❏ প্রশ্ন-৩১ঃ হুযূর মোস্তফা (ﷺ)-এর স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে বর্ণনা কর।


✍ উত্তরঃ হুযূর (ﷺ)-এর চরিত্র এত উঁচু পর্যায়ের ছিল যে, এ প্রসঙ্গে হযরত আনাস (رضى الله تعالي عنه) বলেন, আমি দশ বছর হুযূর (ﷺ)-এর খিদমতে ছিলাম, ভুলবশতঃ আমার কোন কথা বা কাজে অসন্তুষ্ট হলেও তিনি কখনো আমাকে একথা বলেননি যে, তুমি এ কাজটি ভুল করেছ এবং কেন করেছ? আমরা যখন কোন ভাল কাজ করতাম, তিনি দু‘আ করতেন। আমাদের কোন কাজে যখন অসন্তুষ্ট হতেন, তখন বলতেন, 

كَانَ اَمْرُ اللهِ قَدْرًا مَقْدُوْرًا 

হুযূর (ﷺ) ঘরের কাজ সবার সাথে মিলেমিশে করতেন। মূর্খতাবশতঃ কেউ তাঁকে কোন কাজের জন্য বললে, তিনি নিষেধ করতেন না। সফরের সময় বাহন যেটা পেতেন সেটাতে সন্তুষ্ট থাকতেন। উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (رضى الله تعالي عنها)কে তাঁর স্বভাব-চরিত্র সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে তিনি (رضى الله تعالي عنها) উত্তরে বলেন, كَانَ خُلُقُهُ اَلْقُرْآن ‘তাঁর পুরো চরিত্রই ছিল কোরআনে কারীম(ﷺ) ’। অর্থাৎ- পবিত্র কোরআনে যে সকল প্রশংসনীয় স্বভাব-চরিত্রের কথা উল্লেখ আছে, সে সকল চরিত্রে তিনি ছিলেন চরিত্রবান ও প্রশংসিত। কোরআন মজিদই তাঁর   প্রকৃত স্বভাব ও মহানূভবতার দলিল।

মদীনার দাস-দাসীরা তাদের অকৃত্রিম ই‘তিকাদ ও ভক্তি বিশ্বাস নিয়ে বরকত হাসিলের উদ্দেশ্যে হুযূর (ﷺ)-এর নিকট পানির পাত্র নিয়ে আবেদন করতেন যে, আপনি এতে আপনার হাত মুবারক ডুবিয়ে দিন। তিনি তীব্র শীতের মৌসুমেও তাদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য পাত্রে হাত মুবারক ডুবিয়ে দিতেন।

 
Top