি৷ অস্থায়ী রাজ্যে সফলতার বিপরীতে চিরস্থায়ী স্বর্গরাজ্যকে গুরুত্বহীন করে রেখেছি৷ ব্রহ্মাণ্ডের আবর্তনে বিজ্ঞানের মোহে পড়ে ঐশী বাণীকে কতই না তুচ্ছজ্ঞান করেছি অথচ যেটা ছিল আসমানি কিতাবের প্রতিবিম্ব মাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">মহান রবের দিকনির্দেশিকা পবিত্র কুরআনের হুকুম-আহকাম ত্যাগ করে আজ মানবরচিত বাণীতে আমার কর্ণকুহর পরিপূর্ণ, হৃদাঙ্গনে সেটার আবাদ করে তুলছি দিনের পর দিন৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আবশ্যিক (ফরজ) বিষয় পরিত্যাগ করে আজ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বের বিষয়গুলোর প্রতি ঝুঁকে যাচ্ছি খুব বেশি৷ সামান্য বিষয়ে তর্ক-বিতর্কের উত্থান যেন পাহাড়সম হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা, উদার হৃদয় যেন আজ হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকারের আবাসভূমি৷ সুন্দর হৃদয় পরিণত হয়েছে কুৎসিত কাঁটাযুক্ত বিষবৃক্ষে৷ যেটা ছিল এই বাহ্যিক রূপে-গুণে পরিপূর্ণ সুন্দর ধরণীর কদাকার চাহনীর কলুষিত আত্মার প্রতিধ্বনি মাত্র৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এত শত লোভ-লালসা, আকাংখার উপাদানে ভরা অস্থায়ী জমিন যখন আমাকে অস্বিকার করবে, আমার ধনদৌলতকে পিষ্ট করে দিবে, আমার বসবাসের অট্টালিকাকে ভূ-গর্ভে বিলিন করে দিবে৷ এত চিত্তাকর্ষণ গাছ-গাছালি, তরুলতা, নদী-নালা, সমুদ্র, পাহাড়-পর্বত প্রভৃতি যখন ধূলির ন্যায় উড়তে থাকবে৷ শিঙ্গায় ফুঁৎকারের ধ্বনি যখন প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে, সেই সময়টা (কেয়ামত) কতটা ভয়ংকরী ও বিভৎসময়ী চেহারায় রূপ নিবে সেটা কি আমি একটিবারের জন্যও ভেবে দেখেছি? চিন্তা করার ফুসরত পেয়েছি কখনো এসব নিয়ে? নাকি শুধু ছুটছি আর ছুটছি অস্থায়ী সফলতার পিছনে!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কথায় কর্মে মানুষের অন্তরে আঘাত করা, কারো অধিকার খর্ব করা, সামান্য অজুহাতে স্রষ্টার বিধান লংঘন করা এ যেন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ অথচ সেদিন (কিয়ামতের দিন) পৃথিবী তার কলিজার টুকরা বিশালাকার স্বর্ণ খন্ডের আকারে উদগীরণ করে দেবে৷ তখন যে ব্যক্তি ধন-সম্পদের জন্যে কাউকে হত্যা করেছিল সে তা দেখে বলবে, এর জন্যেই কি আমি এতবড় অপরাধ করেছিলাম? যে ব্যক্তি অর্থের কারনে আত্মীয়দের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেছিল সে বলবে, এর জন্যেই কি আমি এ কাণ্ড করেছিলাম? চুরির কারনে যার হাত কাটা হয়েছিল সে বলবে, এর জন্যেই কি আমি নিজের হাত হারিয়েছিলাম? অতঃপর কেউ এসব স্বর্ণখণ্ডের প্রতি ভ্রুক্ষেপও করবে না৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">"সেদিন যে কেউ অণু পরিমাণ সৎকর্ম করবে সে তার প্রতিদান পাবে আর যে কেউ অণু পরিমাণ অসৎকর্ম করবে সেও তার প্রতিদান পাবে৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এসব ভাবনা চিন্তার আদলে আমার হৃদয় যখন অন্তঃসারশূন্য, অন্ধকার গুহায় নিমজ্জিত৷ তখন সেই পাপে কলুষিত দেহযষ্টি নিয়ে, অনুতপ্ত হৃদয়ে নামাজান্তে প্রভুর দরবারে একটাই মিনতি করলাম-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">"কত স্বপ্ন করেছি লালন</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পরিত্যাগ করেছি শত বিধান,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কোন মুখে আমি চাহিব ক্ষমা</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পুণ্যবিনা জীবন এই শূন্য অভিধান৷</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">প্রভু হে নতশিরে মিনতি দরবারে তোমার,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অস্থায়ী ভুবনে কষ্টে যাতনা পেতে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">রাজি হাজারবার</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তবু যেন পরকালে বিদ্যুৎবেগে</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">পুলসিরাত হই পার৷"</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">★তথ্যসূত্রঃ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তাফসীরে কানযুল ঈমান</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">তআফসীরে মাআরেফুল কুরআন।</span></div>

নশ্বর পৃথিবী

নশ্বর পৃথিবী ✍ দেওয়ান মোঃ ছাইফুদ্দিন এশার নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছি৷ সূরা ফাতিহার পর মনের অজান্তেই একটি সূরা মিলালাম, যার নাম সূরাতুল যি...

Read more »

