★ আমার উপর দুরূদ পাঠ কর। নিশ্চয় তোমরা যেখানেই থাক না কেন তোমাদের দরূদ আমার নিকট পৌঁছে থাকে।(আল্লাহ তায়ালার ফেরেশতারা পৌঁছিয়ে দেন।)”

Reference :
** সুনানে আবু দাউদ: হাদিস নং-২০৪৪/৪০


★ মালেক বিন হুয়াইরিস (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মিম্বরে উঠেন, প্রথম সিঁড়িতে উঠে আমীন বলেন। অতঃপর দ্বিতীয় সিঁড়িতে উঠে বললেন, আমীন। অতঃপর তৃতীয় সিঁড়িতে উঠে বললেন, আমীন। অতঃপর বললেন, আমার নিকট জিবরীল (আঃ) এসে বললেন,

হে মুহাম্মাদ (ছাঃ)! যে ব্যক্তি রামাযান মাসে উপনীত হওয়ার পরও তার জীবনের গোনাহকে ক্ষমা করাতে পারল না, আল্লাহ তাকে রহমত থেকে দূর করুন। আমি তা শুনে বললাম, আমীন। তারপর বলেন, যে ব্যক্তি তার পিতা-মাতাকে অথবা তাদের একজনকে পেল, অথচ (তাদের সাথে সদ্ব্যহার না করে) জাহান্নামে প্রবেশ করল, আল্লাহ তা‘আলা তাকেও তাঁর রহমত থেকে দূর করুন। আমি বললাম, আমীন।

অতঃপর বললেন, যে ব্যক্তির সামনে আপনার নাম উচ্চারিত হওয়ার পর আপনার উপর দরূদ পাঠ করল না, সেও আল্লাহ তা‘আলার রহমত থেকে দূর হোক। আমিও তাতে বললাম, আমীন’।

Reference :
** ছহীহ ইবনু হিববান, ২য় খন্ড, পৃঃ ৩০৮, হা/৪১০, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৩০৪, হা/৯০৯
** ছহীহ আত-তারগীব হা/৯৯৬


★”হযরত ইবনে আব্বাস(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত জুমার দিন যোহর থেকে আছর পর্যন্ত এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ তা’আলা হাওয়া (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে আদম(আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বাম পাজর থেকে সৃষ্টি করলেন,আর তখন তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন।আদম(আলাইহিস সালাম) যখন হাওয়া(আলাইহিস সালাম)এর নিকট গেলেন তখন ফেরেশতারা মোহরানা আদায় করতে বললেন,তখন আদম(আলাইহিস সালাম) বললেন তার মোহরানা কী? তখন ফেরেশতারা বললেন আপনি হযরত মুহাম্মদ(সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উপর তিনবার দরুদ শরীফ পড়ুন।”

Reference :
** ইমাম কোস্তালানীঃমাওয়াহেবে লাদুন্নিয়াঃ১/৭৬পৃঃ,মাকতাবাতুল ইসলাম,বৈরুত, লেবানন।
** ইবনে কাসীরঃবেদায়া ওয়ান নেহায়াঃ১/৭৪পৃঃ
** আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারীঃআল মাওয়ারিদুর রাভী ফি মওলুদুন্নবীঃ১৫ পৃঃ


★ হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমায়েছেন, কোন সম্প্রদায় এমন কোন মজলিস বসলো,যাতে না আল্লাহর যিকর করলো, না আপন নবীর উপর দরুদ শরীফ পড়লো, ওই মজলিস তাদের জন্য অনুশোচনা হবেই।মহান রব চাইলে তাদেরকে তজ্জন্য শাস্তি দেবেন, চাইলে ক্ষমা করে দেবেন।

Reference :
** তিরমিযী শরীফ
** মিশকাত শরীফঃবাবে যিকিরিল্লাহ অধ্যায়ঃহাদিস নং-২১৬৫









০দরূদ শরীফ পড়ার গুনাগুন ও উপকারীতা০ 

দরূদ শরীফের উপকারীতা অসংখ্য। দরূদ শরীফ পড়ার সবচেয়ে বড় উপকারীতা হচ্ছে, যে ব্যক্তি একবার রসুলুল্লাহ ( স. ) এর প্রতি দরূদ শরীফ পড়ে, আল্লাহ তায়ালা এবং ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির প্রতি দশবার দরূদ পাঠান এবং ঐ ব্যক্ত... ির জন্য দশ প্রকার সম্মান সমুন্নত হয়, ১০টি পূণ্য লেখা হয়, ১০টি পাপ মোচন হয়। এছাড়াও 

- রসুলুল্লাহ ( স. ) এর শাফায়াত ঐ ভ্রক্কির জন্য আবশ্যক হয়ে যায়। 

- কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি রসুলুল্লাহ ( স. ) এর সঙ্গে থাকবে। 

- ইচ্ছা ছাড়াও দরূদ শরীফ পড়লে দ্বীণ-দুনিয়ার কাজ সম্পন্ন হয়, গুনাহ মাফ হয়। 

- দরূদ শরীফ পড়লে তা সদকায় রূপান্তরিত হয়। 

- এর বরকতে কষ্ট ও কাঠিন্য বিদূরীত হয়, রোগমুক্তির ভাগ্য হয়। 

- দরূদ পাঠকের জন্য সর্বদা ফেরেশতাগণ রহমত কামনা করেন এবং অন্তর পরিশুদ্ধ হয়, বাড়ি ও সম্পদে বরকত হয়। 

- দরূদ শরীফ পাঠকের বংশে কয়েক পুরুষ পর্যন্ত বরকতের প্রভাব বজায় থাকে। 

- মৃত্যুর আযাব হতে পরিত্রাণ পান, কিয়ামতের ভয়ানক অবস্থায় নিশ্চিন্ত থাকে। 

- এর বরকতে দারিদ্রতা বিদূরীত হয়। 

- যে সমাবেশে দরূদ পড়া হয় আল্লাহ তায়ালার রহমত তাকে ঢেকে নেয়। 

- কিয়ামতের দিন রসুলুল্লাহ ( স. ) এর মুসাফাহার সৌভাগ্য হবে, ফেরেশতাগণ ঐ ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে নেকী ও মাগফেরাত কামনা করবে। 
রাসুলের জন্য আল্লাহ সর্বোচ্চ প্রসংশিত স্থান (মাকামে মাহমুদ) ঠিক করে রেখেছেন। তার নিজের জন্য কোন দোওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আল্লাহ তার রাসুলকে সবচে বেশি ভালবাসেন। তাই কেউ তার ভালবাসার মানুসের জন্য ভালবাসা প্রকাশ করলে (দরুদ পড়লে) তিনি খুশি হন। আর তারই প্রতিদান দেন তিনি বিভিন্ন ভাবে। 

আর যে কেউ রাসুল কে সালাম দিলে - সে সালাম তার কাছে পৌছে যায়। তখন রাসুল সেই সালামের উত্তর দেন। যা আমাদের জন্য রহমত হয়ে দাড়ায়। 

রাসুল (সাঃ) তাঁর উপর দুরুদ পাঠের ফজীলত বর্ণনা করেছেন। তিনি (সাঃ) বলেছেন- "যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পাঠ করে (তার বিনিময়ে) সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ দশটি রহমত বর্ষণ করেন, তার দশটি পাপ মোচন করেন এবং তাকে দশটি মর্যাদায় উন্নীত করেন।” [সহীহ নাসাঈঃ ১২৩০]





 
Top