ঈদে মিলাদুন্নবী ﷺ বিরোধীদের আপত্তি ও জবাব -০৪

আপনারা যখন মিলাদ পাঠ করেন তখন সকলে বিশ্বাস করেন রানার রুহ মোবারক হাজির হন। আর এজন্য আপনারা সবাই দাঁড়িয়ে কিয়াম করেন। অথচ এ ধরণের আকিদা হলো শিরক ও কুফরী। ( জুনায়েদ বাবু নগরী, মিলাদ কিয়াম সুন্নাত ও বিদয়াত, পৃ- ৬১)

জবাব : মিলাদ বা কিয়ামের সময় রাসুলে পাক উপস্থিত হন আর এজন্য আমরা কিয়াম করি এটা আমাদের আকিদা নয়। এটা আপনাদের চাপিয়ে দেওয়া একটা অপবাদমাত্র। আহলে সুন্নাহর গ্রহণযোগ্য কোন আলেমের কিতাবে এ ধরণের কোন আকিদার কথা নেই। রাসূল পাক ﷺ  এর হাজির-নাজির হওয়াটা মিলাদ-কিয়ামের সাথে খাস নয়। এমন নয় যে যখন মিলাদ পাঠ করা হয় নবীজি ﷺ  কেবল তখনই হাজির হন আর অন্য সময় হাজির নন। বরং আহলে সুন্নাহর আকিদা হল তিনি সর্বদাই উম্মতের আমল প্রত্যক্ষ করছেন তথা সর্বদা হাজির।

যেমন এ বিষয়ে নবম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ইমাম আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী (ইন্তেকাল-৯১১ হিজরী) বর্ণনা করেন, النظر في أعمال أمته والاستغفار لهم من السيئات والدعاء بكشف البلاء عنهم والتردد في اقطار الارض لحلول البركة فيها وحضور جنازة من مات من صالح أمته فان هذه الأمور من جملة اشغاله في البرزخ كما وردت بذالك الحديث والآثار -

অর্থ:- উম্মতের বিবিধ কর্মকান্ডের প্রতি দৃষ্টি রাখা, তাদের পাপরাশির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা, তাদেরকে বালা মুসিবত থেকে রক্ষা করার জন্য দোআ করা, পৃথিবীর একপ্রান্ত হতে অন্য প্রান্তে আনাগোনা করা ও বরকত দান করা এবং নিজ উম্মতের কোন নেক বান্দাহর ওফাত হলে তার জানাযাতে অংশগ্রহণ করা এগুলো হচ্ছে রাসূলে পাক  ﷺ -এর সখের কাজ। অন্যান্য হাদিস থেকেও এর সমর্থন পাওয়া যায়।"
→ক. ইমাম সৈয়ুতী, আল হাবী লিল ফাতওয়া, খন্ড-২, পৃ-১৫৩।
   খ. আমবাউল আযকিয়া ফি হায়াতিল আম্বিয়া, পৃ-৭
নবীজির হাজির-নাজির বিষয়ে পরবর্তীতে আলোচনা আসবে। ইনশাআল্লাহ!

সুতরাং মিলাদে নবী করীম ﷺ - আগমন করেন এজন্য কিয়াম করা হয় এ ধরণের আপত্তি সম্পূর্ণ বানোয়াট তথা মিলাদকে কলোষিত করার একটা ফাঁদ মাত্র। অতএব নবীজির হাজির-নাজির হওয়াটা মিলাদ কিয়ামের সাথে খাস নয়। এটা আপনাদের মনগড়া আপত্তি।
 
Top