ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন?
———————————————————————————-

লা’মাযহাবীদের দাবি বুখারী শরীফে তারাবীর নামায ৮ রাকা’আত আছে। তখন স্বাভাবিক ভাবেই জানতে ইচ্ছা করে হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি কত রাকা’আত তারাবীহর নামায পড়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সহীহ সনদ সহকারে ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনীতে উল্লেখ আছে,
كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْبُخَارِيُّ: إِذَا كَانَ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ يَجْتَمِعَ إِلَيْهِ أَصْحَابُهُ فَيُصَلِّي بِهِمْ، فَيَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ عِشْرِينَ آيَةً، وَكَذَلِكَ إِلَى أَنْ يَخْتِمَ الْقُرْآنَ
অর্থ: “হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি রমাদ্বান মাসে রাতের প্রথম ভাগে উনার সঙ্গীদের জমা করতেন এবং তাদের নিয়ে (তারাবীহর) নামায পড়তেন। সে নামাযে প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত পাঠ করতেন। আর এভাবে পবিত্র কুরআন শরীফ খতম করতেন।” (দলীল: হাদীউস সারী মুকাদ্দিমায়ে ফতহুল বারী ৫০৫ পৃষ্ঠা, শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ৩ খন্ড ৫২৪ পৃষ্ঠা: হাদীছ ২০৫৮, ফতহুল বারী ১/৪৮১, তাগলীক্ব আত তালীক আলা সহীহুল বুখারী ৫/৩৯৯, তাহযীবুল কামাল ২৪/৪৪৬, তারীখে বাগদাদ ২/১২, তবাকাতুস শাফিয়াতুল কুবরা ২/২২৪)

এবার এই বর্ণনা অনুযায়ী একটা অংক করা যাক। আমরা দেখতে পেলাম,
১) ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি প্রতি রাকাতে ২০ আয়াত পড়তেন।
২) আর এভাবে তিনি কুরআন শরীফ খতম করতেন।

মাস যদি ৩০ দিনে হয় আর তিনি যদি ৮ রাকা’আত পড়েন তাহলে দাঁড়ায়-
তিনি প্রতিদিন পড়েন, (৮x২০) = ১৬০ আয়াত।
৩০ দিনে পড়েন, (৩০x১৬০) = ৪৮০০ আয়াত শরীফ।


আমরা জানি, কুরআন শরীফে আয়াত শরীফ আছে ৬৬৬৬ টি। তাহলে ৮ রাকা’আত করে তারাবীহ পড়লে ৪৮০০ আয়াত পড়া সম্ভব। বাকি ১৮৬৬ টি আয়াত না পড়েই কি তিনি কুরআন শরীফ খতম দিতেন? আমরা দেখলাম তিনি প্রতি রাকা’আতে ২০ আয়াত করে পাঠ করে কুরআন শরীফ খতম করতেন। অথচ ৮ রাকা’আত নামায পড়ে কষ্মিনকালেও কুরআন শরীফ খতম করা সম্ভব নয়। সূতরাং প্রমাণ হলো স্বয়ং ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি নিজেও ৮ রাকা’আত তারাবীহ পড়তেন না।
অতএব লা’মাযহাবীদের বুখারী শরীফের নাম বেঁচে খাওয়া এখানই বন্ধ করা উচিত। নইলে মানুষ তাদের মূর্খতার জন্য থুথু দিবে……….
 
Top