❏ প্রশ্ন-১৫ঃ হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)’র জন্য রদ্দুস শামস বা সূর্য পুনরায় উদিত হওয়া সংক্রান্ত ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )-এর বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদীস শরীফের ইবনে তাইমিয়া কর্তৃক সমালোচনা করার মূল কারণ কী? রদ্দুস শামস-এর বাস্তব ঘটনা কী? বর্ণনা কর।


✍ উত্তরঃ রদ্দুস শামস বা সূর্য পুনরায় উদিত হওয়ার মূল ঘটনা সম্পর্কে মুহাদ্দিস আনওয়ার শাহ্ কাশ্মিরী বলেছেন, নবী করীম   হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)কে কোন প্রয়োজনীয় কাজে আসরের পূর্বে পাঠিয়েছিলেন। তিনি প্রয়োজন সেরে আসতে আসতে আসরের নামায পড়ার আগে সূর্য ডুবে যায়। হুযূর  কে এ খবর দেয়া হলে তিনি   দু‘আ করেন। ফলে তাঁর   দু‘আর বদৌলতে আল্লাহ্ তা‘আলা সূর্যকে পুনরায় উদিত করেন। হাদীসের বর্ণনা সূত্রের ভিন্নতার কারণে উক্ত ঘটনা সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায় যা মূল ঘটনার সাথে সংশি­ষ্ট নয়।

হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) আসরের নামায কেন আদায় করেন নি এ প্রসঙ্গে মুহাদ্দিস আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী বলেন, আমার মতে এর কারণ হচ্ছে এই যে, হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)-এর নিকট দু’টি হুকুম একই সময় একত্রিত হয়েছিল। 

প্রথমতঃ সকলের জন্য সাধারণ হুকুম- সময় মতো নামায আদায় করা, 

দ্বিতীয়তঃ বিশেষ হুকুম- নবী করীম (ﷺ)-এর পক্ষ থেকে তাঁকে যে প্রয়োজনে পাঠানো হয়েছিল তা সূর্যাস্তের পূর্বে সম্পাদন করে ফিরে আসা। 

যেমন- বুখারী শরীফে বনু কুরাইযার ঘটনা বর্ণিত আছে যে, রাসূলে করীম   সাহাবা-ই কিরামকে বনু কুরাইযায় পৌঁছে আসরের নামায আদায় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু আসরের সময় পথিমধ্যে হয়ে যাওয়াতে কিছু সংখ্যক সাহাবা আল্লাহ তা‘আলার সাধারণ হুকুমের প্রতি লক্ষ্য করে পথিমধ্যে সময় মতো নামায আদায় করে নেন। আর কতিপয় সাহাবী বিশেষ হুকুমের প্রতি লক্ষ্য করে আদায় করেননি। তাঁরা হুযূর (ﷺ)-এর বিশেষ নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। অতএব বুঝা গেল, স্পষ্টতঃ কারো থেকে আল্লাহর সাধারণ হুকুম আবার কারো থেকে বিশেষ হুকুম ছুটে গেল। এ ঘটনা হুযূর (ﷺ) জানার পর কোন দলকে কিছুই বলেন নি। 

باب مرجع النبىﷺ من الاحزاب 

অর্থাৎ- খন্দকের যুদ্ধ হতে হুযূর-এর ফিরে আসার সময় উক্ত ঘটনা সম্পর্কিত বর্ণনা বুখারী শরীফের ৫৯১ পৃষ্ঠায় বর্ণিত হয়েছে। অতঃপর শাহ সাহেব বলেন, এটা বড় কঠিন ইজতিহাদী মাসআলা, যার সমাধান সহজ নয়। কারণ বিশেষ হুকুমকে অগ্রবর্তী করা হলে সাধারণ হুকুম ছুটে যায়। আর সাধারণ হুকুমের ওপর আমল করলে বিশেষ হুকুম এড়িয়ে যেতে হয়। 

তিনি আরো বলেন, রদ্দুস শামস বা সূর্য পুনরায় উদিত হওয়া এটা খাইবার যুদ্ধের ঘটনা। কতেক ওলামা ভুলবশতঃ এটাকে খন্দকের যুদ্ধ সম্পর্কে মনে করেছেন। অথচ খাইবরেই রদ্দুস শামস সম্পর্কিত ঘটনা ঘটে; আর খন্দকে গুরুবুশ শামস অর্থাৎ- সূর্য অস্ত যাওয়া সম্পর্কিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। সেখানে হুযূর   ও হযরত ওমর (رضى الله تعالي عنه) সূর্য অস্ত যাওয়ার পর আসরের নামায আদায় করেছিলেন। এ ঘটনাটি বুখারী শরীফের ১৮৪ ও ৫৯০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে।

