দরসে তাসাউফঃ ১

কোন ইমানদার ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ হলে ইসলামের হুকুম হল ৩ দিনের বেশি কথা না বলে থাকা উচিত নয়। অথচ আমরা অতি নগন্য ইস্যুতে কত শত ভাইয়ের সাথে বিরোধে জড়িয়ে পড়ি। একবার বিরোধ হলে আর পুনরায় তাকে কাছে টানতে চাইনা। চিরতরে যেন তার কাছ থেকে বিদায় নেই। আমরা নিজেদেরকে একজন মুসলমান দাবী করে গর্ববোধ করি কিন্তু ছোট খাটো বিষয়েও ইসলামের হুকুম মানতে নারাজ! প্রকৃত মুসলমান তো সেই যে নিজের নফসের বিরোদ্ধে লড়াই করে ইসলামের প্রকৃত দর্শনকে লালন করে। যে বুক জুড়ে উদারতা নেই সে কি আল্লাহর কাছে উদারতা কামনা করতে পারে? যে নিজে ক্ষমা করতে জানে না, সে কি ক্ষমা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে? যে দয়া করতে জানে না সে কি দয়া পাওয়ার উপযুক্ত? যদি তাই হয় তবে নিজের বেলায় এক নিয়ম অপরের বেলায় ভিন্ন নিয়ম এটা তো অবিবেচকের কাজ তাই না? সে তো নিজেই ইনসাফকারী নয়, আল্লাহর সম্মুখে দাঁড়ানোর সাহস আছে তার?

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা পরস্পর সম্পর্কচ্ছেদ কোরো না, একে অন্যের বিরুদ্ধে শত্রুভাবাপন্ন হয়ো না, পরস্পরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ কোরো না, পরস্পর হিংসা কোরো না। তোমরা আল্লাহর বান্দা, ভাই ভাই হয়ে যাও। কোনো মুসলিমের জন্য তার ভাইয়ের সঙ্গে তিন দিনের বেশি কথাবার্তা বলা বন্ধ রাখা বৈধ নয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৬০৫৬; মুসলিম ২৫৫৯)।


 
Top