ইসলামী বিশ্বকোষ

Showing posts with label মু'মিন. Show all posts

৭তম হাদিসঃ দুনিয়াটা মুমিন ও কাফেরের জন্য কেমন?

৭তম হাদিসঃ দুনিয়াটা মুমিন ও কাফেরের জন্য কেমন?

৭তম হাদিসঃ দুনিয়াটা মুমিন ও কাফেরের জন্য কেমন? عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ الدُّنْيَا سِجْنُ...

February 06, 2019

৮ম হাদিসঃ সর্বোত্তম ব্যক্তি

৮ম হাদিসঃ সর্বোত্তম ব্যক্তি

৮ম হাদিসঃ সর্বোত্তম ব্যক্তি عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ : قِيلَ : يَا رَسُولَ اللَّهِ مَنْ أَكْرَمُ النَّاسِ ؟ قَا...

February 06, 2019

আল্লাহ্ তায়ালা বেহেশতে মুমিনদের জন্য যা নির্মাণ করেছেন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
</div>
<span style="color: #38761d;"><b><br /></b></span>
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEims2HYzYM-weRjWD_GJlukQ2fqGJI7qRFBd3xNEKjlcNPfeiTBnnor1FPKSq3OQ870nUtn8aSKsRjtIjaEMHXRiGKyvh_Kredj4WjZPw-9r4sT-0QAn7cCGAYIStdEom2y0CqLzOaLlaI/s1600/IMG_20190117_114519.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1000" data-original-width="1600" height="250" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEims2HYzYM-weRjWD_GJlukQ2fqGJI7qRFBd3xNEKjlcNPfeiTBnnor1FPKSq3OQ870nUtn8aSKsRjtIjaEMHXRiGKyvh_Kredj4WjZPw-9r4sT-0QAn7cCGAYIStdEom2y0CqLzOaLlaI/s400-rw/IMG_20190117_114519.jpg" width="400" /></a></div>
<span style="color: #38761d;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #38761d;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #38761d;"><b>কিতাবঃ রিয়াদুস সালেহীন</b></span><br />
<span style="color: #38761d;"><b><br /></b></span>
<span style="color: #38761d;"><b>আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“নিশ্চয় খোদাভীরুরা বাগান ও নির্ঝরিনীসহূহে থাকবে। তাদেরকে বলা হবেঃ এগুলোতে নিরাপত্তা ও শান্তি সহকরে প্রবেশ কর।</b></span><br />
<span style="color: #38761d;"><b>তাদের অন্তরে যে ক্রোধ ছিল, আমি তা দূর করে দেব। তারা ভাই ভাইয়ের মত সামনা-সামনি আসনে বসবে। সেখানে তাদের মোটেই কষ্ট হবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিস্কৃত হবে না।” (সূরা আল হিজরঃ ৪৫,৪৬,৪৭,৪৮)</b></span></div>
</blockquote>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>তিনি আরো বলেছেনঃ</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“সেই দিনটি যখন আসবে, তখন খোদাভীরুরা ছাড়া অন্য সব বন্ধুবর্গ সেদিন একে অপরের শত্রু হবে। যারা আমাদের আয়াতসমূহের প্রতি ঈমান এনেছিল এবং অনুগত বান্দা হয়েছিল তাদেরকে সেদিন সম্বোধন করে বলা হবেঃ হে আমার বান্দাগণ, তোমাদের আজ কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। তোমরা আমার আয়াতসমূহে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলে এবং তোমরা আজ্ঞাবহ ছিলে। জান্নাতের প্রবেশ কর তোমরা এবং তোমাদের স্ত্রীগণ সানন্দে। তাদের কাছে পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পানপাত্র এবং তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তোমরা তথায় চিরকাল অবস্থান করবে। তোমারা পৃথিবীতে যে সব ভাল কাজ করেছিলে তার বিনিময়ে এই জান্নাতের উত্তরাধিকারী হয়েছ। তথায় তোমাদের জন্যে আছে প্রচুর ফল-মূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।” (সূরা যুখরুফঃ ৬৭-৭৩)</b></span></div>
</blockquote>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>তিনি আরো বলেছেনঃ</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“নিশ্চয় খোদাভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে। বাগ-বাগিচা ও ঝর্ণাধারার মধ্যে পাতলা রেশমী ও মোটা রেশমী পোশাক পরিহিত অবস্থায় সামনা-সামনী আসনে বসবে। এরূপই হবে তাদের অবস্থা। আর আমি তাদেরকে হুরদের সাথে বিয়ে করিয়ে দিব। সেখানে তারা পূর্ণ নিশ্চয়তায় সব রকমের সুস্বাদু জিনিসসমূহ চেয়ে নেবে। তারা সেখানে তারা কখনো মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করবে না। দুনিয়ায় একবার যে মৃত্যু তাদের হয়েছে তা হয়েই গেছে। আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহে তাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করবেন। আপনার পালনকর্তার কৃপায় এটাই মহা সাফল্য।” (সূরা দুখানঃ ৫১-৫৭)</b></span></div>
</blockquote>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>তিনি আরো বলেছেনঃ</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“নিশ্চয় সৎলোকগণ থাকবে অফুরন্ত সুযোগ-সুবিধার মধ্যে। উচ্চ আসনে আসীন হয়ে দৃশ্যাবলী দর্শন করতে থাকবে। আপনি তাদের মুখমন্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবেন। তাদেরকে মোহর করা বিশুদ্ধ পানীয় পান করানো হবে। তার উপর মিশকের সীল লাগানো থাকবে। যেসব লোক অন্যদের উপর প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করতে চায়, তারা যেন এ জিনিস লাভের জন্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হতে চেষ্টা করে। এই পানীয় হবে তসনীম মিশ্রিত। এটা একটা ঝরণা, যার পানি পান করবে নৈকট্যশীল লাভকারী ব্যক্তিরা্‌ই।” (সূরা মুতাফফিফীনঃ ২২-২৮)</b></span></div>
