রিসালা: ফয়যানে দা’ওয়াতে ইসলামী

<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhS2kjI6vrmPN7nSjTy73YleoX_4K__Ki0b87KnE9FAxh_CCVOkxUm9tI5yPXR2rKarp4exevkDFKcXZPi8xHD_6GhlUcFGIYgU1feioaXIfOKyMSTLqS5hjK2srDkNOnZuixNqghoty3Q/s1600/FB_IMG_1661766559307.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1020" data-original-width="720" height="320" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhS2kjI6vrmPN7nSjTy73YleoX_4K__Ki0b87KnE9FAxh_CCVOkxUm9tI5yPXR2rKarp4exevkDFKcXZPi8xHD_6GhlUcFGIYgU1feioaXIfOKyMSTLqS5hjK2srDkNOnZuixNqghoty3Q/s1600-rw/FB_IMG_1661766559307.jpg" width="225"></a></div><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div><div class="separator" style="text-align: left; clear: both;"><div class="separator" style="clear: both;">রিসালা নাম্বার: ৮৭৩</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">রিসালার নাম: ফয়যানে দা’ওয়াতে ইসলামী</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি খেদমতের ৪১ বছর পূর্ণ হওয়াতে “মাসিক ফয়যানে মদীনা”র বিশেষ সংখ্যা “ফযানে দা’ওয়াতে ইসলামী”, এতে আপনারা দা’ওয়াতে ইসলামী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি জানতে পারবেন।</div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;">#দাওয়াতে_ইসলামী #মাসিক_ফয়যানে_মদীনা</div><div class="separator" style="clear: both;">copyright © মাকতাবাতুল মদীনাহ </div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div><div class="separator" style="clear: both;"><a href="https://data2.dawateislami.net/Data/Books/Download/bn/pdf/2022/3043-1.pdf?fn=faizan-dawat-e-islami-special-edition-sep-2022" target="_blank">ডাউনলোড লিংক</a><br></div><div class="separator" style="clear: both;"><br></div></div>

রিসালা: ফয়যানে দা’ওয়াতে ইসলামী

রিসালা নাম্বার: ৮৭৩ রিসালার নাম: ফয়যানে দা’ওয়াতে ইসলামী দা’ওয়াতে ইসলামীর দ্বীনি খেদমতের ৪১ বছর পূর্ণ হওয়াতে “মাসিক ফয়যানে মদীনা”র বিশেষ সংখ্...

Read more »

