﴾১﴿ ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর নিকট কদমবুসির অনুমতি প্রার্থনা:

আহমদ বিন হামদান আল কাসার رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেছেন যে, তিনি ইমাম মুসলিম رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ কে ইমাম বুখারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ এর দরবারে আসতে দেখেন এবং তিনি তাঁর কপালে চুম্বন করেন, "তখন তিনি তাঁর কদমে চুম্বন করার অনুমতি প্রার্থনা করলেন" তখন তিনি বলেছিলেন: "হে মহান ওস্তাদের ওস্তাদ! হে চিরাচরিত (ইমামগণের) শিক্ষক! হাদিসের দুর্বলতা সম্পর্কে শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী। ”
[আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ: ১১/৩৩ পৃষ্ঠা] [তারিখে বাগদাদ: ১৩/১০২ পৃষ্ঠা]
[ইমাম যাহাবী: সিয়ারু নুবালা, ১/৩৩৪৩ পৃষ্ঠা]

﴾২﴿ শায়খ আবদুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন:

“ পরহেজগার আলেম এর কদমবুসি জায়েয এবং কেউ কেউ বলেন তা মুস্তাহাব। যদি আলেম ও ন্যায়-পরায়ন বাদশাহর হাত ইলম, ইনসাফ ও দ্বীনের সম্মানার্থে বুচা বা চুমু দেয়, তাতে কোন দোষ নেই। তবে দুনিয়াবী স্বার্থ সিদ্ধীর উদ্দেশ্যে চুম্বন করা মাকরূহ। হাদীস শরীফে সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক রাসূলে পাক ﷺ কদমবুচি করার বর্ণনা এসেছে। ”
[আশিয়াতুল লময়াত: ৪/৩৩ পৃষ্ঠা]
[মুযাহিরুল হক্ব: ৪/৬০ পৃষ্ঠা]

﴾৩﴿ বিখ্যাত ফকিহ, ইমাম ইবনে আবেদীন শামী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ হতে বর্ণনা করেন, আল্লামা আইনী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন:

“ দীর্ঘ আলোচনার পরে হাত চুম্বন, কদমবুচি, মাথা বুচি, ও ইত্যাদির বৈধতা প্রমানিত হলো। যেভাবে বর্ণিত হাদীস হতে কপালে, দুই চোখের মাঝে, দু’ঠোটের উপরে চুমু দেয়ার বৈধতা প্রমাণিত হল, তবে এ সকল ক্ষেত্রে চুম্বন তখন জায়েয যখন সম্মান ও বরকত হাসিল উদ্দেশ্য হয়। ”
[রদ্দুল মুখতার: ৬/৩৮০ পৃষ্ঠা]

﴾৪﴿ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন:

“ হাদিস শরীফ দ্বারা হাতবুচি ও কদমবুচির বৈধতা ও অনুমোদন প্রমাণিত। তবে ইমাম মালেক ও ইমাম আবহারী এগুলিকে মাকরুহ বলেছেন যদি বড়ত্ব আহমিকা প্রকাশের উদ্দেশ্য হয়। কিন্তু যদি আল্লাহ তা’য়ালার নৈকট্যবান বান্দা বা জ্ঞানগত সম্মান ও মর্যাদার কারনে হয় তাহলে উহা নি:সন্দেহে জায়েয। ”
[ফতহুল বারী শরহে বুখারী: ১১তম খন্ড, ৫৭ পৃষ্ঠা]

﴾৫﴿ “ ফাত্ওয়ায়ে শামী ”তে হাকিমের একটি হাদীস উদ্ধৃত করেছে, যার শেষাংশে বর্ণিত আছে:

“ হুযূর ﷺ সেই ব্যক্তিকে অনুমতি দিয়েছেন। তাই সে তাঁর মস্তক ও পা মুবারক চুমু দিলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) ইরশাদ ফরমান যদি আমি কাউকে সিজ্দার হুকুম দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে হুকুম দিতাম স্বামীকে সিজ্দা করতে।

﴾৬﴿ মোল্লা আলী ক্বারী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন:

“ চুমু দেয়া মাকরুহ হবেনা যখন তা কোন পরহেজগারিতা, ইলম বা জ্ঞান ও বয়োযষ্ঠের কারনে হবে। ইমাম নববী رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِعَلَیہِ বলেন: “ হাত চুম্বন, যদি ব্যক্তির জ্ঞানগত মার্যাদা, খোদা ভীরুতা ও ধামির্কতা ইত্যাদি কারনে হয় তাহলে মাকরুহ তো হবে না; বরং মুস্তাহাব বা উত্তম আমল হিসেবে বিবেচিত হবে। ”
[মিরকাতুল মাফাতিহ: ৯ম খন্ড, ৭৬ পৃষ্ঠা]
 
Top