</blockquote>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b><br /></b></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮২. হযরত জাবের (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতবাসীগণ বেহেশতের খাদ্য খাবে এবং পানীয় বস্তু পান করবে। কিন্তু সেখানে তাদের পায়খানার প্রয়োজন হবে না, তাদের নাকে শেশ্মা বা ময়লা জমবে না এবং তারা পেশাবও করবে না। ঢেকুরের মাধ্যমে তাদের পেটের খাদ্য দ্রব্য হযম হয়ে মেশকের সুঘ্রাণের মতো বেরিয়ে যাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণের মতই তারা তাসবীহ ও তাকবীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৩. হযরত আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন সব বস্তু তৈরি করে রেখেছি, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান তার বর্ণনা কখনো শুনেনি। আর কোন মানুষ কোন দিন তার ধারনা বা কল্পনাও করতে পারেনি। এ কথার সমর্থনে তোমরা এ আয়াত পাঠ করতে পার, ………………</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“নেক কর্মের প্রতিদান স্বরূপ তাদের জন্য চক্ষু শীতলকারী যেসব সামগ্রী গোপন রাখা হয়েছে, তা কোন প্রাণীই জানে না।” ( সূরা আশ শাজাদাঃ ১৭) (বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
</blockquote>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৪. হযরত আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, সর্বপ্রথম যে দল বেহেশতে যাবে তাদের চেহারা পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে। এরপর যারা যাবে তাদের চেহারা ঝিকমিক করা তারকার মতো আলোকিত হবে। তাদের চিরুনী হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মেশকের মতো সুঘ্রাণ। তাদের ধুমদানী সুঘ্রাণ কাঠ দিয়ে জ্বালানো হবে। আয়তলোচনা হূর হবে তাদের স্ত্রী। তাদের দৈহিক গঠন হবে এক প্রকারের। দৈহিক অভ্যাস একই রকম হবে। উচ্চতায় তারা তাদের আদি পিতা হযরত আদম (আ) -এর মত ষাট হাত লম্বা হবে। (বুখারী)</b></span><br />
<span style="color: #38761d;"><b>বুখারী ও মুসলিম শরীফের অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, তাদের ব্যবহার্য পাত্র হবে স্বর্ণের। তাদের ঘাম হবে মেশকের মতো সুগন্ধ। তাদের প্রত্যেককে দু’জন করে স্ত্রী দেয়া হবে। তারা এত সুন্দরী হবে যে, তাদের উরুর হাড়ের মজ্জা মাংসের ভিতর দিয়ে দেখা যাবে। তাদের পরস্পরের মধ্যে কোন মতানৈক্য বা হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের মন হবে একই ব্যক্তির মনের মতো। সকাল-সন্ধ্যায় তারা আল্লাহর পবিত্রতা ও মহত্ত্ব বর্ণনা করতে থাকবে।</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৫. হযরত মুগীরা ইবেন শু’বা (রা) রাসূলুল্লাহ (স) থেকে বর্ণনা করেছেন। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, হযরত মূসা (আ) তাঁর রবকে জিজ্ঞেস করেন, সবচেয়ে কম মর্যদায় বেহেশতী কে? মহান আল্লাহ বলেন, সে ঐ ব্যক্তি যে বেহেশবাসীদেরকে বেহেশতে দেয়ার পর আসবে। তাকে বলা হবে বেহেশতে যাও। সে বলবে হে বর! সব লোক নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান নিয়েছে এবং নিজেদের প্রাপ্য অংশগ্রহণ করেছে, তাই আমি এখন বেহেশতে গিয়ে কিভাবে স্থান পাবো। তাকে বলা হবে তোমাকে যদি পৃথিবীর কোন বাদশাহ বা শাসকের রাজ্যের সমান এলাকা দেয়া হয় তবে কি সন্তুষ্ট হবে। সে বলবে হে রব! আমি এতে সন্তুষ্ট হলাম। এবার মহান আল্লাহ তাকে বলবেন, তোমাকে তাই দেয়া হল, এরপরও তার সমান আরো, এরপর তার সমান আরো, এবং এরপর ঐগুলোর সমান আরও অতিরিক্ত দেয়া হল। পঞ্চমবারে সে বলবে, হে রব, আমি সন্তুষ্ট হলাম। এবার মহান আল্লাহ তাকে বলবেন, তোমাকে এসবের মত আরো দশগুণ দেয়া হল। তোমার অন্তর যা কামনা করে, তোমার চোখ যাতে পরিতৃপ্ত হয় সেসব বস্তু তোমাকে দেয়া হল। সে বলবে, হে আল্লাহ আমি সন্তুষ্ট হলাম। হযরত মূসা (আ) বলেন, হে রব! বেহেশতে সবচেয়ে বেশি মর্যাদাবান কে হবে? মহান আল্লাহ বলেন, যাদেরকে আমি মর্যাদা আমি মর্যাদা দিতে চাইব আমি নিজে তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত করব। তাদেরকে সীলমোহর দিয়ে চিহ্নিত কর। তাদেরকে এমন কিছু দেয়া হবে যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কন কোন দিন শোনেনি এবং মানবের কল্পনা তার ধারে কাছেও পৌঁছতে পারে না। (মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৬. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, আমি জানি কোন দোযখী সর্বশেষ দোযখ হতে বেরিয়ে আসবে অথবা কোন বেহেশতী সর্বশেষ বেহেশত যাবে। এক ব্যক্তি নিতম্বের উপর ভর দিয়ে হেচড়েতে হেচড়েতে দোযখ হতে বেরিয়ে আসবে। মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর তাকে বলবেন, যাও বেহেশতে গমন কর। সে বেহেশতের কাছে গেল তবে তা ইতোমধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে রব বেহেশত তো পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি গিয়ে বেহেশতে যাও। সে আবার যাবে। কিন্তু তার মনে হবে বেহেশত তো ইতোমধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সে ফিরে এসে বলবে, হে রব! আমি দেখলাম বেহেশত ভরপুর হয়ে গিয়েছে। মহান ও সর্বশক্তিমান আল্লাহ তাকে বলবেন, তুমি বেহেশত যাও। কেননা, তোমার জন্য পৃথিবীর সম পরিমাণ এবং অনুরূপ আরো দশ গুণ অথবা আমার সাথে হাসি-ঠাট্টা করছেন অথচ আপনি সব কিছুর একচ্ছল মালিক। ইবন মাসউদ (রা) বলেন আমি দেখলাম রাসূলুল্লাহ (স) এ কথা বলে এনমভাবে হাসলেন যে তার পবিত্র দাত দেখা যাচ্ছিল । তিনি বলছিলেন এই ব্যক্তি হবে সবচেয়ে কম মর্যদার বেহেশতী । ( বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৭. হযরত আবু মূসা (রা) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন বেহেশতের মধ্যে প্রত্যেক মু’মিন ব্যক্তির জন্য একক একটি ফাক মুক্তার তৈরি তাবু থাকবে। তার উচ্চতা হবে ষাট মাইল। ঈমানদার ব্যক্তির পরিবারের ব্যক্তিরা এর মধ্যে বসবাস করবে। মু’মিন ব্যক্তি তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবে। কিন্তু তারা অপরের কারো সাক্ষাৎ পাবে না। (বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৮. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) নবী করীম (স) থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন বেহেশতের একটি গাছ রয়েছে। এক দ্রম্নতগামী ঘোড়ায় আরাহী হয়ে কোন ব্যক্তি যদি একাধারে একশ বছর চলতে থাকে, তবুও তা অতিক্রম করে শেষ করতে পারবে না। ( বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৮৯. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) নবী করীম (স) থেকে বর্ণনা করেছেন। নবী করীম (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতবাসীরা তাদের উপরতলার কক্ষের ব্যক্তিদেরকে এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমনভাবে তোমরা পূর্ব অথবা পশ্চিম দিগন্তে উজ্জ্বল তারকাসমূহ দেখতে পাও। তাদের পরস্পরের মর্যাদার পার্থক্যের হেতুতে এরূপ হবে। সাহাবায়ে কেরাম (রা) জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! নবীদের ঐ স্তরসমূহ যা অপর কেউ লাভ করবে না? তিনি বলেন, কেন পৌঁছতে পারবে না! সেই সত্তার শপথ যাঁর হাতে আমার জান! যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং নবীদেরকে সত্য মেনে নিয়েছে তারা ঐ স্তরে যেতে সক্ষম হবে। (বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯০. হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতের একটি ধনুক স্থান দুনিয়াতে সূর্যের উদয় ও অস্তাচলের মধ্যবর্তী স্থানের সব কিছুর চাইতেও মহা মূল্যবান। ( বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯১. হযরত আনাস (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতের মধ্যে প্রতি শুক্রবারে একটি বাজার বসবে। বেহেশতাবাসীরা সেখানে যাবে। তখন উত্তর দিক হতে একটা বায়ু প্রবাহিত হয়ে তাদের চেহারা ও পোশাক-পরিচ্ছদ ছড়িয়ে পড়বে। আর তাতে তাদের রূপ সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় যখন তারা নিজেদের সংসার-পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করবে তখন তারা বলবে, আল্লাহর শপথ! তোমাদের রূপ-সৌন্দর্য অধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে তারাও বলবে আল্লাহর শপথ! তোমাদেরও রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ( মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯২. হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, “বেহেশতবাসীরা তাদের কক্ষে বসে একে অপরকে এমনভাবে দেখতে পাবে যেরূপ তোমরা আকাশের তারকাসমূহকে দেখতে পাও।” (বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৩. হযরত সাহল ইবনে সা’দ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী করীম (স) -এর সাথে এক সমাবেশে উপস্থিত ছিলাম। তিনি সেখানে বেহেশতের বর্ণনা দিলেন। পরিশেষে তিনি বলেন, বেহেশতের মধ্যে এমন সব বস্তু রয়েছে যা চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান (তার র্বণনা) কখনো শুনেনি এবং কারো অন্তর কখনো তা কল্পনা করতে সক্ষম হয়নি। এরপর তিনি এ আয়াত এ আয়াত পাঠ করেন। যার অর্থ হল “তাদের পিঠ শয্যা হতে পৃথক হয়ে থাকে, নিজেদের রবকে ডাকে ভয় ও আশা সহকারে। আমি তাদেরকে যা কিছু দিয়েছি তা হতে ব্যয় করে। তাছাড়া তাদের কাজের প্রতিফল স্বরূপ তাদের চোখ শীতলকারী যেসব সামগ্রী গোপন রাখা হয়েছে, যা কোন প্রাণীই অবগত নয়।” (সূরা আস-সাজদাঃ ১৬-১৭) (বুখারী ও মুসলিম) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৪. হযরত আবু সাঈদ ও আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতবাসীরা বেহেশতের যাওয়ার পর একজন ঘোষক ঘোষণা দেবে, তোমরা চিরকাল সুস্থ থাকবে, আর কখনো অসুস্থ হবে না; তোমরা চিরকাল তরুন থাকবে, কখনো বৃদ্ধ হবে না, তোমার চিরকাল সুখে থাকবে, কখনো দুঃখ কষ্ট পাবে না।” (মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৫. হযরত আবু হোরায়রা থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতে তোমাদের একজন সর্বনিম্ন মর্যাদার ব্যক্তিকে বলা হবে, তুমি চাও। এরপর সে চাইবে, আরও চাইবে। তাকে আল্লাহর তায়ালা বলবেন, তুমি কি চেয়েছ? সে বলবে? হ্যাঁ, আমি চেয়েছি। তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে বলবেন, তুমি যা চেয়েছ তা তার সমপরিমাণ অতিরিক্ত আরো তোমাকে দেয়া হল। ( মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৬. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (আ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, মহান ও সর্ব শক্তিমান আল্লাহ বেহেশতবাসীদেরকে বলবেন, হে বেহেশতের অধিবাসীগণ! তারা বলবে, আমরা উপস্থিত আছি। হে আমাদের প্রতিপালক! সব কল্যাণ তোমার হতে নিহিত! মহান আল্লাহ বলবেন, তোমার কি সন্তুষ্ট হয়েছ। তার বলবে, হে আমাদের রব! আমরা কেন খুশী হব না? তুমি আমাদেরকে যে অনুগ্রহ দিয়েছে তা অপর কোন সৃষ্টিকে দাও নি। মহান আল্লাহ বলবেন, এর চেয়ে উত্তম বস্তু আমি কি তোমাদের দেব না? তারা বলবে, এর চেয়ে উত্তম ও উন্নত বস্তু আর কি হতে পারে? মহান আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের উপর আমার সন্তোষ অবতীর্ণ করব। এরপর আমি আর কখনো তোমাদের উপর অসন্তুষ্ট হব না। ( বুখারী ও মুসলিম )</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৭. হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (স) -এর কাছে ছিলাম। তিনি পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকালেন এবং বলেন, তোমরা এখন চাঁদকে যেভাবে দেখতে পাচ্ছ, অচিরেই তোমাদের রবকে ও স্বচক্ষে সেভাবে দেখতে পাবে। তাঁর দর্শনে তোমরা কোনরূপ ক্লেশ বা অসুবিধা অনুভব করবে না। ( বুখারী ও মুসলিম)</b></span></div>
<hr style="background: rgb(204, 204, 204); border: 0px; box-sizing: content-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 0px; height: 1px;" />
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>১৮৯৮. হযরত সুহাইব (র) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেছেন, বেহেশতবাসীরা বেহেশতে যাওয়ার পর কল্যাণ ও বরকতের মালিক আল্লাহর তায়ালা তোমার বলবেন, তোমরা কি অধিক আর কিচু চাও? তারা বলবে, আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করে দেন নি? আপনি আমাদের বেহেশতে গমন করান নি এবং দোযখের শাস্তি হতে মুক্তি দেন নি? এ সময় আল্লাহ তায়ালা পর্দা সারিয়ে দেবেন। বেহেশতীদেরকে আল্লাহ দর্শন লাভের চেয়ে অধিক প্রিয় বস্তু আর কিছুই দেয়া হবে না। (মুসলিম)</b></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ</b></span></div>
<blockquote style="background-color: white; border-left: 6px solid rgb(223, 228, 230); box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 20px; font-style: italic; line-height: 30px; margin: 30px 0px; padding: 0px 0px 0px 30px; position: relative;">
<div style="box-sizing: border-box; padding-bottom: 0px;">
<span style="color: #38761d;"><b>“অবশ্য যেসব লোক ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের ঈমানের করণে তাদের প্রভু তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন। নিয়ামতে পরিপূর্ণ জান্নাতে যার নিন্মদেশে ঝর্ণাসমূহ প্রবাহমান তাদেরকে স্থান দিবেন। তাদের দুআ হবেঃ  “পবিত্র তোমার সত্তা হে আল্লাহ! তাদের সাদর আহবান হবে, শান্তি বর্ষিত হোক। তাদের সব কথার সমাপ্তি হবে একথা সমস্ত প্রশংসা বিশ্বপালক আল্লাহর জন্য।” (সূরা ইউনুসঃ ৯-১০)</b></span></div>
</blockquote>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>হে আল্লাহ আপনার রহমত ও অনুগ্রহ বর্ষণ করুন আপনার বান্দাহ ও রাসূল এবং উম্মী (নিরক্ষর) নবী মুহাম্মাদের উপর, তাঁর পরিবার-পরিজন, স্ত্রীগণ, সন্তান-সন্ততি তাঁর সঙ্গীদের প্রতিও যেভাবে আপনি আপনার অনুগ্রহে ধন্য করেছেন ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে। হে আল্লাহ! আপনি বরকত ও প্রাচুর্য দান করুন উম্মী নবী মুহাম্মাদকে, তাঁর পরিবার পরিজন, স্ত্রীগণ, সন্তান-সন্ততি ও সাহাবাদের প্রতি, যেভাবে ্‌আপনি জগতবাসীদের মধ্যে থেকে ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনকে বরকত ও প্রাচুর্য দান করেছেন। নিশ্চয়ই আপনি বহুল প্রশংসিত ও মহা সম্মানিত।</b></span></div>
<div style="background-color: white; box-sizing: border-box; font-family: "open sans", "helvetica neue", helvetica, arial, sans-serif; font-size: 15px; margin-bottom: 25px;">
<span style="color: #38761d;"><b>ইমাম নববী (রাহেমাহুল্লাহ) বলেনঃ “আমি এই কিতাব সংকলনের কাজ হিজরী ছয়শ’ সত্তর সনের ৪ঠা রমজান শেষ করি।”</b></span></div>
<h2 id="_" style="background-color: white; box-sizing: border-box; clear: both; font-family: nunito, sans-serif; font-size: 28px; line-height: 1; margin: 0px 0px 25px;">
</h2>
<h2 id="%e0%a6%b8%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%a4" style="background-color: white; box-sizing: border-box; clear: both; font-family: nunito, sans-serif; font-size: 28px; line-height: 1; margin: 0px 0px 25px; text-align: center;">
<strong style="box-sizing: border-box;"><span style="color: #38761d;">সমাপ্ত</span></strong></h2>
</div>