হযরত উমর (রা.)-র ইচ্ছা ও ফয়সালা অনুযায়ী আল-কুরআনের আয়াত নাযিল

<div style="text-align: justify;">💐মুওয়াফিকুর রা'য়ি ওয়াল কিতাব, সাইয়্যিদুনা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহুর ইচ্ছা ও ফয়সালা অনুযায়ী কুরআনুল করিমে 20'র অধিক আয়াত নাযিল করা হয়- (সুয়ূতী: তারিখুল খুলাফা)</div><div style="text-align: justify;">في موافقات عمر بن الخطاب رضي الله عنه</div><div style="text-align: justify;">قد أوصلها بعضهم إلى أكثر من عشرين. </div><div style="text-align: justify;">أخرج ابن مردويه عن مجاهد قال : كان عمر يرى الرأي فينزل به القرآن. وأخرج ابن عساكر عن علي قال: إن في القرآن لرأيا من رأي عمر. وأخرج عن ابن عمر مرفوعاً: ما قال الناس في شيء وقال فيه عمر إلا جاء القرآن بنحو ما يقول عمر. </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">💐হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর অভিমতের সাথে কোরআনের ঐকমত্য:</div><div style="text-align: justify;">কেউ কেউ তা বিশের অধিক আয়াত বলেছেন। </div><div style="text-align: justify;">ইমাম আবু বকর ইবনে মারদুওয়ায় ইমাম মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন, হযরত উমার রাঃ যে রায় দিতেন অনুরূপভাবেই কোরআন শরিফের আয়াত অবতীর্ণ হতো । </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🌹ইমাম ইবনে আসাকির হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহুর অভিমত নকল করে লিখেছেন, কোরআন শরিফে অধিকাংশ হযরত উমরের রায় (অভিমত) উল্লেখ রয়েছে। হযরত ইবনে উমর কর্তৃক মারফুআন বর্ণিত, কতিপয় বিষয়ে লোকদের মতামতের সাথে হযরত উমর ভিন্ন মত পোষণ করলে হযরত উমরের অভিমতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আয়াত অবতীর্ণ হতো। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">🌹আল্লামা সুয়ূতি এরপর সাইয়্যিদুনা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর ইচ্ছা, রায় ও অভিমতের আলোকে কোরআনুল কারিমের যে 20টি আয়াত নাযিল হয় তার বিস্তারিত উল্লেখ করেন। এখানে আমি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি।</div><div style="text-align: justify;">-------</div><div style="text-align: justify;">👉এক- মাকামে ইবরাহিমকে নামাযের স্থান বানানোর হুকুম। হযরত উমারের ইচ্ছার আলোকে আয়াত নাযিল হয়</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> واتخذوا من مقام إبراهيم مصلی </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉দুই- মুসলিম মহিলাদের পর্দার বিধান। উনার অভিমত অনুসারে আল্লাহ্ পাক এরপর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ করেন-</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> يأيها النّبي قل لأزوجك وبناتك ونساء المؤمنين يدنين عليهن من جلابيبهن ذلك اذين أن يعرفن فلا يؤذين </div><div style="text-align: justify;">وكان الله غفورا رحیما . </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉তিন- হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম হযরত মারিয়া কিবতিয়াহর কাছে গেলে হুযুরের কোন কোন বিবির অপছন্দ হলে তখন উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন আমি বললাম,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">عسى ربه إن طلقكن أن يبدله أزواجا خيرا منكن </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">উমার বলেন, অতঃপর আমার উল্লিখিত শব্দগুলোই হুবহু অবতীর্ণ হয়। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉চার- বদর যুদ্ধের কয়েদিদেরকে কতল করার অভিমত দিলে উনার রায়কে সমর্থন করে এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">نازل ہوئی۔ ما كان لنبئ أن يكون له أسرى حتى يثخن في الأرض تريدون عرض الدنيا و الله يريد الأخرة والله </div><div style="text-align: justify;">عزیز حکیم ۔ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉পাঁচ- সাইয়্যিদুনা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু মদ ও জুয়ার ব্যাপারে হুযুরের দরবারে নির্দেশনা চাইলে আল্লাহ্ তায়ালা এই আয়াত নাযিল করেন।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يسئلونك عن الخمر الميسر قل فيهما اثم كبير </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉ছয়- নেশাগ্রস্থ অবস্থায় একলোক নামায পড়াচ্ছিল এবং কোরআন আয়াতে ভুল করেছিল, তখন হুযুরের দরবারে এই ব্যাপারে নির্দেশনা চাইলে এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">يأيها الذين امنوا لا تقربوا الصلوة وانتم سکاری ۔ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉সাত- মদ, জুয়া, ভুত ও ফাঁসি সম্পর্কে আয়াত নাযিল। সাইয়্যিদুনা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহর দরবারে মদ ও জুয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট হুকুম বর্ণনার জন্য দুআ করতেন। উনার দুআর পরিপ্রেক্ষিতে এই আয়াত নাযিল হয়,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">پائها الذين امنوا انما الخمر والميسر و الأنصاب والأزلم رجس من عمل الشيطن فاجتنبوه لعلكم تفلحون‘۔ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉আট- আল্লাহর ঘোষণা:</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ولقد خلقنا الإنسن من سلالة من طین </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">এই আয়াত নাজিল হওয়ার পর সাইয়্যিদুনা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুর মুখে এমনিতেই উচ্চারিত হলো, </div><div style="text-align: justify;"> </div><div style="text-align: justify;">فتبرك الله أحسن الخلقين‘۔</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-"আর আল্লাহ্ পাক উক্ত কথাকেই কোরআনুল কারিমে অন্তর্ভুক্ত করে নিলেন।"