ইমাম ত্বাহাবী (رضى الله تعالي عنه)-এর বিশুদ্ধ হাদীস রদ্দুস শামস সম্পর্কে হাফিয ইবনে তাইমিয়ার সমালোচনার কারণঃ বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরামের নিকট একথা অস্পষ্ট নয় যে, এটা একটি সুপ্রসিদ্ধ ঘটনা। এ প্রসঙ্গে যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস আল্লামা কাউসারী রচিত গ্রন্থ ‘সীরাতে ত্বাহাবী’ এবং আল্লামা সৈয়দ আহমদ রেযা বজনূরী নকশবন্দী রচিত ‘আনওয়ারুল বারী’ গ্রন্থ থেকে কতিপয় উত্তর দেয়ার প্রয়াস পাব। হাফিয ইবনে তাইমিয়া ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )’র রদ্দুস শামস সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে কঠোর সমালোচনা করেছেন। এমন কি একথাও বলেছেন যে, ইমাম ত্বাহাবী বড় মাপের মুহাদ্দিস, ফকীহ ও আলিম হলেও অন্যান্য মুহাদ্দিস ও আলিমের ন্যায় ইসনাদে হাদীস সম্পর্কে তাঁর গভীর জ্ঞান ছিল না।

মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )-এর বিশুদ্ধতা ও নির্ভরযোগ্যতার ওপর বিশ্বাস করে বর্ণিত মূল ঘটনা চিহ্নিত করেন। তিনি এর চেয়ে বেশী আর কিছু বলেননি। হাফিয ইবনে তাইমিয়ার সমালোচনার কথাও উল্লেখ করেছেন। যার বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু কতেক ওলামা বলেন, এর বড় একটি কারণ এটাও হতে পারে যে, ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )-এর প্রতি হাফিয ইবনে তাইমিয়ার উপরোক্ত সমালোচনা গ্রহণযোগ্য মনে করেন না। কারণ হাফিয ইবনে তাইমিয়া অবশ্যই একজন বড় হাফিযে হাদীস এবং তাঁর অধিক জ্ঞান, মর্যাদা এবং জ্ঞানের গভীরতা সম্পর্কে সকল ওলামা তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এবং তাঁকে সবাই সমর্থন করতেন। স্বয়ং মাওলানা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরীও তাঁর প্রশংসাকারী ছিলেন। কিন্তু ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )এর মতো উচ্চ পর্যায়ের মুহাদ্দিসের মোকাবিলায় ইবনে তাইমিয়ার সমালোচনা এমন পর্যায়ের যেরূপ আল্লামা শওকানী ইমাম বুখারী (رحمه الله تعالي ) এর সমালোচনা করেছিলেন।

মুহাদ্দিস আল্লামা কাউসারী (رحمه الله تعالي ) অবস্থার প্রেক্ষাপটে সমসাময়িক ওলামায়ে কিরামের মধ্যে যাদের অনুভূতি শক্তি কম তাদের পথ নির্দেশনা ও আলোর পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে ইতিহাস ও রিজাল শাস্ত্র সম্পর্কিয় বিষয়ের ভুল-ভ্রান্তি দূরীকরণ সংশোধনকল্পে অপরিসীম পরিশ্রম করছেন। 

جزاه الله خيرا عنا وعن المسلمين .

