মাযার নির্মাণ 04

দলিল নং – 
হযরত দাউদ ইবনে আবি সালেহ হতে বর্ণিততিনি বলেন:
একদিন মারওয়ান (মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের রওযা মোবারকেএসে দেখেএক ব্যক্তি রওযাশরীফের খুব কাছাকাছি মুখ রেখে মাটিতে শুয়ে আছেন।মারওয়ান তাঁকে বলে, ‘জানো তুমি কী করছো?’ সে তাঁরদিকে এগিয়ে গেলে সাহাবী হযরত খালেদ বিন যাঈদ আবূআইয়ুব আল-আনসারী (রহ:)-কে দেখতে পায়। তিনি(সাহাবীজবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ (আমি জানি); আমি রাসূলুল্লাহ(:)-এর কাছে (দর্শনার্থী হতেএসেছিকোনো পাথরেরকাছে আসি নি। আমি মহানবী (:)-এর কাছে শুনেছি, (ধর্মেরঅভিভাবক যোগ্য হলে ধর্মের ব্যাপারে কাঁদতে নাতবে হ্যাঁঅভিভাবক অযোগ্য হলে ধর্মের ব্যাপারে কেঁদো
রেফারেন্স/সূত্র
  • আল-হাকিম এই বর্ণনাকে সহীহ বলেছেনঅপরদিকেআয্ যাহাবীও তাঁর সত্যায়নেরসাথে একমত হয়েছেন। [হাকিমআল-মোস্তাদরাক৪র্থ খণ্ডহাদীস নং ৫১৫]
  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ:)- তাঁরমুসনাদ’ গ্রন্থের ৫ম খণ্ডে সহীহ সনদে এটি বর্ণনাকরেন। [হাদীস নং ৪২২]
এবার আমরা মাযার যেয়ারত এবং সেখানে কুরআনতেলাওয়াত  যিকর-আযকার পালনের ব্যাপারেআলোচনায় প্রবৃত্ত হবো। হযরত আম্বিয়া কেরাম (:) আউলিয়া (রহ:)-বৃন্দের মাযার-রওযা যেয়ারতের উদ্দেশ্যেসফর করার পক্ষে আদেশসম্বলিত মহানবী (:) হতে সরাসরিএকখানা ’নস’ তথা হাদীস শরীফ এক্ষেত্রে বিদ্যমানযাবোখারী শরীফে লিপিবদ্ধ আছে
হুযূর পাক (:) এরশাদ ফরমান:
আমি যদি সেখানে থাকতামতাহলে আমি তোমাদেরকে মূসা(:)-এর মাযারটি দেখাতামযেটি লাল বালির পাহাড়েরসন্নিকটে পথের ধারে অবস্থিত।— বোখারী শরীফ২য় খণ্ডবই নং ২৩হাদীস নং ৪২৩
এই হাদীস আবারও রাসূলে খোদা (:)-এর কাছ থেকেএকটি ‘নস’ (স্পষ্ট দলিলএই মর্মে যে তিনি আম্বিয়া (:)-গণের মাযার-রওযা যেয়ারত পছন্দ করতেনউপরন্ততিনিসাহাবা--কেরাম (রা:)-এর কাছে জোরালোভাবে তা ব্যক্তওকরেছেন
উপলব্ধির জন্যে নিম্নে পেশকৃত হাদীসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।আর এটি মাযার-রওযা যেয়ারতের আদব পালনে সাহাবা--কেরাম (রা:)-এর আকীদা-বিশ্বাসেরও প্রতিফলন করে
হযরত সাইয়্যেদাহ আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন:
যে ঘরে মহানবী (:)  আমার পিতা (আবূ বকর – রা:)-কেদাফন করা হয়সেখানে যখন- আমি প্রবেশ করেছিতখনআমার মাথা থেকে পর্দা সরিয়ে ফেলেছি এই ভেবে যে আমিযাঁদের যেয়ারতে এসেছি তাঁদের একজন আমার পিতা অপরজন আমার স্বামী। কিন্তু আল্লাহর নামে শপথযখনহযরত উমর ফারূক (রা:) ওই ঘরে দাফন হলেনতখন থেকেআমি আর কখনোই ওখানে পর্দা না করে প্রবেশ করি নিআমি হযরত উমর (রা:)-এর প্রতি লজ্জার কারণেই  রকমকরতাম।— মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল৬ষ্ঠ খণ্ড২০২পৃষ্ঠাহাদীসঃ ২৫৭০১