</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉নয়- মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের জানাযা সম্পর্কে হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামাকে জিজ্ঞেস করেন, হুযুর জানাযার নামায পড়ানোর কিছুক্ষণ পর সাইয়্যিদুনা উমারের চাওয়া অনুযায়ী এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ولا تصل على أحد منهم مات ابدا ولا تقم على قبره </div><div style="text-align: justify;">انهم كفروا بالله ورسوله وماتوا وهم فسقون ، </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉দশ- রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম একটি সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলে হযরত উমার বললেন سواء عليهم তখন হুবহু এ আয়াতটিই নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">''سواء عليهم استغفر لهم أم لم تستغفر لهم لن يغفر الله لهم إن الله لايهدي القوم الفسقين </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉এগার- বদরের যুদ্ধে গমনের জন্য সাহাবায়ে কিরামের সাথে পরামর্শ করা হলে হযরত উমার যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিলে তখন এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">کیا آخرجك ربك من بيتك بالحق وإن فريقا من المؤمنين تكرهون ، </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉বার- সাইয়্যিদাহ আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহার বিরুদ্ধে মুনাফিক গোষ্ঠী অপবাদ লেপন করলে হযরত উমার বলেছিলেন, এটা সাইয়্যিদাহ আয়েশার উপর বড় অপবাদ। আর আল্লাহ্ তায়ালা উনার কথা অনুযায়ী আয়াত নাযিল করলেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ولولا إذ سمعتموة قلتم ما يكون لنا أن تتكلم بهذا سبحتك بهذا بهتان عظیم، </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉তের- ইসলামের শুরুতে রমাদ্বান মাসে স্ত্রী সহবাস অবৈধ ছিলো। সাইয়্যিদুনা উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু এই ব্যাপারে কিছু বললেন, তারপর থেকে স্ত্রী সহবাস বৈধ করে এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">احل لكم ليلة القيام الرقتُ إلى نسائكم هن لباس لكم وأنتم لباس لهن، </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉চৌদ্দ- এক ইয়াহুদি হযরত জিবরীল আমিনকে দুশমন হিসেবে উল্লেখ করলে হযরত উমার তখন এই কথাগুলো বলেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">من كان عدوا للہ وملئكته ورسله وجبريل وميكل فإن الله عدو الكفرين ،</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তখন রাব্বুল আলামিন কুরআনের বাণী হিসেবে হুবহু ঐ কথাগুলো নাযিল করেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉পনের- মুনাফিক কাব বিন আশরাফ হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামার বিচার না মেনে উমারের কাছে গেলে হযরত উমার তাকে হুযুরের ফায়সালা না মানার কারণে হত্যা করেন। তখন হযরত উমারের কাজকে সঠিক প্রমাণ করে এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">’فلا وربك لا يؤمنون حتى يحكموك فيها شجر بينهم ثم لا يجدوا في أنفسهم حرجا مما قضيت ويسلموا تسليا. </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉ষোল- হযরত উমার ঘরে শয়ন অবস্থায় উনার এক গোলাম অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করলে তিনি আল্লাহর দরবারে দুআ করেন, রাব্বুল আলামিন অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা হারাম করে দিন, তখন এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">”یا ایھا الذين امنوا لا تدخلوا بيوتا غير بيوتكم حتى تستأنسوا وتسلموا على أهلها ذيكم خير لكم لعلكم تذکرون “ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉সতের- এক ব্যক্তির গোনাহের কারণে এই আয়াত নাযিল হলে </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">- وأقم الصلوة طرفي النهار وزلفا من اليل إن الحسنت يذهبن السيات ذلك ذکری للذکرین “ </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ঐ ব্যক্তি হুযুরকে জিজ্ঞেস করলেন, এই আয়াতের হুকুম তার জন্য খাস নাকি? তখন ফারুকে আযম বললেন, এটা তোমার জন্য খাস নয়, এর হুকুম সকলের জন্য। আর রাছূলে কারিমও তাঁর কথার সমর্থন জানালেন। খাসকে আম করে দিলেন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉আঠার- আল্লাহর ঘোষণা: </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ثلة من الأولين و قليل من الأخرين</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">-এই আয়াত শুনে হযরত উমার প্রিয় রাসূলকে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ প্রথমদের একটি পুরো গ্রুপ আর শেষের কিছু মানুষ বেহেস্তে যাবে? তখন উনার আরজি অনুসারে এই আয়াত নাযিল হয়।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> وثلة من الأولين وثلة من الأخرين </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">অর্থাৎ প্রথমদের একটি গ্রুপ এবং শেষের একটি গ্রুপ বেহেস্তে যাবে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉উনিশ- সাইয়্যিদুনা উমার ইসলাম গ্রহণ করলে মক্কার কাফিররা বলল, আজ আমাদের শক্তি অর্ধেক হয়ে গেল, তখন আল্লাহ্ তায়ালা উনার ব্যাপারে এই আয়াত নাজিল করেন,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> يايها النّبي حسبك الله ومن اتبعك من المؤمنين . </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">👉বিশ- সাইয়্যিদুনা বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু ইসলামের প্রাথমিক অবস্থায় আযানে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;"> أشهد أن لا إله إلا الالله۔</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">পর حي على الصلاة বলতেন। হযরত উমাররাঃ বললেন, বিলাল أشهد أن لا إله إلا الله۔ পরে أشهد أن محمدا رسول الله বলো। হুযুর ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম তা শুনে বিলালকে বললেন, হে বেলাল উমার তোমাকে যেভাবে হুকুম দিয়েছে, সেভাবে করো। (সুবহানাল্লাহ) </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">Collected from Gias Uddin.</div><div style="text-align: justify;">🤲মহান আল্লাহ তা'আলা সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন। </div><div style="text-align: justify;">👍শব্দচয়নের ক্ষেত্রে যে সকল বন্ধুরা সুপরামর্শ দিয়েছেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই তাদের এই পরামর্শ অনুসরণ করা হবে ইনশাআল্লাহ।</div><div style="text-align: justify;">📢প্রচারে অধম- মুফ্তী মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জেহাদী, নারায়ণগঞ্জ।</div>