পরহেযগার খুনি

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvhQ2OTnNph7GNE2bpQzqyiNVGzDm8oE8fp3xqZEtVL44BdaLA4EwRyY1eaW_L8WbBrWvhFIlIKCo8HFLDOLLHNrFDbNJqA9UZzNz__1A5n_PQNLolk8idMNovhSwd2AeLjzMT4mIIkyk/s1600/FB_IMG_1589475976274.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="300" data-original-width="460" height="260" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjvhQ2OTnNph7GNE2bpQzqyiNVGzDm8oE8fp3xqZEtVL44BdaLA4EwRyY1eaW_L8WbBrWvhFIlIKCo8HFLDOLLHNrFDbNJqA9UZzNz__1A5n_PQNLolk8idMNovhSwd2AeLjzMT4mIIkyk/s400-rw/FB_IMG_1589475976274.jpg" width="400" /></a></div> <br /> <br /> <br /> পরহেজগার খুনি<br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">✍️ আবুল হাসান মুহাম্মদ বায়েজিদ</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">[২১ রমজান শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষে নিবেদিত, মনোযোগ দিয়ে পড়ার ও অনুধাবনের আরজি রইল]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">============================</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">ধোকাবাজী আর প্রবঞ্চনাময় এই দুনিয়ায় প্রতারকদের চিহ্নিত করা প্রায়শ:ই মুশকিল হয়ে যায়। নেকছুরতে ঠকবাজীর ঘটনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে। কিন্তু এরপরও কি আমরা সতর্ক হয়েছি? ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হল ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না, সাবধান হয় না। ফলে মানবরূপি শয়তান ধোকাবাজরা প্রতারণা করেই যায়।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আজকে আপনাদের ইতিহাস নিকৃষ্ট এক ঠক-ধোকাবাজ-প্রতারক খুনীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। যে হন্তারক ওলী-আল্লাহর ছুরতে নির্মমভাবে শহীদ করেছিল মাওলায়ে কায়েনাত, প্রিয়নবী ﷺ এর অতীব প্রিয় সহচর, সাইয়্যেদায়ে কায়েনাত ফাতেমা যাহরার পতি, জান্নাতের যুবকদের সর্দার ইমাম হাসান-হুসাইন সালামুল্লাহে আলাইহিমের পিতা শেরে খোদা হযরত আলী ইবনে আবি তালেব আলাইহিস সালামকে। আমীরুল মোমেনীন হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু সেদিন ফজরের সালাত আদায়ের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্য বের হয়েছিলেন। আশপাশের মানুষদের আস সালাত, আস সালাত আহ্বান করতে করতে সামনে এগুচ্ছিলেন। আচানক মাথার উপর তরবারীর ধারালো আঘাত এসে পড়লো। প্রথম আঘাত ঠিক মত না লাগায় নরপিশাচ আবারও সজোরে আঘাত করলে এবার আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু মারাত্মকভাবে আহত হলেন। তার শুভ্র নুরাণী চেহারা-দাঁড়ি রক্তে রঞ্জিত হয়ে গেল। তিনি সজোরে বলে উঠলেন- فزت ورب الكعبة রব্বে কা’বার শপথ আমি সফল হয়ে গেছি। অর্থাৎপরম কাঙ্খিত শাহাদাত সন্নিকটে দেখে এটাকেই তিনি মহা সফলতায় অভিহিত করেছেন।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">কে সেই খুনী? তার নাম-পরিচয় কি? সে কেমন প্রকৃতির লোক ছিল?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">আপনি মনে মনে ধারণা করছেন সে হয় তো চরম দুষ্ট প্রকৃতির, ছুরত-ছিরতে ষন্ডা-পান্ডা জাতীয় কেউ। এটা মনে করলে ভুল হবে। কারণ ঐ খুনী মোটেও গুন্ডা-সন্ত্রাসী ছুরতের ছিল না। বরং সে ছিল পাক্কা আল্লাহওয়ালা টাইপের। ঐতিহাসিকগণ তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন-</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">তার নাম -আবদুর রহমান বিন মুলজিম হিমইয়ারী লা’নাতুল্লাহে আলাইহি। সে কি বদ আমল-আখলাক, নেশাখোর, বে-নামাজী ইত্যাদি ছিল? জ্বি না!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">তার ব্যাপারে বলা হয়েছে সে আল্লাহকে এত বেশি সেজদা দিত যে তার চেহারায় ‘আছারুছ সুজুদ’ তথা সেজদার আলামত প্রকাশ্যে ছিল, সে ছিল অধিক ইবাদতগুজার, আল্লাহর প্রতি অধিক অনুগত, সময়ের অন্যতম সেরা ক্বারীউল কুরআন, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত মুআজ বিন জাবাল রাদি. এর কাছে সে কুরআন শিখেছে, ফিকহী জ্ঞানেও তার বিশেষ পান্ডিত্য ছিল। সুললিত কন্ঠে কুরআন তেলাওয়াত জানায় হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু তাকে মিসরে হযরত আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহুর কাছে পাঠিয়েছিলেন মানুষকে কুরআন শিক্ষা দেয়ার জন্য। ছুরত-ছিরতে, ইবাদত-বন্দেগীতে সে ছিল পাক্কা বুযুর্গ। চেহারাও ছিল সুন্দর-আকর্ষণীয়, মাথার চুল সুন্নতী বাবরি তরিকায়। দিনরাত মসজিদে পড়ে থাকতো আল্লাহর জিকির আর ইবাদতে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">অথচ এই মানুষটিই কি না শেরে খোদা আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে শহীদ করলো? বাহ্যিক ছুরতে পাকা ধার্মিক, বড় হুজুর আর অন্তরে কি পরিমাণ বিষ? আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুকে যে তরবারী দিয়ে আঘাত করেছে তাতে সে একমাস যাবত মারাত্মক বিষের প্রলেপ দিয়েছে। নামাজ-রোজা, কুরআন তেলাওয়াত-তাহাজ্জুদের আড়ালে সে ছিল মূলত: জাহান্নামের কুকুর খারেজী। কি সাংঘাতিক আকিদা ছিল তার! মুমিনদের মাওলা তথা অভিভাববকে শহীদ করেছে তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির নিয়তে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">এই দুষ্ট-দুরাচারকে ধরে যখন ইমাম হাসান মুজতাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুর সামনে আনা হলো- তখন তিনি তাকে লক্ষ্য করে বললেন, তোমাকে এমন এক আঘাত করব তাতে তুমি জাহান্নামে পৌঁছে যাবে। জবাবে সে বলল, আমি যদি জানতাম এ ক্ষমতা (জাহান্নামে দেয়ার) তোমার হাতে থাকতো তাহলে তোমাকে বাদ দিয়ে অন্য কাউকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করতাম না। অত:পর তার দুই হাত দুই পা কর্তন করা হলো। এ অবস্থায়ও সে অনবরত আল্লাহর জিকির করতেছিল। যখন তার জিহ্বা কাটতে চাইল তখন সে ছটফট করতে লাগল; আর বলতেছিল আমার ইচ্ছা ছিল এই জিহ্বা সর্বদা আল্লাহর জিকিরে সিক্ত রাখবো। চিন্তা করে দেখুন আল্লাহর প্রতি কিরূপ ভক্তি-ভালোবাসা তার? কিন্তু কোন কাজে আসবে? রাসূলুল্লাহ ﷺ এর কলিজার টুকরাকে খুন করেছে তাও আবার আল্লাহকে খুশী করার জন্য! এরা ছিল ইসলামের লেবাসে ধোকাবাজ-প্রতারক। এ যুগেও এমন অনেক প্রবঞ্চক-ঠক আছে। যাদের ছুরত-ছিরত বুযুর্গীতে ভরা, কুরআন-হাদিসেও পারদর্শী, মুখে মিষ্টি মধুর ভাষা, কুরআন তেলাওয়াত হৃদয় কেড়ে নেয় কিন্তু অন্তরভরা নবী বিদ্বেষ, আহলে বাইতের প্রতি শত্রুতায়। সুতরাং সতর্ক থাকুন। কারও মুখের মধুর কথায় গলে যাওয়ার আগে তাকে মহব্বতে রাসূল, মহব্বতে আহলে বাইত, তা’জীমে সাহাবার নিক্তিতে মেপে দেখুন। নইলে আপনার নামাজ-রোজা জিন্দেগীর সব ইবাদত বিফলে যাবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "verdana" , sans-serif;">[পোষ্টে উল্লেখিত তথ্যসমূহ সংগ্রহ করা হয়েছে- বিদায়াহ নেহায়াহ, সিয়ারু আ’লামীন নুবালা, আ’লাম লি যারকালী, লিসানুল মিজান, আল ইস্তেয়াব ফি মা’রেফাতিল আসহাব প্রভৃতি নির্ভরযোগ্য কিতাব থেকে]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div>

পরহেযগার খুনি

পরহেজগার খুনি ✍️ আবুল হাসান মুহাম্মদ বায়েজিদ [২১ রমজান শেরে খোদা হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহুর পবিত্র শাহাদাত দিবস উপলক্ষে ন...

