মুমূর্ষু ব্যক্তি কিংবা মৃতের কবরের নিকট অথবা মাজারের পাশে কুরআন তেলাওয়াত এর প্রমাণ সম্পর্কিত বর্ণনাসমূহঃ 

উক্ত পোস্টে যা আলোচনা করা হবে তা হলঃ

১) মৃতের কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত বিদআত নয় সুন্নাহ (কারণ যা হাদিসে পাওয়া যায় তা কখনো বিদআত হতে পারে না)
২) দুর্বল হওয়ায় কিছু হাদিসকে যারা জাল বলে প্রচার করছে তারা মূলত জাল আর জয়ীফের মধ্যে পার্থক্যই জানে না।


জাল আর জয়ীফের মধ্যে পার্থক্যঃ


ওহাবী সালাফীদের অনেকে দুর্বল হাদিসকে জাল বলতে দ্বিধাবোধ করে না।
কারণ তারা বেয়াদব মানুষের বানী আর রাসূলের বানীর মধ্যে পার্থক্য বুঝে না। যদিও এই ব্যাপারে নিচের কিছু কিছু হাদিস দুর্বল কিন্তু সওয়াবের উদ্দেশ্যে আমলের জন্য তা গ্রহণযোগ্য। এ ব্যাপারে ইমামগণের ইজমা রয়েছে। আর দুর্বল হাদিস মূলত সনদ ও রাবীর দুর্বলতার জন্য হয়ে থাকে তাই বলে সেটাকে জাল মনে করা বোকামী। কারণ জাল হাদিস যা কোন হাদিসই নয় যা কেবল মানুষের বানী, আর দুর্বল হাদিসও স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর বানী (যা সনদের দুর্বলতার জন্য দুর্বল)। সহিহ সিত্তায় প্রচুর হাদিস দুর্বল তাই বলে তাকে জাল বলা কাম্য নয়। যদি তাই হত তবে সিহাহ সিত্তার কোন ইমাম, মুহাদ্দিসগণ জেনে শুনে মানুষের কথাকে হাদিস বলে বর্ণনা করতেন না। আর যদি বলা হয় তারা রাবীর হালত সম্পর্কে না জেনেই জাল হাদিস সিহাহ সিত্তায় তুলেছে তা তো আর বড় মূর্খতা হবে। লাখো হাদিস থেকে তারা বাছাই করে গোটা কয়েক হাজার হাদিস সংগ্রহ করেছেন। সুতরাং দুর্বল আর জাল হাদিস এক নয়। 

মৃতের কবরের পাশে কুরআন তেলাওয়াত বিদআত নয় সুন্নাহঃ


হাদিস ১ :

১. عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ قَالَ قَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم  اقْرَءُوْا (يس) عَلَى مَوْتَاكُمْ-

👉 ১. হযরত মায়াকিল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেনঃ হযরত নবী কারীম (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ 
তোমরা তোমাদের মৃতদের উপর সূরা ইয়াসিন পাঠ করো!এতে তার মৃতের যন্ত্রনা হ্রাস পাবে৷ [1]

হাদিস ২ : 

২. عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ قَلْبًا، وَإِنَّ قَلْبَ الْقُرْآنِ يس وَمَنْ قَرَأَ يس وَهُوَ يُرِيدُ بِهَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ غَفَرَ اللهُ لَهُ، وَأُعْطِي مِنَ الْأَجْرِ كَأَنَّمَا قَرَأَ الْقُرْآنَ اثْنَتَيْ عَشْرَةَ مَرَّةً، وَأَيُّمَا مُسْلِمٍ قُرِئَ عِنْدَهُ إِذَا نَزَلَ بِهِ مَلَكُ الْمَوْتِ سُورَةُ يس نَزَلَ بِكُلِّ حَرْفٍ مِنْ سُورَةِ يس عَشَرَةُ أَمْلَاكٍ يَقُومُونَ بَيْنَ يَدَيْهِ صُفُوفًا يُصَلُّونَ عَلَيْهِ، وَيَسْتَغْفِرُونَ لَهُ، وَيَشْهَدُونَ غُسْلَهُ، وَيُشَيِّعُونَ جِنَازَتَهُ، وَيُصَلُّونَ عَلَيْهِ، وَيَشْهَدُونَ دَفْنَهُ، وَأَيُّمَا مُسْلِمٍ قَرَأَ يس وَهُوَ فِي سَكَرَاتِ الْمَوْتِ لَمْ يَقْبِضْ مَلَكُ الْمَوْتِ رُوحَهُ حَتَّى يَجِيئَهُ رِضْوَانُ خَازِنُ الْجَنَّةِ بِشَرْبَةٍ مِنْ شَرَابِ الْجَنَّةِ فَيَشْرَبُهَا، وَهُوَ عَلَى فِرَاشِهِ، فَيَقْبِضُ مَلَكُ الْمَوْتِ رُوحَهُ وَهُوَ رَيَّانُ، فَيَمْكُثُ فِي قَبْرِهِ وَهُوَ رَيَّانُ، وَيُبْعَثُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَهُوَ رَيَّانُ، وَلَا يَحْتَاجُ إِلَى حَوْضٍ مِنْ حِيَاضِ الْأَنْبِيَاءِ حَتَّى يَدْخُلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ رَيَّانُ-

👉 ২. উবাই বিন কা‘ব হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, 
রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জীবের হৃদয় রয়েছে। আর কুরআনের হৃদয় হল সূরা ইয়াসীন। যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন এবং ১২ বার কুরআন খতম করার ছওয়াব দিবেন। আর যে মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর সময় সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করা হয়, প্রত্যেক হরফের বিনিময়ে দশজন করে ফেরেশতা অবতরণ করে। যারা তার সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে তার জন্য রহমতের দো‘আ করে, তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, তার গোসলদানে অংশগ্রহণ করে, জানাযা অনুসরণ করে চলে, তার জন্য দো‘আ করে এবং দাফন কার্যে অংশগ্রহণ করে। আর যে মুসলিম ব্যক্তি মুমূর্ষু অবস্থায় (মৃত্যুর যন্ত্রণাকালীন সময়ে) সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করবে, মৃত্যুর ফেরেশতা ততক্ষণ তার জান কবয করবে না যতক্ষণ না জান্নাতের প্রহরী রিযওয়ান জান্নাতের শরাব নিয়ে এসে পান করাবে। অথচ সে নিজ বিছানায় শুয়ে থাকবে। অতঃপর মালাকুল মওত তার জান কবয করবে এমতাবস্থায় সে পরিতৃপ্ত থাকবে। সে পরিতৃপ্ত অবস্থায় কবরে অবস্থান করবে, পরিতৃপ্ত অবস্থায় ক্বিয়ামতের দিন উত্থিত হবে এবং নবীগণের হাউযে কাওছারের পানি পানের প্রতি অমুখাপেক্ষী থেকেই পরিতৃপ্ত অবস্থায় জান্নাতে প্রবেশ করবে’।[2]

হাদিস ৩ :

৩. عَنْ صَفْوَانَ حَدَّثَنِى الْمَشْيَخَةُ أَنَّهُمْ حَضَرُوا عِنْدَ غُضَيْفِ بْنِ الْحَارِثِ الثُّمَالِىِّ حِينَ اشْتَدَّ سَوْقُهُ فَقَالَ هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ يَقْرَأُ يس قَالَ فَقَرَأَهَا صَالِحُ بْنُ شُرَيْحٍ السَّكُونِىُّ فَلَمَّا بَلَغَ أَرْبَعِينَ مِنْهَا قُبِضَ. قَالَ وَكَانَ الْمَشْيَخَةُ يَقُولُونَ إِذَا قُرِئَتْ عِنْدَ الْمَيِّتِ خُفِّفَ عَنْهُ بِهَا. قَالَ صَفْوَانُ وَقَرَأَهَا عِيسَى بْنُ الْمُعْتَمِرِ عِنْدَ ابْنِ مَعْبَدٍ-