হযরত উমর (রা.)-র ইচ্ছা ও ফয়সালা অনুযায়ী আল-কুরআনের আয়াত নাযিল

💐মুওয়াফিকুর রা'য়ি ওয়াল কিতাব, সাইয়্যিদুনা উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহুর ইচ্ছা ও ফয়সালা অনুযায়ী কুরআনুল করিমে 20'র অধিক আয়াত নাযি...

Read more »

স্ত্রী ঘরে রেখে স্বামী প্রবাসে কতদিন থাকতে পারবে?

<div>এক রাতে হযরত উমর (রাঃ) জনগণের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। </div><div>-</div><div>ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।</div><div>-</div><div>যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে, হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।</div><div>-</div><div>উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷</div><div>-</div><div>হযরত উমর (রাঃ) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। </div><div>-</div><div>এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbbs7MNVIGSzNF6sD5afG6sVtJGRL_cvp8o6TODrR138UzL7_G0iqum41ww0vxGI_1QFAtjI135xyIRjq28d_fJaWWUjgQyFmd1PigL8IRlcvLlhusPqXfD-9agdhMOySTlas92RKo2grt/s1600/FB_IMG_1660966548237.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgbbs7MNVIGSzNF6sD5afG6sVtJGRL_cvp8o6TODrR138UzL7_G0iqum41ww0vxGI_1QFAtjI135xyIRjq28d_fJaWWUjgQyFmd1PigL8IRlcvLlhusPqXfD-9agdhMOySTlas92RKo2grt/s1600-rw/FB_IMG_1660966548237.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>বুঝা গেল, চার মাসের অধিক সময় স্ত্রী থেকে দূরে থাকা শরিয়ত সমর্থন করে না।</div><div><br></div><div>তবে কেউ যদি প্রয়োজনে এরচেয়ে বেশি সময় দূরে থাকতে চায়, তাহলে তার স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে। স্ত্রী যদি অনুমতি দেয় এবং এ সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে এবং বাস্তবেও তেমনটি দেখা যায় । তাহলে স্বামী এরচেয়েও বেশি সময় দূরে থাকতে পারবে।</div><div><br></div><div>উল্লেখ্য, যদি স্ত্রী থেকে দূরে থাকার কারণে স্বামী বা স্ত্রী কোনো গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে চার মাসের কম সময়ও স্ত্রী থেকে দূরে থাকতে পারবে না।</div><div>(সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩৪৬৫; ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৩৭৯;)</div><div><br></div><div>সচেতন হন এবং মানুষকে সচেতন করুন । জাযাকাল্লাহ</div><div><br></div><div>(তথ্য সংগ্রহঃ- আব্দুল আজিজ কাদরী)<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div></div>

স্ত্রী ঘরে রেখে স্বামী প্রবাসে কতদিন থাকতে পারবে?

এক রাতে হযরত উমর (রাঃ) জনগণের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কব...

Read more »

স্ত্রী ঘরে রেখে স্বামী প্রবাসে কতদিন থাকতে পারবে?