Read more »

তাঁর স্মরণ

তাঁর স্মরণ<br /> - আবুল হাসান মুহাম্মদ বায়েজীদ <br /> <br /> [১০ রমজান. নবীপত্নী উম্মুল মোমেনীন হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার ওফাত উপলক্ষে নিবেদিত]<br /> -------------------------<br /> যুদ্ধবন্দীদের মুক্তিপণ হিসেবে তাদের আপনজনরা সোনা-রূপা-অর্থ যে যা পারছে দিয়ে বন্দীদের নিয়ে যাচ্ছিল। প্রিয়নবী ﷺ বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছিলেন। হঠাৎ একটি গলার হার তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। মনে হয় চেন চেনা লাগছে! স্মৃতির গহ্বর থেকে একটি অনিন্দ্য সুন্দর ও পূত মুখশ্রী হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠলো। আরে এটা তো তাঁর প্রিয়তমা খাদিজার গলার হার! এখানে আসলো কেমনে? তাঁর কথা মনে হতেই প্রিয় রাসূল ﷺ এর নূরানী নয়নযুগল থেকে কপোল বেয়ে অঝোরে অশ্রুপাত হতে থাকলো। তিনি বলতে লাগলেন এটা খাদিজার গলার হার, এটা খাদিজার গলার হার! তিনি তাঁর এতটাই প্রিয় ছিলেন যার কথা স্মরণ হলেই নবীজী ﷺ  আবেগপ্রবণ, অশ্রুসজল হয়ে যেতেন, দীর্ঘশ্বাস ফেলে হৃদয় গহীনে স্মৃতির পাতা উল্টাতেন।<br /> ঘটনাটি হলো- বদরযুদ্ধে কাফির যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে হুজুর পাক ﷺ এর প্রিয় ও জ্যোষ্ঠকণ্যা হযরত যয়নব আলাইহাস সালামের স্বামী আবুল আসও ছিলেন। ইসলামপূর্ব যুগে তাদের বিবাহ হয়েছিল। আবুল আস ইসলাম গ্রহণ করেন নি। (পরে তারা পৃথক হয়ে যান) কাফিরদের সহযোগী হয়ে বদর ময়দানে আসলে তিনিও মুসলমানদের হাতে বন্দী হন। স্বামীর মুক্তিপণ হিসেবে হযরত যয়নব আলাইহাস সালাম বিবাহের রাতে তার মা খাদিজা আত তাহেরা সালামুল্লাহে আলাইহা যে নেকলেসটা তাকে দিয়েছিলেন তা পাঠান। প্রিয়নবী  ﷺ আবেগাপ্লুত হয়ে সাহাবাদের বলেন- তোমরা কি বল, আমি আমার জামাতা আবুল আসকে মুক্ত দিয়ে দেই, সাথে এই নেকলেসটাও ফেরত দিয়ে দেই। কারন এটা খাদিজার স্মৃতি বহন করছে। নবীক্বদমে নিবেদিতপ্রাণ সাহাবাগণ বলে উঠলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ আপনি যেটা ভাল মনে করেন তাই করবেন। আমাদের কোন আপত্তি নাই। অতঃপর তিনি আবু আল আসকে ডাকলেন এবং বললেন, "যায়নাবকে বলবে, এই নেকলেসটি যেন সে সযতনে রাখে এবং এটা যেন কখনো হারিয়ে না ফেলে।"<br /> [সূত্র :  বিভিন্ন সীরাত ও হাদিসের কিতাব]<br /> পৃথিবী যতদিন থাকবে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন আলো দিবে খাদিজাতুল কুবরা রাদিয়াল্লাহু আনহার নাম, ইসলামের জন্য তার অশেষ কুরবানীর কথা  উম্মতের হৃদয়মুকুরে ততদিন জ্বলজ্বল করবে।<br /> কেন নয়? তিনি ছিলেন আরবের সেরা ধনী, ব্যবসায়ী সম্পদশালী রমণী। পরপর দু’স্বামী হারানোর পরও তার রূপ-মাধূর্য-পূত্র চরিত্র ইত্যাদির কারণে মক্কার শীর্ষস্থানীয় ধনকুবেররা তার কাছে প্রায়ই বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতেন। কিন্তু তাঁর সু-কমোল হৃদয় অপেক্ষা করছিল অন্য কারও জন্য। ব্যবসায়িক কাজের দায়িত্ব কোন বিশ্বস্ত লোকের হাতে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। এক সময় তাঁর কানে আল আমিন আস সাদিক প্রিয়নবী ﷺ এর সংবাদ পৌঁছল।  তাঁকেই এই দায়িত্ব অর্পন করলেন। দাসী মাইসারাকে সাথে দিলেন সার্বিক বিষয়াদী পর্যবেক্ষণের জন্য। অভূতপূর্ব সফলতার সাথে ব্যবসা পরিচালনা করে ফিরে আসলে, খাদিজা সালামুল্লাহে আলাইহা মাইসারাকে প্রিয় রাসূল ﷺ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। মাইসারা তো প্রশংসায় পঞ্চমুখ।<br /> তিনি সত্যবাদী, তিনি অতীব বিনয়ী, তিনি সদা হাস্যমুখ, পরিশ্রমী, তাঁর কোন তুলনা হয় না ইত্যাদি অনর্গল বলতে লাগলেন। সাথে এও বললেন- আশ্চর্যজনক বিষয় হলো তিনি যখন মরুভূমির তপ্তরোদে হৃদয়কাড়া পদবিক্ষেপে হেঁটে চলেন তখন তাঁর মাথার উপর মেঘমালা ছায়া দেয়।  সব বৃত্তান্ত শুনে খাদিজা হৃদয় অন্দরে পুলক অনুভব করলেন। এমন কাউকেই তো এ মনপ্রাণ খুঁজছিল বহুদিন! দেরি না করে বিবাহের প্রস্তাব পাঠান। যথানিয়মে সামাজিকতায় উভয়ের বিয়ে হয়ে গেল। সেই থেকে নিয়ে টানা ২৫/২৬ বছর সুখে-দু:খে তাঁদের দাম্পত্যজীবন। যেখানে ছিল ভালোবাসা, ত্যাগ, ধৈর্য, স্বামীভক্তি,<br /> বিশ্বস্ততা, কষ্ট স্বীকার ইত্যাদি। নবুওয়াত প্রকাশের পর নিজের বিলিয়ন বিলিয়ন সম্পত্তি সব প্রিয়নবী ﷺ এর ক্বদমে উৎসর্গ করে দেন। রাসূল ﷺ দ্বীন প্রচারের কাজে, গরীব-দু:খি-অনাথ, অসহায়দের তরে অকাতরে খরচ করতে থাকেন।  একসময় সম্পদ শেষ হয়ে তারা নি:স্ব-রিক্ত হয়ে পড়েন। কিন্তু এতেও কোন অভাব-অনুযোগ-অভিযোগ ছিল না। ছিল না কোন আফসোস কিংবা অভিমান। বরং তাঁরা গড়ে তোলেন সবরের সুউচ্চ পর্বত। রাসূলে পাক ﷺ এর পুত্র-কণ্যাগণ প্রায় সবাই আগমন করেন আম্মাজান খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার গর্ভ থেকে। তিনি রাসূলে আকরাম ﷺ এর এতটাই প্রিয় ছিলেন তার জীবদ্দশায় হুজুর অন্য কোন বিবাহ করেন নি।<br /> হেরা পর্বতে যখন দোজহানের সরদার প্রিয়নবী ﷺ মুরাকাবা রত থাকতেন, তখন এই খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহাই প্রৌঢ়া বয়সে উঁচু পাহাড়ের কন্টকময় বন্ধুর পথ মাড়িয়ে প্রিয়তমের জন্য খাদ্য-পানীয়-রসদ নিয়ে যেতেন। প্রাণপতির প্রতি এত মায়া এবং কষ্ট স্বীকারের কারণে আল্লাহ এতই খুশী হয়ে যান যে, খোদ জিব্রাঈল আলাইহিস সালামের মাধ্যমে নিজের পক্ষ থেকে সালাম পাঠান। জিব্রাঈল এসে বলেন- فَاقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلَامَ مِنْ رَبِّهَا، وَمِنِّي، وَبَشِّرْهَا بِبَيْتٍ فِي الْجَنَّةِ مِنْ قَصَبٍ لَا صَخَبَ فِيهِ وَلَا نَصَبَ"<br /> তাঁকে (খাদিজাকে) তাঁর রবের পক্ষ থেকে সালাম পাঠান, এবং আমার পক্ষ থেকেও। আর তাকে জান্নাতে একটি মণিমুক্তোর প্রাসাদের সুসংবাদ দিন যাতে কোন দু:খ-কষ্ট থাকবে না। [সহিহ মুসলিম]  <br /> আমার প্রিয় রাসূল বলেছেন- নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম হলেন খাদিজা। [সহিহ মুসলিম]<br /> ১০ রমজান উম্মুল মোমেনীন খাদিজাতুল কোবরা রাদিয়াল্লাহু আনহার পবিত্র ওফাত দিবস। রাসূল ﷺ এর নবুওয়াতের ১০ম বছর তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর বিয়োগ ব্যথায় হুজুরে আকদাস ﷺ  এতটাই বেদনাহত হয়েছিলেন যে সে বছরের নাম দেয়া হয় ‘আমুল হুজন’ বা দু:খ-কষ্ট ও শোকের বছর।<br /> মহান আল্লাহ আজকের নারীজাতিকে আম্মাজান খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার আদর্শ মেনে চলার তওফীক দান করুন। হাশরের ময়দানে<br /> তাঁকে আমাদের জন্য সুপারিশকারী হিসেবে কবুল করুন। আমিন।<br /> <br />