মুহাদ্দিস আল্লামা কাউসারী (رحمه الله تعالي ) তাঁর ‘সীরাতে ত্বাহাবী’ গ্রন্থে লিখেছেন, ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي ) সম্পর্কে হাফিয ইবনে তাইমিয়ার এতো বড় গুজব ছড়িয়ে দেয়ার মূল কারণ হচ্ছে, তিনি রদ্দুস শামসের হাদীস শরীফটি বিশুদ্ধ প্রমাণ করে দিয়েছিলেন। যার ফলশ্রুতিতে হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) এর কৃতিত্ব, বুযূর্গী, শরাফত ও উচ্চ মর্যাদা প্রকাশ পাচ্ছে। ফলে ইবনে তাইমিয়ার গঠনকৃত থিউরির ওপর এক বিরাট প্রভাব পড়ছে, যা তিনি হযরত আলী মরতুযা (رضى الله تعالي عنه)কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কেননা তার দৃষ্টিভঙ্গি খারেজী দলের চিন্তাধারায় প্রভাবিত ছিল। কারণ মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি ও দ্বিধা-বিভক্তি খারেজী ফেরকা থেকেই শুরু হয়েছিল। মুসলমানদেরকে কাফির, মুশরিক ও বিদ‘আতী হিসেবে তৈরী করার বিশাল কারখানা ও ইন্ডাষ্ট্রী উআইনা ও দরিনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে নজদ হিসেবে প্রসিদ্ধ। উক্ত ফ্যাক্টরী থেকে শিরক ও বিদআত তৈরী হয়ে বের হয়, যা ক্রমান্বয়ে মুসলমানদের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে বিস্তৃতি লাভ করছে।

হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে- كل اناء يترشح بما فيه ‘প্রত্যেক পাত্র কিংবা কারখানা ও ফ্যাক্টরী থেকে ওটাই বের হয়, যা এতে তৈরী হয়।’ পরবর্তীতে উক্ত ইন্ডাষ্ট্রীর ম্যানেজার ক্রমান্বয়ে ইবনে হাযম হয়ে ইবনে তাইমিয়া ও ইবনে কাইয়ুম পর্যন্ত এবং পরিশেষে জেনারেল ম্যানেজার হন ইবনে আবদুল ওহাব নজদি। তাই তাদের অনুসারীদেরকে ওহাবী বলা হয়। যারা হিজায শরীফের নাম পরিবর্তন করে তাদের পূর্বপুরুষদের নামে নামকরণ করেন। এভাবে প্রত্যেক কিছুর পরিবর্তন করতে থাকে। অথচ প্রত্যেক ভাল কাজ সব সময় ভালই থাকবে আর মন্দ কাজ সব সময় মন্দই থাকবে। মন্দ মন্দই আর ভাল ভালই।

হাফিয ইবনে তাইমিয়া মূল আক্বীদা ও ফরঈ শাখা-প্রশাখাগত একক মাসআলাসমূহে মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি কোন ধরনের মুসলমান?

যখন যেখানে জাতির মধ্যে মৌলিক আক্বীদাগত মাসআলায় মতানৈক্য সৃষ্টি হয়, আল্লাহ্ তা‘আলার বিধান ও নিয়মানুসারে সেখানে নবী-রাসূল প্রেরণ করে থাকেন। যাতে ওই জাতিকে সরল ও সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দিতে পারেন। হতে পারে এই দৃষ্টিকোণে হাফিয ইবনে তাইমিয়া গোপনে ও অপ্রকাশ্যভাবে নিজেকে নবী দাবী করেছেন। তাই শাস্তিও কম পেতে হয়নি তাকে। হিজায শরীফ যা জামাতার মিরাছ হিসেবে ওহাবীরা পেয়েছিল সে সুবাদে হারামাইন শরীফাইনেরও নাম পরিবর্তন করে সাউদিয়া নামে তারা নামকরণ করে দেয়। 

সারকথা এই যে, ইবনে তাইমিয়া খারেজী সম্প্রদায়ের প্রভাবে প্রভাবান্বিত হওয়ার প্রমাণ তার লিখিত ইবারত থেকেই বুঝা যায়। কেবল বিষয় অনুপাতে নয়।

রদ্দুস শামস-এর হাদীসকে কখনো বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত বলা যাবে না। যে বিষয়ের মাসআলা সে বিষয়ের উসূল বা নীতিমালার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে বাতিল প্রমাণ করা সম্ভব নয়। অবশ্য হাদীস শাস্ত্রের উসূল মতে বেশী জোর একথা বলা যাবে যে, উক্ত হাদীসের মান-মর্যাদা ও মরতবা অন্যান্য বিশুদ্ধ হাদীসে আহাদের সমপর্যায়ের।

হযরত ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي ) ইলালে হাদীস তথা হাদীস শুদ্ধ-অশুদ্ধ হওয়ার কারণসমূহ বিষয়ে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। অযথা রায় প্রদানের মতো ব্যক্তিত্ব তিনি ছিলেন না। সুতরাং তাঁর প্রদানকৃত বিশুদ্ধ রায় বাতিল প্রমাণ করা সহজ ব্যাপার নয়।