আল্লাহ্ তায়ালা বেহেশতে মুমিনদের জন্য যা নির্মাণ করেছেন

কিতাবঃ রিয়াদুস সালেহীন আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ “নিশ্চয় খোদাভীরুরা বাগান ও নির্ঝরিনীসহূহে থাকবে। তাদেরকে বলা হবেঃ এগুলোতে নিরাপ...

January 09, 2019

দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম সম্পর্কে ইসলামের বিধান ও ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডন।

<p dir="ltr">দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম সম্পর্কে ইসলামের বিধান ও ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডন।</p><p dir="ltr">একথা আজ মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট যে, ওহাবী সম্প্রদায় ক্বিয়াম বিরোধী। তারা ক্বিয়ামকে হারাম ও বিদ‘আত বলে। তারা তাদের দাবীর পক্ষে কিছু হাদীসও পেশ করে; কিন্তু এখন একথাও স্পষ্ট হয়েছে যে, তারা ওই হাদীসগুলোর অপব্যাখ্যাই করে থাকে। <br>যেমন, ওহাবীরা পেশ করে- <br>হাদীস নং-১</p><p dir="ltr"> عَنْ اَنَسٍ رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ قَالَ لَمْ یَکُنْ شَخْصًا اَحَبَّ اِلَیْہِمْ مِّنْ رَّسُوْلِ اللّٰہِ ﷺ وَکَانُوْا اِذَا رَأَوْہُ لَمْ یَقُوْمُوْا لِمَا یَعْلَمُوْنَ مِنْ کَرَاہِیَّتِہٖ لِذٰلِکَ – رَوَاہُ التِّرْمِذِیُّ وَقَالَ ہٰذَا حَدِیْثٌ حَسَنٌ صَحِیْحٌ <br>অর্থাৎ হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবা-ই কেরামের নিকট নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা অধিক প্রিয় আর কেউ ছিলো না। যখন তাঁরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লামকে আসতে দেখতেন, তখন তাঁরা দাঁড়াতেন না। কেননা, তাঁরা অবগত ছিলেন যে, তিনি এরূপ করা অপছন্দ করতেন। <br>[সূত্রঃ তিরমিযী শরীফ]।</p><p dir="ltr">হাদীস নং-২ <br>ওহাবীরা আরো উপস্থাপন করে থাকে-</p><p dir="ltr"> وَعَنْ مُعَاوِیَۃَ بْنِ اَبِیْ سُفْیَانَ رَضِیَ اللّٰہُ تَعَالٰی عَنْہُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللّٰہِ ﷺ مَنْ سَرَّہٗ اَنْ یَّتَمَثَّلَ لَہُ الرِّجَالُ قِیَامًا فَلْیَتَبَوَّأْ مَقْعَدَہٗ مِنَ النَّارِ رَوَاہُ التِّرْمِذِیُّ وَاَبُوْدَاوٗدَ <br>অর্থাৎ হযরত মু‘আভিয়া ইবনে আবূ সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এটা পছন্দ করে যে, লোকেরা তাঁর সামনে পুতুলের মত দাঁড়িয়ে থাকুক, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে তৈরী করে নেয়।”<br>[সূত্রঃ তিরমিযী, আবূ দাঊদ]।</p><p dir="ltr">হাদীস শরীফ-৩ <br>ওহাবীরা দলীল হিসেবে আরো উপস্থাপন করে-</p><p dir="ltr"> وَعَنْ اَبِیْ اُمَامَۃَ قَالَ خَرَجَ رَسُوْلَ اللّٰہِ ﷺ مُتَّکِءًا عَصًا فَقُمْنَا لَہٗ فَقَالَ لاَ تَقُوْمُوْا کَمَا تَقُوْمُ الْاَعَاجِمُ یُعَظِّمُ بَعْضُہَا بَعْضًا رَوَاہُ اَبُوْدَاوٗدَ <br>অর্থাৎ হযরত আবূ উমামা বাহেলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর করে হুজরা শরীফ থেকে বের হলেন। আমরা তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে গেলাম। হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন, ‘‘তোমরা পারস্য দেশীয় লোকদের মতো ক্বিয়াম করো না, যেভাবে তারা একজন অপরজনকে তা’যীম করে।’’ <br>[সূত্রঃ আবূ দাঊদ]।</p><p dir="ltr">সুপ্রিয় পাঠক, আসুন উপরোক্ত মুবারাক হাদিসগুলোর সঠিক ব্যাখ্যা জেনে নিই।</p><p dir="ltr">খণ্ডন-<br>উপরোক্ত তিনটি হাদীস মেশকাত শরীফেও আছে। ইমাম তিরমিযী ও ইমাম আবূ দাঊদ উক্ত হাদীসগুলো নিজ নিজ গ্রন্থে সংকলন করেছেন। বস্তুতঃ এগুলোতে বিশেষ ধরনের ক্বিয়ামকে নিষেধ করা হয়েছে। মূল ক্বিয়ামকে নিষেধ করা হয়নি। মূল ক্বিয়াম যে সুন্নাত, তার প্রমাণ বোখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে। </p><p dir="ltr">মিশকাত শরীফে ক্বিয়ামের পক্ষে হযরত আবূ হোরায়রা ও হযরত সা’দ রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমার হাদীস এবং হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরীর হাদীসও বর্ণিত হয়েছে, যা ইমাম বোখারী ও ইমাম মুসলিম বর্ণনা করেছেন, যা একটু আগে উদ্ধৃত হয়েছে। <br>সুতরাং ক্বিয়ামের পক্ষে ও বিপক্ষে বর্ণিত হাদীস শরীফ গুলোর মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান না করে নির্বিচারে ‘ক্বিয়ামকে নিষিদ্ধ’ বলা নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতার প্রমাণ বৈ-কিছু হবে না। <br>বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, ক্বিয়ামের বৈধতা ও উৎকৃষ্টতা সম্বলিত হাদীসগুলো প্রাধান্যের দাবীদার। আর বিপক্ষে বর্ণিত হাদীসগুলো ব্যাখ্যার অবকাশ ও দাবী রাখে। যেমন, হাদীস শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সর্দারের সম্মানে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন এবং অন্য হাদীসে হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর সম্মানে সাহাবীগণের দীর্ঘ ক্বিয়ামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে হুযূরের পক্ষ থেকে কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা ছিল না। <br>সুতরাং ওহাবীদের পেশকৃত তিনটি হাদীসে তিনি কি কারণে ক্বিয়াম নিষেধ করলেন, কোন্ পরিবেশে তিনি সাহাবীদের দাঁড়ানো অপছন্দ করেছেন এবং কোন্ ধরনের ক্বিয়ামকে তিনি নিষিদ্ধ করেছেন তা খতিয়ে দেখলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে।