৬। কুরবানীর পশুতে অংশ গ্রহণ 

মাসয়ালা (১)   -  সাত    ব্যক্তি  মিলিত   ভাবে কুরবানীর  জন্য  গরু     ক্রয় করার পর তাদের কেউ একজন     ইন্তেকাল করলে তার  ওয়ারিসগণের অনুমতিতে কুরবানী    করলে    সবার   পক্ষ    হতে কুরবানী জায়েজ     হয়ে যাবে। ওয়ারিসগণের বিনা অনুমতিতে   করলে কারো কুরবানী জায়েজ হবে না (হিদায়া)। 

মাসয়ালা(২) - অংশীদারদের মধ্যে কেহ কাফের থাকলে অথবা  কারো উদ্দেশ্য কুরবানী না    হয়ে     কেবল  মাংস খাওয়া  হলে কারো  কুরবানী      হবে  না (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার)। 

মাসয়ালা(৩)   -  অংশীদারদের মধ্যে একজনের নিয়ত  বর্তমান সালের কুরবানী করা এবং অন্যদের  উদ্দেশ্য      গতসালের       কুরবানী করা, এমতাবস্থায় যার উদ্দেশ্য  বর্তমান সালের কুরবানী  করা তার    কুরবানী   সহীহ হবে, এবং অন্যদের নিয়ত বাতিল হবার কারণে তাদের কুরবানী নফল হয়ে যাবে।        যেহেতু গত   বৎসরের  কুরবানী   বর্তমান      সালে   জায়েজ নয়, সেহেতু তাদের মাংস সাদকা করে দেয়া জরুরী। এমনকি যার কুরবানী সঠিক হয়েছে       তার   ও   মাংস সাদকা   করতে      হবে  (রদ্দুল  মুহতার)। 

মাসয়ালা(৪)    -   তিনব্যক্তি  কুরবানীর পশু     ক্রয় করেছেন। প্রথমব্যক্তি তিনশত টাকায়,    দ্বিতীয়ব্যক্তি  দুইশত   টাকায়,   তৃতীয়ব্যক্তি  একশত          টাকায়, কোনো       প্রকারে তিনটি       পশু  মিলে   গিয়েছে।  কোনটি  কার তা  জানা সম্ভব  হচ্ছেনা। এমতাবস্থায় তিনজন  তিনটি পশু কুরবানী করে  দিলে, যিনি  তিনশত টাকা  দিয়ে ক্রয় করে ছিলো, তার দুইশত টাকা   সাদকা করে  দিবে।  যিনি দুইশত টাকায়  ক্রয় করেছিলেন তিনি একশত টাকা সাদকা করে দিবেন। যিনি একশত টাকায় ক্রয় করে ছিলেন তার কিছু সাদকা  করতে হবেনা। যদি তিনব্যক্তি  একে   অপরকে কুরবানী করার অনুমতি    দিয়ে  থাকে,     তাহলে   সবার  কুরবানী    হয়ে যাবে  এবং   কিছু সাদকা করতে হবেনা (দুররে মুখতার)। 
 
Top