👉 ৩. ছাফওয়ান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার নিকট শায়খগণ বর্ণনা করেন যে, গুযাইফ বিন হারেছ আছ-ছুমালী (রাঃ) যখন মরণাপন্ন হ’ল তখন তারা তার নিকট হাযির হ’ল। সে বলল, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে কি যে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করবে? ছালেহ বিন শুরাইহ আস-সাকূনী তা তেলাওয়াত করলেন। চল্লিশ আয়াত তেলাওয়াত না করতেই তার জান কবয করা হ’ল। আর শায়খগণ বলতেন, মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করা হ’লে এর মাধ্যমে মৃত্যুর যন্ত্রণা হালকা করা হয়। বর্ণনাকারী ছাফওয়ান বলেন, ঈসা বিন মু‘তামির ইবনু মা‘বাদের নিকট সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করেছিলেন।[3]

ইবনু তায়মিয়াহ ও ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, এর সনদ হাসান।[4] 

শায়খ আলবানী বলেন, এ আছারের সনদ ছহীহ।[5] 

হাদিস ৪ :

4. عَنْ جَابِرِ بْنِ زَيْدٍ أَنَّهُ كَانَ يَقْرَأُ عِنْدَ الْمَيِّتِ سُوْرَةَ الرَّعْدِ

👉 ৪. জাবের বিন যায়েদ (রহঃ) হ’তে বর্ণিত আছে যে, তিনি মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা রা‘দ তেলাওয়াত করতেন।[6]

হাদিস ৫ :

৫. وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ رَضِيَ الله عَنْهُ قَالَ : قَالَ رَسُولُ الله صَلَّى الله عَلَيه وسَلَّم : مَا مِنْ مَيِّتٍ يَمُوتُ فَيُقْرَأُ عِنْدَهُ يس إِلاَّ هَوَّنَ الله عَلَيْهِ-

👉 ৫. আবু দারদা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, ‘কোন মুমূর্ষু ব্যক্তির কাছে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করা হলে আল্লাহ সহজে তার জান কবযের ব্যবস্থা করে দেন’।[7]

হাদিস ৬ :

৬. عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ : كَانَتِ الأَنْصَارُ يَقْرَؤُوْنَ عِنْدَ الْمَيِّتِ بِسُوْرَةِ الْبَقَرَةِ-

👉 ৬. শা‘বী হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আনছারগণ মুমূর্ষু ব্যক্তির নিকট সূরা বাক্বারাহ তেলাওয়াত করতেন’।[8] 

হাদিস ৭ :

৭. عَن الشّعبِيّ قَالَ كَانَت الْأَنْصَار إِذا مَاتَ لَهُم الْمَيِّت اخْتلفُوا إِلَى قَبره يقرءُون عِنْده الْقُرْآن-

👉 ৭. শা‘বী হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, আনছারদের কেউ যখন মারা যেত, তখন তারা বারবার তার কবরের নিকট এসে সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করতেন।[9]

হাদিস ৮ :

৮. عَنْ مَعْقِلِ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ الْبَقَرَةُ سَنَامُ الْقُرْآنِ وَذُرْوَتُهُ، وَنَزَلَ مَعَ كُلِّ آيَةٍ مِنْهَا ثَمَانُونَ مَلَكاً وَاسْتُخْرِجَتْ (اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ) مِنْ تَحْتِ الْعَرْشِ فَوُصِلَتْ بِهَا أَوْ فَوُصِلَتْ بِسُورَةِ الْبَقَرَةِ وَ(يس) قَلْبُ الْقُرْآنِ لاَ يَقْرَأُهَا رَجُلٌ يُرِيدُ اللهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَالدَّارَ الآخِرَةَ إِلاَّ غُفِرَ لَهُ وَاقْرَءُوهَا عَلَى مَوْتَاكُمْ-