</p><p dir="ltr">হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর বর্ণিত হাদীস প্রসঙ্গ ক্বিয়াম বিরোধীদের পেশকৃত এ প্রথম হাদীসে বুঝা যায় যে, সাহাবীগণ হুযূরের আগমনে ক্বিয়াম করতেন না। কেননা তিনি ‘এরূপ ক্বিয়াম’ করা পছন্দ করতেন না। <br>‘এরূপ ক্বিয়াম’-এর ধরন সম্বন্ধে মোল্লা আলী ক্বারী আলায়হির রাহমাহ্ মিরক্বাত গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন-</p><p dir="ltr"> قَوْلُہٗ لِذٰلِکَ اَیْ لِقِیَامِہِمْ تَوَاضُعًا لِّرَبِّہٖ مُخَالِفَۃً لِّعَادَۃِ الْمُتَکَبِّرِیْنَ <br>অর্থাৎ নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের এ ধরনের ক্বিয়ামকেই অপছন্দ করতেন- মহান রব আল্লাহর জন্য বিনয় প্রকাশার্থে এবং অহংকারী ব্যক্তিদের প্রথা বা অভ্যাসের বিরোধিতার নিমিত্তে।<br>[সূত্রঃ মিরক্বাত]।</p><p dir="ltr">অন্য একটি জবাব হলো- হাদীসখানা সাহাবীর ব্যক্তিগত অভিমত। এটা হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর ভাষ্য নয়। <br>হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর অনুমোদিত ক্বিয়াম হলো, যা হযরত আবূ সা‘ঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু ও হযরত আবূ হোরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বর্ণনা করেছেন।</p><p dir="ltr">তৃতীয় জবাব হলো- এ অপছন্দ ছিল বিনয়মূলক; নিষেধ মূলক নয়। মোল্লা আলী ক্বারীর ব্যাখ্যা দ্বারা একথা সুস্পষ্ট হয় যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম মূল ক্বিয়ামকে অপছন্দ করতেন না; বরং বিনয়বশতঃ দরবারের নিয়মে কৃত অথবা অহংকারীদের ক্বিয়ামকেই তিনি অপছন্দ করতেন। আর সাহাবীগণ ওই ধরনের ক্বিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। হযরত আনাসের বর্ণনার উদ্দেশ্যও তাই। হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর সাথে তিনিও মসজিদে হুযূরের সম্মানে ক্বিয়াম করতেন। সুতরাং হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম অহঙ্কারমূলক ক্বিয়ামকেই অপছন্দ করতেন। তা’যীমী ও বিনয়মূলক ক্বিয়াম সাহাবীগণের আমল ছিলো। এটিই সঠিক ব্যাখ্যা। </p><p dir="ltr">হযরত মু‘আভিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হাদীস প্রসঙ্গ ক্বিয়াম বিরোধীদের পেশকৃত দ্বিতীয় হাদীসের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে, কারো সম্মানে মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে থাকাকেই হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম নিষিদ্ধ করেছেন, মূল ক্বিয়ামকে নয়। এ হাদীস শরীফে মূর্তিবৎ ক্বিয়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, মূল ক্বিয়ামকে নয়। </p><p dir="ltr">হযরত আবূ ঊমামা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুর হাদীস প্রসঙ্গ ক্বিয়াম বিরোধীদের পেশকৃত তৃতীয় হাদীসের ব্যাখ্যা হচ্ছে- পারস্যবাসীদের ন্যায় নতজানু হয়ে রাজার সামনে মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে থাকার মত ক্বিয়াম অবশ্যই নিষিদ্ধ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম তাদের অনুরূপ মূর্তিবৎ নতজানু ক্বিয়ামকেই নিষিদ্ধ করেছেন, মূল ক্বিয়ামকে নিষিদ্ধ করেননি। তিনি একথা বলেননি, ‘তোমরা ক্বিয়াম করোনা’ বরং বলেছেন, ‘পারস্যবাসী অগ্নি-পূজারীদের ন্যায় ক্বিয়াম করো না।’ যেমন কেউ বললো, ‘গরুর মত পানি পান করো না’। এর অর্থ হলো, ‘পানি পান করো, তবে গরুর মতো না’। অনুরূপ, হাদীসের অর্থ হবে ‘ক্বিয়াম করো, তবে পারস্যবাসী অগ্নি উপাসকদের মত নতজানু হয়ে না।’ </p><p dir="ltr">ক্বিয়াম বিরোধীরা হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা দেয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। <br>ক্বিয়াম বিরোধীরা হাদীসকে ঢাল স্বরূপ ব্যবহার করে মাত্র। যদি তারা সত্য গ্রহণ করতো এবং সঠিক জিনিষ মেনে নিতো, তাহলে হযরত সা’দ ও হযরত আবূ হুরায়রার হাদীস দু’টিও বর্ণনা করতো; কিন্তু তারা তা করে না। এ দু’টিকে গোপন করে অন্য তিনটি হাদীসের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রচার করে। এটা আমানতদারী নয় বরং রসূলে পাকের হাদীস গোপন করার মতো জঘন্য অপরাধ। <br>এ হাদীসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম সাহাবীগণের ক্বিয়ামের ধরন দেখেই ওই ধরনের ক্বিয়াম না করার পরামর্শ দিয়েছেন; কিন্তু ওহাবীরা বলেছে- তিনি নাকি সব ধরনের ক্বিয়ামকেই নিষেধ করেছেন। এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।