জরুরি জ্ঞাতব্য
প্রথমতঃ এই হাদীসে প্রমাণিত হয় যে শুধু আম্বিয়া(:)-এর মাযার-রওযা নির্মাণ- ইসলামে বৈধ নয়পাশাপাশি সালেহীন তথা পুণ্যবান মুসলমানদেরজন্যেও তা নির্মাণ করা বৈধ। লক্ষ্য করুন যে হাদীসেবায়ত’ বা ‘ঘর’ শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে। মানেমহানবী (:)-এর রওযা শরীফের সাথে সর্ব-হযরতআবূ বকর (রা:)  উমর (রা:)-এর মাযার-রওযাওএকটি নির্মিত ঘরের অভ্যন্তরে’ অবস্থিত ছিল
দ্বিতীয়তঃ হযরত উমর ফারূক (রা:)-এর উক্ত ঘরেদাফনের পরে হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা:) পূর্ণপর্দাসহ সেখানে যেয়ারতে যেতেন। এটি এতদসংক্রান্তবিষয়ে হযরতে সাহাবা--কেরাম (রা:)-এর আকীদা-বিশ্বাস প্রতিফলনকারী স্পষ্ট দলিলযাতে বোঝা যায়তাঁরা মাযারস্থদের দ্বারা যেয়ারতকারীদের চিনতেপারার ব্যাপারটিতে স্থির বিশ্বাস পোষণ করতেন।হাদীসটির স্পষ্ট বর্ণনার দিকে লক্ষ্য করুন। তাতে বলাহয়েছে ‘হায়া মিন উমর’, মানে হযরত উমর (রা:)-এরপ্রতি লজ্জার কারণে হযরত আয়েশা (রা:) ওখানেপর্দা করতেন
আমরা জানিওহাবীদের ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে গেলে প্রতিটিসহীহ হাদীসকে অস্বীকার করা তাদের স্বভাবসিদ্ধ ব্যাপার।তারা অহরহ আলবানী (বেদআতী-গুরু)-এর হাওয়ালা দেয়নিজেদের যুক্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যেকিন্তু এক্ষেত্রে তারা তাদেরওই নেতারও শরণাপন্ন হতে পারছে না। কেননাএই হাদীসএতোই বিশুদ্ধ  নির্ভরযোগ্য যে এমন কি আলবানীওএটিকে যয়ীফ বা দুর্বল ঘোষণা করতে পারেনি (নতুবা তারকুখ্যাতি ছিল বাঁকা পথে সহীহ হাদীসকে অস্বীকার করারযখন- তা তার মতবাদের পরিপন্থী হতো)  কথা বলারপাশাপাশি আমরা এও স্পষ্ট করে বলতে চাই যেশুধুওহাবীরাই নয়আলবানী- উসূলে হাদীস তথা হাদীসেরনীতিমালাবিষয়ক শাস্ত্রে একেবারেই কাঁচা ছিল। আমরাকেবল তার উদ্ধৃতি দিয়েছি এই কারণে যাতে শত্রুদের মধ্যথেকেই সত্যের স্বীকৃতি পাওয়া যায়
ইমাম নূরুদ্দীন হায়তামী (রহ:) এই হাদীসটি সম্পর্কে বলেন:
এটি ইমাম আহমদ (রহ:) কর্তৃক বর্ণিত এবং এর বর্ণনাকারীরাসবাই সহীহ মানব।— মজমাউয্ যাওয়াইদ:৪০হাদীসঃ১২৭০৪
ইমাম আল-হাকিম (রহ:) এটি বর্ণনা করার পর বলেন,
এই হাদীস বোখারী  মুসলিমের শর্ত অনুযায়ী সহীহ।— মোস্তাদরাক আল-হাকিমহাদীসঃ ৪৪৫৮
নাসিরুদ্দীন আলবানী আল-মোবতাদি আল-মাশহুর (কুখ্যাতবেদআতীএই হাদীসকে মেশকাতুল মাসাবিহ গ্রন্থের ওপরনিজ ব্যাখ্যামূলক ‘তাখরিজপুস্তকে সমর্থন করেছে (# ১৭১২)