👉 ৮. মা‘কিল বিন ইয়াসার (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন, সূরা বাক্বারাহ কুরআনের কুঁজ এবং শীর্ষ চূড়া। তার প্রত্যেক আয়াতের বিনিময়ে আশিজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। অতঃপর আয়াতুল কুরসী আরশের নীচ হ’তে বের করে তার সাথে মিলানো হয়। এটা সূরা বাক্বারাহ এবং কুরআনের হৃদয় সূরা ইয়াসীনের সাথে সংযুক্ত করা হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পরকালের প্রত্যাশায় সূরা ইয়াসীন তেলাওয়াত করে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর তোমরা এটি তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের নিকট তেলাওয়াত কর’।[10]

হাদিস ৯ :

৯. عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ اللَّجْلَاجِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ لِي أَبِي : يَا بُنَيَّ إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَلْحِدْنِي، فَإِذَا وَضَعْتَنِي فِي لَحْدِي فَقُلْ: بِسْمِ اللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللهِ، ثُمَّ سِنَّ عَلَيَّ الثَّرَى سِنًّا، ثُمَّ اقْرَأْ عِنْدَ رَأْسِي بِفَاتِحَةِ الْبَقَرَةِ وَخَاتِمَتِهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ –

👉 ৯. আব্দুর রহমান ইবনুল আ‘লা ইবনুল লাজলাজ (রাঃ) তার পিতা হ’তে বর্ণনা করে বলেন, আমার পিতা আমাকে বলেন, হে বৎস! আমি মৃত্যুবরণ করলে আমাকে লাহাদ কবর দিবে (কবরস্থ করবে)। আমাকে যখন কবরে রাখবে তখন বলবে ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’। অতঃপর আমার উপর পূর্ণ মাত্রায় মাটি ঢেলে দিবে। এরপর আমার মাথার নিকট সূরা বাক্বারার শুরু ও শেষের অংশ তেলাওয়াত করবে। কারণ আমি রাসূল (ﷺ)-কে তা বলতে শুনেছি।[11]

👉 আলী বিন মূসা আল-হাদ্দাদ (রহঃ) বলেন,

كنت مع أحمد ابن حنبل ومحمد بن قدامة الجوهري في جنازة، فلما دفن الميت جلس رجل ضرير يقرأ عند القبر، فقال له أحمد: يا هذا إن القراءة عند القبر بدعة، فلما خرجنا من المقابر قال محمد بن قدامة لاحمد بن حنبل: يا أبا عبد الله ما تقول في مبشر الحلبي ؟ قال: ثقة قال: كتبت عنه شيئا ؟ قال: نعم، قال: فأخبرني مبشر عن عبد الرحمن بن العلاء بن اللجلاج عن أبيه أنه أوصى إذا دفن أن يقرأ عند رأسه بفاتحة البقرة وخاتمتها وقال: سمعت ابن عمر يوصي بذلك، فقال له أحمد: فارجع فقل للرجل يقرأ-

‘আমি আহমাদ বিন হাম্বল ও মুহাম্মাদ বিন কুদামা জাওহারীর সাথে কোন এক জানাযায় উপস্থিত ছিলাম। মাইয়েতের দাফন সম্পন্ন হ’লে জনৈক অন্ধ কবরের নিকট বসে কুরআন তেলাওয়াত শুরু করল। তখন ইমাম আহমাদ তাকে বললেন, ওহে! কবরের নিকট কুরআন তেলাওয়াত বিদ‘আত। আমরা যখন কবরস্থান হ’তে বের হ’লাম তখন ইবনু কুদামা ইমাম আহমাদকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! মুবাশশির আল-হালাবীর ব্যাপারে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, সে বিশ্বস্ত। আপনি তার থেকে কোন কিছু লিখেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। তখন ইবনু কুদামা বললেন, মুবাশশির আব্দুর রহমান বিন আ‘লা বিন লাজলাজ তার পিতা হ’তে আমাকে বর্ণনা করেন যে, তিনি এ মর্মে উপদেশ দিয়েছেন যে, যখন তাকে দাফন করা হবে তখন যেন তার মাথার নিকট সূরা বাক্বারার শুরু ও শেষাংশ তেলাওয়াত করা হয়। আর তিনি বলেন, আমি ইবনু ওমরকে এ মর্মে অছিয়ত করতে শুনেছি। তখন ইমাম আহমাদ তাকে বললেন, ফিরে গিয়ে ঐ লোকটিকে বল, সে যেন কুরআন তেলাওয়াত করে’।[12]