এমনকি অন্যান্য ওলামায়ে কিরাম এবং হাফিযে হাদীসগণের মতো মহান ব্যক্তিবর্গ প্রত্যেক যুগে উক্ত হাদীসের সনদ একত্রিত করেছেন। উক্ত হাদীসকে সহীহ বিশুদ্ধ ও তার ওপর আস্থা রেখেছেন এবং তা গ্রহণ করেছেন। যথা- হাফিযে হাদীস হুজ্জত হাকিম নিশাপুরী (رحمه الله تعالي ) এবং হাফিয সুয়ূতী (رحمه الله تعالي ) উক্ত বিষয়ের ওপর স্বতন্ত্র একটি রিসালা রচনা করেছেন। কাজী আয়ায শাফেঈ (رحمه الله تعالي )ও তাঁর শিফা শরীফে উক্ত হাদীস বিশুদ্ধ, সুদৃঢ় ও মজবুত বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। (বাতিলপন্থী লোকেরা বিপর্যয় ও ধ্বংস হোক।)


হাদীসসমূহের ওপর গভীর আলোচনা ও চিন্তা-গবেষণা করতে গিয়ে সৈয়্যদুনা ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي ) বিশেষ করে রিজালে হাদীস তথা হাদীসের বর্ণনা সূত্রের সমালোচনা ও বিশুদ্ধতার বর্ণনা করেছেন। তাঁর বহু কিতাবে রিজাল শাস্ত্রের সমালোচনার সুস্পষ্ট নিদর্শন ও প্রমাণ পাওয়া যায়। কারাবিসী লিখিত ‘কিতাবুল মুদালি­স’ গ্রন্থের ভুল-ভ্রান্তি বিষয়ক আলোচনা ও সমালোচনা শুধু ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي ) ছাড়া আর কে করেছেন, বলুন তো? একমাত্র ইমাম ত্বাহাবীই (رحمه الله تعالي ) ‘কিতাবুল মুদালি­সীন’ গ্রন্থের বর্ণনা সূত্রের বিশুদ্ধতার ওপর কঠোর সমালোচনা করেছেন। এত বড় হাদীস বিষয়ের খিদমত যিনি আঞ্জাম দিয়েছেন, তিনি রিজাল শাস্ত্রের ওপর অনভিজ্ঞ হলে কিভাবে কার্য সম্পাদন করতে পারেন? তা কখনো হয় না। এতদ্সত্ত্বেও ইমাম ত্বাহাবী (رحمه الله تعالي )কে রিজাল শাস্ত্র সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ছিলেন একথা বলা যাবে? কিংবা তাঁকে যার ধারাবাহিক ভুল-ভ্রান্তির ওপর হাফিয আবু বকর আস্-সামিত হান্বলীকে পুরো একটি কিতাব লিখতে হয়েছে।   

9. আনওয়ারুল বারী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-২১।


হাফিয ইবনে তাইমিয়ার দলিল পেশ করার ওপর একটি সমীক্ষা বা দৃষ্টিভঙ্গিঃ

এখানে একথাটিও উল্লেখ করার মতো যে, হাফিয ইবনে তাইমিয়া ও অন্যান্য উগ্র স্বভাবের লোকদের ন্যায়, যখন কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করতেন, তখন তার বিপরীতে অন্যান্যদেরকে সরাসরি না-হক্বের ওপর দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করতেন এবং তা নাকচ করতে প্রয়োজনাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতেন। অর্থাৎ নিজের সামর্থ যোগ্যতা অভিজ্ঞতার পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে তার বিপরীত অভিমত অশুদ্ধ প্রমাণ করার প্রাণপণ চেষ্টা করতেন। যার পরিণাম এ দাঁড়ায় যে, পাঠকবৃন্দ চিন্তাবিদ ও গবেষকগণ প্রকৃত সঠিক তত্ত্ব ও তথ্য অনুসন্ধানে ব্যর্থ হয় এবং বাস্তব অনুধাবন করা থেকে অনেক দূরে চলে যায়। ফলে ভুল বুঝাবুঝি ও অশুদ্ধতার শিকার তো অবশ্যই হবে।

 
Top