তাঁর স্মরণ

তাঁর স্মরণ - আবুল হাসান মুহাম্মদ বায়েজীদ  [১০ রমজান. নবীপত্নী উম্মুল মোমেনীন হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু আনহার ওফাত উপলক্ষে নিবেদিত] ------...

Read more »

ভালোবাসা

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3c8h1fgcgWatr0JBcaBuZ5IgRPYils_LHZG06lkHWt9KaOg-e15j40eP5795g_2RYtmW8Az9rViPWwRGCijKgJN0wJFJnfftEfwD6AUnh572WdwSlD8yfMohGMvsIHKnptz5vPuR91iI/s1600/kitchen-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="520" height="221" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3c8h1fgcgWatr0JBcaBuZ5IgRPYils_LHZG06lkHWt9KaOg-e15j40eP5795g_2RYtmW8Az9rViPWwRGCijKgJN0wJFJnfftEfwD6AUnh572WdwSlD8yfMohGMvsIHKnptz5vPuR91iI/s320-rw/kitchen-1.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ভালোবাসা</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">রায়হান ক্বাদেরি </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ইফতারের সময় টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও আনারসের শরবত নেই। আমি স্ত্রী শিলাবৃষ্টিকে ডেকে বললাম, শুধু লেবুর শরবত দেখছি। আনারসের শরবত কোথায়?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি মাথা নিচু করে বললো, আনারসের শরবতটা বানানোর সময় পাইনি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">কথাটা শুনার পর মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল। তাকে ধমক দিয়ে বললাম, তুমি কি রাষ্ট্র পরিচালনা করো যে শরবত বানানোর সময় পাওনি? সারাদিন রোজা রাখার পর একটু যে আনারসের শরবত খাবো সেটাও আমার কপালে নাই!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি আর কিছু না বলে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। এ মেয়েকে নিয়ে এই এক সমস্যা; কোনো কাজ পরিপূর্ণভাবে করতে পারে না। </span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">দুপুরের দিকে তাকে বললাম, ফ্রিজে কি মুরগির গোশত আছে?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি বললো, হ্যাঁ, আছে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি বললাম, এক কাজ করো তো; আজ ইফতারিতে মুরগির গোশত দিয়ে চপ বানিও!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমার কথা শুনে নিষ্পলক নয়নে অধোবদনে হা করে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। আমি কিছুটা ধমকের সুরে বললাম, এইভাবে মাছের মতো হা করে তাকিয়ে আছো কেন?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">অবাক শিলাবৃষ্টি আমতা আমতা করে বললো, মুরগির গোশত দিয়ে কীভাবে চপ বানায়?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এমনিতেই রোজা রেখেছি আর এখন মধ্যদুপুর। গরমে মেজাজ এমনিতেই খারাপ, তার উপর শিলাবৃষ্টির এই কথা শুনে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল। শিলাবৃষ্টির দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে বললাম, তোমার মা কি তোমায় রান্না বান্না কিছু শিখিয়ে বড় করেনি? যেটা বানাতে বলি সেটাই দেখি পারো না। আমি জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল করেছি তোমাকে বিয়ে করে!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টি কিছু না বলে চুপচাপ আমার সামনে দাঁড়িয়ে রইল। রাগকে বিরক্তিতে রূপান্তর করে আমি পাশের রুমে চলে গেলাম। এই মেয়েটাকে দেখলেই আমার আজকাল রাগ লাগে! দিন দিন আমার ওকে অসহ্য মনে হচ্ছে...!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">সেহরির সময় ভাতে হাত রাখতেই বুঝলাম তুষারশুভ্র ভাতগুলো হিম হয়ে আছে! আমি কিছু না বলে শুধুই শিলাবৃষ্টির দিকে তাকালাম। আমার রগচটা চেহারা দেখে সে ভয়ে মাথা নিচু করে বলল,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। এখন গরম ভাত রান্না করলে আযান দিয়ে দিবে। আজ একটু কষ্ট করে ঠান্ডা ভাত খেয়ে নাও না, প্লিজ! কাল থেকে আর এমন হবে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">শিলাবৃষ্টির কথা শুনে উনাকে আর কিছু বললাম না। চুপচাপ ভাতের প্লেটটা সরিয়ে রেখে টেবিল থেকে উঠে পড়লাম...</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমার বন্ধু কম; কয়েকজনমাত্র। খালিদ তাদের একজন। খালিদের বাসায় আজ ইফতারের দাওয়াত। বাসা কাছাকাছি হওয়ায় একটু তাড়াতাড়িই চলে গেলাম; একাই গেলাম। কলিংবেল বাজাতেই খালিদ দরজা খুললো। তার চেহারাসুরত দেখে তো আমি অবাক! ওর সারা মুখে পাউডারের মতো সাদা কী যেন লেগে আছে! খালিদকে বললাম, তোর এই অবস্থা কেন?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ মুচকি হেসে বললো, ইফতারি বানানোর কাজে অর্পিতাকে(খালিদের স্ত্রী) একটু হেল্প করছিলাম।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি তখন বললাম, তুই রোজা রেখে রান্নাবান্না করছিস?</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ অবাক চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো, তুই গাধা নাকি? শুধু তো আমি একা রোজা রাখিনি; অর্পিতাও তো রেখেছে। অফিস যেহেতু ছুটি সেহেতু আমি রোজা রেখে সারাক্ষণ বাসায় শুয়ে বসে দিন পার করি কিন্তু অর্পিতার কোনো ছুটি নেই। ও রোজা রেখে ঘর গুছাচ্ছে, কাপড় ধুচ্ছে, রান্নাবান্না করছে, আবার ইফতারিও বানাচ্ছে। বেগুনী, আলুর চপ, বুট-ভরা খেতে যতটা মজা এইসব বানানো ঠিক ততটাই কঠিন। ও একা হাতে সব কিছুই সামলায়; আমি মাঝে মধ্যে একটু হেল্প করি এই যা।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">ইফতারের সময় আমি আড়চোখে খালিদ আর অর্পিতাকে দেখছিলাম। অর্পিতার প্রতি খালিদের ভালোবাসা দেখে নিজেকে তখন অমানুষ মনে হচ্ছিলো। হঠাৎ অর্পিতা খালিদকে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- তোমার শরবতে তো ইসপগুলের ভুসি দিতে ভুলে গেছি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খালিদ মুচকি হেসে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আরে দূর, একদিন ইসপগুলের ভুসি না খেলে কিচ্ছু হবে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">খেতে খেতেই নিজেকে খালিদের জায়গায় দাঁড় করালাম। আজ যদি শিলাবৃষ্টি এমন ভুলটা করতো আমি হয়তো ওকে প্রচন্ড রকম গালিগালাজ করতাম, মুখে না হলেও মনেমনে; অন্যদিন যেমনটা করি। অথচ একদিন আনারসের শরবত না খেলে কিছুই হতো না। আমি শুধু আমার দিকটাই ভেবে দেখেছি, অথচ আমার পাশে একজন রোজাদার মানুষ কত কাজ করছে সেটা আমার কখনো কোনোদিন চোখেই পড়েনি! মাগরিবের পর বাসায় ফিরতে ফিরতে প্ল্যান করলাম; আজ থেকে ভালো মানুষ হয়ে যাবো, খুব ভালো, আমার শিলাবৃষ্টির কাছে, সে আমার মেহবুবা, আমার হৃদয়া, আমিও তার মেহবুব হবো আজ থেকে, তারই মতো করে; সবাই আমাকে মন্দ বলুক তাতে কিচ্ছুটি যায় আসে না।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">বাসায় পৌঁছে এশা পড়ে চুপিসারে ঘুমিয়ে গেলাম! সেহরির সময় শিলাবৃষ্টির কপালে হাত রেখে তাকে ডাক দিতেই ও তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠলো। তার হরিণী চোখদুটোতে আমাকে দেখে কিছুটা ভয়েভয়ে বললো,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমি আজকেও দেরি করে ফেললাম, তাই না? কিছু মনে করো না, প্লিজ! আমি এক্ষুণি রান্না করছি!</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">আমি মুচকি হেসে বললাম,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমি রান্না করে ফেলেছি! তবে মাছের তরকারিটা মনে হয় খুব বেশি ভালো হয়নি। আজ একটু কষ্ট করে খেয়ে নাও, প্লিজ। আর হ্যাঁ, কাল আমায় মাছের তরকারি রান্না করা শেখাবে, বিনিময়ে মুরগীর গোশত দিয়ে কীভাবে চপ বানাতে হয় সেটা তোমায় শিখাবো।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">এতদিনের আমার আজকের কথা শুনে শিলাবৃষ্টি প্রপাত ধরণিতল হয়ে আমায় কিছু বলতে চাচ্ছিল, কিন্তু ওকে থামিয়ে দিয়ে ওর হাতটা ধরে বললাম,</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">- আমার এতদিনের ব্যবহারের জন্য আমায় মাফ করে দিও, প্লিজ! কথা দিচ্ছি পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো স্বামী হয়ে তোমাকে দেখাবো। তখন তোমার চোখে আমার প্রতি ভয় না; শুধু ভালোবাসা দেখা যাবে।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;"><br /></span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">[বি. দ্র. : সকল মুসলমান ভাইদের প্রতি ভালবাসাপূর্ণ একটা অনুরোধ! আপনি যেমন রোজা রাখেন তেমনি আপনার মা বোন স্ত্রী কন্যারাও রোজা রাখে। ইফতারে দুয়েকটা আইটেম কম হলে রাগারাগি না করে বরং ইফতার বানানোর কাজে উনাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করুন। বেশি কিছু না পারলেও অন্তত শরবত বানানোর দায়িত্বটা নিজে নিন না। সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।]</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">.</span></div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: Verdana, sans-serif; font-size: large;">সংগৃহীত একটা পোস্টের ভিত্তিতে আপাতভবিষ্যতকে কল্পনার তুলিতে আঁকার খানিক প্রয়াস।</span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div>

ভালোবাসা

ভালোবাসা রায়হান ক্বাদেরি  ইফতারের সময় টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখি কোথাও আনারসের শরবত নেই। আমি স্ত্রী শিলাবৃষ্টিকে ডেকে বললাম, শুধু ...

Read more »

কে সে সৌভাগ্যবান কবি !