ইবনে কাসীর লিখেছে,
ইবনে আসাকির হযরত আমর ইবনে জামাহ (রহ:)-এরজীবনীগ্রন্থে বর্ণনা করেন: ‘এক তরুণ বয়সী ব্যক্তি নামাযপড়তে নিয়মিত মসজিদে আসতেন। একদিন এক নারী তাঁকেঅসৎ উদ্দেশ্যে নিজ গৃহে আমন্ত্রণ করে। তিনি যখন ওইনারীর ঘরে ছিলেনতখন তিনি উচ্চস্বরে তেলাওয়াত করেনকুরআনের আয়াত – নিশ্চয় ওই সব মানুষ যারা তাকওয়ারঅধিকারী হনযখন- তাদেরকে কোনো শয়তানী খেয়ালেরছোঁয়া স্পর্শ করেতখন তারা সাবধান হয়ে যানতৎক্ষণাৎতাদের চোখ খুলে যায় (:২০১) অতঃপর তিনি মূর্ছা যানএবং আল্লাহর ভয়ে ইন্তেকাল করেন। মানুষেরা তাঁর জানাযারনামায পড়েন এবং তাঁকে দাফনও করেন। হযরত উমর (রা:) এমতাবস্থায় একদিন জিজ্ঞেস করেননিয়মিত মসজিদেনামায পড়ার জন্যে আগমনকারী ওই তরুণ কোথায়মানুষেরা জবাব দেনতিনি ইন্তেকাল করেছেন এবং আমরাতাঁকে দাফন করেছি।  কথা শুনে হযরত উমর (রা:) ওইতরুণের কবরে যান এবং তাঁকে সম্ভাষণ জানিয়ে নিম্নেরকুরআনের আয়াতটি তেলাওয়াত করেন – এবং যে ব্যক্তিআপন রবের সম্মুখে দণ্ডায়মান হওয়াকে ভয় করেনতারজন্যে রয়েছে দুটি জান্নাত (৫৫:৪৬) ওই তরুণ নিজ কবরথেকে জবাব দেননিশ্চয় আল্লাহ আমাকে দুটি জান্নাত দানকরেছেন— তাফসীরে ইবনে কাসীর৬ষ্ঠ খণ্ড৪৯৬ পৃষ্ঠাআল-কুরআন :২০১-এর ব্যাখ্যায়
[অনুবাদকের জ্ঞাতব্যখলীফা উমর ফারূক (রা:)-এর কাশফবা দিব্যদৃষ্টির প্রমাণ এখানে পাওয়া যায়। তিনি ওই তরুণেরঘটনা কাশফ দ্বারা জানতেন। নতুবা তিনি কেন ’তাকওয়া-বিষয়ক আয়াত’ তেলাওয়াত করলেনউপরন্তুতিনি যেকাশফুল কুবুর’ বা কবরবাসীর অবস্থা দিব্যদৃষ্টি দ্বারা জানতেপারতেন তাও এই ঘটনায় প্রমাণিত হয়।]
দলিল নং – 
হযরত আবূ হোরায়রা (রা:)-এর সূত্রে বর্ণিত
মহানবী (:) এরশাদ ফরমান: “আমি নিজেকে ’হিজর’-এরমধ্যে পেলাম এবং কোরাইশ গোত্র আমাকে মেরাজের রাতেরভ্রমণ সম্পর্কে নানা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করছিল। আমাকে বায়তুলমাকদিস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়যা আমার স্মৃতিতেরক্ষিত ছিল না। এতে আমি পেরেশানগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলামএমন পর্যায়ের পেরেশানির মুখোমুখি ইতিপূর্বে কখনো- হইনি। অতঃপর আল্লাহ পাক এটিকে (বায়তুল মাকদিসকেআমার চোখের সামনে মেলে ধরেন। আমি তখন এর দিকেতাকিয়ে তারা (কুরাইশবর্গযা যা প্রশ্ন করছিল সবগুলোরইউত্তর দেই। আমি ওই সময় আম্বিয়া (:)-বৃন্দের জমায়েতেনিজেকে দেখতে পাই। আমি হযরত মূসা (:)-কে নামাযপড়তে দেখি। তিনি দেখতে সুদর্শন (সুঠাম দেহের অধিকারীছিলেনযেন শানুয়া গোত্রের কোনো পুরুষ। আমি মরিয়মতনয় ঈসা মসীহ (:)-কে দেখি নামায আদায় করতেসকলমানবের মাঝে তাঁর (চেহারারসবচেয়ে