১১। কুরবানীর জবাহ সম্পর্কিত কিছু মাসয়ালা 

মাসয়ালা    (১)   -   গলাতে কয়েকটি    শিরা  থাকে   ঐ শিরা   গুলো  কেটে দেয়াকে   জবেহ বলে। যে   পশুর উক্ত    শিরা  গুলো কেটে  দেয়া হয়েছে তাকে জাবীহা  বলা হয়। ইসলাম যে  পশুগুলোর  জবেহ করার   নির্দেশ দিয়েছে,   বিনা  জবেহতে  ঐ পশুগুলো  খাওয়া হারাম।  (দুররে মুখতার ও বাহারে শরীয়ত) 

মাসয়ালা(২) - মানুষের আয়ত্বে যেসমস্ত পশু থাকে সেগুলো হালাল করার নিয়ম দুই প্রকার।    যথা  - জবেহ ও  নহর।  গলার     শেষাংশে   বল্লম  বা খঞ্জর ইত্যাদি মেরে শিরাগুলো   কেটে  দেয়াকে নহর   বলা হয়।  উটকে   নহর করা এবং গরু, ছাগল ইত্যাদিকে জবেহ করা      সুন্নাত।  তার ব্যতিক্রম করা অর্থাৎ  উটকে   জবেহ   এবং ছাগল গরুকে     নহর করা মকরুহ    ও সুন্নাতের   বিপরীত।  অবশ্য এই    প্রকার ব্যতিক্রমে   পশু হারাম  হবেনা (আলমগিরী ও দুররে মুখতার)। 

মাসয়ালা(৩)   - সিনার  উপর   হতে সমস্ত গলা  জবেহ করার স্থল। অবশ্য গলার মাঝ খানে জবেহ করা উত্তম (হিদায়া) 

মাসয়ালা(৪) - হুলকুম যা হতে শ্বাস প্রশ্বাস যাতায়াত করে থাকে। নলী, যা হতে খাদ্য   প্রবেশ   করে   থাকে। হুলকুম  ও    নলীর আশেপাশে  দুইটি    শিরা থাকে, যা  হতে রক্ত চলাচল   করে থাকে। জবেহ এমন প্রকারে  করতে হবে যাতে চারটি শিরা কেটে   যায়।  যদি   তিনটি  কেটে  যায়    তাহলেও হালাল হবে। অনুরূপ চারটি মধ্যে  প্রত্যেকটির অধিকাংশ কেটে  গেলে হালাল  হবে।  আর       যদি       প্রত্যেক   শিরার  অর্ধাংশ     কেটে যায়     এবং অর্ধাংশ  বাকী থেকে   যায়,  তাহলে পশু  হালাল হবে   না। (আলমগীরি) 

মাসয়ালা(৫) - আজকাল অধিকাংশ  দেখা যাচ্ছে যে, চামড়ার   মূল্য বেশি হবার কারণে   ব্যবসায়ীগণ  যথাস্থানে        জবেহ না     করে গলার উপরে  জবেহ করছে। এপ্রকার অবস্থায় যদি তিনটি শিরা কেটে না যায়, তাহলে  পশু হালাল হবে না। (দুররে মুখতার ও রদ্দুল মুহতার) 

মাসয়ালা(৬)        -    বাজারী ব্যবসায়িদের জবেহ  করা পশুর   মাংস ভক্ষণের  জন্য অত্যন্ত সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী (বাহারে - শরিয়াত)। 
 
Top