কে সে সৌভাগ্যবান কবি !<br /> যার জন্য মসজিদে মিম্বার নির্মিত হয়েছিল।<br /> ▪▪▪▪✍ ইমরান বিন বদরী।<br /> <br /> নাহমাদুহু  ওয়ানূসাল্লি  আলা  রাসুলীহিল  কারীম  আম্মা  বা'দ। কে  সে  সৌভাগ্যবান  ব্যক্তি  যার  কবিতা শুনার  জন্য  মসজিদেই  আলাদা  একটি  মিম্বার  তৈরী করা  হয়েছিল।<br /> <br /> আসুন  شاعر النبي  অর্থাৎ  রাসুলুল্লাহ  ﷺ  এর  কবিখ্যাত  সেই  মহাকবি  সম্পর্কে  কিছুটা  অবগত  হই। তিনি  আর  কেউ  নন; তিনি  ছিলেন  হজরত  হাসসান  ইবনে  সাবিত  রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহু (حسان بن ثابت) ।  সত্যিই  তিনি  সৌভাগ্যবান,  কারণ  তিনি    ছিলেন  মহাবিশ্বের  সর্বাধিক  সম্মানিত  ব্যক্তিটির একজন  সভাকবি।<br /> <br /> ইয়াসরিবে  তথা  বর্তমান  মদিনার  খাজরাজ  গোত্রের বনু নাজ্জারে  জন্মনেয়া  এই  হাসসান  ইবনে  সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু  যে  সময়  রাসুলুল্লাহ  ﷺ  মক্কা  থেকে  সাহাবী  এ  রাসুল  ﷺ  হজরত  আবুবকর  সিদ্দিক  রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে  নিয়ে  মদিনায়  হিজরত  করেন  তখন  উনার  বয়স  ছিলো  প্রায় ৬০ এর  কাছাকাছি। মদিনায়  ইসলাম  প্রচারের  সূচনালগ্নে  সেখানে  যেসমস্ত  আনসারী  সাহাবী  বার্ধক্যে  ইসলামের  ছায়াতলে  আশ্রয়  নিয়েছিলেন  তিনি তাঁদের  অন্যতম।<br /> <br /> ইসলামের  ইতিহাসে  তাঁর  রচিত  কাব্যিকতা  সাহিত্যে  জগতে  অনন্যস্থান  দখল  করে  নিয়েছে।  তিনি ছিলেন  একাধারে  কথাসাহিত্যিক এবং স্বরচিত কবিতার  ফুলঝুরি  ছড়ানো  কবি।  মানুষের  মনের খোরাক  জোগাতে  সুন্দর  ও  সত্য  উপস্থাপনে  সাহিত্য  সংস্কৃতিতে  তিনি  ছিলেন  অদ্বিতীয়।  তৎকালীন  আমলে  কবিদের  শ্রেষ্ঠত্ব  ছিলো  স্বরণে রাখার  মত । এখানে  একটি  কথা  বলতে  হয়  যে- হজরত  হাসসান  বিন  সাবিত  রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহু  সেই  সময়ে  কাফিরেরা  মহানবী  ﷺ  কে  নিয়ে  ব্যঙ্গকরে  কোন  কবিতা  লিখলে  তার  উত্তরে  তাঁরই  কবিতা  ছিলো  অপ্রতিরোধ্য।<br /> <br /> শুধু  কি  তাই!  রাসুল  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি ওয়াসাল্লামও  তাঁর  কবিতা  শুনতে  অত্যন্ত  ভালোবাসতেন ।  তবে  সেই  কবিতার  অর্থ  সমার্থ আর  ভাবধারা  আমাদের  দেশের  কিছু  কিছু  কবিদের  কাব্যের  নামে  নষ্টামি  মেশানো  কোন কবিতা  নয় । ইসলামিক  ভাবধারায়  সেসব  কবিতা রচিত হতো।<br /> <br /> ▪ সর্বাধিক  হাদিস  বর্ণনাকারী  হজরত  আবু  হুরাইরা  রাদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা  আনহু  রাসুলে  পাক  ﷺ  হতে  বর্ণনা  করেন ।  তিনি বলেছেন,  আরব্য  কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম বাণী হচ্ছে লাবীদের এই চরণঃ<br /> <br /> أَلا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلا اللَّهَ بَاطِلٌ<br /> <br /> অর্থাৎ; সাবধান  আল্লাহ  ছাড়া  সব  কিছুই ধ্বংসশীল। (মুসলিম ৬০২৫/ইবনে হিব্বান ৫৭৮৩)<br /> <br /> এতেই স্পষ্ট  যে ইসলামিক ভাবধারার  কবিতা রচনায় সাধারণ  মুসলমানরা  বরং  সুপথগামীই হয়।<br /> <br /> হজরত  হাসসান  বিন সাবিত  রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ইসলাম  গ্রহণের পূর্বেও  ততকালীন  সময়ের বিবেচনায়  ছিলেন  আরবের শ্রেষ্টতম কবি । তাঁর খ্যাতি  ছিলো  গোটা  আরব জুড়ে । সেসময়  আরবের  কবিতা  প্রেমিকদের  মুখে  মুখে  উচ্চারিত  হতো  তাঁর কবিতার পংক্তি। তিনি  রাহমাতুল্লীল  আলামীন নবী  ﷺ  কে পেয়েছেন, দেখেছেন  আর মনপ্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছেন  খুব কাছ  থেকেই । সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ  ঘটেছে তাঁর  রচিত কবিতা  সমুহে । রাসুল ﷺ কে  ভালোবেসে  তিনি  লিখেছিলেন;<br /> <br /> وأحسن منك لم ترقط عيني،<br /> وأجمل منك لم تلد النساء،<br /> خلقت مبرأ من كل عيب،<br /> كأنك قد خلقت لما تشاء.