♥বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম♥   

শাবান মাসের ফজিলতঃ-
বস্তুত মাহে রমজানের প্রস্তুতির মাস হিসেবে শাবান মাসের ফজিলত অনেক বেশি এবং সে উদ্দেশ্যে শাবান মাসে মুমিন মুসলমানের জন্য বেশ কিছু করণীয় রয়েছে। বিশেষ করে ‘শবেবরাত’ মাসটিকে বিশেষ মহিমায় মহিমান্বিত করেছে। মহিমান্বিত এ রাতটি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক মহান সুয়োগ এনে দেয়। ওই রাতে মুমিন বান্দা তার জীবনের গুনাহ থেকে পরিত্রাণ লাভের এক সুবর্ণ সুযোগ লাভ করে। একটি বছরের দীর্ঘ পরিক্রমা অতিক্রম করে আসা মাহে রমজানে নিরবচ্ছিন্ন ইবাদতকে গতিশীল করতে এবং স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে শাবান মাসে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়।। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রায় গোটা শাবানে নফল রোজা পালন করতেন এবং অন্যদেরও বিশেষভাবে আমল করার উৎসাহ দিতেন।
তাই বলা হয়, ‘রজব মাসে শস্য বপন করা হয়, শাবান মাসে ফসল কাটা হয় এবং রমজান মাসে ফসল কর্তন করা হয়।’

শাবান মাসের ফজিলত সম্পর্কে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন,
‘রজব আল্লাহর মাস, শাবান আমার মাস এবং রমজান আমার উম্মতের মাস।’ শাবান মাসকে রমজান মাসের প্রস্তুতি ও সোপান মনে করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিশেষ দোয়া করতেন এবং অন্যদের তা শিক্ষা দিতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে শাবান মাসের মর্যাদা এতই বেশি যে, যখন তিনি এ মাসে উপনীত হতেন, তখন মাহে রমজানকে স্বাগত জানানোর উদ্দেশ্যে আল্লাহর কাছে অধিক হারে এই বলে প্রার্থনা করতেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বিশেষ বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছিয়ে দিয়েন।’
(মুসনাদে আহমাদ)
 মহানবী (সা.)-এর এ দোয়ার মাধ্যমে সবার কাছে শাবান মাসের ফজিলত প্রতীয়মান হয়।
 
Top