</p><p dir="ltr">৪. মুস্তাহাব ক্বিয়াম ছয় প্রকারঃ <br>ক্বিয়ামের মধ্যে ৪র্থ হলো মুস্তাহাব ক্বিয়াম। নফল নামাযে দাঁড়ানো মুস্তাহাব। বসে পড়লেও জায়েয; কিন্তু দাঁড়িয়ে পড়লে দ্বিগুণ সাওয়াব পাওয়া যায়। যেমন হাদীস শরীফে বর্ণিত<br> صَلٰوۃُ الْقَاعِدِ نِصْفُ الْقَاءِمِ <br>অর্থাৎ বসে নামায আদায়কারীর সাওয়াব দণ্ডায়মান হয়ে নামায আদায়কারীর অর্ধেক। তবে বিতরের পরের দু’ রাক‘আত (শফী‘উল বিতর) নফল বসে পড়া ও দাঁড়িয়ে পড়া উভয় ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়। এ উভয় প্রকারের বর্ণনার মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়েছে এভাবে যে, দাঁড়িয়ে পড়ার মধ্যে সাওয়াব বেশী অর্থাৎ পূর্ণ সাওয়াব যাওয়া যাবে, আর বসে পড়ার মধ্যে আল্লাহ্ ও রসূলের নৈকট্য বেশী অর্জিত হয়। <br>[সূত্রঃ মিরআত শরহে মিশকাত ইত্যাদি] <br>আগমনকারীর সম্মানে দাঁড়ানোও মুস্তাহাব। <br>[সূত্র- দুররে মোখতার]।</p><p dir="ltr">কোন প্রিয়জনের আলোচনা শুনে অথবা কোন শুভ সংবাদ শুনে দাঁড়ানোও মুস্তাহাব এবং সাহাবা-ই কেরাম ও সল্ফে সালেহীনের আমল। </p><p dir="ltr">মিশকাত কিতাবুল ঈমান তৃতীয় পরিচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে- হযরত ওসমান রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু বলেন, হযরত সিদ্দীক্বে আকবর রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু আমাকে কোন একটি শুভ সংবাদ শুনালেন। আমি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং বললাম, ‘‘আমার পিতা-মাতা আপনার উপর ক্বোরবান হোন; বরং আপনিই উক্ত শুভ সংবাদের প্রকৃত উপযুক্ত ব্যক্তি।’’ <br>[সূত্রঃ মিশকাত, কিতাবুল ঈমান]। <br>হুযূর করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের সুসংবাদ শুনে ক্বিয়াম করা মুস্তাহাব। </p><p dir="ltr">হাদিসে পাকে ইরশাদ হয়েছে,</p><p dir="ltr">وَعَنْ أَبِىْ مُوسى أَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ قَالَ: إِذَا مَرَّتْ بِكَ جَنَازَةُ يَهُودِيٍّ أَوْ نَصْرَانِيٍّ أَوْ مُسْلِمٍ فَقُومُوا لَهَا فَلَسْتُمْ لَهَا تَقُومُونَ إِنَّمَا تَقُومُونَ لِمَنْ مَعهَا مِنَ الْمَلَائِكَةِ . رَوَاهُ أَحْمَدُ</p><p dir="rtl">হযরত আবূ মূসা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কাছ দিয়ে কোন ইয়াহুদী, নাসারা অথবা মুসলিমের লাশ অতিবাহিত হতে দেখলে দাঁড়িয়ে যাবে। তোমাদের এ দাঁড়ানো লাশের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য নয়। বরং লাশের সাথে যেসব মালাক (ফেরেশতা) থাকেন তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য।<br>[সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ হা/ ১৯৪৯১; মিশ্কাতুল মাসাবীহ, হা/ ১৬৮৫]।<br>উপরোক্ত হাদিস পাক থেকে সম্মানার্থে কারো জন্যে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে দেখা যাওয়া শর্ত নয় মর্মে প্রমাণিত হয়।</p><p dir="ltr">৫. ক্বিয়াম-ই মাকরূহঃ<br>কয়েক অবস্থায় ক্বিয়াম করা বা দাঁড়ানো মাকরূহ। যেমন-যমযম পানি ও অজুর অবশিষ্ট পানি ব্যতীত অন্যান্য পানীয় পান করার সময় দাঁড়ানো মাকরূহ্। কোন ওযর থাকলে মাক্বরূহ নয়। অনুরূপ, কোন বিত্তশালীর জন্য কিছু পাওয়ার লোভে দাঁড়ানো অথবা কোন দুনিয়াদার লোকের সম্মানে দাঁড়ানো মাকরূহ্। </p><p dir="ltr">৬. ক্বিয়াম-ই হারামঃ<br>কারো সম্মানে মূর্তিবৎ দাঁড়িয়ে থাকা হারাম। নতজানু হয়ে কারো সম্মান করা হারাম। এরূপ সম্মান গ্রহণকারীর সম্মান করাও হারাম।<br>[সূত্রঃ শামী, আলমগীরী]। </p><p dir="ltr">কাফিরদের সম্মানে দাঁড়ানো হারাম। <br>হযরত মু‘আভিয়া ও হযরত আবূ উমামা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমা কর্তৃক বর্ণিত (পুর্বালোল্লিখিত) ২ ও ৩ নং হাদীস মোতাবেক মূর্তিবৎ ও অহংকারী লোকদের জন্য দাঁড়ানো সম্পর্কে উপস্থাপিত বর্ণনা দেখুন। <br>উপরোক্ত ছয় প্রকার ক্বিয়ামের ৪র্থ প্রকারের ক্বিয়াম- অর্থাৎ মীলাদ শরীফের ক্বিয়াম মুস্তাহাব ও মুস্তাহাসান। <br>মিলাদ শরীফে নবী করীম সাল্লাল্লাহু তা‘আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম-এর পবিত্র বেলাদত বর্ণনাকালে ক্বিয়াম করা মুস্তাহাব ও মুস্তাহ্সান।</p><p dir="ltr">মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামিন আমাদের সবাইকে বোঝার এবং আমল করার তৌফিক দান করুন, আমীন।</p>

দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম সম্পর্কে ইসলামের বিধান ও ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডন।

দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম সম্পর্কে ইসলামের বিধান ও ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডন। একথা আজ মধ্যাহ্ন সূর্যের ন্যায় স্পষ্ট যে, ওহাবী সম...

September 26, 2018

প্রতিদিন আমল করার মত সহজ ৫টি জিকিরঃ

<p dir="ltr"><b>প্রতিদিন আমল করার মত সহজ ৫টি জিকিরঃ নিজে জানুন অন্যকে জানান।</b><br><b>#COPY #SHARE</b></p><p dir="ltr"><b>১। প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয়। [সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩]</b></p><p dir="ltr"><b>২। ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’।</b><br><b>[তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২]</b></p><p dir="ltr"><b>৩। যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।</b><br><b>[সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১]</b></p><p dir="ltr"><b>৪। নবী (ﷺ) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বি –হামদিহী সুবহানাল্লাহিল আযীম’ এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় ।</b><br><b>[সহিহ আল- বুখারী-৭/ ১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]</b></p><p dir="ltr"><b>৫। নবী (ﷺ.) বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন।</b><br><b>[ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৬]</b></p>

প্রতিদিন আমল করার মত সহজ ৫টি জিকিরঃ

প্রতিদিন আমল করার মত সহজ ৫টি জিকিরঃ নিজে জানুন অন্যকে জানান। #COPY #SHARE ১। প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় ...

September 24, 2018

Top

ইসলামি বিশ্বকোষ

৭তম হাদিসঃ দুনিয়াটা মুমিন ও কাফেরের জন্য কেমন?

৮ম হাদিসঃ সর্বোত্তম ব্যক্তি

আল্লাহ্ তায়ালা বেহেশতে মুমিনদের জন্য যা নির্মাণ করেছেন

দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম সম্পর্কে ইসলামের বিধান ও ক্বিয়াম বিরোধীদের উপস্থাপিত দলীল ও তার খণ্ডন।

প্রতিদিন আমল করার মত সহজ ৫টি জিকিরঃ

পোস্টসমূহ

Categories

পপুলার