বেশি সাযুজ্য হলোউরওয়া ইবনে মাসউদ আস্ সাকাফী (রা:)-এর সাথে। আমিহযরত ইবরাহীম (:)-কেও সালাত আদায় করতে দেখিমানুষের মাঝে তাঁর (চেহারারসবচেয়ে বেশি সাদৃশ্য হলোতোমাদের সাথী (মহানবী স্বয়ং)-এর সাথে। নামাযের সময়হলে পরে আমি তাতে ইমামতি করি। নামাযশেষে কেউএকজন বল্লেন, ‘এই হলেন মালেক (ফেরেশতা), জাহান্নামেররক্ষণাবেক্ষণকারীতাঁকে সালাম জানান।’ আমি তাঁর দিকেফিরতেই তিনি আমার আগে (আমাকেসালাম জানান।— সহীহ মুসলিম১ম খণ্ডহাদীস নং ৩২৮ইমাম হাফেয ইবনেহাজর আসকালানী (রহ:)- এটিকে নিজ ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থের ৬ষ্ঠ খণ্ডের ৪৮৩ পৃষ্ঠায় সমর্থন দিয়েছেন
হযরত মূসা (.)  অন্যান্য আম্বিয়া (.)-বৃন্দ তাঁদেরমাযার-রওযায় জীবিতাবস্থায় বর্তমান
হযরত আনাস বিন মালেক (রা:) বর্ণনা করেন রাসূলুল্লাহ(:)-এর হাদীসযিনি বলেন: “আমি আগমন করি”; আরহযরত হাদ্দিব (রা:)-এর বর্ণনায় হাদীসের কথাগুলো ছিল রকম – “মেরাজ রজনীতে ভ্রমণের সময় আমি লাল টিলারসন্নিকটে হযরত মূসা (:)-কে অতিক্রমকালে তাঁকে তাঁররওযা শরীফে নামায আদায়রত অবস্থায় দেখতে পাই।— সহীহ মুসলিমবই নং ৩০হাদীস নং – ৫৮৫৮
আম্বিয়া (:)-এর মাযার-রওযায় তাঁদের রূহানী হায়াতসম্পর্কে হযরত ইমাম সৈয়ুতী (রহ:) বলেন:
রাসূলুল্লাহ (:)-এর রওযা মোবারকে তাঁর রূহানী জীবন এবংঅন্যান্য আম্বিয়া (:)-বৃন্দের নিজ নিজ মাযার-রওযায়অনুরূপ জীবন সম্পর্কে যে জ্ঞান আমরা লাভ করেছি তাচূড়ান্ত জ্ঞান’ (এলমান কাতেয়্যান) এগুলোর প্রমাণ হচ্ছেতাওয়াতুর’ (সর্বত্র জনশ্রুতির ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত) ইমামবায়হাকী (রহ:) আম্বিয়া (:)-বৃন্দের মাযার-রওযায় তাঁদেরপরকালীন জীবন সম্পর্কে একটি ’জুয’ (আলাদা অংশ/অধ্যায়লিখেছেন। তাতে প্রদত্ত প্রমাণাদির মধ্যে রয়েছেযেমন,/ – সহীহ মুসলিম শরীফে হযরত আনাস ইবনেমালেক (রা:) বর্ণিত একটি হাদীসে হুযূর পূর নূর (:) এরশাদফরমান, ’মেরাজ রাতে আমি হযরত মূসা (:)-এর(রওযারপাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম এবং ওই সময় তাঁকে দেখতেপাই তিনি তাঁর মাযারে সালাত আদায় করছিলেন’; / – আবূনুয়াইম নিজ ‘হিলইয়া’ পুস্তকে হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে একটি বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেনযাতে ওই সাহাবীরাসূলে খোদা (:)-কে বলতে শোনেন, ’আমি হযরত মূসা(:)-এর (রওযারপাশ দিয়ে যাবার সময় তাঁকে নামাযেদণ্ডায়মান দেখতে পাই’; / – আবূ ইয়ালার ‘মুসনাদ’ গ্রন্থে ইমাম বায়হাকী (রহ:)-এর ‘হায়াত আল-আম্বিয়া’ পুস্তকেহযরত আনাস (রা:) থেকে বর্ণিত আছে যে নবী করীম (:) এরশাদ ফরমান: ’আম্বিয়া (:) তাঁদের মাযার-রওযায়জীবিত আছেন এবং তাঁরা (সেখানেসালাত আদায় করেন