<div>এক রাতে হযরত উমর (রাঃ) জনগণের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি শুনতে পেলেন। </div><div>-</div><div>ঘরের ভিতর এক মহিলা কবিতা আবৃত্তি করছিল। যার অর্থ হলো,রজনী দীর্ঘ হয়েছে এবং তার এক পার্শ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেছে। এদিকে দীর্ঘদিন যাবত আমার প্রেমাস্পদ আমার কাছে নেই যে,তার সাথে আমি আমোদ-প্রমোদ করব। আল্লাহর শপথ! যদি এক আল্লাহর ভয় না থাকত তাহলে এ খাটের চার পাশ নড়ে উঠত।</div><div>-</div><div>যখন ভোর হলো হযরত উমর (রা.) রাতের কবিতা আবৃত্তিকারিণী মহিলাকে ডেকে আনার নির্দেশ দিলেন। মহিলা খলিফার দরবারে এসে উপস্থিত হলে, হযরত উমর (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,তুমি কি গত রাতে এ-জাতীয় কবিতা আবৃত্তি করেছিলে? মহিলা বলল,হ্যাঁ।</div><div>-</div><div>উমর (রা.) বললেন কেন? উত্তরে মহিলা বলল,দীর্ঘদিন যাবত আমার স্বামী জিহাদের ময়দানে রয়েছে। অথচ এমুহূর্তে তার নৈকট্য পাওয়া আমার একান্ত কাম্য ছিল,তার বিরহেই আমি এমনটি করেছি৷</div><div>-</div><div>হযরত উমর (রাঃ) এ কথা শুনে তখনই ঐ মহিলার স্বামীর নিকট ফিরে আসার নির্দেশনা দিয়ে শাহী ফরমান প্রেরণ করলেন। এরপর তিনি তার কন্যা হযরত হাফসা (রা.) এর নিকট গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলেন,হে আমার মেয়ে! নারীরা তাদের স্বামী থেকে কতদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে? (প্রজাদের স্বার্থ রক্ষার ইচ্ছা যদি না হত তবে আমি তোমার নিকট এরুপ প্রশ্ন করতাম না) তখন হাফসা (রা.) বললেন,মেয়েরা তাদের স্বামী থেকে চার মাস পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করে থাকতে পারে। </div><div>-</div><div>এরপর থেকে হযরত উমর (রা.) চার মাস পরপর মুজাহিদ বাহিনীকে ফেরত নিয়ে আসতেন এবং নতুন বাহিনী পাঠিয়ে দিতেন।’ [মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, হাদিস: ১২৫৯৪]</div><div><br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3z4v1yQz2Bn4Xn5olhfRZ3Bof2oVw9uugAQxm4UMuE93RsY7nLeqjHki4jqxzN2E2sphL2DTF_2VzEodRYjLurHzBC_B39up60gp_qRRg4dLKBeKz24hqoYp9pWfydSVW1Bc7AO4ui7-g/s1600/FB_IMG_1660966548237.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="810" data-original-width="1080" height="240" loading="lazy" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi3z4v1yQz2Bn4Xn5olhfRZ3Bof2oVw9uugAQxm4UMuE93RsY7nLeqjHki4jqxzN2E2sphL2DTF_2VzEodRYjLurHzBC_B39up60gp_qRRg4dLKBeKz24hqoYp9pWfydSVW1Bc7AO4ui7-g/s1600-rw/FB_IMG_1660966548237.jpg" width="320"></a></div><br></div><div>বুঝা গেল, চার মাসের অধিক সময় স্ত্রী থেকে দূরে থাকা শরিয়ত সমর্থন করে না।</div><div><br></div><div>তবে কেউ যদি প্রয়োজনে এরচেয়ে বেশি সময় দূরে থাকতে চায়, তাহলে তার স্ত্রী থেকে অনুমতি নিতে হবে। স্ত্রী যদি অনুমতি দেয় এবং এ সময়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বলে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে এবং বাস্তবেও তেমনটি দেখা যায় । তাহলে স্বামী এরচেয়েও বেশি সময় দূরে থাকতে পারবে।</div><div><br></div><div>উল্লেখ্য, যদি স্ত্রী থেকে দূরে থাকার কারণে স্বামী বা স্ত্রী কোনো গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে চার মাসের কম সময়ও স্ত্রী থেকে দূরে থাকতে পারবে না।</div><div>(সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩৪৬৫; ফাতাওয়ায়ে শামী ৪/৩৭৯;)</div><div><br></div><div>সচেতন হন এবং মানুষকে সচেতন করুন । জাযাকাল্লাহ</div><div><br></div><div>(তথ্য সংগ্রহঃ- আব্দুল আজিজ কাদরী)<br><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br></div></div>

স্ত্রী ঘরে রেখে স্বামী প্রবাসে কতদিন থাকতে পারবে?

এক রাতে হযরত উমর (রাঃ) জনগণের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য প্রহরী বেশে বের হয়ে গেলেন। এক বাড়ির পাশ দিয়ে অতিক্রম করার সময় তিনি ঘর থেকে নারী কণ্ঠে কব...

Read more »

