❏ প্রশ্ন-১২ঃ হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)-এর আসরের নামায ও সূর্য পুনরায় উদিত হওয়ার প্রমাণ সম্পর্কে মতামত কি? অর্থাৎ- এক বর্ণনা মতে, ‘হুযূর   হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) এর কোলে মাথা রেখে আরাম করছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)’র আসরের নামায সূর্যাস্ত যাওয়ার কারণে ছুটে যায়। হুযূর   জাগ্রত হয়ে হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)কে নামায আদায় করেছে কিনা জিজ্ঞেস করেন। তিনি উত্তরে না বলেন। একথা শুনে হুযূর   দু‘আ করলেন, ফলে সূর্য পুনরায়  আছর ওয়াক্তে ফিরে আসলে হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه) আসরের নামায আদায় করেন।’, উক্ত রিওয়ায়েত শুদ্ধ কিনা?


✍ উত্তরঃ এই রেওয়ায়েতটি হযরত ইমাম তাবরানী (رحمه الله تعالي ) স্বীয় গ্রন্থ ‘আল-মু‘জমুল কবীর’ গ্রন্থে হযরত আসমা বিনতে উমাইস (رضى الله تعالي عنه) থেকে বর্ণনা করেন। 

7. ইমাম তাবরানী রচিত, আল-মু‘জামুল কবীর, খন্ড-২৪, পৃষ্ঠা-১৪৫।


হযরত ইমাম আবু জাফর ত্বাহাবী ‘মুশকিলুল আছার’ গ্রন্থে এবং কাযী আয়াজসহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনগণ উক্ত হাদীস শরীফ বিশুদ্ধ বলেছেন। আর তাবরানী বর্ণিত হাদীসের রেওয়ায়েতকেও বিশুদ্ধ বর্ণনাসূত্রে গণ্য করেছেন।

সৈয়্যদ মাহমুদ আলুসি (رحمه الله تعالي ) فطفق يخصفان আয়াতের তাফসীরে উক্ত হাদীস শরীফ বিশুদ্ধ হওয়া সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। 

8. রুহুল মা‘আনি, খন্ড-২৩, পৃষ্ঠা-১৯৪।


কিন্তু ইবনে জওযী, ইবনে তাইমিয়া এবং আহমদ বিন হাম্বল (رحمه الله تعالي ) উক্ত হাদীসকে ‘মওজু‘আত’-এর মধ্যে গণ্য করেছেন। তবে উক্ত হাদীস দিরায়ত বা রেওয়ায়েতের দিক দিয়ে সুদৃঢ় ও বিশুদ্ধ মনে হয়। কেননা মুহাক্কিক ওলামাই কিরাম উক্ত হাদীস সম্পর্কে অভিমত পেশ করেছেন, যদিও রেওয়ায়েত সম্পর্কে কিছু কথা রয়েছে কিন্তু নবী-রাসূলগণের শানে রিসালতে, মু‘জিযা ও অলৌকিকত্বের এক মহান বাস্তব অধিকার রয়েছে। বিশেষ করে সৈয়্যদুল আম্বিয়া (ﷺ)-এর ক্ষেত্রে এ ব্যাপারে মন্তব্য ও  সমালোচনা করার কারো কোন অধিকার নেই।

 
Top