<br /> وضم الإله اسمه إلى اسمه،<br /> إذا قال في الخمس المؤذن أشهد،<br /> وشق له من اسمه ليجله،<br /> فذو العرش محمود وهذا محمد.<br /> <br /> এছাড়াও  বহুল  প্রচারিত নাতে  রাসুল  ﷺ<br /> <br /> 🖌আসসুবহু বাদা মিন তা'য়াল আতিহী,<br /> ওয়াল্লাইলু দাজা মিও্যয়াফরাতিহী।<br /> <br /> 🖌কানজুল কারামি মাওলান নিয়ামী,<br /> হাদি'ল উমামী লে শারিয়াতিহী।<br /> <br /> এর মূল রচয়িতাও নাকি হজরত হাসসান ইবনে সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।<br /> <br /> হজরত  হাসসান  ইবনে  সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কবিতা  রচনা  করে  বুঝিয়ে দিয়েছেন, বস্তুত কবিতার মূল উদ্দেশ্য  হচ্ছে  সত্যে  প্রচারে  সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মানে কার্যকরী  ভূমিকা  রাখা । অন্যায় ও অসত্যের প্রতিবাদে, সত্য ও  ন্যায়কে  বিজয়ী করার মানসেই কবিতা রচিত  হওয়া  উচিৎ বলে মনেকরি । তিনি হজরত  মুয়াবিয়া  রাদ্বিয়াল্লাহু  আনহুর খেলাফত এর সময় শতাধিক  বয়সে  ইন্তেকাল করেন।<br /> <br /> তিনি এমন এক  অদ্বিতীয় কবি  ছিলেন যাঁর কেবল কবিতা পাঠের জন্য  মসজিদের মাঝে  একটি মিম্বার স্থাপন  করেছিলেন।  আসুন সেটি  উম্মুল মু'মিনীন হজরত  আয়িশা সিদ্দিকা  রাদ্বিয়াল্লাহু  তায়ালা আনহার জবানে শুনি।<br /> <br /> : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَضَعُ لِحَسَّانَ بْنِ ثَابِتٍ مِنْبَرًا فِي الْمَسْجِدِ يَقُومُ عَلَيْهِ قَائِمًا يُفَاخِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ قَالَ : يُنَافِحُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَيَقُولُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " إِنَّ اللَّهَ يُؤَيِّدُ حَسَّانَ بِرُوحِ الْقُدُسِ , مَا يُنَافِحُ أَوْ يُفَاخِرُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " .<br /> <br /> তিনি  বলেন, রাসূলুল্লাহ  ﷺ  হাসসান ইবেন সাবিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর  জন্য মসজিদে একটি মিম্বার স্থাপন করেছিলেন যেন  তিনি রাসূলুল্লাহ  ﷺ  এর প্রশংসার কবিতা  পাঠ করেন অথবা  তিনি বলেছেন, যেন  তিনি  রাসূলুল্লাহ  ﷺ  এর পক্ষ হতে কাফিরদের নিন্দাবাদের উত্তর দেন।  রাসূলুল্লাহ  ﷺ  বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ!  রূহুল কুদস ( হজরত জিবরীল আলাইহিসসালাম )  দ্বারা  হাসসানকে সাহায্য করেন যতক্ষণ পর্যন্ত সে রাসূলুল্লাহ  ﷺ  এর প্রশংসা করবে কিংবা কাফিরদের  নিন্দার  উত্তর দেবে।<br /> (আবু দাউদ ৫০১৭ / মুস্তাদারাকে হাকেম ৬০৫৮)<br /> <br /> আমার রাসুল সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লামকে উদ্দেশ্য  করে  তিনি  বলেছিলেন ;<br /> <br /> 👉 তোমার চোখের মত ভালো চোখ পৃথিবীতে নেই,<br /> এবং কোনোও মাতা এমন সুন্দর পুত্র আর<br /> প্রসব করেনি জানি বিশ্বে কোথাও।<br /> <br /> 👉 তোমার সৃজন সে তো একেবারে দোষমুক্ত করে<br /> এবং তুমিও তাই চেয়েছিলে আপন ইচ্ছায়;<br /> তোমার তারিফ এই পৃথিবীতে বেড়েই চলেছে<br /> যেমন কস্তুরী ঘ্রাণ বাতাসে কেবলি ছুটে চলে।<br /> <br /> সুবহানাল্লাহ!<br /> কতইনা প্রেমময় কবিতা তিনি লিখেছিলেন সরদারে কায়েনাতের উদ্দেশ্যে । সত্যিই তিনি ছিলেন ইসলামি ঐতিহ্যের ধারক বাহক একজন সাহাবী এ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । আজ এ পর্যন্ত। আল্লাহ হাফিজ।<br /> ......