মহররম ও আশুরার ফজিলত

<div style="text-align: justify;"><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;"><span style="color: rgb(153, 51, 0);"><em><strong>মহররম ও আশুরার ফজিলত বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলঃ</strong></em></span></div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;"><img alt="" class="alignnone wp-image-2879" data-attachment-id="2879" data-comments-opened="1" data-image-description="" data-image-meta="{" loading="lazy"></div></div><div style="font-weight: 700; text-align: left; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><div style="text-align: justify;"><strong><span style="color: magenta;">১.</span> <span style="color: rgb(51, 51, 0);">মুহাররম ‘হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসাবে পরিগণিত</span></strong></div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">আবূ বাকরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;">السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ</div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">বারো মাসে বছর। তার মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক : যিলকদ, যিলহজ্ব, <span style="color: olive;">মহররম </span>আর চতুর্থটি হল রজব, যা জুমাদাল উখরা  ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী মাস।<span style="color: grey;">(সহীহ বুখারী ২/৬৭২)</span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: magenta;"><strong>২. <span style="color: rgb(51, 51, 0);">রামাযানের পরেই মুহাররমের রোজার অবস্থান</span></strong></span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;">أَفْضَلُ الصِّيَامِ بَعْدَ رَمَضَانَ شَهْرُ اللهِ الْمُحَرَّمُ وَأَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيْضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ</div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: olive;">রামাযানের পরে সর্বোত্তম রোজা হল মুহাররম মাসের রোজা</span> (অর্থাৎ আশূরার রোজা) এবং ফরয নামাজ পরে সর্বোত্তম নামাজ হল রাতের নফল নামাজ। <span style="color: grey;">(মুসলিম হা/১১৬৩)</span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: magenta;"><strong>৩.<span style="color: rgb(51, 51, 0);">আশুরা (মুহাররমের দশম দিন ) একটি মহান দিন</span></strong></span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">ইবনে আব্বাস (রাযি.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,</div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;"> أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قدم المدينة فوجد اليهود صياما يوم عاشوراء، فقال لهم رسول الله صلى الله عليه وسلم : ما هذا اليوم الذي تصومونه؟ قالوا هذا يوم عظيم أنجى الله فيه موسى وقومه، وغرق فرعون وقومه فصامه موسى شكرا فنحن نصومه. فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : فنحن أحق وأولى بموسى منكم. فصامه رسول الله صلى الله عليه وسلم وأمر بصيامه</div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় এসে দেখলেন যে, ইহুদীরা আশুরার দিনে রোজাপালন করছে। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন, এটা কোন্ দিন যে তোমরা রোজা পালন করছ? তারা বলল, <span style="color: olive;">এটা এমন এক মহান দিবস যেদিন আল্লাহ মুছা আ. ও তার সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন </span>মুছা আ. শুকরিয়া হিসেবে এ দিনে রোজা পালন করেছেন। এ কারণে আমরাও রোজা পালন করে থাকি। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমাদের চেয়ে আমরা মুছা আ. এর অধিকতর ঘনিষ্ট ও নিকটবর্তী।” অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোজাপালন করলেন ও অন্যদেরকে রোজা পালনের নির্দেশ দিলেন।<span style="color: grey;">( মুসলিম হা/ ১১৩০)</span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: magenta;"><strong>৪.</strong></span><strong><span style="color: rgb(51, 51, 0);">আশুরা একটি ভাল দিন</span></strong></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">মুসলিমের বর্ণনাهذا يوم عظيم এটি একটি মহান দিন; পক্ষান্তরে সহীহ বুখারীর বর্ণনায় আছে, هَذَا يَوْمٌ صَالِحٌএটি একটি ভাল দিন। <span style="color: grey;">(সহীহ বুখারী ১৮৬৫)</span></div><div style="font-weight: 700; text-align: left; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;"=""><div style="text-align: justify;"><span style="color: magenta;"><strong>৫.</strong></span> <strong><span style="color: rgb(51, 51, 0);">এই দিন আল্লাহ মুছা আ. ও তাঁর সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন</span></strong></div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;">أنجى الله فيه موسى وقومه، وغرق فرعون وقومه فصامه موسى شكرا</div></div><div style="font-weight: 700; text-align: left; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;"=""><div style="margin-bottom: 10px; text-align: justify;"><span style="color: rgb(51, 51, 0);"><span style="color: olive;">এই দিন আল্লাহ মুছা আ. ও তাঁর সম্প্রদায়কে নাজাত দিয়েছিলেন</span> <span style="color: olive;"><span style="color: rgb(51, 51, 51);">এবং ফেরআউনকে তার দলবলসহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন।</span><span style="color: grey;">(প্রাগুক্ত)</span></span></span></div><div style="margin-bottom: 10px; text-align: justify;"><span style="color: magenta;"><strong>৬.<span style="color: rgb(51, 51, 0);">এই দিন নূহ আ.-এর কিশতি জুদি পর্বতে স্থির হয়েছিল</span></strong></span></div><div style="text-align: justify;">ইমাম আহমাদ সামান্য বর্ধিতাকারে উক্ত হাদীস বর্ণনা করেছেন। যেখানে আছে,</div><div><div style="text-align: center;"><div style="text-align: justify;"> وهو اليوم الذي استوت فيه السفينة على الجودي فصامه نوح شكراً</div></div></div><div style="text-align: justify;"><span style="color: olive;">এটি সেই দিন যাতে নূহ আ.-এর কিশতি জুদি পর্বতে স্থির হয়েছিল</span>, তাই নূহ আ. আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ার্থে সেদিন রোজা রেখেছিলেন।<span style="color: grey;">(ফাতহুল বারী ৫/৪৩৯)</span></div><div style="text-align: justify;"><span style="color: magenta;"><strong>৭.<span style="color: rgb(51, 51, 0);">এই দিনে</span> <span style="color: rgb(51, 51, 0);">মুছা আ. ও  নূহ আ. <span style="color: rgb(51, 51, 51);">রোজা</span>রেখেছিলেন</span></strong></span></div><div style="text-align: justify;">فصامه موسى شكرا <span style="color: olive;">মুছা আ. শুকরিয়া হিসেবে এ দিনে রোজা পালন করেছেন।</span>فصامه نوح شكراً  <span style="color: olive;">নূহ আ. আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ার্থে এদিন রোজা রেখেছিলেন।</span><span style="color: rgb(51, 51, 0);"><span style="color: olive;"><span style="color: grey;">(প্রাগুক্ত)</span></span></span></div><div><div style="text-align: justify;"><span style="color: magenta;"><strong><strong>৮.</strong><span style="color: rgb(51, 51, 0);">এই দিনের অপেক্ষা করতেন নবীজী </span></strong><span style="color: rgb(51, 51, 0);">সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম</span></span></div></div><div><div style="text-align: justify;">আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,</div></div><div style="text-align: center;"><div style="text-align: justify;">مَا رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَرَّى صِيَامَ يَوْمٍ فَضَّلَهُ عَلَى غَيْرِهِ إِلّا هَذَا الْيَوْمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَهَذَا الشَّهْرَ يَعْنِي شَهْرَ رَمَضَانَ</div></div><div style="text-align: justify;"><span style="color: olive;">আমি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রোজা রাখার জন্য এত অধিক আগ্রহী হতে দেখিনি যত দেখেছি এই দিন অর্থাৎ আশুরার দিন </span>এবং এই মাস অর্থাৎ রমজান মাসের রোজার প্রতি।<span style="color: grey;">(সহীহ বুখারী ১৮৬৭)</span></div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: magenta;"><strong>৯.<span style="color: rgb(51, 51, 0);">এই দিনের রোজায় এক বছরের গোনাহ থেকে মুক্তিলাভ হয়</span></strong></span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">আবু কাতাদাহ (রাযি.) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,</div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;">صيام يوم عاشوراء، إني أحتسب على الله أن يكفر السنة التي قبله</div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">আশুরার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশা করি, তিনি <span style="color: olive;">পূর্ববর্তী এক বছরের গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন।</span><span style="color: grey;">( মুসলিম হা/১৯৭৬)</span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"=""><span style="color: magenta;"><strong>১০.<span style="color: rgb(51, 51, 0);">আশুরার সাথে তাসুআর রোজাও মুস্তাহাব</span> </strong></span></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাযি.) বর্ণনা করেন,</div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;="" text-align:="" center;"=""><div style="text-align: justify;">حِينَ صَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: “فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ صُمْنَا الْيَوْمَ التَّاسِعَ”. قَالَ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ</div></div><div style="font-weight: 700; background-color: white; color: rgb(51, 51, 51); font-family: " siyam="" rupali",="" serif;="" font-size:="" 14px;="" margin-bottom:="" 10px;"="">যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আশুরার রোজা রাখলেন এবং (অন্যদেরকে) রোজা রাখার নির্দেশ দিলেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এটিতো এমন দিন, যাকে ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা বড় জ্ঞান করে, সম্মান জানায়। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, <span style="color: olive;">আগামী বছর এদিন আসলে, আমরা নবম দিনও রোজা রাখব ইনশাল্লাহ।</span> বর্ণনাকারী বলছেন, আগামী বছর আসার পূর্বেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওফাত হয়ে গিয়েছে।<span style="color: grey;">( মুসলিম হা/১৯৪৬)</span></div></div>