— ইমাম সৈয়ুতী কৃত ‘আল-হাওয়ী লিল্ ফাতাউইয়ী’, ২য়খণ্ড২৬৪ পৃষ্ঠা
ইমাম হায়তামী (রহ:) ওপরে বর্ণিত সর্বশেষ হাদীস সম্পর্কেবলেন, “আবূ ইয়ালা  বাযযার এটি বর্ণনা করেছেন এবংআবূ ইয়ালার এসনাদে সকল বর্ণনাকারী- আস্থাভাজন।” ইমাম হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী (রহ:)- এইরওয়ায়াতকে সমর্থন দিয়েছেন নিজ ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থের৬ষ্ঠ খণ্ডের ৪৮৩ পৃষ্ঠায়। [কাদিমী কুতুবখানা সংস্করণের৬০২-৬০৩ পৃষ্ঠায়]
দলিল নং – 
ইমাম কুরতুবী (রহ:) হযরত আবূ সাদেক (রা:) থেকে বর্ণনাকরেন যে ইমাম আলী (:) বলেন,
মহানবী (:)-এর বেসালের (পরলোকে আল্লাহর সাথে মিলিতহবারতিন দিন পর জনৈক আরব এসে তাঁর রওযামোবারকের ওপর পড়ে যান এবং তা থেকে মাটি নিয়ে মাথায়মাখতে থাকেন। তিনি আরয করেন, ‘এয়া রাসূলাল্লাহ (:)! আপনি বলেছিলেন আর আমরাও শুনেছিলামআপনিআল্লাহর কাছ থেকে জেনেছিলেন আর আমরাও আপনারকাছ থেকে জেনেছিলামআপনার কাছে আল্লাহর প্রেরিতদানগুলোর মধ্যে ছিল তাঁর- পাক কালাম – আর যদিকখনো তারা (মোমেনগণনিজেদের আত্মার প্রতি যুলুমকরেতখন হে মাহবুবতারা আপনার দরবারে হাজির হয়এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেআর রাসূল (:)-তাদের পক্ষে সুপারিশ করেনতবে অবশ্যই তারা আল্লাহকেঅত্যন্ত তওবা কবুলকারীদয়ালু হিসেবে পাবে (আল-কুরআন:৬৪) আমি একজন পাপীআর এক্ষণেআপনার- দরবারে আগতযাতে আপনার সুপারিশ আমিপেতে পারি।’ এই আরযির পরিপ্রেক্ষিতে রওযা মোবারকথেকে জবাব এলো, ‘কোনো সন্দেহ- নেই তুমি ক্ষমাপ্রাপ্ত!’— তাফসীরে কুরতুবীআল-জামে’ লি আহকাম-ইল কুরআন৬ষ্ঠ খণ্ডউক্ত আল-কুরআনের :৬৪-এর তাফসীর
জ্ঞাতব্য
এটি সমর্থনসূচক দলিল হিসেবে উদ্ধৃত
দলিল নং –  [ঈমানদারদের মা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা(রা.) হতে প্রমাণ]
ইমাম দারিমী বর্ণনা করেন হযরত আবূল জাওযা’ আউসইবনে আব্দিল্লাহ (রা:) হতে, ‍যিনি বলেনমদীনাবাসীগণএকবার দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েন। তাঁরা মা আয়েশা (রা:)-এরকাছে  (শোচনীয় অবস্থারব্যাপারে ফরিয়াদ করেন। তিনিতাঁদেরকে মহানবী (:)-এর রওযা শরীফে গিয়ে ওর ছাদেএকটি ছিদ্র করতে বলেন এবং রওযা পাক  আকাশেরমাঝে কোনো বাধা না রাখতে নির্দেশ দেন। তাঁরা তা- করেন।অতঃপর মুষলধারে বৃষ্টি নামে। এতে সর্বত্র সবুজ ঘাস জন্মায়এবং উট হৃষ্টপুষ্ট হয়ে মনে হয় যেন চর্বিতে ফেটে পড়বে। এইবছরটিকে ‘প্রাচুর্যের বছর’ বলা হয়।— সুনানে দারিমী১মখণ্ড২২৭ পৃষ্ঠাহাদীস নং ৯৩
 
Top