কে সে সৌভাগ্যবান কবি !

কে সে সৌভাগ্যবান কবি ! যার জন্য মসজিদে মিম্বার নির্মিত হয়েছিল। ▪▪▪▪✍ ইমরান বিন বদরী। নাহমাদুহু  ওয়ানূসাল্লি  আলা  রাসুলীহিল  কারীম  আম্ম...

Read more »

ক্বদর রজনী

<p dir="ltr">★   <b><i>লাইলাতুল ক্বদর </i></b>   ★<br> ══════❖══════✍️ইমরান বিন বদরী </p> <p dir="ltr">নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম।।আম্মা বা’দঃ</p> <p dir="ltr">সমস্ত প্রশংসা পরম করুণাময় রাব্বুল আলামীন আল্লাহ তা'য়ালার জন্য; আর সালাত ও সালাম আমার প্রিয়নবী সায়্যাদুল মুরসালীন মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি।</p> <p dir="ltr">❖ ক্বদর রাত ➲<br> সুপ্রিয় পাঠক, আমাদের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় আবারো ফিরে এসেছে সেই মহান রাত, যে পবিত্র রাতে কুরআনে কারীম নাজিল হয়েছিলো। যে রাত গুনাহ মাফের, যে রাত আল্লাহর দরবারে দোয়া কবুল করার এবং  আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের রাত। যে রাত প্রতি বছর আসে পাপ-পঙ্কিলতায় জর্জরিত মানব জাতিকে সীমাহীন রহমতের ছায়ায় চির শান্তির আবাস জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দিতে। যে রাতটি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত ও বরকতের প্লাবনের রাত। মাগফিরাতের এ রাতটি উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য মহান আল্লাহ পাকের রহমতের উপহারের রজনী। যাকে ''লাইলাতুল ক্বদর'' বলা হয়।</p> <p dir="ltr">লাইলাতুন আরবি শব্দটির অর্থ হচ্ছে রাত বা রজনী। আর ‘ক্বদর’ শব্দের অর্থ হলো মর্যাদা বা মহিমান্বিত। সুতরাং একত্রে لیلة القدر এর অর্থ হচ্ছে মহিমান্বিত রজনী বা পবিত্র রজনী। ফার্সিতে এ রাতকে তারা শবে ক্বদর বলে যা আমাদের দেশেও ব্যবহৃত হয়।</p> <p dir="ltr">এ রাত্রিতে আল্লাহ সুবহানআল্লাহু তা‘আলা পবিত্র কুরআন কারীমকে ''লাউহে মাহফুয'' থেকে প্রথম আসমানে নাযিল করেন। তাছাড়া অন্য আরেকটি মত আছে যে, 'লাইলাতুল কদর' রাতে মক্কার নূর পর্বতের হেরা গুহায় সূরা আলাক্বের প্রথম পাঁচটি আয়াত প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সর্বপ্রথম নাজিল হয়। অনেকের মতে এ রাতে ফেরেশতা হজরত জিব্রাঈল (আঃ) এর নিকট সম্পূর্ন কুরআন অবতীর্ন হয় যা পরবর্তিতে পর্যায়ক্রমে ২৩ বছর ধরে রহমাতুল্লীল আলামীন নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তা এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট আয়াত আকারে নাজিল করা হয়। আমার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেদিকে গিয়েছে জিব্রাঈল আলাইহিসালাম সেদিকে ঐশি বানী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। মোটকথা এ রাতের গুরুত্ব অপরিসীম।</p> <p dir="ltr">সুপ্রিয় বন্ধুরা,পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশদিনের বেজোড় রাতে অর্থাৎ ২১. ২৩. ২৫. ২৭. ২৯ তারিখের একটি রাত । একটা মানুষ যদি জীবনে সঠিকভাবে এমন একটি রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে রাজী করাতে পারেন তবে সে যেন জীবনের প্রায় সবটুকু সময় ইবাদতের মাজেই পার করলো। কারণ এ রাতটি হাজার মাসের ন্যায়। আপনি যদি ১ হাজার মাস চিন্তা করেন তাও প্রায় ৮৩ বছরের উপরে যা গড়ায়ুতে আমাদের বয়সের বেশী।</p> <p dir="ltr">📖 হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমাযানের ২৭ শে রজনীতে অনুসন্ধান করে।<br> (মুসনাদে আহমদ)</p> <p dir="ltr">📖 হযরত উবাই ইবনে কাব রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, তিনি বলেন যে, আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে 'কিয়ামুল্লাইল' করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমযানের ২৭ তম রাত।<br> (মুসলিম ২৩৬৪)</p> <p dir="ltr">📖 ইমামুনা ইমামে আ’যম হযরত আবূ হানীফা (রহঃ) ২৭ তারিখের রাত'কে অর্থাৎ ২৬ তারিখ দিবাগত রাতকে পবিত্র 'ক্বদর রজনী' হিসেবে অধিক সম্ভাব্য বলেছেন।</p> <p dir="ltr">♥ সত্যিকার অর্থে উম্মতে মুহাম্মদীর জন্য লাইলাতুলকদর আল্লাহ পদত্ত এটা অনেক বড় নিয়ামত। যে নিয়ামত আজ আমাদেরকে হাতচানি দিচ্ছেন। সল্প এ জীবনে আগামী বছর এ রাত পাব কিনা তা কেবল আল্লাহ পাকেই ভালো জানেন।</p> <p dir="ltr">📗 এ বিষয়ে মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন,<br> وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ<br> লাইলাতুল কদর সমন্ধে আপনি কি জানেন ? <br> لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ <br> লাইলাতুল কদর হল হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।<br> (সূরা ক্বদর, আয়াত ২-৩)</p> <p dir="ltr">📘 হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে,<br> عن عائشة عليها السلام قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم تحروا ليلة القدر فى الوتر من العشر الاواخر من رمضان.