মহররম ও আশুরার ফজিলত

মহররম ও আশুরার ফজিলত বিস্তারিত নিচে উল্লেখ করা হলঃ ১.   মুহাররম ‘হারাম’ বা সম্মানিত মাস হিসাবে পরিগণিত আবূ বাকরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত,রাসূলু...

Read more »

হযরত মুয়াবিয়া (রা.) কি চুক্তিভঙ্গ করেছিলেন?

<div style="text-align: justify;">♻️প্রশ্নঃ হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. ও ইমাম হাসান রাদ্বি. এর মধ্যে যে সন্ধি হয়েছিল তিনি কি সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছেন? </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">♻️হযরত ইমাম হাসান রাদ্বি. এর সাথে কৃত সন্ধি চুক্তি ওনার জিবদ্দশায় হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. ভঙ্গ করেছেন মর্মে দাবীটি সত্য নয়। নির্ভরযোগ্য সূত্র মোতাবেক, হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. ইন্তেকালের পরে ইমাম হাসান রাদ্বি. এর অনুপস্থিতিতে হযরত ইমাম হুসাইন রাদ্বি. কে খেলাফত দিতে হবে এরূপ শর্তারোপ সন্ধির মধ্যে উল্লেখ ছিল না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">তবে হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. এর পরে ইমাম হাসান রাদ্বি. কে পুনরায় খেলাফত প্রাপ্তির বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📖যেমন ইমাম ইবনু হাজার আসকালানী রহ. অন্যান্য ইমামগণ উল্লেখ করেছেন, </div><div style="text-align: justify;">فكره الحسن القتال، وبايع معاوية على أن يجعل العهد له من بعده، </div><div style="text-align: justify;">-"ইমাম হাসান রাদ্বি, মুসলমানদের মাঝে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধকে অপছন্দ করলেন ও মুয়াবিয়া রাদ্বি. এর নিকট বায়াত গ্রহণ করলেন এই মর্মে যে, তিনার ওফাতের পরে হযরত হাসান রাদ্বি. কে খলিফা বানানো হয়।" </div><div style="text-align: justify;">★আসকালানী: আল-ইসাবা ফি তামিযিস সাহাবা, ১ম খণ্ড, ৪৩৩ পৃঃ।</div><div style="text-align: justify;">★ইবনু আব্দিল বার: আল-ইস্তেআব ফি মারিফাতিল আসহাব, ১ম খণ্ড, ৩৮৬ পৃষ্ঠা।</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">♻️যেহেতু ইমাম হাসান রাদ্বি. হযরত মুয়াবিয়ার ইন্তেকালের পূর্বেই শাহাদাত বরণ করেছেন সেহেতু খেলাফত পুনরায় ফিরিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ থাকছে না। অর্থাৎ হযরত মুয়াবিয়া সন্ধির চুক্তি ভঙ্গ কারি প্রমাণিত হয় না। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📖যেমন ছহীহ্ বুখারীতে হযরত হাসান বছরী (রহ.) থেকে বর্ণিত আছে যে,</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">ইমাম হাসান রাদ্বি. হযরত মুয়াবিয়া (রা.) কে শর্ত দিলেনঃ-</div><div style="text-align: justify;">وَلَيْسَ لمعاوية بن أبي سُفْيَان أَن يعْهَد إِلَى أحد من بعده عهدا بل يكون الْأَمر من بعده شُورَى بَين الْمُسلمين.</div><div style="text-align: justify;">-"হযরত মুয়াবিয়া (রা.) এ বিষয়ে অনুমতি নেই যে, তিনি তাঁর পর কাউকে খেলাফত দিয়ে যাবেন। বরং তাঁর পরে এ বিষয়টি মুসলমানদের পরামর্শ অনুযায়ী সমাপ্ত হবে। </div><div style="text-align: justify;">(ইবনু হাজার: আস সাওয়াইকুল মুহরিকা, ২য় খণ্ড, ৩৯৯ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">📖হাফিজ ইবনু কাসির রহ. তদীয় কিতাবে বলেন,</div><div style="text-align: justify;">فاشترط ان يأخذ من بيت مال الكوفة خمسة آلاف الف درهم، وان يكون خراج دار أبجرد له، وان لا يسب علي وهو يسمع.</div><div style="text-align: justify;">হযরত ইমাম হাসান (রাঃ) এই শর্তে খেলাফতের দাবী পরিত্যাগ রাজি হলেন যে, তাকে কুফার বায়তুল মাল থেকে ৫০ লক্ষ দিরহাম দেওয়া হবে। আবজারাদ অঞ্চলের খাজনা তিনি গ্রহণ করবেন এবং হযরত আলী (রাদ্বি.) এর প্রতি কোন নিন্দাবাদ যেন তার কানে না আসে। </div><div style="text-align: justify;">(ইবনু কাসির: আল-বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৮ম খণ্ড, ৪০ পৃষ্ঠা)</div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">♻️অতএব, হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. ইমাম হাসান রাদ্বি. এর সন্ধি চুক্তি ভঙ্গ কারি প্রমাণিত নয়। তাই অহেতুক বিনা কারণে একজন সাহাবীয়ে রসূলকে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ দেওয়া মোটেও উচিত নয়।</div><div style="text-align: justify;">♻️[বিঃদ্রঃ হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. এর পরে ইমাম হাসান রাদ্বি. এর অবর্তমানে নিঃসন্দেহে ইমাম হুসাইন রাদ্বি. খেলাফতের অধিক হক্বদার ছিলেন। কিন্তু কুখ্যাত ইয়াজিদের চক্রান্তের কারণে আমীরে মুয়াবিয়া রাদ্বি. চুক্তি ভঙ্গকারী প্রমাণিত হয় না।]</div><div style="text-align: justify;">♻️মহান আল্লাহ তা'আলা সকলকে বুঝার তৌফিক দান করুন, আমিন। </div><div style="text-align: justify;"><br></div><div style="text-align: justify;">✍️মুফ্তী মুহাম্মদ আলাউদ্দিন জেহাদী, নারায়ণগঞ্জ।</div><div style="text-align: justify;">এর চেয়ে অধিক তথ্য কারো কাছে থাকলে আমাদেরকে জানালে কৃতার্থ থাকবো।</div>

হযরত মুয়াবিয়া (রা.) কি চুক্তিভঙ্গ করেছিলেন?

♻️প্রশ্নঃ হযরত মুয়াবিয়া রাদ্বি. ও ইমাম হাসান রাদ্বি. এর মধ্যে যে সন্ধি হয়েছিল তিনি কি সেই চুক্তি ভঙ্গ করেছেন? ♻️হযরত ইমাম হাসান রাদ্বি. এর স...

Read more »