❏ প্রশ্ন-৬২ঃ তায়াম্মুমের সময় দাড়ি খিলাল করার বিধান কী?


✍ উত্তরঃ অযুতে দাঁড়ি খিলাল তো হয়ে থাকে। তায়াম্মুমেও দাঁড়ি খিলাল করা সুন্নাত। এর জন্য স্বতন্ত্রভাবে মাটিতে হাত মারার প্রয়োজন নেই।


فبقي تخليل اللحية من السنن. 


‘তায়াম্মুমের সময়ও দাঁড়ি খিলাল করা সুন্নাত।’ 

90. রাদ্দুল মুখতার, শামী, তায়াম্মুম অধ্যায়, পৃষ্ঠা-২৩২, 

ফতোয়া হক্কানী, পৃষ্ঠা-৫৫০, খন্ড-২।


❏ প্রশ্ন-৬৩ঃ যদি কারও হাত, পা কিংবা অযুর অন্য যে কোন অঙ্গ জখমপ্রাপ্ত হয়, সে ব্যক্তি ক্ষত স্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধে এবং অযু করার সময় সে উক্ত স্থানে মাসেহ করে, তাহলে এমন ব্যক্তির ইকতেদা করে জামাত পড়া কি জায়েয হবে?


✍ উত্তরঃ উল্লেখ থাকে যে, শরীয়তে অপারগতা গ্রহণযোগ্য। যদি উক্ত ব্যক্তিটি শরীয়ী অপারগতার ভিত্তিতে ব্যান্ডেজে মাসেহ করে নামাযে ইমামতি করে এবং উক্ত ক্ষতস্থান থেকে আপনা-আপনি পুঁজ-রক্ত প্রবাহিতও না হয়, তাহলে এমন ব্যক্তির ইমামতিকে ফোকাহা-ই কেরাম বিশুদ্ধ বলেছেন। এ কারণে নামাযে কোন প্রভাব পড়বে না।


মারাকিউল ফালাহ মা‘ত তাহ্তাবী, ইমামত অধ্যায়, পৃষ্ঠা-১৬১ তে রয়েছে, 


وصح اقتداء غاسل بماسح على الخف والجبيرة أو فرصت لا يسيل منها شيء.


‘শরাহ মোতাবেক মৌজা, ব্যান্ডিজ বা এমন ক্ষত যা থেকে পূজ-রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে না, এমন স্থানে মুসেহকারী ইমামের পিছনে পানি দ্বারা অযুকারীর ইকতেদা সহীহ হবে।’

 
Top