<br> উম্মুল মু'মিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমরা পবিত্র রমযান শরীফ-এর শেষ দশ দিনের বেজোড় রাতে (শবে ক্বদর) লাইলাতুল ক্বদর তালাশ করো। <br> (মুত্তাফাকুন আলাই)</p> <p dir="ltr">➲ হযরত আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের  মধ্যম দশকে ই'তিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ই'তিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এল, যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ই'তিকাফ হতে বের হবেন, তিনি বললেনঃ যারা আমার সংগে ই'তিকাফ করেছে  তারা যেন শেষ দশক ইতিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত (লাইলাতুল কদর) দেখানো হয়েছিল। পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে  দেয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে  পেয়েছি যে, ঐ রাতের  সকালে আমি কাদা-পানির  মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তালাশ কর। পরে এই রাতে আকাশ হতে বৃষ্টি বর্ষিত হল , মসজিদের ছাদ ছিল খেজুর পাতার ছাউনির। ফলে  মসজিদে  টপটপ করে  বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের রাতের সকালে রাসূলেপাক  সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এর কপালে কাদা- পানির চিহ্ন আমার দু’চোখ দেখতে পায়। <br> (মুত্তাফাকুন আলাই)</p> <p dir="ltr">➲ হযরত মুহাম্মাদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) উকবা ইবনু হুরায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি হজরত ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশদিনে কদরের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দূর্বল অথবা অপারগ হয়ে পরে, তবে সে যেন শেষ সাত রাতে অলসতা না করে।<br> (সহীহ মুসলিম ২৬৩৬)</p> <p dir="ltr">➲ হজরত আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, রসুলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি লাইলাতুল ক্বাদরে ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদাত করে, তাঁর পিছনের সমস্ত গুনাহ মাপ করা হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানসহ সওয়াবের আশায় রমযানে সিয়াম পালন করবে, তাঁরও অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করা হবে।<br> (সহীহ বুখারি)</p> <p dir="ltr">➲ উম্মুল মু'মিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশ দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সারা রাত জেগে থাকতেন ও নিজ পরিবারের সদস্যদের ঘুম থেকে জাগাতেন এবং তিনি নিজেও ইবাদতের জন্য জোর প্রস্তুতি নিতেন।<br> (সহীহ মুসলিম)</p> <p dir="ltr">📗  আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন:-<br> ادعونى استجبلكم<br> অর্থ: “তোমরা আমার নিকট দোয়া করো আমি তোমাদের দুয়া কবুল করবো।”<br> এ রাত্রিতে আল্লাহ পাক বান্দার দোয়া কবুল করে থাকেন।</p> <p dir="ltr">❖ লাইলাতুল কদর রাতের কিছু আলামত ➲</p> <p dir="ltr">হাদীস শরীফ এ লাইলাতুল কদর রাতের কিছু আলামত বর্ণিত আছে। সেগুলো হল :<br> (১) রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। <br> (২) নাতিশীতোষ্ণ হবে। অর্থাৎ গরম বা শীতের তীব্রতা থাকবে না।<br> (৩) মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হতে থাকবে।<br> (৪) সে রাতে ইবাদত করে মানুষ অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ করবে। <br> (৫) কোন ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে হয়তো তা জানিয়েও দিতে পারেন।<br> (৬) ঐ রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে।<br> (৭) সকালে হালকা আলোকরশ্মিসহ সূর্যোদয় হবে। যা হবে পূর্ণিমার চাঁদের মত।<br> (সহীহ বুখারী ২০২১, মুসলিম ৭৬২)</p> <p dir="ltr">❖ লাইলাতুল কদরের বিশেষ দুয়া ➲</p> <p dir="ltr">উম্মুল মু'মিনীন হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা লাইলাতুল ক্বদর সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, হে রাসুলুল্লাহ! আমি যদি লাইলাতুল কদর পাই তখন কী করব? তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মত দেন, তুমি বলবে,<br> “اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي”<br> উচ্চারণ: ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউবুন তুহিব্বুল আ’ফওয়া, ফা’ফু আন্নী।<br> অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসেন অতএব, আমাকে ক্ষমা করুন।<br> (তিরমিযি, ইবনে মাজাহ ২/১২৬৫)</p> <p dir="ltr">আসুন ➲  আমাদের সকল প্রচেষ্টা দিয়ে এ রাতের ইবাদতে ব্রতী হওয়া জরুরি। লাইলাতুল ক্বদর-এ অনেক আমলই করা যায়। তা হলো-নামায পড়া। কুরআন শরীফ তিলাওয়াত করা।ছলাতুত তাসবীহ পড়া। দুরূদ শরীফ পাঠ করা। যিকির-আযকার করা। তাহাজ্জুদের নামায পড়া। দোয়ার মাধ্যমে বেশি বেশি আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করা। তওবা ইস্তিগফার করা।সিজদার মধ্যে তাসবীহ পাঠ শেষে দোয়া করা। কেননা সিজদাবনত অবস্থায় মানুষ তার রবের সবচেয়ে নিকটে চলে যায়। </p> <p dir="ltr">♥ হে আল্লাহ ! আমাদের সবাইকে রমজান মাসের এ রাতে ইবাদতে ব্রতী হওয়ার তৌফিক দান কর। আমীন। সবার প্রতি অধমের জন্য দোয়া'র আর্জি রইলো।</p>

ক্বদর রজনী

★   লাইলাতুল ক্বদর     ★ ══════❖══════✍️ইমরান বিন বদরী নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লি আলা রাসূলিহিল কারীম।।আম্মা বা’দঃ সমস্ত প্রশংসা পরম করুণাময় র...

Read more »