শরীয়তের বিধি-বিধান অখন্ড। এর কিছু অংশ গ্রহণ এবং কিছু অংশ বর্জন করা নিষেধ। শরীয়তের প্রতিটি হুকুমের উপর ঈমান আনা এবং সামগ্রিকভাবে শরীয়াত পালন করা অবশ্য কর্তব্য। শরীয়তের কোন বিধানের বিরোধিতা বা লংঘন একই সঙ্গে ইহকালীন এবং পরকালীন দুটি মারাত্মক পরিণতির কারণ। এই প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ 

“যারা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং (আল্লাহর) যমীনে বিপর্যয় সৃষ্টির অপচেষ্টা করে, তাদের জন্যে নির্দিষ্ট শাস্তি হচ্ছে এই যে, তাদের হত্যা করা হবে কিংবা তাদের শুলবিদ্ধ করা হবে, অথবা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত-পা কেটে ফেলা হবে, কিংবা দেশ থেকে তাদের নির্বাসিত করা হবে; এই অপমানজনক শাস্তি তাদের দুনিয়ার জীবনের জন্যে, (তাছাড়া) পরকালে তাদের জন্যে ভয়াবহ আযাব তো রয়েছেই।” {সূরা আল মায়িদা, আয়াত ৩৩} 

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে আরও উল্লেখ করেছেন,

“(হে নবী,) তুমি বলো, তোমরা যদি আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসো, তাহলে আমার কথা মেনে চলো, (আমাকে ভালোবাসলে) আল্লাহ তায়ালাও তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তিনি তোমাদের গুনাহখাতা মাফ করে দেবেন; আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান।” {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ৩১} 

এই পবিত্র আয়াতটি মীমাংসা করে দিয়েছে যে, যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভালবাসার দাবী করে, কিন্তু তার আমল ও বিশ্বাস যদি রাসূল (সাঃ)-এর নির্দেশের অনুরূপ না হয় এবং সে তার সুন্নাতের অনুসারী না হয়, তবে সে তার এ দাবীতে মিথ্যাবাদী। সহীহ হাদীসে রয়েছে যে, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন এমন কাজ করে যার উপর আমার নির্দেশ নেই, তা অগ্রাহ্য। 

 
Top