তথ্যসূত্রঃ

[1]. 
১.আবু দাঊদ হা/৩১২১; 
২.আহমাদ হা/১৪৬৫৬; 
৩.মিশকাত হা/১৬২২; 

[2].
১.মুসনাদুশ শিহাব হা/১০৩৬; 
২.তাফসীরে কাশ্শাফ ৪/৩২; 
৩.তাফসীরে বায়যাভী, সূরা ইয়াসীনের তাফসীর দ্রষ্টব্য; 
৪.জামে‘ হা/১৯৩৫; 
৫.তারগীব হা/৮৮৫।

[3].শু‘আইব আরনাউত বলেন, আছার হাসান, আহমাদ হা/১৭০১০।

[4]. ইবনু হাজার, আত-তালখীছ ২/২১৩, হা/৭৩৫।

[5]. আলবানী, আহকামুল জানায়েয, ১/১১৪, মাসআলা ১৫ দ্রঃ।

[6]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/১০৯৫৭, ১০৮৫২- এর সনদের বিশুদ্ধতা জানা যায়নি। তবে ছহীহ নয় বলেই অনুমেয়।

[7]. 
১.দায়লামী হা/৬০৯৯; 
২.যঈফাহ হা/৫২১৯, ৫৮৬১; 
৩.ইরওয়া হা/৬৮৮।
৪.ইবনু আবী শায়বাহ হা/১০৯৫৩, ১০৮৪৮; 
৫.আহকামুল জানায়েয ১/৯৩।

[8]. আত-তাক্বরীব ২/২২৯।

[9]. 
১.ইবনুল ক্বাইয়িম, আর-রূহ ১/১১; 
২.আহকামুল জানায়েয ১/১৯৩; 
৩.মিরক্বাত ৩/১২২৮; 
৪.আবু বকর আল-খাল্লাল, আল-আমরু বিল মা‘রূফ, হা/২৪৯; 
৫.আল-ক্বিরাআত ইনদাল কুবূর হা/০৯।
৬.আহকামুল জানায়েয ১/১৯৩।

[10]. 
১.আহমাদ হা/২০৩১৫; 
২.মু‘জামুল কাবীর হা/৫৪১,৫১১; 
৩.তারগীব হা/৮৭৮; 
৪.যঈফাহ হা/৬৮৪৩; 
৫.মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/১০৮৪০।

[11]. 
১.মু‘জামুল কাবীর হা/৪৯১; 
২.আবুবকর আল-খাল্লাল, আল-আমরু বিল মা‘রূফ, হা/২৪৫; 
৩.তারীখু দিমাশক ৫০/২৯, ৫৮৪৮৭; 
৪.বাদরুল মুনীর ৫/৩৩৭; 
৫.মাজমা‘উয যাওয়ায়েদ হা/৪২৪৩।
৬.আহকামুল জানায়েয ১/১৯২।

[12]. 
১.আবুবকর আল-খাল্লাল, আল-আমরু বিল মা‘রূফ, হা/২৪৬; 
২.আল-ক্বিরাআত ইনদাল কুবূর হা/৩; 

৩.তারীখু বাগদাদ ৪/১৪৫।
 
Top